অন্যান্য বিষয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অন্যান্য বিষয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮

Acid Phos Q এসিড ফস মাদার - হোমিওপ্যাথিক ঔষধ (Phosphoricum acidum)

Acid Phos Q, 30, 200 এসিড ফস মাদার, ৩০ বা ২০০ শক্তি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা লক্ষণ অনুসারে ডাক্তারগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন শক্তি ব্যবহার করে থাকেন। এর পূর্ণ হোমিওপ্যাথিক নাম Phosphoricum acidum. এই ঔষধটি ক্ষেত্র বিশেষে এবং লক্ষণ অনুসারে শর্করাযুক্ত বহুমূত্র অর্থাৎ ডায়াবেটিস, উদরাময়, কাশি, স্নায়ু-দৌর্বল্য, টাইফয়েড জ্বর, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, ইন্দ্রিয় এবং স্মৃতিশক্তির লোপ, নাভার্স- ডিবিলিটি এবং মহিলাদের শ্বেত প্রদর, প্রমেহ স্রাব বশত দুর্বলতা ইত্যাদিসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

তবে লক্ষণ দেখেই একটি ঔষধ খাওয়া শুরু করে দিবেন না। আপনার সমস্যা থাকলে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিবেন তা না হলে একসময় আপনার নিজেকেই পস্তাতে হবে। কারণ শুধুমাত্র ঔষধ সিলেকশনের ভুলের কারণে অনেক হোমিও ডাক্তারগন পর্যন্ত ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে ব্যর্থ হন। তখন রোগ ভালো না হওয়ার কারণে লোকজন ডাক্তারকে দোষ না দিয়ে সরাসরি হোমিওপ্যাথিকে দোষ দেয়।
Acid Phos Q এসিড ফস মাদার - হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
আপনাকে বুঝতে হবে লোকজন যখন ডাক্তারের কাছে যায় তখন একক কোন সমস্যা বা উপসর্গ নিয়ে যায় না। দেখা যায় একই সাথে নানান শারীরিক বা মানুষিক সমস্যা নিয়ে লোকজন হোমিও ডাক্তারের কাছে আসেন। তখন সবগুলি বিষয় পর্যালোচনা করে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক প্রতিটি রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে ক্রমান্বয়ে তাকে সুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ ইন্টারনেট থেকে ভুল তথ্য অনুসরণ করে নিজ নির্বাচনে ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেন। একসময় ঔষধের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কোন কিছুই বুঝতে না পেয়ে তারা চিকিৎসা শাস্ত্রকে দোষারোপ করা শুরু করেন। অথচ তারা এটি চিন্তা করেন না, যে কাজটি তিনি নিজে করেছেন সেটি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের করতেও অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই নিজ নির্বাচনে যেকোন প্রকার ঔষধ খাওয়া পরিহার করুন।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

এনাল ফিসার, পাইলস বা অর্শ্ব, ফিস্টুলা বা ভগন্দর নির্মূলের কার্যকর চিকিৎসা

পায়ুপথের কষ্টদায়ক রোগগুলি হলো - এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা। মলদ্বারের এই রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান একটি  কারন। এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় র্সাজারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। আসুন এ সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

এনাল ফিসার


যে রোগে সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়, ফলে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। এই ঘা সহজে শুকাতে চায় না। কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে আবারও একই সমস্যা দেখা দেয়। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে।
এনাল ফিসার, পাইলস বা অর্শ্ব, ফিস্টুলা বা ভগন্দর নির্মূলের কার্যকর চিকিৎসা
মাঝে মাঝে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে, যা কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। তরুণ ও যুবকদের রোগটি বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।

পাইলস বা অর্শ্ব


পাইলস (Piles or Hemorrhoids) বা অর্শ বা গেজ হচ্ছে মলদ্বারের এক ধরনের রোগ, যেখানে রক্তনালীগুলো প্রশস্ত হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে।

অর্শ্ব বা পাইলস (Piles or Hemorrhoids) হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় তা হলোঃ
  • মলত্যাগের (Evacuation) সময় ব্যথাহীন রক্তপাত (Painless bleeding)
  • পায়ুপথ চুলকানো (Itching) অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া (Burning) ব্যথা
  • পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা (Swelling) ও ব্যথা লাগা
  • পায়ুপথের মুখে ব্যথা ও চাকা অনুভব করা 

ফিস্টুলা বা ভগন্দর


ফিস্টুলা একটি নালী ঘাঁ যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়ে ও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের চামড়ায়। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফিস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলে মুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে। রোগটির পুনরাবৃত্তি ঘটতেও পারে এবং জটিলতর হতে পারে।
রোগের কারণ এবং কি করে ঘটে:-
  • সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি ( Tenesmus ) দেয়া। শক্ত মল (Hard Stool) বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।
  • ঘন ঘন মলত্যাগ (Frequent Evacuation ) বা ডায়রিয়া (Diarrhea) হলে ফিসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত (Shrinkage) বলে মনে হয়।
  • গর্ভাবস্থার শেষের (Last period of pregnancy ) দিকে অনেকে এনাল ফিসারের সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে মলদ্বারে চাপের কারণে এই ফিসার হয়।
  • পায়ুপথে যৌনমিলনে (Anal Intercourse) অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
  • মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী (Suppository) জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে ঘা হয়, তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।
উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:- মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা (Pain), জ্বালাপোড়া(Burning) ও রক্তক্ষরণ (Bleeding)। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের পরেই শুধু হয় না, যে কোন সময় হতে পারে।

প্রতিরোধ:- কোষ্ঠকাঠিন্য সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে বা কুথঁনি দিয়ে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।

যা যা খাবেন?
  • যারা আঁশযুক্ত (Fiber) খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, আলুর ছোলা, কাঁচা ফলমূল, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম (Soft stool) করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।
  • ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ (Fiber) থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।
  • খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা ঢেঁকি ছাটা চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।
  •  নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।
  • দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
যা যা খাবেন না?
  • প্যাস্তা (Pasta), ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে, যাতে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।
  • ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার (Fatty and High sugar) যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চকোলেট, চীজ, আইস্ক্রীম, মাখন, কোমল পানীয়, ফ্রাইড খাবার ইত্যাদি।
ব্যায়াম:- যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন (Lye straight ), পা মাটিতে মেশানো থাকবে (Leg on ground), পায়ের পাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন (Slowly inspiration) ও ডান পা (Right leg) টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে (Expiration) পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একই ব্যায়াম করুন।

মলদ্বারের যত্ন:-মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী (Rectal region) অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস (Under ware) পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড (Soft pad) ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিতে পারেন, অর্থাৎ আধ গামলা লবণ মিশ্রিত হাল্কা গরম পানিতে নিতম্ব (Waist) ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

চিকিৎসা


সার্জিক্যাল চিকিৎসা:- এলোপ্যাথিতে সার্জারী ব্যতিত এ রোগের জন্য মেডিসিনাল চিকিৎসা কমই আছে। সার্জারী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন কিছু নেই, বার বার আক্রান্ত হলে সার্জারী করবেন কোথায় ( ভালো থাকা যায়?)।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:- এনাল ফিসার, ফিস্টুলা, পাইলসসহ মলদ্বারের সকল রোগই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক বা দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিও চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায়। হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র ভিত্তিতে লক্ষণ সমষ্টির উপর ঔষধ নির্বাচন করা হয়। এটি নিরাপদ, সহজ লভ্য এবং কম ব্যয় সাপেক্ষ্য। সঠিক চিকিৎসার জন্য আপনি অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রপার ট্রিটমেন্ট নিবেন।
বিস্তারিত

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন

সমগ্র বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কদর দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা যে ক্রনিক ডিজিস এবং দুরারোগ্য ব্যাধিগুলি পুরুপুরি সারাতে পারে না তার অধিকাংশগুলিই হোমিও চিকিৎসায় দূর করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদ, ইউনানীসহ আরো কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।  আপনার এও জানা দরকার পৃথিবীতে শুধু এলোপ্যাথিক ঔষধই একমাত্র চিকিৎসার জন্য ঔধষ নয়। রয়েছে আরো বহু অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অল্টারনেটিভ মেডিসিন। কিন্তু পুঁজিবাদী কোম্পানিগুলি একমাত্র এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রি করেই মোটা অংকের টাকা তাদের পকেটে ঢুকাতে পারে বলে অন্য সবগুলি থেকে মানুষকে তারা প্রচার প্রচারণা করে ফিরিয়ে রাখে। পৃথিবীতে আরো কি কি অল্টারনেটিভ মেডিসিন আছে তা একবার দেখে নিন এখান থেকে >>>। জানি এটা দেখার পর আপনার চিন্তা চেতনায় একটা নাড়া দিবে! তাহলে এতো মানুষ মরছে কেন দুরারোগ্য রোগে ? জি স্যার, এতে যারা আপনাকে শোষণ করে চলেছে তাদের যেমন দোষ আছে সাথে সাথে আপনারও দোষ রয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে যারা বেঁচে যাচ্ছেন তারা নিজের প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের কারণে যেকোনো সমস্যার জন্য এর সঠিক সমাধানের উপায়টি খুঁজে বের করতে পারেন।

পৃথিবীতে আল্লাহ রোগ দিয়েছেন এবং সাথে তার আরোগ্যের উপায়ও দিয়েছেন। আপনি জ্ঞান অর্জন করেননি, আপনার সমস্যার সমাধান নিয়ে পড়াশোনা করেননি, রোগে আক্রান্ত হলে বা সমস্যায় পড়লে সমস্যাটি সমাধান করার সঠিক উপায় কি সেটা খুঁজে বের করেন নি - এটা আপনার ব্যর্থতা। তাই শেষ বিচারে দিন কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে দোষ দিতে পারবে না। কেউ বলতে পারবে না যে - তুমি শধু আমায় সমস্যাই দিয়েছ কিন্তু এর সমাধানের উপায় দাও নি। আপনার রোগ হল আর আপনি শুধু এলোপ্যাথির পেছনে দৌড়াচ্ছেন। অথচ এই এলোপ্যাথি ৩০-৪০% এর বেশি ক্রনিক রোগের স্থায়ী এবং পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন কোন কার্যকর ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। আপনাকে অনেক ক্রনিক রোগের জন্যই সারা জীবন ঔষধ খাওয়াবে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আর ঔষধ কোম্পানি থেকে ডাক্তাররা কমিশন খেয়ে যাবে, মাঝে থেকে আপনার পটেকের টাকা মাসের পর মাস ধরে তাদের পকেটে যাবে - এটাই পুঁজিবাদীদের চালাকি। আর এই কারণেই এটি সর্বাধিক সীকৃত।

অথচ একটু খুঁজে দেখলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার রোগের স্থায়ী সমাধান রয়েছে অন্য একটি অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তবে এটাও সত্য যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি বেশ কার্যকর। এই যেমন সার্জারি বা অপারেশনের সময় এলোপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ এবং মরণাপন্ন যেকোন রোগীকে ইনস্ট্যান্ট সাপোর্ট দিতে এলোপ্যাথিক ঔষধ বেশি কার্যকর, যদিও এটি সব ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু ক্রনিক ডিজিস সারানোর ক্ষেত্রেও  এলোপ্যাথি খুব বেশি সাপোর্ট দিতে পারে না, এক্ষেত্রে সারা জীবন এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে যেতে হয়। কিন্তু সেই একই ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ৯০% সাপোর্ট দিবে আপনাকে, আর কয়েক মাসের চিকিৎসায় ভালো হয়ে যাবেন অর্থাৎ সারা জীবন ঔষধ খেয়ে যেতে হচ্ছে না আপনাকে। এর থেকে আর কি ভালো সুফল হতে পারে।

একটা বিষয় সকলেরই জানা উচিত সব চিকিৎসা শাস্ত্রেরই কদর রয়েছে কারণ একটি মাত্র চিকিৎসা শাস্ত্র দিয়ে সব রোগের নির্মূলকারী চিকিৎসা সম্ভব নয়। যদিও এলোপ্যাথিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলি তাদের এক চেটিয়া ব্যাবসা ধরে রাখার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির ক্রমাগত দুর্নাম করেই চলেছে। অথচ স্বয়ং এলোপ্যাথিই ৩০-৪০% এর বেশি রোগের কার্যকর এবং পুরুপুরি নির্মূলকারী ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। বাকি রোগগুলির জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি থেকে কমিশন খাবে সাথে সাথে আপনাকে সেই কোম্পানির ঔষধ সারা জীবনই খাওয়াবে আর আপনার পকেটের টাকা সারা জীবন ধরেই তাদের পকেটে ঢুকাবে, হ্যা এটাই এখন আইন, এটাই এখনকার বাস্তবতা। আর সাথে এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো ফ্রিতেই পাচ্ছেন। ভুলে যাবেন না সাধারণ প্যারাসিটাল ট্যাবলেটেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশ্বাস না হলে প্যারাসিটালের প্যাকেটের সাথে যে কাগজ দেয় সেটি একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখবেন। মাথা আপনার নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার এটিও জানা উচিত প্রতিটি এলোপ্যাথিক ঔষধই পরীক্ষা করা হয় প্রথমে ইতর শ্রেণীর প্রাণীর উপর এই যেমন - ইঁদুর, শূকর ইত্যাদি। এর মাধ্যমেই এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধ করা হয়। আর অন্যদিকে প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পরীক্ষা করা হয়েছে সরাসরি একজন একেবারে স্বাস্থবান সুস্থ মানুষের উপর প্রয়োগ করে। তাই তো হোমিওপ্যাথি এতো কার্যকর আর হোমিও ডাক্তারগণ ও পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা দিতে পারেন।
এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন
এবার আসুন অল্টারনেটিভ চিকিৎসা শাস্ত্রের দিকটা নিয়ে আরেকটু ভিতরে ঢুকি। অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হোমিওপ্যাথি দিয়েই ৯০% রোগের স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব। তাও আপনাকে ক্রনিক রোগের ক্ষত্রে হয়তো ৬-৮ মাসের মতো ঔষধ খাওয়া লাগতে পারে বা বড়জোর এর চেয়ে কয়েক মাস বেশি সময় লাগতে পারে। যেখানে এলোপ্যাথিতে সেই একই রোগের কোন চিকিৎসা পর্যন্ত নেই। এলোপ্যাথিক ডাক্তার যখন ঔষধ প্রযোগ করে কাজ করাতে পারেন না তখন সেটা সার্জারিতে ট্রান্সফার করেন এবং অপারেশন করে আপনার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বলে দিবে তিন মাসের বেশি বাঁচবেন না (যেমন মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার)। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা সেই জটিল রোগকেই সারিয়ে তুলছে স্থায়ীভাবে। এর প্রমান আপনার আশেপাশেই পাবেন ভুরি ভুরি। তাই এটি নিয়ে আর বিস্তারিত বললাম না।

আমার কথাগুলি শুনে অবাক হলেন অনেকেই - তাই না। আসুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্লেষণ করি। ধরুন, একজনের একটা কিডনি ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে গেছে। এলোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে গেলেন তারা আপনাকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাবে অর্থাৎ আপনারটা ফেলে দিয়ে আরেকটি লাগবে। এই অপারেশনের জন্য টাকার পরিমানটা কত হতে পারে আর কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। তো কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেন - স্যার, এখানেই শেষ হয়। সমস্যার মাত্র শুরু। আপনার বাড়িতে একজন অপরিচিত লোক আসলে আপনি যেমন তাকে সাথে সাথেই আপন করেন নিবেন না সেই রকম, যখন আরেকজনের কিডনি আপনার শরীরে বসানো হবে আপনার শরীরও তাকে আপন করে নিবে না। আপনার শরীরের সাথে তাকে খাপ খাওয়ানোর জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আপনাকে ক্রমাগত ঔষধ খাওয়াতে থাকবে। এবার টাকার অংকটা আরেকবার যোগবিয়োগ করে দেখুন।

এবার আসুন পৃথিবার সর্বশ্রেষ্ঠ অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিপ্যাথিতে এর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি। এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আপনার নিজের কিডনিটিই ফেলে দিলো। আর হোমিও ডাক্তাররা আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটিই ঠিক করে দিবে। এর জন্য হয়তো অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসক আপনাকে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি হলে ৮/১০ মাস ঔষধ খাওয়াবে। আর এই চিকিৎসাতেই আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটি নতুন করে আপনার সচল হয়ে উঠবে। এর জন্য আপনাকে বাড়িঘর, জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে অপারেশন করতে হচ্ছে না, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হচ্ছে না আর  আপনাকে সারা জীবন ঔষধও খেয়ে যেতে হচ্ছে না ।

আজকাল শিক্ষিত অনেক লোককেই দেখা যায় তাদের শিক্ষা দীক্ষা ফলাও করার জন্য কোন রোগের জন্য কোথায় যাবে হরহামেশাই পরামর্শ দিচ্ছেন মানুষকে। এই যেমন
  • আপনার স্কিন ডিজিস (কিছু সেক্সের রোগের ক্ষেত্রেও) - আরে ভাই ভাল একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার কিডনির সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন নেফ্রোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার হেপাটাইটিসের সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন হেপাটোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার পেটে সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট দেখান। 
  • ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
এবার আসুন আমার শিক্ষিত ভাই, নতুন করে আজকে কিছু বিষয় শিখে নিন। আরেকজনের উপকার না করতে পারলেও অন্তত নিজের জীবনটা ভালো রাখতে পারবেন। আপনি হয়তো জানেন না -
  • এলোপ্যাথিক নেফ্রোলজিস্ট এর হাতে কিডনি সমস্যা নির্মূলের জন্য পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। আর চিকিৎসাও অনেক ব্যয়বহুল। 
  • এলোপ্যাথিক ডার্মাটোলজিস্ট এর হাতে অনেক চর্ম রোগ সারানোর মতো পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। জেনে রাখা ভালো ৩০% এলার্জির কারণ কি এটাই এখন পর্যন্ত এলোপ্যাথি আবিষ্কার করতে পারেনি - ট্রিটমেন্ট দিবে তো দূরের কথা। এ জন্য দেখবেন এলার্জির ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ঔষধ খেলে আপনি কিছু দিন ভালো থাকবেন আর বাদ দিলে কিছু দিন পর আবার রোগের শুরু। অর্থাৎ কার্যকর চিকিৎসা নেই।
  • এলোপ্যাথিক হেপাটোলজিস্ট এর হাতে হেপাটাইটিসের সমস্যা নির্মূলের জন্য খুব বেশি মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। 
  • এলোপ্যাথিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এর হাতে পেটের সমস্যা নির্মূলের জন্য কার্যকর মেডিসিন নেই। সাধারণ একজন গ্যাসের রোগীকেই তারা সারা জীবন ভর ঔষধ খাওয়ায়। বাকিগুলির কথা নাইবা বললাম। 
  • মহিলাদের সমস্যাগুলিতে এলোপ্যাথিক তেমন ভালো কোন চিকিৎসা নেই বললেই চলে। 
  • পুরুষের যৌন সংক্রান্ত sexually transmitted diseases (STD) ছাড়া দ্রুত বীর্যপাত (Premature ejaculation (PE)), Erectile dysfunction (ED), লিঙ্গ উত্থান সমস্যা, যৌন অক্ষমতায় বলতে গেলে এলোপ্যাথিতে ভালো এবং স্থায়ী কোন চিকিৎসাই নেই। তাই তারা এটাকে মানুষিক সমস্যা বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু নিজের সমস্যা হলে গোপনে গোপনে ঠিকই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যায়। এটাই বাস্তবতা।
এই সব সেকশনের এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় বেশ পারদর্শি কিন্তু রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ঔষধ নেই। যার কারণে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ যেখানে রোগের কারণ খুঁজে খুঁজে হয়রান সেইখানে যেকোন অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তার আপনার চারিত্রিক, মানুষিক আর রোগের লক্ষণ দেখেই তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শধু মাত্র ঔষধ প্রয়োগ করেই আপনাকে সুস্থ করে তুলছে। কারণ হোমিওপ্যাথিতে প্রতিটি রোগের জন্য রয়েছে অজস্র ঔষধ। তবে এর জন্য দরকার হোমিও ডাক্তারের ব্যাপক পড়াশোনা আর বাস্তব অভিজ্ঞতা।

কিন্তু আমাদের দেশে কিছু হোমিও ডাক্তারের বোকামির জন্য অনেক সময় পুরু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসারই বদনাম হচ্ছে। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে কিছু দিন হলো এক মহিলা চিকিৎসক সাজানো গুছানো চেম্বার খুলে বসেছেন। তার ডিগ্রিগুলি দেখুন -

০১. ডিএইচএমএস (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স)। এটি আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। ডাক্তার হতে চাইলে এই খানে আপনাকে ৪ বছর সময় দিতেই হবে। একজন প্রফেশনাল হোমিও চিকিৎসকের ডিপ্লোমা বা স্নাতক যেকোন ডিগ্রি থাকলেই ডাক্তারি করতে পারবেন তাতে সমস্যা নেই। তাছাড়া একথা সত্য যে - এ দেশের বড় বড় হোমিও ডাক্তারের ৯৮% ই ডিএইচএমএস অর্থাৎ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী, যদিও পরে অনেকেই স্নাতক এবং অনেকে এমডিও করে নিয়েছেন।

০২. পিডিটি (১ বছর মেয়াদি হোমিও মেডিসিনের উপর একটা কোর্স), এটা বেশ ভালো একটি বিষয় যদিও এটি মেডিকেল কলেজে করানো হচ্ছে কিন্তু হোমিও বোর্ড স্বীকৃত নয়। তবে প্রোফেসনাল হোমিও চিকিৎসকদের মেডিসিনের উপর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটা করা ভালো।

০৩. এমডি (ইন্ডিয়া থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত - ঐ মহিলা ডাক্তারের সাইন বোর্ডে লেখা আছে)

আসুন এই ডিগ্রিটি নিয়ে আগে আলোচনা করি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়েও করানো হয় এবং এটিও কিছুটা দীর্ঘ মেয়াদি উচ্চতর একটি কোর্স। যেখানে নিয়মিত পড়াশোনাও করতে হবে আপনাকে। আর এটি করার নম্বর ওয়ান শর্ত হলো এর পূর্বে স্নাতক ডিগ্রি অর্থাৎ বিএইচএমএস ডিগ্রি লাগবে। লিংকটিতে ক্লিক করুন >>>
কিন্তু আমাদের এলাকার ঐ মহিলা ডাক্তারের ইন্ডিয়া থেকে এই ডিগ্রি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা তাও আবার তাকে সম্ভবতো ১ বারের বেশি সেখানে যেতে হয়নি। তিনি ভেতরে প্রিন্ট করে বিশাল এক সনদপত্র ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ তিনি স্নাতক অর্থাৎ বিএইচএমএস করেননি। তিনি পাবলিককে এতটাই বোকা ভেবেছিলেন যে - নিজেই ধরা খেয়ে গেলেন। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী লোক, নামের সাথে এমডি ডিগ্রি ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর সত্যতা প্রমান করার জন্য ইন্ডিয়ার শিয়ালদহের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্ট করা কাগজপত্র বাঁধাই করে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তিনি হয়তো নিজেও জানেন না হোমিওতে এমডি করতে হলে বিএইচএমএস বাধ্যতামূলক থাকতে হবে যেটি তার নেই। কারণ এক্ষেত্রে ডিপ্লোমার পর পিডিটি কোর্স করে এমডি করা কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ই এলাও করে না। 
বলে রাখা ভালো। এটি হল সামান্য হোমিওর বিষয়। বলতে শোনা যায় এমন কিছু  বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখান থেকে মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় ৩ ঘন্টায় পিএইচডি ডিগ্রিও নাকি কেনা যায়।

আগের বিষয়ে আবার আসি। ঐ মহিলা ডাক্তার নামের আগে প্রভাষকও ব্যাবহার করছেন। তিনি নরসিংদী হোমিও কলেজের প্রভাষক। তো সারা মাস পড়ে থাকেন ঢাকায় ওনার চেম্বারে। বুঝেন ঠেলা। কোথাকার প্রভাষক আর কিসের প্রভাষক !!!??

এই রকম কিছু ডাক্তার রয়েছে যারা ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। ডিগ্রির বাহার দেখে লোকজন তাদের কাছে যায় আর রোগ ভালো না হলে দোষ দেয় হোমিওপ্যাথিকে। হোমিওপ্যাথির বেলায় ডাক্তারের কোন দোষ নাই। কারণ ঐ যে ডিএইচএমএস, পিডিটি, এমডি, উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইন্ডিয়া থেকে, প্রভাষক.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি। তাই ডাক্তারের দোষ নাই, হোমিওপ্যাথিরই দোষ। অথচ আমার জানা মতে এ দেশের শুধু মাত্র ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স) বহু চিকিৎসক আছেন যারা ঐ বিষেয় স্নাতক আর এমডি করা ডাক্তারের থেকেও অনেক ভালো এবং উন্নত চিকিৎসা দিতে পারেন এবং দিয়ে থাকেন। কারণ যারা এই ডিএইচএমএস  কোর্সটি করেন তারা অনেকেই নিজের বাপ্ দাদা থেকেও ব্যাপক ডাক্তারি জ্ঞান লাভ করেন। কারণ হোমিওতে ডাক্তারি পাস্ করা সহজ কিন্তু ডাক্তারি করা ভীষণ কঠিন। আবার দেখা যায় - যারা এই শাস্ত্রে টানা ১০/১২ বছর নিষ্ঠার সাথে শ্রম এবং সময় দেন তারা অনেকেই ভালো ডাক্তার হয়ে উঠেন। জগতে কোন অর্জনই সহজে আসে না। সব কিছুতেই সময় এবং শ্রম দিতে হয়। এই যেমন চার পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়ার পর এক বছর ইন্টার্নি করতে হয়। তবে এই একবছরের প্রাকটিস আর ৮/১০ বছরের প্রাকটিস কি কখনো সমান হতে পারে ?

তাই ডিগ্রির বাহার আর প্রভাষক টাইটেল দেখেই হোমিও বা এলোপ্যাথ কোন ডাক্তারদের চেম্বারেই  দৌড়াবেন না। আগে খুঁজখবর নিয়ে দেখবেন তার চিকিৎসার সাকসেস রেট কেমন, ডিগ্রি তার যেমনই হোক না কেন ? কারণ হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রভাষকই কলেজে একপ্রকারে পড়াতে পারেন কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে ততটা ভালো নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়। এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নেয়ার আগে কিছুটা খুঁজখবর নিলেই আপনি বুঝে যাবেন কখন কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ যিনি সুচিকিৎসা দেন তার অবশ্যই একটা সুনাম থাকে।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf, হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download,  ইন্টারনেট থেকে অনেকেই হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকাসহ অন্যান্য হোমিও চিকিৎসা বই pdf আকারে ডাউনলোড করতে চান। যারা এমনটি করতে চান তাদের ৮০% ই ঘরে বসে ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করতে চান। কিছু মানুষ আছে যারা বই দেখে বা ঔষধ কোম্পানির তৈরী করা ঔষধের বিবরণ দেখে দেখে ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজের বারোটা বাজাবে অথচ ডাক্তারের কাছে যাবে না। এই প্রকারের লোকজন খুব বেশি স্বাস্থ ঝুঁকিতে পড়ে।

তাদের হয়তো জানা দরকার হোমিওপ্যাথি আর এলোপ্যাথি এক জিনিস নয়। আর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পারসন টু পারসন ভেরি করে। তাই কখন, কোন অবস্থায়, কার জন্য কোন ঔষধটি এবং ঔষধের কোন শক্তিটি দরকার এবং প্রপারলি চিকিৎসাটি কিভাবে দিতে হবে সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download
কিন্তু আমাদের দেশে এমন অনেক পাবলিক আছে যারা বই দেখে হোমিও চিকিৎসা দেয়। কিছু কিছু লক্ষণ সাদৃশ্যের কারণে দু'একটি ক্ষেত্রে কিছু তরুণ রোগ ভালো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের প্রয়োগকৃত ঔষধ কাজই করছে না আর ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রেতো কথাই নেই। আর তখন সব দোষ হোমিওপ্যাথির। তখন তারা হোমিওপ্যাথির চৌদ্দগুষ্ঠিকে উদ্দার করতে দ্বিধাবোধ করেন না। অথচ নিজে একবারও চিন্তা করেন না যে তিনি যা করছেন সেটা একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের কাজ, যিনি বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে এবং সাধনা করে জ্ঞান লাভ করেছেন।

এই কথাগুলি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা প্রয়োজন ছিল বলেই বললাম। এবার আসুন মূল বিষিয়ে।  এই আধুনিক যুগে অনেক হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টরাও ইন্টারনেট থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf আকারে সংগ্রহ করে থাকেন পড়াশোনা করার জন্য। এটা তাদের ক্ষেত্রে কাজে লাগে পুরুপুরিই। কিন্তু অধিকাংশ বই আপনি বিনা মূল্যে পাবেন না। কিছু কিছু বই হয়তো ফ্রি পেতে পারেন যা সময়ে সময়ে আপনার কাজে লাগতে পারে। তাই যারা স্টুডেন্ট তারা এই লিংক >>> থেকে কিছু ফ্রি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই  পিডিএফ (PDF) আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে পারেন। ধন্যবাদ। 
বিস্তারিত

রবিবার, ২১ মে, ২০১৭

Homeo Sex Solution APK নামের কোন Android Apps ইনস্টল করবেন না

Homeo Sex Solution নাম দিয়ে অনেকেই Android Apps তৈরী করে আপনাদেরকে Download লিংক দিচ্ছে। এই সকল Android Apps আপনার ডিভাইসে ইনস্টল করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন, এইগুলি আপনার জন্য হয়তো বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ আমরা এই নামে এখন পর্যন্ত কোন Android Apps তৈরি করিনি। 
আপনারা আমাদের ব্লগে অর্থাৎ http://homeosexsolution.blogspot.com এই সাইটে সরাসরি সব আপডেট পাবেন। ভবিষ্যতে যখন আমরা এই সাইটের Apps তৈরি করবো তখন সেটার ডাউনলোড লিংক আমাদের ব্লগেই পাবেন। আমাদের ব্লগ ছাড়া অন্য কোথাও থেকে Homeo Sex Solution নামের কোনো Apps ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। কারণ সেটার মাধ্যমে অনেকেই অসৎ উপায়ে আপনার ডাটা তা তথ্য চুরি করবে আপনার অজান্তেই।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০১৫

বাংলাদেশের অনলাইন নিউজপেপারগুলি সম্পর্কে মানুষের কতটুকু সুধারণা !!

ভিডিওটি একটু সময় নিয়ে দেখুন। বাংলাদেশের অনলাইন নিউজপেপারগুলি সম্পর্কে একটা বাস্তব ধারণা পাবেন। সংবাদ পত্রের নাম করে কি করছেন তারা ?? তারা কি শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা পয়সা কামানোর ধান্দায় লিপ্ত নাকি বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে জন-মানুষের উপকার করছে ? ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সংগৃহীত।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

প্রেম, বিয়ে, যৌনতা নিয়ে যে স্টেটাস ফেসবুকে কখনও দেবেন না

মন খারাপ হলেই এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করার হিরিক পড়ে গিয়েছে। শুধু মন খারাপই নয়, হাসিতে লুটোপটি হওয়া কিংবা পাশের বাড়ির কাকিমার সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তা নিয়েও স্ট্যাটাস আপডেট! ডালে-ঝোলে-অম্বলে-সবেতেই রয়েছে ফেসবুক। তবে এমন অনেক কিছু আছে, যা ফেসবুকে শেয়ার না করলেই আপনার মঙ্গল। কিন্তু মজার বিষয় হল, এমন অনেক ভুল আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে............. !!

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে........!! ভয় পাবেন না, এটা  আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ নয়। পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে ভারত ।এমনটিই জানিয়েছে "জি নিউজ ইন্ডিয়া"। আমাদের নিজেদের পাওয়া তথ্যাদি থেকে একবার আপনাদের জানিয়েছিলাম বর্তমান বিশ্বে বিবাহ পূর্ব যৌন সমস্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ভারতীয়রা। এমনি আরেকটি খবর ছেপেছে স্বয়ং ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম "জি নিউজ ইন্ডিয়া" । তথ্য সুত্র লিংক নিচে পাবেন। আগে বিস্তারিত..........
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বাংলাদেশে পেশা বা ক্যারিয়ার হিসেবে হোমিওপ্যাথি

প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। তারই ধারাবাহিকতায় নব নব পেশার সম্মিলন ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আধুনিতাকে স্বাগত জানিয়ে থাকে। ফলে আধুনিকতা সমৃদ্ধ পেশার চাহিদা সবসময়ই বৃদ্ধির পথে। সারাবিশ্বে আধুনিকতার উন্নয়নের সাথে সাথে এমন অনেক পেশা রয়েছে যাদের চাহিদা বিন্দুমাত্র হরাস পায়নি। হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার তার মধ্যে অন্যতম। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জন করেই হতে হয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

যৌন জীবন ধ্বংসকারী পর্ণগ্রাফের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচার উপায়

বিজ্ঞানের চরম উকৎর্ষতার এই যুগে বেশীর ভাগ শিক্ষিত মানুষ যারা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করেন, যারা আইটি পেশাজীবি বা তরুণ সমাজ, যারা প্রতিনিয়ত নানান তথ্য ও গবেষণার জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল তাদের কাছে ইন্টারনেট আজ এক প্রাত্যহিক অনুসঙ্গ। আজকের ডিজিটাল সভ্যতায় ইন্টারনেট যেমন হাজার তথ্যাবলী থেকে শুরু করে নানান রকমের বিনোদন, যেকোন প্রশ্ন ও জ্ঞান জিজ্ঞাসার সমাধান দিচ্ছে তেমনি দিচ্ছে অবাধ পর্ণোগ্রাফের সুবিধাও। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ পর্ণোগ্রাফ নজর এড়িয়ে গেছে তেমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
বিস্তারিত

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

অ্যালোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথির মধ্যে কেন এত বৈরীতা ?

আগেই বলে রাখছি লেখাটি আমার নয়। শুরুতেই এটা বলার কারণ হলো লেখাটি পড়ে অনেকই হয়ত আমার গুষ্ঠি শুদ্ধ উদ্ধার করতে কার্পন্য করবেন না। "হোমিওপ্যাথিই আদর্শ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হা" শিরোনামে লিখেছিলেন প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথ ড. এ কে অরুণ, এম ডি (হোমিও) আর লেখাটি প্রকাশ করেছিল ভারতের বিখ্যাত দ্যা সানডে ইন্ডিয়ান পত্রিকা । সরাসরি লিংকটা আর্টিকেলটির নিচে পাবেন। তার আগে বিস্তারিত ..............
বিস্তারিত

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

অঙ্কশাস্ত্র জন্ম-মাস দেখে মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা দেয়

অঙ্কশাস্ত্র মতে একজন মানুষের স্বভাব, চরিত্র নাকি তার জন্ম মাস বিচার করে জানা যায়। কোন মাসে জন্মালে, কেমন হবে তার চারিত্রিক গুনাবলী এই গুলো নাকি সংখ্যাতত্ত্ব বিচার বিশ্লেষণ করেও বলা যায় ? এমনি কিছু বিশ্লেষণ নিচে দেয়া হলো।

জানুয়ারি:- আপনি স্বাধীন, নেতা এবং সবকিছুই বিচার-বিশ্লেষণ করেন। আপনি খুব সৃষ্টিশীল। আপনার ক্যারিসমা এতটাই যে, আপনাকে কোনও প্রশ্ন না-করেই অন্য ব্যক্তি আপনাকে অনুসরণ করেন। জীবনে সাফল্যের জন্য মহিলাদের তুলনায় পুরুষের সাহায্যই আপনি বেশি পান। অন্যের তুলনায় অনেক বেশি ঐতিহ্যশালী জীবনযাপন করেন। এঁরা জেদি, অ্যাম্বিশিয়াস। এঁরা শিক্ষাদান এবং শিক্ষালাভ ভালোবাসেন। এঁরা কোনও ব্যক্তির দুর্বলতার দিকে নজর দেন না। কঠোর পরিশ্রমী, সংবেদনশীল, অন্যকে খুশি করতে জানেন। সহজে উত্তেজিত হন না বা ঘাবড়ে যান না। বাচ্চা ভালোবাসেন। এঁরা সাধারণত অ্যালজাইমারে আক্রান্ত হন। 
অঙ্কশাস্ত্র জন্ম-মাস দেখে মানুষের স্বভাব-চরিত্রের ধারণা দেয়
ফেব্রুয়ারি:- আপনারা অন্যের মনের কথা সহজে জেনে নেন এবং অন্যের সঙ্গে মিশে যান। সমস্ত সম্পর্কই আপনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মনের মানুষকে খুঁজতে আপনি সারা জীবন ব্যয় করতে প্রস্তুত। নিজের মনের মানুষ না-পেলে আপনি ভেঙে পড়তে পারেন। আপনারা ভালো অভিভাবক। বাস্তবতাকে ভালোবাসেন, বুদ্ধিমান, চালাক, আকর্ষণীয়, সেক্সি, রাগী, শান্ত, লাজুক, সত্‍‌। লক্ষ্যে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতাপ্রেমী, বাধাপ্রাপ্ত হলে বিপ্লবী হয়ে পড়েন। অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সহজে আঘাত পেয়ে যান। সহজে রেগে গেলেও, তা সকলের সামনে প্রকাশ করেন না। সাহসী, জেদি, মনোরঞ্জনপ্রেমী, বিলাসবহুল জীবনযাপন পছন্দ করেন। মন থেকে রোম্যান্টিক, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারেন না। কুসংস্কারী। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা শিল্পী হয়ে থাকেন। আপনাদের ঘুমে প্রায়ই ব্যাঘাত ঘটে। ৯-৫টার চাকরি আপনাদের জন্য নয়। 

মার্চ:- আপনি সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিত থাকেন। প্রচুর অর্থের মালিক হন। কিন্তু খুব শিগগির সেই অর্থ হারিয়ে ফেলেন। আপনি কখনও বড় হয়ে উঠতে চান না, কিন্তু এটিই আবার মাঝেমধ্যে আপনাকে আরও বেশি ভালোবাসার যোগ্য করে তোলে। আপনার ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয়। আপনি সেক্সি, স্নেহশীল, লাজুক, স্বল্পভাষী, উদার, সহানুভূতিশীল, বিশ্বস্ত, মুডি, সঙ্গীতানুরাগী। শান্তি এবং নির্মলতা ভালোবাসেন। অন্যের জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। সহজে রেগে যান। স্বপ্ন দেখতে এবং নিজের কল্পনার জগত্‍‌ গড়ে তুলতে ভালোবাসেন। ভ্রমণপিপাসু। জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী খুঁজতে গিয়ে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এঁরা সাধারণত অ্যাস্থমায় আক্রান্ত থাকেন। এঁরা স্কুলে খুব ভালো ফলাফল না-ও করতে পারেন। অনেক সময় এঁরা অস্বাভাবিক কেরিয়ার বেছে থাকেন। 

এপ্রিল:- আপনি জেদি, আবেগপ্রবণ এবং অন্যের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে ভালোবাসেন। অন্য দিকে আপনি খুব সৃজনশীল, সেক্সি, বুদ্ধিমান। আপনার ক্যারিসমায় অনেকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট। তবে অন্যের ওপর অত্যধিক কর্তৃত্বফলানোর চেষ্টা করবেন না। একবার লক্ষ্য নির্ধারণ করলে, সেখানে পৌঁছনো থেকে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না। সক্রিয় এবং গতিশীল, বিচারক্ষমতাসম্পন্ন, মানসিক দিক দিয়ে খুব শক্তিশালী, নজরকাড়তে পছন্দ করেন, কূটনীতিক, শান্ত্বনা দিতে পারেন, অন্যের সমস্যার সমাধান করতে পারেন সহজেই। আবার আপনি খুব দুঃসাহসিক, আক্রমণাত্মক, অনুভূতিপ্রবণ, লাভিং, কেয়ারিং, উদার এবং নরম মনোভাবাপন্ন। আপনাদের স্মৃতিশক্তি খুবই ভালো। মাথা এবং বুকের রোগে আক্রান্ত থাকেন। 

মে মাস:- জেদি, শক্ত-মনের, চিন্তা-ভাবনা খুবই প্রখর। সহজে রেগে যান। অনুভূতি খুবই গভীর। অন্যকে আকর্ষণ করতে পারেন। এঁদের মোটিভেশনের কোনও প্রয়োজন হয় না। সহজে শান্ত করা যায়। কান এবং গলায় সমস্যা থাকে। কল্পনাশক্তি ভালো। শারীরিক গঠন ভালো হয়। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসে একটু সমস্যা হয়। সাহিত্য-শিল্প অনুরাগী। ভ্রমণপিপাসু, বাড়িতে থাকতে ভালোবাসেন না। পরিশ্রমী। এই মাসে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেন, তাঁরা ডায়াবিটিস এবং গ্লুকোমায় আক্রান্ত থাকেন।

জুন:- খুব রোম্যান্টিক, কিন্তু খুব জেলাস। ভালো প্রেমী এবং সেনসুয়াল। আপনার ভালোবাসার জীবন অত্যন্ত জটিল। মানব-হিতৈষী এবং দয়ালু। গসিপ করতে ভালোবাসেন। আপনি বাচ্চা ভালোবাসেন না, তবে পরিবারের প্রবীণ সদস্যরাই আপনার কাছে সবকিছু। আপনারা খুব নম্র-ভদ্র, সংবেদনশীল। আপনার কাছে প্রচুর আইডিয়া থাকে। সবচেয়ে ভালোটিই আপনার চাই, আপনি খুব ব্র্যান্ড কনসিয়াস। জোকস ভালোবাসেন। তর্কশক্তি খুব ভালো। দিবাস্বপ্নে ব্যস্ত থাকেন। সহজে বন্ধু বানাতে পারেন, আবার সহজে আঘাতও পান। ঠান্ডার ধাত থাকে। মাঝেমধ্যেই নিজের আবেগ প্রকাশ করে থাকেন। হৃদয়ে আঘাত লাগলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে।

জুলাই:- এই মাসে যাঁদের জন্ম তাঁরা সিনসিয়ার, পক্ষপাতহীন এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। পরিবারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। নিজের সম্বন্ধ রক্ষার জন্য তাঁরা অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারেন। এরা আবার রূঢ়প্রকৃতির এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করে থাকেন। এদের স্বভাবের এই দিকটি অনেককে বিভ্রান্ত করে তোলে, বিশেষত তাঁদের, যারা এদের প্রতি যত্নশীল। আবার ড্রেসিং সেন্স এবং লাইফস্টাইল হ্যাবিটের ক্ষেত্রে এদের স্বভাব অনেকটা অদ্ভূত। এই মাসে যারা জন্মগ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে অনেকে জিনিয়াস হয়ে থাকেন, তবে তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিষণ্ণতায় ভোগেন। আপনার সঙ্গে থাকতে যে কেউ ভালোবাসবে। কথা গোপন রাখতে পারেন। পরিশ্রমী, সত্, মুডি, রসিক, লাভিং-কেয়ারিং, একা থাকতে ভালোবাসেন এরা। ব্যক্তির অনুভূতিকে গুরুত্ব দেন, সহজে আঘাত পান, প্রতিশোধস্পৃহা নেই, সহজে ক্ষমা করে দিলেও, কখনও কিছু ভুলে যান না, খুব যত্নে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন, সকলের সঙ্গে সমান ব্যবহার করেন। এই মাসে যাদের জন্ম, তাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে থাকে।

আগস্ট:- আপনি লাভিং, বিয়েকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, সকলের ভালো দিকটিই দেখেন আপনি। তবে অত্যন্ত পরিশ্রমী হওয়ায় স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। আপনার টিম স্পিরিট খুব ভালো। আবার আপনি মানবপ্রেমী এবং সহজে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। আপনার কাছে টাকা খুব সহজে চলে আসে। আপনি খুব নরম প্রকৃতির, আকর্ষণীয়, সাহসী, অকুতভয়ো, লাভিং, কেয়ারিং। আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। আপনি আবার উদার এবং আত্মবাদীও। উস্কানি পেলে সহজে রেগে যান, জেলাস, সজাগ থাকেন। আপনার চিন্তাভাবনা স্বাধীন এবং খুব তাড়াতাড়ি চিন্তাভাবনা করতে পারেন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। সঙ্গীত, শিল্প-কলা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিভাশালী। সংবেদনশীল, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল।

সেপ্টেম্বর:- নিজের জীবনে বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে হয় আপনাকে। কারণ আপনি বুদ্ধিমান। তবে আপনার দুর্বলতা হল, আপনি বিষণ্ণতায় ভোগেন। আপনি জয়ী হতে চাইলে, অনেক সময় নিজের মনের সমালোচকের ধ্বনি উপেক্ষা করতে হবে। আপনি যে কোনও পরিস্থিতি নিয়েই অনেক বেশি বিচার-বিশ্লেষণ করতে বসেন, যার ফলে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হয়। নরম মনোভাবাপন্ন, কম্প্রোমাইসিং, সতর্ক, সংগঠিত, জেদি, শান্ত, সহানুভূতিশীল, লয়াল, আত্মবিশ্বাসী, উদার, চালাক, জ্ঞানী, স্মৃতিশক্তি ভালো। কেউ সমালোচনা করলে তাঁকে আটকাতে পারেন। অন্যকে মোটিভেট করতে পারেন। খেলাধুলো এবং বিলাসিতা পছন্দ করেন। নিজের আবেগ সহজে প্রকাশ করেন না। অত্যন্ত চুজি, বিশেষত খুব বাছাই করা সম্পর্কে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন।

অক্টোবর:- আপনি খুব ভাগ্যবান। কোনও লক্ষ্য নির্ধারণ করলে, তা হাসিল করে নেন। তবে আপনার স্বভাবের খারাপ দিক হল, আপনি কথায় কথায় খুব তর্ক করেন। প্রতারিত করার এবং প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবণতাও আপনার মধ্যে থাকে। নিজের মনের দস্যুকে মারতে পারলে, কল্পনাতীত সাফল্য অর্জন করতে পারবেন আপনি। নিজস্ব ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা আপনার মধ্যে আছে। কথা বলতে ভালোবাসেন, মাঝেমধ্যেই রেগে যান, বন্ধুদের গুরুত্ব দেন, নতুন বন্ধু বানাতে ভালোবাসেন, সহজে আঘাত পান আবার সহজেই সেখান থেকে বেরিয়েও আসেন, দিবাস্বপ্ন দেখেন, লয়াল, অন্যেরা কী ভাবলেন তা নিয়ে মাথা ঘামান না, আবেগপ্রবণ, নিষ্পত্তিমূলক, ভ্রমণপিপাসু, সাহিত্য ও শিল্প-কলা অনুরাগী, কোনও কিছুর ভান করেন না, সত্, জেলাস, সহজে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং প্রভাবিত হয়ে পড়েন। শিশুপ্রেমী।

নভেম্বর:- আপনি অপরের ভাবনাকে বুঝতে পারেন এবং সহজেই সকলের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। জীবনের প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী রাখেন। কিন্তু মাঝে মধ্যেই নিজের সেনসিটিভিটি নিয়ে এতটা উত্তেজিত এবং আনন্দিত হয়ে পড়েন যা, আপনার স্বাস্থ্যহানীর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি অন্যের জন্য উদাহরণস্বরুপ। আপনি খুব ভালো শিক্ষক। আপনার কাছে প্রচুর আইডিয়া থাকে, তবে আপনার মনের গভীরে উঁকি মারা খুব শক্ত, প্রগতিশীল এবং তীক্ষ্ণ চিন্তাভাবনা করেন আপনি। ভালো চিকিত্সক হতে পারেন। ব্যক্তিত্বও অত্যন্ত গতিশীল। কৌতূহলী, কম কথা বলেন, সাহসী, উদার, ধৈর্য রাখতে পারেন, জেদি, কঠোর হৃদয়ের মানুষ আপনি। সহজে হার মানেন না। সহজে রাগেন না, একা থাকতে ভালোবাসেন। অন্যের থেকে চিন্তাভাবনা আলাদা।

ডিসেম্বর:- আপনি উদার, সেক্সি, দেশপ্রেমী, খেলাধুলোয় সক্রিয়, অ্যাম্বিশিয়াস, সত্, বিশ্বাসী। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা মেলামেশা করতে, প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। আপনার ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনশীল, প্রতিবন্ধকতা পছন্দ করেন না। এই মাসে যাঁদের জন্ম, তাঁরা অ্যাস্থমা বা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত থাকেন।
এই গুলো যে অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা এটা হয়ত আপনরা সকলেই জানেন। দেখবেন, এক দিকে কিছু কিছু মিলেছে তো অন্য দিকে মিলে নি। তাই বাস্তবতা হলো আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া। কারণ আল্লাহ সবাইকেই কাজ করার জন্য হাত দিয়েছেন , চলার জন্য পা দিয়েছেন আর চিন্তা করার জন্য দিয়েছেন একটা অতুলনীয় সুপার কম্পিউটার মাথা। তাই নিজের উপর আস্থা বাড়ান এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে নানান গুনাগুন অর্জনের চেষ্টা করে যান তাহলেই সাফল্য পাবেন। কারণ আমি এক জোতিষীকে রাশিফল এবং সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে জিগ্যেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন এই গুলো শুধু আশা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভাবুন এবার বিষয়টা কি। জোতিষী বলবেন, আপনি শুনবেন আর মনে মনে আশাবাদী হবেন। এটুকুই। ভালো থাকবেন সবাই। 
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

ভারতের বেডরুম সেক্স বিপ্লব

বেশিরভাগ ভারতীয় 'সেক্স' শব্দটি শুনলে আঁতকে ওঠেন, চমকে ওঠেন— এ রকম আরও বিশেষণ ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকের 'অ্যাটিটিউড' তো আবার বেশ 'জঙ্গি' মনোভাবাপন্ন। রে রে করে ওঠেন। এতেই শেষ নয়। যৌনতাকে একটা সামাজিক ব্যাধিও মনে করেন অনেকে। পার্কে বসা কোনও প্রেমিক-প্রেমিকাকে অপদস্থ হওয়ার তালিকা জিজ্ঞাসা করলে বেশ জ্বলন্ত উদাহরণ পাওয়া যায়। বাড়িওয়ালারা অবিবাহিতদের ভাড়া দেওয়া ঠিক মনে করেন না। সিনেমার পর্দাও এই ভাবনা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি।
বিস্তারিত

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

সঙ্গীর চোখই বলে দেবে ভালবাসা নাকি যৌনকাঙ্ক্ষা ?

আপনার সঙ্গীর চোখ দেখেই বুঝতে পারবেন সে কি চায়। চোখের ভাষা যদিও বুঝা খুব কঠিন তবুও চোখ সবসময় সত্যই প্রকাশ করে। আর তাই মানুষের চোখ যে সত্যিই ‘হৃদয়ের দর্পণ’ তা প্রমাণিত হলো নতুন এক গবেষণায়। ভালোবাসা নাকি শুধুই যৌনাকাঙ্ক্ষা চোখের দৃষ্টি থেকেই বোঝা যাবে কারো তার মনে কি রয়েছে- এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিস্তারিত

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০১৪

রমজান মাসে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে খাবেন

এবার রমজানে ট্রিটমেন্ট নিতে আসা আমাদের বেশ কয়েকজন পেশেন্ট প্রসংগ ক্রমে বললেন, রোজার মাসে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে বেশ ঝামেলা হবে। কিন্তু আসলেই কি তাই ..........বিষয়টা ওনাদের বুঝিয়ে বলার পর ওনারা বেশ খুশিই হলেন। কারণ এটা কোন সমস্যার মধ্যেই পড়ে না। বরং না জানার কারণে ওনারা বিষয়টা নিয়া কিছুটা চিন্তিত ছিল । এবার আপনাদের খুলেই বলি :-
বিস্তারিত

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

ভূয়া ডাক্তারের হাত থেকে রেহাই পাননি মসজিদের ইমামও

হবিগঞ্জ শহরে প্রতারক ও ভূয়া ডাক্তারদের অভয়াশ্রম গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন চিকিৎসার নামে এসব প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান- করছে। অনেকেই টাকা-পয়সা হারিয়ে জটিল রোগে আক্রান- হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছেন। চটকদার লিফলেট ও বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ্যে প্রতারণা চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র। ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসার নাটক বানিয়ে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে সহজ সরল মানুষদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে।
বিস্তারিত

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

বয়ঃসন্ধিতে অনিদ্রা?

আজকে যে বিষয়টা সম্পর্কে আপনাদের বলবো সেটা প্রত্যেক মা বাবারই  জেনে রাখা দরকার। যাতে করে তারা তাদের কিশোর ছেলে মেয়েদের মানুষিক বিকাশে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে। বিশ্বে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী নিদ্রাহীনতার সমস্যায় ভুগছে। এদের ৪ থেকে ৫ শতাংশের সমস্যা রীতিমতো রোগের পর্যায়ে পড়ে।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৩

টিভি খুললেই অশ্লীল বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক

বিনোদনের অন্যতম উপকরণ টিভি। আর তা খুলতেই অশ্লীল বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক। এটা টিভি চ্যানেল না হলেও অনুমোদনহীন দর্শকদের আকৃষ্ট করা ক্যাবল নেটওয়ার্কদের বাণিজ্যিক ভিডিও চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচারণা। এ প্রচারণায় দেয়া হয় না সরকারি কর। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না দর্শক গ্রাহকরা। অনুমোদনহীন চ্যানেলে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্যাবল নেটওয়ার্কদের সিন্ডিকেট প্রশাসন কর্তৃক মাসোয়ারায় লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপী চলে এ প্রচারণার কার্যক্রম।
বিস্তারিত

কানা ইকবাল যেভাবে হারবাল সম্রাট

বেশি দিন আগের কথা নয়। ঢাকার ফুটপাতে ফেরি করে বিক্রি করতেন যৌন রোগের বড়ি। বাসে বাসে ঢোল কোম্পানির দাদের মলম বিক্রি ছিল তার রুটি-রুজির বড় মাধ্যম। তখন এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপোস থাকতো পরিবার। মাথাগোঁজার ঠাঁইও ছিল না। পয়সার অভাবে হেঁটেই আসা-যাওয়া করতেন এখানে-সেখানে। লেখাপড়াও জানতেন না। নাম ছিল কানা ইকবাল। সবাই এই নামেই চিনতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। তার দিন পাল্টে গেছে। বদলে গেছেন তিনি নিজেও। নিঃস্ব থেকে কোটিপতি। গাজীপুর শহরের কোনাবাড়ির আহমদ প্লাজায় কিনেছেন ২০ লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট। থাকেন শিল্প এলাকা কোনাবাড়ির একটি বাসায়।
বিস্তারিত

ভুয়া চিকিৎসা বাণিজ্য

সারা দেশে যে হারবাল চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোন ভিত্তি। চিকিৎসক হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা হেকিম, ডাক্তার কিংবা বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তারা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আমাদের এবারের প্রতিমঞ্চে উঠে এসেছে ভুক্তভোগী মানুষের কথা। চিকিৎসার নামে মানুষকে প্রতারিত করার নানা ফন্দির ইতিবৃত্ত।
বিস্তারিত