সারা দেশে যে হারবাল চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোন ভিত্তি। চিকিৎসক হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা হেকিম, ডাক্তার কিংবা বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করলেও কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তারা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আমাদের এবারের প্রতিমঞ্চে উঠে এসেছে ভুক্তভোগী মানুষের কথা। চিকিৎসার নামে মানুষকে প্রতারিত করার নানা ফন্দির ইতিবৃত্ত।
ক্যান্সার, বাতের ব্যথা, টিউমার, হ্যাপাটাইটিস, প্যারালাইসিস, ডাইবেটিস, হাঁপানি, অর্শ, গেজ, ভগন্দর, পাইলস, চর্ম ও যৌনরোগ ছাড়াও অন্যান্য পুরাতন ও জটিল রোগের গ্যারান্টিসহ শতভাগ চিকিৎসা দেয়া হয়। ২৪ ঘণ্টায় ফলাফল, বিফলে মূল্য ফেরত। এটা রাজধানী ঢাকার ইউনানী, হারবাল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেডিমেড বিজ্ঞাপন। প্রতিদিনের নাগরিক জীবনে রাস্তাঘাতে বাস কিংবা রিকশায় চলাফেরার ক্ষেত্রে প্রায় পড়তে হচ্ছে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বোরকা পরা একশ্রেণীর নারী এসব হারবাল, ইউনানী প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাচ্ছে লিফলেট ছুড়ে, আর নিত্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
লিফলেট বিলিয়ে রোগী সংগ্রহ, বিব্রত হচ্ছে মানুষ:
রাজধানীর অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে ভুয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগী বাড়াতে রয়েছে অভিনব পদ্ধতি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠান মালিকেরা কিছু নারীকর্মী নিয়োগ করে, যাদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির লিফলেট বিলি করা। বোরকা পরিহিত এসব নারী বাস কিংবা হেঁটে চলাচলরত মানুষকে হাতে গুঁজে দেয় লিফলেট। চলন্ত অবস্থায় তারা গাড়ির জানালা দিয়ে লিফলেটগুলো ছুড়ে দেয়। ফলে পরিবারের বয়োজৈষ্ঠ্যদের সাথে চলাফেরার সময় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। কারণ এই লিফলেটগুলোর ভাষা খুবই নগ্ন এবং অশ¬ীল। তবে যারা এই লিফলেট বিলি করছে তাদের সাথে মালিকের চুক্তি থাকে। যারা এই প্রতিষ্ঠানে ডিসকাউন্টে চিকিৎসার আশায় যায় তারা লিফলেটটি হাতে করে নিয়ে যায় এবং সেই লিফলেট বিতরণকারীকে পরে পার্সেন্টেজ অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়। সাধারণত রোগীর কাছ থেকে যে টাকা তারা আদায় কতে সেখান থেকে বিতরণকারী নারীরা টাকা পায়। এজন্য অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের ধান্ধায় এসব নারী বেশি বেশি বিজ্ঞাপন বিলি করতে থাকে। সেই খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগী অল্প বয়সী তরুণরা।
রাজধানীর অলিতে-গলিতে গড়ে উঠেছে ভুয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগী বাড়াতে রয়েছে অভিনব পদ্ধতি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠান মালিকেরা কিছু নারীকর্মী নিয়োগ করে, যাদের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির লিফলেট বিলি করা। বোরকা পরিহিত এসব নারী বাস কিংবা হেঁটে চলাচলরত মানুষকে হাতে গুঁজে দেয় লিফলেট। চলন্ত অবস্থায় তারা গাড়ির জানালা দিয়ে লিফলেটগুলো ছুড়ে দেয়। ফলে পরিবারের বয়োজৈষ্ঠ্যদের সাথে চলাফেরার সময় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। কারণ এই লিফলেটগুলোর ভাষা খুবই নগ্ন এবং অশ¬ীল। তবে যারা এই লিফলেট বিলি করছে তাদের সাথে মালিকের চুক্তি থাকে। যারা এই প্রতিষ্ঠানে ডিসকাউন্টে চিকিৎসার আশায় যায় তারা লিফলেটটি হাতে করে নিয়ে যায় এবং সেই লিফলেট বিতরণকারীকে পরে পার্সেন্টেজ অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়। সাধারণত রোগীর কাছ থেকে যে টাকা তারা আদায় কতে সেখান থেকে বিতরণকারী নারীরা টাকা পায়। এজন্য অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের ধান্ধায় এসব নারী বেশি বেশি বিজ্ঞাপন বিলি করতে থাকে। সেই খপ্পরে পড়ে ভুক্তভোগী অল্প বয়সী তরুণরা।
সব রোগের সমাধান মেলে এক জায়গায়:
মানুষের দেহের প্রত্যেকটি সমস্যার পেছনে কারণ থাকে এবং সেগুলো নিরূপণে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কিন্তু অবাক হলেও সত্য, রাস্তায় যে অশ্লীল লিফলেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় সেখানে এক সাথে হাজারো রোগের সমাধান রয়েছে বলে উলে¬খ থাকে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কথিত রোগ নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে একই সঙ্গে সাধারণ রোগ থেকে শুরু করে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারেরও চিকিৎসা করা হচ্ছে। সাইন বোর্ডে বড় বড় হরফে লেখা থাকে বিভিন্ন ধরনের রোগের বর্ণনা। মানুষের যেমন রোগের শেষ নেই তেমনি এদের চিকিৎসারও শেষ নেই। একই হেকিম বা কবিরাজ একই সঙ্গে চর্ম, কাশি, যৌন চিকিৎসা করান এবং সেই সাথে ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো মারাÍক সব রোগের সেবাও তার কাছে পাওয়া যাচ্ছে।
মানুষের দেহের প্রত্যেকটি সমস্যার পেছনে কারণ থাকে এবং সেগুলো নিরূপণে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কিন্তু অবাক হলেও সত্য, রাস্তায় যে অশ্লীল লিফলেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় সেখানে এক সাথে হাজারো রোগের সমাধান রয়েছে বলে উলে¬খ থাকে। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কথিত রোগ নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে একই সঙ্গে সাধারণ রোগ থেকে শুরু করে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারেরও চিকিৎসা করা হচ্ছে। সাইন বোর্ডে বড় বড় হরফে লেখা থাকে বিভিন্ন ধরনের রোগের বর্ণনা। মানুষের যেমন রোগের শেষ নেই তেমনি এদের চিকিৎসারও শেষ নেই। একই হেকিম বা কবিরাজ একই সঙ্গে চর্ম, কাশি, যৌন চিকিৎসা করান এবং সেই সাথে ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো মারাÍক সব রোগের সেবাও তার কাছে পাওয়া যাচ্ছে।
যেখানে এখন পর্যন্ত মেডিকেল সায়েন্স থেকে ডায়াবেটিস কিংবা ক্যান্সার পুরোপুরি নিরাময়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তার পরও কিভাবে তারা মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে সেটায় সুশীল সমাজের প্রশ্ন। যদিও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দীর্ঘ দিন ধরে গণমানুষের সেবা করে আসছে বলে জানা গেছে। তবে এখন ছত্রাকের মতো বেড়ে যাওয়া হারবাল, ইউনানী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বলে মনে করেন খ্যাতিসম্পন্ন কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। এসব সেবাকেন্দ্রের সেবা তালিকার মধ্যে উলে¬খযোগ্য রোগগুলো হল চর্ম রোগ, কাশি, বাত, যৌন সমস্যা, আমাশয়, অর্শ, পাইলস, হাঁপানি, ওজন মেদ বা চর্বি কমানো, ¯ি¬ম হওয়ার উপায়, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, টিউমার, সিফিলিস, ডায়াবেটিস, প্যারালাইসিস, হ্যাপাটাইটিস, স্থায়ীভাবে মোটা হওয়া, নারী-পুরুষের জটিল ও কঠিন রোগসহ দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধির চিকিৎসা। বর্তমানে যেটি বড় বড় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে না, সেটি কবিরাজ বা হেকিম করতে পারেন।
ভুয়া চিকিৎসা: দেশের স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক বছর ধরে পড়াশুনা করে বা তার ওপর গবেষণা করেই আমাদের চিকিৎসকেরা কোন একটি রোগ সম্পর্কে উপদেশ, নির্দেশনা দিয়ে থাকেন সেখানে কথিত হেকিম, কবিরাজ শুধুই অভিজ্ঞতার কথা বলে এবং খোদাতাআলার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে। মেডিকেল ডাক্তারদের মতে, ইউনানী কিংবা হারবাল জাতীয় চিকিৎসার নেই কোন ভিত্তি, নেই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি কিংবা ওষুধগুলোও ভুয়া। যেমন এ ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রধানত যৌন সমস্যার সমাধান দেয়া হচ্ছে, সিলড্রিনফিলস সাইট্রেট নামের এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ভায়াগ্রার মতো উত্তেজক ওষুধ দিয়ে রোগী সাময়িকভাবে হেকিমের ক্ষমতা দেখানো হয়। তবে সাময়িকভাবে যৌন উত্তেজনা বাড়লেও দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে পাঁচ থেকে ছয় মাস পরে সেটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে সারা জীবনের জন্য পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে কয়েকজন মেডিকেল চিকিৎসক যুক্তি দেখান। ভেষজ ওষুধের নাম করে এর সঙ্গে আরেকটি প্রচলিত ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সেটি হচ্ছে স্টেরয়েড, মেডিকেল সায়েন্সে যেটা রোগের শেষ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হাঁপানির ওষুধে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড মিশ্রিত করা হয়। ফলে সাময়িকভাবে রোগী সুস্থ্যতাবোধ করেন। আবার মোটা হওয়ার ওষুধে দেয়া হয় স্টেরয়েড, কিন্তু তারা জানে না যে কি পরিমাণে কত দিন পর পর স্টেরয়েড খাওয়া উচিত কিংবা উচ্চ মাত্রায় স্টেরয়েড খেলে শরীরে মরণব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে। সে বিষয়টি বুঝেও না বোঝার ভান করে মানুষ ঠকিয়ে আদায় করে টাকা। একইভাবে তারা রুচি বৃদ্ধির জন্য দেয় পেরিঅ্যাকটিন, দাত পরিষ্কারের জন্য দেয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড জাতীয় কথিত ওষুধ। ফল হিসেবে রোগীকে ভুগতে হয় কিডনি, লিভার কিংবা শরীরের অন্যতম অঙ্গ হার্টের নানা সমস্যায়।
এরা চিকিৎসক না প্রতারক:
সমাজে তারা নিজেদের একজন মানবসেবক, মহান চিকিৎসক হিসেবে দাবি করলেও তারা কতটা ভয়ানক তা নিয়ে শিক্ষিত সমাজে অভিযোগ রয়েছে। রোগী যখন তাদের কাছে যায় তখন ছয় মাস-ন'মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তার চিকিৎসা করা হবে বলে জানায়। কিন্তু প্রতিবার তাদের কাছে গেলে কথিত ভুয়া ওষুধ ধরিয়ে দিয়ে হাজার হাজার টাকা আদায় করা হয়। কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওষুধের ফাইল হিসেবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং জটিল রোগের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। তবে যেগুলো নির্দিষ্ট সময় উলে¬খ করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেগুলোর ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি।
সমাজে তারা নিজেদের একজন মানবসেবক, মহান চিকিৎসক হিসেবে দাবি করলেও তারা কতটা ভয়ানক তা নিয়ে শিক্ষিত সমাজে অভিযোগ রয়েছে। রোগী যখন তাদের কাছে যায় তখন ছয় মাস-ন'মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তার চিকিৎসা করা হবে বলে জানায়। কিন্তু প্রতিবার তাদের কাছে গেলে কথিত ভুয়া ওষুধ ধরিয়ে দিয়ে হাজার হাজার টাকা আদায় করা হয়। কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওষুধের ফাইল হিসেবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং জটিল রোগের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। তবে যেগুলো নির্দিষ্ট সময় উলে¬খ করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেগুলোর ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি।
রয়েছে অভিনব ফন্দি:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মালিবাগ, মৌচাক, ফার্মগেট, গুলিস্তান, সদরঘাট, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুরসহ অন্যান্য এলাকা ছেয়ে গেছে এই ধরনের ইউনানী, হারবাল চিকিৎসাকেন্দ্রে। কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই টাকার লোভে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলে বসেছে দোকান। যদিও বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন থেকে এক মাসের কোর্স করলেই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞের দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু ছত্রাকের মতো গড়ে তোলা এ ধরনের চিকিৎসকদের মধ্যে অধিকাংশই অর্ধশিক্ষিত বা কোন রকম প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান তাদের নেই। আর এই পেশার অভিনব ফন্দিটি হচ্ছে এই হেকিম তথা কথিত চিকিৎসকরা বড় মাপের মন্ত্রী কিংবা সমাজের কোন একজন বিশিষ্টজনের সাথে ছবি তুলে সেটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন হিসেবে চালায়, এই দৃশ্যটি রাজধানীর সব ইউনানী কেন্দ্রে গেলে অহরহ দেখা যায়। ফলে সহজ সরল সাধারণ মানুষগুলো তাদের কথার জালে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মালিবাগ, মৌচাক, ফার্মগেট, গুলিস্তান, সদরঘাট, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, কল্যাণপুরসহ অন্যান্য এলাকা ছেয়ে গেছে এই ধরনের ইউনানী, হারবাল চিকিৎসাকেন্দ্রে। কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই টাকার লোভে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলে বসেছে দোকান। যদিও বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন থেকে এক মাসের কোর্স করলেই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞের দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু ছত্রাকের মতো গড়ে তোলা এ ধরনের চিকিৎসকদের মধ্যে অধিকাংশই অর্ধশিক্ষিত বা কোন রকম প্রতিষ্ঠানিক জ্ঞান তাদের নেই। আর এই পেশার অভিনব ফন্দিটি হচ্ছে এই হেকিম তথা কথিত চিকিৎসকরা বড় মাপের মন্ত্রী কিংবা সমাজের কোন একজন বিশিষ্টজনের সাথে ছবি তুলে সেটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন হিসেবে চালায়, এই দৃশ্যটি রাজধানীর সব ইউনানী কেন্দ্রে গেলে অহরহ দেখা যায়। ফলে সহজ সরল সাধারণ মানুষগুলো তাদের কথার জালে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
সরেজমিন থেকে:
রাজধানীর অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ইউনানী, হারবাল চিকিৎসাকেন্দ । সব জায়গায় চলছে ভুয়া চিকিৎসা সেবা আর চিকিৎসকরূপী প্রতারকশ্রেণীরা আদায় করছে লক্ষাধিক টাকা। সরেজমিন যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিভাবে বিক্রি হচ্ছে তাদের ওষুধ আর কিভাবেই বা সেবা দেয়া হচ্ছে রোগীকে। পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর খালপাড় নতুন রাস্তার পাশে আছে কলিকাতা হারবাল, দেখা যায় সেখানে রোগীর সংখ্যা কম নয়, হেকিম সাহেব কিছুক্ষণ করে রোগী দেখছেন আর বাইরে বসা কর্মচারী ওষুধ বিক্রি করছে। এর কয়েক কদম হাঁটতেই মিরহাজিরবাগ কাঁচা বাজারে দেখা গেল শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিঃ নামের দোকানটি। এর থেকে একটু দূরে আছে ইবনে সিনা হারবাল নামের একটি চিকিৎসাকেন্দ্র।
রাজধানীর অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ইউনানী, হারবাল চিকিৎসাকেন্দ । সব জায়গায় চলছে ভুয়া চিকিৎসা সেবা আর চিকিৎসকরূপী প্রতারকশ্রেণীরা আদায় করছে লক্ষাধিক টাকা। সরেজমিন যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিভাবে বিক্রি হচ্ছে তাদের ওষুধ আর কিভাবেই বা সেবা দেয়া হচ্ছে রোগীকে। পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর খালপাড় নতুন রাস্তার পাশে আছে কলিকাতা হারবাল, দেখা যায় সেখানে রোগীর সংখ্যা কম নয়, হেকিম সাহেব কিছুক্ষণ করে রোগী দেখছেন আর বাইরে বসা কর্মচারী ওষুধ বিক্রি করছে। এর কয়েক কদম হাঁটতেই মিরহাজিরবাগ কাঁচা বাজারে দেখা গেল শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিঃ নামের দোকানটি। এর থেকে একটু দূরে আছে ইবনে সিনা হারবাল নামের একটি চিকিৎসাকেন্দ্র।
যেখানে এক সাথে চর্ম, কাশি, বাত, ব্যথা, যৌন, আমাশয়, অর্শ, মেদ বা ওজন কমানোসহ দুরারোগ্য কয়েকটি সমস্যা। কিভাবে এত রোগের চিকিৎসা এক সঙ্গে দেয়া সম্ভব জানতে চাইলে হেকিমের প্রথম উত্তর আল্লাহই রোগ দেন তিনিই রোগ সারানোর মালিক, আমি কিছুই না। তিনি তার অভিজ্ঞতার আলোকে সব রোগ সারান বলে জানান। দয়াগঞ্জ সংলগ্ন রাস্তার পাশে আছে বাংলাদেশ ইউনানী দাওয়াতখানা, যেমন দাওয়াতের কথা বলা রয়েছে ঠিকই তেমনই তাদের চিকিৎসা তালিকাটি দীর্ঘ। এখানে ডায়াবেটিস, টিউমারের মতো রোগের স্থায়ী চিকিৎসা করা হয় বলে জানা যায়। তবে নারিন্দা বেগমগঞ্জ লেনের জার্মান হোমিও ক্লিনিক ও ঠাকুরবাড়ী চিকিৎসাকেন্দ্র নাম দিলেও সেখানে কবিরাজি মতে যে সেবা দেয়া হয় সেটিও সাইন বোর্ডে লিখতে ভুল করেননি তারা।(তথ্য সুত্র :envnews)
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার