রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪

সানস্ক্রিন, টুথপেস্ট ও সাবান পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী !!

এ বিষয়টি জানা সকলেরই দরকার তাই জাতীয় দৈনিক থেকে হুবহু জনসাধারণের সচেতনতার জন্য তুলে ধরা হলো। সুস্থ এবং পরিপাটি জীবনযাপনের জন্য টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সানস্ক্রিন ও সাবানের কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এসব প্রসাধনসামগ্রী আপনাকে শুধুই কি পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি রাখে? নাকি ভেতরে ভেতরে ক্ষতি করছে? ভাবছেন টুথপেস্টের মতো প্রয়োজনীয় প্রসাধনসামগ্রীতে আবার ক্ষতির কী আছে? এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। বিশেষ করে পুরুষদের এমনটা ভাবাই যাবে না। টুথপেস্ট, সানস্ক্রিন ও সাবানের মতো প্রসাধনসামগ্রীগুলো অজান্তেই কিন্তু পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্য অনেকটা দায়ী। গালগল্প নয়, অনেক ঘেঁটেঘুঁটে এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা।
বিস্তারিত

শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

লিঙ্গ দিযে সাদা আঠালো পানি আসে, উওজনা কম, লিঙ্গ ছোট

প্রশ্ন :- স্যার, আমার কিছু রোগ হযেছে আমি আপনারকে অনুরোধ করছি কি করলে ভালো হবে। আমার একটু Sex অনুভব হলে এবং প্রেমিকার সাথে ভালো কথা বললে ও আমার লিঙ্গ দিযে সাদা আঠালো পানি আসে এবং এর জন্য আমার উওজনা ও sex কম এবং লিঙ্গ ছোট হযেছে। বযস ২২
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৪

মুসলিম বোনদের যা অনুধাবন করা অতি জরুরি

প্রতিটি মুসলিম বোনের জন্য অপরিহার্য হলো ইসলাম তার কাছে কী চায় তা জানা। আল্লাহর অভিপ্রায় উদ্দেশ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত হওয়া। ইসলাম চায় মানুষের চেতনা পরিচ্ছন্ন রাখতে। চায় নারীকে ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে রাখতে। ইসলাম নিশ্চিত করে নারীর ইহকালীন সার্বিক নিরাপত্তা এবং পরকালীন মুক্তি। 
মুসলিম বোনদের যা অনুধাবন করা অতি জরুরি
ইসলাম এমন একটি পুণ্যময় সমাজ বিনির্মাণে সচেষ্ট, যেখানে মানুষের সহজাত লালসাকে উদ্বিপ্ত করা হয় না। উত্তেজিত করা হয় না তার কাম প্রবৃত্তিকে। এতে বরং সর্বত্র বিদ্যমান ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা। এটি সুন্দর পথ বেষ্টিত। উত্তম চরিত্র মাধুর্যের বর্মে সুরক্ষিত। ইসলামে যথাযথভাবে লক্ষ্য রাখা হয় নারী-পুরুষের দৈহিক, মানসিক ও প্রাকৃতিক স্বাতন্ত্র্যের প্রতি। ইসলাম তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। প্রত্যেকের অধিকার ও প্রাপ্যও সুস্পষ্ট বলে দিয়েছে। নারী বা পুরুষ- কেউই যাতে রিপুর তাড়নায় বিপথগামী, ধ্বংসের পথযাত্রী না হয় সেজন্য এই দীন বিয়েকে বানিয়েছে সর্বোত্তম ব্যবস্থা আর বৈবাহিক সম্পর্কের সৌন্দর্যকে বানিয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। আর নারী-পুরুষের জন্য হারাম করেছে ব্যভিচার ও এর প্রতি প্ররোচনা দানকারী এবং এর ইন্ধনদাতা সবকিছু। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا ٣٢﴾ [الإسراء: ٣٢]
‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ {সূরা বানী ইসরাঈল, আয়াত : ২৩}

এ লক্ষে নারীর জন্য করেছে পর্দা অপরিহার্য। নির্দেশ দিয়েছে তাদের গৃহাভ্যন্তরে থাকতে। নিষিদ্ধ করেছে সব ধরনের বেহায়া ও বেলেল্লপনা। এদিকে পুরুষদের আদেশ দিয়েছে তাদের কাছে আসার আগে অনুমতি গ্রহণ করতে। বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ থেকে নিজেকে সংযত করতে। কারণ, উভয় লিঙ্গের মধ্যেই প্রোথিত করা হয়েছে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত আকর্ষণ। আল্লাহ তা‘আলা তা করেছেন মানব প্রজাতির বংশবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে। এরই ভিত্তিতে নারী-পুরুষ উভয়ের রয়েছে তাদের স্বভাব-প্রকৃতি ও জৈবিক চাহিদা অনুপাতে প্রয়োজনীয় ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা।

যেহেতু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ দুর্বার ও দুর্দমনীয় বিষয়। আর প্রাণীজগতে- মানুষ যার শ্রেষ্ঠতম জাতি- উভয়ের মাঝে এ প্রবল ঝোঁকের অনেক কারণও বিদ্যমান, তাই ইসলাম এই আকর্ষণের উত্তাপকে আপাত শীতল এবং এ প্রবণতার বহ্নিকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিয়েছে। এটিকে শালীন ও শোভনীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রেখেছে। যাতে তার প্রয়োগ ঘটে কেবল পবিত্র ও নিরাপদ ক্ষেত্রে।

সেহেতু সব পরপুরুষ থেকে নারীর জন্য তার আল্লাহ প্রদত্ত ও অর্জিত সৌন্দর্য তথা সারা দেহ আবৃত রাখার বিধান বা শরয়ী পর্দা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাতে সে সুরক্ষিত থাকে দুর্বিনীত দৃষ্টি থেকে। একইভাবে তার জন্য সকল উত্তেজক আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং উলঙ্গপনা ও সৌন্দর্য প্রদর্শনকে বড় অপরাধ বিবেচনা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, তাকে লাঞ্ছনা, স্বেচ্ছাচারিতা, অবাধ মেলামেশা, সন্দেহপূর্ণ বন্ধুত্ব ও বিষাক্ত হাস্য-রসিকতা থেকে উন্নত মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রাখা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰنِسَآءَ ٱلنَّبِيِّ لَسۡتُنَّ كَأَحَدٖ مِّنَ ٱلنِّسَآءِ إِنِ ٱتَّقَيۡتُنَّۚ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِٱلۡقَوۡلِ فَيَطۡمَعَ ٱلَّذِي فِي قَلۡبِهِۦ مَرَضٞ وَقُلۡنَ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا ٣٢ وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُذۡهِبَ عَنكُمُ ٱلرِّجۡسَ أَهۡلَ ٱلۡبَيۡتِ وَيُطَهِّرَكُمۡ تَطۡهِيرٗا ٣٣﴾ [الأحزاب: ٣٢، ٣٣]
‘হে নবী পত্নীগণ, তোমরা অন্য কোন নারীর মত নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক- জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩২-৩৩}

এখানে নবীপত্নীগণ ও তাঁদের পরবর্তী সকল মুমিন নারীকে সম্বোধন করা হয়েছে। ইসলাম এ পন্থা অবলম্বন করেছে পর্দা, পবিত্রতা ও লজ্জার প্রচারে। অবনত দৃষ্টি, লজ্জাস্থান হেফাজত, নারী-পুরুষের আত্মিক শূচি রক্ষায়। নারীর প্রতি যৌন লোলুপতা রুখতে। ফিতনা-ফাসাদ ও সন্দেহ-অবিশ্বাস এবং ভুল বোঝাবুঝি থেকে তাকে দূরে রাখতে।

নারীরা হলেন ইসলামী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মৌল। কারণ, তাদের ওপরই ন্যস্ত আগামী প্রজন্মের আবেগ-অনুভূতি এবং চিন্তা-চেতনাকে সুস্থ ও অমলিন রাখার দায়িত্ব। প্রবৃত্তি তথা রিপুর তাড়না ও অধোমুখী পাশবিক আচরণের দূষণ থেকে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার সুকঠিন যিম্মাদারিও অর্পণ করা হয়েছে তাদের ওপর। এভাবেই নারীরা অবদান রাখেন সমাজকে পবিত্র করতে এবং এর প্রকৃত সম্পদ ও মর্যাদা অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখতে।

এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম নারীদের ওপর এসব দায়িত্ব অর্পণ করে, এর মাধ্যমে তাদের সম্মানিত বানিয়ে তাদেরকে চরিত্রহীনতার সব ধরণের সংশ্লেষ এবং অশান্তি সৃষ্টিকারী ক্ষুধার্ত পুরুষের চোরা দৃষ্টির আওতা থেকে যোজন দূরে অবস্থানে করার নির্দেশ দিয়েছেন। উপরন্তু তাদেরকে পাপাচারীদের নাগাল থেকে আপন ইজ্জত-আব্রু রক্ষার উপদেশও দিয়েছে এই পবিত্র ধর্ম। তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বৈধ ক্ষেত্র ছাড়া আপন লজ্জাস্থানকে যে কোনো মূল্যে সুরক্ষিত রাখতে।

তবে হ্যা, আল্লাহ তা‘আলা সম্মানিতা মহিলাদের জন্য সৌন্দর্য চর্চাও বৈধ করেছেন। কেন নয়, তিনিই তো তাদের স্বভাব এমন বানিয়েছেন যে, তারা সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য চর্চা করতে পছন্দ করে। ইসলাম এই সহজাত আগ্রহকে অস্বীকার বা অবদমন করে না। বরং একে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে। সে যেন তার সমুদয় রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্য সুধা দিয়ে একমাত্র স্বামীরই হৃদয় হরণ করে। নারী যখন তার কমনীয়তা ও মোহময়তা স্বামীতেই সমর্পণ করে, তখন তা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায় এবং ছাওয়াবের কাজ। এদিকে ইঙ্গিত করে হাদীছে যেমন বলা হয়েছে, আবূ যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« وَفِى بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ ». قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِى أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ قَالَ « أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِى حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِى الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ».
‘আর তোমাদের লজ্জাস্থানেও রয়েছে সদকা। সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের কেউ তার যৌন চাহিদা মেটাবে আর তাতেও তার জন্য ছাওয়াব হবে? তিনি বললেন, তোমরা কি মনে করো সে যদি তা হারাম জায়গায় মেটায় তবে কি তার সে থেকে গুনাহ উপার্জিত হবে না? (অবশ্যই হবে) ঠিক সেভাবেই যখন সে তা হালাল জায়গায় মেটাবে, তার জন্য ছাওয়াব লিখা হবে। [মুসলিম : ৬০০১; মুসনাদ আহমদ : ২১৫১১]

আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে। আপন ইজ্জত রক্ষা করে এবং আকর্ষণীয় অঙ্গগুলো আবৃত রাখে। যাতে কোনো অসুস্থ অন্তর বা অসংযত দৃষ্টির অধিকারী পুরুষ তার টিকিটিও স্পর্শ করতে না পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ﴾ [النور: ٣١]
‘আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে।’ {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১}

একজন মুমিন নারী যার হৃদয় আল্লাহর নূরে উদ্ভাসিত, সে কখনো আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যে ছাড় দেয় না। সে কখনো আল্লাহ ও তদীয় রাসূল নির্দেশিত বিষয় পালনে কিংবা তাঁদের নিষেধকৃত বিষয় বর্জনে পিছ পা হয় না। যদিওবা তার মন চায় রূপ প্রদর্শন করতে এবং সৌন্দর্য প্রকাশ করতে। কারণ, সজীব আত্মাধারী নারীরা পূর্বসূরী পুণ্যাত্মা নারীদেরই আদর্শ মানেন। যাদের সম্পর্কে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
يَرْحَمُ اللَّهُ نِسَاءَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلَ لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ: {وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ} شَقَّقْنَ مُرُوطَهُنَّ فَاخْتَمَرْنَ بِهِ.
‘আল্লাহ হিজরতকারী অগ্রবর্তী নারীদের ওপর রহমত করুন। যখন তিনি নাযিল করলেন, ‘আর তারা যেন তাদের বক্ষের ওপর ওড়না টেনে দেয়’ তখন তারা তাদের নিম্নাংশের কাপড়ের প্রান্ত ছিড়ে ফেলেন এবং তা দিয়ে ওড়না বানিয়ে নেন।’ [বুখারী : ৮৫৭৪]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হজ অবস্থায় তাদের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা থেকে অনুমান করা যায় পর্দা রক্ষায় তাঁরা কতটা আন্তরিক ছিলেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.
‘আমরা ইহরাম অবস্থায় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন আরোহীরা আমাদের সঙ্গে পথ চলছিলেন। যখন তারা আমাদের আড়াআড়ি হন, আমাদের সঙ্গীনীরা তাদের বড় চাদর মাথা থেকে চেহারায় ঝুলিয়ে দেন। তারা আমাদের অতিক্রম করে চলে যাবার পরই আমরা তা উন্মুক্ত করি।’ [আবূ দাঊদ : ৫৩৮১; বাইহাকী : ৩৩৮৮] ভেবে দেখুন পর্দা রক্ষায় তাঁরা কতটা সচেতন যে হজের সময়ও (যেখানে সাধারণত: মহিলাদের মুখ খোলা রাখতে হয় সেখানেও) এ ব্যাপারে তাঁরা শৈথিল্য দেখাতেন না।

প্রিয় মুমিন বোন, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। তোমার মর্যাদা উন্নীত করেছেন। তোমার রুচিকে মার্জিত করেছেন। তোমার সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন অনুভূতি দান করেছেন। তাই যে যুক্তিতেই হোক না কেন তুমি নিজেকে দেহ প্রদর্শনী ও পশুসুলভ উলঙ্গপনার জন্য প্রস্তুত করো না। আল্লাহ তা‘আলা তোমার ওপর অনুগ্রহ বর্ষণ করেছেন, তোমাকে লাজুকতার ভূষণ এবং লজ্জা ও সৌন্দর্যের আভরণ দান করেছেন। যেখানে সর্ব সাধারণের রুচি বিকৃতি এবং পশু বৃত্তির প্রভাবে নগ্নতা ও উলঙ্গপনায় আগ্রহের আতিশয্য দেখা যাচ্ছে, সেখানে তোমার রুচিকে তিনি একজন মুমিন নারীর উপযুক্ত বানিয়েছেন। তোমার অনুভূতি পরিচ্ছন্ন আর চেতনা পরিশুদ্ধ।

প্রিয় ভগ্নী, তুমি তো আল্লাহ ও রাসূলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় অগ্রসর হয়েছো। সৎ কাজের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে এসেছো। অবাধ্যাচারিনীরা যেখানে বল্গাহীন বিচরণ করছে, পাপাচারিণীরা যেখানে সৌন্দর্যের প্রদর্শনী আর পাপের ফেরি করে করে ফিরছে, সেখানে তুমি দীনী বাধ্যবাধকতা ও আল্লাহর দাসত্বের দাবী পূরণ করে বিভ্রান্তির পথ রুদ্ধ করে দিয়েছো। ফিতনার উৎসসমূহ উপড়ে ফেলেছো। দিয়েছো তাড়িয়ে উত্তেজনা ও উম্মক্ততাকে। অবিচল থেকেছো সম্মান ও মর্যাদার পথে। আঁকড়ে ধরেছো হেদায়েত নামের পাথেয়। আগ্রণী থেকেছো শূচিতা ও পবিত্রতায়। ধরে রেখেছো পর্দা ও লজ্জার ভূষণ। আখলাকের মাধ্যমে প্রমাণ দিয়েছো আল্লাহর প্রকৃত দাসত্বের। আর নমুনা হয়েছো নিম্নোক্ত আল্লাহর বাণীর :
﴿ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ﴾ [النساء: ٣٤]
‘পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের ওপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিণী ওই বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেন।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৩৪}

হে ঈমানের দৌলতধন্য বোন, আল্লাহ ও রাসূলের দৃষ্টি নত রাখা এবং লজ্জাস্থান হেফাযতের নির্দেশ তোমার হৃদয় ধারণ করেছে। তোমার অমলিন আত্মাকে সুরেলা কণ্ঠে কথা বলা ও সশব্দ পদবিক্ষেপে চলা থেকে, তেমনি দাঙ্গা-বিশৃঙ্খলায় উস্কানিদাতা শয়তানি প্ররোচনা প্রভাবিত কথা বা কর্ম থেকে নিবৃত রেখেছো। বস্তুত তুমি নিজেকে পূর্বসুরী নেককার, সাহাবীয়া ও মুমিন জননী পুণ্যবতীদের আদর্শে গড়ে তুলেছো। ফলে তা পরিণত হয়েছে তোমার অবিচ্ছেদ্য স্বভাবে। সম্মান ও মর্যাদা এবং সুষমা ও শূচিতার ভূষণে তুমি নিজেকে অলংকৃত করেছো। আর এসবকে গ্রহণ করেছো তুমি নিজের পালনীয় বিধান বলে। বস্তুত এসবে কোনো মুমিন নারীর জন্য দ্বিমত করার অবকাশ নেই। যেমন বুঝা যায় নিচের আয়াত থেকে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
﴿وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦﴾ [الأحزاب: ٣٦]
‘আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজেদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’ {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৩৬}

প্রিয় ভগ্নী, নিশ্চয় এটি আনুগত্যের সৌভাগ্য, যা দিয়ে তুমি তোমার মর্যাদা অটুট রাখবে। অন্তর পবিত্র এবং চরিত্র মাধুর্যকে উজ্জ্বলতর করবে। শুভ্রতা ও শুদ্ধতায় নিজেকে অলংকৃত করবে। আল্লাহর এ আনুগত্য ও দাসত্ব দিয়েই অধঃপতিতদের লিপ্সাকে বিচূর্ণ এবং শয়তানী লালসার জিভকে সংবরণ করবে।

প্রিয় ভ্রাতা, পুরুষদের কামার্ত ভিড় থেকে দূরত্ব অবলম্বনকারী, জীবন্ত হৃদয় পর্দাকারী যে নিজেকে যাবতীয় অপদস্ততা ও নিচুতা থেকে রক্ষা করে তার অবস্থা দেখ, কী তার সম্মান-মর্যাদা, কী তার ভক্তি ও শ্রদ্ধা। আর এর সঙ্গে তুলনা করে দেখ সর্বত্রগামী প্রদর্শনপ্রিয় নির্লজ্জ, অপমানিত ও লাঞ্ছিত নারীর অবস্থা। এ দুই শ্রেণীর নারীদের মাঝে বিস্তর ব্যবধান এবং যোজন ফারাক। তুমি আল্লাহ তা‘আলার বর্ণনা দেয়া মাদায়েনের সে বৃদ্ধের দুই কন্যার সাদৃশ্য অবলম্বন করো। কুরআনে যার বিবরণ দেওয়া হয়েছে এভাবে,
﴿فَجَآءَتۡهُ إِحۡدَىٰهُمَا تَمۡشِي عَلَى ٱسۡتِحۡيَآءٖ﴾ [القصص: ٢٥]
‘অতঃপর নারীদ্বয়ের একজন লাজুকভাবে হেঁটে তার কাছে এলো’ {সূরা আল-কাসাস, আয়াত : ৫২} দেখ কী আদব, কী লাজুকতা ! আর কেমন আত্মিক শূচিতা ! ঘটনাটি চিন্তার সঙ্গে সবিস্তারে পড়ে দেখ। জানতে পারবে সত্যিকার পুণ্যবতীরা কেমন সুরক্ষিত থাকেন। দেখো সলাজ পদবিক্ষেপে এসে কেমন বিনয়ভরা কণ্ঠে তিনি বাবার নির্দেশ পালন করলেন। কুরআনের ভাষায় তার উক্তি ছিল এমন,
﴿إِنَّ أَبِي يَدۡعُوكَ لِيَجۡزِيَكَ أَجۡرَ مَا سَقَيۡتَ لَنَاۚ﴾ [القصص: ٢٥]
‘আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যেন তিনি আপনাকে পারিশ্রমিক দিতে পারেন, আমাদের পশুগুলোকে আপনি যে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময়ে।’ {সূরা আল-কাসাস, আয়াত : ৫২}

অতএব আসুন হে প্রিয় বোন, পুরুষ হৃদয়ে ঝড়তোলা লাস্যময় চলন আর মনোযোগ আকৃষ্ট করা কোমল বচন ত্যাগ করি। আল্লাহর কাছে এ থেকে তাওবা করি। তাওবা করি অশ্লীল পোশাক ও সৌন্দর্য বিকাশকারী লেবাস থেকে। তাওবা করি পুরুষদের সাদৃশ্য গ্রহণ, পুরুষদের বেশ ধারণ থেকে। আসুন হে বোন, আল্লাহর নির্দেশ মত পরিপূর্ণ পর্দা ও পবিত্রতার জীবন যাপন করি। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবার মা-বোনকে ইসলামের প্রথম যুগের নেককার নারীদের মতো পর্দানশীল ও দীনদার হবার তাওফীক দিন। আল্লাহ তাদের সকলকে পঙ্কিল জীবনের স্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। আমীন। ইয়া রব্বাল আলামীন।
তথ্যসূত্র :- আলী হাসান তৈয়ব
সম্পাদনা :- ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশ :- ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া 
বিস্তারিত

নারীদের হিজাবের ওপর কেন পশ্চিমি হামলা?

ইউরোপে ফ্রান্সের পর হল্যান্ডেও বোরকা পরায় নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মিক্সিনের ভাষ্য মতে, বোরকা ছাড়া জনসমাগমস্থানে হেলমেট পরিধানেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। হল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছর থেকে বোরকা, নেকাব বা হিজাব এবং চেহারা আবৃত রাখে এমন সব পোশাক পরিধানে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

যৌনতায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন - নারীদের জন্য বিশেষ টিপস

আমাদের সমাজে অনেক নারীই তাদের যৌনতার বিষয়টি পুরুপুরি পুরুষের উপর ছেড়ে দেন যেন এতে তাদের কোনো ভূমিকাই নেই। অথচ যৌন মিলনের বিষয়টি একজন পুরুষ আর একজন নারীর দুটি আত্মার সংমিলন। এখানে দু'জনেরই ভুমিকা রয়েছে কারণ এটা একার কোনো বিষয় নয়। তাই নারীদেরও হয়ে উঠা উচিত যৌন সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী। তার জন্য রয়েছে কিছু টিপস এবং ট্রিকস।

সুন্দর অন্তঃবাস ব্যবহার করুন :- আমাদের দেশের মেয়রা অন্তঃবাসকে অত একটা গুরত্ব দেয়না। বেশিরভাগ নারী মনে করে এটাতো জামা/শাড়ীর নিচে থাকবে অতএব বেশি টাকা দিয়ে সুন্দর ব্রা/আন্ডার গার্মেন্টস খরিদ করার দরকার কি? মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায় হলুদ জামার নিচে কেউ কালো অন্তঃবাস পরে বেরিয়ে পড়েছেন যা সহজেই অন্যের চোখে দৃশ্যমান হয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এবার আসুন ঘরে! স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বাহ্যিক পরিদেয় কাপড়ের সাথে সাথে অন্তঃবাসের গুরত্ব অপরিসীম। একজন নারীর অন্তঃবাস হতে পারে তার স্বামীর “টার্ন অন সুইচ”। নারী অনুভতির অনুরননে ব্যকুল হলেও পুরুষ ভিজ্যুয়ালাইজেশানে বেশি কর্মঠ। নারীদের বলে রাখি – মিলনের প্রস্তুতি হিসেবে নিজ থেকে কাপড় খুলে বসে থাকবেন না। আপনার পুরুষকে পিপাসার্ত করুন – তাকে বস্ত্রহরন উপভোগ করতে দিন। বস্ত্রহরনে সেক্সি সুন্দর অন্তঃবাস পুরুষ শরীরে আগুন জ্বালে।
যৌনতায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন - নারীদের জন্য বিশেষ টিপস
সুন্দর জামা কাপড়ে পরিপাটি থাকুন :- কোন একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ দিন কিংবা বিশেষ মুহুর্তের জন্য কেন অপেক্ষা করবেন? আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন সাজগোজ করে থাকলে আপনার প্রিয়জন আপনার দিকে বেশি নজর দেয়। একদম জমকালো মেকাপ করে সারাদিন বসে থাকতে বলছি না – সামান্য চুল আচড়ে রাখা কিংবা ঠোটে হালকা লিপিষ্টিক এর সাথে আয়রন করা জামা আপনাকে ঘরোয়া পরিবেশে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারে। আপনার যেসকল জামা আপনাকে আনকমফোর্টএ্যবল কিংবা আনএট্রাক্টিভ করে বলে মনে হয় তা ফেলে দিন (গরীবকে দিয়ে দিন) – শুধুমাত্র আপনার পছন্দসই কাপড়ই ভেতর থেকে আপনাকে মানসিক শক্তিশালী করতে সক্ষম! যেসব রঙ আপনার গায়ের রংয়ের সাথে যায় শুধু সে রকম কাপড় কিনুন। কাপড় পছন্দের ক্ষেতে কি কাপড় কিনছেন তাও লক্ষ্য রাখার বিষয়; কারন আপনি নিশ্চয় গ্রীষ্মে সিল্ক জামা পরে ঘুরবেন না।

নিজ সম্পর্কে পুর্ন আত্মবিশ্বাসী হউন :- নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের দেশে মানুষের শাররীক আত্মবিশ্বাস অনেক কম। এর প্রধান (হয়তো একমাত্রও বলা যায়) যৌনতা এবং শরীর সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা। ছোট্র একটি উদাহরনঃ আমাদের পাড়ার এক বড়ভাই (তিনি গ্রেজুয়েট ছিলেন!) বিয়ের পর পর প্রায় তার বউকে তালাক দেবার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন – কারন ছিল তার স্ত্রীর বাম স্তন ডান স্তন থেকে ছোট! এরকম একটি প্রাইভেট বিষয় পাড়ায় পাড়ায় রটে গেল! কি লজ্জার বিষয়। অথচ সত্য হল পৃথিবীর প্রায় ৫৫% নারীর দুইটি স্তন একেবারে সমান আকার/গঠনের নয়। কারো কারো স্তন আকারের পার্থক্য এত কম যে চোখে পড়েনা; আর কারো একটু বেশি যা সহজে দৃষ্টিগোচর হয়। স্তনের আকারের এই বিষয়টি নারীরাও জানেন না বলে নিজ থেকে হীনমন্যতায় ভোগেন তারা। এ রকম আরো অসংখ্য স্বাভাবিক বিষয় আছে যা ভেবে আমরা অহেতুক চিন্তিত হই।

অনেকে আবার গায়ের রঙ কিংবা উচ্চতা ইত্যাদি নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা পোষেন। আরে ভাই জগতের সব মানুষ স্বয়ংসম্পুর্ন নয়। কারো উচ্চতা ভাল তো গায়ের রং শ্যামলা। কেউ দেখতে সুন্দর তো হাসেঁর মত কর্কশ গলা (জলন্ত উদাহরন দেশের বিখ্যাত মডেল মোনালিসা, সারিকা, মৌ – ভারতের নায়ক শাহরুখের তোতলানো…)। আবার যাদের শাররীক সব গুন ঠিক আছে তারা হয় চরিত্রহীন কিংবা যৌন অসমর্থ! তাই সব কথার শেষ কথা – বিধাতা যাকে যা দিয়েছেন তা হিসেব করেই দিয়েছেন, না হয় কিছু মানুষের অহংকারের ধম্বে পৃথিবী বাসের অযোগ্য হয়ে যেত! আপনার যতটা আছে তাই আপনার হাতিয়ার – গুটিয়ে নয় ছুটিয়ে বাঁচুন। আত্মবিশ্বাসী হউন।

যত্ন/ভালবাসা/কেয়ার :- শরীর আর শরীরে যৌনমিলন হয়না। শাররীক অঙ্গের মাধ্যমে আত্মার সাথে আত্মার মিলন হলো যৌন সম্পর্ক। শক্তি দিয়ে “রেপ” করা যায়। কিন্তু অন্তরঙ্গ শাররীক মিলনের জন্য প্রয়োজন যার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করছেন তার প্রতি আপনার যত্নশীলতা এবং ভালবাসা। একজন নারী কিংবা পুরুষ তখনি যৌনতৃপ্তি অনুভব করেন যখন মানসিক ভাবে সঙ্গীর সাথে সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। আমার ভাষায় আমি বলি “ঘৃণা দিয়ে কেউ আমার একটা পশমও ছিড়তে পারবে না – কিন্তু ভালবাসা দিয়ে যদি কেউ আমার বুক কেটে কলিজা টান দিয়ে ছিড়ে নিয়ে যায়, আমি ব্যথায় উহ্ শব্দটি করবোনা”। যৌনসুখ শুধুমাত্র কিছু সেক্স ট্রিকস্ কিংবা পৌরুষ শক্তির উপর নির্ভর করেনা। যৌন জীবন সুখি করতে চাই মিলন পরবর্তী/পুর্ববর্তী সময়েও স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, আজকাল মোবাইল কিংবা অন্যকোন ভাবে পরিচিত হয়ে (বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত) যারা শাররীক সম্পর্ক করছেন তারা শুধুমাত্র “চরিত্র নষ্ট করছেন”। ভালবাসা ওখানে নেই। কারন ভালবাসায় “মন প্রধান – শরীর গৌন”। এখনকার বেশিরভাগ অবৈধ সম্পর্ককে আমি “গরম পানি বিসর্জন” বলে অবিহিত করতে চাই। আগে যে কাজ একজন যুবক টয়লেটে হাত দিয়ে সেরে নিত এখন নষ্টা নারী সহজলোভ্য হবার কারনে হাতের বদলে নারী শরীরযন্ত্র ব্যবহার করে সাদা রঙের গরম পানি টয়লেটের বদলে নারী যোনীতে (ভ্রম্যমান কমোড) ত্যাগ করছেন।

পুরুষের ক্ষেত্রে টয়লেট কিংবা নারী দুটি স্থানের বীর্য বিসর্জনে অনুভুতি প্রায় একই – নারীর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তিনি “চরিত্রহীনা” খেতাবটি অর্জন করছেন। গ্যরান্টি দিয়ে বলতে পারি – গরম পানি বিসর্জনের এই প্রক্রিয়া নারী কিন্তু বিন্দুমাত্র উপভোগ করেন নি। কারন ছেলেটি মিলন স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে ছাদের সিড়ি ঘর কিংবা বন্ধুর খালী বাড়ী। তার মস্তিস্কে কাজ করে ভয়; এই বুঝি কেউ এসে গেলো, ধরা খেয়ে গেলো বুঝি – কোনরকম ১/২ মিনিটে কার্য সমাধা করে ছেলেটি ততক্ষনে জিপার আটকিয়ে দিয়েছে। সিড়ি ঘরের উক্ত কর্মে মেয়েটির কাজ ছিল পাজামা হাটু পর্যন্ত নামিয়ে অস্বস্তিকর কুকুরী ভঙ্গিতে হাটুর উপর হাত রেখে কিংবা সিড়ির রেলিং ধরে চোরের মত এদিক ওদিক চাহনি! তার শরীর যন্ত্রে মাঝের অংশে কি হচ্ছে তা অনুভব করার আগেই সুবিধাভোগী পুরুষের কার্য সমাধা হয়ে গেছে। ফলাফলঃ নারী নিয়ে নিলেন সারা জীবনের জন্য চরিত্রহীনা টাইটেল।

পুরুষ পেয়ে গেলেন সারা জীবন উক্ত নারীকে যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে; এমনকি দশবছর পর পাঁচ মিনিটের দেখায় অন্তত স্তন টিপে দেবার সার্টিফিকেট।… ছিঃ ধিক্কার জানাই তাদের। এই কথা গুলোয় কিছু নারী ক্ষেপে গেছেন হয়তো এতক্ষনে। রাগের সাথে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চাইছেন আমাকে “সবদোষ নারীর?” আমি বলি হ্যঁ আপনার দোষ! কারন একটি ছেলে গহীন বনে একা একটি মেয়ের সাথে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না – যতক্ষন পর্যন্ত না মেয়েটি তা করার সম্মতি (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতে) না দেয়।

একজন পুরুষ এবং একজন নারী একা থাকলে তাদের সাথে ৩য় ব্যক্তি হিসেবে শয়তান উপস্থিত হয়। গোপন কথা বলার জন্য আপনি খোলা পার্কে যেতে পারেন। ছাদের সিড়ির গোড়ায় কিংবা খালি প্ল্যাটে আসার মানেই হলো আপনি ছেলেটিকি টিকিট দিয়ে দিয়েছেন। ইদানিং অবশ্য পার্কগুলোরও অবস্থা কথিত এসব নষ্ট যুগল বাদ রাখেন নি। বেহায়াপনার চরম অবস্থা কমবেশি সবাই দেখেছেন। নারী না চাইলে কোন পুরুষের (দুধর্ষ খুনি হলেও) সাহস আছে খোলা পার্কে ওড়ানার নিচে হাতের কাজ সারে? বাংলাদেশে কোটি মানুষ বাস করে – আমি যাদের কথা বলছি তারা হাতে গোন। তাই দয়করে নিজের গায়ে নিতে চেষ্টা করবেন না (যদি আপনি ওরকম পুরুষ/নারী হন)। সব কথার শেষ কথা বিবাহিত বৈধ সম্পর্কের বিকল্প নেই। মনে ভয় থাকবেনা – জীবনে অপরাধবোধ তাড়া করবেনা। অন্য কেউ আপনার শরীর দিয়ে নোংরামী করতে পারবে না। বিধাতা তথাকথিত স্মার্টদের সুমতি দিন।

চিকিত্সকের পরামর্শ নিন :- মানুষ সবসময় শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকবে এমনটি ভাবা উচিত নয়। বিবাহিত জীবনের যেকোন সময় যেকোন প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার সঙ্গির সাথে তা সরাসরি আলোচনা করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন হাতুড়ে ডাক্তার ভুল ধারনা দিয়ে আপনার সুখী যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবে। তাই বিশেষজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের পরামর্শ বাঞ্চনীয়। কারণ নারী এবং পুরুষের যৌন সমস্যা নির্মূলে হোমিওপ্যাথির মত সফলতা আজ পর্যন্ত কোনো চিকিত্সা বিজ্ঞানই দেখাতে পারে নি। তাই বিবাহিত জীবনে আপনাদের যাবতীয় যৌন সমস্যার দায় ভার নিশ্চিন্তে হোমিওপ্যাথির উপর ছেড়ে দিন।

জীবন সম্পর্কে পজেটিভ চিন্তা করুন :- আপস্ এন্ড ডাউন ই হলো জীবনের ধর্ম। যেদিন আপনার মাথায় কোন চিন্তা নেই – ধরে নেবেন আপনি মরে গেছেন। এটা পেলামনা কেন? ওটা আমার জীবনে হলোনা কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে ভাবা বোকামীর চরম লক্ষন। জীবন একটি যুদ্ধ – তাই সংসার জীবনে অহেতুক নেতিবাচক চিন্তা থেকে বিরত থেকে বাস্তবতার হাত ধরে চলুন।

নিজের শরীর সম্পর্কে জানুন :- মাঝেমাঝে টয়লেটে যদি বড় আয়না থাকে কিংবা দরজা জানালা বন্ধ করে (পর্দা ঠিকঠাক টেনে) মাঝে মাঝে সম্পুর্ন বিবস্ত্র হয়ে আপনার শরীর বিভিন্ন কৌনিকে পর্যবেক্ষন করুন। নিজ শরীর সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হউন। আপনার চোখে যেসকল অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে তা ঠিক করার চেষ্টা করুন। যেমন কেমন অন্তঃবাস পরলে আপনাকে সুন্দর লাগে কিংবা কেমন করে দাড়ালে আপনার সঙ্গীর চোখে আবেদনময়ী মনে হবে সেরকম ভঙ্গিমার প্রাকটিস করুন।

সম্পুর্ন নতুন মেকওভার নিন :- আপনাকে ডান পাশে সিথি কাটলে সুন্দরী লাগে। কিংবা চোখে গাঢ় কাজলে মায়াবী লাগতে পারে। কিন্তু সবসময় একই রকম সাজগোজ অথবা বাহ্যিক অবয়ব আপনার স্বামীর ভাল লাগার কথা নয়। তাই চুলের নতুন স্টাইল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ব্রু ফ্লাক সহ সম্পুর্ন মেকওভার করিয়ে নিতে পারেন। আর্থিক সমস্যা থাকলে এতকিছু একসাথে না করে ঘরোয়া ভাবে নিজের বাহ্যিক পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারেন।

চমত্কার হাসি :- নবী করিম (সঃ) বলেছেন “হাসি হলো সদকা”। কেউ একজনের দিকে হাসি মুখে তাকানো এবং কাউকে অর্থ সাহায্য করার মাধ্যমে সমান নেকী পাওয়া যায়। স্বামী কিংবা আপনজনের পানে হাসিমুখে তাকানোর মাধ্যমে তার পৃথিবী বদলে দিতে পারেন। আমার দাদা বলতেন “দিনমজুর সারাদিন মাটি কেটে ঘরে আসার পর তার স্ত্রী যদি হাসিমুখে তাকে ডাল-ভাত খেতে দেয় তাহলে ওই মজুর সারাদিনের কষ্ট নিমেষেই ভুলে যান এবং তার কাছে ডাল-ভাত বিরিয়ানীর মত স্বাদের লাগে। আবার কোটিপতি সারাদিন প্রচুর আরাম আয়েশে অফিস করে ঘরে আসার পর যদি স্ত্রী চেহারা কালো করে চাইনীজও খেতে দেয় তখন সে খাবার তার কাছে ছাই-ভস্ম খাবার মত লাগবে।” ভালবাসা লেনদেনের জিনিস। দিবেন তো ফিরত পাবেন। দিবেন না – পাবার কল্পনাও করবেন না।

নিয়মিত ব্যয়াম করুন :- বিয়ের পর মেয়েরা হঠাৎ ঘরকুনো হয়ে যাওয়ার ফলে শাররীক ওজন বেড়ে যায়। অনেক নারী মনে করেন বিয়েতো হয়ে গেছে এখন আর শরীর অথবা বাহ্যিক সৌন্দয্য চর্চার দরকার কি? ধারনা ভুল! সব পুরুষ চায় তার বউ হবে অপ্সরী। আপনি হয়তো নায়িকাদের মত হতে পারবেন না – তবে পরিমিত খাবার গ্রহন এবং নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে শররীক গঠন ঠিক রাখা এবং মানসিক প্রশান্তি অর্জন করতে পারেন।
বিস্তারিত

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

সেক্স বা যৌন মিলনে নারীদের অনীহার কারণ ও মুক্তির উপায়

বিবাহিত নারীরা অনেক সময় স্বামীর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যেমন চিন্তিত থাকে পাশাপাশি অনেকেই তাদের শুরু হওয়া যৌন জীবন নিয়েও এমন কিছু ঝামেলায় পড়েন যা আগে হয়ত ভাবেননি হতে পারে। জেনে অবাক হবেন যে নব্য বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেও সেক্স এ অনীহা থাকতে পারে। আর যারা দীর্ঘ দিন সংসার করছেন তাদের তো আছেই ।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

নারীর যৌনাঙ্গের জি-স্পট - আসুন জেনে নেই বিস্তারিত

নারী দেহের জি-স্পটের নাম হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছি। কিন্তু বিষয়টা কি এ সম্পর্কে হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। "জি-স্পট" রহস্য বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো সম্পুর্ন বোধগম্য নয়। তাই আমি যা করতে পারি তা হচ্ছে থিওরি দেয়া – যার মাধ্যমে আপিনি আবিষ্কার করতে পারেন "জি-স্পট" এর অবস্থান, কিভাবে এটি খুজে পাওয়া যাবে এবং "জি-স্পট" দিয়ে কি করবেন?

ইতিহাস কি বলে ?

‘জি’ অক্ষরটি ‘গ্রাফিনবার্গ’ শব্দের আদ্যক্ষর। গ্রাফিনবার্গ হচ্ছেন একজন গাইনোকলজিষ্ট যিনি ১৯৫০ সালে প্রথম ‘ইউরেথ্রার সাথে যোনী পথে মিলনের সময় যৌন উত্তেজনার সম্পর্ক’ নিয়ে কলাম লিখেন। ‘জি-স্পট’ নিয়ে পরবর্তীকালে ব্যাভারিল হুইপলি এবং জন পিরি নামক দুইজন বিজ্ঞানী বিশদ গবেষনা করেন। গ্রাফিনবার্গের কলাম চাপার ৩০ বছর পর এই বিজ্ঞানীদয় গ্রাফিনবার্গের নামানুসারে ‘জি-স্পট’ নামকরন করেন।
নারীর যৌনাঙ্গের জি-স্পট

'জি-স্পট' কি ?

ইউরেথ্রার (তলপেটের ঠিক পরে যোনীর ছিদ্রের উপরিভাগে গোলাপি রঙের ভাজ করা অংশ) ভিতর অতিসংবেদনশীল কোষ দ্বারা আবৃত ছোট্র একটি অঞ্চল হচ্ছে ‘জি-স্পট’। নারীর জি-স্পট যৌনাঙ্গের সর্বচ্চ ৫ সেঃমিঃ ভিতরে অবস্থিত। অনেক মহিলা মনে করেন জি-স্পট বলে বিশেষ কোন কিছু নেই। তাদের মতে সমস্ত যোনী সমান সংবেদনশীল। তবে অনেকে জোরালো ভাবে দাবী করেন তারা জি-স্পট স্টিমুলেশানের মাধ্যমে পুর্ন যৌন তৃপ্তি অর্জন করতে পেরেছেন।

কিভাবে 'জি-স্পট' খুজে পাবেন ?

ইউরেথ্রা এবং যোনীর ছিদ্রের মাঝামাঝি অংশে সেন্ডউইচের মত ভাজ করা দেখতে অংগটি হচ্ছে ইউরেথ্রাল স্পঞ্জ। নারীর উত্তেজনার সময় জি-স্পট এর অবস্থান সম্পর্কে জানা খুব সোজা। তাই আপনি যদি একা থাকেন তাহলে যৌন ফ্যান্টাসীর মাধ্যমে নিজেকে উত্তেজিত করে নিন। লক্ষ্য করুন যোনী যেন কামরসে ভিজে যায় এবং যৌনাঙ্গ উত্তপ্ত হয়। কারন উত্তেজিত অবস্থায় জি-স্পট সাধারনের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠে।

এবার আপনার মধ্যমা আস্তে আস্তে ইউরেথ্রা স্পঞ্জ এবং যৌনী পথের দেয়াল ঘেষে প্রবেশ করান। বেশিরভাগ মহিলার যোনীপথ তলপেটের দিকে ৪৫ডিগ্রী কৌনিক অবস্থানে থাকে। তাই কৌনিকভাবে প্রায় ৫ সেঃমিঃ ভিতরে যাবার পর বৃত্তাকার একটি অঞ্চল পাবেন যেখানে হালকা চাপ প্রয়োগ করলে প্রস্রাবের বেগ আসবে। তবে চিন্তিত হবেননা। কারন যৌন উত্তেজনার সময় আপনি চেষ্টা করলেও সরাসরি প্রস্রাব চলে আসবে না। হ্যাঁ এটিই জি-স্পট। তবে অনেক নারী ওই অঞ্চলে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। চিন্তিত হবেন না হয়তো আপনি জি-স্পট থেকে মজা পাবার দলে নন। তবে জি-স্পট ছাড়াও পুর্ন যৌন তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই ভাবনার কোন কারন নেই। (তথ্য সূত্র: সংগ্রহিত)
বিস্তারিত

বিয়ের পূর্বে যে কাজ গুলো করে নেয়া ভালো !!

বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য এক সামাজিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর এক সময় এই সম্পর্কের মাধ্যমেই নারী ও পুরুষের ঔরসজাত হয়ে পৃথিবীর মুখ দেখে নতুন প্রজন্ম। তাই বিয়ের আগে বর এবং কনে উভয়কেই কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে নিলে সেটা তাদের এবং আগামী ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও বেশ মঙ্গল জনক হয়ে থাকে। তার জন্য কি কি করা যেতে পারে এবং তাতে কি পরিমান উপকার নিহিত রয়েছে - আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখি।
বিস্তারিত

নারীদের যে গুনাবলী পুরুষদের মোহিত করে তুলে

প্রতিটি পুরুষই চায় তার সঙ্গীনি হবে খুব রূপসী এবং আকর্ষণীয়। আর নারীর কিছু আলাদা গুনাবলী রয়েছে যা একজন পুরুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্টই বলা চলে। চলুন জানা যাক পুরুষদের মোহিত করা নারীদের সেই সব গুনগুলি কি কি ?
বিস্তারিত

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

ক্যান্সার প্রতিরোধেও রয়েছে বিয়ের ভুমিকা - জানেন কি ?

সম্প্রতি "সাইন্স ডেইলিতে" প্রকাশিত ব্রিগহেম ইয়ং ইউনিভার্সিটি-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা বিয়ে করেছেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার কম। অবিবাহিতরা বিবাহিতদের চেয়ে শতকরা ৩৫ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

৪০ বছরের ডাটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ৪০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ নরওয়ে নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য প্রকাশ করেন গবেষকরা।
ক্যান্সার প্রতিরোধেও রয়েছে বিয়ের ভুমিকা - জানেন কি ?
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১৯৭০-১৯৭৮ সালে অবিবাহিত পুরুষ বিবাহিতদের চেয়ে ১৮ ভাগ ও মেয়েরা ১৭ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ২০০৫-২০০৭ সালে এসে এ পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৩৫ ও ২২ ভাগে। ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ জার্নালে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

বিবাহিতদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে থাকার হার অবিবাহিতদের চেয়ে বেশি। এ জন্য সঙ্গীর সেবাযত্ন, সাহস, ভালোবাসা কাজ করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাই সুস্থ্ দেহ আর সুন্দর জীবনের জন্য দিল্লি কা লাড্ডু যে জরুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিস্তারিত