সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

বিয়ের প্রস্তাব - ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয় এবং বর্জনীয়

সবার জীবনেই আসে বিয়ের ঘটনা। আর বিয়ের আগে আসে কনে দেখার পর্ব। ইসলাম শুধু নামায-রোযার নয়; ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই এখানে সালাত-সিয়ামের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে-শাদীর আমলও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল মসজিদে আমরা মুসলিম পরিচয় বজায় রাখি; কিন্তু বিয়ে-শাদীতে কেন যেন ইসলাম পরিপন্থী কাজই বেশি করি। বিয়ে-শাদীর আগে যেহেতু কনে দেখার পর্ব তাই আগে বিয়ের প্রস্তাব বা কনে দেখা সংক্রান্ত ইসলামী নির্দেশনাগুলো আগে তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি এ নিবন্ধে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
বিয়ের প্রস্তাব - ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয় এবং বর্জনীয়
শরীয়তে বিবাহ বলতে কী বুঝায় :- নারী-পুরুষ একে অপর থেকে উপকৃত হওয়া এবং আদর্শ পরিবার ও নিরাপদ সমাজ গড়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এ সংজ্ঞা থেকে আমরা অনুধাবন করতে পারি, বিবাহের উদ্দেশ্য কেবল ভোগ নয়; বরং এর সঙ্গে আদর্শ পরিবার ও আলোকিত সমাজ গড়ার অভিপ্রায়ও জড়িত।

বিবাহের তাৎপর্য :- বিবাহ একটি বৈধ ও প্রশংসনীয় কাজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এর যার গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে করা নবী-রাসূলদের (আলাইহুমুস সালাম) সুন্নাত। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً
‘আর অবশ্যই তোমার পূর্বে আমি রাসূলদের প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বিবাহ করেছেন এবং এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে বলেছেন,
أَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي.
‘আমি নারীকে বিবাহ করি। (তাই বিবাহ আমার সুন্নত) অতএব যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’

এ জন্যই আলিমগণ বলেছেন, সাগ্রহে বিবাহ করা নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। কারণ, এর মধ্য দিয়ে অনেক মহৎ গুণের বিকাশ ঘটে এবং অবর্ণনীয় কল্যাণ প্রকাশ পায়।
কারও কারও ক্ষেত্রে বিবাহ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। যেমন : যদি কেউ বিবাহ না করলে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে। তখন নিজেকে পবিত্র রাখতে এবং হারাম কাজ থেকে বাঁচতে তার জন্য বিয়ে করা ওয়াজিব হয়ে দাঁড়ায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاء.
‘হে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে। কেননা তা চক্ষুকে অবনত করে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাযত করে। আর যে এর সামর্থ্য রাখে না, তার কর্তব্য রোযা রাখা। কেননা তা যৌন উত্তেজনার প্রশমন ঘটায়।’

বিয়ের প্রস্তাব এবং তার নিয়ম

কেউ যখন কোনো নারীকে বিবাহ করতে আগ্রহী হয় তার জন্য সমীচীন হলো ওই মেয়ের অভিভাবকের মাধ্যমে তাকে পেতে চেষ্টা করা। আর এর জন্য রয়েছে কিছু মুস্তাহাব ও ওয়াজিব কাজ, যা উভয়পক্ষের আমলে নেওয়া উচিত :

১. শরীয়তে বিয়ের প্রস্তাব কী বুঝায় :- এমন ব্যক্তির পক্ষ থেকে বিয়ে করতে চাওয়া যার কাছ থেকে এমন প্রস্তাব গ্রহণ হতে পারে। এটি বিবাহ পর্ব সূচনাকারীদের প্রাথমিক চুক্তি। এটি বিবাহের ওয়াদা এবং বিবাহের প্রথম পদক্ষেপ।

২. ইস্তিখারা করা :- মুসলিম নর-নারীর জীবনে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই যখন তারা বিবাহের সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের জন্য কর্তব্য হলো ইস্তিখারা তথা আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করা। জাবির রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
عَنْ جَابِرٍ- رَضِيَ اللهُ عَنْهُ- قَالَ كَانَ النَّبِيُّ- صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ- يُعَلِّمُنَا الْاِسْتِخَارَةَ فِي الْأُمُوْرِ كُلِّهَا، كَالسُّوْرَةِ مِنَ الْقُرْآنِ : (إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالْأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيْضَةِ، ثُمَّ يَقُوْلُ : اللّهُمَّ إنِّيْ أسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ، وَ أسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَ أسْألُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإنَّكَ تَقْدِرُ وَ لآ أقْدِرُ، وَ تَعْلَمُ وَ لآ أعْلَمُ، وَ أنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ، اللّهُمَّ إنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هذَا الْأمْرَ خَيْرٌ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَ مَعَاشِيْ وَ عَاقِبَةِ أمْرِيْ- أوْ قَالَ: فِيْ عَاجِلِ أمْرِيْ وَآجِلِه- فَاقْدُرْهُ لِيْ، وَ إنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أنَّ هذَا الْأمْرَ شَرٌّ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَ مَعَاشِيْ وَ عَاقِبَةِ أمْرِيْ- أوْ قَالَ: فِيْ عَاجِلِ أمْرِيْ وَ آجِلِه- فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَ اصْرِفْنِيْ عَنْهُ، وَ اقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ رَضِّنِيْ بِه. ( وَ يُسَمِّيْ حَاجَتَه.)
‘যখন তোমাদের কেউ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চায় সে যেন দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে অতপর বলে :
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ ، وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ ، وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ، أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ – فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ، أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ – فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي.
‘হে আল্লাহ, আমি আপনার ইলমের মাধ্যমে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের মাধ্যমে আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহা অনুগ্রহ কামনা করছি।‌ কেননা আপনি শক্তিধর, আমি শক্তিহীন, আপনি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং আপনি অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী। হে আল্লাহ, এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা বিষয়টি উল্লেখ করবেন) আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার পরিণতির ক্ষেত্রে অথবা ইহলোক ও পরলোকে কল্যাণকর হয়, তবে তাতে আমাকে সামর্থ্য দিন। পক্ষান্তরে এই কাজটি আপনার জ্ঞান মোতাবেক যদি আমার দীন, জীবিকা ও পরিণতির দিক দিয়ে অথবা ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি তা আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং আমাকেও তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং কল্যাণ যেখানেই থাকুক, আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দিন। অত:পর তাতেই আমাকে পরিতুষ্ট রাখুন।

৩. পরামর্শ করা :- বিবাহ করতে চাইলে আরেকটি করণীয় হলো বিয়ে ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ, পাত্রী ও তার পরিবার সম্পর্কে ভালো জানাশুনা রয়েছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে অধিক পরিমাণে পরামর্শ করতেন। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ مَشُورَةً لأَصْحَابِهِ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে অন্য কাউকে আপন সাথীদের সঙ্গে বেশি পরামর্শ করতে দেখি নি।’ হাসান বসরী রহ. বলেন,
ثلاثة فرجل رجل ورجل نصف رجل ورجل لا رجل فأما الرجل الرجل فذو الرأي والمشورة وأما الرجل الذي هو نصف رجل فالذي له رأي ولا يشاور وأما الرجل الذي ليس برجل فالذي ليس له رأي ولا يشاور
‘মানুষের মধ্যে তিন ধরনের ব্যক্তিত্ব রয়েছে : কিছু ব্যক্তি পূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, কিছু ব্যক্তি অর্ধেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং কিছু ব্যক্তি একেবারে ব্যক্তিত্বহীন। পূর্ণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তি সেই, যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং পরামর্শও করেন। অর্ধেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সেই, যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তবে পরামর্শ করেন না। আর ব্যক্তিত্বহীন ব্যক্তি তিনিই, যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না আবার কারো সঙ্গে পরামর্শও করেন না।’
এদিকে পরামর্শদাতার কর্তব্য বিশ্বস্ততা রক্ষা করা। তিনি যেমন তার জানা কোনো দোষ লুকাবেন না, তেমনি অসদুদ্দেশে আদতে নেই এমন কোনো দোষের কথা বানিয়েও বলবেন না। আর অবশ্যই এ পরামর্শের কথা কাউকে বলবেন না।

৪. পাত্রী দেখা :- জাবের ইবন আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَقَدَرَ عَلَى أَنْ يَرَى مِنْهَا مَا يُعْجِبُهُ وَيَدْعُوهُ إِلَيْهَا فَلْيَفْعَلْ. قَالَ جَابِرٌ : فَلَقَدْ خَطَبْتُ امْرَأَةً مِنْ بَنِى سَلِمَةَ فَكُنْتُ أَتَخَبَّأُ فِى أُصُولِ النَّخْلِ حَتَّى رَأَيْتُ مِنْهَا بَعْضَ مَا أَعْجَبَنِى فَتَزَوَّجْتُهَا.
‘তোমাদের কেউ যখন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, অতপর তার পক্ষে যদি ওই নারীর এতটুকু সৌন্দর্য দেখা সম্ভব হয়, যা তাকে মুগ্ধ করে এবং মেয়েটিকে (বিবাহ করতে) উদ্বুদ্ধ করে, সে যেন তা দেখে নেয়।’
অপর এক হাদীসে রয়েছে, আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كُنْتُ عِنْدَ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « أَنَظَرْتَ إِلَيْهَا ». قَالَ لاَ. قَالَ « فَاذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّفِى أَعْيُنِ الأَنْصَارِ شَيْئًا ».
‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ছিলাম। এমতাবস্থায় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে জানাল যে সে একজন আনসারী মেয়েকে বিয়ে করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছো?’ সে বললো, না। তিনি বললেন, যাও, তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কারণ আনসারীদের চোখে (সমস্যা) কিছু একটা রয়েছে’।’
ইমাম নববী রহ. বলেন, ‘এ হাদীস থেকে জানা যায়, যাকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক তাকে দেখে নেয়া মুস্তাহাব।’

৫. ছবি বা ফটো বিনিময় :- নারী-পুরুষ কারো জন্য কোনোভাবে কোনো ছবি বা ফটো বিনিময় বৈধ নয়। কারণ, প্রথমত. এ ছবি অন্যরাও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে, যাদের জন্য তা দেখার অনুমতি নেই। দ্বিতীয়ত. ছবি কখনো পূর্ণ সত্য তুলে ধরে না। প্রায়শই এমন দেখা যায়, কাউকে ছবিতে দেখে বাস্তবে দেখলে মনে হয় তিনি একেবারে ভিন্ন কেউ। তৃতীয়ত. কখনো এমন হতে পারে যে প্রস্তাব ফিরিয়ে নেয়া হয় বা প্রত্যাখ্যাত হয় অথচ ছবি সেখানে রয়েই যায়। ছবিটিকে তারা যাচ্ছে তাই করতে পারে।

৬. বিবাহের আগে প্রস্তাবদানকারীর সঙ্গে বাইরে বের হওয়া বা নির্জনে অবস্থান করা :- বিয়ের আগে প্রস্তাব দেয়া নারীর সঙ্গে নির্জন অবস্থান বা তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বৈধ নয়। কেননা, এখনো সে বেগানা নারীই রয়েছে। পরিতাপের বিষয়, আজ অনেক মুসলমানই তার মেয়েকে লাগামহীন ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে তারা প্রস্তাবদানকারী পুরুষের সঙ্গে ঘরের বাইরে যায়! উপরন্তু তার সঙ্গে সফরও করে! ভাবখানা এমন যে মেয়েটি যেন তার স্ত্রী হয়ে গেছে।

৭. বর-কনের পারস্পরিক যোগাযোগ করা :- প্রস্তাব দেয়া নারীর সঙ্গে ফোন বা মোবাইলে এবং চিঠি ও মেইলের মাধ্যমে শুধু বিবাহের চুক্তি ও শর্তাদি বোঝাপড়ার জন্য যোগাযোগের অনুমতি রয়েছে। তবে এ যোগাযোগ হতে হবে ভাব ও আবেগবিবর্জিত ভাষায়, যা একজন বেগানা নারী-পুরুষের জন্য বৈধ ভাবা হয় না। আর বলাবাহুল্য, বিবাহের প্রস্তাব প্রেরণকারী কনের কেউ নন, যাবৎ না তারা বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উল্লেখ্য, এ যোগাযোগ উভয়ের পিতার সম্মতিতে হওয়া শ্রেয়।

৮. একজনের প্রস্তাবের ওপর অন্যজনের প্রস্তাব না দেয়া :- যে নারীর কোথাও বিয়ের কথাবার্তা চলছে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া বৈধ নয়। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لاَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ حَتَّى يَنْكِحَ ، أَوْ يَتْرُكَ.
‘কেউ তার ভাইয়ের প্রস্তাবের ওপর যেন প্রস্তাব না দেয়, যাবৎ না সে তাকে বিবাহ করে অথবা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়।’
হ্যা, দ্বিতীয় প্রস্তাবদাতা যদি প্রথম প্রস্তাবদাতার কথা না জানেন তবে তা বৈধ। এ ক্ষেত্রে ওই নারী যদি প্রথমজনকে কথা না দিয়ে থাকেন তবে দু’জনের মধ্যে যে কাউকে গ্রহণ করতে পারবেন।

৯. ইদ্দতে থাকা নারীকে প্রস্তাব দেয়া :- বায়ান তালাক বা স্বামীর মৃত্যুতে ইদ্দত পালনকারী নারীকে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেয়া হারাম। ইঙ্গিতে প্রস্তাব দেয়া বৈধ। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ
‘আর এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা নারীদেরকে ইশারায় যে প্রস্তাব করবে।’
তবে ‘রজঈ’ তালাকপ্রাপ্তা নারীকে সুস্পষ্টভাবে তো দূরের কথা আকার-ইঙ্গিতে প্রস্তাব দেয়াও হারাম। তেমনি এ নারীর পক্ষে তালাকদাতা ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও প্রস্তাবে সাড়া দেয়াও হারাম। কেননা এখনো সে তার স্ত্রী হিসেবেই রয়েছে।
(সুস্পষ্ট প্রস্তাব : যেমন এ কথা বলা, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। অস্পষ্ট প্রস্তাব : যেমন এ কথা বলা, আমি তোমার মতো মেয়েই খুঁজছি ইত্যাদি বাক্য।)

১০. এ্যাংগেজমেন্ট করা :- ইদানীং পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণে বিয়েতে এ্যাংগেজমেন্ট করার রেওয়াজ ব্যাপকতা পেয়েছে। এই আংটি পরানোতে যদি এমন ধরে নেওয়া হয় যে এর মাধ্যমে বিবাহের কথা পাকাপোক্ত হয়ে গেল তবে তা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। কেননা, মুসলিম সমাজ বা শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই। আরও নিন্দনীয় ব্যাপার হলো, এ আংটি প্রস্তাবদানকারী পুরুষ নিজ হাতে কনেকে পরিয়ে দেয়। কারণ, এ পুরুষ এখনো তার জন্য বেগানা। এখনো সে মেয়েটির স্বামী হয়নি। কেননা, কেবল বিবাহ চুক্তি সম্পাদিত হবার পরেই তারা স্বামী-স্ত্রী বলে গণ্য হবেন।

১১. উপযুক্ত পাত্রের প্রস্তাব প্রত্যাখান করা :- উপযুক্ত পাত্র পেলে তার প্রস্তাব নাকচ করা উচিত নয়। আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِى الأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ.
‘যদি এমন কেউ তোমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয় যার ধার্মিকতা ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট তবে তোমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে। যদি তা না করো তবে পৃথিবীতে ব্যাপক অরাজতা সৃষ্টি হবে।’

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আজ আমাদের ভেবে দেখা দরকার, ইসলামের আদর্শ কোথায় আর আমরা কোথায়। ইসলাম কী বলে আর আমরা কী করি। আমরা কি অস্বীকার করতে পারি যে, এসব আদর্শ আজ আমাদের আমলের বাইরে চলে গেছে। আমাদের যাপিত জীবনে ইসলামের বিমল রঙ ফিকে হয়ে এসেছে। সত্যি কথা বলতে গেলে, আমরা বরং বর্জনীয় কাজগুলো করি আর করণীয়গুলো ভুলে থাকি। আল্লাহ মাফ করুন। এ কারণেই আমাদের বিয়ে-শাদীতে বরকত নেই। বিবাহিত জীবনে সুখ নেই। দাম্পত্য জীবনের সুখ আজ সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। প্রকৃত সুখের পরশ পেতে হলে, সুখ পাখির আগুন ডানা ছুঁতে হলে আজ আমাদের তাই ইসলামের কাছেই ফিরে আসতে হবে। ইসলামের আদর্শকেই আকড়ে ধরতে হবে। শুধু কনে দেখা আর বিয়ে-শাদীতেই নয়; জীবনের প্রতিটি কর্মে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মুখে নয়; কাজে পরিণত করতে হবে তাঁর উম্মত দাবী। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তাঁর যাবতীয় আদেশ এবং তাঁর রাসূলের সকল আদর্শ মেনে চলার তাওফীক দিন। আমীন।
তথ্য সুত্র:-
  • রা‘দ : ৩৮।
  • বুখারী : ৫০৫৬; মুসলিম : ৩৪৬৯।
  • বুখারী : ৫০৬৬; মুসলিম : ৩৪৬৪।
  • বুখারী : ১১৬৬; আবূ দাউদ : ১৫৪০।
  • তিরমিযী : ১৭১৪; বাইহাকী : ১৯২৮০।
  • শিহাবুদ্দীন আবশীহী, আল-মুসতাতরিফ ফী কুল্লি মুসতাযরিফ : ১/১৬৬।
  • বাইহাকী, সুনান কুবরা : ১৩৮৬৯।
  • মুসলিম : ৩৫৫০।
  • নববী, শারহু মুসলিম : ৯/১৭৯।
  • বুখারী : ৫১৪৪; নাসায়ী : ৩২৪১।
  • সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৩৫।
  • ফাতাওয়া জামেয়া লিল-মারআতিল মুসলিমা।
  • তিরমিযী: ১০৮৪।
সংকলক : আলী হাসান তৈয়ব, সম্পাদনা : মো: আব্দুল কাদের এবং প্রকাশ : ইসলামিক অলাইন মিডিয়া
বিস্তারিত

ইসলামের দৃষ্টিতে আন্তধর্ম বিয়ে এবং এর পরিণতি

আন্তধর্ম বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ? আসুন এ বিষয়ে জেনে নেই আজ। কারণ আমরা অনেকেই হয়ত বিষয়টা পুরুপুরি জানি না অথচ এটা নিয়ে নানা বাক বিতন্ডে লিপ্ত হই। তাই আমাদের সকলেরই বিষয়টা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার।
ইসলামের দৃষ্টিতে আন্তধর্ম বিয়ে এবং এর পরিণতি
একজন মুসলিম কখনো অমুসলিম নারীকে বিয়ে করতে পারে না। মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

﴿ وَلَا تَنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكَٰتِ حَتَّىٰ يُؤۡمِنَّۚ وَلَأَمَةٞ مُّؤۡمِنَةٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكَةٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَتۡكُمۡۗ وَلَا تُنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤۡمِنُواْۚ وَلَعَبۡدٞ مُّؤۡمِنٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَكُمۡۗ أُوْلَٰٓئِكَ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلنَّارِۖ وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ وَٱلۡمَغۡفِرَةِ بِإِذۡنِهِۦۖ وَيُبَيِّنُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٢٢١ ﴾ [البقرة: ٢٢١]

‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে’। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২২১}

আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মারছিদ নামক এক সাহাবীকে মক্কায় প্রেরণ করেন গোপনে গিয়ে সেখানে থেকে যাওয়া লোকদের আনতে। তিনি সেখানে পৌঁছলে ‘ইনাক নামক এক মুশরিক নারী তাঁর কথা শুনতে পায়। সে ছিল তাঁর জাহেলী যুগের বান্ধবী। সে তাঁর কাছে এসে বলল, হে আবূ মারছিদ তুমি কি আমায় সান্নিধ্য দেবে না? তিনি বললেন, ধ্বংস হও তুমি হে ‘ইনাক, ইসলাম এখন আমাদের মাঝে ওই কাজে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। সে বলল, তবে কি তুমি আমায় বিয়ে করতে পার? তিনি বললেন, হ্যা, কিন্তু আমাকে আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যেতে হবে। তাঁর কাছে আমি (তোমাকে) বিয়ে করার অনুমতি প্রার্থনা করব। সে বলল, তুমি আমাকে উপেক্ষা করছ? অতপর মেয়েটি তাঁর বিরুদ্ধে (নিজ গোত্রীয়) লোকদের সাহায্য চাইল। তারা তাঁকে বেদম প্রহার করল। তারপর তাঁর পথ ছেড়ে দিল। মক্কায় নিজের কাজ সেরে তিনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলেন, তাঁকে তিনি নিজের অবস্থা, ‘ইনাকের বিষয় এবং এ জন্য প্রহৃত হবার ঘটনা জানালেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার জন্য কি তাকে (মুশরিক নারীকে) বিয়ে করা হালাল হবে? তখন আল্লাহ এই আয়াতটি নাযিল করেন।

এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাফসীর শাস্ত্রের ইমাম ইবনু জারীর আত-তবারী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

اخْتَلَفَ أَهْلُ التَّأْوِيلِ فِي هَذِهِ الآيَةِ : هَلْ نَزَلَتْ مُرَادًا بِهَا كُلُّ مُشْرِكَةٍ ، أَمْ مُرَادًا بِحُكْمِهَا بَعْضَ الْمُشْرِكَاتِ دُونَ بَعْضٍ ؟ وَهَلْ نُسِخَ مِنْهَا بَعْدَ وُجُوبِ الْحُكْمِ بِهَا شَيْءٌ أَمْ لاَ ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ : نَزَلَتْ مُرَادًا بِهَا تَحْرِيمُ نِكَاحِ كُلِّ مُشْرِكَةٍ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ مِنْ أَيِّ أَجْنَاسِ الشِّرْكِ كَانَتْ عَابِدَةَ وَثَنٍ أَوْ كَانَتْ يَهُودِيَّةً أَوْ نَصْرَانِيَّةً أَوْ مَجُوسِيَّةً أَوْ مِنْ غَيْرِهِمْ مِنْ أَصْنَافِ الشِّرْكِ ، ثُمَّ نُسِخَ تَحْرِيمُ نِكَاحِ أَهْلِ الْكِتَابِ بِقَوْلِهِ : {يَسْأَلُونَكَ مَاذَا أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ} إِلَى {وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَهُمْ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ} ..ذِكْرُ مَنْ قَالَ ذَلِكَ :

‘আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীর বিশারদগণ এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন যে এতে সকল মুশরিকের কথা বলা হয়েছে নাকি কতিপয় মুশরিকের কথা। আর আয়াতটি নাযিল করার পর এর কিছুকে মানসূখ বা রহিত করা হয়েছে কি-না। তাঁদের কেউ বলেছেন, আয়াতে সকল মুসলিমের জন্য সব মুশরিক নারীর বিবাহকে হারাম বুঝানো হয়েছে। চাই সে যে কোনো ধরনের শিরকেই লিপ্ত থাকুক না কেন। হোক সে মূর্তিপূজারী, ইহুদী, খ্রিস্টান, অগ্নিপূজারী বা অন্য কোনো ধরনের শিরকে লিপ্ত কেউ। অতপর আহলে কিতাবদের বিয়ে হারামের বিয়ষটি রহিত ঘোষণা করা হয় নিচের আয়াতের মাধ্যমে। আল্লাহ তা‘আলা তাতে ইরশাদ করেন,

﴿ ٱلۡيَوۡمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ وَطَعَامُكُمۡ حِلّٞ لَّهُمۡۖ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ إِذَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِيٓ أَخۡدَانٖۗ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٥ ﴾ [المائ‍دة: ٥]

‘আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো সব ভালো বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমার খাবার তাদের জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়’। {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৫} এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সতী-সাধ্বী খ্রিস্টান ও ইহুদীদের বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন।

একই শাস্ত্রের আরেক ইমাম ইবন কাছীর রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ আয়াতে আল্লাহ সাধারণভাবে শিরকে লিপ্ত সব নারীকে বিয়ে করা হারাম ঘোষণা করেছেন, চাই সে মূর্তিপূজক কিংবা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত হোক। তবে পরবর্তীতে মায়িদার আয়াতে তাদের মধ্যে কেবল আসমানী কিতাবধারী সচ্চরিত্রা নারীদের বিশেষভাবে বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

উপরোক্ত ব্যাখ্যার আলোকে প্রতিভাত হয় যে বিশেষ কিছু শর্ত সাপেক্ষেই কেবল খ্রিস্টান বা ইহুদী নারীকে কোনো মুসলিম বিয়ে করতে পারে। এক. বাস্তবিকই আহলে কিতাব হতে হবে। শুধু নামে ইহুদী কিংবা খ্রিস্টান হলে চলবে না। নামে ইহুদী-খ্রিস্টান অথচ সে নাস্তিক কিংবা নিজ ধর্মকে বিশ্বাস করে না; তাহলে চলবে না। দুই. অবশ্যই তাকে পবিত্র হতে হবে। ব্যভিচারিণী হলে চলবে না। তিন. এমন কাউকে বিয়ে করা যাবে না যার জাতি পুরো মুসলিম উম্মতের সাথে ঘোর শত্রুতা পোষণ করে, যেমন : বর্তমান সময়ের ইসরাঈলের ইহুদীরা। চার. বিয়ের কারণে স্বামীর সন্তানের কোনো বৈষয়িক ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশংকা থাকলেও আহলে কিতাব বিয়ে করা যাবে না।

আন্তধর্ম বিয়ের ভয়াবহ পরিণতি

বিয়ে একটি ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধন। নিজের খেয়াল-খুশি মতো এ বন্ধনের নিয়মে ব্যত্যয় ঘটাবার সুযোগ নেই। ইসলাম মানবজীবনের সব পর্যায়ের যাবতীয় উপলক্ষ ও অনুসর্গকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কেমন হবে, দিয়েছে তার দ্ব্যর্থহীন দিকনির্দেশনা। এই জীবনদিশা আল্লাহ প্রদত্ত বিধায় এর মধ্যে কোনো গলদ নেই। সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিয়ে সম্পর্কিত আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণের বিকল্প নেই। এর বাইরে যাওয়ার চেষ্টা মানেই নিজেদের ধ্বংস নিজেরা ডেকে আনা। ব্যক্তি স্বাধীনতার নাম দিয়ে বল্গাহীনভাবে কিছু করার স্বাধীনতা ইসলামে নেই। যারা নিজের স্বাধীনতা দিয়ে অন্যের ধর্ম, সম্মান, রীতি-নীতি ও স্বাধীনতাকে নষ্ট করে তারা মানবতার শত্রু।

আন্তধর্ম বিয়ের পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। বাংলাদেশে আগে দেখা যেত, কেউ নিজের ধর্ম ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাইলে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে বিয়ে করতে হতো বিধায় সহজে কেউ ওপথে হাঁটতো না। এখন বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে। ধর্ম ত্যাগ না করেই যুবক-যুবতীরা তাদের রঙ্গলীলা সাঙ্গ করতে নেমে পড়বে। কোনো ধর্মের স্বকীয়তা আর থাকবে না। যার ফল দাঁড়াবে অদূর ভবিষ্যতে গোটা সমাজ ব্যবস্থাই ধর্মহীন হয়ে পড়বে। যেনা-ব্যভিচার ডাল-ভাতে পরিণত হবে। জন্ম নেবে জারজ সন্তান। একদিন জারজ সন্তানে দেশ ভরে যাবে। আর এই ব্যভিচার নামক গর্হিত কাজটি আল্লাহর কিতাব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ ও সমগ্র উম্মাহর ঐক্যমত্যে হারাম। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

﴿ وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا ٣٢ ﴾ [الاسراء: ٣٢]

‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ’। {সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত : ৩২}

ব্যভিচার তো দূরের কথা ইসলামে যে কোনো ধরনের অশ্লীলতাকেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلۡإِثۡمَ وَٱلۡبَغۡيَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٣٣ ﴾ [الاعراف: ٣٣]

‘বল, ‘আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ- যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না’। {সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত : ৩৩}

অপর আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন,

﴿ ۞قُلۡ تَعَالَوۡاْ أَتۡلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمۡ عَلَيۡكُمۡۖ أَلَّا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗاۖ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُم مِّنۡ إِمۡلَٰقٖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُكُمۡ وَإِيَّاهُمۡۖ وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَۖ وَلَا تَقۡتُلُواْ ٱلنَّفۡسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلۡحَقِّۚ ذَٰلِكُمۡ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ ١٥١ ﴾ [الانعام: ١٥١]

‘বল, ‘এসো, তোমাদের ওপর তোমাদের রব যা হারাম করেছেন, তা তিলাওয়াত করি। তা এই যে, তোমরা তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না এবং মা-বাবার প্রতি ইহসান করবে আর দারিদ্র্যের কারণে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না। আমিই তোমাদেরকে রিযক দেই এবং তাদেরকেও। আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না- তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে। আর বৈধ কারণ ছাড়া তোমরা সেই প্রাণকে হত্যা করো না, আল্লাহ যা হারাম করেছেন। এগুলো আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার’। {সূরা আল-আন‘আম, আয়াত : ১৫১}

যেনা-ব্যভিচারের ভয়াবহতা তুলে ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

« لا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ , وَلا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ , وَلا يَنْتَهِبُ مُنْتَهِبٌ النُّهْبَةَ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ ».

‘যেনাকারী মুমিন থাকে না যখন সে যেনা করে, আর মদ্যপ মুমিন থাকে না যখন মদ পান করে, চোর মুমিন থাকে না যখন সে চুরি করে, ছিনতাইকারী মুমিন থাকে না যখন সে কোনোরূপ ছিনতাই করে আর লোকেরা তার দিকে (বিস্ময় বিস্ফোরিত নেত্রে) চেয়ে থাকে।’

আবদুর রহমান ইবন সাখার রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

« إِذَا زَنَى الْعَبْدُ خَرَجَ مِنْهُ الْإِيمَانُ فَكَانَ فَوْقَ رَأْسِهِ كَالظُّلَّةِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ ذَلِكَ الْعَمَلِ عَادَ إِلَيْهِ الْإِيمَانُ ».

‘বান্দা যখন যেনা করে তখন তার কাছ থেকে ঈমান বেরিয়ে যায় এবং তা ছায়ার মতো (শূন্যে) দুলতে থাকে। অতপর যখন সে ওই কাজ থেকে নিবৃত হয়, তখন তার কাছে ঈমান ফিরে আসে।’

বিশেষ বিবাহ আইনটি বাংলাদেশে কার্যকর হলে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দু’ধর্ম পালনকারী দম্পতির সন্তানরা। মানসিকভাবে তারা বিকারগ্রস্ত হবে। মুসলিম বাবা বলবেন, আল্লাহ এক আর মা বলবেন ঈশ্বর তিনজন অথবা আমাদের অসংখ্য খোদা রয়েছেন। মুসলিম বাবা যেটাকে বলবেন সত্য সেটাকেই অমুসলিম মা বলবেন অসত্য। মা-বাবার এই বিপরীত অবস্থান থেকে সন্তানের মনে ঘৃণার জন্ম নেবে। জীবনের ঊষাকাল থেকে মধ্যগগন অবধি সে হাবুডুবু খাবে সিদ্ধান্তহীনতার চোরাবালিতে। এছাড়া উত্তরাধিকারী হয়ে মা বাবার সম্পত্তি ভোগ করতেও ঝামেলায় পড়তে হবে সন্তানকে। প্রচলিত আইনে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার পেতেও তাদের ঝামেলা পোহাতে হবে। মোটকথা নৈরাজ্য ছাড়া উপায় নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক দৈনিক নয়াদিগন্তকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের মুসলিম স্ত্রীর কথা তুলে ধরে বলেন, ওই পরিবারে জন্ম নেয়া সন্তানটি কোন ধর্ম গ্রহণ করবে, সেটি নির্ধারণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে সমস্যা এখন মনোমালিন্য পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, দেশের একজন খ্যাতিমান প্রবাসী কথাশিল্পীর স্বামী মুসলিম। তিনি হিন্দু। তার সন্তান মারা যাওয়ার পর তাকে জানাযা দেয়া হবে নাকি দাহ করা হবে তা নিয়ে প্রচণ্ড সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এ ধরনের বিয়ে সমাজে কোনো রকমের ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। এটা একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে মাত্র। (১ মে সংখ্যা)

তাই পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মের অনুসারীকে বিয়ে করাটা ভালোভাবে নেয় না। এটি একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। ব্যতিক্রম শুধু ইহুদী ধর্ম। তাদের ব্যাপারটি বেশ মজারও বটে! ইহুদীরা তাদের মেয়েদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিয়ে দেয়, কিন্ত কখনোই ছেলেদের এই অনুমতি দেয় না। কারণ তাদের বিশ্বাস, সন্তানেরা তাদের মায়েদের ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ কারণে বিল ক্লিন্টনের মেয়েকে এক ইহুদী ছেলে বিয়ে করায় জুইস কাউন্সিল এর তীব্র সমালোচনা করেছিল। অতএব নিজেদের জাতকে বিশুদ্ধ রেখে অন্য সকল ধর্মের মধ্যে ফ্রি মিক্সিং বা জগাখিচুড়িকে উত্সাহিত করা ইহুদীদের কৌশল। বাংলা রম্য রচনার বরপুত্র সৈয়দ মুজতবা আলীর কর্নেল গল্পে এর ইঙ্গিত দেওয়া আছে।

ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ মতে শিশুকে তার বাবা মায়ের ধর্মের অনুসারী ধরা হলে তার ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হয়। শিশুকে যে কোনো নীতি বা আদর্শের দীক্ষা দেওয়াই তার স্বাধীনতার পরিপন্থী! তাই হয়তো বড় হয়ে বিবেক-বুদ্ধি অনুসারে যে কোনো ধর্মের অনুকরণ করা না করা তার এখতিয়ারে রাখা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো, দেশাত্ববোধের বিষয়টিও কি তার ইচ্ছাধীন? বড় হয়ে তার কি দেশের সংবিধান ও আদর্শে বিশ্বাসী না হবারও অধিকার রয়েছে? কোনো উদারতম ধর্মনিরপেক্ষ বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও কিন্তু এ অধিকার দেবে না।

আসলে মানুষ কখনোই পুরোপুরি স্বাধীন নয়। তার স্বাধীনতা সীমিত ও সুনিয়ন্ত্রিত। আর একজন মুসলিমের স্বাধীনতার প্রথম শর্তই হলো তা আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির মধ্যে থাকতে হবে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

﴿ وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ال عمران: ٨٥]

‘আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। {সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ৮৫}

কেউ সুন্দরী বিধর্মী নারীতে মজে আল্লাহর বিধান উপেক্ষা করবেন আর নিজেকে খুব ভালো মুসলিম ভেবে আবার তৃপ্তও হবেন তা কিন্তু হয় না। তারা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করছেন। কিছু মানা আর কিছু না মানার কোনো সুযোগ ইসলামে রাখা হয় নি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ أَفَتُؤۡمِنُونَ بِبَعۡضِ ٱلۡكِتَٰبِ وَتَكۡفُرُونَ بِبَعۡضٖۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفۡعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمۡ إِلَّا خِزۡيٞ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰٓ أَشَدِّ ٱلۡعَذَابِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ ٨٥ ﴾ [البقرة : ٨٥]

‘তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন’। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ৮৫}

নিজের মন মতো নয় আমাদের সব কাজ হতে হবে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুযায়ী। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [النساء: ٦٥]

‘অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোনো দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়’। {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৬৫}

বাংলাদেশে আন্তধর্ম বিয়ে আইন

নিজ ধর্ম বিশ্বাস বাদ দিয়ে যেসব নারী-পুরুষ বিয়ে করতে আগ্রহী তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে গত ১৮ এপ্রিল ২০১২ ইং আইনমন্ত্রীর এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) আকছির এম চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয়। এতদিন এই বিয়ে পড়ানোর একমাত্র স্থান হিসেবে নির্ধারিত ছিল পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলী শরৎচন্দ্র ব্রাহ্ম প্রচারক নিবাস। এখানে প্রাণেশ সমাদ্দার ছিলেন সরকার নিযুক্ত একমাত্র রেজিস্ট্রার। এখন উভয়ে এই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারবেন। এখানে সবাই স্বাধীনভাবে যে কোনো ধর্মের (হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-মুসলমান) নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন।

এই আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী কিংবা অন্য যে কোনো ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে। এজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মান্তরিত হতে হবে না। ধর্ম পরিবর্তন ছাড়াই তারা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করতে পারবে। ইচ্ছে করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অথবা যে কোনো একজন নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিতে পারে। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। বড় হয়ে (১৮ বছর) তারা যে কোনো ধর্ম বেছে নিতে পারবে অথবা ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারবে। (১ মে, ২০১২ দৈনিক নয়া দিগন্ত ও আমার দেশ)

আইন সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

আইনটি পাসের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে দেশের আলেম সমাজ একে ইসলামবিরোধী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা-বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। সকল দল-মতের ইসলামী ভাবাপন্ন নেতৃবৃন্দ এবং সর্বশ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলছে, প্রস্তাবিত আইনে ইসলামবিরোধী কিছু নেই।

১৫ মে (সোমবার) আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিবাহ আইন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘বিশেষ বিবাহ আইনটি ১৮৭২ সালে প্রণীত হয়েছে। এ আইন এখনো বর্তমান আছে। বর্তমান সরকারের সময় এ আইনের কোনো প্রকার সংশোধন হয় নি। আইনটি অপরিবর্তিত অবস্থায় বহাল আছে।’

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘১৮৭২ সালের এ আইন অনুযায়ী একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী কিংবা অন্য যে কোনো ধর্মের যে কেউ যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে। এজন্য পাত্র-পাত্রী কাউকেই ধর্মান্তরিত হতে হবে না। এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকবে না। তারা ১৮ বছর বয়সের পর যে কোনো ধর্ম বেছে নিতে পারবে।’ (আমার দেশ : ১৬/০৫/২০১২)

আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার অসারতা

বক্তব্যটি আসলে একটি স্পষ্ট মিথ্যাচারের নমুনা। কেননা, ১৮৭২ সালের আইনেও মুসলমান কর্তৃক বিধর্মীদের বিয়ে জায়িয বলা হয় নি। ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ে আইনে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি খ্রিস্টান, ইহুদী, হিন্দু, মুসলিম, পারসি, বৌদ্ধ, শিখ অথবা জৈন কোনো ধর্মই পালন করে না, তারা এ আইনের অধীনে বিয়ে করতে পারে। এ আইনের অধীনে বিয়ে করতে হলে পাত্র-পাত্রীকে ঘোষণা করতে হবে, তারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। ধর্ম ত্যাগের ঘোষণা না করলে বিয়েটি অবৈধ, বরং বাতিল হবে। তবে বিয়েটি যদি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈনদের মধ্যে সম্পাদন করা হয় তাহলে তারা নিজ নিজ ধর্ম অনুসরণ করতে পারবে। নিচে ১৮৭২ সালে প্রণীত স্পেশাল ম্যারিজ এ্যাক্ট বা বিশেষ বিবাহ আইনটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
THE SPECIAL MARRIAGE ACT, 1872
(ACT NO. III OF 1872). [18th July, 1872]
Local extent 1. This Act extends to the whole of [Bangladesh].
An Act to provide a form of Marriage in certain cases.
Preamble WHEREAS it is expedient to provide a form of marriage for persons who do not profess the Christian, Jewish, Hindu, Muslim, Parsi, Buddhist, Sikh or Jaina religion, and for persons who profess the Hindu, Buddhist, Sikh or Jaina religion and to legalize certain marriages the validity of which is doubtful; It is hereby enacted as follows:–
Conditions upon which marriages under Act may be celebrated :

2. Marriages may be celebrated under this Act between persons neither of whom professes the Christian or the Jewish, or the Hindu or the Muslim or the Parsi or the Buddhist, or the Sikh or the Jaina religion, or between persons each of whom professes one or other of the following religions, that is to say, the Hindu, Buddhist, Sikh or Jaina religion upon the following conditions:–
  1. neither party must, at the time of the marriage, have a husband or wife living:
  2.  the man must have completed his age of eighteen years, and the woman her age of fourteen years, according to the Gregorian calendar:
  3. each party must, if he or she has not completed the age of twenty-one years, have obtained the consent of his or her father or guardian to the marriage:
  4. the parties must not be related to each other in any degree of consanguinity or affinity which would, according to any law to which either of them is subject, render a marriage between them illegal.
1st Proviso- No such law or custom, other than one relating to consanguinity or affinity, shall prevent them from marrying.

2nd Proviso- No law or custom as to consanguinity shall prevent them from marrying, unless a relationship can be traced between the parties through some common ancestor, who stands to each of them in a nearer relationship than that of great-great-grand-father or great-great-grand-mother, or unless one of the parties is the lineal ancestor, or the brother or sister of some lineal ancestor, of the other.
আইনের ধারাগুলো পড়লেই বুঝা যায় বর্তমানে শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বৃটিশ প্রণীত এই আইনটিকে বলা হয়েছে ‘বিশেষ বিবাহ আইন’। পক্ষান্তরে সরকার যে আইনটি করতে যাচ্ছে তা মূলত তো ‘আন্তধর্ম বিয়ে আইন’। বিশেষ আর আন্তধর্ম বিয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ বিবাহ আইন হলো, স্বধর্মত্যাগীদের জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা। পক্ষান্তরে আন্তধর্ম বিয়ে হলো, এক ধর্মের লোকের সঙ্গে আরেক ধর্মাবলম্বীর বিয়ে।

সুতরাং বৃটিশ আমলে খ্রিস্টান সরকারও কিন্তু সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে যায় নি। অতএব কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ভোটে নির্বাচিত মুসলিম সরকারকে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। যারা এমন বিয়ের বাঁধনে জড়াতে চান তাদের উদ্দেশে বলি, সমাজ ও ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেই যদি বিয়ে করতে হয় তবে এ সম্পর্কে জড়ানোর কী দরকার? যারা সরাসরি আল্লাহর বাণীকে অবজ্ঞা করে তাদের কাছে যেনা-ব্যভিচার তো কোনো ব্যাপারই না। এ দিয়েই তো তাদের কাজ চলার কথা। সামাজিক ও আইনগত দায়বদ্ধতায় আনতেই কি তবে তাদের বিয়ের বৈধতা প্রয়োজন? উত্তর হ্যা হলে প্রশ্ন, যারা ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি-নীতির তোয়াক্কা করে না তাদের সামাজিক বৈধতা দিতে রাষ্ট্রের এত দায় কেন?

এটি আসলে প্রবঞ্চনামূলক জবাব। তা না হলে হঠাৎ করে দু’জন কাজী নিয়োগ দিয়ে কেন বলা হবে, সারাদেশেও প্রয়োজন হলে এ ধরনের কাজী নিয়োগ হবে। যেখানে বছরে দু-চারজন নিজ ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে-শাদি করছে সেখানে কয়জন কাজী লাগে? তাছাড়া ১৮৭২ সনের বৃটিশ আইনই আমাদের রাখার দরকার কী? প্রতিনিয়ত সব কিছু উল্টাতে পারলে ওই আইন নিয়ে কেন মাথা ব্যথা?

অতএব সরকার ও দেশের সর্বশ্রেণীর মুসলিম ভাই-বোনের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা না জেনে না বুঝে পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তা-ই হবে আমাদের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। সর্বশক্তিমান আল্লাহই একমাত্র আমাদের ভরসাস্থল; কেবল তিনিই যাবতীয় প্রতিকূলতা থেকে এই দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে পারেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে সুমতি দান করুন। আমীন।
- আলী হাসান তৈয়ব এবং সম্পাদনা : ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
তথ্য সুত্র :-
  • তাফসীর তাবারী : ৪/৩৬৪।
  • তাফসীরে তাবারী : ৪/৩৬৩; আল-ওয়াসিত : ৩২০-৩২১।
  • তাফসীরে ইবন কাছীর : ১/৪৭৪।
  • তাফসীরে কুরতুবী : ৩/৬৭-৬৯।
  • বুখারী : ২৪৭৫; মুসলিম : ৫৫৩।
  • আল-মুস্তাদরাক আলাস-সাহীহাইন : ৫৫; বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান : ৪৯৬৪।
বিস্তারিত

সন্তান জন্ম দেয়া আর সফল মাতা-পিতা হওয়া এক জিনিস নয়

সন্তান জন্ম দেয়া সহজ। কিন্তু সফল ও যোগ্য পিতা-মাতা হওয়া কঠিন। সন্তান মানুষ করা আরও কঠিন। পিতা-মাতার কাছে সন্তান অমূল্য সম্পদ। তাদের ঘিরেই থাকে সব স্বপ্ন। অথচ সফল পিতা-মাতা কি করে হ’তে হয় অধিকাংশ মানুষই তা জানেন না বা জানলেও অনুসরণ করেন না। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। সন্তানদের সাথে দূরত্ব বাড়ছে, সন্তানরা বিপথগামী হচ্ছে, মানসিক যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। পশু-পাখির বাচ্চা জন্ম নিয়েই দৌড়ায়। কিন্তু মানব সন্তানকে যে যত্ন ও নিয়ম করে হাঁটতে-দৌড়াতে শিখাতে হয়।
বিস্তারিত

দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী দাম্পত্য জীবন হবে আপনার - মেনে চলুন কয়েকটি বিষয় !

সম্প্রতি টাইমস অব ইনডিয়ার এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা তুলে ধরেছেন। কারণ আধুনিকতার ছোয়ায় আজ 'দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবন' কথাটি এখন একটি অবাস্তব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা রীতিমতো বেড়েই চলেছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কোনও দ্বন্দ্ব সমাধানের সহজ উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে একে অন্যকে ত্যাগ করা।

এভাবে অতিরিক্ত বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে বিপাকে পড়ছে তাদের সন্তানেরা। তাদের সামাজিক ও মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। তবে এমনটি না করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলেন তাহলে দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।
দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী দাম্পত্য জীবন হবে আপনার - মেনে চলুন কয়েকটি বিষয় !
ছাড় দিতে শেখা :- অনেকে মনে করেন, অন্যকে ছাড় দেয়া মানে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা। কিন্তু বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। একে অন্যকে ছাড় দিয়ে চললে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত হয় ও দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।

একে অপরকে সম্মান দেয়া :- স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকেরই উচিত একে অপরকে সম্মান দিয়ে কথা বলা। সঙ্গীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। তার কোনও সিদ্ধান্ত আপনার পছন্দ নাও হতে পারে তবে তাকে তা নিয়ে এমনভাবে কোনও কিছু বলবেন না যাতে তিনি কষ্ট পান।

এ সম্পর্কে ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট সীমা হিঙ্গোরাণী বলেছেন, ‘একে অপরকে সম্মান দেখানো ও যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বন্ধন অনেক বেশি শক্ত হয়।’

অর্থ লেনদেনের বিষয় গোপন না করা :- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন হতে পারে যে, তাদের উভয়ের আলাদা আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। কিন্তু কে কোথায় কতো টাকা ব্যয় করছেন, আয় করছেন তা অবশ্যই একে অপরকে জানাতে হবে।

সর্বত্র যোগাযোগ রক্ষা করা :- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি যোগাযোগের ঘাটতি থাকে তাহলে সেটি দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপনার অফিস, আদালত, ব্যবসা যাই থাকুক না কেন, সব কাজের মধ্যে অন্তত ১৫-২০ মিনিট সময় করে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন।

শক্ত বন্ধন তৈরি করা :- দুই জনের মধ্যে বন্ধন শক্ত করার অন্যতম উপায় হচ্ছে, মাঝে মাঝে দুই জন বসে নরম স্বরে কথা বলা, একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়া, কোথাও বেড়াতে যাওয়া। বন্ধন শক্ত থাকলে দুই জনের মধ্যে সহজে কোনও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় না।

রোমান্স না হারানো :- বিবাহ বিষয়ক পরামর্শক ড. সঞ্জয় মুখার্জি বলেছেন, ‘বিবাহ যতো আগেই হোক না কেন নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে পুরাতন মনে করবেন না। সবসময় নতুন মনে করবেন। দুই জনে মিলে বেড়াতে যাবেন, মজা করবেন।’

এছাড়া আপনি আপনার মতো করে বা কোনও মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিয়ে আরও কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। যেগুলো আপনার দাম্পত্য জীবন সুখী ও দীর্ঘস্থায়ী করবে।
বিস্তারিত

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

তরুণ-যুবকদের পর্নোগ্রাফি আসক্তি যৌন জীবনে বিপর্যয়ের কারণ !

আমাদের এই আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে পর্নোগ্রাফি তরুণ-যুবকদের কাছে আগের তুলনায় অনেক সহজলভ্য হয়ে গেছে। আগের মতো তা বিরল কোনো বিষয় নয়। আর তা তরুণদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করছে ভয়ংকর ভাবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। 

গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে ১১ বছর বয়স থেকেই পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ফলে পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য হওয়ার আগে তরুণরা যেমন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করত এখন তার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকেই অনলাইনে ছবি ও ভিডিও দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এবং তাতেই আকর্ষণবোধ করে। ফলে বাস্তবে সত্যিকার নারীদের প্রতি আকর্ষণবোধ সেভাবে থাকে না।
তরুণ-যুবকদের পর্নোগ্রাফি আসক্তি যৌন জীবনে বিপর্যয়ের কারণ !
গবেষকরা জানিয়েছেন, কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইসের এ ভিডিও কিংবা ছবির মাধ্যমে যৌনতায় অভ্যস্ত হওয়ায় তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে প্রভাবিত হয় তাদের বাস্তব জীবনে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও। সাইকোথেরাপিস্ট ও যৌন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ পউলা হল বলেন, তিনি বেশ কিছু তরুণের দেখা পেয়েছেন, যারা অনলাইন থেকেই খুঁজে নিয়েছে যৌনতা। ফলে তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে থাকলেও কখনো বাস্তব জীবনে যৌনতার অভিজ্ঞতা পায়নি। এমনকি তারা এটি করার উপায়ও জানে না। 

পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত এমন তরুণদের আসক্তি জীবনের শুরুতে হলেও জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা যায়। এতে যৌনজীবনে স্খলনজনিত জটিলতাসহ সম্পর্ক স্থাপনেও জটিলতা দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। এসব বিষয় যাতে মাথায় না ঢুকে তার জন্য নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ, সৃজনশীল কাজে সময় ব্যয় করা, পড়াশোনা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে অবিভাবকদের তাদের নিজ নিজ কিশোর সন্তানদের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। তাদের সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে, পড়াশোনা ঠিকমত করছে কিনা এ বিষয় গুলো নিয়মিত তদারকি করা উচিত।
বিস্তারিত

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

"ভ্যাজাইনাল রিজুভিনেশন ট্রিটমেন্ট" - যা নারীর হারানো যৌবন ফিরিয়ে দিবে

সম্প্রতি 'হিন্দুস্তান টাইমস' নারীর হারানো যৌবন ফিরে পাওয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। যা দেশ এবং বিদেশের আরো অনেক সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে সন্তান নেওয়ার পর যৌনতার বিষয়টি অনেক বেশি আবেগপূর্ণ বলে এক গবেষণায় জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিস্তারিত

কম বয়সে যৌন মিলনের সমস্যাবলী - ভারতীয় গবেষণা

আধুনিক বিশ্বে নতুন যে প্রজন্ম সমাজে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে তারা প্রত্যেকেই সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি জেনে নিতে আগ্রহী৷ তাই যৌনতা নিয়েও তারা কৌতূহলি৷ সম্প্রতি কম বয়সে যৌন সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়৷ এই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য৷‘সেক্স’ শব্দটা শুনলেই কম বেশি সকলের মনেই একটা অদ্ভূত অনুভূতি জাগে৷
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪

চল্লিশোর্ধ পুরুষদের শুক্রাণু থেকেই গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি

পুরুষদের বয়স বাড়লে সন্তান উত্পাদন ক্ষমতা কি করতে থাকে ? এই ধারণাটাই আজ ভুল প্রমাণিত করল বৃটেনের এক দল বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষনা। এই গবেষনায় দেখা গেছে চল্লিশোর্ধ দাতাদের শুক্রানু থেকে সন্তান উত্পাদনের সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। অর্থাৎ, শুক্রানু দাতা যদি মধ্যবয়সী পুরুষ হন তবে মহিলাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ইউকে-র নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছিল শুক্রাণু দাতার বয়স হতে হবে চল্লিশের নিচে। কিন্তু, সমীক্ষা বলছে চল্লিশোর্ধ দাতারাই বেশি সক্ষম। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০,৪০০টি ইউভিএফ চিকিত্সা পদ্ধতির ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। দেখা গিয়েছে ২০ বছরের নিচে শুক্রাণুদাতাদের থেকে ইউভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ যেখানে সম্ভব হয়েছে ২৮.৩ শতাংশ, সেখানে ৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক দাতাদের শুক্রাণু থেকে ইউভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ সফল হয়েছে ৩০.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে।

নিউক্যাসল ফার্টিলিটি সেন্টার অ্যাট লাইফের চিকিত্সক মীনাক্ষি চৌধুরী জানালেন, "বয়সের সঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষমতা কমার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নির্ভর করে শুক্রাণুর মানের ওপর।"
বিস্তারিত

কাঠবাদামেরও রয়েছে পুরুষের শুক্রানু বাড়ানের দারুন ক্ষমতা

আধুনিকতার ছোয়ায় আজ প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে আসলেও কমে যাচ্ছে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা। কমে যাচ্ছে শু্ক্রানুর মানও।
বিস্তারিত

নারীর গর্ভধারণের পর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যায়াম

নারীদের গর্ভধারণের সময় নিজের প্রতি বাড়তি কিছুটা যত্ন নেয়া, অনাগত সন্তানের জন্য বাড়তি খাবার খাওয়া, বিশেষ করে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং ভারী ও খুব বেশি পরিশ্রমের কাজ না করা সন্তানের জন্য ভালো। এসকল কারণে গর্ভধারণের সময় বেশীরভাগ নারীই মুটিয়ে যান। এটি গর্ভে সন্তান থাকাকালীন সময়ে যতোটা ভালো ততোটাই খারাপ গর্ভকালীন পরবর্তী সময়ের জন্য।
বিস্তারিত

বিবাহিত জীবনে নারীদের যৌনতায় একঘেয়েমি কাটানোর উপায়

বিবাহিত জীবনে অনেকেরই একটা পর্যায়ে যৌনতার ক্ষেত্রে একঘেয়েমি আসতে পারে। তবে এই একঘেয়েমি কাটানোর কার্যকর একটি উপায় সম্প্রতি জানা গেছে এক গবেষনার ফলাফলে। আর তা হলো ‘ভালোবাসা।’ বিশেষ করে নারীদের যৌনতায় একঘেয়েমি কাটাতে এটি কার্যকর।
বিস্তারিত

যৌনতায় পুরুষের চাহিদা বিয়ের পরেও পাল্টায় না

সম্প্রতি 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' বিবাহিত জীবনে পুরুষের যৌন চাহিদা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক সমীক্ষায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে - পুরুষের দীর্ঘদিনের যৌন চাহিদা যেমনটা থাকে, বিয়ের পরও তা পাল্টায় না। আসুন এ বিষয়ে গবেষনার বিষয় বস্তুর দিকে তাকাই।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪

যৌন এবং পর্নো আসক্তির মানসিকতা মাদকাক্তির মতোই - কি বলছেন গবেষকেরা ?

সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনই তথ্য পাওয়া গেছে যে - যৌন আসক্তিদের মানসিকতা মাদকাসক্তদের মতোই।যদিও, এ বিষয়ে এখনও বিবাদ রয়েছে। আদৌ কি, যে মানুষদের পর্নো ফিল্ম দেখার নেশা হয়েছে তাদের মানসিকতা একজন চেন স্মোকারের মতোই?
বিস্তারিত

মাথাব্যাথার সবচেয়ে ভালো ওষুধ যৌনমিলন - কি বলছেন চিকিৎসকরা ?

নারী - পুরুষের যৌনমিলনের ফলে অনেকেকেই মাথা ব্যাথায় ভুগতে দেখা যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা। মাথাব্যাথা হলে অনেকেই যৌনমিলন থেকে দূরে সরে থাকলেও সম্প্রতি আমেরিকান চিকিৎসকরা বলেছেন, যৌনমিলনে মাথাব্যাথা সেরে যায়। যৌনমিলনই মাথাব্যাথা সবচেয়ে ভালো ওষুধ।তবে আমেরিকান চিকিৎসকরা আরও বলেছেন, এটা শুধু সাধারণ মাথাব্যাথার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যাদের মাইগ্রেন সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে নয়।
বিস্তারিত

পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে কৃত্রিম শুক্রাণু - কি বলছেন বৈজ্ঞানিকরা

সম্প্রতি ফ্যাসেব জার্নালে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করা প্রসঙ্গে  বৈজ্ঞানিকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন৷ তারা একটি বিশেষ প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন যা পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করতে অবদান রাখবে বলে তারা দাবি করছেন। বৈজ্ঞানিকরা ঐ প্রোটিনের সাহায্যে এমন শুক্রাণু তৈরি করার দাবি করেছেন যার সাহায্যে বন্ধ্যাত্ব দূর করা সম্ভব৷
বিস্তারিত

ছেলেদের প্যারাফিলিয়া বা সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারে করণীয় কি ?

প্রশ্ন :  আমার নাম অভিজিত সরকার, বয়স ২৩৷ বাড়িতে শুধু মা এবং আমি থাকি৷ কিছুদিন আগে সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি পেয়িংগেস্ট হিসেবে এসেছে৷ একদিন রাতে পাশের ঘরে গিয়ে মেয়েটির শাড়ি, ব্লাউজ, ইনার ওয়্যার শুকোতে দেওয়া অবস্থায় দেখে আমি সেগুলো হঠাত্‍ পড়ে ফেলি৷ অসাধারণ সেনসেশন হয়৷ তারপর মাঝে মধ্যেই পড়তে থাকি৷ কিন্ত্ত হঠাত্‍ মেয়েটির চোখে পড়ে যাই৷ তারপর থেকেই সে আমাকে দেখলে মুখ টিপে হাসে এবং একদিন জানায় সে আমার পরার জন্য ওই ঘরে আরও ভালো শাড়ি রেখে দেবে৷ মেয়েটিকে কিভাবে ফেস করব? আমার হঠাত্‍ কেন ওর জামাকাপড় পরে ভালো লাগছে? সব ছেলেদেরই কি এরকম হয় ?
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

যৌন জীবন ধ্বংসকারী পর্ণগ্রাফের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচার উপায়

বিজ্ঞানের চরম উকৎর্ষতার এই যুগে বেশীর ভাগ শিক্ষিত মানুষ যারা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করেন, যারা আইটি পেশাজীবি বা তরুণ সমাজ, যারা প্রতিনিয়ত নানান তথ্য ও গবেষণার জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল তাদের কাছে ইন্টারনেট আজ এক প্রাত্যহিক অনুসঙ্গ। আজকের ডিজিটাল সভ্যতায় ইন্টারনেট যেমন হাজার তথ্যাবলী থেকে শুরু করে নানান রকমের বিনোদন, যেকোন প্রশ্ন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসার সমাধান দিচ্ছে তেমনি দিচ্ছে অবাধ পর্ণোগ্রাফের সুবিধাও। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ পর্ণোগ্রাফ নজর এড়িয়ে গেছে তেমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
বিস্তারিত

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

অ্যালোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথির মধ্যে কেন এত বৈরীতা ?

আগেই বলে রাখছি লেখাটি আমার নয়। শুরুতেই এটা বলার কারণ হলো লেখাটি পড়ে অনেকই হয়ত আমার গুষ্ঠি শুদ্ধ উদ্ধার করতে কার্পন্য করবেন না। "হোমিওপ্যাথিই আদর্শ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হা" শিরোনামে লিখেছিলেন প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথ ড. এ কে অরুণ, এম ডি (হোমিও) আর লেখাটি প্রকাশ করেছিল ভারতের বিখ্যাত দ্যা সানডে ইন্ডিয়ান পত্রিকা । সরাসরি লিংকটা আর্টিকেলটির নিচে পাবেন। তার আগে বিস্তারিত ..............
বিস্তারিত

মেয়েদের স্বপ্নদোষ - কিভাবে তারা বুঝবে ?

ছেলেদের মত মেয়েরাও ঘুমের মধ্যে যৌনতা সম্পর্কিত স্বপ্ন দেখে পরমতৃপ্তির আনন্দ পেতে পারে অর্থাৎ মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে কিন্তু তার রকমফের হয়ত একটু ভিন্নতর। কারণ ঘুমের মধ্যে যৌনতা বিষয়ক স্বপ্ন দেখার পর মেয়েদের পুরুষের মত বীর্যপাত হয় না, কিন্তু তাদের যোনিতে যোনিরস এসে থাকে যার ফলে মেয়েদের যোনিদেশ অনেকটা ভিজে যায় এ বিষয়ে হয়ত অনেক বোনদেরই অভিজ্ঞতা আছে । তবে এটা চিন্তার কোনো বিষয় নয় কারণ মেয়েদের জন্য বয়ঃসন্ধিতে এরকম হওয়াটা ছেলেদের মতই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে রয়েছে নানা পর্যবেক্ষণলব্ধ এবং ধর্মীয় প্রমান ও ব্যাখ্যা।
বিস্তারিত

যে খাবার গুলো নারী-পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয় !!

আপনারা অবশ্যই জানেন নারী পুরুষের যৌনতার বিষয়টি সরাসরি স্বাস্থের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে পুরুষের স্থায়িত্বের বিষয়টি তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। শারীরিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে থাকে। তাই দৈনন্দিন খাবার দাবার পুরুষ এবং মহিলা দু'জনেরই যৌনাকাঙ্ক্ষার উপর অত্যধিক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে কিছু কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো অকালেই আমাদের শরীরকে মলিন করে দেয়। এমন খাদ্যগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকা প্রয়োজন।

মিষ্টি পানীয় :- মিষ্টি জাতীয় যেকোনো পানি পানে শুধুমাত্র ক্যাভেটি, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ হয়, এমনটি নয়। মিষ্টি জাতীয় পানীয় অধিক পানে মানুষের স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস পায়।
যে খাবার গুলো নারী-পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয় !!
পনির :- সাধারনত বাজারে যেসব পনির বিক্রি হয় সেগুলো গরুর দুধ থেকে তৈরি। প্রক্রিয়াজাতকরন খাদ্য বেশি মাত্রায় গ্রহনে শরীরে টক্সিনের হার বেড়ে যায় এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন হরমন হ্রাস করে।

প্রক্রিয়াকরণ মিষ্টান্ন :- প্রক্রিয়াজাত করা মিষ্টান্ন শরীরের জন্যে কোনো ভাবেই সুখকর নয়। আপনি যদি স্থূলতা কমাতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস করে প্রক্রিয়াজাতকরণ মিষ্টান্ন।

ভাজাভুজি এবং চিপস :- আলুর চিপস খেলে আপনি মুটিয়ে যাবেন, এর চেয়েও ভয়াবহ হলো চিপসগুলো ভাজতে ব্যবহৃত তেল। অতিরিক্ত তাপে তেলের গুণাগুন নষ্ট হয় এবং ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা শরীরে বাড়ে। এর ফলে শরীরের যৌন উত্তেজক টিস্যু এবং সেল ধ্বংস করে।

খাদ্য ব্যবহৃত রং এবং ফ্লেভার :- অনেক খাবারে কৃত্রিম রং এবং আলাদা স্বাদের জন্যে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের জন্যে যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি যৌন উত্তেজক হরমোন ধ্বংসেও কাজ করে।

নিম্নমানের তেল :- নিম্নমানের তেল যেমন দ্রুত আপনাকে মুটিয়ে ফেলবে ঠিক তেমনি নারীদের জন্যে তো অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এতে নারীদের রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেম কমিয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।

কফি :- সকালে এক কাপ কফি পানের অভ্যাস আপনাকে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু অতিরিক্ত কফি পানে শরীরে যে টক্সিনের সৃষ্টি হয় সেটি যৌন হরমোন হ্রাস করে আপনাকে মলিন করে দেবে।

বোতলজাতকরণ খাদ্য :- বোতলজাতকরণ খাবারের বৈশিষ্ট্য হলো অধিক সোডিয়াম এবং স্বল্পমাত্রায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি। এতে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এধরনের ধমনীগুলোতে রক্ত চলাচলের মাত্রা হ্রাস পায়। যৌন মিলনের সময়ে রক্ত চলাচলের হার স্বাভাবিক থাকা অবশ্যম্ভাবী।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

মেনোপজ চলাকালীন মহিলাদের সমস্যা এবং করণীয়

সাধারণত মেয়েদের গড়ে বারো বছর বয়সের পর থেকেই স্বাভাবিক ঋতুচক্র শুরু হয়৷ আবার একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর এটি বন্ধও হয়ে যায়৷ মহিলাদের ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়কে মেনোপজ বলা হয়৷ মেনোপজের সময় বা চলাকালীন সময়ে নারীদের নানান সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে৷ এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দীপান্বিতা হাজারী। আসুন বিস্তারিত দেখি।

মেনোপজ কী :- একটা বয়সের পরে মেয়েদের ঋতুচক্র বরাবরের মতো বন্ধ হয়ে যায়৷ঋতুচক্রের বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই মেনোপজ বলা হয়৷

মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র যে বয়সে বন্ধ হয় :- আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পরিমণ্ডল অনুযায়ী মহিলাদের ঋতুচক্র সাধারণত ৪৮ বছর থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে বন্ধ হতে পারে৷ সেই হিসেবের গড় করলে ৫১ বছর বয়সকে মেনোপজের বয়স বলা যেতে পারে৷
Menopause
মেনোপজ হওয়ার আগে উপসর্গ :- মেনোপজের প্রধান উপসর্গ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড৷ অর্থাৎ প্রথমেই যে একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়৷ দেখা যেতে পারে প্রথমে একমাসে দুইবার পিরিয়ড হলো৷ এরপর তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকল৷ আবার ফের চার মাস নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার পর আবার বন্ধ হলো৷ এছাড়া অন্যান্য উপসর্গগুলো হলো কান-মাথা ঝাঁ ঝাঁ করা বা হট ফ্ল্যাশ, জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি মেনোপজের সাধারণ উপসর্গ৷

নির্দিষ্ট বয়সের অনেক আগেই পিরিয়ড বন্ধ :- নির্দিষ্ট বয়সের অনেক আগে মেনোপজ হতেই পারে৷একে আর্লি মেনোপজ বলা হয়৷ কিন্তু এটা একেবারেই কম৷ এটা খুব বিরল, যা হয়ত পরিসংখ্যানেও আসে না৷

যাদের আর্লি মেনোপজ হয় :- যেহেতু সময়ের অনেক আগেই মেনোপজ হয়ে যায়, ফলে শারীরিক সমস্যা দেখা তো দিতেই পারে৷মেয়েদের শরীরে মূলত দু’টি হরমোন থাকে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরন৷মেনোপজ হওয়া মানে ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া৷এর ফলে পরবর্তী ক্ষেত্রে সন্তানধারণ তো আর সম্ভব হবেই না, তার সঙ্গে খিটখিটে স্বভাব, জয়েন্ট পেইন, মুড ফ্ল্যাশ হতে পারে৷ যাদের অল্প বয়সেই মেনোপজ হয়, তাদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে না বলেই পারিবারিক জীবনে বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে এর ছাপ পড়তে পারে৷

আর্লি মেনোপজের কারণ :- সেইভাবে নির্দিষ্ট করে আর্লি মেনোপজের কোন কারণ নেই৷বলা যেতে পারে সবই প্রকৃতির খেয়াল৷আর একটা কারণ রয়েছে৷ যদিও সেটাও নির্দিষ্ট নয় সেটা হলো হেরিডিটি বা বংশগত৷কোন মহিলার মা, মাসি বা পারিবারের অন্য কারোর আর্লি মেনোপজ হলে জিনগতভাবে এটি হতে পারে৷

মেনোপজের ফলে স্বাভাবিক জীবনে পরিবর্তন :- মেয়েদের জীবনে চারটি পর্যায় রয়েছে৷ঋতুচক্রের শুরু, সন্তানের জন্ম, ব্রেস্ট ফিডিং ও মেনোপজ৷ এগুলো সবই হরমোনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মেনোপজ হওয়া মানেই হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়া৷ফলে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতেই পারে৷ মেজাজ ঠিক না থাকা জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি৷তবে এটা যেহেতু পুরো বিষয়টাই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। তাই ধীরে ধীরে পাঁচ-দশ বছর পর শরীর আপনা থেকে এটি মেনে নেয়৷ফলে তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায় না৷ অনেকেই মনে করেন, মেনোপজ হওয়া মানেই হয়তো তার যৌবন শেষ হয়ে গেল তা কিন্তু একেবারেই নয়৷ এসময় নির্দ্বিধায় তারা যৌনতা উপভোগ করতে পারেন৷ কন্ট্রাসেপশনের ভয়ও থাকে না৷স্বামীর সঙ্গে খোলামেলা সম্পর্কে কোন সমস্যা হয় না৷ কিন্তু এগুলো ছাড়া যদি অন্য কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ও মেডিসিন রয়েছে৷ ফলে তেমন কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷

মেনোপজের সঙ্গে মানসিক স্থিতি :- মেনোপজের ফলে ত্বক খারাপ হয়ে যেতে পারে৷ অনেকে খুব মোটা হয়ে যান বা রোগা হয়ে যান৷সেই কারণে অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন৷অনেকে মনে করেন, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই হয়ত যৌবন চলে যাওয়া৷সেই কারণে মহিলাদের অবসাদ দেখা যায়৷তবে এটা পুরোটাই কল্পিত৷এছাড়া হরমোনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে মেজাজ খারাপ থাকা, হঠাৎ রাগ হওয়া ইত্যাদি হতেই পারে৷ অনেক সময় দেখা যায়, মহিলা যে কথাগুরো বলতে চান না সেগুলোও বলে ফেলছেন৷ এটাও মানসিক ভারসাম্য হারানোর একটি লক্ষণ৷

এসময় মন ভারো রাখতে কি করা উচিত :- মেনোপজের সময় মন ভালো রাখার জন্য মেয়েদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে৷নিজের সঠিক খেয়াল নিতে হবে৷সবচেয়ে যেটা জরুরি সেটা হলো মেয়েদের নিজের কর্মজগৎ৷বিভিন্ন কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখলে মানসিক অবসাদের সম্ভাবনা থাকবে না৷

মেনোপজ চলাকালীন ডায়েট :- মেয়েরা সারাজীবনই স্বামী বা পরিবারের বাইরে নিজের খেয়াল রাখার কথা ভুলে যান৷ অনেক সময় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করেন না৷ কিন্তু মেনোপজের সময় কিন্তু বিশেষ যত্ন দরকার৷ কারণ মেয়েদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়৷ তাই, এই সময় একেবারে ব্যালেন্স ডায়েট প্রয়োজন৷ অর্থাৎ খুব বেশি খাবারও নয় আবার খুব কম খাবারও নয়৷ ফল অবশ্যই খেতে হবে৷ এছাড়া দু’বেলা টক দইয়ের লাস্যি৷ দুধ আর দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে৷ তবে অবশ্যই সুগার বা অন্যান্য কোন রোগ রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে৷ একটা সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন৷ মেনোপজ হচ্ছে মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো খাওয়া দাওয়া করলে এ নিয়ে তেমন কোন সমস্যাই থাকবে না ৷
বিস্তারিত

স্বামীর যে কাজগুলো স্ত্রীর কাছে দারুণ রোমান্টিক

ভালোবাসা মানে কি কেবল স্ত্রীকে রাশি রাশি উপহার দেয়া, দামী রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা এখানে-সেখানে ঘোরা প্রতিদিন? একদম কিন্তু নয়! এসব দিয়ে কিছু মেয়েকে খুশি করা যায় বটে, কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েই খুশি হয়ে থাকেন একদম সাধারণ কিছু ভালোবাসায়। হয়তো আপনার কাছে সেটা খুবই আনরোমান্টিক বা মূল্যহীন, কিন্তু মেয়েদের কাছে বিষয়টির মূল্য অনেক বেশি।

আসুন, জানিয়ে দেই এমন কিছু কাজ সম্পর্কে, যেগুলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই জিতে নিতে পারবেন আপনি পছন্দের মেয়েটির মন। এবং সহজে আর অন্য কোন পুরুষ স্থান করে নিতে পারবে না সেই মনে। আর হ্যাঁ, আপনাদের ভালোবাসা হয়ে উঠবে অনেক বেশি মজবুত ও সুন্দর।
স্বামীর যে কাজগুলো স্ত্রীর কাছে দারুণ রোমান্টিক
চুম্বনটি হোক ভীষণ আন্তরিক :- অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, চুমু তো আন্তরিকই হয়! চুমু খাওয়ার সময় তাঁর সুন্দর মুখটি নিজের দুহাতে কোমল করে ধরুন। আর অনেকটা সময় নরম করে তাকিয়ে থাকুন। দেখবেন, এই সামান্য জিনিসটি তিনি কি পছন্দই না করছেন। একটু লজ্জা পাচ্ছেন, আবার একটু খুশিও হচ্ছেন। নারীদের কাছে এই বিষয়টি খুব রোমান্টিক।

মাঝে মাঝেই তাঁর মাথায় হাত রাখুন :- ভালোবাসা মানে শুধু তীব্র প্রেম আর দৈহিক আকর্ষণ নয়। একদম সাধারণ একটি স্পর্শও প্রকাশ করতে পারে গভীর ভালোবাসা। তাঁর মাথায় হাত রাখুন, কখনো চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে দিন, মুখে চুল এসে পড়লে আলতো করে সরিয়ে দিন। আপনার এই ভালোবাসার ছোট্ট আচরণ তাঁর মনে তৈরি করে নেবে বিশাল একটি জায়গা।

তাঁকেও সুযোগ দিন আরাম করার :- আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ করেন বাসায়? আর কর্মজীবী হয়ে থাকলে তো বাসা-অফিস মিলিয়ে তাঁর অবস্থা নিশ্চয়ই কাহিল! বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। চেষ্টা করুন এটা-সেটায় তাঁকে একটু সাহায্য করতে। নিজে রাঁধতে না পারেন, মাঝে মাঝে ডিনারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে না হয় বাইরে থেকেই খাবার কিনে আনুন। এই একটুখানি আদরে আপনি তাঁর কাছে পাবেন আন্তরিক সম্মান।

দুজনে বাইরে যাচ্ছেন - কি করবেন :- হয়তো স্ত্রী খুব সেজেগুজে বের হয়েছেন আপনা সাথে বেড়াতে যাবেন বলে। হয়তো সাধারণত রিকশা বা বাসেই চলাচল করেন আপনারা। আজ নিয়ম ভেঙে একটি সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ফেলুন। একটুখানি আরামে দুজনে পাশাপাশি উপভোগ করুন খানিকটা সময়। একটা দিন নাহয় তাঁকে বাস বা রিকশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন।

ভিড়ের মাঝে আগলে রাখুন :- প্রচণ্ড ভিড় হয়তো বাসে কিংবা মার্কেটে। হয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন বা সিনেমায় গেছেন, সেখানেও। এই ভিড়ের মাঝে ভালোবাসার নারীকে অবশ্যই একটু আগলে রাখুন। চেষ্টা করুন তাঁকে ঠেলাঠেলি থেকে রক্ষা করতে, হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন। কে কী ভাবল সেসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে যেন বোঝে যে জীবনের সকল পরিস্থিতিতে আপনি তাঁর পাশেই আছেন।

সবসময় তাঁকে সুন্দর, পরিপাটি থাকার জন্য চাপ দেবেন না :- হ্যাঁ, তিনিও মানুষ। সবসময় সুন্দর পোশাক পরে পরিপাটি থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সবসময়ে একজন মানুষকে দেখতে ভালো দেখানো এক কথায় অসম্ভব। তিনি যখন নিজের সবচাইতে খারাপ পোশাকটি পরে আছেন, কিংবা যেদিন তাঁকে দেখতে সবচাইতে বাজে লাগছে, কিংব সাজসজ্জা বিহীন ঘুরতে বেরিয়েছেন- তখনও তাঁকে সুন্দর বলুন। মিথ্যা করে হলেও বলুন। এই ছোট্ট মিথ্যাই তাঁকে নিয়ে আসবে আপনার খুব কাছাকাছি।

ছোট্ট আদুরে জেদ করুন :- এর অর্থ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা। কী রকম? যেমন ধরুন তাঁর চোখের কাজল আপনার খুব ভালো লাগে, কিংবা কপালের টিপটা। আদর করে জানিয়ে দিন- "তুমি কিন্তু টিপ না পরে বাইরে মোটেও যাবে না!" এই সামান্য ব্যাপারে তিনি যে কতটা খুশি হবেন আপনার ধারণাও নেই।

ভুলবেন না ছোট্ট উপহার :- তাঁকে অনেক কিছু কিনে দেয়ার সামর্থ্য নিশ্চয়ই আপনার আছে। কিন্তু সেসবের ভিড়ে ছোট্ট কিন্তু প্রিয় উপহার গুলোর কথা ভুলে যাবেন না। একটু ফুল, প্রিয় চকলেট, একটা গান, এক গুচ্ছ চুড়ি কিংবা এক পাতা টিপ- এসবের মাঝে যে রোমান্টিকতা আছে সেসব আসলে আর কিছুর মাঝে নেই।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

আমার বিবাহ হয়েছে ১৬ মাস, আমার সমস্যা হচ্ছে, আমার ফিলিংস আসে কম এবং খুব তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়।

সম্মানিত পাঠকের প্রশ্ন :- ভাই, আমার বিবাহ হয়েছে ১৬ মাস, আমার সমস্যা হচ্ছে, আমার ফিলিংস আসে কম এবং খুব তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়। আমার বয়স ৩২ বছর। উচ্চতা ৫'৫"। ওজন ৬৭ কেজি। বিয়ের পুরবে হস্তমৈথুন এর অভভাস ছিল। আর কোন ধরনের বাজে অভ্যাস নেই। সমাধান সম্ভব কিনা? আর কতদিন এ ভালো হতে পারে। আমি এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়েছি। ওষুধ যতদিন খাই মোটামুটি কাজ হয়। বন্ধ করলে কাজ হয়না।
বিস্তারিত

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কার্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করুন

দাম্পত্য সম্পর্ককে মধুর করে তুলতে চাইলে কিছু বিশেষ অভ্যাস রপ্ত করা প্রয়োজন। মাঝে মধ্যে নয়, বরং প্রতিদিনের জন্য। প্রতিদিন এই ছোট্ট কাজগুলো করার বিশেষ অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় বহু গুন। সেই সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি বিরক্তি দূর করে ফেলে খুব সহজেই। জেনে নিন স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন মধুর করে তোলার সেই বিশেষ অভ্যাসগুলো কি কি, আশা করি সেগুলো রপ্ত করে নেবেন প্রতিদিনের জন্য।

একই সময়ে ঘুমানো:- দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে দুজনে ঘুমিয়ে পড়ুন একই সময়ে। সারাদিনের ছোটখাটো গল্প আর ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি কথায় ঘুমানোর আগের সময়টা বেশ ভালো কাটবে দুজনের। এতে সম্পর্কটাও আরো মধুর হয়ে উঠবে।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কার্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করুন
একই ধরণের শখ:- আপনার সঙ্গীর শখ গুলোর প্রতি আগ্রহ দেখান। এতে আপনার সঙ্গীও আপনার শখ গুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। আপনার সঙ্গীর কোনো শখ যদি আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে তাহলে সেটা তাকে বুঝতে দেবেন না। এতে সম্পর্কটা আরো সুন্দর হবে। সেই সঙ্গে কেটে যাবে সম্পর্কের একঘেয়েমি।

হাত ধরে হাঁটা:- প্রেমের শুরুতে কিংবা বিয়ের পর পর হাত ধরেই হাঁটতেন দুজনে কারণ এ যেন অন্য রকম এক রোমান্টিকতা। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই হাঁটতে শুরু করেছেন নিজেদের মত করে। সেই পরস্পরকে ছুঁয়ে থাকার স্বভাবটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আবারো ধরে ফেলুন সঙ্গীর হাতটি। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যেসব দম্পতি হাত ধরে হাঁটেন তাদের নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা ও নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি হয় যা সম্পর্ককে সুখের করে তোলে।

সঙ্গীর দোষের বদলে গুণ খুঁজুন:- বেশিরভাগ দম্পতিই সঙ্গীর দোষ খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করেন। ফলে সম্পর্ক ভালো হওয়ার বদলে উল্টো খারাপ হতে থাকে। তাই অহেতুক সঙ্গীর দোষ না খুঁজে চেষ্টা করুন গুণ গুলো খুঁজে বের করার।

প্রতিদিন ‘ভালোবাসি’ বলা:- সম্পর্কটা যতদিনের পুরোনোই হোক না কেন প্রতিদিনই সঙ্গীকে একবার করে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। ভালোবাসার কথা প্রতিদিন জানিয়ে দিলে সম্পর্ক কখনোই পুরনো হয়না।

কাজ শেষে দেখা হলেই আলিঙ্গন করা:-সারাদিন দুজনেই ব্যস্ত সময় কাটান। দিন শেষে দেখা হয় দুজনের। এই সারাদিনের দেখা না হওয়ার দূরত্বটা নিমিষেই ঘুচে যাবে যদি আপনি দিন শেষে দেখা হওয়া মাত্র আপনার সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন। প্রতিদিনের এই অভ্যাসটি আপনার সম্পর্কটাকে সুন্দর রাখবে।
বিস্তারিত

গনোরিয়া - সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগ

নারী পুরুষের জটিল যৌন রোগ গুলির মধ্যে গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে থাকে। এ রোগের ক্ষেত্রে রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায় সংক্রমিত হয় না। সাধারণত নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি করে থাকে।

এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।

গনোরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ 

নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে আক্রান্ত। প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে। ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রাব করতে ভীষণ কষ্ট হয়।
গনোরিয়া - সংক্রমিত এক জটিল যৌন রোগ
অল্প অল্প জ্বর দেখা দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।

ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো

এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়। নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় গনোরিয়া রোগের স্থায়ী সমাধান বিদ্যমান। প্রপার ট্রিটমেন্ট এ নিয়মিত ঔষধ খেয়ে গেলে গনোরিয়ার জীবানু মূল থেকে চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যায়। হোমিও ঔষধ কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তাই নানা প্রকার উচ্চ শক্তির এন্টিবায়োটিকের উপর নির্ভর না করে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিন। কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অল্প কিছু দিনে সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি।

অন্যান্য ব্যবস্থা

যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল খুবই খারাপ হবে।
বিস্তারিত

অঙ্কশাস্ত্র জন্ম-মাস দেখে মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা দেয়

অঙ্কশাস্ত্র মতে একজন মানুষের স্বভাব, চরিত্র নাকি তার জন্ম মাস বিচার করে জানা যায়। কোন মাসে জন্মালে, কেমন হবে তার চারিত্রিক গুনাবলী এই গুলো নাকি সংখ্যাতত্ত্ব বিচার বিশ্লেষণ করেও বলা যায় ? এমনি কিছু বিশ্লেষণ নিচে দেয়া হলো।

জানুয়ারি:- আপনি স্বাধীন, নেতা এবং সবকিছুই বিচার-বিশ্লেষণ করেন। আপনি খুব সৃষ্টিশীল। আপনার ক্যারিসমা এতটাই যে, আপনাকে কোনও প্রশ্ন না-করেই অন্য ব্যক্তি আপনাকে অনুসরণ করেন। জীবনে সাফল্যের জন্য মহিলাদের তুলনায় পুরুষের সাহায্যই আপনি বেশি পান। অন্যের তুলনায় অনেক বেশি ঐতিহ্যশালী জীবনযাপন করেন। এঁরা জেদি, অ্যাম্বিশিয়াস। এঁরা শিক্ষাদান এবং শিক্ষালাভ ভালোবাসেন। এঁরা কোনও ব্যক্তির দুর্বলতার দিকে নজর দেন না। কঠোর পরিশ্রমী, সংবেদনশীল, অন্যকে খুশি করতে জানেন। সহজে উত্তেজিত হন না বা ঘাবড়ে যান না। বাচ্চা ভালোবাসেন। এঁরা সাধারণত অ্যালজাইমারে আক্রান্ত হন। 
অঙ্কশাস্ত্র জন্ম-মাস দেখে মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা দেয়
ফেব্রুয়ারি:- আপনারা অন্যের মনের কথা সহজে জেনে নেন এবং অন্যের সঙ্গে মিশে যান। সমস্ত সম্পর্কই আপনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মনের মানুষকে খুঁজতে আপনি সারা জীবন ব্যয় করতে প্রস্তুত। নিজের মনের মানুষ না-পেলে আপনি ভেঙে পড়তে পারেন। আপনারা ভালো অভিভাবক। বাস্তবতাকে ভালোবাসেন, বুদ্ধিমান, চালাক, আকর্ষণীয়, সেক্সি, রাগী, শান্ত, লাজুক, সত্‍‌। লক্ষ্যে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতাপ্রেমী, বাধাপ্রাপ্ত হলে বিপ্লবী হয়ে পড়েন। অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সহজে আঘাত পেয়ে যান। সহজে রেগে গেলেও, তা সকলের সামনে প্রকাশ করেন না। সাহসী, জেদি, মনোরঞ্জনপ্রেমী, বিলাসবহুল জীবনযাপন পছন্দ করেন। মন থেকে রোম্যান্টিক, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারেন না। কুসংস্কারী। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা শিল্পী হয়ে থাকেন। আপনাদের ঘুমে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটে। ৯-৫টার চাকরি আপনাদের জন্য নয়। 

মার্চ:- আপনি সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিত থাকেন। প্রচুর অর্থের মালিক হন। কিন্তু খুব শিগগির সেই অর্থ হারিয়ে ফেলেন। আপনি কখনও বড় হয়ে উঠতে চান না, কিন্তু এটিই আবার মাঝেমধ্যে আপনাকে আরও বেশি ভালোবাসার যোগ্য করে তোলে। আপনার ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয়। আপনি সেক্সি, স্নেহশীল, লাজুক, স্বল্পভাষী, উদার, সহানুভূতিশীল, বিশ্বস্ত, মুডি, সঙ্গীতানুরাগী। শান্তি এবং নির্মলতা ভালোবাসেন। অন্যের জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। সহজে রেগে যান। স্বপ্ন দেখতে এবং নিজের কল্পনার জগত্‍‌ গড়ে তুলতে ভালোবাসেন। ভ্রমণপিপাসু। জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী খুঁজতে গিয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এঁরা সাধারণত অ্যাস্থমায় আক্রান্ত থাকেন। এঁরা স্কুলে খুব ভালো ফলাফল না-ও করতে পারেন। অনেক সময় এঁরা অস্বাভাবিক কেরিয়ার বেছে থাকেন। 

এপ্রিল:- আপনি জেদি, আবেগপ্রবণ এবং অন্যের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে ভালোবাসেন। অন্য দিকে আপনি খুব সৃজনশীল, সেক্সি, বুদ্ধিমান। আপনার ক্যারিসমায় অনেকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট। তবে অন্যের ওপর অত্যধিক কর্তৃত্বফলানোর চেষ্টা করবেন না। একবার লক্ষ্য নির্ধারণ করলে, সেখানে পৌঁছনো থেকে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। সক্রিয় এবং গতিশীল, বিচারক্ষমতাসম্পন্ন, মানসিক দিক দিয়ে খুব শক্তিশালী, নজরকাড়তে পছন্দ করেন, কূটনীতিক, শান্ত্বনা দিতে পারেন, অন্যের সমস্যার সমাধান করতে পারেন সহজেই। আবার আপনি খুব দুঃসাহসিক, আক্রমণাত্মক, অনুভূতিপ্রবণ, লাভিং, কেয়ারিং, উদার এবং নরম মনোভাবাপন্ন। আপনাদের স্মৃতিশক্তি খুবই ভালো। মাথা এবং বুকের রোগে আক্রান্ত থাকেন। 

মে মাস:- জেদি, শক্ত-মনের, চিন্তা-ভাবনা খুবই প্রখর। সহজে রেগে যান। অনুভূতি খুবই গভীর। অন্যকে আকর্ষণ করতে পারেন। এঁদের মোটিভেশনের কোনও প্রয়োজন হয় না। সহজে শান্ত করা যায়। কান এবং গলায় সমস্যা থাকে। কল্পনাশক্তি ভালো। শারীরিক গঠন ভালো হয়। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসে একটু সমস্যা হয়। সাহিত্য-শিল্প অনুরাগী। ভ্রমণপিপাসু, বাড়িতে থাকতে ভালোবাসেন না। পরিশ্রমী। এই মাসে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেন, তাঁরা ডায়াবিটিস এবং গ্লুকোমায় আক্রান্ত থাকেন।

জুন:- খুব রোম্যান্টিক, কিন্তু খুব জেলাস। ভালো প্রেমী এবং সেনসুয়াল। আপনার ভালোবাসার জীবন অত্যন্ত জটিল। মানব-হিতৈষী এবং দয়ালু। গসিপ করতে ভালোবাসেন। আপনি বাচ্চা ভালোবাসেন না, তবে পরিবারের প্রবীণ সদস্যরাই আপনার কাছে সবকিছু। আপনারা খুব নম্র-ভদ্র, সংবেদনশীল। আপনার কাছে প্রচুর আইডিয়া থাকে। সবচেয়ে ভালোটিই আপনার চাই, আপনি খুব ব্র্যান্ড কনসিয়াস। জোকস ভালোবাসেন। তর্কশক্তি খুব ভালো। দিবাস্বপ্নে ব্যস্ত থাকেন। সহজে বন্ধু বানাতে পারেন, আবার সহজে আঘাতও পান। ঠান্ডার ধাত থাকে। মাঝেমধ্যেই নিজের আবেগ প্রকাশ করে থাকেন। হৃদয়ে আঘাত লাগলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে।

জুলাই:- এই মাসে যাঁদের জন্ম তাঁরা সিনসিয়ার, পক্ষপাতহীন এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। পরিবারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। নিজের সম্বন্ধ রক্ষার জন্য তাঁরা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারেন। এরা আবার রূঢ়প্রকৃতির এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করে থাকেন। এদের স্বভাবের এই দিকটি অনেককে বিভ্রান্ত করে তোলে, বিশেষত তাঁদের, যারা এদের প্রতি যত্নশীল। আবার ড্রেসিং সেন্স এবং লাইফস্টাইল হ্যাবিটের ক্ষেত্রে এদের স্বভাব অনেকটা অদ্ভূত। এই মাসে যারা জন্মগ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে অনেকে জিনিয়াস হয়ে থাকেন, তবে তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিষণ্ণতায় ভোগেন। আপনার সঙ্গে থাকতে যে কেউ ভালোবাসবে। কথা গোপন রাখতে পারেন। পরিশ্রমী, সত্, মুডি, রসিক, লাভিং-কেয়ারিং, একা থাকতে ভালোবাসেন এরা। ব্যক্তির অনুভূতিকে গুরুত্ব দেন, সহজে আঘাত পান, প্রতিশোধস্পৃহা নেই, সহজে ক্ষমা করে দিলেও, কখনও কিছু ভুলে যান না, খুব যত্নে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন, সকলের সঙ্গে সমান ব্যবহার করেন। এই মাসে যাদের জন্ম, তাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে থাকে।

আগস্ট:- আপনি লাভিং, বিয়েকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, সকলের ভালো দিকটিই দেখেন আপনি। তবে অত্যন্ত পরিশ্রমী হওয়ায় স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। আপনার টিম স্পিরিট খুব ভালো। আবার আপনি মানবপ্রেমী এবং সহজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। আপনার কাছে টাকা খুব সহজে চলে আসে। আপনি খুব নরম প্রকৃতির, আকর্ষণীয়, সাহসী, অকুতভয়ো, লাভিং, কেয়ারিং। আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। আপনি আবার উদার এবং আত্মবাদীও। উস্কানি পেলে সহজে রেগে যান, জেলাস, সজাগ থাকেন। আপনার চিন্তাভাবনা স্বাধীন এবং খুব তাড়াতাড়ি চিন্তাভাবনা করতে পারেন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। সঙ্গীত, শিল্প-কলা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিভাশালী। সংবেদনশীল, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল।

সেপ্টেম্বর:- নিজের জীবনে বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে হয় আপনাকে। কারণ আপনি বুদ্ধিমান। তবে আপনার দুর্বলতা হল, আপনি বিষণ্ণতায় ভোগেন। আপনি জয়ী হতে চাইলে, অনেক সময় নিজের মনের সমালোচকের ধ্বনি উপেক্ষা করতে হবে। আপনি যে কোনও পরিস্থিতি নিয়েই অনেক বেশি বিচার-বিশ্লেষণ করতে বসেন, যার ফলে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হয়। নরম মনোভাবাপন্ন, কম্প্রোমাইসিং, সতর্ক, সংগঠিত, জেদি, শান্ত, সহানুভূতিশীল, লয়াল, আত্মবিশ্বাসী, উদার, চালাক, জ্ঞানী, স্মৃতিশক্তি ভালো। কেউ সমালোচনা করলে তাঁকে আটকাতে পারেন। অন্যকে মোটিভেট করতে পারেন। খেলাধুলো এবং বিলাসিতা পছন্দ করেন। নিজের আবেগ সহজে প্রকাশ করেন না। অত্যন্ত চুজি, বিশেষত খুব বাছাই করা সম্পর্কে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন।

অক্টোবর:- আপনি খুব ভাগ্যবান। কোনও লক্ষ্য নির্ধারণ করলে, তা হাসিল করে নেন। তবে আপনার স্বভাবের খারাপ দিক হল, আপনি কথায় কথায় খুব তর্ক করেন। প্রতারিত করার এবং প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবণতাও আপনার মধ্যে থাকে। নিজের মনের দস্যুকে মারতে পারলে, কল্পনাতীত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন আপনি। নিজস্ব ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা আপনার মধ্যে আছে। কথা বলতে ভালোবাসেন, মাঝেমধ্যেই রেগে যান, বন্ধুদের গুরুত্ব দেন, নতুন বন্ধু বানাতে ভালোবাসেন, সহজে আঘাত পান আবার সহজেই সেখান থেকে বেরিয়েও আসেন, দিবাস্বপ্ন দেখেন, লয়াল, অন্যেরা কী ভাবলেন তা নিয়ে মাথা ঘামান না, আবেগপ্রবণ, নিষ্পত্তিমূলক, ভ্রমণপিপাসু, সাহিত্য ও শিল্প-কলা অনুরাগী, কোনও কিছুর ভান করেন না, সত্, জেলাস, সহজে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং প্রভাবিত হয়ে পড়েন। শিশুপ্রেমী।

নভেম্বর:- আপনি অপরের ভাবনাকে বুঝতে পারেন এবং সহজেই সকলের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। জীবনের প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন। কিন্তু মাঝে মধ্যেই নিজের সেনসিটিভিটি নিয়ে এতটা উত্তেজিত এবং আনন্দিত হয়ে পড়েন যা, আপনার স্বাস্থ্যহানীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি অন্যের জন্য উদাহরণস্বরুপ। আপনি খুব ভালো শিক্ষক। আপনার কাছে প্রচুর আইডিয়া থাকে, তবে আপনার মনের গভীরে উঁকি মারা খুব শক্ত, প্রগতিশীল এবং তীক্ষ্ণ চিন্তাভাবনা করেন আপনি। ভালো চিকিত্সক হতে পারেন। ব্যক্তিত্বও অত্যন্ত গতিশীল। কৌতূহলী, কম কথা বলেন, সাহসী, উদার, ধৈর্য রাখতে পারেন, জেদি, কঠোর হৃদয়ের মানুষ আপনি। সহজে হার মানেন না। সহজে রাগেন না, একা থাকতে ভালোবাসেন। অন্যের থেকে চিন্তাভাবনা আলাদা।

ডিসেম্বর:- আপনি উদার, সেক্সি, দেশপ্রেমী, খেলাধুলোয় সক্রিয়, অ্যাম্বিশিয়াস, সত্, বিশ্বাসী। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা মেলামেশা করতে, প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। আপনার ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনশীল, প্রতিবন্ধকতা পছন্দ করেন না। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা অ্যাস্থমা বা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত থাকেন।
এই গুলো যে অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা এটা হয়ত আপনরা সকলেই জানেন। দেখবেন, এক দিকে কিছু কিছু মিলেছে তো অন্য দিকে মিলে নি। তাই বাস্তবতা হলো আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া। কারণ আল্লাহ সবাইকেই কাজ করার জন্য হাত দিয়েছেন , চলার জন্য পা দিয়েছেন আর চিন্তা করার জন্য দিয়েছেন একটা অতুলনীয় সুপার কম্পিউটার মাথা। তাই নিজের উপর আস্থা বাড়ান এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে নানান গুনাগুন অর্জনের চেষ্টা করে যান তাহলেই সাফল্য পাবেন। কারণ আমি এক জোতিষীকে রাশিফল এবং সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে জিগ্যেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন এই গুলো শুধু আশা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভাবুন এবার বিষয়টা কি। জোতিষী বলবেন, আপনি শুনবেন আর মনে মনে আশাবাদী হবেন। এটুকুই। ভালো থাকবেন সবাই। 
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

রাস্তা বা ফুটপাতের যৌনশক্তি বাড়ানোর ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন

যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য যারা সহবাসের পূর্বে বা শখের বসের ইয়াবা বা ইন্ডিয়ান ট্যাবলেট সেবন করেন, তাদের জন্য একটি বাস্তব পরামর্শ হলো সেক্স বাড়ানো জন্য কোনো প্রকার যৌনশক্তি >> বর্ধক ট্যাবলেট খাবেন না।। কারণ এটা একসময় আপনার যৌন জীবনে কঠিন বিপর্যয় ডেকে আনবে।

এই ঔষধগুলি পুরুষকে ধ্বজভংগ রোগের দিকে ঠেলে দেয়, আবার কিছু কিছু  ক্ষেত্রে মানুষকে মৃত্যুর দিকে পর্যন্ত ঠেলে দেয়। যৌন শক্তি বাড়ানো জন্য কোন ঔষধ সেবনের প্রয়োজন নেই। এটা আমরা বার বার বলে আসছি। কারণ ছোট কাল থেকে বেড়ে উঠে আপনি যখন যৌবনে পদার্পণ করলেন তখন আপনার যৌন শক্তি কিন্তু স্বাভাবিকই ছিল। এত বছর পর্যন্ত কেন আপানর যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধের প্রয়োজন পড়ে নি ? আজ কেন পড়ল ? কারণ রাস্তা ঘাটে কিছু অসাধু হারবাল এবং কবিরাজি ঔষধ ব্যবসায়ী আপনার দুর্বল মানুষিকতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। আর আপনিও সেগুলো খেয়ে আগে আপনার যেটুকু ছিল তাও হারাতে বসেছেন। 
রাস্তা বা ফুটপাতের যৌনশক্তি বাড়ানোর ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন
দেখা যায় হস্থমৈথন বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক যৌন অনাচারের কারণে আপনার দেহে নানা যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে বসে আছেন। অসাধু হারবাল এবং কবিরাজি ঔষধ ব্যবসায়ীরা আপনার এই সুযোগটিই নিয়ে থাকে। অথচ আপনি জানেনও না যে, এই গুলির ক্ষমতা একেবারেই সাময়িক; কারণ এইগুলিতে নানা প্রকার ভেজাল মাদক দ্রব্য পর্যন্ত মেশানো থাকে। আপনার যৌন সমস্যা সারানোর কোনো ক্ষমতাই এই গুলির নেই। তাই আপনাকে তা সারা জীবন খেয়ে যেতে হবে। কিন্তু কিছুদিন খেয়ে যাবার পরই টের পাবেন আপনার যৌন জীবন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। 

যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূল করার ক্ষেত্রে এপর্যন্ত ৯৮% সাফল্য দেখিয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞান। সমস্যার তীব্রতা ভেদে মাত্র কয়েক মাসের হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় আপনার রোগটি তার মূল থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাবে আর আপনি ফিরে পাবেন আগেরই মত নব-যৌবন। তবে তার জন্য অবশ্যই ভালো এবং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে চিকিত্সা নিতে হবে। আপনার ক্ষেত্রে ঔষধ সিলেকশনে ভুল হয়ে থাকলে সারা জীবন হোমিও ঔষধ খেয়ে গেলেও কোনো কাজ হবে না। এ বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। কারণ আমরা এমন অনেক রোগী পেয়েছি যারা ২-৩ বছর হোমিও ঔষধ খেয়েও কোনো ফলাফল পান নাই। অবশেষে আমাদের চিকিত্সাধীনে এসে আমাদের শোভাকাংক্ষীতে পরিনত হয়েছেন। 

যাই হোক এত গেল ট্রিটমেন্ট এর বিষয়। গবেষনায় দেখা গেছে পুরুষের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গাভীর খাঁটি দুধ ও ডিমের ভূমিকা অসাধারন।

যৌন শক্তি বাড়ানোর কোন মন্ত্র আছে বলে বিজ্ঞান বিশ্বাস করে না। যারা আপনাকে মন্ত্র পড়ে সহবাসের পরামর্শ দেয় তারা নিছক আপনার সাথে প্রতারনা করছে মাত্র। তাই যে কোন চিকৎসা বা পরামর্শের জন্য রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট কিনে খেতে থাকলে আপনার যৌন জীবনে একসময় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে তখন এমন অবস্থাও অনেকের সৃষ্টি হয় যে অন্যান্য ঔষধে পর্যন্ত কাজ করে না। তাই সময় থাকতেই আমাদের সকলের সাবধান হওয়া উচিত। ভালো থাকবেন সবাই।
বিস্তারিত

প্রাকৃতিক উপায়ে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ছোট করার কৌশল

আজ দেকলাম কোনো এক বোন হয়ত গুগল সার্চ করেছেন এ সংক্রান্ত Key Word দিয়ে। তাই ভাবলাম এটা নিয়ে লিখা যাক। আজ লিখব কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ছোট করা যায়। অনেক মেয়েই তার বড় ব্রেস্ট নিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। সাধারণত ৩৪/৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। যদি ব্রেস্টের মাপ ৩৮ ও হয়, তাতেও সমস্যা নেই।

যদি আপনি স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্টের মাপ এর চেয়ে ছোট করতে চান, তবে তা দেখতে বেমানান লাগবে। এ পদ্বতিটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের ব্রেস্ট খুবই বড় অথবা অস্বাভাবিক। তাই নিম্নে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট ছোট করার কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলোঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ছোট করার কৌশল
অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন:- অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে ফাস্টফুড খাবার বর্জন করতে হবে। এছাড়া চিনিজাতীয় খাবারও বর্জন করতে হবে। বিভিন্ন সফট ড্রিংক্স, জুস, আইসক্রিম, চিপস, তেলে ভাজা খাবার একদম খাবেন না।

ওজন নিয়ন্ত্রণ:- মেয়েদের ব্রেস্ট টিস্যুর ৯০% হলো ফ্যাট। তাই শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট ছোট করা যায়। তবে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য শুধুমাত্র ব্রেস্টকেই টার্গেট করা যাবে না। তাই ব্রেস্ট ছোট করার ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো শরীরের প্রতি নজর দিতে হবে, যা আপনার ব্রেস্ট ছোট করতে সাহায্য করবে। তাই ফিগার ম্যানটেইন করুন।

পুষ্টি:- স্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে শাক-সবজী বেশী করে খাবেন। দুই ঘন্টা পর পর লো ক্যালোরীর খাবার খান। এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরী ঝরে যাবে এবং আপনার শরীরের ওজনও কমে যাবে। এক্ষেত্রে "Kellogg’s Special K" ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে সফট ড্রিংক্স এবং জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি আপনার ব্রেস্ট কমানোর বদলে বৃদ্বি করতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম:- শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং নিয়মিত ডায়েট করলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে। ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের পেশীগুলো নতুন করে সুসংগঠিত হবে, ফলে আপনার ব্রেস্ট ছোট হবে। তবে এধরণের ব্যায়াম পরিমিত করবেন।

এ্যারোবিক্স:- সপ্তাহে অন্তত ৫-৬ দিন, অর্থাৎ প্রতিদিন আধঘন্টা করে যদি এ্যারোবিক্স করেন, তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে। তাই ব্রেস্ট ছোট করতে চাইলে এ্যারোবিক্স ট্রাই করতে পারেন।

ডায়েট:- ব্রেস্ট ছোট করার ক্ষেত্রে ডায়েট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অবহেলা করা উচিত নয়। ডায়েট করতে হলে বিভিন্ন ফল, শাক-সবজী, রুটি খেতে পারেন। তবে বাটার, আইসক্রিম, চিপস, বার্গার এবং বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার বর্জন করতে হবে।

এছাড়া জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমেও আপনার বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখাতে পারেন, যদি আপনি ব্রেস্ট ছোট করার ঝামেলা করতে না চান। এ পদ্বতিটি তাদের জন্য যারা নিজেদের ব্রেস্ট ছোট দেখাতে পছন্দ করেন। উপায়গুলো নিম্নে দেয়া হলোঃ

মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহারঃ যাদের ব্রেস্ট বড়, তারা মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহার করতে পারেন। এর বিভিন্ন ডিজাইন রয়েছে। আপনার ব্রেস্টের মাপ অনুযায়ী ব্রা কিনুন। এ ধরণের ব্রা পরলে আপনার ব্রেস্টকে অন্তত ২ সাইজ কম দেখাবে। এছাড়া মিনিমাইজিং ব্রা পরতে আরামদায়ক এবং ব্রেস্টের সাইজ কম দেখানোর অন্যতম উপায়।

জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ জামা-কাপড়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই লম্বা এবং ঢিলেঢালা জামা পরতে পারেন। এছাড়া গাঢ় রংয়ের জামা পরতে পারেন। এতে ব্রেস্টের প্রকৃত মাপ বোঝা যায় না। ব্রেস্টের অধিকাংশ দেখা যায় এমন জামা পরবেন না। এছাড়া বড় গলার ডিজাইন করা এবং শর্ট জামাও পরবেন না। শর্ট জামা পরলে ব্রেস্ট বড় দেখায়। আর জুয়েলারীর ক্ষেত্রে এমন কোন জুয়েলারী পরবেন না যা ব্রেস্টের মাঝখানে এসে ঝুলে থাকে। চাইলে গলায় থাকবে এমন ছোটখাট কোন জুয়েলারী পরুন।

অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ মিনিমাইজিং ব্রা ছাড়াও অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমেও বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখানো যায়। সেক্ষেত্রে পাতলা ধরণের দুটি ব্রা একত্রে পরিধান করুন। এক্ষেত্রে কাপড় বা পাতলা ফোম জাতীয় সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরতে পারেন। এতে আপনার ব্রেস্ট টানটান থাকবে এবং আপনার ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। এছাড়া স্পোর্টস ব্রা পরতে পারেন। এতেও ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। ভুলেও টাইট ব্রা অথবা ব্লাউজ পরবেন না।
বিস্তারিত

ফোন সেক্স - পুরুষদের যৌন দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাতের কারণ

প্রযুক্তির অপব্যবহারে অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, চিকিত্সকরা নির্দিধায় বলতে বাধ্য হচ্ছেন, ভয়াবহ যৌন দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে ফোন সেক্স এর মত খারাপ অভ্যাসের কারণে৷ এমনকি, লিঙ্গশীতলতা, দ্রুত বীর্যপাত এবং পুরুষত্বহীনতার মতো রোগেও আক্রান্ত হতে পারে ফোন সেক্সে৷তাই যদি এ ধরনের অভ্যাসে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে এক্ষুনি সতর্ক হন।
বিস্তারিত

জন্মবিরতিকরন পিল খাওয়ার পরেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়াতে অধিকাংশ নারী জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে - এসকল পিল ৯৯.৭ শতাংশ নারীকে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু আসলেই কি এইসব পিল শতভাগ কার্যকরী? পিল সেবন করলেই কি গর্ভধারণের সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায় নেমে যায় ? 
বিস্তারিত

পুরুষত্বহীনতা নিয়ে অজানা কিছু প্রশ্নোত্তর - বাঁচতে হলে জানতে হবে

পুরুষত্বহীনতা Erectile Dysfunction (Impotence) খুব সহজেই ভালো করা যায় হোমিও ট্রিটমেন্ট দিয়ে। তবে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। দেখা যায় যে, খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে। আবার খুব বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবনের ফলেও পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়। সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্নঃ এটি কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পুরুষত্বহীনতার কারণ শারীরিক এবং মানসিক?
উত্তরঃ নতুন গবেষণা মতে একজন পুরুষ যদি হস্তমৈথুনের সময় তার লিঙ্গকে উত্তেজিত করতে পারে তবে বোঝা যাবে সে পুরুষত্বহীন নয়। তবে দেখা যায় যে, যৌনসঙ্গিনীর সাথে যৌনমিলনের সময় পুরুষ লিঙ্গে উত্তেজনা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে সমস্যা মানসিক হোক বা শারীরিক হোক প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়।
পুরুষত্বহীনতা নিয়ে অজানা কিছু প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার জন্য প্রধান শারীরিক কারণটি কি?
উত্তরঃ দুটি সমস্যা যৌথভাবে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা দুটি হলো ভাসকুলার সমস্যা এবং স্নায়বিক সমস্যা। এর সাথে হরমোনের সমস্যা যুক্ত হয়ে ব্যাপারটিকে আরো তীব্র করে তোলে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো পুরুষের লিঙ্গেও রক্তনালী রয়েছে। এগুলোকে লিঙ্গের আর্টারি বলে। এই রক্তনালীগুলো যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে। যাতে করে লিঙ্গ দৃঢ় হয়। কিন্তু ভাসকুলার কারণে এই রক্তের চাপ যদি তীব্র না হয় তবে লিঙ্গ সঠিকভাবে দৃঢ় হয় না। যাতে করে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়। কারণ যেটাই থাকুক খুব সহজেই হোমিও চিকিৎসায় তা ঠিক হয়ে যায়। তবে ঔষধ কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েক মাস খেয়ে যেতে হয়।

প্রশ্নঃ পুরুষের এক্ষেত্রে কী করার থাকে?
উত্তরঃ শারীরিক পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন প্রকার এলোপ্যাথিক চিকিৎসার মধ্যে লিঙ্গের ইমপ্ল্যান্ট, লিঙ্গের ইনজেকশন, ভ্যাকুয়াম ডিভাইস, হরমোন থেরাপি এবং সার্জারির সাহায্য নেয়া হয় যা জটিলতাপূর্ণ। আর সব চেয়ে ভালো হল অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া। কারণ এটাই বর্তমান বিশ্বে এক নম্বর স্থান দখল করে আছে।

প্রশ্নঃ লিঙ্গের উত্থান কী পর্যায়ে হলে তা স্বাভাবিক?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গ অনুত্তেজিত অবস্থায় ছোট এবং নরম থাকে। যৌনমিলনের আগে যৌন ক্রীড়ার সময় এটি উত্তেজিত এবং শক্ত হতে থাকে। লিঙ্গ যখন দৃঢ় হয় তখন এর পেশিতে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়। চূড়ান্তভাবে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে পুরুষ যৌনমিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এই সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং লিঙ্গ অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত হয়। এটি হচ্ছে লিঙ্গ উত্থানের স্বাভাবিক পর্যায়।

প্রশ্নঃ ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু অস্বস্তিকর?
উত্তরঃ পুরুষের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি একটি খালি বায়ুশূন্য ডিভাইস। ডিভাইসের ভেতরে লিঙ্গ ঢুকিয়ে চাপ দিতে হয়। এতে করে লিঙ্গের রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইস ব্যবহার বহু পুরুষের জন্য অস্বস্তিকর। আবার এটি দামের দিক থেকেও তুলনামূলকভাবে বেশি।

প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতারোধে লিঙ্গের ইনজেকশনগুলো কী কী?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গের রক্তনালীগুলোকে সচল করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান তিন ধরনের ইনজেকশন আবিষকার করতে পেরেছে। এই তিন প্রকার ইনজেকশনগুলো পাপাভেরিন, ফেনট্রালামিন এবং প্রোস্টেগল্যান্ডিন-ই। তবে এদের অসুবিধেও রয়েছে।

প্রশ্নঃ ইনজেকশনের অসুবিধাগুলো কি?
উত্তরঃ দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণভাবে পুরুষদের এ সমস্যায় ডাক্তাররা পূর্ব থেকে অবহিত হন না। যে কারণে ৭০-৮০% রোগী ইনজেকশন গ্রহণজনিত নানাবিধ শারীরিক উপসর্গে ভুগে থাকে। তাই এই দিকে পা বাড়াবেন না।

প্রশ্নঃ হরমোন থেরাপি কেমন?
উত্তরঃ পুরুষত্বহীনতা সমস্যায় হরমোন থেরাপি কিছু ক্ষত্রে কাজে আসে। হরমোন থেরাপির টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এতে করে শরীরে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি হলো পুরুষের যৌন হরমোন। এই হরমোনগুলোর প্রভাবে পুরুষের যৌনতা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। যদি কোনো কারণে হরমোন থেরাপি চলতে চলতে ব হয়ে যায় তবে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো হরমোন থেরাপি চালানো উচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির প্রভাবে পুরুষের যৌনকাতরতা বেড়ে যায়। সে ব্যাপারে ডাক্তারকে সতর্ক হতে হবে।

প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার কার্যকর চিকিৎসা কি?
সবচেয়ে কার্যকর, ফলদায়ক এবং সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত হলো হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা। পুরুষত্বহীনতা যে কারণেই হোক না কেন এটাকে মূল থেকে নির্মূল করতে হোমিওপ্যাথির বিকল্প আর কিছুই নেই। এটা আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেবল মাত্র হোমিও ঔষধই রোগীর মানুষিক এবং শারীরিক যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষণ করে প্রয়োগ করা যায় যা অন্য কোনো চিকিৎসাতে সম্ভব হয় না। মনোদৈহিক বিষয়ে এক চমত্কার সেতু বন্ধন স্থাপন করে থাকে হোমিওপ্যাথি যা রোগীর শরীর এবং মন দুইটাতেই যথার্থ পরিবর্তন সাধন করে।
বিস্তারিত

নারী পুরুষের যৌন রোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ

যৌন রোগ আক্রন্ত পুরুষ অথবা নারী যৌন মিলনের সময় তার যৌন সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলিকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়। অনেক স্থানে বহু সংখ্যক যুবক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষ যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও এ বিষয়টা সহজে কারো কাছে বলতে চান না এমনকি চিকিত্সকের কাছে পর্যন্ত অনেক বিষয় গোপন করেন। এটা করা আদৌ উচিত নয়।
বিস্তারিত

নারীর গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয় বিষয়সমূহ

বিবাহিত জীবনে কোনো নারী যখন প্রথম নিজের মধ্যে অপর একটি প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেন খুশিতে তখন মনটা তার ভরে যায়, এ বিষয়ে অন্তত কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। কিন্তু হ্যাঁ, সেই সাথে আছে কিছু ভয় এবং আশঙ্কাও। কী করবেন, কী করবেন না, কোনটা তার অনাগত সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক আর কোনটা ভালো নয় - এইসব নানান ভাবনা মনে উঁকি দিয়ে যায় সারাক্ষণ, আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। 
বিস্তারিত

ইসলামে যেসব নারী-পুরুষদের মধ্যে বিয়ে/বিবাহ বন্ধন হারাম

এক জন পুরুষ ও আর একজন নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই মূলত একটি সভ্য সমাজের গোড়া পত্তন করে। যদি বিয়ের বন্ধন না থাকে তবে, সমাজের কঠামো মজবুত হয়না। থাকেনা পারিবারীক বন্ধন। তবে একজন পুরুষ বা নারী যাকে খুশী তাকেই বিয়ে করতে পারেনা। সমাজের কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়।
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা-লক্ষণ, কারণ ও কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা

পুরুষত্বহীনতা অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে আমাদের দেশে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং তার সাথে বাড়ছে ডিভোর্সেরও পরিমান।
বিস্তারিত

যে কাজগুলো সব ধরনের সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে মুহূর্তেই

জন্মের পর থেকেই মানুষ  নানা সম্পর্কের মাঝে বড় হতে থাকে। আমাদের বেড়ে ওঠার মাঝে নানা সম্পর্কের মানুষের গুরুত্ব রয়েছে। আমরা পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন এমনকি বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছাড়া একটি দিনও চিন্তা করতে পারি না, ভালোবাসার মানুষটি পাশে না থাকলে খারাপ লাগে। সম্পর্ক এমনই একটি জিনিস। কিন্তু আমরা সম্পর্ক সুস্থ ও সঠিক রাখার জন্য কী কী করি? আমরা অনেকেই ভাবি না আমাদের কিছু কাজে হয়তো আমাদের অতি আপন মানুষগুলো দূরে সরে যাচ্ছে, কষ্ট পাচ্ছে, সম্পর্কে দূরত্ব আসছে। আমরা আসলেই অনেক কাজ না ভেবেই করে থাকি। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক এমনই কিছু কাজ যা আপনার যে কোনো সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিস্তারিত

আঁচিল বা জন্ম-চিহ্নের অবস্থান ভেদে মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা

গর্ভাবস্থায় বা জন্মের কয়েক মাস পরই শিশুর শরীরে জন্ম-চিহ্ন প্রকাশ পায়। কিন্তু জন্মচিহ্ন কি কোন প্রকার বিশেষ অর্থ বহন করে? আঁচিল দেখে কি কারও চরিত্র বা ভবিষ্যত জানা যায় ? বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে এই চিহ্ন দেখে মানুষের আঁচিল বা জন্ম-চিহ্নের অবস্থান ভেদে তাদের চারিত্রিক পার্থক্য পর্যন্ত নিরুপন করেছেন। আসুন দেখি সে গুলো কি :-
বিস্তারিত

বয়স ভেদে নারীদের পছন্দনীয় পুরুষ !

বয়সের সাথে সাথে মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটে এমনি । তাই কোন বয়সে নারীরা কেমন পুরুষ সঙ্গী পছন্দ করে তার একটি জরিপ প্রকাশিত হয়েছে।যুক্তরাজ্যের নারীদের ওপর সম্প্রতি এ বিষয়ে একটা জরিপ পরিচালনা করেছে দেশটির একটি ম্যাচমেকিং ওয়েবসাইট। নারীরা কোন বয়সে সঙ্গী হিসেবে কেমন পুরুষ পছন্দ করেন, তা জানা যাচ্ছে ওই জরিপে। এক প্রতিবেদনে জরিপের ফল এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিস্তারিত