যশোরে হারবাল আর নানা প্রকার কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে অনিয়ম ও প্রতারনা। সরকারি নিয়মনীতি লংঘন করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হারবাল প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অশ্লীল ভাষায় পত্রপত্রিকা, ডিশ চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও যেখানে সেখানে লিফলেট ছড়িয়ে ব্যবসা জোরদার করছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে পরিবার ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
তিন বছর আগে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে কয়েকটি হারবাল প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও মালিককে কারাদণ্ড দেয়ার পরও থেমে নেই কর্মকান্ড। তারা সেই থেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের যৌন শিক্ষা সচেতনতা কম থাকাকে পূঁজি করে এরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ওষুধ খাওয়ার পরই ১০০ ভাগ নিরাময়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আর এতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে রোগীরা। যশোর শহরে এধরনের অন্তত ২০টি হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, হারবাল চিকিৎসার নামে এরা যৌন উত্তেজক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মূলত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট গুড়ো করে হালুয়া বানিয়ে হারবাল ওষুধ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। হারবাল প্রতিষ্ঠানের মালিক চিকিৎসকরা রোগীদের আকৃষ্ট করতে নিজেরাই ওষুধের নাম তৈরি করে। বাহারি আর ইসলামী কায়দার নাম দেখে রোগীরা আকৃষ্ট হয়। কিন্ত প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। অভিযানও চলছে না এসব প্রতিষ্ঠানে। ফলে নির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড। কোন প্রতিষ্ঠান ড্রাগ লাইসেন্সের আড়ালে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে বিকিকিনি করছে। আবার কারো ড্রাগ লাইসেন্স নেই।
সূত্র জানিয়েছে, যশোর শহরের চাঁচড়া মোড়ে মা ফতেমা ও মেয়ে ফরিদা খাতুন গড়ে তুলেছে কলিকাতা কবিরাজ ঘর। এ এক আজগুবি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের উপর ভর করে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। তাও এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এ প্রতিষ্ঠানের নেই কোন বৈধতা। সম্পূর্ন হাওয়ার উপর চলছে এর কর্মকান্ড। নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স ও নিজস্ব হাকিম। কোন রোগী গেলে তাকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। হাকিম না থাকলেও রোগীর কাছ থেকে পরামর্শ ফি বাবদ প্রথমে মা মেয়ে হাতিয়ে নেয় ১শ’ টাকা। তারপর মা মেয়ের কাছে রোগের লক্ষণ বলতে হয়।
রোগের লক্ষণ অনুযায়ী পরে ওষুধ তৈরি করে দেয়া হয়। এর জন্য অগ্রিম টাকা দিতে হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মা-মেয়ে হাকিমের কাছ থেকে ওষুধের নাম জেনে নেয়। আসলে এখানে রোগীরা প্রতারনা ছাড়া আর কিছু পায়না। মোটকথা এখানে সবই চলছে অবৈধ পন্থায়। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শুধু প্রতারনা নয়, এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এখানে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া হিসেবে গড়ে উঠেছে। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে অবৈধ কার্যকলাপ। সন্ত্রাসীদের আখড়া হিসেবেও ব্যবহার হয় প্রতিষ্ঠানটি। মা-মেয়ের ডেরায় সন্ত্রাসীদের আড্ডা থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা। মেয়ে ফরিদার স্বামী হাকিম নামধারী মোকছেদ আলী একাধিক বিয়ে করে ঢাকায় অবস্থান করে। ফরিদা মায়ের সাথে থেকে অবৈধ এ কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
স্বামী তাকে দেখাশুনা করে না। দীর্ঘ দিন ধরে এ কার্যকলাপ চলে আসছে। এতে আশপাশের ব্যবসায়ীরা চরমভাবে অতিষ্ঠ। এব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে রোগী সেজে এ প্রতিবেদক কলিকাতা কবিরাজ ঘরে গেলে শতভাগ সত্যতা পাওয়া যায়। মুড়লী মোড়ে মমতাজ মার্কেটে গড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ হারবাল কিনিক। এ কিনিকের হাকিম দাবিদার আব্দুল খালেক মাসুদ। আসলে খালেক এখানে বসেনা। সে থাকে বগুড়ায়। সম্পূর্ন প্রতারনার উপর চলছে এ প্রতিষ্ঠান। খালেকের ভাই মালেক চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। মালেক কোন চিকিৎসক নয়।
রোগী আসলে তার ভাই খালেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দেন। তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করেন, মাত্র ১৪ দিনেই ১০০ ভাগ কাজ হবে এখানকার হারবাল ওষুধ খেয়ে। এখানে যৌন স্ট্রং হাই পাওয়ার বড়ি ৫৫০ টাকা, লং টাইম হালুয়া ৩০০ টাকা, হাবেব কবাদ ২০০ টাকা, যৌন স্ট্রং ম্যাসেজ ওয়েল মালিশ ২০০ টাকা, মোট ১২৫০ টাকায় কোর্স দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩০/৪০ বছরের আমাশয় সেরে যাওয়ার গালভরা বলি আওড়ানো হচ্ছে।
রোগী আসলে তার ভাই খালেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দেন। তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করেন, মাত্র ১৪ দিনেই ১০০ ভাগ কাজ হবে এখানকার হারবাল ওষুধ খেয়ে। এখানে যৌন স্ট্রং হাই পাওয়ার বড়ি ৫৫০ টাকা, লং টাইম হালুয়া ৩০০ টাকা, হাবেব কবাদ ২০০ টাকা, যৌন স্ট্রং ম্যাসেজ ওয়েল মালিশ ২০০ টাকা, মোট ১২৫০ টাকায় কোর্স দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩০/৪০ বছরের আমাশয় সেরে যাওয়ার গালভরা বলি আওড়ানো হচ্ছে।
এর এক ফাইল ওষুধ ৪৫০ টাকা। এই এক ফাইলে রোগ নিরাময় হয়ে যাবে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। মহিলাদের সাদা স্রাব ভাঙ্গার চিকিৎসায় গ্যারান্টি দিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আসলে এখান থেকে রোগী ভাল হয়েছে এমন কোন নজির নেই। শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার বনরাজ হাকিমী ওষধালয় ব্যবসা জোরদার করেছে অনেক আগে থেকেই। নিয়মনীতি লংঘন করে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে বিদেশি ফমূর্লায় তৈরি ওষুধ দেয়ার নামে ১০০ ভাগ কার্যকরীর নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এখানে সেক্সের জন্য ওষুধ দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সেক্সের জন্য সেক্স কিং ৭শ’ ৯০ টাকা, বেগম রাহাত ৬৯০ টাকা, কস্তরী মালিশ ৫৫০ টাকা, মহিলাদের ব্রেস্ট শক্ত করার মালিশ ৫২০ টাকা, কুস্তায় মাড়োয়ারি ১২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
প্রচার করা হচ্ছে এ ওষুধে সেক্স বৃদ্ধি, শুক্রকীট সবল, জীর্ণ শরীর মোটা করবে। আসলে এখানকার ওষুধ খেয়ে ভাল হয়েছে এমন নজির খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে বনরাজের হাকিম সেকেন্দার আলী জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান পুরনো। তিনি বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ দিয়ে থাকেন। নিজেরা কোন ওষুধ তৈরি করেন না। তিনি স্বীকার করেন, রোগী পেতে বিজ্ঞাপনে একটু বাড়তি কথা লেখা হয়ে থকে। তবে আহামরি তেমন রোগী হয়না।
ঘোপ জেল রোডের জেলখানার সামনে গ্রামীণ মেডিকেল এন্ড হারবাল রেমিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পুরুষ ও মহিলাদের যৌন রোগসহ জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা। এখানে ট্যাবলেট জোর ৪৫০ টাকা, ট্যাবলেট টাস, ক্রিম টিলা বিক্রি করা হচ্ছে গ্যারান্টি দিয়ে। এছাড়া মুখের কালো দাগ, ব্রেস্ট ছোট বড়, চিকন ও মোটা স্বাস্থ্য করা, অনিদ্রা, কাশি , হাপানী, অ্যাজমা, পাইলস অজীর্ণ, পেট ফাঁপা, একজিমা, গ্যাস্টিক ও চুল উঠে যাওয়া রোগের চিকিৎসা দেয়ার প্রচার চালায়।
ঘোপ জেল রোডের জেলখানার সামনে গ্রামীণ মেডিকেল এন্ড হারবাল রেমিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠান পুরুষ ও মহিলাদের যৌন রোগসহ জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা দেয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা। এখানে ট্যাবলেট জোর ৪৫০ টাকা, ট্যাবলেট টাস, ক্রিম টিলা বিক্রি করা হচ্ছে গ্যারান্টি দিয়ে। এছাড়া মুখের কালো দাগ, ব্রেস্ট ছোট বড়, চিকন ও মোটা স্বাস্থ্য করা, অনিদ্রা, কাশি , হাপানী, অ্যাজমা, পাইলস অজীর্ণ, পেট ফাঁপা, একজিমা, গ্যাস্টিক ও চুল উঠে যাওয়া রোগের চিকিৎসা দেয়ার প্রচার চালায়।
পালবাড়ী ভাস্কর্য মোড়ে গড়ে তোলা হয়েছে নিজাম হাকিমী দাওয়াখানা। এখানে রোগ নিরাময়ে মাত্র ২/৩ ঘন্টার মধ্যে ১০০ ভাগ কার্যকরী ও গ্যারান্টি দিচ্ছে। এসপি হালুয়া ৪৫০ টাকা, শক্র বড়ি ৩৫০ টাকা, জিংসেং এসপি বড়ি ৭০০ টাকা, জিংসেং ওয়েল ২৮০ টাকা বিক্রি ও ১০০ টাকা অগ্রিম ডাকযোগে পাঠালে ওষুধ পাঠনো হয় বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। আসলে এখানকার ওষুধে স্থায়ীভাবে রোগ সেরেছে এমন নজির নেই। নিকের জন্য কাজ করলেও পরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে কোরিয়ান হারবাল কমপ্লেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১ ঘন্টার মধ্যে বিশেষ কাজে ৩০/৪০ মিনিট থাকা সম্ভব বলে প্রচার চালিয়ে রোগীদের ফাঁদে ফেলে নেয়া হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
এছাড়া কলকাতা হারবাল, মাদ্রাজ, চায়না হারবাল, চাঁচড়া মোড়ের হারবাল হেলথ কেয়ার, ন্যাচারাল হারবাল বিভিন্ন রোগের নিরাময়ের গ্যারান্টি দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। মাদ্রাজ হারবালের মালিক ইমদাদুল হক পান্নু একই সাথে চালাচ্ছেন চাঁচড়া মোড়ের ন্যাচারাল হারবাল হেলথ কেয়ার। ন্যাচারালে সব সময় বসে থাকেন একজন রিসিসপনিস্ট। রোগী আসলে ডেকে আনা হয় চিকিৎসক। তবে প্রচার চালানো হয় এখানে বসেন জুয়েল রানা নামে একজন হাকিম। অবশ্য এ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোন হাকিমকে পাওয়া যায়নি। বসেছিলেন একজন রিসিসপনিস্ট কাম ম্যানেজার।
ঘোপ জেল রোড এলাকার চট্টগ্রাম মেডিকোতে কোন হেকিম থাকে না। রেলগেট এলাকার দিল্লী ইউনানী আর্য়ূবেদি প্রতিষ্ঠানের নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স। শহরের চার খাম্বার মোড়ে কাজী বখতিয়ার নামে এক প্রতারক পাইলস চিকিৎসার নামে কিনিক খুলে বসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে বখতিয়ার ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগ সমপূর্ন নিরাময় করার গ্যারান্টি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতি বৃহস্পতিবার বখতিয়ার এখানে বসে।
ঘোপ জেল রোড এলাকার চট্টগ্রাম মেডিকোতে কোন হেকিম থাকে না। রেলগেট এলাকার দিল্লী ইউনানী আর্য়ূবেদি প্রতিষ্ঠানের নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স। শহরের চার খাম্বার মোড়ে কাজী বখতিয়ার নামে এক প্রতারক পাইলস চিকিৎসার নামে কিনিক খুলে বসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে বখতিয়ার ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগ সমপূর্ন নিরাময় করার গ্যারান্টি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতি বৃহস্পতিবার বখতিয়ার এখানে বসে।
হোমিও মেডিসিন সার্জারীর উপর বিশেষজ্ঞ দাবি করলেও সে অবৈধ এলোপথিক ওষুধ ব্যবহার করে রোগী চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এতে সাময়িক রোগ নিরাময় হলেও পরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঝিকরগাছার মাগুরা গ্রামের এক রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে পথে বসেছে। জমিজমা বিক্রি করে চিকিৎসা নিয়েও কাজ হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব হারবাল প্রতিষ্ঠানের চটকদারী অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রচারে বেকায়দায় পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অনেকে এ কারনে বাসায় পত্রিকা রাখতে চাননা। ডিশ চ্যানেলেও বিভিন্ন কায়দায় প্রচার চালানো হয়। ফলে পরিবারের সদস্যরা একসাথে টেলিভিশন দেখতে পারেনা। রাস্তাঘাটে দাঁড়িয়ে এদের নিযুক্ত লোকজন লিফলেট হাতে হাতে বিলি করে চরম বেকায়দায় ফেলছে পথচারীদের।
বাস ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে উঠে এরা লিফলেট বিতরন করে আবার পথচারীদের গায়ে ছুঁড়ে মারে। তিন বছর আগে বনরাজ, হারবাল হেলথ কেয়ার, গ্রামীন হারবালসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা ও মালিকদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্ত কয়েক দিনের মাথায় তারা শুরু করে ব্যবসা। এখনো রোগীদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা পয়সা। এখানে বেশিরভাগ প্রতারনার শিকার হচ্ছে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা লোকজন।
তারা বিজ্ঞাপন দেখে ও দালালদের মাধ্যমে এখানে চিকিৎসা নিয়ে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে। রোগ নিরাময় তো দুরের কথা মানুষ আরো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগছে। ইয়াবা, ভায়াগ্রা, ইডিগ্রাসহ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে বড়ি ও হালুয়া তৈরি করে হারবাল ওষুধ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এ ওষুধ খেলে নিকের জন্য কাজ হয় যৌন উত্তেজনার। কিন্ত পরে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এচিকিৎসা গোপন ব্যাপার তাই প্রতারনার শিকার হলেও অনেকে লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খোলেনা।
তারা বিজ্ঞাপন দেখে ও দালালদের মাধ্যমে এখানে চিকিৎসা নিয়ে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে। রোগ নিরাময় তো দুরের কথা মানুষ আরো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগছে। ইয়াবা, ভায়াগ্রা, ইডিগ্রাসহ ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে বড়ি ও হালুয়া তৈরি করে হারবাল ওষুধ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এ ওষুধ খেলে নিকের জন্য কাজ হয় যৌন উত্তেজনার। কিন্ত পরে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এচিকিৎসা গোপন ব্যাপার তাই প্রতারনার শিকার হলেও অনেকে লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খোলেনা।
ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন জানান, হারবাল চিকিৎসার নামে ত্রেফ প্রতারনা চলছে। ফার্মেসী থেকে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ওষুধ কিনে নিয়ে তাদের মতো করে অন্যান্য মেডিসিনের সাথে মিশিয়ে বড়ি আর হালুয়া তৈরি করে বিক্রি করে। প্রকৃত হারবাল চিকিৎসার জনপ্রিয়তাকে পূঁজি করে এ চক্র ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। আসলে এরা এক ধরনের প্রতারক চক্র। এদের মূল ধান্দা টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগী জানান, যৌন দুর্বলতার জন্য তিনি একটি হারবাল প্রতিষ্ঠান থেকে ওষুধ খান। ওষুধ খাওয়ার পরই যৌন উত্তেজনা হয়। কিন্ত পরবর্তীতে কোন কাজ হয়না। স্থায়ী কোন রোগ নিরাময় হয়না। মনে হয় ওষুধে ভায়াগ্রা ইডিগ্রা জাতীয় ওষুধ মেশানো থাকে। যাতে সাময়িক কাজ হয়।
এব্যাপারে যশোর ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবৈধ হারবাল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের ড্রাগ লাইসেন্স দেয়া হয় তাদের ভেজাল ওষুধ তৈরির অনুমতি দেয়া হয়নি। যারা এ কর্মকান্ডের সাথে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা।
তথ্যসূত্র: বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম
তথ্যসূত্র: বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার