পুরুষত্বহীনতা অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে আমাদের দেশে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং তার সাথে বাড়ছে ডিভোর্সেরও পরিমান।
কিন্তু কি কারণ রয়েছে পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে সক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই। হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোন একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
- ইরেকশন ফেইলিউর:- পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
- পেনিট্রেশন ফেইলিউর:- লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যোনিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া
- প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন:- সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।
থাকতে পারে অনেকগুলো কারণ:-
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো- ডায়াবেটিস, লিঙ্গে জন্মগত কোন ত্রুটি, সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌনরোগ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে। আবার অতিরিক্ত যৌন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মাস্টারবেট বা হস মৈথুন করা, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না। এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন:-
- প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন। এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লিজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী।
- আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
- নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
- সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সেক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
- যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন। মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা পর্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী কি করবেন না:-
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
- যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হবেন না বা কোন টোটকা ব্যবহার করবেন না। কোন তেল বা ওষুধ কিছুই ব্যবহার করবেন না হাতুড়েদের কথায় প্রভাবিত হয়ে। তাহলে আগে আপনার যেটুকু ছিল সেটুকুও হারাতে পারেন। তাতে সমস্যাটা আরো জটিল আকার ধারণ করবে।
- বাজারে সাময়িকভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে। তাই সময় থাকতে সাবধান হন।
হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা:- আপনি ইরেকশন ফেইলিউর, পেনিট্রেশন ফেইলিউর, প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন যেটাতেই আক্রান্ত হন না কেন হোমিওপ্যাথিক প্রপার ট্রিটমেন্ট এ অবশ্যই পুরোপুরি সেরে উঠবেন এবং নব যৌবন লাভ করবেন। শুধু তাই নয় যখন একবার এ সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে সেটা আর দ্বিতীয় বার দেখা দিবে না। অর্থাৎ সমস্যাটি যেমন আগে আপনার মধ্যে ছিল না। কিছু বদ-অভ্যাসের কারণে আপনার মধ্যে সেটি আস্তানা গেড়েছিল ঠিক তেমনি সেগুলো দূর হয়ে যাবার পর আপনি আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন।
কারণ হোমিও ঔষধ রোগের রুট লেভেল থেকে তাকে চিরদিনের জন্য পুরোপুরি নির্মূল করে দেয়। তাই শুধু যৌন স্বাস্থের জন্য নয় আপনার যে কোনো অসুস্থতায় হোমিওপ্যাথিকে অগ্রাধিকার দিন। হোমিও ঔষধ শুধু মানুষের রোগ ভালো করে না সাথে সাথে মানুষের জীবনী শক্তিও বাড়ায়, বিশেষ করে যে সকল শিশুদের ছোট কালে কোনো প্রকার অসুস্থতায় হোমিও ঔষধ খাওয়ানো হয়, দেখা গেছে তারা উচ্চ জীবনী শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠে এবং পরবর্তিতে খুব কম রোগাক্রান্ত হয়।
কারণ হোমিও ঔষধ রোগের রুট লেভেল থেকে তাকে চিরদিনের জন্য পুরোপুরি নির্মূল করে দেয়। তাই শুধু যৌন স্বাস্থের জন্য নয় আপনার যে কোনো অসুস্থতায় হোমিওপ্যাথিকে অগ্রাধিকার দিন। হোমিও ঔষধ শুধু মানুষের রোগ ভালো করে না সাথে সাথে মানুষের জীবনী শক্তিও বাড়ায়, বিশেষ করে যে সকল শিশুদের ছোট কালে কোনো প্রকার অসুস্থতায় হোমিও ঔষধ খাওয়ানো হয়, দেখা গেছে তারা উচ্চ জীবনী শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠে এবং পরবর্তিতে খুব কম রোগাক্রান্ত হয়।
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার