শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

যৌন মিলনে স্ত্রীকে স্তন্যের মাধ্যমে উত্তেজিত করার পদ্ধতি

আমাদের সম্মানিত পাঠকদের একটা কথা বলে রাখছি এটা একটা যৌন শিক্ষা মূলক বাংলা ব্লগ। প্রিয় পাঠকদের মধ্যে যারা বিবাহিত এবং অবিবাহিত উভয়ই বেশ উপকৃত হচ্ছেন আশা রাখি। মেডিকেল সাইন্স এ যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে যে বিপুল পড়াশোনা করেছি তার নানা বিষয়সহ বর্তমানে গবেষণালব্ধ অনেক জ্ঞানও আপনাদের কাছে শেয়ার করছি। তাই কোনো সময় আমাদের কোন লেখাকে অশালীন ভাবে নিবেন না !! সম্মানিত পাঠকদের প্রতি এটা আমাদের অনুরোধ।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৪

যৌনমিলনে কোনো কোনো সময় নারীর প্রসাবের অনুভূতি

মাঝে মাঝে যৌন মিলনের সময় অনেক মহিলাই মনে করেন তাদের প্রসাবের বেগ হচ্ছে। যারা জি-স্পট সম্পর্কে জানেন তারা হয়তো বিষয়টা আরো ভালো করে বুঝবেন, মিলনকালে জি-স্পটে চাপ পড়লে মনে হতে পারে আপনি এখনি প্রস্রাব করে দিবেন! এটা চিন্তার কোন বিষয় নয়। আসুন এ বিষয়টা জানি।
বিস্তারিত

কিভাবে আপনার যৌন জীবনে পুনঃজোয়ার আনবেন ?

বিয়ের কিছু কাল পর অনেক দম্পতিই দেখা কিছুটা নিরাসক্ত হয়ে যান। অনেকের বা আবার যৌন জীবনে ভাটা পড়ে। হয়ত নানা কারণ থাকতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু বিষয় নিয়মিত মেনে চলেন তাহলে দেখবেন আপনার যৌন জীবন ঠিক বিয়ের প্রথম দিককার মতই আনন্দময় হয়ে উঠবে। আসুন দেখি সে গুলো কি :-
বিস্তারিত

স্বামী/স্ত্রী পরষ্পরের মুখমৈথুন এবং ধর্মীয় বিধি নিষেধ

পশ্চিমা সংস্কৃতিতে আজ মিলনে বা অন্য সময় নর-নারী পরষ্পরের মুখমৈথুন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু বিষয়টা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে কতটা যৌক্তিক এটাও একটা প্রশ্ন দাড় করিয়ে দেয়। তাছাড়া এ সংক্রান্ত ধর্মীয় বিধি নিষেধই বা কি এটাও জানার বিষয়। বিশেষ করে ইসলামে এর কি বিধান রয়েছে তাও চিন্তা করা দরকার।
বিস্তারিত

ছেলে মেয়েদের শিশু এবং কিশোর বয়সের যৌনতা বিষয়ে প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটের নানা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে যৌন শিক্ষার বিষয়ে আমাদের মা বাবারা কমবেশি সবাই এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু না এই বিষয়ে সবার ভালো জ্ঞান থাকা দরকার। কেননা এটা আমাদের জীবনেরই একটি অংশ। এই বিষয়ে একটা সিস্টেমে সবার খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।
বিস্তারিত

ছেলে এবং মেয়ে শিশু বা বাচ্চাদের সুন্দর ইসলামী নাম এবং এর গুরত্ব

ছেলে এবং মেয়ে শিশুদের সুন্দর ও ভালো অর্থবোধক ইসলামী নাম এবং এর গুরত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশিষ্ট ব্লগার নূরুল্লাহ তারীফ। শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর অর্থবোধক ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য।
বিস্তারিত

যৌনমিলনে ৪৫% পুরুষের স্থায়িত্ব মাত্র ২ মিনিট ! প্রতিকার কি ?

স্বামী-স্ত্রী মধ্যে সম্পর্ক কতই না মধুর। নারী-পুরুষের এই মধুর সম্পর্ক আরো বাড়িয়ে তোলে যৌনমিলন। নারী-পুরুষের এই জৈবিক চাহিদা চিরন্তন। এ নিয়ে নানা গবেষণা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে এ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। তবে আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন এই যৌন মিলন নিয়ে নানা বাগাড়ম্বরও রয়েছে সমাজে, রয়েছে নানা কুসংস্কারও। মিলনে পারদর্শীতা নিয়ে অনেক পুরুষের মধ্যে একটা দাম্ভিকতা কাজ করলেও অনেকের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানা দ্বিধাদ্বন্ধ ।
বিস্তারিত

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি নারীদের যৌনতায় পরিতৃপ্তি নষ্ট করে

যুগ যুগ ধরে মানুষ জন্মনিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতির আবিস্কার করে আসছে। তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর এবং আধুনিক হলো নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ। কিন্তু ইদানিং এক গবেষণায় এর বিরুদ্ধে সুর তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কেন ?
বিস্তারিত

যৌন মিলনের পদ্ধতি, যৌনাঙ্গের পরিমাপ ও নারী-পুরুষের যৌন চাহিদা

কিশোর বয়স থেকে যখন ছেলে মেয়েরা প্রথম যৌবনে প্রদার্পন করে তখন যৌনতা সংক্রান্ত নানা চিন্তা ভাবনা মনে ঘোরপাক খাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাবে তরুণরা সঠিক সময়ে যথাযথ জ্ঞান লাভ করতে পারে না। তাই বহু যুগ ধরেই এ দেশে যৌনতা সম্পর্কে নানা সত্য-মিথ্যা ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে৷ সেই ধারনাগুলি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত আজ তুলে ধরা হলো :-
বিস্তারিত

আমাদের তরুণদের যৌন সচেতন হওয়া প্রয়োজন

আপনারা অবশ্যই নানা প্রকার যৌন রোগ সম্পর্কে অবগত আছেন। বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর যে সংখ্যক লোক এ যৌনরোগে আক্রান্ত হয় তার পরিমান প্রায় ২৫ কোটি। তার মধ্যে একমাত্র গনোরিয়াতেই আক্রান্ত হয়ে থাকে সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি মানুষ। বলা হয় ২ কোটিরও বেশি যুবক যুবতী বর্তমান বিশ্বে এইডস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
বিস্তারিত

যে জিনিস পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে দেয়

আপনি জানেন কি ? মিষ্টি পানীয় আপনার বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে থাকে ! বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসকেরা মনে করছেন অতিরিক্ত মিষ্টি বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় পানীয়গ্রহনের ফলে কমে যেতে পারে পুরুষের বীর্যের শুক্রাণুর পরিমাণ৷ মিষ্টি জাতীয় পানীয় বলতে চিকিৎসকরা সোডা, ভোদকা কিম্বা জিনের মতো অ্যালকোহলকেই দিকেই প্রথম ইঙ্গিত করেছেন৷
বিস্তারিত

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবন এবং সন্তান

বিয়ের পর প্রায় সকল দম্পতির ক্ষেত্রেই একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় আর সেটা হলো বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনগুলো যেন একটু বেশি দ্রুততায় কেটে যায়। এরপর ভালোবাসার প্রতীক হয়ে জন্ম নেয় তাদের সন্তান। এসময় কোনো কোনো দম্পতির মধ্যকার অন্তরঙ্গ প্রেমময় মুহূর্তগুলো যেন হারিয়ে যেতে বসে।
বিস্তারিত

স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় করতে সেক্স বা সহবাসের পর করণীয়

নিয়মিত স্ত্রী সহবাস বা সেক্স স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করে এটি আমাদের সকলেরই জানা কথা । কিন্তু আপনি জানেন কি যৌন মিলনের পর কিছু কাজ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে অনেক শক্ত করে থাকে এবং মিলন শেষ হওয়ার পরবর্তী মুহূর্তটি এ বন্ধন আরো বাড়িয়ে দেয়।
বিস্তারিত

নিয়মিত স্ত্রী সহবাস সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার

শরীর ভাল রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো নিয়মিত যৌন মিলন বা স্ত্রী সহবাস করা।  এর মাধ্যমে মানব দেহের প্রচুর কেমিক্যালের ক্ষরণ হয় যা সকলেরই মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের পক্ষে স্বাস্থ্যকর ৷ এছাড়াও সহবাসের আরো অনেক উপকারিতাও রয়েছে৷ এটি রক্তের সংবহনকে বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সাহায্য করে এবং ত্বকে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে ত্বক অনেক বেশি স্বাস্হ্যজ্জ্বল হয়ে থাকে৷
বিস্তারিত

নারীর গর্ভধারণে যে খাবার গুলি সহায়তা করে

বিয়ের পর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে মেয়েরা আগ্রহী হয়ে উঠবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু অধিকাংশ নারীদের ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানান বিড়ম্বনা। তাই সঠিক সময়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াটা অতি জরুরি। অনেক সময়ই ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে মেয়েটি শারীরিক উর্বরতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
বিস্তারিত

নারীদের ঋতুর সময়ে কি কি বিষয়ে সতর্কতা জরুরি

আপনারা হয়ত একটা বিষয় জানেন যে, মেয়েদের যৌবন আগমন থেকে যৌবনের সীমা পর্যন্ত এই সময়টায় প্রতি ১৮ দিন অন্তর তাদের যোনি থেকে কিছুটা রক্ত ও শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসে। একই বলা হয়ে থাকে  মাসিক বা ঋতু।
বিস্তারিত

নারী এবং পুরুষের যৌবন আগমনের লক্ষণ

যদিও  মাঝে মধ্যে প্রকৃতিগত নিয়মেও ব্যতিক্রম দেখা যায় তারপরও লক্ষণ নারী এবং পুরুষের যৌবন আগমন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কারণ দেহে যৌবন আগমনের সময় পুরুষ এবং নারীদের ভিন্ন ভিন্ন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে এবং তাদের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এবার আসুন জেনে নেই বিষয় গুলো কি কি ?
বিস্তারিত

দেশ এবং কাল ভেদে যৌবনের হেরফের

আবহাওয়া, দেশ, কাল এবং পরিবেশ ভেদেও মানুষের যৌবনের পরিবর্তন এবং হেরফের লক্ষ্য করা যায়। নারী ও পুরুষ উভয়ের জীবনেই বিভিন্ন সময়ে যৌবনের সঞ্চার ঘটে থাকে। তবে যৌবন আগমন উভয়ের ঠিক একই সময়ে ঘটে না বিভিন্ন সময়ে ঘটে। নারীর যৌবন আগমন ঘটে আগে - পুরুষের ঘটে কিছু পারে।
বিস্তারিত

সঙ্গীর চোখই বলে দেবে ভালবাসা নাকি যৌনকাঙ্ক্ষা ?

আপনার সঙ্গীর চোখ দেখেই বুঝতে পারবেন সে কি চায়। চোখের ভাষা যদিও বুঝা খুব কঠিন তবুও চোখ সবসময় সত্যই প্রকাশ করে। আর তাই মানুষের চোখ যে সত্যিই ‘হৃদয়ের দর্পণ’ তা প্রমাণিত হলো নতুন এক গবেষণায়। ভালোবাসা নাকি শুধুই যৌনাকাঙ্ক্ষা চোখের দৃষ্টি থেকেই বোঝা যাবে কারো তার মনে কি রয়েছে- এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিস্তারিত

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০১৪

যৌন মিলনে যে বিষয়টি নারীদের চরম পরিতৃপ্তির সন্ধান দেয়

হিন্দুস্তান টাইমস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এক গবেষণা বলছে, নারীরা যৌনকর্মের সময় যদি তাদের দৈহিক অনুভূতিগুলোতে আরো বেশি মনোযোগ দেন এবং আরো বেশি সেক্সি চিন্তা-ভাবনা করেন তবে চরম যৌনসুখ উপভোগ করবেন তারা।

গবেষকরা দেখেছেন, যে সব নারীরা প্রতিবার যৌনতার সময় চরম সুখের সন্ধান পান তাদের চিন্তায় সেক্সি বিষয়গুলো বেশি বেশি কাজ করে। আর যাদের মাথায় তা আসে না তারা সব সময় চরম সুখে পৌঁছতে পারেন না। এই গবেষণা ২৫১ জন ফরাসী নারীর ওপর পরিচালিত হয় যাদের বয়স ১৮ বছর থেকে ৬৭ বছর ছিলো।
যৌন মিলনে যে বিষয়টি নারীদের চরম পরিতৃপ্তির সন্ধান দেয়
প্রথম দলে ১৭৬ জন নারীকে বেছে নেওয়া হয় যারা প্রতিবার সেক্সের ক্ষেত্রে চরম সুখ পেয়েছেন। আর ৭৫ জন নারীরা অন্য দলে যারা নিয়মিত সুখ পান না। অংশগ্রহণকারী সবাই নিয়মিত সেক্স করতেন। আবেগ, চিন্তা-ভাবনা এবং আচার-আচরণের বিষয়ে তাদের নানা প্রশ্ন করা হয়।

দেখা যায়, মিলনের সময় সেক্সি চিন্তার অভাব পরিতৃপ্তি দেয় না। অথচ যারা এসব চিন্তায় উত্তেজিত থাকেন তারা সহজেই পরিতৃপ্ত হন।

বেলজিয়ামের লুভেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গবেষক প্যামতেল ডি সুদার বলেন, আমরা ধারণাও করিনি যে সঙ্গমের সময় নারীর চিন্তা-ভাবনা তাদের চরম সুখের সন্ধান দেয়। 'সেক্সোলজিস' জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চেহারা এবং দৈহিক সৌন্দর্যের বিষয়ে নানা চিন্তা নারীদের উত্তেজক চিন্তাকে বাধা দিতে পারে। (সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস)
বিস্তারিত

স্ত্রীর সাথে নিয়মিত সেক্স/মিলনে সম্পর্ক ভালো থাকে

ছোটখাটো মানসিক চাপ  বা সম্পর্কের টানাপড়েন দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্ত্রীর সাথে নিয়মিত সেক্স বা যৌন মিলন করা। সম্প্রতি এক দল গবেষকের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, দম্পতিরা সাংসারিক দ্বন্দ্ব বা অন্যান্য মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন যদি নিয়মিত যৌনতা উপভোগ করেন। ফিলিপাইনে বিবাহিতদের ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করেন তারা।
বিস্তারিত

যেসব শারীরিক সমস্যা যৌন কামনাকে দমিয়ে রাখে - জানতে হবে সবাইকে!

নারী পুরুষের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যে গুলো তাদের যৌন কামনাকে দমিয়ে রাখে। এটাই স্বাভাবিক যে, কোনো রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ ঐটা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারে না। আগে তাত্ক্ষণিক সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যে গুলোতে অধিকাংশ মানুষই ভুগে থাকেন এবং এই গুলোর জন্য তাদের যৌন স্পৃহা কম থাকে। আসুন জেনে নেই সে গুলো কি ?

ডিপ্রেশন: হেলদি সেক্সুয়াল লাইফ এনজয় করার জন্য সেক্সুয়াল ডিসায়ার তৈরি হওয়া উচিত। শরীরের সব ইচ্ছার জন্ম মস্তিষ্কে হয়। তাই ব্রেন যদি ঠিক মতো কাজ না করে তখন সেক্স করার ইচ্ছা তৈরি হয় না। যারা chronic stress and clinical depression এর রোগী তাদের মধ্যে এটা দেখা যায়। আবার ডিপ্রেশনের ওষুধ বা Antidepressants খেলে সেক্স করার ইচ্ছা চলে যায়।
যেসব শারীরিক সমস্যা যৌন কামনাকে দমিয়ে রাখে
ডায়াবেটিস: রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়াতে অনেকরকমের জটিলতা তৈরি হয় তার মধ্যে একটা হল সেক্সুয়াল ডিসফাংশন। পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী ৬০% থেকে ৭০% পুরুষ যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ইন্দ্রিয় শৈথিল্য দেখা দিয়েছে। মধুমেহর ফলে যৌনাঙ্গে ঠিকমত রক্ত চলাচল হয় না। ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আবার মধুমেহ হলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয় ফলে ঠিক মত erection হয় না।

ভ্যাসকুলার ডিজিজেজ : যারা রক্ত সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন যেমন হাইপারটেনশন বা hardening of the arteries এর সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের ঠিকমতো রক্ত চলাচল হয় না। ফলে erectile dysfunction হতে পারে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে insufficient lubrication এর সমস্যা দেখা দেয়।

ব্যাক পেইন: যদিও পিঠে ব্যথা হলে সেক্স লাইফে সরাসরি প্রভাব ফেলে না কিন্তু দেখা গেছে পিঠে ব্যথা হলে সেক্স করার ইচ্ছা কমে যায়। তাই পিঠে ব্যথা হলে তা অবহেলা করবেন না।

অ্যানিমিয়া: অ্যানিমিয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ফলে সেক্স করার উৎসাহ পান না অনেকেই। পুরুষদের অ্যানিমিয়া হলে lowered sexual desire আর erection problems দেখা যায়।

মেনোপোজ: মহিলাদের মেনোপোজ হলে হরমোনের লেভেল কমে যায় আর তার জন্যে সেক্সসুয়াল ডিজায়ার কমে যায়। সঠিক কাউন্সেলিং আর ট্রিটমেন্ট করলে এই সমস্যা অনেকটা কমে যায়।

তবে যৌন সংক্রান্ত সমস্যার পেছনে বহু কারণ থেকে থাকে। সে অবস্থায় প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলেই ঠিক হয়ে যায়। 
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

বয়স্কদের যৌন চাহিদা কেমন হয়ে থাকে ?

বয়স্কদের যৌন চাহিদা যুবকদের থেকে কম না কি বেশি ? আপাত দৃষ্টিতে সবাই হয়ত বলবেন কম। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য রকম কিছু তথ্য। আসুন জেনে নেই যৌনতার প্রতি বয়স্করা কতটা আগ্রহী।

বয়স বেড়েছে বলে কি তাদের সাধ আহ্লাদ থাকতে পারে না? কিন্তু সে সাধের মধ্যে যৌনতার প্রতি ঝোঁক কিন্তু একটু বেশিই থাকে তাদের। তবে সুযোগ আর সঙ্গীর অভাবে অনেকেই শেষ বয়সে এসে নিজেদের যৌনতার চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে এমনই জানা গেছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জো হাইড ও তার সহকর্মীরা ৭৫ থেকে ৯৫ বছর বয়সী ২৭০০ পুরুষের ওপর সম্প্রতি এক গবেষণা করেন।
বয়স্কদের যৌন চাহিদা কেমন হয়ে থাকে ?
এতে দেখা গেছে, অধিকাংশ পুরুষই যৌনতার প্রতি বেশ আগ্রহী। তবে সুযোগের অভাবেই নিজেরে মনোবাসনা চরিতার্থ করতে অক্ষম অনেকে। গবেষক দল বয়স্কদের স্বাস্থ্য, সম্পর্ক ও যৌনকর্ম বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। গবেষণার অন্তর্গত ৯০ থেকে ৯৫ বয়সী বৃদ্ধরা শারীরিকভাবে সক্ষম না হলেও যৌনকর্মকে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রায় সবাই। দেখা গেছে, বয়স্কদের যৌনতার বিশেষ ভূমিকা রাখছে টেস্টোস্টেরন হরমোন। এ হরমোন আরও কাজের সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ হরমোন পরিবর্তনের ফলে বয়স্কদের জীবনে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। তবে গবেষণার অন্তর্গত শরীরিক সক্ষম বয়স্কদের ৮০ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত যৌনক্রিয়া করতে চাইলেও সুযোগের অভাবে তা হয়ে ওঠে না। ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনের বার্ষিক সংস্করণে গবেষক জো’ এর এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, অনেক পুরুষই শেষ বয়সে এসে যৌনতার প্রতি বিশেষভাবে আকর্ষিত হন। কিন্তু উপযুক্ত সঙ্গীর অভাব ও বাড়তি বয়সের ফলে তারা এ কাজ করতে পারেন না। অবশ্য সবাই যে এ ধরনের চিন্তা করেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। ৭৫ থেকে ৯৫ বছর বয়সী বৃদ্ধদের একাংশ মনে করেন, শেষ বয়সে যৌনকর্ম একেবারেই নয়।
বিস্তারিত

নারীর যৌন অনীহার লক্ষন, কারন এবং করনীয়

নারীর যৌন আকাঙ্খা কম থাকাকে যৌনদুর্বলতা অথবা "ফিমেল সেক্সুয়াল এ্যরুসাল ডিজওর্ডার" বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই, বেশিরভাগ নারীর এ সমস্য খুবই ক্ষনস্থায়ী। অনেক নারী আপনা থেকেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু যারা পারেন না তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবার প্রয়োজন পড়তে পারে। যৌন অনীহা নারীর ক্ষেত্রে সচরাচর এবং পুরুষের ক্ষেত্রে বিরল।
বিস্তারিত

পুরুষের নানান যৌনাশঙ্কা এবং প্রতিকার

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পুরুষের যৌনতা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা থাকে। তারা চিন্তা করে সব সময় কেন উত্থান বা লিঙ্গ দাঁড়ানোর ব্যাপারটা একইভাবে হয় না-তবে কি যৌনঅক্ষমতা বা পুরুষত্বহীন হয়ে গেলাম। কামরস কেন এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে, কামরস যৌনসঙ্গমের সাথে সেক্স করার সময় কেন বের হয় না অথচ হস্তমৈথুন বা সুখস্পর্শের সময় ঠিকই কামরস বের হয়ে আসে ইত্যাদি।
পুরুষের নানান যৌনাশঙ্কা এবং প্রতিকার
পুরুষের যৌন আচরণ আর যৌন ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। একেকজন একেক আসন, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি বা টেকনিক পছন্দ করে অন্যরা হয়ত তা করে না। একজন পুরুষ নিজের যৌনতা নিয়ে যা ভাবেন তাই তার কাছে সটিক হওয়া উচিত। অন্য পুরুষরা যেরকমের আচরণ করেন তাকেও সেই একই রকম আচরণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে যৌন আচরণে বাধ্য করা অন্যায়। বলাৎকার বা ধর্ষণ আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

যৌন জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মনে হবে কেউ উত্থিত লিঙ্গকে যৌনসুখ পাওয়া না পর্যন্ত ঠিক ধরে রাখতে পারছে না। এর আসলে অনেক কারন থাকতে পারে যেমন অসুস্ততা, ক্লান্ত বা অবসন্ন থাকা, মনোশারীরিক চাপে থাকা বা যৌনসঙ্গীকর্তৃক মনঃকষ্ট পাওয়া, এ্যালকোহল, ড্রাগ বা ওষুধ সেবনের কারণে হতে পারে। তবে যৌন অসন্তোষ বা অতৃপ্তি এসব সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।

সবচেয়ে প্রচলিত যৌনাশঙ্কা আর ভাবনা হলো দ্রুত বীর্যস্খলন বা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বীর্যস্খলন। বিষয়টির বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে, তাই অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের সাথে এটা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবেন আশা করি। 
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৪

যৌন মিলনে চরমানন্দ কয় প্রকার হয়ে থাকে?

ষাটের দশকের যৌনবিজ্ঞানীদের মতে যৌন-চরমানন্দের জন্য ভগাংকুর-ই একমাত্র অঙ্গ। অন্য কোন অঙ্গের সাথে চরমানন্দের সরাসরি সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরবর্তীতে বিশদ গবেষনা এবং নারীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় - সংগমের শেষ ভাগে পরম-যৌনতৃপ্তির একপ্রকার অনুভুতি ভগাঙকুরে শুরু হয়ে সম্পুর্ন যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তী মুহুর্তের জন্য ক্রমশঃ শক্তিশালী আনন্দের চরম শিখরে পৌঁছায়।
যৌন মিলনে চরমানন্দ কয় প্রকার হয়ে থাকে?
প্রচলিত আছে নারীর জি-স্পটে যৌনানন্দের কম্পনের (আন্দোলিত হওয়া) সৃষ্টি হয়ে তা গভীর থেকে গভীরতায়, শক্তিশালী থেকে প্রকটতায়, সময়ব্যপ্তি এবং যোনী - মুত্রনালী - পেলভিক অঙ্গে প্রতক্ষ্য সংযোগ স্থাপন করে এক স্বর্গীয় সুখানুভুতির অনুরনন ঘটায়। নারী স্বীকার করেন সত্যিকার অর্থেই যৌনপুর্নতৃপ্তি তার মস্তিস্কের ভালবাসা অনুভবের স্নায়ুযন্ত্রে স্বামীর সাথে মনের যোগাযোগ/সংযোগ প্রতিস্থাপন করে দেয় যা তাকে সংসারের প্রতি দায়িত্বশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য দাম্পত্য সম্পর্কে উৎসাহী করে।
বিস্তারিত

নারী পুরুষের যৌন পরিতৃপ্তি কিভাবে কাজ করে?

যারা বিবাহ করেছেন তারা হয়ত নিয়মিত মিলিত হওয়ার কারণে বিষয়টি লক্ষ্য করে থাকবেন। তারপরও আসুন জেনে নেয়া যাক নারী পুরুষের যৌন পরিতৃপ্তি কিভাবে কাজ করে? নারী মিলন-পুর্ব-সিঙারে পুরুষের তুলনায় অধিক সময় নিয়ে শারীরিক উত্তেজনা তথা যৌনমিলনের জন্য শারীরিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।

আনন্দের চরম শিখর আরোহনের পর সে ধীর গতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে (পক্ষান্তরে পুরুষের অনন্দানুভুতি স্বল্প সময়ে ধ্বসে পড়ে). অনেক সময় এই অবস্থা লম্বা সময় নিয়ে নারী শরীরে বিরাজমান থাকে এবং মিলনকালে স্বামী কর্মঠ থাকলে থেমে থেমে একাদিকবার এ সুখবোধ অনুভব করেন। আকাঙ্খার শিখরে আরোহন পর্যন্ত যৌন পীড়ন ক্রমশঃ প্রকট হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তার শরীর পুরুষাঙ্গ গ্রহনে উতলা আগ্রহী হয়ে উঠবে। লিঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং পুরুষের সবল শরীর আন্দোলনে (সজোরে ঠেলে দেয়া) তার ভাললাগা অনুভবের মাত্রা উন্নিত হতে থাকে এবং সে যৌন পুর্নতৃপ্তির দিকে অগ্রসর হয়।
নারী পুরুষের যৌন পরিতৃপ্তি কিভাবে কাজ করে?

কিভাবে একজন নারী একই মিলনে একাধিক পুর্নতৃপ্তি অর্জন করতে পারে?

একজন নারী একই মিলনে দুই বা ততোদিক পরিতৃপ্তি অর্জন করতে পারেন - অপরপক্ষে পুরুষের ক্ষেত্রে বহুবার পরিতৃপ্তি অনুপস্থতিত। তীক্ষ তৃপ্তির কিনারায় গিয়ে সাময়িক বিরতি দিয়ে পুরুষ মিলনে সময় বাড়িয়ে তার সহধর্মিনীকে বহুমাত্রিক যৌনতৃপ্তি প্রদানে সক্ষম - যতক্ষন নারী সম্পুর্ন মাত্রায় উত্তেজিত থাকবে। প্রকৃতপক্ষে নারী সব মিলনে পরিপুর্ন তৃপ্তি অর্জন করেন না, এমনকি সে প্রতিবার পুর্নপরিতৃপ্তির আকাঙ্খাও করেনা। পরম যৌন পরিতৃপ্তি শেষে অধিকাংশ নারী স্বামীকে আবেগের সহিত চুমু খেয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং পরম আন্তরিকতায় জড়িয়ে ধরেন, কিছু নারী অনেকটা অবচেতন ভাবনায় হারিয়ে যায়। অনেকে ঘুমঘুম ভাবে আবিষ্ট হন।
বিস্তারিত

নারী গর্ভবতী হলে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পায় ?

যদি কোন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েন তাহলে প্রথম কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি কিছু বুঝতে নাও পারেন। একটু ক্লান্তি, একটু বমি বমি ভাব থাকতেও পারে আবার না-ও থাকতে পারে। হয়তো তিনি সেসব খেয়ালই করলেন না। প্রথম যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় সেটা হলো, সময় মাসিক না হওয়া। এটা গর্ভধারণের একটা নিশ্চিত লক্ষণ, তবে আরও অনেক কারণে মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। তাই মাসিক বন্ধ হলেই কোনো নারী গর্ভবতী হয়েছেন এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কিন্তু গর্ভবতী হলে মাসিক বন্ধ হবেই।
বিস্তারিত

সেক্স বা যৌন মিলনে নারীর কিছু কষ্টদায়ক সমস্যা ও সমাধান

আমাদের দেশের মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক লাজুক। তাদের ছোট ছোট সমস্যাই শেয়ার করতে পারে না আর যৌন সমস্যা হলে তো কথাই নেই। মেয়েদের এমন কিছু কষ্টের কথা নিয়েই আজকের ছোট প্রবন্ধ। বিবাহিত মহিলা ও যারা বিয়ের পায়তারা করছেন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী হবে বলেই মনে করছি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে, সমস্যা গুলোকে হালকা দৃষ্টিতে না দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াই সমীচীন হবে।

যৌন চাহিদা হওয়ার পরেও লুব্রিকেশনের অভাব

কারণঃ অনেকেরই যৌন চাহিদা হওয়া সত্ত্বেও যৌন স্থান ভিজে না। পানিশূন্যতা, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ (কাউন্টার এন্টিহিস্টামিন), নার্সিং, মেনোপজের সময় হরমোন লেভেল পরিবর্তন এর উল্লেখযোগ্য কারণ।
সেক্স বা যৌন মিলনে নারীর কিছু কষ্টদায়ক সমস্যা ও সমাধান
চিকিৎসাঃ পিচ্ছিল কারক পদার্থ ব্যবহার করতে হবে, পানি জাতীয় ব্যবহার করলে ভালো, কারণ কনডম এর জন্যে নিরাপদ। কিন্তু কেউ যদি তৈলাক্ত পিচ্ছিল কারক ব্যবহার করে তখন এটি কনডমের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে দিতে পারে। রঙ দেয়া, সেন্ট দেয়া ও ফ্লেভার জাতীয় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তা ইস্ট ইনফেকশন করে শুকনা ভাব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেকের প্রশ্ন হতে পারে, ইস্ট ইনফেকশন কি তার পুরুষ সঙ্গীর শরীরেও ইনফেকশন করতে পারে? উত্তর হবে হ্যাঁ । এটি অনেক কমই হয়, কিন্তু হয়। একই রকম লক্ষণ যেমন- লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, যৌনমিলনের পর অস্বাভাবিক নিঃসরণ হতে পারে। কোন পুরুষের যদি ডায়াবেটিস থাকে, এন্টিবায়োটিক নিতে থাকে অথবা সে তার যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন কারণে কমে যায় তখন তার আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। খৎনা করা না থাকলেও এর ঝুকি বেড়ে যায়। কারণ এর উপরের চামড়া ভেজা ভেজা অবস্থার সৃষ্টি করে যা ইস্ট বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে।

মিশনারি (পুরুষ উপরে থাকা ) পজিশনে যৌন মিলনে সমস্যা হওয়া

শতকরা ২০ ভাগ মহিলার জরায়ু নরমালের উল্টো দিকে থাকতে পারে অর্থাৎ পেটের দিকে না থকে শিরদাঁড়ার দিকে থাকেতে পারে। এ ক্ষেত্রে টেম্পুন বা ডায়াফ্রাম ব্যবহার করা কষ্টকর হয় কারণ তা জরায়ুর ভেতর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই নারী উপরে থেকে মিলনে কষ্ট লাঘব হবে। আর মা হতে চাইলে যৌন মিলনের পর পেটের উপর অর্থাৎ উপুড় হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে তা স্পার্ম কে সাঁতরে জরায়ুমুখে যেতে সাহায্য করবে।

যৌন চাহিদা কমে যাওয়া

মেনোপজের কাছাকাছি বয়সের মহিলাদের এটি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। মেনোপজের আগে ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল কমে যায়। লুব্রিকেশনের অভাবে ব্যথা ও ব্যথা থেকে আগ্রহ কমে যাওয়া এর প্রধান কারণ।

চিকিৎসাঃ এমনটা হলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন। খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবেন।

যৌন মিলনের পর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

কারণঃ চাপে ঘষা লেগে মূত্রনালিতে ইরিটেশন হলে জ্বালাপোড়া হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ মিলন আর যৌন স্থানের শুষ্ক ভাবও এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ। প্রস্রাব নালীতে ইনফেকশন হলেও এই সমস্যা হতে পারে। যদি প্রস্রাব যৌন স্থানে লাগার পর জ্বালাপোড়া হয় তবে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মুত্রথলি খালি হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা বাড়তে থাকলে মুত্রথলি ইনফেকশনের ব্যাপারেই সন্দেহ বেড়ে যায়।

চিকিৎসাঃ যৌন মিলনের পর বাথ টাব ভর্তি কুসুম গরম পানিতে বসে থাকলে ব্যথা কমতে পারে। তাছাড়া পিচ্ছিল কারক ব্যবহারেও মাঝে মাঝে উপকার পাওয়া যেতে পারে। যদি এসব কিছুতেই লাভ না হয় তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন কারণ তখন কারণটা ইনফেকশনের দিকেই বেশি ইঙ্গিত করে। পানি বেশি পান করলে পিচ্ছিলতা ও ইনফেকশন থেকে মুক্তি দুইটা জিনিসেই উপকার পাওয়া যায়।

যৌনমিলনের পর তীব্র দুর্গন্ধ ও চুলকানি

কারণঃ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এমন হতে পারে। নতুন বা একাধিক মিলন সঙ্গীর কারণে এমন হতে পারে। যৌন স্থানের ভেতরে কিছু দেয়া থাকলে ( যেমন চিকিৎসার জন্যে বা রোগ নির্ণয়ে কোন কিছু ব্যবহার করা হলে ) তা থেকেও হতে পারে। এর পাশাপাশি ইনফেকশনের আরও কিছু লক্ষণ থাকতে পারে যেমন অস্বাভাবিক নিঃসরণ, জ্বালাপোড়া। চিকিৎসা না করা হলে ডেট এর আগেই ডেলিভারি হওয়া, স্বল্প ওজনের বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।

চিকিৎসাঃ আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন। খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবেন।

শেষ করার আগে একটা ছোট্ট টিপস দিতে চাই। অনেকেই মনে করেন পিল খেলে মোটা হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ব্যবহারের জন্যে পিলের উপরে কিছু নেই। আর নতুন বাজারে আসা পিল গুলোর সাইড ইফেক্ট-ও কম। কনডম ছিড়ে গিয়ে লিক করতে পারে। সেইফ পিরিয়ড মেনে যৌন মিলন শুধু রেগুলার পিরিয়ড হওয়া মেয়েদের জন্যেই কার্যকরী। তাও সেইফ থেকে ঠিক আনসেইফ পিরিয়ড হওয়ার সময়-ও ভুলবশত গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে কারণ এতটা হিসেব মেনে সেইফ আনসেইফ বের করা সম্ভব হয় না আর জরায়ুর ভেতরে জন্মনিয়ন্ত্রক ডিভাইস রেখে দিলে তার সাইড ইফেক্ট এর তো শেষ নেই। তাই সিদ্ধান্ত আপনার। নিরাপদ থাকুন।
বিস্তারিত

পিরিয়ডের সময় সেক্স বা যৌন মিলন করা কি উচিত ?

অনেকেই হয়ত পিরিয়ডের সময় স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করার পক্ষপাতি। কিন্তু এটা করা কতটা যুক্তি সংগত হতে পারে আমাদের সকলেরই তা ভেবে দেখা উচিত। কারণ পিরিয়ডের সময় সেক্স করাটা শুধু অস্বাস্থ্যকরই নয় বরং ক্ষতিকর। মুসলমানদের জন্য এসময় সহবাস করা নিষিদ্ধ।
পিরিয়ডের সময় সেক্স বা যৌন মিলন করা কি উচিত ?
এই সময় মেয়েদের মুড পাল্টে যায়, কিছুটা বিষন্নতা, মাথা যন্ত্রণা, তল পেটে ব্যথা, সম্পুর্ন শরীর ব্যথা বা জ্বর জ্বর ভাব প্রভৃতি থাকতে পারে। এ সময় মেয়েরামিলন করতে তেমন আগ্রহীও হয়না। তাই সঙ্গম না করে বরং তার মনোভাবের দিকে খেয়াল রাখা কর্তব্য এবং তাকে কাজে সহযোগিতা করা উচিৎ। পিরিয়ডের সময় মেয়েরা অন্য সময়ের মতো ততটা আনন্দ পায় না। পিরিয়ডের সময় যৌন মিলন মেয়েদের খুব বেশি Bleeding এর কারন হতে পারে। তাছাড়া এসময় সঙ্গম করলে পুরুষের যৌনরোগে (STD: Sexually Transmitted Diseases) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিস্তারিত

দাম্পত্যজীবন, আমাদের অজ্ঞতা-পরিণাম ও করনীয়

মানুষ যে কোন কাজ করতে চায়, প্রথমে সে ঐ বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করে। কাজটির হাকীকত ও উদ্দেশ্য কী? কাজটি আঞ্জাম দেয়ার সঠিক পন্থা কী? শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কী কী সমস্যা হতে পারে, সেগুলোর সমাধান কী? এগুলো জানা খুবই জরুরী। বিয়ের প্রস্তুতি মানে শুধু কেনা-কাটা নয়। বরং মানুষিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

অথচ জীবনের সবচে’ কাঠিন ও জটিল অধ্যায়ে মানুষ প্রবেশ করে, বরং বলা যায় ঝাঁপ দেয়, কিছু না শিখে, না জেনে এবং না বুঝে একেবারে অপ্রস্ত্তত অবস্থায়। ফল কী হতে পারে?! কী হয়?! সংসারে দন্দ, ঝগড়া, শেষে বিচ্ছেদ। অথবা ঘর হয়ত টিকে থাকে কিন্তু শান্তি নেই। স্বাভাবিক শান্তি হয়ত বজায় থাকে, কিন্তু বিবাহ যে দুনিয়ার বুকে মানবের জন্য আল্লাহর দেয়া এক জান্নাতি নেয়ামত (সুকূন ও সাকীনাহ), সে খবর আপনা পাই না, শুধু অজ্ঞতার কারণে,শুধু শিক্ষার অভাবে।
দাম্পত্যজীবন, আমাদের অজ্ঞতা-পরিণাম ও করনীয়
আশ্চর্য,মা-বাবা সন্তানকে কত বিষয়ে কত উপদেশ দান করেন; উস্তাদ কত কিছু শিক্ষা দেন, নছীহত করেন, কিন্তু জীবনের সবচে’ কঠিন ও জটিল বিষয়টি কেন যেন তারা সযত্নে এড়িয়ে যান!

দাম্পত্য জীবনের এই যে নতুন অধ্যায় উর্দূতে এটাকে বলে ইযদিওয়াজী যিন্দেগী, বাংলায় বলে দাম্পত্য জীবন, অর্থাৎ এটা জীবন ও যিন্দেগির খুবই এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ, শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এটা ঘাবড়ে দেয়ার জন্য বলছি না; প্রয়োজনীয় প্রস্ত্ততি গ্রহণ ও পাথেয় সংগ্রহ করার জন্য বলছি, যাতে পূর্ণ আস্থা ও সাহসের সঙ্গে আমরা এই নতুন জীবন শুরু করতে পারি। আল্লাহ যদি সাহায্য করেন তাহলে সবই সহজ।

এটা যে শুধু আমাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে তা নয়! আমাদের মা-বাবার জীবনেও হয়েছে! আমাদের মা-বাবাও একদিন এ জীবন শুরু করেছিলেন। যদি সহজ ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকে তাহলে মা-বাবাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, কীভাবে তারা এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন? জীবনের শুরুতে তারা কী ভেবেছিলেন, কী চেয়েছিলেন, কী পেয়েছেন? কখন কী সমস্যা হয়েছে, সেগুলো কীভাবে সমাধান করেছেন। এই জীবনের শুরুতে আমাদের প্রতি তাদের কী উপদেশ? এধরনের সহজ আন্তরিক আলোচনায় সংসার জীবনের পথচলা অনেক সহজ হয়ে যায়। অবশ্য সব মা-বাবার সঙ্গে সব সন্তানের এমন সহজ সম্পর্ক থাকে না, তবে থাকা উচিত। জীবনের যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য সন্তান মা-বাবার কাছেই আসবে, মা-বাবাকেই নিরাপদ আশ্রয় মনে করবে, বন্ধুবান্ধবকে নয়। কঠিন সমস্যার মুখে একজন অপরিপক্ব বন্ধু কীভাবে সঠিক পথ দেখাতে পারে! কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটাই ঘটে। সন্তান মা-বাবাকে ভয় করে, হয়ত কোন জটিলতায় পড়েছে; তখন তাদের প্রথম চেষ্টা হয় যে, মা-বাবা যেন জানতে না পারে, কারণ তাদের কানে গেলে সর্বনাশ!ছেলে তার বন্ধুর শরণাপন্ন হয়, মেয়ে তার বান্ধবীর কাছে বলে,তারা তাদের মত করে পরামর্শ দেয়। ফলে অবস্থা আরো গুরুতর হয়।

অতীতে যাই ছিলো,এখন তো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে, মা-বাবার জন্য সন্তানের বন্ধু হওয়া। বিপদে সমস্যায় সন্তানকে তিরস্কার পরে করা, আগে তার পাশে দাঁড়ানো। তাহলে সন্তান আরো বড় অন্যায় করা থেকে এবং আরো গুরুতর অবস্থায় পড়া থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু এখন অবস্থা হলো, সন্তান মা-বাবাকে ভয় করে, বন্ধুকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে। তাই সন্তান সমস্যায় পড়ে মা-বাবার কাছে আসে না, বন্ধুর কাছে আসে। এভাবে নিজের কারণেই সবচে’ কাছের হয়েও মা-বাবা হয়ে যায় দূরের,আর দূরের হয়েও বন্ধু হয়ে যায় কাছের। সন্তানের সমস্যা বন্ধু জানে সবার আগে। মা-বাবা জানে সবার পরে, পানি যখন মাথার উপর দিয়ে চলে যায় তখন।

বিবাহের আসল মাকছাদ বা উদ্দেশ্য হলো স্বামী ও স্ত্রী- এই পরিচয়ে একটি নতুন পরিবার গঠন করা এবং মা ও বাবা-এই পরিচয়ে সন্তান লাভ করা। তারপর উত্তম লালন-পালন এবং আদর্শ শিক্ষা-দীক্ষা ও তারবিয়াতের মাধ্যমে নেক সন্তানরূপে গড়ে তুলে দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করা,যাতে নস্লে ইনসানি বা মানববংশ কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর পছন্দমত আগে বাড়তে থাকে।

এটাই হলো বিবাহের আসল উদ্দেশ্য; অন্য যা কিছু আছে তা সব পার্শ্ব-উদ্দেশ্য। তো এখনই তুমি নিয়ত ঠিক করে নাও যে, কেন কী উদ্দেশ্যে বিবাহ করবে। উদ্দেশ্য যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে দেখতে পাবে, আল্লাহ চাহে তো এখনই তোমার ভিতরে কত সুন্দর পরিবর্তন আসছে! কী আশ্চর্য এক পরিপূর্ণতা নিজের মধ্যে অনুভূত হচ্ছে! আগামী জীবনের সকল দায়দায়িত্ব পালন করার জন্য গায়ব থেকে তুমি আত্মিক শক্তি লাভ করছো। আল্লাহ তাওফীক দান করেন।

বিবাহের পর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক হয় স্বামী-স্ত্রীর, দু’দিন পরেই হয়ে যায়- মা এবং বাবা। সেটা তো জীবনের আরো কঠিন, আরো জটিল অধ্যায়। প্রাকৃতিক নিয়মে মা-বাবা হয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু আদর্শ মা-বাবা হওয়ার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ শিক্ষা ও দীক্ষা।

আমরা যেন সন্তানের সামনে তার মাকে অসম্মান করো করি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের স্ত্রী কিন্তু আমাদের সন্তানের মা, আমাদের চেয়েও অধিক শ্রদ্ধার পাত্রী। সন্তান যেন কখনো, কখনোই মা-বাবাকে ঝগড়া-বিবাদ করতে না দেখে। আর স্বামী-স্ত্রী উভয়ই সন্তানের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করা, এমন বন্ধু যাকে নিজের মনের কথা, সব কথা নিঃসঙ্কোচে জানাতে পারে।

বিবাহ মানে- নিছক একটি যুবক ছেলে বিয়ের পর হয়ে যাচ্ছে একজন দায়িত্ববান স্বামী। কত বিরাট পার্থক্য এই দাম্পত্য জীবনের মধ্যে। আমাদেরকে বুঝতে হবে। কেন আমি বিবাহ করছি ? বিবাহের উদ্দেশ্য কী? আমাদের দেশে পারিবারিক পর্যায়ে একটা নিন্দনীয় মানসিকতা হলো,সংসারের প্রয়োজনে বিবাহ করা,আরো খোলামেলা যদি বলি, কাজের মানুষের প্রয়োজনে ছেলেকে বিয়ে করানো। সবাই যে এমন করে তা নয়, তবে এটা প্রবলভাবে ছিলো, এখনো কিছু আছে। মেয়ের বিয়ের পর শশুরবাড়ীতে রাত পোহালেই যেন পুত্রবধুর সামনে কাপড়ের স্ত্তপ নিক্ষেপ করে শাশুড়ী আদেশ, কাপড়ে সাবান লাগাও, দেখি, মায়ের বাড়ী থেকে কেমন কাজ শিখে এসেছো !একবন্ধুর কথা, বিয়ের প্রয়োজন। কেন? কারণ মা-বাবার খেদমত করার কেউ নেই।

এটা কিন্তু বিবাহের উদ্দেশ্য বা মাকছাদ হতে পারে না। মা-বাবার খেদমত মূলত আমাদের দায়িত্ব। এখন সে যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তোমার সাথে এতে শরীক হয়, তবে সেটা উভয়ের জন্য সৌভাগ্যের কারণ হতে পারে। কিন্তু আমি আমার পুত্রকে অবশ্যই বলবো, বিবাহের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র মা-বাবার খেদমত করা হতে পারে না।

বৈধ উপায়ে স্ত্রী পরিচয়ে কাউকে ভোগ করা,এটাও বিবাহের উদ্দেশ্য বা মাকছাদ হতে পারে না। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে বলা হয় শরীকে হায়াত, জীবনসঙ্গী এবং জীবনসঙ্গিনী। বস্ত্তত এই শব্দটির মধ্যেই দাম্পত্য জীবনের সুমহান উদ্দেশ্যটি নিহিত রয়েছে। আর যদি কোরআনের ভাষায় বলি তাহলে বিবাহের উদ্দেশ্য হল,
هن لباس لكم وانتم لباس لهن
ভেবে দেখার বিষয়, দাম্পত্য-সম্পর্কের কী গভীর তাৎপর্য এখানে নিহিত!
পেয়ারা হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,বিবাহ হচ্ছে আমার সুন্নত। আর বলেছেন, যে আমার সুন্নতের প্রতি বিমুখ হবে সে আমার উম্মতভুক্ত নয়। বিবাহ নবীর সুন্নত! সুতরাং সহজেই বোঝা যায়, বিরাট ও মহান কোন মাকছাদ রয়েছে এর পিছনে।

এবার জীবনের বাস্তবতার কথা বলি, এতদিন তোমার জীবনে ছিলেন শুধু তোমার মা, যিনি তোমাকে গর্ভে ধারণ করেছেন, প্রসববেদনা ভোগ করেছেন। নিজেকে তিলে তিলে ক্ষয় করে তোমাকে প্রতিপালন করেছেন। এতদিন তোমার উপর ছিলো তাঁর অখন্ড অধিকার। হঠাৎ তিনি দেখছেন, তাঁর আদরের ধন, তাঁর অাঁচলের রত্ন পুত্রের জীবনে স্ত্রীপরিচয়ে অন্য এক নারীর প্রবেশ (অনুপ্রবেশ?) ঘটেছে! এভাবে পুত্রের উপর তার অখন্ড অধিকার খন্ডিত হতে চলেছে। যে পুত্র ছিলো এতদিন তাঁর একক অবলম্বন, এখন সে হতে চলেছে অন্য এক নারীর অবলম্বন। এ বাস্তবতা না তিনি অস্বীকার করতে পারছেন, না মেনে নিতে পারছেন। সংসারে প্রত্যেক মায়ের জীবনে এ কঠিন সময়টি আসে। এমন এক অর্ন্তজ্বালা শুরু হয় যা শুধু তিনি নিজেই ভোগ করেন, কাউকে বোঝাতে পারেন না, এমনকি এতদিনের আদরের ধন পুত্রকেও না। ফলে সামান্য সামান্য কারণে, এমনকি অকারণেও তিনি খুব সংবেদনশীল হয়ে পড়েন; তাঁর অনুভূতি আহত হয়। এমন সময় ছেলে (এবং তার স্ত্রী অজ্ঞতা, অনভিজ্ঞতা ও অপিরপক্বতার কারণে) যদি অসঙ্গত কিছু বলে বা করে বসে তাহলে তো মায়ের মনে কষ্টের শেষ থাকে না। প্রসববেদনা থেকে শুরু করে প্রতিপালনের সব কষ্ট একসঙ্গে মনে পড়ে যায়।

কেন বলছি স্ত্রীর বিষয়টি সবচে’ নাযুক? তার আগে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দাও; কোন বিবাহে কোন ছেলেকে কাঁদতে দেখেছো?! কোন ছেলের মা-বাবাকে বিষণ্ণ দেখেছো?! দেখোনি; (হয়তো ব্যতিক্রম এক দুইটি ঘটনা থাকতে পারে। কিন্তু সাধারণ অবস্থা এটিই, এদের কেউ কাঁদে না।) কেন? কারণ বিবাহের মাধ্যমে ছেলে কিছু হারায় না, ছেলের মা-বাবা কিছু হারায় না, বরং অর্জন করে। তাই তাদের মুখে থাকে অর্জনের হাসি এবং প্রাপ্তির তৃপ্তি।

বিবাহের আসরে কাঁদে শুধু মেয়ে, আর মেয়ের মা-বাবা। কেন কাঁদে একটি মেয়ে? কারণ তাকে সবকিছু হারাতে হয়, সবকিছু ত্যাগ করতে হয়। মা-বাবাকে ছেড়ে আসতে হয়, শৈশবের সব স্মৃতি তাকে মুছে ফেলতে হয়। একটি ছোট্ট মেয়ের জীবনে এটি অনেক বড় আঘাত। এ যেন একটি ছোট্ট গাছের চারাকে শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলে বহু দূরে ভিন্ন পরিবেশে নতুন মাটিতে এনে রোপণ করা। বাকি জীবন তাকে এই মাটি থেকেই রস আহরণ করে বেঁচে থাকতে হবে।
হিন্দিতে বলে, ‘আওরত কী ডোলী যাহা উত্যরতী হ্যয়, উসকী আর্থী ওহীঁ সে উঠতি হ্যয়।’ অর্থাৎ মেয়েদের পালকি যেখানে গিয়ে নামে, সেখান থেকেই তার জানাযা ওঠে।
কত বড় নির্মম সত্য! তো তোমার স্ত্রীরূপে তোমার ঘরে আসা এই ছোট্ট মেয়েটির যখমি দিলে তাসাল্লির মরহম তোমাকেই রাখতে হবে। একমাটি থেকে উপড়ে এনে আরেক মাটিতে রোপণ করা একটি চারাগাছ থেকে দু’দিন পরেই ফল দাবী করা কতটা নিষ্ঠুরতা! ফল পেতে হলে তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে। চারা গাছটির পরিচর্যা করতে হবে, সকাল-সন্ধ্যা তার গোড়ায় পানি দিতে হবে। ধীরে ধীরে শিকড় যখন মাটিতে বসবে এবং মাটি থেকে রস সংগ্রহ করার উপযুক্ত হবে, তখন তোমাকে ফল চাইতে হবে না; সজীব বৃক্ষ নিজে থেকেই ফল দিতে শুরু করবে।

কত আফসোসের বিষয়, দাম্পত্য জীবনের শুরুতে যত আদেশ-উপদেশ সব ঐ ছোট্ট মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বর্ষিত হয়। প্রথম দিনেই তাকে শুনতে হয়, এখন থেকে তাকে স্বামীর মন জয় করতে হবে, শশুর-শাশুড়ি সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে, শশুর বাড়ীর সবার মন যুগিয়ে চলতে হবে। তার নিজের যেন কোন ‘মন’ নেই। সুতরাং সেটা জয় করারও কারো গরজ নেই।

তো মায়ের মন তোমাকেই রক্ষা করতে হবে,আবার স্ত্রীর মনোরঞ্জনও তোমাকেই করতে হবে। সবদিক তোমাকেই শামাল দিয়ে চলতে হবে। কত কঠিন দায়িত্ব! অথচ না শিক্ষাঙ্গনে, না গৃহপ্রাঙ্গণে, কোথাও এ সম্পর্কে শিক্ষার নূন্যতম কোন ব্যবস্থা নেই। সম্পূর্ণ অপ্রস্ত্তত অবস্থায় দু’টি অপরিপক্ব তরুণ-তরুণীকে যেন সংসার সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া! মেয়েটিও জানে না, আজ থেকে সে আর ছোট্ট মেয়েটি নেই। সে এখন স্ত্রী হয়ে একটি অপরিচিত মানুষের জীবনে প্রবেশ করছে, যার মা আছে, বাবা আছে, ভাইবোন আছে এবং তাদের প্রতি তার স্বামীর অনেক দায়-দায়িত্ব আছে। সহানুভূতির সঙ্গে কোমলাতার সঙ্গে এই দায়িত্ববোধ কেউ তার মধ্যে জাগ্রত করে দেয়নি। এ দোষ কার!

কথা দ্বারা আচরণ দ্বারা তোমার মাকে তুমি বোঝাবে, মা, আমি আপনারই ছিলাম, আছি এবং থাকবো। স্ত্রী হলো আমার জীবনের নতুন প্রয়োজন; আপনি আমার প্রাণ, আপনার সঙ্গে আমার নাড়ির টান।

অন্যদিকে স্ত্রীকে বোঝাতে হবে, এই সংসার সমুদ্রে তুমি একা নও; আমি তোমার পাশে আছি। নতুন জীবনে চলার পথে আমারও অনেক কষ্ট হবে, তোমারও অনেক কষ্ট হবে। তবে সান্ত্বনা এই যে, তুমিও একা নও, আমিও একা নই। আমার পাশে তুমি আছো, তোমার পাশে আমি আছি। আমার কষ্টের সান্ত্বনা তুমি, তোমার কষ্টের সান্ত্বনা আমি। আমরা পরস্পরের কষ্ট হয়ত দূর করতে পারবো না, তবে অনুভব করতে পারবো এবং হয়ত কিছুটা লাঘব করতে পারবো। আল্লাহর কসম, এমন কোন নারিহৃদয় নেই যা এমন কোমল সান্ত্বনায় বিগলিত হবে না।

তোমার স্ত্রীকে তুমি এভাবে বলবে,আমাদের জীবন তো আলাদা ছিলো। আমরা তো একে অপরকে চিনতামও না। আল্লাহ আমাদের কেন একত্র করেছেন জানো?! একা একা জান্নাতে যাওয়া কঠিন। আল্লাহ আমাদের একত্র করেছেন একসঙ্গে জান্নাতের পথে চলার জন্য। আমি যদি পিছিয়ে পড়ি, তুমি আমাকে টেনে নিয়ে যাবে; তুমি যদি পিছিয়ে পড়ো, আমি তোমাকে টেনে নিয়ে যাবো। তুমি সতর্ক থাকবে, আমার দ্বারা যেন কারো হক নষ্ট না হয়; আমিও সতর্ক থাকবো, তোমার দ্বারা যেন কারো প্রতি যুলুম না হয়।

স্ত্রীকে বোঝানোর জন্য তার সন্তানকে সামনে আনতে হবে। অর্থাৎ তুমি তাকে বলবে, দেখো, জীবন কত গতিশীল! সবকিছু কত দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে! দু’দিন আগে আমরা শুধু যুবক-যুবতী ছিলাম,আজ হয়ে গেছি স্বামী-স্ত্রী। দু’দিন পরেই হয়ে যাবো মা-বাবা। আমি বাবা,তুমি মা!আল্লাহর কাছে একজন মায়ের মর্যাদা কত! তোমার কদমের নীচে হবে তোমার সন্তানের জান্নাত! যেমন আমার মায়ের কদমের নীচে আমার জান্নাত। তো তোমার সন্তান কেমন হলে তুমি খুশী হবে? আমাকেও আমার মায়ের ঐরকম সন্তান হতে তুমি সাহায্য করো। আমি যদি ভুল করি, মায়ের কোন হক নষ্ট করি, মায়ের সামনে ‘উফ’ করি, তুমি আমাকে সাবধান করো, আমাকে সংশোধন করো। তাহলে ইনশাআল্লাহ তোমার সন্তানও তুমি যেমন চাও তেমন হবে।

প্রয়োজন হলে স্ত্রীকে মা-বাবার সামনে তিরস্কার করবে, তবে ঘরে এসে একটু আদর, একটু সোহাগ করে বোঝাতে হবে,কেন তুমি এটা করেছো?!বোঝানোর এই তরযগুলো শিখতে হবে,আর এটা দু’একদিনের বিষয় নয়,সারা জীবনের বিষয়। কিন্তু আমরা ক’জন এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করি?! হয় মাতৃভক্তিতে স্ত্রীর প্রতি অবিচার করি, না হয়, স্ত্রীর ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে মা-বাবার দিলে আঘাত দেই, আর দুনিয়া-আখেরাত বরবাদ হয়। আমার একটা কথা মনে রেখো, মায়ের পক্ষ নিয়ে স্ত্রীর প্রতি অবিচার করা মূলত মায়ের প্রতি যুলুম, তদ্রূপ স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মায়ের হক নষ্ট করা আসলে স্ত্রীর প্রতি যুলুম। আমার একথার উৎস হলো,
أنصر أخاك ظالما أو مظلوما
অবশ্য সবকিছু হতে হবে হিকমত ও প্রজ্ঞার সঙ্গে।
একটি ঘটনা বলি, একবার তার মা তাকে বললেন, তোর বউ আজ তোর এত আপন হয়ে গেলো কীভাবে!

আমি বললাম, দেখো মা, তোমাকে আমি মা বলি; এই ‘মা’ ডাকটুকু পাওয়ার জন্য তোমাকে কত কষ্ট করতে হয়েছে! অথচ ‘পরের বাড়ীর মেয়েটি’র মুখ থেকে তুমি বিনা কষ্টে ‘মা’ ডাক শুনতে পাও! তোমাকে যে মা বলে ডাকে সে আমার আপন হবে না কেন মা?

আরেকটা ঘটনা, এক মা তার মেয়ের শাশুড়ী সম্পর্কে বললেন, মানুষ না,মেয়েটাকে আনতে পাঠালাম,দু’টো পিঠে বানিয়ে খাওয়াবো,দিলো না,ফেরত পাঠিয়ে দিলো!

দু’দিন আগে তিনিও একই কাজ করেছিলেন,ছেলের বউকে নিতে এসেছিলো মায়ের বাড়ী থেকে। তিনি বললেন,দু’দিন পরে আমার মেয়েরা আসবে এখন তুমি গেলে কীভাবে চলবে!

ভদ্রমহিলাকে বললাম, আপনার কাজটা কি ঠিক হয়েছিলো? আপনাকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়, সতর্ক করা উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে যদি আটকা পড়েন তখন তো আপনিই বলবেন, তুমি তো হাদীছ-কোরআন পড়েছো, আমাকে সতর্ক করোনি কেন?

মোটকথা, মেয়েদেরকে তারবিয়াত করতে হবে যাতে তারা আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মা এবং আদর্শ শাশুড়ীরূপে আদর্শ জীবন যাপন করতে পারে। পুরুষ হচ্ছে কাওয়াম ও পরিচালক। সুতরাং তারবিয়াত ও পরিচালনা করা পুরুষেরই দায়িত্ব। স্ত্রী, মা ও শাশুড়ী, জীবনের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন ধাপের জন্য ঘরে ঘরে আমরা যদি আমাদের মেয়েদের গড়ে তুলতে পারি, আদেশ দ্বারা, উপদেশ, সর্বোপরি নিজেদের আচরণ দ্বারা তাহলেই সংসার হতে পারে সুখের, শান্তির।

তোমার স্ত্রীর কোন আচরণ তোমার অপছন্দ হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথমে তোমাকে ভাবতে হবে, তোমার সব আচরণ কি সুন্দর,তোমার স্ত্রীর পছন্দের? তাছাড়া তোমার স্ত্রীর ভালো দিক কি কিছু নেই। সেই ভালো দিকগুলোর জন্য শোকর করো, আর যা তোমার কাছে মন্দ লাগে তার উপর ছবর করো। আর যদি সংশোধন করতে চাও তাহলে ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করো, তারপর কোমল ভাষায় বলো, তোমার এই বিষয়টা যদি না থাকতো তাহলে তুমি আরো অনেক ভালো হতে। তবে আল্লাহর পেয়ারা হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ মনে রাখতে হবে,একটু বাঁকা থাকবেই,এই বক্রতা,সাহিত্যের ভাষায় যাকে বলে নায, আন্দায, মান, অভিমান, লাস্যতা, এই বক্রতা নারীর সৌন্দর্য, নারীর শক্তি। এটাকে সেভাবেই গ্রহণ করে তার সঙ্গে জীবন যাপন করতে হবে, পূর্ণ সোজা করতে চাইলে ভেঙ্গে যাবে, আর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।

সত্যি সত্যি যদি তোমার স্ত্রীর গুরুতর কোন ত্রুটি থাকে তবে সেটা সংশোধনের দায়িত্ব ও কর্তব্য অবশ্যই তোমার। তবে সেক্ষেত্রেও সংশোধনের জন্য অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে দিনের পর দিন চেষ্টা করে যেতে হবে। ধমক দিয়ে, জোর খাটিয়ে সংশোধন করা যায় না, ঘরে অশান্তি আনা যায়, ঘর ভাঙ্গা যায়, আর সন্তানদের জীবনে বিপর্যয় আনা যায়।

স্ত্রীর সঙ্গে আচরণ কেমন হবে, এ সম্পর্কে একজনকে যা বলতে শুনেছিলাম, তা ছিল খুবই মর্মান্তিক। তিনি বলেছিলেন,‘মেয়েলোক যেন তোমার মাথায় চড়ে না বসে, তাই প্রথম দিন থেকেই তাকে শাসনের মধ্যে রাখবা। পূর্ণ ইতা‘আত ও আনুগত্য আদায় করে নিবা,গোরবা কুশতান দর শবে আওয়াল।’

এ প্রবাদ এমনই বিশ্ববিশ্রুত যে, আমাদের নিরীহ বাংলাভাষায়ও বলে,‘বাসর রাতেই বেড়াল মারতে হবে’। কিন্তু জীবনের সর্বক্ষেত্রের মত এক্ষেত্রেও আমাদের অনুসরণীয় হলো সুন্নাতে রাসুল, আর তিনি ইরশাদ করেছেন,
خيركم خيركم لأهله وأنا خيركم لأهلي
তো জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শরীয়তের সীমারেখায় থেকে স্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণই আমাকে করতে হবে, যাতে সে মনে করে, আমি সর্বোত্তম স্বামী, আমার মতো উত্তম স্বামী হয় না, হতে পারে না।
স্ত্রীগণের সঙ্গে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণ কী ছিলো তা জানতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে। স্বামীর খেদমত করার মাধ্যমে স্ত্রী অনেক আজর ও ছাওয়াবের অধিকারিণী হতে পারে, এটা আলাদা কথা। তবে আমাকে মনে রাখতে হবে যে, এটা স্ত্রীর মহত্ত্ব, স্বামীর অধিকার নয়। তারা যদি কখনো মায়ের বাড়ী যেতে চায়, আমরা প্রশ্ন করি, ‘আমার খাওয়া-দাওয়ার কী হবে?’ অথচ এটা তার বিবেচনার বিষয় হতে পারে, আমার প্রশ্ন করার বিষয় নয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: সহবাস দাম্পত্য জীবনের একটি অপরিহার্য সত্য। এ বিষয়ে আলোচনাকে হায়া-শরমের খেলাফ মনে করা হয়। ফলে বিষয়টি অজ্ঞতার মধ্যে থেকে যায়। একারণে এমনকি অনেক সময় দাম্পত্য জীবন বিষাক্ত হয়ে পড়ে। স্ত্রী তোমার সারা জীবনের সম্পদ এবং সেরা সম্পদ।

متاع মানে সম্পত্তি নয়, ভোগের বস্ত্ত নয় متاع মানে সম্পদ, ঐশ্বর্য। বিষয়টি বুঝতে না পেরে আধুনিক বুদ্ধিজীবীরা হাদীছের সমালোচনা করেন। আমরা হাদীছটির তরজমা ও ব্যাখ্যা এমন খন্ডিতভাবে করি যে, তারাও সুযোগ পেয়ে যায়।

তো স্ত্রী তোমার সম্পত্তি নয়, স্ত্রী হলো তোমার জীবনের সর্বোত্তম সম্পদ, যা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে তোমাকে রাখতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে।

প্রথমেই বর্বর ও পাশবিকরূপে নিজেকে স্ত্রীর সামনে তুলে ধরা বিরাট মুর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। স্ত্রী স্বামীর ভোগের পাত্রী নয়, বরং স্বামী-স্ত্রী হলো পরস্পরকে উপভোগ করার জন্য। যত দিন লাগে, দীর্ঘ সাধনা করে প্রথমে হৃদয় জয় করো, মনের দুয়ার খোলো, অন্তরের গভীরে প্রবেশ করো।

যিন্দেগীর এই কঠিন মারহালা সম্পর্কে কত কিছু যে বলার আছে, কত কিছু যে শেখার আছে! দেখি, যদি আবার কখনো সুযোগ হয়।[দাম্পত্যজীবন সুখময় হওয়ার জন্য শুধু পুরুষের প্রচেষ্টা ও সচেতনতাই যথেষ্ট নয়, নারীরও সদিচ্ছা ও সচেতনতা অতি প্রয়োজন।এ বিষয়ে তারও আছে অনেক দায়িত্ব। কিন্তু নারীর তালীম-তরবিয়তের ভারও তো পুরুষেরই উপর। বিয়ের আগে পিতামাতা তার তরবিয়ত করবেন, বিয়ের পর স্বামী।...লেখক:সাঈদ আলী হাছান (বিশিষ্ট ব্লগার )
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

HIV - AIDS কি? এইডস্ সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হন

এইডস্ হলো শরীর বা মনের অস্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশক লক্ষণসমষ্টি -যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতির কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আত্মপ্রকাশ করে। এক ধরনের ভাইরাস এর মাধ্যমে এইডস্ এক জনের দেহ থেকে অন্যের দেহে সংক্রমিত হয়। কোন মানুষ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তাদেরকে HIV+ বলা হয়।

HIV কি: এটি একটি ভাইরাসের নাম, যার পূর্ণাংগ রূপ হলো Human immunodeficiency virus।

AIDS কি:- HIV ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় AIDS।
HIV - AIDS কি? এইডস্ সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হন

H IV ভাইরাসের সংক্রমন কিভাবে হতে পারে?

  • অনৈতিক ও অনিরাপদ যৌন সংগমঃ অনৈতিক বলতে বোঝানো হচ্ছে বহুগামিতা বা একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌনমিলনের ইতিহাস। অনিরাপদ বলতে বোঝানো হচ্ছে কনডম বিহীন সঙ্গম, যা একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে করার ফলে আপনিও সংক্রমিত হতে পারেন। যোনী পথ, পায়ু পথ ও মুখ পথ- তিন ক্ষেত্রেই বীর্যপাতের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমন হতে পারে। কনডোম বিহীন অবস্থাতেও বীর্যপাতে অভ্যন্তরে ঘটা থেকে সম্পূর্ণ রহিত করা গেলেও ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাচা যায় যদি মুখ, পায়ুপথ বা যোনীপথে কোন কাটা-ছেড়া না থাকে। পুরুষের কাছ থেকে নারী সংক্রমিত হয়, কিন্তু নারীর কাছ থেকে পুরুষের সংক্রমনের সম্ভাবনা কম। যদি আক্রান্ত নারীর যোনীরস পুরুষাঙ্গের ভিতরে ঢুকে পরে না পুরুষাঙ্গে কোন কাটা ছেড়া থাকে, তবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই সেক্স টয় এর ব্যবহারেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। চুমুর মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমন হয়না যদি উভয়েরই মুখে কাটা বা দাতে দিয়ে রক্ত পরার সমস্যা না থাকে।
  • রক্তগ্রহণ ও ব্যবহৃত সুই ব্যবহারঃ সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত বা কোন অংগ (যেমন কিডনী) গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সংক্রমিত হতে পারেন, কিন্তু আপনি রক্ত বা অংগ দান করলে ভয়ের কিছু নেই। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুই ব্যবহারের মাধ্যমেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন।
  • আক্রান্ত মায়ের গর্ভস্থ শিশুও মা হতে সংক্রমিত হয়।
কিন্তু সাধারণ ছোয়া, একই দ্রব্য ব্যবহার (সেক্স টয় ব্যতীত), সর্দি-কফ বা মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না।

HIV দ্বারা সংক্রমনের লক্ষণ

সংক্রমিত হওয়ার ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে কিছু ফ্লু-জাতীয় লক্ষন যেমন জ্বর, গলাব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, মাংস পেষীতে ব্যথা, জয়েন্ট এ ব্যথা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। এরপর আবার ব্যক্তি একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। এভাবে ভাইরাস কোন লক্ষন প্রকাশ না করে চুপচাপ ১০ বছর পর্যন্ত শরীরে বসে থাকতে পারে। কিন্তু এই সময়ে কোন লক্ষন না থাকলেও সংক্রমিত ব্যক্তি অন্যদের সংক্রমিত করতে থাকে।

HIV কিভাবে AIDS ঘটায়?

HIV যতদিন শরীরে থাকে, আস্তে আস্তে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে থাকে। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে সাহায্যকারী CD4 T কোষগুলো কে ভাইরাস টি ধ্বংস করতে থাকে। যখন প্রতি মিলিমিটার আয়তনের রক্তে CD4 T কোষের সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামে তখন AIDS এর লক্ষন পরিপূর্ণ প্রকাশ পায়। CD4 T কোষের সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামতে ১০ বছরও সময় লাগতে পারে।

AIDS এর লক্ষণ কি?

AIDS এর নিজস্ব কোন লক্ষণ নেই। এটি শুধুমাত্র শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দূর্বল করে বসে থাকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এই জীবানুপূর্ণ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পরে। এই সময়ে সমস্ত সাধারণ জীবানু দ্বারাও সে আক্রান্ত ও কাবু হয়ে পরে, অথচ সাধারণ অবস্থায় যেসব জীবানুর সঙ্গে যুদ্ধ করা তার জন্য কোন ব্যপার ই ছিলোনা। এই ধরণের জীবানুর আক্রমন কে বলা হয় opportunistic infections বা সুযোগ-সন্ধানী আক্রমন (যেহেতু রোগীর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল, এই সুযোগে সে আক্রমন করেছে)। opportunistic infections এর কারণে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তা হলো-
  • ঠান্ডা লাগা
  • সপ্তাহব্যপী ১০০ ডিগ্রী এর উপরে জ্বর থাকা
  • রাতের বেলা ঘাম হওয়া
  • লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
  • ওজন কমতে থাকা
  • মাংস পেষীতে ব্যথা
  • জয়েন্ট এ ব্যথা
  • সার্বক্ষনিক দূর্বলতা বোধ করা
  • ক্রমাগত ডায়রিয়া থাকা
  • মুখে ও জীহবায় সাদা ঘা থাকা
আস্তে আস্তে আরো ভয়াবহ রোগ ও তার শরীরে বাসা বাধতে থাকে যেমন- মেনিঞ্জাইটিস, যক্ষা, ক্যানসার, নিওমোনিয়া, সাইটোমেগালো ও হার্পিস ভাইরাসের আক্রমন ইত্যাদি।

চিকিতসা

AIDS এর এখন পর্যন্ত কোন নিরাময় নেই তবে চিকিতসা আছে। AIDS এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয় highly active antiretroviral therapy বা HAART। এটি মূলত একাধিক এন্টি ভাইরাল ওষুধের সমন্বয়। এটি শরীর থেকে ভাইরাস দূর করতে পারেনা, কিন্তু কমাতে পারে। ফলে CD4 T কোষ এর সংখ্যা ২০০ এর নীচে নামেনা। CD4 T কোষ এর সংখ্যা ২০০ এর উপরে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির আয়ুষ্কাল ও সুস্থ্যতা-দুই ই বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দীর্ঘকাল একই এন্টি ভাইরাল ওষুধের কম্বিনেশন ব্যবহার করলে ভাইরাসটি এই ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে যেতে পারে, তাই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একাধিক কম্বিনেশন ব্যবহার করা হয়। তবে এই চিকিতসার কিছু মারাত্মক প্বার্শপ্রতিক্রিয়া আছে- যেমন কাধে কুজের মত চর্বি জমা, হার্ট এটাকের ঝুকি বেড়ে যাওয়া, কোলেস্টেরল ও ব্লাড গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

HIV ভাইরাসের সংক্রমন হওয়ার সাথে সাথে তা যদি নির্ণয় করা যায় এবং AIDS এর লক্ষন প্রকাশের আগেই চিকিতসা শুরু করা যায়, রোগীর আয়ুস্কাল ও বেড়ে যায়।

তাছাড়া কেউ যদি আক্রান্ত হওয়ার মত ঝুকিপূর্ণ আচরণ করে বা করতে বাধ্য হয়, তবে ৭২ ঘন্টার মধ্যে PEP (post-exposure prophylaxis) ওষুধটি গ্রহণ করলে প্বার্শপ্রতিক্রিয়া থাকলেও মোটামোটি ভাবে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কারা ঝুকি তে আছেন ?

  • বহুগামী যৌন আচরনের অভ্যস্ত ব্যক্তি
  • সুই ব্যবহার কারী মাদকাসক্ত ব্যক্তি
  • কোন ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত থাকলে বা মাদকাসক্ত হলে বা বহুগামী আচরনে অভ্যস্থ হলে
  • আক্রান্ত মায়ের গর্ভস্থ সন্তান
  • অপরিক্ষীত রক্ত গ্রহনকারী ব্যক্তি

আপনি ঝুকিপূর্ণদের একজন হলে কি করবেন ?

যদি আপনি গত তিনমাসের মধ্যে কোন ঝুকিপূর্ণ আচরন (যেমন অনৈতিক বা অনিরাপদ সঙ্গম, ব্যবহৃত সুই ব্যবহার, অপরিক্ষীত রক্ত গ্রহণ ইত্যাদি) করে থাকেন তাহলে,রক্তে HIV এর উপস্থিতির জন্য পরীক্ষা করান। তিন মাস পরে পরীক্ষা করানোটাই সবচেয়ে ভালো কারন এর আগে অনেক সময় ই রক্তে ভাইরাসের উপস্থিতি বোঝা যায়না। পরীক্ষাতে HIV এর উপস্থিতি বোঝা গেলে আরো কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমন কতটা ভয়াবহ বা কি পরিমাণ ভাইরাস শরীরের আছে তা নির্ণয় করা হয়। এরপর AIDS এর লক্ষন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা না করেই চিকিতসা শুরু করে দেয়া সম্ভব। এবং যত তারাতারি নির্ণয় করে চিকিতসা শুরু করা যায়, রোগীর আয়ুষ্কাল ও সুস্থতার মাত্রা- দুই ই বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, যদি আপনি ঝিকিপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে থাকেন, সচেতন হোন এবং রোগ নির্নয়ে এখনই পদক্ষেপ নিন।

কখন নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি আক্রান্ত হননি ?

যদি ঝুকিপূর্ণ আচরন করার ছয়মাস পরে টেস্ট করে কোন ভাইরাসের উপস্থিতি না পান, তবে নিশ্চিত হতে পারবেন যে, এইবারের ঝুকিপূর্ণ আচরন দ্বারা আপনি আক্রান্ত হননি।

টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসা মানে কি আপনার সঙ্গীও সংক্রমন মুক্ত ?

আপনার টেস্টের রেজাল্ট দিয়ে আপনার সঙ্গীর অবস্থা যাচাই করা যাবেনা। হতে পারে যে, সে আক্রান্ত কিন্তু আপনি এখন পর্যন্ত তার দ্বারা সংক্রমিত হননি।

আপনার পরিবারের জন্য আপনার কি করণীয় ?

  • AIDS কি এবং কিভাবে হতে পারে-পরিবারের সবাইকে শিক্ষা দিন।মুখে না বলে, এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বই-পুস্তক বা পোস্টার সরবরাহ করতে পারেন।
  • শিশু-কিশোর দের নৈতিকতা শিক্ষা দিন
  • যে কোন প্রয়োজনে রক্ত নেওয়ার আগে, রক্ত পরীক্ষা করে নিন বা বিশ্বস্ত পরিচিত লোকের শরীর থেকে রক্ত নিন।
  • পরিবারের কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই ছেলে সম্পর্কে ভালো ভাবে খোজ নিন। বিদেশে বেশীদিন থাকা পাত্র দেখে মাত্র লালায়িত না হয়ে, তার বিদেশ জীবন সম্পর্কে ভালো মত খোজ নিন। অবশ্যই বিদেশে থাকা সবাই খারাপ না, কিন্তু অনেকে দীর্ঘ প্রবাসে নিঃসঙ্গতা ও সহজলভ্যতার কারণে অনৈতিক আচরন ও মাদক গ্রহণে জড়িয়ে পরে।
  • কেউ ধর্ষিত হলে তিন মাস পর, HIV পরীক্ষা করান।
সবার পরিবারের সুস্থ্যতা কামনা করি। সবাই ভালো থাকবেন।
বিস্তারিত

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কি কি করণীয়

মুধময় দাম্পত্য জীবনকে অনাবিল সুখের করতে স্বামী স্ত্রী দু'জনেরই কিছু না কিছু কর্তব্য রয়েছে। কেউ যদি তা করতে ভুল করেন এবং সেই ভুলের উপর অবিচল থাকেন তাহলে সংসারে ভাঙ্গন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই আসুন একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কি কি করণীয় এবং কি কি বর্জনীয় তা দেখে নেই।

খারাপ ব্যবহার করা :- তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
উপেক্ষা করা :- তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

মিথ্যা বলা :- কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা :- কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এড়িয়ে চলা :- অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।

সন্দেহ ও গীবত করা :- কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :
"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" — [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]
খুব বেশি ব্যস্ততা :- অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

সালাত এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা :- যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।

আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।
বিস্তারিত

স্ত্রীরা যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীর নিকট প্রিয় পাত্রী হন

জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। ​তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। ​একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা,সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।
বিস্তারিত

স্বামীর যে গুণগুলোর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন

একটা মেয়ে যখন বিবাহ নামক আল্লাহ্‌র বিধান মানার মাধ্যমে তাঁর পরিচিত গণ্ডি ছেরে ভিন্ন একটা পরিবেশ ভিন্ন একটা পরিবার অপরিচিত সব মানুষদের মাঝে এসে বসবাস করা শুরু করে আর তখন এ অপরিচিত সবার মাঝ থেকে একজন মানুষ হয়ে উঠে তাঁর সবচেয়ে আপন তিনি হচ্ছেন তাঁর স্বামী ।
বিস্তারিত

সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের করণীয়সমূহ

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ভূমিকা থাকে। আর এটা সব সময় এক রকম থাকে না। কখনো কমে কখনো বাড়ে। সেটা আল্লাহর রহমতের পর নির্ভর করে তাদের উভয়ের চেষ্টার উপর। কিন্তু স্ত্রী এ ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইসলামের ক্ষেত্রে আরবী সাহিত্য জগতের সাহিত্য ও বাগ্মিতায় একজন প্রসিদ্ধ নারী উমামা বিনতে হারেস (আউফ ইবনে মুহাল্লাম আশ শায়বানীর স্ত্রী) তার মেয়েকে বিয়ের পর অতি গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় উপদেশ দিয়ে ছিলেন যা আরবদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সে উপদেশগুলোর অনুবাদ তুলে ধরা হল। সেই সাথে আধুনিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ দাঈ এবং আলেম স্বামীর ভালবাসা অর্জনের জন্য স্ত্রীর প্রতি বেশ কিছু মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন সেগুলোও উপস্থাপন করা হল। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যেন সব সময় কল্যাণের উপর অটুট রাখেন। আমীন।
সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের করণীয়সমূহ

এক আরব মা তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর উপদেশ দিচ্ছেন 

উমামা বিনতে হারেছ নিজ কন্যার বিবাহের সময় তাকে এমন কিছু নসীহত করেন যা শুধু মেয়ের জন্যই নয়; বরং পরবর্তী সমস্ত নারীর জন্য মাইল ফলক হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।

তিনি মেয়েকে লক্ষ্য করে বলেন, ওহে আমার কলিজার টুকরা মেয়ে! আজ তুমি নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বান্ধবী ও প্রতিবেশী থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে এমন এক অপরিচিত পরিবেশে এমন এক অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গমণ করছো যেখানেই রয়েছে তোমার আসল ঠিকানা সেই ব্যক্তিই তোমার প্রকৃত বন্ধু সাথী ও কল্যাণকামী। তুমি ওখানের আচার-আচরণ ও পরিবেশ সম্পর্কে মোটেও অবগত নও। তুমি যদি স্বামীর দাসী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পার, তবে দেখবে সেও তোমার দাসে পরিণত হয়েছে।

এই মূহুর্তে আমি তোমাকে কতিপয় নসীহত করছি। আল্লাহ চাহে তো এগুলো তোমার জীবনের সাফল্য ও সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য পাথেয় হবে।
  • স্বামীর প্রতি বিনীত থাকবে এবং অল্পতেই তার উপর সন্তুষ্ট হবে।
  • ভালভাবে তার কথা শুনবে ও মানবে।
  • তার চোখ ও নাকের পসন্দের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। তোমাকে যেন কখনো খারাপ দৃশ্যে সে না দেখে এবং তোমার নিকট থেকে কখনো যেন সর্বোত্তম সুগন্ধি ছাড়া অন্য কিছু না পায়।
  • তার খাওয়া দাওয়া ও নিদ্রার বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবে। কেননা ক্ষুধা ও অনিদ্রা মানুষকে বদমেজাজী ও ক্রোধাম্বিত করে তোলে।
  • তার ধন-সম্পদের রক্ষণা-বেক্ষণ করবে। হিসাবের সাথে পরিমাণমত তার সম্পদ খরচ করবে।
  • তার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীর দেখাশোনা করবে। উত্তমভাবে মনযোগসহকারে তার সন্তান-সন্তুানতিকে লালন-পালন করবে।
  • তার কোন গোপন বিষয় ফাঁস করবে না ও তার নাফরমানী করবে না। কেননা তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলে একদিন সে তোমাকে ধোঁকা দিবে। অবাধ্য হলে তার বুকে আগুন জ্বালাবে তাকে ক্রোধাম্বিত করবে।
  • তুমি কাঙ্খিত লক্ষ্যে কখনই পৌঁছতে পারবে না যে পর্যন্ত তার সন্তুষ্টিকে নিজের সন্তুষ্টির উপর সন্তান না দিবে, তার পছন্দ-অপছন্দকে নিজের পছন্দ-অপছন্দের উপর সন্তান না দিবে। (আ’লামুন্নেসা ১/৭৪, ত্বাবায়েউন্নেসা পৃঃ ২৮)

স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশ

শায়খ ইবনু জুবাইলান স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে কিছু নসীহত করেছেন। তা নিম্নরূপঃ
  • বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা।
  • স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস’ থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।
  • সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।
  • স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
  • সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা।
  • স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা।
  • স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।
  • সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা।
  • নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ করবে না।
  • সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
  • কখনো স্বামীর আভ্যন-রীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, ((ولا تجسسوا)) “তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না। (সূরা হুজুরাত -১৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/৪৭৪৭।)
  • স্বামী কখনো রাগম্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবসন্তা করা।
  • স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা।
  • সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আমার স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাব। ওদেরকে তো এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। ওরা তো আমারও সন্তান। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যে পরিমাণ তাদের জন্য সম্পদ খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
  • ১৫) স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা।
পরিশেষে দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে পরিবারগুলোকে যে সুখ-সম্ভারে ভরে দেন এবং সেখান থেকে সকল অশান্তি দূর করে দেন। আমীন। সূত্র: জান্নাতী রমনী বই থেকে(ফিরোজ আহম্মদ )
বিস্তারিত

বিয়ের পর মেয়েরা যে কারণে মোটা হয়ে যায়

বিয়ের পর মহিলাদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা পৃথিবীর সব দেশেই দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা ৩৫০ জন কনের ওপর গবেষণা করে বের করেন এই তথ্য। দেখা যায়, বিয়ের পর প্রথম ছয় মাসে কনেরা প্রায় পাঁচ পাউন্ডের মতো ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যারা বিয়ের সময়ে সুন্দর দেখাতে নিজের ওজন অনেক দ্রুত কমিয়ে ফেলেন, বিয়ের পর তাদের ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।
বিস্তারিত

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪

যৌন উত্তেজক ওষুধ খাবেন না, নিয়মিত ব্যায়াম করুন

অ্যালোপ্যাথি বা হারবাল যৌন উত্তেজক ওষুধ খাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন এবং নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। আমাদের সকলেরই জেনে রাখা ভাল যে, ফিটনেস ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীরটাকে ফিট রাখা যায় এবং কাঙিক্ষত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ তৈরি হয়ে বেশ আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যায়াম যে শুধু শরীর গঠনে সহায়ক তাই নয়, ব্যায়ামে রক্তনালীতে চর্বি জমতে দেয় না। ফলে হার্টের রক্তনালীতে ব্লক সৃষ্টির ঝুঁকি কম থাকে এবং সেই সাথে যৌন স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।

 বিবাহিত পুরুষের শারীরিক সমস্যার মধ্যে প্রধান দুইটি সমস্যা হচ্ছে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ইডি) এবং প্রিমসিউর ইজাকুলেশন (পিএমই)। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলাদের শারীরিক অন্যান্য সমস্যা রয়েছে যা যৌন জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে ইডিএবং  প্রিমসিউর ইজাকুলেশন বা পিএমই এই দু’টো শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। তবে কোন অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ভায়াগ্রা জাতীয় যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। কারণ একসময় এটাই আপনাকে নি:শেষ করে দিবে। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা সকল প্রকার যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূলে তুলনাহীন। শুধু তাই নয়, হোমিওপ্যাথি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত। এ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় ভাল একজন হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন।
যৌন উত্তেজক ওষুধ খাবেন না, নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ওষুধ ও কাউন্সিলিং-এর পাশাপাশি শারীরিক সমস্যার সমাধানে ফিটনেস বেশি প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় নির্ধারণ ও যথাযথ পরিবেশ প্রয়োজন।

শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ভালো প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা ভালো। তবে যারা ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বা এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে পারেন তাদের শরীর বেশি ফিট থাকে। তাই বলে কঠোর শারীরিক পরিশ্রম অথবা দীর্ঘসময় ব্যায়াম করার অব্যবহিত পরপরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্থাপন ঠিক নয়। ব্যায়াম করার সময় শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে খানিকটা রক্ত চাপও বাড়ে। ব্যায়ামের পর শরীর স্বাভাবিক হতে অন্তত তিনঘন্টা সময় লাগে। নিজে জানুন আর শেয়ার করে অন্যকে জানতে সহায়তা করুন।
বিস্তারিত

যে খাবার গুলি আপনার পুরুষত্ব কে ধরে রাখবে

বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নৃপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে সেই সাথে দেখা দিচ্ছে পুরুষাঙ্গের উত্থান ও সাইজ জনিত যতসব সমস্যা৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার ও অনান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই আপনি সচেতন হয়ে যান৷
বিস্তারিত

চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়

আজ চুম্বনের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানব। আপনারা হয়ত এটা জেনে থাকবেন যে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম সহ আরো অনেক দেশেই গালে চুম্বন করাটা শুভেচ্ছা জানানোর একটি রীতি এবং কাউকে ‘হ্যালো’ বলার একটি প্রথা। তাছাড়া এই চুম্বন হলো ভালোবাসা প্রকাশের একটি দারুন মাধ্যম।
বিস্তারিত

বিয়ের পর সন্তান ছেলে বা মেয়ে চাইলে কি করবেন ?

বিয়ের পর নব দম্পতিরা তাদের অনাগত সন্তান নিয়ে কিছু না কিছু পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে হবে, তা কি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে দুরন্ত একটি ছেলে অথবা ফুটফুটে একটি মেয়ে । একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।

মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
বিয়ের পর সন্তান ছেলে বা মেয়ে চাইলে কি করবেন ?
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।

এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।

এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।

আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
বিস্তারিত

কিশোরী বয়সে মেয়েদের স্তন ঝুলে যাওয়া

মেয়েদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট কৌনিক মাত্রায় স্তন ঝুলে যাওয়াটা  অস্বাভাবিক কিছু নয়, কিন্তু কিশোরী বয়সে স্তন ঢিলা হয়ে যাবার প্রবনতা স্বাভাবিক শাররীক পরিবর্তনের পর্যায়ে পড়েনা। কিশোরীর স্তন ঝুলে যাবার সম্ভাব্য কারনগুলোর মধ্যে আছে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারন, ধুমপান অথবা বংশগত কারনে বড় আকৃতির স্তন থাকা এবং বড় স্তনে প্রয়োজনীয় সার্পোট/সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা।
বিস্তারিত

স্তন ঢিলে হলে এবং ঝুলে গেলে কি করবেন ?

মহিলাদের স্তন ঢিলে হয়ে  যাওয়াটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। বিয়ের কিছু কাল পর, সন্তান জন্মের পর, বা বয়স যখন ২৮ অতক্রম করবে তখন যদি আপনার স্তনের সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন না হন তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার স্তন ঝুলে পড়বে। স্তন ঝুলে যাওয়াটা বেশ কয়েকটি কারনে হতে পারে, যেমন -অতিরিক্ত ওজন, আপনার বয়স এবং সন্তান গর্ভধারন। তবে স্তনের এ শিথিলতা থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। আপনি যদি কিছু বিষয় নিয়মিত খেয়াল রেখে চলেন তা হলে হয়ত এ থেকে সহজেই রেহাই পেতে পারেন। স্তন ঢিলে হয়ে যাওয়া রোধ করার এবং ঝুলে পড়লে কমানোর বেশ কিছু টিপস রয়েছে। তার কয়েকটি নিচে দেয়া হলো :
বিস্তারিত

কাম রস কি এবং কেন হয় ?

কাম রস হচ্ছে প্রাক-চরমানন্দ-তরল। এটি স্বচ্ছ পানির রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম, ডগ ওয়াটার কিংবা স্পিড ড্রপ ও বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। এতে শুধু কিছু রাসায়নিক পার্থক্য আছে। এই তরলের পরিমান ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হয়। অনেক পুরুষের এটি বিন্দুমাত্রও নির্গত হয়না আবার অনেকের তা ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত হতে পারে।
বিস্তারিত

যৌন মিলনকালে / সেক্সের সময় আপনার সঙ্গিনী ব্যাথা পাচ্ছেন কি?

আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন যে, যৌন মিলনে ব্যথা একটি সচরাচর বিষয়। এমন অনেক বিবাহিত যুগল আছেন যারা শাররীক মিলন করতে পারেন না, কারন স্ত্রী মিলনকালে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথাযুক্ত যৌনমিলনকে ডিসপারিউনিয়া (dyspareunia) ও বলা হয়।
বিস্তারিত

হিজড়া জন্ম হওয়ার কারন কি ?

বিষয়টা ভাল ভাবে সকলেরই উপলগ্ধি করা উচিত। আমরা অনেক সময় রাস্ত- ঘাঁটে বা  ট্রেনে দেখে থাকি এক শ্রেনীর মেয়েলি স্বভাবের মানুষ (হিজরা) ভিক্ষা করছে বা দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে চাদা তুলছে। তাদেরকে দেখে অনেকেই দারুন অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু আপনারা কি কেউ জানেন তাদের জন্মের রহস্য কি ? আসুন বিষয়টা জেনে নেই। ..
বিস্তারিত

গর্ভবতী হতে স্বামীর সাথে কখন মিলিত হওয়া ভালো ?

একটা গুরত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন। গর্ভবতী হতে স্বামীর সাথে কখন মিলিত হলে ভালো হয়, এ সম্পর্কে অনেক তথ্যাদি  হয়ত আপনি কোনো না কোনো লেখকের বই থেকে পড়ে থাকবেন। নিচে এর প্রধান কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো :
বিস্তারিত

প্রথম যৌন মিলনে কি স্ত্রীর রক্তক্ষরন হতে পারে ??

আসুন এই বিষয়টা ভালোভাবে জানি। তাতে হয়ত আপনাদের অনেকেরই কিছু ভুল ধারণার বিলুপ্তি ঘটবে আজ। একজন মেয়ের যৌনাঙ্গে স্বতিচ্ছদ নামের পর্দা তার নয়/দশ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাধুলা বা অন্য কোন ভারী কাজ করার সময় আপনা থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর স্বতিত্ব জড়িত নয়। সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। আবার অনেকে মনে করেন প্রথমদিন স্ত্রী মিলনকালে কান্নাকাটি - চিল্লা-পাল্লা না করার মানেই হলো সে আগে অন্যের সাথে শাররীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি..)
বিস্তারিত

স্ত্রীর সাথে প্রাণ খুলে কথা বলুন আপনার হৃদয় সুস্থ থাকবে !

সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল পুরুষরা তাদের স্ত্রী (wife) কে নিয়মিত সময় দেয়, তাদের সাথে খোশ গল্প করে তাদের হৃৎযন্ত্র অনেক ভাল থাকে। তাই, স্ত্রীর কথা শুনুন, তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। নিজের হৃদয় ও হৃৎযন্ত্রকে সুস্থ রাখার মোক্ষম দাওয়াই- জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা।
বিস্তারিত

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

যৌবন রক্ষায় এবং যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ব্যবহার

অনেক পুরুষের ক্ষেত্রেই বিষয়টা এমন হয়ে থাকে যে অতিরিক্ত মাত্রায় যৌন মিলন করার ফলে ক্রনুর সল্পতা দেখা যায় অর্থাৎ বীর্য পাতলা হয়ে যায়। শরীরে যদি শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় তাহলে পুরুষরা অনেক সময় সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। তাই এ বিষয়ে সকলেরই সাবধনতা অবলম্বন করা দরকার।
যৌবন রক্ষায় এবং যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ব্যবহার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ sperm (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।

যৌনতা বৃদ্ধিতে রসুনের ব্যবহার

প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে । রসুন Testosterone বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত সহায়তা করে। যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খেলে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। ধন্যবাদ সবাইকে। তবে যদি অন্য কোন যৌন সমস্যায় আক্রান্ত থাকেন তাহলে আগে সেটার ট্রিটমেন্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিবেন। 
বিস্তারিত