আগেকার দিনের নারীরা তাদের পিরিয়ড কালীন সময়ে ঘরের মাঝেই আবদ্ধ হয়ে থাকতেন যাতে কোনভাবে রক্তপাত দৃশ্যমান হলে তাদেরকে কোন প্রকার লোকলজ্জার পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়। আজকের আধুনিক জীবনে নারীদের একটি বড় সুবিধা করে দিয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। কিন্তু এর আছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুকিও! সঠিক স্যানিটারি ন্যাপকিন নির্বাচন এবং ব্যবহার করতে না পারলে এটা হয়ে ওঠে জরায়ু ও মুত্রথলির সংক্রমণসহ নানা প্রকারের ক্যান্সারের কারণ।
আগে শুধু কাপড়ের ন্যাপকিন বা তুলার প্যাড ব্যবহৃত হত কিন্তু এখন নানা প্রকার বিজ্ঞাপনের সুবাদে "ড্রাই উইভ" অথবা শুকনো ন্যাপকিনের ব্যাবহার অনেক বেড়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয় "এখন আমার কোন দুশ্চিন্তাই নেই, সারাদিন একদম ফ্রি!!" লোভনীয় এইসব বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে মেয়েরা প্যাড বা ন্যাপকিন ব্যাবহার করে এবং সেটা ২৪ ঘণ্টা বা আরও বেশি সময়ও পরে থাকে।
ফলাফল কয়েক মাস পর অনাকাঙ্খিত মেয়েলি রোগে আক্রান্ত হয় যার কারন তারা খুঁজে পায়না। এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারনা না থাকায় নিজের অজান্তেই তারা নিজের ক্ষতি করে চলে। সেই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিছু তথ্য প্রদান করা হল-
স্যানিটারি ন্যাপকিন:- প্রথমত যেকোন স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড কোনভাবেই তিন বা চার ঘণ্টার বেশি পরা উচিৎ নয়। ঋতুস্রাবের শুরুর দুই ও তিন দিন অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিঃসরণ হয়। এসময় অনেকে ছয় বা সাত ঘণ্টা পর পর প্যাড পরিবর্তন করে। কিন্তু চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকে স্রাব কমে আসায় একই ন্যাপকিন ২৪ ঘণ্টা বা আরও বেশি সময় ধরে অনেকে পরে থাকে। এইকারনে তাদের যে সমস্যা হতে পারে তা হলঃ যোনিপথে চুলকানি, প্রদাহ, অ্যালার্জি।
তাই, ঋতুস্রাবের প্রথম তিন দিন দুই ঘন্টা পরপর প্যাড পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ। যদি প্যাড শুকনো না থাকে অর্থাৎ উপরের অংশে রক্ত ভেসে আসতে দেখা যায় তবে সাথে সাথে প্যাড পরিবর্তন করা উচিৎ এবং কোনভাবেই চার ঘণ্টার বেশি একটি প্যাড পরা উচিৎ নয়। ঋতুস্রাবের তৃতীয় দিন হতে যেসব ন্যাপকিনে দ্রুত রক্ত টেনে নেয় এবং উপরের অংশ শুকনো রাখে অর্থাৎ "ড্রাই উইভ" ন্যাপকিন সেগুলো পরা একদম বাদ দিতে হবে। ঋতুস্রাবের শেষের দিকে অল্প রক্তপাত হয় এবং একারনে সেই রক্ত দ্রুত শুকিয়ে সেখানে জীবানুর আক্রমণ হয় যা যোনিপথের সংস্পর্শে এসে চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন ইত্যাদি সৃষ্টি করে।
আপনারা হয়ত জানেন না ড্রাই উইভ প্যাড বা ন্যপাকিনে প্যাড শুকনো রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় "সেলুলোজ জেল"নামের একটি উপাদান যা জরায়ুমুখের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এবং এর প্রকোপ গত কয়েক বছরে বিকট আকার ধারন করার পিছনে অন্যতম একটি কারন হচ্ছে স্যানিটারি প্যাডের দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাবহার। এমনকি আপনারা খেয়াল করলেই দেখবেন এটি কী উপাদান দ্বারা তৈরি তা কিন্তু এর প্যাকেটের কোথাও উল্লেখ করা থাকেনা। এ ব্যাপারে কোন সঠিক দিক নির্দেশনা বা নীতিমালাও এই উপমহাদেশে নেই বলে খুব সহজেই মানুষ এদের বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং নিজের ক্ষতি করছে। কাজেই নিজ দায়িত্বে সতর্ক হোন।
কাপড়ের ন্যাপকিন :- অনেকে একই কাপড় বারবার ধুয়ে ব্যাবহার করে। সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কাপড়ের ন্যাপকিন অবশ্যই একবার ব্যাবহারের পর গরম জলে সিদ্ধ করে ধুয়ে সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকাতে হবে। সূর্যের আলো এখানে বেশ ভাল জীবানুনাশক হিসাবে কাজ করে। ঘরের কোনায় শুকাতে দিলে কোন লাভ নেই। অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পরপর প্যাড পরিবর্তন করতে হবে।
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার