শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

জান্নাতে একজন লোকের জন্য স্ত্রী ও হূর থাকার আপত্তিকারী মহিলার জবাব

জান্নাতে স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারে কী ঘটবে? শুনেছি একজন স্ত্রী ছাড়াও স্বামীর জন্য সত্তরটি হূর থাকবে তার খেদমতের জন্য, এটা আমার জন্য ইনসাফের বিষয় হতে পারে না, যদি স্বামীর সম্ভাগে এ পদ্ধতিতে অন্যকে শরীক করা হয়।
বিস্তারিত

ইসলামিক শরীয়ত এবং বর্তমানে বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা

বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবাহ করা নবীগণের (আলাহিসসালাতু আসসালাম) সুন্নাত। রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
যে বাক্তি বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (দারিমী-কিতাবুন নিকাহ)
ইমাম রাগিব বলেনঃ
বিয়েকে দুর্গ বলা হয়েছে,কেননা(বিয়ে) স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সকল প্রকার লজ্জাজনক কাজ থেকে দুর্গবাসীদের মতোয় বাচিয়ে রাখে। (মুফরাদাত)
তবে এই পবিত্র কর্ম পালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে কিছু কু-প্রথা মানা হয়।যা কিনা অনুচিত।আসুন নবীগণের(আলাহিসসালাতু আসসালাম) এই সুন্নাত কে সুন্নাত তরীকায় পালন করি।
বিস্তারিত

স্থায়ী দাম্পত্যের জন্য বিবাহপূর্ব পরামর্শ গ্রহণ করুন

সম্প্রতি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মানুষের দাম্পত্য নিয়ে নানা সমস্যার কথা শুনলাম। অতিথিরা যখন নেচে গেয়ে অনুষ্ঠান মাত করছিল, হলের একদম পেছনের দিকে বসে বসে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন আর অপূর্ণ প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছিল। গানবাজনার উচ্চ শব্দের কারণে পরস্পরের কথা শোনার জন্য মাঝে মাঝে আমাদেরকে চিৎকার করে কথা বলতে হচ্ছিল। একজন কমবয়সী নারী বললেন, তার স্বামী তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দেবেন না। উপস্থিত আরেক বান্ধবী শশুরবাড়ির লোকজনের সাথে কীভাবে চলতে হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন। এক মা কাঁদতে কাঁদতে তার মেয়ের সম্ভব্য বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বললেন। তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে ঘরে তুলতে কেমন লাগবে সেই অনুভূতির কথাও বললেন।
বিস্তারিত

ইসলামে নারীর যৌন অধিকার

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
ইসলামের সমালোচকরা অনেকে বুঝাতে চান যে ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন মূল্য নাই, বরং এই ব্যাপারে পুরুষকে একতরফা অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুরুষ যখন ইচ্ছা তখন যৌন চাহিদা পূরণ করবে আর স্ত্রী সেই চাহিদা পূরণের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে। এই ধারণার পেছনে কুরআন আয়াত এবং হাদিসের অসম্পূর্ণ পাঠের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত কুরআনের কিছু আয়াত বা কিছু হাদিস দেখে কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, বরং তা অনেক ক্ষেত্রেই পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে। কোন বিষয় সম্পর্কে ইসলামের শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে হলে সেই সংক্রান্ত কুরআনের সবগুলো আয়াত এবং সবগুলো হাদিসকেসামনে রাখতে হবে। যা হোক, আমার এই লেখার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু দেখানো ইসলামে নারীদের যৌন চাহিদার কোন স্বীকৃতি আছে কি-না। আসুন চলে যাই মূল আলোচনায়।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

যৌন সমস্যা কোন দেশের পুরুষদের বেশি হয় !

কোন দেশের পরুষদের যৌন সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এর সঠিক কোন উত্তর আমার জানা নেই। তবে কোন দেশের পুরুষরা যৌনতা নিয়ে বেশি চিন্তিত তার একটা পরিসংখ্যান আমি আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আমি হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা নিয়ে লেখালেখি করি সেই ২০০৭ সাল থেকে। আমার ইংরেজি ভাষার শুধু  মাত্র একটা ব্লগের পরিসংখ্যান থেকে কিছু ডাটা আজ আপনাদের দেখাবো। হোমিওপ্যাথি ফর হ্যাপি লাইফ এর ট্রাফিক সোর্স এর ডাটা থেকে আমি দেখেছি যে,  সবচেয়ে বেশি সার্চ দিয়ে ট্রাফিকরা আসেন "যৌন সমস্যার সমাধান বিষয়ক লেখা গুলোতে" ।
বিস্তারিত

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩

অবিবাহিত মেয়েদের শ্বেত প্রদর বা সাদা স্রাব, রক্ত প্রদর নির্মূলে হোমিওপ্যাথি

আজ দুই বছর আগের একটা গল্প শোনাব আপনাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে গ্রাম থেকে আমার এক আত্মীয়া। বয়স ১৮ এর কিছু বেশি হবে। সে আসার পর তার মা আমাকে বিস্তারিত ফোন করে জানায়। দুর্দান্ত কষ্টকর প্রদরে আক্রান্ত। যাই হোক তাকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে লজ্জায় বলতে চায় না। তার পর আমি কয়েকটি প্রশ্ন করলে সে আমাকে কাগজে লিখে বিস্তারিত জানায়। আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য আমি হুবহু তার লেখাটি নিচে লিখলাম :
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৩

মেয়েদের দেরিতে বা অনিয়মিত পিরিয়ডে হোমিওপ্যাথি

মহিলাদের জীবনে দু’তিনটি পর্বে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে মেনাকি বা মেন্সট্রুয়েশন শুরুর সময়ে। তখন ওভারি ততটা পরিপকস্ফ হয়ে ওঠে না বলে তার পূর্ণ কর্মক্ষমতা দেখা যায় না। খেয়াল করলে দেখবেন ডেলিভারির পর ৩-৪ মাস পিরিয়ড একটু অনিয়মিত থাকে, তবে সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং করালে এ পর্বটা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। আর এ তো সবারই জানা যে মধ্য বা শেষ-চল্লিশে ওভারি প্যাক আপ করার জন্য তৈরি হয়।
বিস্তারিত

নি:সন্তান দম্পতিদের জন্য কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

বিবাহিত দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার বিড়ম্বনা সব সমাজেই বিদ্যমান। সাধারণত ২০-৩৫ বছর বয়স্ক দম্পতিরা একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবনযাপন করে এবং কোনো প্রকার জন্মনিয়ন্ত্রণের সাহায্য না নিয়ে যদি এক বছরের মধ্যে সন্তান উৎদপাদনে সক্ষম না হন তাহলে তাদের বìধ্যত্ব হয়েছে বলা যাবে। যদি স্ত্রীর বয়স ২৫ কিংবা তার বেশি হয়, তাহলে সময়সীমা (দাম্পত্য জীবন) হবে ছয় মাস। এক সমীক্ষায় জানা যায়, ২০-৪০ বছর বয়সের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ২০ শতাংশ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম।
বিস্তারিত

নারীদের ঋতুচক্র ও প্রজনন

একটি ছোট মেয়ে মহিলা হয়ে উঠছে। এর লক্ষণ যেমন স্তন বড় হওয়া বা বগলে ও যৌনাঙ্গে কেশ জন্মানো, তেমনই একটি সমসাময়িক ঘটনা হচ্ছে তার রজঃস্বলা বা ঋতুমতী হওয়া বা তার মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হওয়া। অনেক সময়ই সাধারণ ভাষায় এই অবস্থাকে ‘শরীর খারাপ’ এমনকি 'অশুচি' ইত্যাদি অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দেওয়া হয়। আসলে এ অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, যা না ঘটলে অস্বাভাবিক মনে করতে হবে।
বিস্তারিত

পুরুষের বীর্যের যাবতীয় তথ্যদি

এটা আগেই জেনে রাখা ভালো যে বীর্য শুধুমাত্র পুরুষের প্রজননতন্ত্র থেকে নির্গত হয়। নারীর বীর্য বলে কোন কিছু নেই। নারীর কখনো বীর্য নির্গত হয়না। তবে যেহেতু নারীর যৌনাঙ্গ এবং মুত্রথলি খুব কাছাকছি অবস্থিত এবং মিলনকালে মুত্রথলিতে যথেষ্ট চাপ পড়ে তাই মিলনে পুর্নতৃপ্তিতে শেষের দিকে সামান্য পরিমান প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে যাকে পুরুষ/নারী অজ্ঞতাবশত বীর্য বলে ধরে নেন।
বিস্তারিত

মেয়েদের মুত্রনালির সংক্রমণ এ করণীয়

মুত্রনালির সংক্রমণ ও প্রদাহ বলতে সাধারণত মুত্রথলির ও মুত্রদ্বারের সংক্রমণকে বোঝায়, যা সময়মতো চিকিৎসা না করালে মুত্রনালি বা ইউরেটার এবং বৃক্ক বা কিডনির সংক্রমণ ও প্রদাহে রুপ নিতে পারে।

মুত্রনালির সংক্রমণ খুব বেশি দেখা দেয় মেয়েদের মধ্যে। কারণ, মেয়েদের ক্ষেত্রে মুত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি অবস্হান করে। মেয়েদের যোনিপথে নানা কারণে সংক্রমণ ও প্রদাহের সৃষ্টি হয় খুব সহজেই। যেমন ধরুন মাসিক ঋতুস্রাবের সময় যোনিপথে রক্তক্ষরণ হয় এটা একটা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। কিন্তু রক্তে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর বংশবৃদ্ধির জন্য খুবই উপযুক্ত মাধ্যম। মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেকক্ষেত্রে মেয়েরা ময়লা, ছেঁড়া ও নোংরা নেকড়া জাতীয় কাপড় স্ত্রী-অঙ্গে ব্যবহার করেন, এতে জীবাণু প্রথমে যোনিপথে ও পরে তৎসংলগ্ন মুত্রনালিকে সংক্রমিত করে।
মেয়েদের মুত্রনালির সংক্রমণ এ করণীয়
এরপর আসুন প্রসবজনিত স্বাস্হ্যসমস্যা প্রসঙ্গে। এ সময় যোনিপথে সন্তান প্রসবের কারণে নানা প্রকার ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং রক্তক্ষরণ ও রস নিঃসৃত হয়। শারীরিক দুর্বলতার জন্যও এ সময় জীবাণু সহজেই শরীরকে কাবু করে ফেলে। আগেই বলেছি রক্তমিশ্রিত রস জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ও বিস্তারে অত্যন্ত সহায়ক। তাই এ সময় জরায়ু ও যোনিপথের প্রদাহ ও সংক্রমণের সঙ্গে মুত্রনালির সংক্রমণটা ঘটা খুবই স্বাভাবিক।

গর্ভবতী অবস্হায় ও প্রসব-পরবর্তী প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এ সময় পানি কম খেলে মুত্রনালির প্রদাহ ও সংক্রমণ বেড়ে যায়। কারণ গর্ভকালে মেয়েদের শরীরের প্রোজেসটেরন (Progesteron) নামক এক প্রকার স্ত্রী হরমোন খুব বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়। এ হরমোনের প্রভাবে শরীরের নরম ও মসৃণ মাংসযুক্ত নালিগুলো সম্প্রসারিত হয়, ফলে মুত্রবাহী নালিও সম্প্রসারিত হয়। এর ফলে ওই সময় পানি কম খেলে প্রস্রাবের বেগ আরো কমে যাবে এবং প্রস্রাবের কিছুটা তলানি (Residual urine) সবসময় মুত্রবাহী নালিতে জমে থাকার আশঙ্কা থাকবে, যা জীবাণু বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক। তাই গর্ভাবস্হায় প্রস্রাবের প্রদাহ এবং মুত্রনালির সংক্রমণ ও প্রদাহ বেশি হয় অন্য সময়ের চেয়ে।

লক্ষণ:
  • মুত্রনালি এবং বৃক্ক বা মুত্রগ্রন্হির বা মুত্রথলির প্রদাহ হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করবে।
  • প্রস্রাব পরিমাণে কম হতে পারে।
  • খুব ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হবে।
  • তলপেটে ব্যথা ও যন্ত্রণা হবে। প্রস্রাব করার পরও রোগিনী অস্বস্তি ও যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবে না এবং বারবার সে বাথরুমে ছুটে যাবে কিংবা দীর্ঘসময় প্রস্রাবের জন্য বসে থাকবে।
  • কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হবে এবং জ্বরের সময় বেশ শীত ভাব অনুভুত হবে।
  • রোগিনী বেশ অসুস্হ ও দুর্বল থাকবে।

প্রতিকার কী?

এ প্রদাহ বা সংক্রমণের প্রকোপকে অতি সহজেই প্রতিকার করা সম্ভব। আর তা হলো একটিমাত্র সহজ উপায়ে এবং এতে কোনো টাকা-পয়সাও খরচ করতে হয় না। আজকের দুর্মুল্যের বাজারে টাকা-পয়সার কথাটাও ভাবতে হবে বৈকি। এ আপাত সহজ অথচ মারাত্মক পরিণতির হাত থেকে রেহাই পাবার একমাত্র উপায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। সারাদিন অন্তত ১৫/২০ গ্লাস পানি বা পানিজাতীয় খাবার খাবেন, যেমন ধরুন শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি। ডাব প্রস্রাবের বা মুত্রনালির সংক্রমণ প্রতিকারে খুবই উপকারী।

এছাড়া মাঝে মধ্যে প্রস্রাবের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা উচিত কোনো প্রকার জীবাণু সংক্রমণ আছে কি না। বিশেষ করে গর্ভাবস্হায় নিয়মিত চেকআপ করানো এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন এবং সুগার আছে কি না তাও অবশ্যই দেখতে হবে।

মুত্রনালির সংক্রমণে ক্ষতির আশঙ্কা

মুত্রনালির প্রদাহে ও সংক্রমণে শরীরে সমুহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ জাতীয় প্রদাহ ও সংক্রমণে আস্তে আস্তে কিডনি বা বৃক্ক আক্রান্ত হয়ে কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট করে ফেলতে পারে। এছাড়া জ্বরের প্রকোপে ও প্রস্রাবের অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণায় রোগিনী খুব দুর্বল ও ভগ্নস্বাস্হ্য হয়ে পড়ে। এটি বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে, মুত্রনালি সংক্রমণের চিকিৎসা যথাসময়ে না করালে কিডনি নষ্ট হয়ে যাবার এবং রোগিনীর প্রাণনাশের সমুহ আশঙ্কা থাকে।

মুত্রনালি প্রদাহ ও সংক্রমণ খুবই ছোঁয়াচে রোগ এবং এ রোগের জীবাণু খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। মুত্রনালির, মুত্রথলির বা কিডনির কোনো প্রকার প্রদাহ ও সংক্রমণ যাতে না হয় সেজন্য সামান্য সতর্কতাই যথেষ্ট। যেমন সব সময় প্রচুর পানি পান করা, গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত চেকআপ করানো এবং প্রদাহ বা সংক্রমণের সামান্য লক্ষণ প্রকাশ পেলে সত্বর চিকিৎসার ব্যবস্হা নেয়া উচিত। এতে আমরা সুস্হ থাকব এবং কিডনি হারানোর মতো গুরুতর বিপত্তির হাত থেকে রক্ষা পাব।
বিস্তারিত

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথায় করণীয়

মেয়েদের মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা আমাদের দেশে একটা সাধারণ ব্যাপারই বলতে হয়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়। কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করে করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।

এছাড়া আরেকটা পদ্ধতি আছে- সিজ বাথ। ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও সপ্তাহে টানা ৩/৪দিন নিতে হবে। শুধু পানি বা পানিতে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়।
মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথায় করণীয়
আরেকটা পদ্ধতি আছে- কেজেল ব্যায়াম। এটাও খুব উপকারী।এগুলো করলে যোনি মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে।

কেজেল ব্যায়াম/কেজেল এক্সারসাইজ

কেজেল ব্যায়াম/কেজেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। এখানে কেগেল ব্যায়াম কিভাবে সঠিক ভাবে করতে হয় তার একটা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়ার চেষ্টা করা হলো।

কেগেল ব্যায়াম শ্রোর্ণী মেঝের পেশীকে দৃঢ এবং শক্তিশালী করে যাজরায়ু, মূত্রথলি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। আপনি প্রায় যে কোনো সময়ে শুয়ে বা বসেকেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও করা যেতে পারে। কেন কেগেল ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ- সেটা আগে বুঝতে হবে।

অনেক কারণে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসব, বয়স বৃদ্ধি, এমনকি মুটিয়ে গেলে বা ওজন বৃদ্ধি পেলেওএমন হতে পারে। এ কারণে শ্রোণী অঙ্গ থেকে যোনির অনেক পেশী ঢিলা হয়ে নিচেরদিকে নেমে যেতে পারে। এতেপ্রস্রাবের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া সহআরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কেগেল ব্যায়াম কিছু অবশ্যম্ভাবী ঘটনাকে বিলম্বিত করে, শ্রোর্ণী অঙ্গ স্থানচ্যুতি এবং সম্পর্কিত উপসর্গ প্রতিরোধ করে আপনার তারুণ্য অনেকদিন ধরে রাখতে পারে। এছাড়া যাদের চরমপূলক লাভে সমস্যা হয় তাদের জন্যও এটা উপকার হতে পারে।কিভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে হয়- সেটা জানার আগে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশী চিহ্নিত করে নিতে হবে এবং কিভাবে পেশী সংকুচন এবং প্রসারণ করতে হয়।

প্রথমে পেশী খুঁজে নিতে হবে। যোনির ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তী পেশীগুলো সংকুচন করার চেষ্টা করুন। আপনার যোনি আঁটা এবং আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশীগুলো ঊর্ধ্বাভিমুখী মনে হবে। তারপর পেশী শিথিল করে দিন। দেখবেন শ্রোণীপেশীগুল আবার আগেরঅবস্থানে ফিরে এসেছে।

প্রস্রাব করার সময় দু-একবার প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করে দিন। সফলহলে বুঝলেন প্রাথমিক ধাপটা পার হতে পারছেন। (প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করাটা বার বার বা অভ্যসে পরিনত করবেন না।) মূত্রথলি পরিপূর্ণ অবস্থায় বা প্রস্রাব করার সময় কেগেল ব্যায়াম করবেন না। এতে পেশী আরো শিথিল হয়ে যাবে বা প্রস্রাব করা অপূর্ণ থেকে যাবে যা মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এবার পূর্ণ পদ্ধতি। শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর অবস্থান নির্ণয় করা হয়ে গেলে বা বুঝতে পারার পর মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করবেন। তারপর চেয়ারে বসে বা মেঝে/বিছানায় শুয়ে পড়বেন। পেলভিস মাসল সংকুচন করুন। ৫ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। ৫ সেকেণ্ড পরেশিথিল করে দিন। এভাবে একটানা ৪/৫ বার করুন। এভাবে ধীরে ধীরে ৫ সেকেণ্ডের জায়গায় ১০ সেকেণ্ড করে করার চেষ্টা করুন।

শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য শুধু পেলভিস মাসলের উপরই মনোযোগ দেবেন। খেয়াল রাখবেন- পেটের পেশী, উরু, নিতম্বের পেশীতে যেন টান না পড়ে বা সেগুলো সংকুচিতনা হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে বা বন্ধ রাখবেন না। স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস নেন, এই ব্যায়ামের সময়ও সেভাবে নেবেন।

ব্যায়ামটি ১০ বার পুনরাবৃত্তি করে ৩ টি সেটকরবেন এবং দিনে ৩ বার করার চেষ্টা করবেন। এজন্য আলাদা সময়ের দরকার নাই। অন্যান্য কাজের ফাঁকেই এটা করতে পারেন। যেমন কম্পিউটারের কাজ করার সময় বা সোফায় বসে টিভি দেখার সময়, বিছানায় গড়াগড়ি দেয়ার সময়।ব্যায়ামটি চেষ্টা করেও করতে না পারলে লজ্জিত হবার কিছু নাই। এখানে প্রশ্ন করতে পারেন বা আপনার ডাক্তারের পরামর্শনিতে পারেন।

যদি একাগ্রতার সাথে সঠিক ভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আর ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হবে না। সেক্সের সময় যোনি মধ্যে ব্যথা কমে যাবে, বেশীক্ষণমিলিত হতে পারবেন, মিলনে আগের চেয়ে বেশী সুখানুভূতি হবে। আরো অনেক সুবিধা পাবার জন্য এটা করা অব্যাহত রাখা উচিত।
ভিডিও টি দেখুন:
আমাদের দেশের অনেক মেয়েদেরই শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এরকম সমস্যা বেশি হয়। একে একে এই পদ্ধতিগুলোর কথা সবাইকে বলে দিন। একজন আরেকজনকে বলে দিন। এই অবাঞ্চিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকুক আমাদের নারী সমাজ।
বিস্তারিত

টিভি খুললেই অশ্লীল বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক

বিনোদনের অন্যতম উপকরণ টিভি। আর তা খুলতেই অশ্লীল বিজ্ঞাপনে বিব্রত দর্শক। এটা টিভি চ্যানেল না হলেও অনুমোদনহীন দর্শকদের আকৃষ্ট করা ক্যাবল নেটওয়ার্কদের বাণিজ্যিক ভিডিও চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচারণা। এ প্রচারণায় দেয়া হয় না সরকারি কর। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না দর্শক গ্রাহকরা। অনুমোদনহীন চ্যানেলে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্যাবল নেটওয়ার্কদের সিন্ডিকেট প্রশাসন কর্তৃক মাসোয়ারায় লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপী চলে এ প্রচারণার কার্যক্রম।
বিস্তারিত

কানা ইকবাল যেভাবে হারবাল সম্রাট

বেশি দিন আগের কথা নয়। ঢাকার ফুটপাতে ফেরি করে বিক্রি করতেন যৌন রোগের বড়ি। বাসে বাসে ঢোল কোম্পানির দাদের মলম বিক্রি ছিল তার রুটি-রুজির বড় মাধ্যম। তখন এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপোস থাকতো পরিবার। মাথাগোঁজার ঠাঁইও ছিল না। পয়সার অভাবে হেঁটেই আসা-যাওয়া করতেন এখানে-সেখানে। লেখাপড়াও জানতেন না। নাম ছিল কানা ইকবাল। সবাই এই নামেই চিনতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। তার দিন পাল্টে গেছে। বদলে গেছেন তিনি নিজেও। নিঃস্ব থেকে কোটিপতি। গাজীপুর শহরের কোনাবাড়ির আহমদ প্লাজায় কিনেছেন ২০ লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট। থাকেন শিল্প এলাকা কোনাবাড়ির একটি বাসায়।
বিস্তারিত

ভুয়া চিকিৎসা বাণিজ্য

সারা দেশে যে হারবাল চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোন ভিত্তি। চিকিৎসক হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা হেকিম, ডাক্তার কিংবা বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তারা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আমাদের এবারের প্রতিমঞ্চে উঠে এসেছে ভুক্তভোগী মানুষের কথা। চিকিৎসার নামে মানুষকে প্রতারিত করার নানা ফন্দির ইতিবৃত্ত।
বিস্তারিত

অবাধে চলছে ভুয়া চিকিৎসাবাণিজ্য

চিকিৎসার অপর নাম সেবা। আর সেবাই হচ্ছে ধর্ম। অথচ জীবনরক্ষাকারী এই সেবা নিয়ে প্রতারণার অন্ত নেই। স্বনামধন্য চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বাইরে চিকিৎসার নামে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সাইনবোর্ডসর্বস্ব হেকিম-ডাক্তারেরও অভাব নেই। সরকারিভাবে স্বীকৃত কোনো ডাক্তারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করার সনদ না থাকলেও তারা বড় ডাক্তার কিংবা বিশ্বখ্যাত হেকিম বনে গেছেন। সব রোগেরই চিকিৎসা আছে তাদের কাছে। হোক যত জটিল কিংবা দুরারোগ্য ব্যাধি।
বিস্তারিত

হারবাল চিকিৎসার নামে দেশব্যাপী অপচিকিৎসা প্রতারিত হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠী

বাংলাদেশে ১৫ কোটি লোকের বাস। আর পাস করা ডাক্তার আছেন সাকুল্যে প্রায় চবি্বশ হাজার। দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮৫ ভাগের বসবাস গ্রামাঞ্চলে। কিন্তু পাশ করা ডাক্তারদের শতকরা ৯০ ভাগই বিভিন্ন ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আর্থিক কারণে বসবাস করেন শহরে। গ্রাম এবং শহরে লোকসংখ্যা ও ডাক্তারের অনুপাতে আকাশ পাতাল তফাৎ থাকলেও উন্নত দেশের তুলনায় এবং চাহিদা অনুসারে এদেশে ডাক্তারের সংখ্যা নগন্য।
বিস্তারিত

পলাশবাড়ীতে হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা

পলাশবাড়ীতে হারবাল চিকিৎসার নামে তাদের এ বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। হারবালের দেওয়া এসব ভেজাল ওষুধে রোগমুক্তির বদলে উল্টো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। জানা যায়, বিভিন্ন জটিল রোগের নাম করে ইউনানি, হারবাল, কবিরাজি, তদবির, দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা পলাশবাড়ীতে চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা। এসব কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে রোগ নিরাময় দূরের কথা উল্টো রোগীরা নানারকম শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। যেখানে-সেখানে খোলা হয়েছে কথিত চিকিৎসা কেন্দ্র।
বিস্তারিত

ধুমছে চলছে ইউনানি, হারবাল কবিরাজি-দাওয়াখানার প্রতারণা

বিভিন্ন জটিল রোগের নাম করে ইউনানি, হারবাল, কবিরাজি, তদবির, দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা স্টাইলে চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা। এসব কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে রোগ নিরাময় দূরের কথা উল্টো রোগীরা নানারকম শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই এসব প্রতারকের একচ্ছত্র বাণিজ্যিক দাপট। যেখানে-সেখানে খোলা হয়েছে কথিত চিকিৎসা কেন্দ্র। এগুলোর নেই কোনো স্বীকৃতি, নেই কোনো লাইসেন্স। অথচ এসব কেন্দ্রেই যৌনরোগ, পাইলস, অ্যাজমা, গ্যাস্টিক ও ক্যান্সারসহ জটিল, কঠিন বহুবিধ রোগ নিরাময়ের শতভাগ গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে অহরহ।
বিস্তারিত

ইউনানী-হারবাল ও কবিরাজি দাওয়াখানা পুরোটাই প্রতারণা, হতাশাগ্রস্ত ও সহজ সরল মানুষ প্রতারিত

কক্সবাজার সহ জেলা প্রত্যন্তজনপদে ইউনানী, হারবাল ও কবিরাজি দাওয়াখানায় কথিত চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা । এসব দাওয়াখানায় চিকিৎসা নিয়ে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো হাজার মানুষ শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। পুরো জেলায় এধরনের হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে কয়েক‘শ ব্যক্তি ও অর্ধশত প্রতিষ্ঠান। অনেকে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসা কাজ চালাচ্ছেন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চিকিৎসালয়ের সংখ্যা কত? ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া কতগুলো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ?
বিস্তারিত

যশোরে কবিরাজি - হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারনার ফাঁদ

যশোরে হারবাল আর নানা প্রকার কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে অনিয়ম ও প্রতারনা। সরকারি নিয়মনীতি লংঘন করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হারবাল প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অশ্লীল ভাষায় পত্রপত্রিকা, ডিশ চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও যেখানে সেখানে লিফলেট ছড়িয়ে ব্যবসা জোরদার করছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে পরিবার ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা সমস্যায় কি ঔষধের প্রয়োজন আছে? সাধারণ যৌন দুর্বলতার ঘরোয়া সমাধান

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা সমস্যায় কি ঔষধের প্রয়োজন আছে? প্রায় ৭-৮ মাস আগে চট্টগ্রাম থেকে এক পেসেন্ট আমার ইংরেজি মাধ্যমের ব্লগ থেকে ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে আমাকে তার সমস্যার কথা জানায়। তারপর তাকে আমি আমার ফোন নম্বর দিলে তিনি ফোন করেন। বয়স ৪৩ বছর। ২টা ব্যবসা সামলাতে হয় ভদ্রলোককে। ৩ জন ছেলে মেয়ের বাবা। সব দিক মিলে বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই বেচারার।

আপনিই বলুন এই যে আমাদের শরীরের শক্তির ক্ষয় হচ্ছে প্রতিদিন তার পরিপুর্ণতার জন্য আমরা সেই পরিমান পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করছি কি? স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীর অবসন্ন হয়ে আসার কথা। যৌন শক্তি তো আপনার শরীরেরই একটা অংশ। সেটাতে তো বিঘ্ন ঘটা নিতান্ত স্বাভাবিক। তার জন্য আমাদের কি করা উচিত ?
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা সমস্যায় কি ঔষধের প্রয়োজন আছে? সাধারণ যৌন দুর্বলতার ঘরোয়া সমাধান
যাই হোক তারপর আমি ভদ্রলোককে কিছু পরামর্শ দিলাম। যা সবার জন্যে কাজে আসবে। নিচে আমি সেগুলো উপস্থাপন করলাম। সাধারণ যৌন দুর্বলতায় কি করবেন -
  • সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন সকালে এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। 
  • সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম খান। 
  • নিয়মিত দুধ (বিশেষ করে ছাগলের দুধ) খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। 
  • রাতে অবশ্যই ৬-৭ ঘন্টা ঘুমান। 
নিয়ম গুলো অনুসরন করুন, ইনশা-আল্লাহ যৌন দুর্বলতা কেটে যাবে। অযথা ক্ষতিকর হারবাল, কবিরাজি বা এলোপাথিক High Potency উত্তেজক ঔষধ সেবন করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলবেন না।
জেনে নিন -
আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন পেটে যেন গ্যাস না হয়। পেট যাতে পরিস্কার থাকে অর্থাৎ আপনার নিয়মিত পায়খানায় যেন কোন সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখবেন। তারজন্য প্রতিদিন সকাল বেলায় এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ইসব গুলের ভুসি মিশিয়ে পান করুন, এটি সমগ্র পৃথিবীতে সুপরিচিত। যেকোন পরামর্শের জন্য ২৪ ঘন্টাই আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

দুর্দান্ত হস্তমৈথুন অভ্যাস দূরীকরণে হোমিওপ্যাথি

হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই না অভ্যাসটিই এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। যারা নিদারুন হস্তমৈথুন অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়েছেন এবং ত্যাগ করার জন্য অপ্প্রান চেষ্টা করা সত্তেও ছাড়তে পারছেন না তাদের জন্য আমার আজকের লেখা।
বিস্তারিত

পেনিস বা পুরুষাঙ্গের গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা সমস্যা

এ পর্যন্ত যত ফোন কল পেয়েছি তার মধ্যে প্রায় হাজার খানেক হবে যেখানে পেশেন্টরা একটা অভিযোগই আমায় করেছেন যে তাদের পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এবং এটা নিয়া তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। তাই আজ ভেবেছি এই বিষয়টা নিয়া লিখব এবং প্রকৃত সত্যটা অবিবাহিত তরুণ সমাজের কাছে তুলে ধরব যেন তার ভবিষ্যতে এটা নিয়া বিভ্রান্ত না হয়। আপনার মনে এপর্যন্ত যত প্রকার বদ্ধমূল ধারণা তৈরী হয়েছে সবগুলিকেই মন থেকে মুছে ফেলুন এবং নিচের বিষয় গুলি মনোযোগ দিয়া স্মরণ রাখার চেষ্টা করুন।
পেনিস বা পুরুষাঙ্গের গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা সমস্যা

পুরুষাঙ্গ বিষয়ক তথ্যাদি

  • উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। 
  • তবে আপনার পেনিস যদি লম্বার সর্বনিম্ন 4 (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না। অনেকে আবার এও বলে থাকেন স্ত্রীকে অরগাজম দিতে মাত্র ৩ ইঞ্চি লম্বা পেনিস হলেই যথেষ্ট। 
  • বড় পেনিস মানেই বেশি মজা, কথাটা ঠিক নয় । আপনার ডিউরেশন কত সেটাই আসল । স্বাভাবিক টাইম ৭-১০ মিনিট। 
  • পেনিস কখনই একেবারে সোজা হয়না । একটু বাকা থাকেই । 
  • পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এটা কোন সমস্যা নয় । অপপ্রচারের ফলে সবারই এটা একটা ভুল ধারনা হয়ে গেছে । 
  • কোন যাদুকরী তেল বা মালিশ পেনিস তেমন বড় করতে সক্ষম নয় । এগুলা ভুয়া । তবে সতেজ রাখার বা করার জন্য মালিশ বা ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারেন আমরা যেমন শরীরের ত্বক সতেজ রাখার জন্য সরিষার তেল বা অনান্য প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। 
  • বেশি বড় পেনিস হলে মেয়েরা মজা পাওয়ার বদলে ব্যাথা পায় । এমনকি সেটা যৌন আতঙ্কেও রুপ নিতে পারে। 
  • ক্ষুদ্র পেনিস বলতে ২.৭৬ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পেনিস বুঝায় । সেক্ষেত্রে ডাক্তার দেখাতে হবে। 
  • গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা পেনিস যৌনমিলনে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনা । 
  • পেনিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একমাত্র স্ত্রী ছাড়া আর কোথাও ব্যবহার করবেন না। 
  • স্ত্রী ছাড়াই পেনিস দাঁড়াইয়া যায় এমন কোনো কাজ যেমন: বেগানা নারীর দিকে তাকানো, অশ্লীল সাহিত্য পড়া, কম্পিউটার বা মোবাইলে খারাপ কিছু দেখা থেকে বিরত থাকুন। 
  • ৪০ দিনের মধ্য পুরুষাঙ্গের গোড়ার চুল কাটুন। 
  • আপনার যৌন স্বাস্থ্য এর দিকে নজর দিন। এটাও আপনার শরীরেরই অংশ। 
  • যৌন সমস্যার ব্যাপারে ভুল করেও কখনো অবহেলা করবেন না। যে কোনো যৌন সমস্যায় কোনো প্রকার সংকোচ না করে তাত্ক্ষণিক ভাবে আপনার হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন। কারণ অল্প দিনের হোমিও চিকিত্সাতেই আপনার সকল প্রকার যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূল হয়ে যাবে। তার জন্য ক্ষতিকর হার্বালের মত বার বার আপনাকে ঔষধ খেয়ে যেতে হবে না। 
  • সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন এবং সুখী আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩

নারীর মধ্য বয়সের সমস্যা - মেনোপজ

আপন গতিতে জীবন বয়ে চলে। জীবনের নিজস্ব ধারায় মানুষ শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে যৌবন এবং যৌবন থেকে মধ্যবয়স এবং মধ্যবয়স থেকে বাধর্ক্যের দিগন্ত রেখা ছুয়ে যেতে হয়। জীবনের এই প্রতিটি প্রান্তে এসে দেহে মনে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়।

তবে এ সব পরিবর্তন নারী এবং পুরুষের একই ধরণের হয় না। বিশেষ করে মধ্য বয়স অতিত্রুম করার পর একজন নারী বিশেষ কিছু শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে পড়েন। যাকে মেনোপজ, রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া বলে।
নারীর মধ্য বয়সের সমস্যা - মেনোপজ
মধ্য বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার সময় নারী দেহে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এসব পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। এ সব পরিবর্তন সাধারণ ভাবে ৪৫এর পর নারীরা অনুভব করতে থাকেন। সাধারণত গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তা ৪০ বছরে আবার কারো ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সে তা ঘটতে পারে। ধুমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বিশেষ কোন রোগের কারণে জরায়ু কেটে ফেলা হলে নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে অপারেশনের সময় যদি ওভারি ফেলে দেয়া না হয় তবে মেনোপজের উপসর্গগুলো দেখা দেবে না। এ ছাড়া কোনো বিশেষ কারণে যদি কোনো নারীর জরায়ু এবং ওভারি দুটোই ফেলে দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে রোগিনীর বয়স যাই হোক না কেন, মেনোপজের উপসর্গ প্রকাশ পেতে থাকবে। আর এমনটি হওয়ার কারণ হলো নারী দেহে ইষ্ট্রোজেন ও প্রজেষ্টেরন হরমোন তৈরীর কাজটি করে ওভারিই।

কাজেই ওভারি যদি না থাকে এ হরমোনও তৈরি হবে না এবং পরিণামে মেনোপজ দেখা দেবে। মেনোপজের ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা: মাহেনাজ আফরোজ বলেন, বয়সের কারণে মেনোপজ হয় বলে এটাকে প্রতিহত করা কারো পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

তাই মধ্য বয়স অতিক্রম করার সময় পরবর্তী অনিবার্য পরিবর্তনের জন্য একজন নারীর দেহ ও মনকে প্রস্তুত রাখা উচিত। সাধারণভাবে শিক্ষিত নারীরা এ ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। আর মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও এই পরিবর্তনকে সহজে মেনে নেয়া যাবে। মেনোপজের আগে ভাগে নারীদের মনেও কিছু পরিবর্তন ঘটে। এর মধ্যে খানিকটা ভুলো মনো হয়ে পড়া এবং আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠাই হলো উল্লেখযোগ্য।

মেনোপজ প্রতিহত করার কথা অনেকেই বলে থাকেন। প্রথমেই এ ব্যাপারে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে বয়সজনিত এই বিষয়টা প্রতিহত করা একেবারেই সম্ভব না। এরপরও অনেকে নানা ধরণের ওষুধের দিকে ঝুকে থাকেন।

এ প্রসংগে ডা. মাহেনাজ আফরোজ জানালেন, এ পরিবর্তন আসবেই। এটাকে প্রতিহত বা এই পরিবর্তনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে পরিবর্তন যেনো দেরিতে আসে সে জিনিসটা করা যেতে পারে। কিন্তু এ পরিবর্তন বিলম্ব করার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় বা যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয় কোনো সু চিকিৎসকই তা সমর্থন করবেন না। তবে পরিবর্তন আসার আগে যদি কোনো উপসর্গের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় তবে সে ক্ষেত্রে রোগী ভেদে চিকিৎসা করা যেতে পারে। মেনোপজের আগে ভাগে যে সব লক্ষণ দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই একবার আভাস দেয়া হয়েছে।

এবার এ সব উপসর্গ নিয়ে বিস্তারিত বললেন ডা.মাহেনাজ আফরোজ। তিনি জানালেন, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা, হট ফ্ল্যাশ বা নাকে বা মুখে হঠাৎ গরম ভাপ লাগা মনে হওয়া, এমন সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে মেনোপজের প্রথম বা প্রধান লক্ষণও বলা যেতে পারে। এটি দিনে দুই-তিনবার বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে, বা এ কারণে একজন নারী ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ভাবে ঘেমে উঠতে পারেন। এ ছাড়া দেহের পরিবর্তনের এ সময়ে বিষন্নতা, অকারণে উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, রুক্ষ ও খিটখিটে মেজাজ, অমনোযোগিতা, মাথা ধরা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। খাবারে প্রচন্ড অরুচি, অনেক সময় বদহজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

মেনোপজের প্রথম বছর গুলোতে যে সব সংকট দেখা দিতে পারে তার একটি হলো হট ফ্লাশ বা গা গরম হয়ে ওঠা। শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ মুখ এবং গলায় প্রচন্ড গরম অনুভূত হতে পারে এবং ঘাম দেখা দিতে পারে । কখনো কখনো হাত গলা বুক ও পিঠে লাল দাগ দেখা দিতে পারে। প্রচন্ড গরমের পর পরই শীতে শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে পারে। এ সমস্যা কখনো কখনো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। হট ফ্লাশের এ অবস্থাকে নাইট সোয়েট বলা হয়।

সাধারণভাবে হট ফ্লাশ ৩০ সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মেনোপজের সময়ে খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন না করলেও নারীদের ওজন বাড়তে দেখা যায়৷ মেনোপজে হয়েছে বা মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এমন সকল মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়৷ আর এই ওজন বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব মহিলাই চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এমন কেন হয় তা আমাদের মধ্যে বেশীর ভাগ মহিলারই জানা নেই৷

আসলে মেনোপজের সময় থেকে নারীদের মধ্যে হঠাৎ মনোভাবের পরিবর্তন ঘটতে থাকে তার ফলে নিয়মিত ব্যায়াম চর্চার ইচ্ছা কমতে থাকে৷ আর ব্যায়ামে অনীহার কারণে মেনোপজের সময়ে মহিলাদের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠে। বেশীর ভাগ মহিলাই মেনোপজের সময়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে কারণ তাদের ব্যায়াম করার ইচ্ছা হ্রাস পায় অন্যদিকে সে অনুযায়ী তাদের খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন ঘটে না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, অর্থাৎ ওজন বাড়তে থাকে। মেনোপজের আগে নারী নিজ উদ্যোগ নিয়ে কাজে আগ্রহী হতেন বা যে পরিমাণ কাজ তারা করতেন এ সময়ে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ কাজ করেন ৷ বরং বলা যায় তাদের একরকম আলসেমীতে পেয়ে বসে।

কাজের পরিমাণ কমানোর ফলে তাদের কায়িক পরিশ্রম কমে যায় এবং খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ না কমানোর ফলে তাদের ওজন ক্রমশঃ বাড়তে থাকে৷ এছাড়াও মেনোপজ কালীন সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং হরমোনের এই ঘাটতি তাদের মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে উঠে। আর এর কারণ হলো এই হরমোন নারীদের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ মেনোপজের পর পরই নারীর সকল দৈহিক সমস্যা প্রকাশ পায় না। তবে এ সময় স্বামীর সাথে থাকতে গেলে বেদনা অনুভূত হতে পারে।

এ ছাড়া বয়স কিছু বাড়ার সাথে সাথে তার মধ্যে দৈহিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ইষ্ট্রোজেন হ্রাস পাওয়ার ফলে নারীর ঘন ঘন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। মূত্রনালীর ইনফেকশনের ফলে বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, ব্যায়াম, হাচি, কাশি, দৌড়ানো অথবা জোরে হাসির সময় ফোটা ফোটা প্রস্রাব গড়িয়ে পড়ার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এ সময় নারী আবেগ প্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। কিংবা ভুলো মনা হয়ে পড়তে পারেন সে কথা আগেই বলা হয়েছে। জয়েন্ট বা দেহের সন্ধি ও মাংশপেশি শক্ত হয়ে উঠতে পারে এবং সেগুলোতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। নারী দেহের মাংসপেশী হ্রাস পেয়ে সেখানে মেদ জমতে পারে। এছাড়াও মেনোপজের পর কোন পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই দুটি খুব সাধারণ কিন্তু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, তার একটি হলো অষ্টিওপোরোসিস (Osteoporosis) পুরোনো হাড় ক্ষয় হয়ে নতুন হাড় তৈরী হওয়া মানব-মানবীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ভুমিকা রয়েছে ইষ্ট্রোজেন নামক হরমোনের।

কাজেই দেহে ইষ্ট্রোজেন এর অভাবে ধীরে ধীরে হাড়গুলো দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় এই অবস্থার নাম হলো অষ্টিওপোরোসিস। এ ছাড়া ইষ্ট্রোজেন ঘাটতি অথবা বয়স বেড়ে যাবার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপসহ শরীরের কোলেষ্টেরল এর পরিমাণ পরীক্ষা করা দরকার। মেনোপজ কোনো রোগ নয় দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাই একে মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ সময় শরীরের প্রতি আগের চেয়ে একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

নিয়মিত কম চর্বি যুক্ত, বেশি প্রোটিন ও আশযুক্ত খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে ফলমুল, শাকসবজি, শষ্য ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে ও শরীরের স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
বিস্তারিত

মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার - বাঁচতে হলে জানতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২ থেকে ২০ বছরের মেয়েদেরকে যুবতী বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে মেয়েরা শারীরিক এবং মানসিক পূর্ণতা লাভ করে থাকে। যুবতী মেয়েদের সাধারণ যৌন রোগ সমস্যাগুলো হলো-
  • ঋতু স্রাব সমস্যা
  • সাদা স্রাব 
  • তলপেট ও কোমরে ব্যথা 
ঋতু স্রাব সমস্যাকে নিম্নের কয়েক ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।
  • একবারে মাসিক না হওয়া 
  • অনিয়মিত মাসিক হওয়া 
  • অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া 
যেসব যুবতীর মাসিক নিয়মিত হয় বুঝতে হবে তাদের ডিমগুলো সময়মতো ফুটে থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক আরম্ভ হয় না। আবার অনেক যুবতীর মাঝে মাঝে অথবা কখনো কখনো একটু আধটু রক্তস্রাবের মতো হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর স্রাব হয়ে থাকে। এসব যুবতী ও তাদের মা, খালা এবং অন্যান্য মহিলা আত্মীয় অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন।
মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার

চিকিৎসকেরা মনে করেন এর প্রধান কারণ হলো

  • অসচেতনতা 
  • অজ্ঞতা 
মাসিকের স্থায়িত্বকাল এবং পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে কত তা জানা নেই বলেই এই চিন্তা আরো বেশি হয়। Physiology কারণ ছাড়া অন্যান্য কারণেও প্রচুর পরিমাণ রক্তস্রাব এবং দীর্ঘস্থায়ী স্রাব হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী স্রাবের আরো কারণ হলো এর জরায়ুর মুখে মাংস বেড়ে যাওয়া, যোনিপথে প্রদাহ, ডিম্বের থলিতে টিউমার। এ ছাড়া যদি রক্তের মধ্যে কোনো রোগ থাকে যেমন হেমোফাইলিয়া, পারপুরা তাতেও বেশি স্রাব হতে পারে।

শতকরা ৪০ থেকে ৫০ জনের কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল উপদেশের মাধ্যমেই আরোগ্য লাভ করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপশম করা সম্ভব। কারণ যাই হোক না কেন যুবতী মেয়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাসিকের সময় তলপেট ব্যথা: শতকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন যুবতী মাসিক আরম্ভ হওয়ার আগে অথবা মাসিক চলাকালে তলপেট, কোমরে অথবা উরুতে ব্যথা অনুভব করে থাকে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের মাসিক আরম্ভ হওয়ার দু-তিন দিন আগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে তারা সাধারণত অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডিহিসন, জরায়ুতে যক্ষ্মার জন্য হতে পারে। এই ধরনের যুবতীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। হরমোনের তারতম্যের কারণে তলপেট ভারী অনুভব করা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, খাদ্যে অরুচি হওয়া, মাথাব্যথা করা, খিটখিটে মেজাজ, শরীর ব্যথা, এমনকি হাত পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ এবং উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমেই যুবতীরা উপশম থাকতে পারে।

সাদা স্রাব

সাদা স্রাব যুবতীদের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ জন্য মেয়েদের কোনো প্রকার দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই সাদা স্রাব হতে পারে এবং তবে মাসিক আরম্ভ হওয়ার দুচার দিন আগে এর পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, যৌনাঙ্গে প্রদাহ, বেশি যৌন উত্তেজনা, হস্তমৈথুন, যৌন কার্যে অভ্যস্ত ইত্যাদির কারণে বেশি সাদা স্রাব হতে পারে। এমনকি জরায়ুর মুখে মাংসপিণ্ড অথবা ঘা হলে সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কেবল নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল লাভ করা যায়।

মেয়েদের (যুবতী) তলপেট ব্যথা

বেশি সংখ্যক যুবতী মেয়ে তলপেট ও কোমর ব্যথার কথা বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এটা মানসিক অনুভূতি। তবে প্রচণ্ড ও অস্বাভাবিক ব্যথা হলে অবশ্যই এর কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারণে মারাত্মক ব্যথা হতে পারে তা হলো
  • Appendicitis (অ্যাপেন্ডিসাইসাটিস) 
  • Ovarian Cyst (ডিমের ভেতর পানি জমে যাওয়া) 
  • হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া 
  • মাসিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া 
  • ডিম্বনালী অথবা ডিম্বথলির ভেতরে গর্ভ লাভ করা 
  • Cyst যদি হঠাৎ ফেটে যায় অথবা পেঁচিয়ে যায় 
  • জরায়ুর ভেতর টিউমার হওয়া 
  • যোনিপথে হারপিচ নামক এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। 
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছে দ্রুত পরামর্শ নিতে হবে। না হলে জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের দেশে যুবতী মেয়েদের সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশ। যেহেতু মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তন ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই বেশি হয়ে থাকে তাই তাদের ক্ষেত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রতি যথেষ্ট সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমার মতে যুবতী মেয়েদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে একটা পৃথক মন্ত্রণালয় অথবা দফতর তৈরির মাধ্যমে যুবতী মেয়েদেরকে সেবা প্রদান করা উচিত।
বিস্তারিত

মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ

মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধান কারণ মেয়েদের শারীরিক গঠন। মেয়েদের মূত্রনালী খুবই ছোট এবং মূত্রনালীর দ্বার, যোনিদ্বার ও মলদ্বার এত কাছাকাছি যে জীবাণু সহজেই ঢুকে যেতে পারে। প্রস্রাব সংক্রমণের জীবাণু ই-কলাই মলের সাথে নির্গত হয়ে মলদ্বার থেকে মূত্রদ্বারের আশপাশের কোষকলায় বসতি স্থাপন করে এবং সুযোগ বুঝে মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে প্রস্রাবে সংক্রমণ ঘটায়।
বিস্তারিত

মহিলাদের মাসিকের সমস্যা ও প্রতিকার

একজন নারী কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
বিস্তারিত

রজঃনিবৃত্তিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা।

মেয়েদের রজঃনিবৃত্তি জীবনচক্রের একটি অপরিহার্য অবস্থা। মেয়েদের ওভারি পরিপূর্ণভাবে কাজ করে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সসীমার মধ্যেই। তখন মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র শুরু হয়। এ সময় মেয়েদের ওভারির মধ্যে ছোট ছোট ফলিকল থাকে। এদের মাঝে থাকে ওভাম। আর ডিম্বাণু ক্রমেই বড় হতে থাকে।
বিস্তারিত

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত

রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে-সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশে পুরুষদের যৌন দুবর্লতার সমস্যা একটু বেশী। আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে।
বিস্তারিত

লাখ লাখ তরুণ ভুল ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার শিকার

আমি প্রায়শই লেখার মধ্যে দু’একটা উদাহরণ দেই। বিষয়টি সহজভাবে বুঝানোর জন্য অনেকেই নানাভাবে উদাহরণ দেন। ইতিপূর্বে আমি তরুণদের বিয়ে ভীতি নিয়ে লিখেছি। ভেবেছিলাম নারী-পুরুষের প্রাইভেট লাইফের নানা ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা নিয়ে লেখার পর তরুণ-যুবকদের নানা সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু আসলে বছরের পর বছর ধরে যে অপচিকিৎসায় দেশের বৃহত্তর তরুণ সমাজ নিজেদের ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনছে তা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

গত সপ্তাহের কথা। পুরাতন ঢাকা থেকে আসা এক তরুণ। বয়স কোনভাবেই ১৮/২০-এর বেশী হবে না। চেম্বারে এসে বললেন, ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান। এ ধরনের ইমোশন রোগীদের থাকে। প্রায়ই সব তরুণরাই এমন কথা বলেন। জীবন শেষ হয়ে গেছে, নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আগত তরুণটির সমস্যাটিও ভেবেছিলাম গতানুগতিক। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। তরুণের অভিযোগ। তার ধারণা ছিলো সে শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। অজ্ঞতা থেকেই ভুল ধারণা। এ জন্য সে নিকটস্থ একটি ফার্মেসী বা ওষুধের দোকানে যায়। ওষুধের দোকান থেকেই অনেক সময় চিকিৎসা-অপচিকিৎসা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হলো। তরুণকে যেসব ওষুধ দেয়া হয় তা সেবন করে তরুণের নিম্নাঙ্গ প্রায় অবস বা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। 
লাখ লাখ তরুণ ভুল ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার শিকার
এমনকি প্রশ্রাব করার সময়ও কোন অনুভূতি পাচ্ছে না। এ ছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তরুণটির নিম্নাঙ্গ ফুলে গেছে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে একউিট ইমারজেন্সি। তরুণটিকে পরীক্ষা করে দেখাগেলো বর্ণনার চেয়েও বেশী উপসর্গ রয়েছে তার শরীরে। ওষুধের দোকান থেকে তাকে চার ধরনের ওষুধ দেয়া হয়েছে। একটি ভিটামিন, একটি মানসিক চিকিৎসার ওষুধ, একটি হাই এন্টিবায়োটিক এবং অপরটি নামহীন কালো গোল গোল বটিকা। তরুণটির ড্রাগ রিঅ্যাকশনের প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ঐ ওষুধের দোকানের ফার্মাসিষ্টকে কথা বলতে বলি। 

যথারীতি তরুণটিকে উপদেশ অনুসরণ করে। ওষুধের দোকানের তথাকথিত ফার্মাসিষ্ট -এর ভাষ্যমতে কালো রংয়ের গোল বড়িটি যৌন সমস্যা লাঘবে ব্যবহৃত হয় - এটি ছিল একটি যৌন উত্তেজক ঔষধ। অনেক ডাক্তার এ বড়িটি সেবন করতে বলেন। তাই তরুণটিকে ওষুধের দোকানি নিজেই চিকিৎসা দিয়েছেন। দোকানি জানালেন কালো বড়িটির কৌটার লেভেলে লেখা আছে হংকং-কোরিয়া। অপচিকিৎসা রোধে বড়িটির নাম বলা হলো না। যাইহোক ওষুধের দোকানির সঙ্গে আর কথা না বাড়িয়ে তরুণটিকে তার শরীরের সর্বশেষ অবস্থা কি হয় তা জানাতে বলি।

যাহোক, মূল কথায়, ফিরে আসি। শুধু সুত্রাপুরের তরুণ নয়, দেশের হাজার হাজার তরুণ এ ধরনের ভুল চিকিৎসা, অপচিকিৎসয় প্রতারিত হচ্ছে, যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজেদের জীবন সংশয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

বিভিন্নভাবে হারবাল কবিরাজি নাম দিয়ে নানান চিকিৎসায় যে তরুণদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে তাই নয়, বহু এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও তরুণদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে। অথচ পুরুষদের যৌন সমস্যা স্থায়ী ভাবে দূরীকরণে রয়েছে কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা তবে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩

নারীর পিরিয়ডের সমস্যা এবং প্রতিকার

কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
বিস্তারিত

"শ্রী গোপাল তেল" সাধনা ঔষধালয় - পুরুষ অঙ্গের মালিশ কতটা কার্যকর ?

পুরুষ অঙ্গ সতেজ এবং শক্তিশালী করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় আর বহুল পরিচিত ম্যাসেজ অয়েল হলো সাধনা ঔষধালয় এর শ্রী গোপাল তেল । যদিও এর সাথে সংস্লিষ্ট চিকিত্সকরা আরো দুইটি তেল দিয়ে থাকেন। এখন কথা হলো এ গুলো কতটা কার্যকর? উপমহাদেশের একজন জনপ্রিয় চিকিত্সক হলেন ডাক্তার তারেক মাহমুদ। তার বইতে লিখেছেন শল্য চিকিত্সকরা মানুষের দেহের বিকৃত অঙ্গের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারেন কিন্ত শরীরকে সতেজ এবং এর সোন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনাদি কাল থেকে আমরা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে আসছি। কারণ এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
কিন্ত আমাদের বাজারে আপনি নকল প্রসাধনীর সংখ্যাই বেশি দেখতে পাবেন। আবার আমাদের যুব সমাজের দুর্বল মানসিক অবস্হার সুযোগ নিয়ে অনেককেই দেখা যায় যৌন অঙ্গের মালিশ এর নামে নকল আর কার্যকারিতাহীন নানা ম্যাসেজ অয়েল বিক্রি করে তাদেরকে প্রতারিত করছে। কিন্ত সাধনা ঔষধালয় এর চিকিত্সকরা পুরুষাঙ্গ সতেজতার জন্য অত্যন্ত সফলতার সাথেই তিনটি তেলের মিশ্রন ঘটিয়ে ম্যাসেজ করার পরামর্শ দিয়া থাকেন। সেগুলি হলো :
  • শ্রী গোপাল তেল
  • মহারাজ প্রসাধনী তেল
  • মহাচন্দ্রনাদী তেল

ব্যবহার পদ্ধতি -  কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

তিনটিকে একটি বোতলে ঢেলে এক সাথে মিশিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে কয়েক ফোটা নিয়া অঙ্গের নিচ থেকে উপরের দিকে দিনে দুইবার হালকা করে মালিশ করুন ।

নির্দেশনা - মনে রাখা ভালো। 

ই অয়েল গুলো লিঙ্গের সাইজ এর কোনো পরিবর্তন করবে না , লিঙ্গের বক্রতা দূর করবে না, পেনিসকে লম্বা বা মোটা করবে না, কিন্তু দীর্ঘকাল অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পেনিসের নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে পূনরায় সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলবে। বিবাহিত পুরুষরাও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এটার কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধনা ঔষধালয়ের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। পুরুটাই আইয়র্বেদিক। আমার জানামতে তারা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই তাদের রোগীদের এটা প্রেসক্রাইব করে আসছে। তবে যদি আপনার অন্য কোনো যৌন সমস্যা  যেমন - যৌন দুর্বলতা, দ্রুত বীর্যপাত, পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ, স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা 'ধাতুদৌর্বল্য', হস্তমৈথুন অভ্যাস প্রভৃতি থেকে থাকে তাহলে আগে এর যথাযথ চিকিত্সা নিতে হবে। তা নাহলে যত ভালো ম্যাসেজ অয়েলই ব্যবহার করেন না কেন কোন ফলই হবে না।
বিস্তারিত

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাবের কারণ, প্রতিরোধ এবং হোমিও চিকিত্সা

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।
বিস্তারিত

স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ এর হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

প্রতিটি পুরুষের জীবনে স্বপ্নদোষের ব্যাপারটি ঘটে থাকে। অন্তত একবার হলেও এটি ঘটবেই। স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
বিস্তারিত

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৩

ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে বেশ কয়েক রকমের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা হয়, অল্প সময়ের সাধারণ ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে শুরু করে আরও দীর্ঘ সময়ের ঋতুস্রাবের সমস্যার জন্য গুরুতর অসুস্থতা। নীচের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততার তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন ঋতুস্রাব চক্রে অনিয়মিততার মাত্রা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
বিস্তারিত

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি বাড়াতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

অনেকেই আছেন এমন যারা বড় লিঙ্গকে গৌরবের বিষয় মনে করেন। কিন্ত একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে সহবাসের ক্ষেত্রে লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কোনো সমস্যাই সৃষ্টি করে না, লিঙ্গের যাবতীয় কার্যাবলী ঠিক থাকলে সাইজ বা আকৃতি কোনো গুরুত্বই বহন করে না। কিন্ত পরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা বসবাস করি বলে আমাদের ধারনাটাই এ রকম হয়ে গেছে যে লিঙ্গের সাইজ বড় হতে হবে।

তবে হাঁ দীর্ঘদিন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো বদ অভ্যাসের কারণে অনেকেরই লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কিছুটা ছোট হয়ে যেতে পারে। তার যথাযথ হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা বিদ্যমান। কিন্তু সেটা পুরুপরিই নির্ভর করে একজন হোমিওপ্যাথের চিকিত্সা জ্ঞান এবং দক্ষতার উপর। তাই হস্তমৈথুন অভ্যাস এবং এসংক্রান্ত যাবতীয় কুফল দূর করতে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়িই সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে আর আপনি আবার সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারছেন। তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ারও প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ হোমিওতে যেটা একবার ভালো হয় সেটা আর দ্বিতীয় বার দেখা দেয় না।
তবে মনে রাখবেন আপনার প্রাকৃতিক লিঙ্গ বড় করার কোন ঔষধ নেই 
আপনি পেনিসের আকার বাড়ানোর জন্য অনলাইন সার্চ করে বা ফেইসবুকে হাজারো বিজ্ঞাপন পাবেন - পেনিস এন্লার্জার ক্রিম, মেসেজ অয়েল, বড়ি, কেপসূল ইত্যাদি...... ইত্যাদি....... ..............আরো যে কত কি ??

কিন্তু এগুলো আদৌ কি কোনো ফল দেয় ?? ভালো করে শুনে রাখুন। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কোনো মেডিকেল সাইন্সই পেনিস বড় করার জন্য কার্যকর কোনো মেডিসিন তৈরী করতে পারে নি। যদি সত্যিই পেনিস বড় করার জন্য কোনো মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট থাকত তাহলে আমাদের দেশের তথা সারা পৃথিবীর নামী-দামী ঔষধ কোম্পানিগুলি সেই মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট প্রস্তত করে বাজারজাত করত আর ডাক্তাররাও সেগুলি তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রাইব করত আর আপনিও সেটা আপনার বাড়ির পাশের ঔষধের ফার্মেসি থেকে কিনতে পারতেন। বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।

প্রতারক থেকে সাবধান হন !

এখন আসুন আসল বিষয়ে আসি। তাহলে ঐ হার্বাল, ভেষজ কবিরাজরা কেমন করে পেনিস বড় করার ঔষধ বানালো ?? শুনে রাখুন, তারাও সেটা বানাতে পারে নি। এটা সরাসরি প্রতারণা। কারণ তারা আপনার দুর্বল মানুষিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে আপনাকে প্রতারিত করেছে মাত্র। আর আপনিও খুব সহজেই গোপনে গোপনে তাদের ফাদে পা দিচ্ছেন এবং তাদের মালিশ, বড়ি, ঔষধ ইত্যাদি ইত্যাদি কিনে ব্যবহার করছেন। 

ওদের ঔষধে এমন কিছু উপদান মিশানো থাকে যা  অতি অল্প সময়ে পেনিসের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তুলে তখন আপনার কাছে মনে হবে আপনার পেনিস বড় হচ্ছে। অথচ আপনি আসল সত্যটা জানেনই না যে, স্বাভাবিক পেনিস কখনো বড় বা ছোট হয়ে যেতে পারে না। অর্থাৎ আপনার পেনিস আগে যেমনটি ছিল এখনো এমনি আছে। শুধু উত্তেজিত অবস্থায় আপনি ভালো করে লক্ষ্য করেছেন বলে আপনার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে।

কিছু দিন পর যখন আপনি তাদের ঔষধ সেবন করা বন্ধ করে দিবেন তখন আগের মতই মনে হবে। কিন্তু এই যে আপনি প্রতারিত হলেন এটা এখন কাউকেই বলতে পারছেন না। মনে হয় আর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। সতর্ক হন !! অযথা চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া রাস্তা ঘাট থেকে ঐসব আজে বাজে হারবাল, কবিরাজি, ভেষজ নামধারী উত্তেজক ঔষধ ব্যবহার করে করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। কারণ একসময় দারুন পস্তাতে হবে, তখন আর কিছুই করার থাকবে না। যারা যৌন উত্তেজক প্রোডাক্ট নিয়মিত সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি একসময় ঐগুলি সহ ঐ সংক্রান্ত আর কোনো ঔষধই শরীরে কাজ করে না।

লিঙ্গের আকার আকৃতি সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা আছে কি ?

উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। কিন্তু আপনার লিঙ্গ বা পেনিস যদি লম্বায় সর্বনিম্ন 4 (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দেয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কারণ একটা Successful Sexual Intercourse শুধু মাত্র পেনিসের আকারের উপর নির্ভর করে না, এর জন্য আপনাকে যৌন মিলনের নানা কলা কৌশল রপ্ত করা উচিত। মনে রাখবেন নারীদের যৌনাঙ্গে এক প্রকার খাজ কাটা থাকে যাতে ঘসা লাগলে তারা আনন্দ পায়। তার জন্য মাত্র ১০-১২ বছরের ছেলেদের লিঙ্গ দিয়েও তাদের আনন্দ দেয়া সম্ভব। বিরাট লম্বা পেনিসের কোনই প্রয়োজন নেই।

আপনি লিঙ্গ বড় করা সংক্রান্ত যত প্রকার বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন এই গুলির অধিকাংশেরই কোনো প্রকার বৈধতা নেই এক কোথায় ভুয়া চিকিত্সা বানিজ্য । লক্ষ্য করে দেখবেন তাদের বিজ্ঞাপন গুলোতে কোমলমতি তরুনদের আকৃষ্ঠ করার জন্য নানা প্রকার অশ্লীল ছবি জুড়ে দেয়। তাদের কোনো ঠিকানা দেয়া থাকে না আর থাকলেও সেটা নকল। তারা শুধু মাত্র ফোন নম্বর দিয়ে রাখে। এসব দেখেও যদি আপনার চোখ না খোলে আর লোভে পড়ে ফাদে পা বাড়ান তাহলে আপনার ক্ষতির জন্য আপনিই দায়ী। পুলিশের একজন উপ - পরিদর্শক যিনি আমাদের একজন শুভাকাঙ্খী (আমাদের পাশেই থাকেন এবং সুযোগ পেলেই গল্প গুজব করতে আসেন)। তিনি আমাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে খুলাখুলি আলোচনা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়া যায় কিনা। আমরা তাকে বলেছিলাম যেখানে ঔষধ প্রশাসন নিরব, যেখানে টিভিতে রং ফর্সাকারী ভুয়া ক্রিমের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতারিত করা হচ্ছে আর প্রশাসন তো দুরে থাক কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে আপনারা কতটুকু আগাবেন, তার চেয়ে এ বিষয়ে জনগনকে সচেতন করে তুলাই উত্তম একদিন দেখবেন জনগনই তাদের বিচার করবে।

ভিডিওটি একবার দেখুন 

ঐসব লোকজন হারবাল, ভেষজের দোহাই দিয়ে গোপনে তরুণ-যুবকদের দুর্বল মানুষিকতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করে মাত্র। আর প্রতিদিন হাজার হাজার তরুণ-যুবক প্রকৃত সত্যটা না জানার কারণে তাদের ফাদে পা দিচ্ছে আর প্রতারিত হচ্ছে। আরেকটা কথা বলে রাখি, দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন অভ্যাসের কারণে স্নায়ুমন্ডলী যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন তার সতেজতার জন্য আমাদের দেশের সুপরিচিত একটি আইয়র্বেদিক প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রডাক্ট রয়েছে যে গুলো দামেও অনেক সস্থা সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। কিন্তু মনে রাখবেন এটা আপনার লিঙ্গের আকার বাড়াবে না। দীর্ঘদিন হস্তমৈথুনের কুফল জনিত কারণে নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে আবার সতেজ করবে মাত্র। 
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৩

সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি - এর সুচিকিৎসা কোথায় পাবেন জেনে নিন।

সিফিলিস একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। নামটি এসেছে ফন্সাক্যাসটেরো নামক একজন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ ও কবি (১৪৮৩-১৫৫৩) এর লেখা একটি কবিতা থেকে। কবিতার নায়কের নাম ছিল সিফিলাস, সে একজন মেষ পালক ছিল। ঈশ্বর ও ধর্ম নিন্দা করার জন্য তাকে একটি নতুন রোগ দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়।

বলা হয়ে থাকে, আমেরিকা আবিষ্কারের পর (১৪৯২) কলম্বাসের নাবিকদের মাধ্যমে সিফিলিস রোগটি ইউরোপে আসে। সংক্রমিত নাবিকরা নেপলস অবরোধে অংশ নেয়ার সময় (১৪৯৫) ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মার্সিনারিদের সাথে একত্রে থাকে। সৈনিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সারা ইউরোপে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে­ ষোল শতকের মাঝামাঝি রোগটা জাপানে পৌঁছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিফিলিসের প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। বাংলাদেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, শহর এলাকায় রোগটা সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয়। বন্দর নগরীতে এবং শিল্প এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ বেশি।
সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি
ট্রেপোনেমা প্যালিডাম নামক জীবাণুর সংক্রমণে সিফিলিস রোগ ঘটে। জীবাণুটি ১৯০৫ সালে আবিষ্কার করেন প্রাণিবিজ্ঞানী এফ শাওডিন এবং চর্ম বিশেষজ্ঞ ই হফম্যান। শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আগে রোগটি ধরা পড়লে সহজে চিকিৎসা করা যায়।

সংক্রমণের উৎস :- আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, লালা, বীর্য, যোনি থেকে নিঃসৃত রস ও রক্ত।

যেভাবে রোগটি ছড়ায়

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌন সঙ্গম করলে। 
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে পায়ুপথে সঙ্গম কিংবা মুখ মৈথুন করলে অথবা চুম্বন বিনিময় করলে। 
  • রক্তসঞ্চালন কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে। 
  • গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে।
প্রাথমিক গোটা :-অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিঙ্গমুণ্ডুতে কিংবা লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে গোটা ওঠে; নারীর ক্ষেত্রে গোটা ওঠে যোনির ঠোঁট কিংবা ক্লাইটরিসে। গোটাটি প্রথমে একটি ছোট লাল দানার মতো শুরু হয়, তার পর তা ভেজা ও ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। গোড়ার দিকে তা বোতামের মতো শক্ত অনুভূত হয়। এটা দেখতে খুব ছোট কিংবা আঙুলের নখের মতো হতে পারে। অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে চিকিৎসা অর্থহীন, কারণ জীবাণু শরীরের গভীরে প্রবেশ করে।

রোগের উপসর্গ সিফিলিসের প্রাথমিক স্তর :- শরীরে জীবাণু প্রবেশের সাধারণত ১০ থেকে ৪০ দিন পর সরাসরি সংক্রমিত স্খানে ব্যথাহীন গোটা ওঠে। যৌনাঙ্গ ছাড়া এই গোটা মলদ্বার, ঠোঁট কিংবা স্তনের বোঁটাতে হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। চার থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে গোটা চলে যায়। প্রথম স্তরে রোগ সারানো খুব সহজ হয়।

সিফিলিসের দ্বিতীয় স্তর :- সংক্রমণের ৬ সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর সব শরীরে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। মাথার চুল পড়ে। মাথা ব্যথা, সামান্য জ্বর এবং গ্রন্থিগুলো ফোলা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে। প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।

সিফিলিসের শেষ স্তর :- স্খিরতার কাল থেকে ৩০ বছর পর (সুপ্ত স্তর) রোগটি শরীরের যেকোনো অংশকে আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুরুজ্জু আক্রান্ত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মুখে ঘা, ত্বক, হাড় ও লিগামেন্টের ক্ষয়। বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ অসাড়, উন্মাদনা এবং মৃত্যু। শারীরিক ক্ষতি পূরণ করা যায় না।

জন্মগত সিফিলিস :- গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে গর্ভস্খ শিশু সিফিলিসে আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের এক-তৃতীয়াংশেরই গর্ভপাত হয় কিংবা মৃত সন্তান প্রসব ঘটে। প্রাথমিক গর্ভাবস্খায় মায়ের চিকিৎসা করালে শিশু রক্ষা পায়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

সেরোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে সিফিলিসের জীবাণু ধরা পড়ে। সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ থেকে সেরোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো পজিটিভ হয়। মাঝে মধ্যে ভ্রান্তিমূলক পজিটিভ হতে পারে। ভিডিআরএল এবং আরপিআর পরীক্ষা অন্য সংক্রমণ কানেকটিভ ইস্যুর অসুখে পজিটিভ হয়। ফলাফল বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়। যদি সিফিলিস সন্দেহ করা হয় তাহলে লাইপয়ডাল এন্টিজেন এবং বিশেষ পরীক্ষাগুলো একত্রে করা হয়। সুপ্তস্তরে স্নায়ুজনিত অসুস্খতা পৃথক কিংবা নিশ্চিত করার জন্য সিএসএফ পরীক্ষা করা হয়।

সিফিলিসের সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা:- ভিডিআরএল (ভেনেরাল ডিজিজ রিসার্স ল্যাবরেটরি) পরীক্ষা। -আরপিআর (র‌্যাপিড প্লাজমা রিয়াজিন) -টিপিএইচএ (ট্রেপোনেমা প্যালিডাম হেমাগ্লুটিনেশন অ্যাসেই)। -এফটিএ-এবিএস (ফ্লুরোসেন্ট ট্রেপোনেমাল এন্টিবডি এবসর্বড) -ট্রেপোনেমাল এনজাইম-লিংকড) ইম্যুনোসরবেন্ট (ELISA)।

চিকিৎসা :- অবশ্যই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক সময়ে চিকিত্সা না নিলে পরে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। হোমিওপ্যাথিক নিয়মে এর যথাযথ চিকিত্সা বিদ্যমান যা অতি দ্রুত আরোগ্য করতে সক্ষম।  আপনি যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানালে, আমরা আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির সফল টিপস - স্ত্রী সহবাসের আগে ও পরে

প্রতিদিন একইভাবে যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কয়েকটি টিপসের আলোচনা করা হবে যাতে করে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে আপনি কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হন।

নারী উপরে :- এই অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনিতে ৪৫ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে প্রবেশ করাবে নারী এবং নারী পুরুষের অনুত্থিত লিঙ্গকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে সুদৃঢ় করে তুলবে। সে তার স্তন, ভগাঙ্কুর এবং পশ্চাৎপ্রদেশের ব্যবহারে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলবে। এতে করেও যদি পুরুষাঙ্গ উত্থিত না হয় তবে একইভাবে পুনর্বার দেখা যেতে পারে।
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির সফল টিপস - স্ত্রী সহবাসের আগে ও পরে
পুরো শরীর :- জিহ্বা এবং হাতের আঙ্গুল যৌন উত্তেজনা বাড়াতে পারে। নারীর যোনিমুখের পাতলা আবরণ এবং ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর যদি পুরুষ তার জিহ্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করে তবে নারীর অনুভূতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এছাড়াও ভালভাবে নখ ছেঁটে পুরুষ তার হাতের আঙ্গুল নারীর যোনিতে প্রবেশ করিয়েও তাকে তীব্র যৌনকাতর করে ফেলতে পারে। এতে করে নারীর উত্তেজনা পুরো শরীরে প্রবেশ করে এবং উত্তেজনার রেশ বাড়তে থাকে।

জি-স্পট সেক্স :- এতে করে নারী দু হাঁটু গেড়ে বসবে। পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করাবে। নারীর সবচেয়ে যৌন অঞ্চল মানে হলো ভগাঙ্কুর। পুরুষের লিঙ্গ একবার এতে ছোঁয়ালেই নারীর যৌনানুভূতি প্রবল হয়। এতে করে পুরুষেরও যৌন অনুভতি দীর্ঘ হবার কথা। নারী পুরুষকে এই ভাবেও উত্তেজিত করতে পারে। যৌন বিজ্ঞানীরা একে জি-স্পট সেক্স বলে। কেননা এতে করে নারী ইংরেজী জি অক্ষরের মতো আসন নিয়ে বসে।

পৌনপুনিকতা :- পুরুষ তার উত্তেজনা বাড়াতে নারীর যোনিমুখে তার লিঙ্গকে প্রবেশ করানোর পূর্বে নারীর নিচের দিককার অর্থাৎ ভগাঙ্কুর, যোনি ইত্যাদিতে হাতের স্পর্শ বা মুখের স্পর্শ ঘটাতে পারে। এতে করে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।

আধুনিক হট স্পট :- যৌন বিজ্ঞান দেখেছে, নারীর পুরো শরীরই যৌন উত্তেজক। বিশেষ করে পেটের এবং তলপেটের নিচের দিকে ভগাঙ্কুরের মাঝামাঝি স্থানে নারী উত্তেজনা মারাত্মকভাবে লুকিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন নারীদের বিভিন্ন রকম হতে পারে। পুরুষদের তাদের নারীদের সাথে যৌন মিলনে যাবার সময় এটি বেছে নিতে হবে। এতে করে পুরুষদের উত্তেজনা চূড়ান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।

মুখোমুখি :- নারীকে শুয়ে পুরুষ কিংবা পুরুষকে শুইয়ে নারী পরস্পর পরস্পরের দিকে যৌনতার দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে নারী-পুরুষ উভয়ের উত্তেজনা বেড়ে যায়।

পুরুষের অন্ডকোষ :- অনেক পুরুষ এই ব্যাপারটিতে অজ্ঞ। তাদের অন্ডকোষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌনতা লুকানো থাকে। নারী যখন পুরুষের অন্ডকোষে হাত দেয় কিংবা তাতে মৃদু চাপ সৃষ্টি করে, তখনও পুরুষ বিশেষ এক ধরনের আনন্দ পেতে পারে। পুরুষের অন্ডকোষ যৌনতা সৃষ্টি করতে পারে। নারীর মৃদু হাত বোলানোতেও এই উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়।

ত্বকের উত্তেজনা :- বহু পুরুষের যৌনাঞ্চলের ত্বকেই বিশেষ ধরনের উত্তেজনা থাকে। নারীর স্পর্শে সেটা বেড়ে যায়। যেমন-পুরুষের লিঙ্গের ত্বকে নারীর চুমু দেয়া কিংবা চুষে ফেলাতে পুরুষ যৌন উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এটি পুরুষের চরম উত্তেজনার প্রথম স্তর। নারী তাকে চূড়ান্ত উত্তেজনার জন্য তার লিঙ্গমুন্ডকে বার বার চুষতে পারে, এতে করে পুরুষের অবস্থা অধিক কাতর হয়ে উঠবে। তবে নারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তার দাঁত পুরুষের লিঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি না করে। কেন না চরম অবস্থায় উভয়েই বোধজ্ঞান কিছুটা হারিয়ে ফেলতে পারে।

বিশেষ সতর্কতা

অনেকেই রাস্তার পাশে দোকান থেকে অথবা ফুটপাথ থেকে নানা প্রকার হার্বাল, কবিরাজি এবং ভেষজ নামধারী ভেজাল ঔষধ খেয়ে থাকেন যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য। কেউ বা বিজ্ঞাপনের ছটায় বিভ্রান্ত হয়ে, কেউ বা শখের বসে আবার কেউ বা লোভে পড়ে অধিক যৌনান্দ পেতে নিয়মিত এসব ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। আজকাল ইন্টারনেট পর্যন্ত অশ্লীল ছবিসহ এইসকল ঔষধের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে (সতর্ক থাকবেন)। মনে রাখবেন, বেশ কিছু সময় যদি আপনি এইসকল উত্তেজক ঔষধগুলি চালিয়ে যান এক সময় আপনি যৌন ক্ষমতায় পুরুপরি অক্ষম হয়ে যাবেন। তখন ঐ অবস্থায় অন্য আর কোনো ঔষধই কাজ করতে চায় না। এটা আমার কথা হয়। দেশের বড় বড় যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কথা। যারা দীর্ঘদিন যৌন রোগের চিকিত্সা দিয়ে আসছেন এবং এ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন।

প্রতিটি পুরুষ তাদের যৌন শক্তি পেয়ে থাকে দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম, মধু এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যায়, কখনো যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না। তার জন্য কোনো ঔষধ খাওয়ার দরকার নেই। আর যদি কোনো প্রকার যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে তাত্ক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন অল্প কয়েক দিনের চিকিত্সাতেই আপনার সকল যৌন সমস্যাবলী চিরতরে নির্মূল হয়ে গেছে তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন। এটাই আমাদের কামনা। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

পুরুষের যৌন দূর্বলতা, লিঙ্গোত্থানে সমস্যা এবং এর শতভাগ স্থায়ী চিকিৎসা

যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে তবে যৌন কার্যে নারীর ভূমিকা অনেক খানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশী উদবিগ্ন হতে দেখা দেয় । আপনি খেয়াল করতে পারেন, পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অনেক অবিবাহিত যুবক এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেনি এমন অনেক তরুণরাও  বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের ফোন দেন।

আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি অনেক অপসংস্কার বা কুসংস্কার এই দূর্বলতার কারণে সমাজে বাসা বেধে আছে। নারী পুরুষ মিলিয়ে এ ধরণের রোগীর সংখ্যা আমাদের দেশে শতকরা  ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হবে।  একটু ভেবে দেখলে বুঝা যাবে এটা মোটেই ফেলে দেবার মতো কোনো সংখ্যা নয়। 
পুরুষের যৌন দূর্বলতা, লিঙ্গোত্থানে সমস্যা এবং শতভাগ স্থায়ী চিকিৎসা
প্রথমে পুরুষের ব্যধি নিয়ে আলাপ করা যাক। এজন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো কি কি।
  • যৌন ইচ্ছা (Libido) বা সেক্সুয়াল ডিজায়ার থাকা। 
  • লিঙ্গত্থান বা ইরেকশন (Irection)হওয়া, যা পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে হয়। 
  • পুরুষাঙ্গ দিয়ে বীর্য/ধাতু (Semen) নির্গমন (Ejaculation)। এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি term ও জেনে নেয়া যেতে পারে আর তা হলো Detumescence বা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা।
এসব কিছুর মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিজফাংশনটিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এই সমস্যাটি নানাবিধ কারনে হতে পারে। তবে আমাদের দেশের তরুণদের এর বড় একটা কারন হলো অল্প বয়স থেকে হস্তমৈথনে আসক্তি তবে কিছু ক্ষেত্রে তা মনস্তাত্ত্বিক, এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিস্কের রোগের কারনেও এমনটি হতে পারে। পুরুষাঙ্গের ধমনি (রক্তনালী)সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়। সমস্যার কারণ যাই থাকুক না কেন হোমিওপ্যাথিতে এর শতভাগ স্থায়ী চিকিৎসা রয়েছে। 

কারন গুলোকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করলে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে
  • বার্ধক্যঃ আসলে বয়স বাড়াটা লিঙ্গোত্থানের ব্যর্থতার কোনো সমস্যা নয়, বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক যেসব পরিবর্তন হয় তা অনেক সময় এতে প্রভাব ফেলে।
  • কিছু কিছু রোগের কারনে পুরুষের এমন সমস্যা হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস হওয়া, স্থুলতা, অন্য এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়া, প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হওয়া ইত্যাদি।
  • ধুমপানঃ ধুমপান একদম প্রত্যক্ষ ভাবে লিঙ্গত্থান ব্যর্থ হবার একটি বড় কারন।
  • কিছু কিছু ঔষধ আছে যা পুরুষের জনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এর মধ্যে আছে মানসিক রোগের ঔষধ, কিছু স্টেরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঔষধ, নেশা উদ্রেককারী ঔষধ যেমন কোকেন, গাজা, অধিকমাত্রায় এলকোহল সেবন ইত্যাদি।
  • মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে যে মজ্জা থাকে (spinal cord) তাতে আঘাত পেলে কিংবা তা রোগাক্রান্ত হলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়।
  • পুরুষাঙ্গের নিকটবর্তী স্থানে রেডিওথেরাপী দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
  • এছাড়া ডিপ্রেসন, এঙ্গার কিংবা বিভিন্ন মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারনেও লিঙ্গোত্থানে সমস্যা দেখা দেয়।
  • দীর্ঘদিন হস্তমৈথন আসক্তি এর কারনে এর কুফল জনিত সমস্যা। 

হোমিও চিকিত্সা

পুরুষের যৌন দূর্বলতা এবং লিঙ্গোত্থানে সমস্যার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকে। তবে পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারনে হয় তা হলে অবশ্যই ঐ রোগের চিকিত্সা করাতে হবে। আমরা এধরনের রোগীও অনেক হ্যান্ডেল করেছি। আপনার সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ অবশ্যই নি:সংকোচে চিকিত্সককে জানাতে হবে। রোগ কখনোই ভেতরে ভেতরে পুষে রাখবেন না। আপনি যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানালে (সরাসরি এসে বা ফোন করে), আমরা আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব। কিছু দিনের চিকিত্সায় সারা জীবনের জন্য সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাল্লাহ। 
বিস্তারিত

দ্রুত বীর্যপাতের হোমিওপ্যাথিক সমাধান

দ্রুত বীর্যপাতেরই আরেক নাম ইংরেজিতে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। মাঝে মধ্যে অনেক পুরুষকেই দেখা যায় যৌনমিলনের সময় নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিত আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায়- তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন।
বিস্তারিত

বেস্ট সেক্স এর সময় সাধারনত কত মিনিট হয়ে থাকে

অনেকের মনে হয়ত এই প্রশ্নটা থাকে যে সেক্স এর সময় সাধারনত কত মিনিট হয়ে থাকে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এক সমীক্ষাতে জানিয়েছেন বেস্ট সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ৭-১৩ মিনিটের মধ্যে হয়৷ সমীক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে সাধারণত ৩ মিনিটের সেক্স পর্যাপ্ত সময় হয়৷
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩

"হোমিওপ্যাথি" একটি জনপ্রিয় চিকিস্সা পদ্ধতি

মানব ইতিহাসে ঠিক এ মুহুর্তে মানুষ যতটা অসুস্থ আগে কখনও এতটা অসুস্থ ছিলনা। এই অসুস্থতাকে নিরাময় করতে কনভেনশনাল মেডিসিন (এ্যালোপ্যাথিক বা সিনথেটিক মেডিসিন) আর কোন সহায়তা করতে পারছে না বা এর পক্ষে আর সহায়তা করা সম্ভব নয়। ৬০ বছর আগে যখন 'বিগ ফার্মা' ব্যাপকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে তখনকার চেয়ে মানুষ আজ অনেক বেশী রুগ্ন। বিগ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো তখন অনেক রোগ নিরাময় করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বিস্তারিত

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Samuel Hahnemann) - পৃথিবীর সবর্শ্রেষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী

রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত অসুস্থ মানুষের মর্মান্তিক বেদনাকে যিনি নিজের হৃদয় দিয়ে সবচেয়ে বেশী উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তাঁর নাম স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। প্রচলিত চিকিৎসা বিজ্ঞানসমূহের ইতিহাস নিয়ে যারা ব্যাপক পড়াশুনা করেছেন, তারা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, তিনি ছিঁলেন পৃথিবীতে আজ পযর্ন্ত জন্ম নেওয়া সর্বশ্রেষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী। 
বিস্তারিত

হস্তমৈথুন অভ্যাস ও হোমিওপ্যাথিক সমাধান

বলা হয়ে থাকে শুধুমাত্র কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরা এটা করে থাকে কোন সেক্সুয়াল সম্পরকে জড়াবার আগে। কিন্তু আমি তা মনে করিনা। যেসব নারী/পুরুষদের মধ্যে যৌণ চাহিদা বেশি বা একাধিক সেক্সুয়াল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে আগ্রহি বা অভ্যাস আছে তাদের মধ্যে এই অভ্যাসটা বেশি দেখা যায়। আবার উল্টোটাও আছে, যারা কোনভাবেই কোন সেক্সুয়াল সম্পর্ক করতে পারেনা তারা তাদের অপুরনীয় বাসনা দমন করতে হস্তমৈথুন করে থাকে।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৩

অকাল বীর্যপাত

পুরুষ যদি উত্তেজনার শুরুতেই বীর্য ত্যাগ করে তবে তাকে অকাল বীর্যপাত বলে। নারীর সাথে দৈহিক মিলনের সময় পুরুষ নানা ভাবে নারীকে উত্তেজিত করে। এই সময় উভয়েই উভয়েই শরীর স্পর্শ করে এবং নানাভাবে আদর করে। অনেক পুরুষের এই সময়েই বীর্যপাত হয়ে যায়। এতে করে পরবর্তী যৌন উত্তেজনা আর তীব্র হয় না।
বিস্তারিত

যৌন মনোবিজ্ঞান - Sexual Psychology

প্রজনন জীবিত শরীরসমূহের আদিম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহের আধারভূত কার্য। তার যন্ত্রগুলো অত্যন্ত জটিল এবং আজও পর্যন্ত পূর্ণরূপে তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। তা আবশ্যকরূপে যৌনতার সাথে সম্পৃক্ত নয় আর যৌনতা আবশ্যিকরূপে প্রজননের সাথে সম্পর্কিত নয়। তা সত্ত্বেও যৌনযন্ত্র তার সাথে সম্পর্কিত গৌণ যৌন লক্ষণগুলোর পূর্ণ বিকাশ শরীরের সাধারণ বিকাশের সমান যুগ্মগুলো অথবা প্রজনন কোষগুলো (Chromosome)-স্ত্রী দ্বারা প্রদত্ত ডিম্বাণু এবং পুরুষ দ্বারা প্রদত্ত শুক্রাণুর অক্ষুণ্নতার ওপর নির্ভরশীল।
বিস্তারিত

হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার জন্য কিছু উপায়

মনে রাখবেন ইসলামের বিধি বিধান অনুসারে হস্তমৈথুন করা মহা পাপ। অভ্যাসটা একসময় ভয়াবহ যৌন দুর্বলতা এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার জন্ম দেয়। তাই হস্তমৈথুন যদি আপনার অভ্যাস এ পরিনত হয় তাহলে ত্যাগ করার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন এবং তার সাথে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিন।
বিস্তারিত

নারীর কাম উত্তেজনা ও তৃপ্তি

আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে নারীর কাম উত্তেজনা দ্রুত কি ভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়েও কামশাস্ত্রে আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করলে দ্রু নারীর কাম উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তা হলোঃ-
বিস্তারিত

কিভাবে আপনার স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তি দিবেন

বিয়ের আগে অনেকই এই বিষয়টা নিয়া ভাবতে পারেন কিন্ত বিয়ের পর হয়ত প্রবল ভাবে অনুভব করে থাকেন। বিবাহিতরা হয়ত নিজেরাই অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেন নিয়মিত স্ত্রীর সাথে সহবাস করার কারণে। তাই অবিবাহিতরা অন্তত নিচের বিষয় গুলো জেনে রাখতে পারেন:-
বিস্তারিত