হোমিওপ্যাথি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হোমিওপ্যাথি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কি? যে কারনে অনেক পুরুষরা বাবা হতে পারতেছেন না । Men's Infertility causes in bangla.

বন্ধ্যাত্ব কি?

কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া স্বামী এবং স্ত্রী যদি এক থেকে দেড় বছর সন্তান লাভের আশায় এক সঙ্গে কম বাস করার পর ও সন্তান ধারনে ব্যার্থ হলে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়।

বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের

    প্রাইমারি - যাদের কখনো সন্তান হয়নি।
    সেকেন্ডারী - যাদের আগে গর্ভধারন হয়েছে কিন্ত আর গর্ভধারন হচ্ছে না।

বীর্য বিশ্লেষণ(Semen Analysis)

  • Appearance to seme - বীর্ঘ দেখতে কেমন - whitish to grey সাদাটে থেকে ধূসর রং এর হয়।
  • Semen volume বীর্যের পরিমানঃ বীর্যের পরিমান ২ মিলি বা তার বেশি হবে। যদি এই পরিমানের চেয়ে কম বা বেশি হয় তাহলে বীর্যের মধ্যে শুক্রানুর সংখ্যা বা পরিমান কম বেশি হতে পারে।
  • Semen shape (আকার) - বীর্যের মধ্যে থাকা একেকটি শুক্রানুর মধ্যে ৩টি অংশ থাকে -১। মাথা ২।শরীর ৩। লেজ ৩০% শুক্রানোর শারীরিক গঠনে এবনরমালিটি থাকলে আপনার স্ত্রীর ডিম্বানুর সাথে আপনার শুক্রানোর ফার্টিলাইজেশন বা নিষিক্ত হবেনা এবং সন্তান হবে না
  • sperm count - 20-200 মিলিয়ন শুক্রানু প্রতি মিলি লিটার বীর্যের মধ্যে থাকতে হবে।
  • Motile, Motility, movement - শুক্রানোর নড়া চড়া বা গতি 50% শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক নড়া চড়া থাকতে হবে।
  • pH - ল্যাব টেস্ট অনুযায়ী মানুষের বীর্য PH এর মান 7.2 - 7.8 পর্যন্ত স্বাভাবিক যদি 8 এর বেশি থাকে তা হলে তা ইনফেকশন নির্দেশ করে।
  • Viability (কার্যকারিতা): 75% অথবা তার বেশি কার্যকারী হতে হবে।


  • অস্বাভাবিক বীর্য বিশ্লেষণ রিপোর্ট

    • Aspermia: (অ্যাসপার্মিয়া) বীর্যই তৈরী হয়না।
    • Azoospermia: (অ্যাজুস্পার্মিয়া) বীর্য আছে কিন্তু এর মধ্যে শুক্রানু নাই।
    • Oligospermia: (অলিগোস্পার্মিয়া) শুক্রানুর সংখ্যা প্রতি মিলিতে 70 মিনিয়ন এর কম।
    • Asthenozoospermia: (অ্যাস্থেনোজুস্পার্মিয়া) 50% এর কম শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক মুভমেন্ট/নড়া চড়া আছে
    • Teratozoospermia: (টেরাটোজোস্পার্মিয়া) 70% এর বেশি শুক্রানুর শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক।
    • Necrozoospermia: (নেক্রোজুস্পার্মিয়া) শুক্রানো আছে তবে মৃত।
    • Oligoasthenozoospermia: (ওলিগোঅ্যাস্থেনুজুস্পামিয়া) স্বাভাবিক সংখ্যক শুক্রানুর স্বাভাবিক নড়া চড়া নাই এবং একই সাথে শুক্রানুর সংখ্যা ও কম।
    • Varicocele (ভ্যারিকোসেল) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় 5-6% রোগীর পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
    • Epididymitis/epididymal cyst: (এপিডিডাইমাইটিস/এপিডিডাইমাল সিস্ট) শুক্রবাহী নালীতে ইনফেকশন বা সিস্ট হলেও পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।

    বিস্তারিত

    শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

    হোমিও ডাক্তারের ঠিকানা - কখন, কোথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিবেন

    অনেকেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অর্থাৎ সেরা হোমিও ডাক্তার বা হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র ঢাকা বা দেশের অন্যান্য স্থানে খুঁজে বেড়ান। তবে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে  হবে আপনার রোগের ধরণ অনুযায়ী সুচিকিৎসা পেতে আপনাকে দেশের যেকোন স্থান থেকে প্রয়োজনবোধে ঢাকায়ও আসতে হবে।

    অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রোগ, জটিলতা, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং নিরাময়ে ব্যর্থতার ফলে ক্রমশ সমগ্র বিশ্বেই হোমিওপ্যাথির মতো বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করছে৷ অ্যালোপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লোকজন আজ খুবই বিরক্ত ৷ লন্ডন হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ পিটার ফিসার বলেন যে, লন্ডনের বুকে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা দুরন্ত গতিতে বাড়ছে ৷ হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোর জন্য ব্রিটিশ সরকার বছরে এখন চার মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ করে৷ জটিল এবং দুরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগিদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান৷
    কারণ মানব দেহের অনেক জটিল এবং কঠিন রোগসমূহ নির্মূলের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যা অ্যালোপ্যাথিতে তেমন নেই, এর প্রধান কারণ হলো অ্যালোপ্যাথির ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় পারদর্শী হলেও রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত মেডিসিন এবং কার্যকর ট্রিটমেন্ট নেই। আর তাই তো হোমিওপ্যাথির কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ফলাফল দেখানো সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথিকে উপযুক্ত সম্মান দিতে নারাজ ৷ কারণ, অ্যালোপ্যাথি লবি যথেষ্ট অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ তাদের আশঙ্কা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে থাকা অ্যালোপ্যাথিক রোগীরা যদি হোমিওপ্যাথির দিকে পা বাড়ায়, তাহলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তবে যে যাই ভাবুক না কেন হোমিওপ্যাথি শুধু মাত্র নির্মূল রোগ নির্মূলকারী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায় সমগ্র বিশ্বেই এটি এখন সমান জনপ্রিয়।

    তবে হোমিও চিকিৎসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ দেখা যায় কিছু ক্ষেত্রে প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে না জানার কারণে রোগীরা ভাল ফল না পেয়ে হোমিওপ্যাথিকে দোষ দিয়ে থাকে। অথচ এখানে ডাক্তারের চিকিৎসা দানে ভুল থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দোষটা হোমিওপ্যাথির নয় বরং ডাক্তারের। তাই  প্রযোজন হলে এক ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না পেলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন। 
    বিস্তারিত