যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৩

কানা ইকবাল যেভাবে হারবাল সম্রাট

বেশি দিন আগের কথা নয়। ঢাকার ফুটপাতে ফেরি করে বিক্রি করতেন যৌন রোগের বড়ি। বাসে বাসে ঢোল কোম্পানির দাদের মলম বিক্রি ছিল তার রুটি-রুজির বড় মাধ্যম। তখন এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপোস থাকতো পরিবার। মাথাগোঁজার ঠাঁইও ছিল না। পয়সার অভাবে হেঁটেই আসা-যাওয়া করতেন এখানে-সেখানে। লেখাপড়াও জানতেন না। নাম ছিল কানা ইকবাল। সবাই এই নামেই চিনতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। তার দিন পাল্টে গেছে। বদলে গেছেন তিনি নিজেও। নিঃস্ব থেকে কোটিপতি। গাজীপুর শহরের কোনাবাড়ির আহমদ প্লাজায় কিনেছেন ২০ লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট। থাকেন শিল্প এলাকা কোনাবাড়ির একটি বাসায়।

এর পাশেই আছে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কাঠা জমি। এখানেই শেষ নয়। রাজধানী ঢাকাসহ গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আছে তার ৯টি দাওয়াখানা বা ‘হারবাল সেন্টার’। তিনি একেক দিন চেম্বার করেন একেক জায়গায়। আর এই চেম্বারগুলোতে যাওয়া-আসার জন্য বাহন হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘র‌্যাভ-৪’ জিপ গাড়ি। এসব সম্ভব হয়েছে কেবল ‘হারবাল কেরামতি’র জোরে। প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন হারবাল সম্রাট হিসেবে। চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর ভুয়া পরিচয় ব্যবহারকারী এ হারবাল সম্রাটের নাম ইকবাল হোসেন। প্রতিষ্ঠানিক কোন সনদ নেই তার। নেই কোন মেডিকেল স্বীকৃতিও। তবুও নামের আগে-পেছনে ব্যবহার করেন ‘ডাক্তার’ ‘কবিরাজ’।

নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘গোল্ডেন মেডেল’ প্রাপ্ত শব্দটি। কানা ইকবাল নামটাও মুছে ফেলেছেন নানা কৌশলে। হারবাল আয়ুর্বেদ ইউনানী চিকিৎসার নামে তিনি মাকড়সার মতো ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রতারণার জাল। আর এ জালে আটকে পড়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সমপ্রতি মানবজমিন থেকে তার সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিলে বেরিয়ে আসে এমন সব তথ্য। ইতিমধ্যে তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন অনেকে পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিকারের পরিবর্তে উল্টো ব্ল্যাক মেইলিং আর মামলার শিকার হয়েছেন। বলেন, কেউ তার বিরুদ্ধে গেলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। মামলায় জেল খাটতে হবে। কখনও প্রাণনাশের হুমকিও দেন। তাদের অনেকে তার দায়ের করা মামলায় আটক হয়েছেন। কথামতো তিনি বিরুদ্ধাচরণকারীদের খাইয়েছেন জেলের ভাত। গত ১৯শে জুন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও লিখিত নালিশ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও থামছে না মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।

হারবাল সম্রাট ইকবাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। এখন গাজীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। অভিযোগ আছে, তিনি কয়েক বছর ধরে গড়ে তুলেছেন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র। তার নেতৃত্বেই চক্রের লোকজন রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হারবালের নামে প্রতারণা চালাচ্ছে। নানা জায়গায় ফেরি করে বিক্রি করছে তার তৈরী ভুয়া হারবাল ওষুধ। যানবাহনে, অলিতে-গলিতে এরাই তার ‘ক্যানভাসার’ হয়ে নিরীহ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে এসব। আর হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তিনি সকল প্রকার রোগের ওষুধ প্রস্তুতকারী। ওষুধ তৈরির জন্য কাকতালীয়ভাবে ভাগিয়ে নিয়েছেন ওষুধ প্রশাসনের লাইসেন্সও। তিনি নিজেই ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসা করেন মারাত্মক যৌনরোগ, কিডনি, ক্যান্সার, এইচআইভি ভাইরাস, এইডসসহ জটিল সব রোগের। নিরাময়ের ক্ষেত্রে দেন শতভাগ নিশ্চিয়তা। সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে মুখরোচক গল্প ও ডিগ্রির কথা বলেন।

ইকবালের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে তাকে ছায়ার মতো নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন আসাদুজ্জামান আনিস ওরফে লেংড়া আনিস নামের আরেকজন। তিনিই ‘সিটি সমাজকল্যাণ সংস্থা’র (রেজি. নং-ঢ-০৩৮৯৫) নাম করে অর্থের বিনিময়ে মডেল বিতরণ করেন। আনিস থাকেন রাজধানীর সূত্রাপুরের ঋষিকেশ দাস রোডে। তিনি নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটাতে জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ এডভোকেট ও এমপি আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুরের এমপি মেহের আফরোজ চুমকির নাম ব্যবহার করেন। ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ইকবালের রয়েছে বিভিন্ন নামে দাওয়াখানা। এগুলো হচ্ছে ঢাকার বারিধারার নন্দন বাস স্ট্যান্ডে কলিকাতা হারবাল সেন্টার, রামপুরার পূর্ব হাজিপাড়ায় ভারত মেডিকেল হারবাল সেন্টার, আবদুল্লাহপুরে মডার্ন হারবাল রিসার্চ সেন্টার, মিরপুর শাহ আলীতে কলিকাতা হারবাল রিসার্চ সেন্টার, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে কবিরাজঘর ভারত, ইসলামীয় দাওয়াখানা, বাসন সড়কে কবিরাজঘর দিল্লি, কোনাবাড়ীতে লন্ডন হোমিও হেলথ কেয়ার সেন্টার এবং কালিয়াকৈরের মৌচাকে কবিরাজঘর মাদ্রাজ।

সবগুলোর মালিকই তিনি। সেগুলোতে বসেন তার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী। এ প্রতিষ্ঠানে যে বা যারাই চাকরি করতে আসেন, তিনি হোন কর্মচারী অথবা অন্য যে কোন পদে। তাকে তিনি পরিচয় দেন ‘কবিরাজ’ ‘ডাক্তার’ বলে। তার সেন্টারগুলোতে বসলেই এরকম সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এসব সেন্টারে যেসব মহিলার সন্তান হয় না তাদের চিকিৎসা করেন তিনি। তার দাওয়াখানাগুলোতে হামদর্দ, সাধনা, শক্তি, এপি- এসব কোম্পানির ওষুধ সাজিয়ে রাখা হয়। ইকবাল ও আনিস অবাধ্যদের বা কাউকে শায়েস্তা করতে নেন ভিন্ন উপায়। ব্ল্যাক মেইল করতে ‘নারী’ হাতিয়ার ব্যবহার করেন। এজন্য আনিসের আছে ‘ধর্মের বোন’ নামে এক নারী সহযোগী। কখনও তাকে স্ত্রী পরিচয় দেন তিনি। তিনি পেশাদার প্রতারক। নিজেকে কখনও কবি, গীতিকার, ছড়াকার, অভিনেতা, গায়ক এমনকি সাংবাদিকও পরিচয় দেন। অভিযোগ আছে, তাদের দু’জনই সরকারের লোক ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ছবি তুলে তা প্রভাব চালানোর কাজে ব্যবহার করেন। তাদের হারবাল সেন্টারগুলোতে ঝুলছে এসব ছবি। কৌশলে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে তাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা বাঁধাই করে রাখেন দোকানে দোকানে।

এসব লোকজনকে ভয় দেখাতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। ইকবাল তার প্রচারপত্রে জীবন-যৌবনের শেষ চিকিৎসা বলে তার দাওয়াখানাগুলোতে আসার আহ্বান জানান। ওগুলোতে নিজেকে এমডিইউএইচসিবি (ঢাকা), কিউভিসিবি (ঢাকা) ইত্যাদি ডিগ্রিধারী বলে প্রচার করেন। এছাড়া চর্ম, যৌন, সেক্স, কামশাস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (ভারত) হিসেবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করেন। এমনকি জাদুটোনারও তদবির করেন তিনি। প্রতারণার একটি কৌশল হচ্ছে, বিফলে মূল্য ফেরত। তার প্রচারপত্রে আছে ‘প্রয়োজনে বোর্ড বসাইয়া কলিকাতা, ভারত, লন্ডন, মাদ্রাজ, দিল্লি প্রভৃতি স্থান হইতে হেকিম/কবিরাজ এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’ আর এমন মিষ্টি ও প্রচারণায় প্রতারিত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এখনও হচ্ছেন। এদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এমন একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার কাছে গেলে মনে হয় রাতারাতি বুঝি সুস্থ হওয়া যাবে। ২০১০ সালে দাওয়াখানাতে পার্ট টাইম চাকরি নিয়েছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম আবদুল আউয়াল। প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সরে আসেন।

কিন্তু অসাধু ব্যবসা সম্পর্কে জেনে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ঠোকেন ইকবাল। জেলও খাটেন আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ফলে এলাকা ছেড়ে তাকে রীতিমতো পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এই অভিযোগ এনে গত ২৩শে মার্চ কালিয়াকৈর থানায় তিনি একটি জিডি (নম্বর-৯৬৪) করেন ইকবালের বিরুদ্ধে। তার দাওয়াখানায় কাজ করেছেন এমন অনেকেই জানিয়েছেন, ইকবাল ইয়াবা টেবলেটের গুঁড়া মিশিয়ে যৌনরোগের ওষুধ তৈরি করেন। অনেক বড়ি আছে যেগুলোতে ভায়াগ্রাও ব্যবহার করেন। এগুলো তিনি ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসেন। এসব রোগ সারাতে কারও কারও কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকাও নিয়ে থাকেন। ইকবাল বাজার থেকে বিভিন্ন ওষুধ কিনে লেভেল পাল্টিয়ে তার দোকানের নামে চালিয়ে দেন।

প্যারাসিটামল গুঁড়িয়ে নতুন বড়ি তৈরি করে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন। মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপকালে ইকবাল হোসেন প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন, এটা ষড়যন্ত্র। তিনি বৈধভাবে এবং প্রকৃত হারবাল চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। প্রতারণা করে কোন কিছুর মালিক হননি। এমনকি তার কোন সম্পত্তিও নেই। থাকেন ভাড়া বাসায়। তার অভিযোগ, কিছু মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, সম্ভবত এরা তার বিপক্ষে লেগে অপপ্রাচার চালাচ্ছে। বিদেশ থেকে বোর্ড বসানো বা অন্য কোম্পানির ওষুধ দিয়ে নিজে ওষুধ তৈরি করার বিষয়টিও সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী। জানান, এটি কবিরাজি চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট। টেলিফোনে আলাপকালে বিস্তারিত কথা বলতে গাজীপুরে আমন্ত্রণ জানান তিনি। বলেন, আমি অসুস্থ। কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে চোখের দু’টি কর্নিয়া এনে লাগিয়েছি। এখানে এলে দুই ভাই বসে চা খেয়ে সাক্ষাতে আলাপ করা যাবে।
তথ্যসুত্র :- মানবজমিন

কানা ইকবাল যেভাবে হারবাল সম্রাট ডাক্তার আবুল হাসান 5 of 5
বেশি দিন আগের কথা নয়। ঢাকার ফুটপাতে ফেরি করে বিক্রি করতেন যৌন রোগের বড়ি। বাসে বাসে ঢোল কোম্পানির দাদের মলম বিক্রি ছিল তার রুটি-রুজির বড়...

সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।

ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।

১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশ
ফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।

পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা

  • শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
  • প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
  • পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
  • পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
  • রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
  • বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
  • বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
  • অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
  • উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
  • সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
  • স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম

স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা

  • নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
  • জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
  • নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
  • ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
  • থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
  • এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
  • পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
  • সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
  • ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
  • জরায়ু নিচের দিকে নামা
  • নারীদের অনিয়মিত মাসিক
  • ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার