সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নারী পুরুষের মিলনের সময়ে পিঠ ব্যথা সম্পর্কিত একটি গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দাম্পত্য জীবনের মধুময় মিলনেও দেখা যায় নানা প্রকার জটিলতা। তারই একটি হলো পিঠ কিংবা কোমরে ব্যথা যাকে অনেকই ব্যাক-পেইন নামে চিনে থাকেন।
প্রথম পাতা
অনুসন্ধান ফলাফল : পুরুষের সমস্যা
পুরুষের সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পুরুষের সমস্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
"অতিরিক্ত ওজন' - স্বাভাবিক যৌন জীবনের পথে বাধা !
অতিরিক্ত ওজন পুরুষত্বহীনতার কারণ হতে পারে। ওবেসিটির সঙ্গেই আসা উচ্চ কোলেস্টরল, হাইপার টেনসন, ডায়াবেটিসের মত অসুখ শরীরের বিভিন্ন অংশের মতোই পুরুষাঙ্গেও রক্ত সঞ্চালন হ্রাস করে। ফলে সমস্যা দেখা দেয় ইরেকশনে। ওজন কমাতে সক্ষম হলেই অনেকাংশে এই সমস্যা কমে যায়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত ওবেসিটি বা ওবেসিটি সংক্রান্ত বিষয় গুলি যৌন ক্ষমতা, যৌন ইচ্ছা মারাত্মক ভাবে কমিয়ে দেয়। ওবেসিটি নিজের সঙ্গেই ডেকে নিয়ে আসে ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, হাইপারটেনসানের মত ব্যাধি। এই অসুখ এবং অসুখ নিরাময়ের ওষুধ যৌন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সারা বিশ্বে ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
ওবেসিটি এবং ওবেসিটির ফলে শরীরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তার প্রতিষেধক ওষুধের ফলে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা দেখা দেয়। ভীষণ ভাবে কমে যায় ওর্গাজাম।
ওবেসিটির ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। কমিয়ে দেয় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। এর ফলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয় "সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবুলিনস" (এসএইচবিজি)। এই এসএইচবিজি টেস্টোস্টেরনের সঙ্গে কেমিক্যাল বন্ধন গঠন করে। ফলে স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য দেহে যে পরিমাণ সেক্স হরমোন প্রয়োজন তা হ্রাস পায়। হরমোন সমস্যার জন্য অতিরিক্ত ওজনের অপ্লবয়সী ছেলেদের দেহে স্তন বৃদ্ধি হতে পারে। সমস্যা দেখা দেয় মেয়েদের ঋতু চক্রে।
অতিরিক্ত ওজন মহিলাদের ডিম্বাণু গঠন ও ফার্টিলাইজেশনে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। ওবেসিটি গর্ভপাতের একটি বড় কারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে এর ফল আরও মারাত্মক। ওবেসিটির ফলে নিম্ন মানের শুক্রাণু তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ওজনের পুরুষরা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের থেকে ৩৫% কম শুক্রাণু উৎপাদন করেন। ওবেসিটির ফলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পায়। অতিরিক্ত ওজন পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট করে। ফলে স্বাভাবিক যৌনজীবন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত ওবেসিটি বা ওবেসিটি সংক্রান্ত বিষয় গুলি যৌন ক্ষমতা, যৌন ইচ্ছা মারাত্মক ভাবে কমিয়ে দেয়। ওবেসিটি নিজের সঙ্গেই ডেকে নিয়ে আসে ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, হাইপারটেনসানের মত ব্যাধি। এই অসুখ এবং অসুখ নিরাময়ের ওষুধ যৌন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সারা বিশ্বে ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
ওবেসিটি এবং ওবেসিটির ফলে শরীরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তার প্রতিষেধক ওষুধের ফলে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা দেখা দেয়। ভীষণ ভাবে কমে যায় ওর্গাজাম।
ওবেসিটির ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। কমিয়ে দেয় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। এর ফলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয় "সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবুলিনস" (এসএইচবিজি)। এই এসএইচবিজি টেস্টোস্টেরনের সঙ্গে কেমিক্যাল বন্ধন গঠন করে। ফলে স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য দেহে যে পরিমাণ সেক্স হরমোন প্রয়োজন তা হ্রাস পায়। হরমোন সমস্যার জন্য অতিরিক্ত ওজনের অপ্লবয়সী ছেলেদের দেহে স্তন বৃদ্ধি হতে পারে। সমস্যা দেখা দেয় মেয়েদের ঋতু চক্রে।
অতিরিক্ত ওজন মহিলাদের ডিম্বাণু গঠন ও ফার্টিলাইজেশনে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। ওবেসিটি গর্ভপাতের একটি বড় কারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে এর ফল আরও মারাত্মক। ওবেসিটির ফলে নিম্ন মানের শুক্রাণু তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ওজনের পুরুষরা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের থেকে ৩৫% কম শুক্রাণু উৎপাদন করেন। ওবেসিটির ফলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পায়। অতিরিক্ত ওজন পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট করে। ফলে স্বাভাবিক যৌনজীবন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
শুক্রাণুকে দুরন্ত গতি দিতে নিয়মিত গাজর খেয়ে যান।
আপনি জানেন কি ? পুরুষের শুক্রাণুকে গতি দিতে গাজরেরও রয়েছে অসাধারণ ভুমিকা। গতিময় জীবনে আপনার শুক্রাণুই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুক্রাণুকে কি উসেইন বোল্টের গতি দিতে চান? তাহলে অবশ্যই বেশি করে গাজর খান। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সব্জী সুস্থ সবল শুক্রাণু তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ স্বাভাবিক ভাবে কত হয় ?
পুরুষের যৌন উত্তেজনার সময় সাধারণত পেনিস বা লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয়টাই বেড়ে যায়। কারণ তখন লিঙ্গে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীসমূহ প্রসারিত হয়ে স্পঞ্জি টিস্যুগুলিতে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে ঐ টিস্যুগুলো যথাযথ ভাবে প্রসারিত হওয়ার কারণে পুরুষের লিঙ্গ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বাড়তে থাকে। স্পঞ্জি টিস্যুসমূহ প্রসারিত হয়ে লিঙ্গের শীরাগুলিকে চেপে দেয় যাতে ঐ টিস্যুগুলি থেকে শীরার মাধ্যেম রক্ত কম পরিমানে অপসারিত হয়।
ফলস্বরূপ বেশি পরিমানে রক্ত লিঙ্গে প্রবেশ করে কিন্তু অল্প অপসারিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষন না একটি সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে, যাতে করে উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একটি নির্দিষ্ট মান পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি, অনেকের মতে গড় দৈর্ঘ্য 5.1 - 5.9 ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে ব্যাক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে এই মান 4 ইঞ্চি থেকে 7.5 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে দীর্ঘতম লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৩.৫ ইঞ্চি। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর উত্তেজিত দৈর্ঘ্য কখনোই নির্ভর করেনা।
আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন- পুরুষভেদে ব্যাক্তির শরীরের বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপরেও তার উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করেনা। লিঙ্গের গড় পরিধি হয়ে থাকে প্রায় 4.8 ইঞ্চির মত। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের কোন একদিকে বেঁকে যাওয়াটাও একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রকৃতিগত ভাবেই অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গের গোড়ার দিকটা অগ্রভাগের তুলনায় কিছুটা চিকন হয়ে থাকে। এছাড়াও দেখা যায় যে, অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গ উপরের দিকে, আবার অনেকের নিচের দিকে কিংবা ভূমির সমান্তরালে মুখ করেও অবস্থান করে। ইহাও একটা স্বাভাবিক বিষয়, তাই এর জন্য কখনোই মন খারাপ বা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আজকের এই তথ্যটা জানার পর থেকে আশা করি, আমাদের দেশের যেসব তরুণ-যুবকরা নিজেদের লিঙ্গের সাইজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বা ভয়ে আছেন অথবা লিঙ্গ বড় করার চিন্তায় সর্বদাই বিভোর থাকেন তারা আর এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। ধন্যবাদ।
ফলস্বরূপ বেশি পরিমানে রক্ত লিঙ্গে প্রবেশ করে কিন্তু অল্প অপসারিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষন না একটি সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে, যাতে করে উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একটি নির্দিষ্ট মান পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি, অনেকের মতে গড় দৈর্ঘ্য 5.1 - 5.9 ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে ব্যাক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে এই মান 4 ইঞ্চি থেকে 7.5 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে দীর্ঘতম লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৩.৫ ইঞ্চি। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর উত্তেজিত দৈর্ঘ্য কখনোই নির্ভর করেনা।
আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন- পুরুষভেদে ব্যাক্তির শরীরের বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপরেও তার উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করেনা। লিঙ্গের গড় পরিধি হয়ে থাকে প্রায় 4.8 ইঞ্চির মত। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের কোন একদিকে বেঁকে যাওয়াটাও একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রকৃতিগত ভাবেই অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গের গোড়ার দিকটা অগ্রভাগের তুলনায় কিছুটা চিকন হয়ে থাকে। এছাড়াও দেখা যায় যে, অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গ উপরের দিকে, আবার অনেকের নিচের দিকে কিংবা ভূমির সমান্তরালে মুখ করেও অবস্থান করে। ইহাও একটা স্বাভাবিক বিষয়, তাই এর জন্য কখনোই মন খারাপ বা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আজকের এই তথ্যটা জানার পর থেকে আশা করি, আমাদের দেশের যেসব তরুণ-যুবকরা নিজেদের লিঙ্গের সাইজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বা ভয়ে আছেন অথবা লিঙ্গ বড় করার চিন্তায় সর্বদাই বিভোর থাকেন তারা আর এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। ধন্যবাদ।
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বাচ্চা বা সন্তান নিতে ইচ্ছুক নবদম্পতির কিছু করণীয় বিষয় !
একজন পুরুষ এবং মহিলা যখন নতুন সংসার শুরু করেন তখন তারা নানা স্বপ্ন দেখে থাকেন। তার মধ্যে একটা সন্তান যেন তাদের ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে দাড়ায়। তাই প্রত্যেক নবদম্পতিই এই স্বপ্নটি মনে মনে লালন করে চলেন। তাছাড়া এটা সবারই জানা যে, সন্তান ছাড়া একটি পরিবার সম্পূর্ন হয় না। একটি দম্পতি সংসার শুরু করার পরেই সন্তানের অভাববোধ করেন । এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু একটি সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে । একটি সুস্থ ও সবল বাচ্চার স্বপ্ন দেখে সব দম্পতিরাই। তাই স্বপ্নের সূচনা যেন ভালোভাবে হয়, তাহলে স্বপ্নটি পূরণ হবার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।
বলা হয়ে থাকে একটি সার্থক গর্ভধারণ,গর্ভধারণ করার আগেই বিভিন্ন প্লানের উপর নির্ভর করে। সব মহিলাই উপকৃত হতে পারেন যদি গর্ভধারণের আগের প্লান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভধারণের আগে কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার।
আর্থিক প্রস্তুতি :- যদিও বলা হয়ে থাকে অর্থই অনর্থের মূল।তারপরও অর্থ ছাড়া জীবন অচল। তাই আপনার পরিবারে কোন নতুন অতিথিকে আনতে চাইলে তার ভবিষ্যতটা যতটা পারেন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন। কেননা সন্তান পালন বর্তমান যুগে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই গর্ভধারণ করার ইচ্ছা থাকলে আগে অর্থনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখবেন। একটা প্লানও করে নিতে পারেন। একটা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন গর্ভধারণের আগে।এতে আপনার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত সিকিউর থাকবে। এছাড়া একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত্ গর্ভধারণের চেষ্টাকালীন সময়ে। কেননা গর্ভাবস্থায়,বাচ্চা প্রসবকালীন ও বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী অবস্থায় অর্থের দরকার হয়।
মানসিক প্রস্তুতি :- আপনি ও আপনার স্বামী যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন,তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিবেন, আপনারা এখন সন্তান চান কিনা? সন্তানের দেখভাল করার মত লোকজন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা? ক্যারিয়ারের গঠনের মাঝে সন্তান নিলে সামলাতে পারবেন কিনা? দু জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা? মানসিকভাবে বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন। যদি হ্যাঁবাচক উত্তর পান তবে বুঝতে হবে যে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদি না বাচক উত্তর পান তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আরও ভালোমতো ভেবে নিন।
শারীরিক প্রস্তুতি :- মেডিকেল চেকআপ :আপনি কি খুব শ্রীঘ্রই বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন?যদি বাচ্চা নিতে চান তবে গর্ভধারণের জন্য একটা বিশেষ সময়ের পরিকল্পনা করুন। এরপর মেডিকেল চেকআপ করুন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন যে,বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা? কেনোনা একটি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মদেওয়া একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মায়ের উপর নির্ভর করে। এজন্য প্রি কন্সেপসন, প্রি প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নেওয়া উচিত্। কেনোনা কিছু মেডিকেল কন্ডিশন ও জীবনযাত্রার মান গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে, এমনকি গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।
স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন। আপনার কোন রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্বামীর কোন অসুখ থাকলেও তার চিকিত্সা করাতে হবে। এরপর ডাক্তার আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ওজন, রক্তচাপ ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা তা পরীক্ষা করবেন। কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়।তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
এরপর ডাক্তারটা পরীক্ষা করবেন যে, আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা? মানে বন্ধ্যা কি না তা পরীক্ষা করেন।অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে। মহিলা ,পুরুষ উভয় ই এর জন্য দায়ী হতে পারে। এজন্য যথাযথ পরীক্ষা করে সমস্যা ধরা পড়লে, যার সমস্যা তার চিকিত্সা করাতে হবে।
প্যাপ টেস্ট করাতে হবে,জরায়ুমুখে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার জন্য। কেনোনা একটি সার্থক প্রসব সুস্থ জরায়ু ও গর্ভাশয়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ এইসব অসুখ মারাত্মক সমস্যা করে গর্ভাকালীন ও পরবর্তী সময়ে।তাই গর্ভধারণের আগেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এছাড়া HIV ও herpes এই টেস্ট গুলো করা ভালো কেনোনা এগুলো থাকলে গর্ভধারণ করা ঝুকিপূর্ণ।
এছাড়াও আপনি যদি দ্বিতীয় বারের মত মা হতে যান এবং আপনার যদি আগের গর্ভকালীন অবস্থায় নিম্নোক্ত সমস্যা হয়ে থাকে,
আপনার ও আপনার স্বামীর পরিবারে কোন জেনেটিক সমস্যার কারণে কারো অসুখ হলে, একজন জেনেটিক কাউন্সিলারের সাথে পরামর্শ অবশ্যই করবেন।
এজমা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেসনের ও অন্যান্য কোন ওসুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়ই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কেননা এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হবার চান্স থাকে।
রুবেলা, চিকেন পক্স এর টিকা আগেই নিয়ে রাখুন। এছাড়া ১৫ বছরের পর সব মেয়েরি টিটি টিকা নেওয়া উচিত্। যে কোন ভ্যাক্সিন নেয়ার কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করুন গর্ভধারণের চেষ্টা করার জন্য।
দাঁতের যত্ন নিন। দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট কে দেখান।কারণ এটা প্রমাণিত যে দাঁতের মাড়ীতে কোন অসুখ থাকলে কমওজনের ও অকালে জন্ম হয় শিশুর।
একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে । যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
এছাড়াও আপনার ডাক্তারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন ,
বলা হয়ে থাকে একটি সার্থক গর্ভধারণ,গর্ভধারণ করার আগেই বিভিন্ন প্লানের উপর নির্ভর করে। সব মহিলাই উপকৃত হতে পারেন যদি গর্ভধারণের আগের প্লান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভধারণের আগে কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার।
আর্থিক প্রস্তুতি :- যদিও বলা হয়ে থাকে অর্থই অনর্থের মূল।তারপরও অর্থ ছাড়া জীবন অচল। তাই আপনার পরিবারে কোন নতুন অতিথিকে আনতে চাইলে তার ভবিষ্যতটা যতটা পারেন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন। কেননা সন্তান পালন বর্তমান যুগে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই গর্ভধারণ করার ইচ্ছা থাকলে আগে অর্থনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখবেন। একটা প্লানও করে নিতে পারেন। একটা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন গর্ভধারণের আগে।এতে আপনার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত সিকিউর থাকবে। এছাড়া একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত্ গর্ভধারণের চেষ্টাকালীন সময়ে। কেননা গর্ভাবস্থায়,বাচ্চা প্রসবকালীন ও বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী অবস্থায় অর্থের দরকার হয়।
মানসিক প্রস্তুতি :- আপনি ও আপনার স্বামী যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন,তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিবেন, আপনারা এখন সন্তান চান কিনা? সন্তানের দেখভাল করার মত লোকজন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা? ক্যারিয়ারের গঠনের মাঝে সন্তান নিলে সামলাতে পারবেন কিনা? দু জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা? মানসিকভাবে বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন। যদি হ্যাঁবাচক উত্তর পান তবে বুঝতে হবে যে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদি না বাচক উত্তর পান তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আরও ভালোমতো ভেবে নিন।
শারীরিক প্রস্তুতি :- মেডিকেল চেকআপ :আপনি কি খুব শ্রীঘ্রই বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন?যদি বাচ্চা নিতে চান তবে গর্ভধারণের জন্য একটা বিশেষ সময়ের পরিকল্পনা করুন। এরপর মেডিকেল চেকআপ করুন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন যে,বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা? কেনোনা একটি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মদেওয়া একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মায়ের উপর নির্ভর করে। এজন্য প্রি কন্সেপসন, প্রি প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নেওয়া উচিত্। কেনোনা কিছু মেডিকেল কন্ডিশন ও জীবনযাত্রার মান গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে, এমনকি গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।
কি কি চেকআপ করাবেন ?
যদি আপনি সন্তানধারণের চেষ্টা করেন এবং আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার চিকিত্সককে বলুন কবে নাগাদ তা বন্ধ করবেন? সাধারণত গর্ভধারণ করার চেষ্টা করার কিছু মাস আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করতে বলেন ডাক্তাররা। আপনার কিছু স্বাভাবিক মাসিক হওয়া দরকার গর্ভধারণের আগে।এতে করে গর্ভধারণ পরবর্তী বাচ্চা প্রসবের সময় নির্ধারণ করতে সুবিধা হয়।স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন। আপনার কোন রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্বামীর কোন অসুখ থাকলেও তার চিকিত্সা করাতে হবে। এরপর ডাক্তার আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ওজন, রক্তচাপ ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা তা পরীক্ষা করবেন। কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়।তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।
এরপর ডাক্তারটা পরীক্ষা করবেন যে, আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা? মানে বন্ধ্যা কি না তা পরীক্ষা করেন।অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে। মহিলা ,পুরুষ উভয় ই এর জন্য দায়ী হতে পারে। এজন্য যথাযথ পরীক্ষা করে সমস্যা ধরা পড়লে, যার সমস্যা তার চিকিত্সা করাতে হবে।
প্যাপ টেস্ট করাতে হবে,জরায়ুমুখে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার জন্য। কেনোনা একটি সার্থক প্রসব সুস্থ জরায়ু ও গর্ভাশয়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ এইসব অসুখ মারাত্মক সমস্যা করে গর্ভাকালীন ও পরবর্তী সময়ে।তাই গর্ভধারণের আগেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এছাড়া HIV ও herpes এই টেস্ট গুলো করা ভালো কেনোনা এগুলো থাকলে গর্ভধারণ করা ঝুকিপূর্ণ।
এছাড়াও আপনি যদি দ্বিতীয় বারের মত মা হতে যান এবং আপনার যদি আগের গর্ভকালীন অবস্থায় নিম্নোক্ত সমস্যা হয়ে থাকে,
- বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া
- জন্মের সময় বাচ্চা মরে যাওয়া
- অকালে বাচ্চা হওয়া
- বাচ্চার শারিরীক গঠনে সমস্যা থাকা
আপনার ও আপনার স্বামীর পরিবারে কোন জেনেটিক সমস্যার কারণে কারো অসুখ হলে, একজন জেনেটিক কাউন্সিলারের সাথে পরামর্শ অবশ্যই করবেন।
এজমা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেসনের ও অন্যান্য কোন ওসুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়ই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কেননা এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হবার চান্স থাকে।
রুবেলা, চিকেন পক্স এর টিকা আগেই নিয়ে রাখুন। এছাড়া ১৫ বছরের পর সব মেয়েরি টিটি টিকা নেওয়া উচিত্। যে কোন ভ্যাক্সিন নেয়ার কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করুন গর্ভধারণের চেষ্টা করার জন্য।
দাঁতের যত্ন নিন। দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট কে দেখান।কারণ এটা প্রমাণিত যে দাঁতের মাড়ীতে কোন অসুখ থাকলে কমওজনের ও অকালে জন্ম হয় শিশুর।
একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে । যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।
এছাড়াও আপনার ডাক্তারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন ,
- কখন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বন্ধ করবেন ?
- ওভুলেশনের ডেট ক্যালকুলেট করে নিবেন ।
- কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট ।
যৌনসুখ বাড়াতে ভায়াগ্রার ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো, ভায়াগ্রা একটি ট্রেড নেম বা নির্দিষ্ট একটি ওষুধের রাসায়নিক নামকরণ। এর মূল উপাদান সিলডেনাফিল সাইট্রেট। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ব্যবহার করা হলেও তাতে আশাপ্রদ ফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু গবেষণা চলাকালীন দেখা যায়, পুরুষ রোগীদের লিঙ্গ উত্থানের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু যৌনসুখ বাড়াতে ভায়াগ্রা ব্যবহার করা হলেও এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
মূলত অনিচ্ছুক মসৃণ কোষের শিথিলতার সময়সীমা বৃদ্ধি করে এবং পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচলের হার বাড়ানোই ভায়াগ্রার কাজ। তবে শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গই নয়, গোটা শ্রোণী এলাকাতেই রক্ত সরবরাহ বাড়ায় ভায়াগ্রা। এর ফলে পুরুষ্যত্বহীন রোগী যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তাদের পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয়। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক মহিলাও ভায়াগ্রা সেবন করেন। এতে তাদের কাইটরিসে রক্ত সঞ্চালন ঘটে এবং তারা বিপুল উত্তেজনা অনুভব করেন। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শতকরা ৮৮ ভাগ ক্ষেত্রে যৌনতায় অক্ষম পুরুষ ভায়াগ্রা ব্যবহার করে ফল পেয়েছেন। শুধু লিঙ্গ উত্থানের সমস্যাই নয়, এই অবস্থা ধরে রাখতেও ভায়াগ্রার ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
ভায়াগ্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মতান্তর রয়েছে। তবে প্রচলিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মাথাব্যথা, মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ ধারণ করা এবং দৃষ্টি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বেশি মাত্রায় ভায়াগ্রা ব্যবহারে চোখের নানা সমস্যা দেখা দেওয়া বিরল নয়। শুধু তাই নয় অনেকে ভায়াগ্রা ব্যবহারের পর সাথে সাথে হার্ট এটাক করে মারাও গেছে।
রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৪
অণ্ডকোষের প্রদাহ বা অরকাইটিস - কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা
অরকাইটিসকে সাধারণ বাংলায় অণ্ডকোষের প্রদাহও বলা হয়ে থাকে। এটি হলো একটি বা দু’টি অণ্ডকোষের প্রদাহ, যা সচরাচর সংক্রমণের কারণে হয়। অনেকে এটাকে এপিডিডাইমো-অরকাইটিস অথবা টেস্টিস ইনফেকশন বলে থাকেন। এটা হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসজনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস। মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের। ১০ বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে। অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে। পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায়।
২-২০ শতাংশ পুরুষের অরকাইটিস হয় বিরল রোগ ব্রুসেলোসিসের কারণে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে। সাধারণত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়।
এবং এর যৌনবাহিত কারণ ছাড়া অন্য যেসব কারণে অরকাইটিস হতে পারে তা হলো :-
কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো
অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে। এটা সাধারণত এপিডিডাইমিসের প্রদাহের ফলস্বরূপ হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এটা একটি নল, যা ভাস ডিফারেন্স (শুক্রবাহী নালি) ও অণ্ডকোষকে সংযুক্ত করে।অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসজনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস। মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের। ১০ বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে। অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে। পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায়।
২-২০ শতাংশ পুরুষের অরকাইটিস হয় বিরল রোগ ব্রুসেলোসিসের কারণে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে। সাধারণত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়।
এবং এর যৌনবাহিত কারণ ছাড়া অন্য যেসব কারণে অরকাইটিস হতে পারে তা হলো :-
- মাম্পস রোগের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা
- বয়স ৪৫ বছরের বেশি
- বারবার মূত্রপথে সংক্রমণ
- মূত্রপথের জন্মগত সমস্যা
- জনন-মূত্রপথে অস্ত্রোপচার
- দীর্ঘদিন ফলিস ক্যাথেটারের ব্যবহার
- একাধিক যৌনসঙ্গিনী
- অস্বাভাবিক যৌন আচরণ
- যৌনসঙ্গিনীর আগে কোনো যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস
- গনরিয়া অথবা অন্য যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস
রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ
- অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া ও ভারী বোধ হওয়া
- অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
- আক্রান্ত পাশের কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া
- জ্বর হওয়া
- কুঁচকিতে ব্যথা করা
- লিঙ্গ পথে পুঁজ নির্গত হওয়া
- প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা
- যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা বীর্যপাতের সময় ব্যথা করা
- বীর্যে রক্ত যাওয়া
- পায়খানা করার সময় কিংবা কোঁত দেয়ার সময় অণ্ডকোষের ব্যথা বেড়ে যাওয়া
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
- প্রস্রাবের রুটিন ও কালচার পরীক্ষা
- ক্লামাইডিয়া ও গনোরিয়ার পরীক্ষা (ইউরেথ্রাল স্মেয়ার)
- রক্তের রুটিন পরীক্ষা
- ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড
- টেস্টিকুলার স্ক্যান (নিউক্লিয়ার মেডিসিন স্ক্যান)।
রোগের জটিলতা
অরকাইটিসের কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং একটি বা দু’টি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে। অরকাইটিসের কারণে আরো যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে সেসবের মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া। অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয়। যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।চিকিৎসা
অ্যালোপ্যাথরা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমনে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। গনরিয়া বা ক্লামাইডিয়ার ক্ষেত্রে যৌনসঙ্গিনীকেও চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ও সফল চিকিত্সা। তাই অণ্ডকোষের প্রদাহ নিবারণে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন। মনে রাখতে হবে, সময়মতো চিকিৎসা না করলে অণ্ডকোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়াজনিত অরকাইটিসের সঠিক চিকিৎসা করা হলে অণ্ডকোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।কেজেল ব্যায়াম/কেগেল ব্যায়াম পুরুষদের যৌন জীবনের উন্নয়ন ঘটায়
আপনি হয়তো ভাবছেন কেজেল ব্যায়াম/ কেগেল ব্যায়াম (Kegel exercises) শুধু মহিলাদের জন্য হয়। আসলে তা নয়। মহিলারা এই ব্যায়াম থেকে যতটা সুবিধা লাভ করতে পারেন, পুরুষরাও ঠিক ততটা সুবিধা নিতে পারবেন। কেগেল ব্যায়াম শ্রোণী মেঝের পেশী সুসংগঠিক করে মূত্রসংবহনতন্ত্র, বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথের কার্যপ্রণালী জোরদার করে এবং যৌনক্রিয়া ক্ষমতাকে উন্নিত করতে পারে। মহিলাদের মত পুরুষেরাও যখন তখন এই ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু সবারই উচিত ব্যায়ামটি করার আগে সঠিক মাংশপেশী সনাক্তকরণ এবং সঠিক পন্থা জেনে নেয়া।
পুরুষের হাইড্রোসিল বা একশিরা নির্মূলে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিন
হাইড্রোসিলকে আবার একশিরাও বলা হয়ে থাকে। এটি হলো পুরুষের অণ্ডকোষের চার পাশে ঘিরে থাকা একটি পানিপূর্ণ থলি, যার কারণে অণ্ডথলি ফুলে যায়। এই পানিটা প্রকৃতপক্ষে জমে থাকে অণ্ডকোষের দুই আবরণের মাঝখানে। জন্মের সময় প্রতি ১০ জন পুরুষশিশুর মধ্যে প্রায় একজনের হাইড্রোসিল থাকে, তবে বেশির ভাগ হাইড্রোসিল চিকিৎসা ছাড়াই প্রথম বছরের মধ্যে মিলিয়ে যায়। আর পুরুষদের সাধারণত ৪০ বছরের ওপরে অণ্ডথলিতে প্রদাহ বা আঘাতের কারণে হাইড্রোসিল হতে পারে।
ডায়াবেটিস জনিত যৌন অক্ষমতায় কি করবেন?
ডায়াবেটিস আমাদের সমাজে অতি পরিচিত এক শব্দ। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এমন পরিবার খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে কেউ না কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন নি। ডায়াবেটিস নারী এবং পুরুষের শরীরের অটোনমিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে পুরুষের কিংবা নারীর দৈহিক চলৎশক্তি নিষ্ক্রিয় হতে থাকে। তবে এটি ধীরে ধীরে সংগঠিত হয়।ডায়াবেটিসের ফলে ওজন হ্রাস পায়, পলিরিয়া, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি ইত্যাদি দেখা দিতে শুরু করে। তবে ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত অতি সচরাচর দৃষ্ট্য একটি সমস্যা হচ্ছে যৌন অক্ষমতা।
ডায়াবেটিস জনিত যৌন অক্ষমতায় প্রধানত পুরুষের লিঙ্গ যৌনমিলনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় দৃঢ় হতে পারেনা। যেসকল পুরুষের ডায়াবেটিস আছে তাদের যৌনঅক্ষমতার সম্ভাবনা – যে সকল পুরুষের ডায়াবেটিস নেই তাদের তুলনায় তিনগুন বেশি। গবেষনায় দেখা গেছে ৩৫ থেকে ৭৫ ভাগ ডায়াবেটিসের পুরুষ রোগী যেকোন মাত্রায় (কম/মাঝারী/প্রকট) যৌন সমস্যার সম্মুখিন হন।
যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তাহলে রক্তের অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার অবশ্যই নিয়ন্ত্রনে রাখতে হাবে, কারন বাড়তি সুগার যৌন উত্তেজনার সাথে সম্পর্কিত রক্তপ্রবাহী নালী এবং স্নায়ু অকেজো করে দেয়। নষ্ট হয়ে যাওয়া রক্তপ্রবাহী নালী নাইট্রিক অক্সাইড অবমুক্তিতে বাঁধা প্রদান করে। নাইট্রিক অক্সাইড এর অভাবে লিঙ্গোত্থান হয়না, কারন এটি রক্তনালীকে constricted করে এবং লিঙ্গে পর্যপ্ত রক্তপ্রবাহ হয়না। বলা বাহুল্য লিঙ্গে রক্তের প্রবাহ জোরদার হলেই পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় দাড়িয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপও যৌনঅক্ষমতার সম্ভাবনা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ সম্মিলিত ভাবে রক্তপ্রবাহী নালী ধ্বংস করায় ভুমিকা রাখার ফলশ্রুতিতে যৌন অক্ষমতার ঝুকি বাড়ায়, লিঙ্গে যথেষ্ট পরিমান রক্তপ্রবাহ অনুপস্থিত থাকা এর প্রধান কারন।
ডায়াবেটিস রোগীর কোলষ্টরলের মাত্রা বেশি হওয়া একটি সাধারন বিষয়। এলডিএল কোলষ্টরল (LDL cholesterol) রক্ত নালী dilate করাতে সারসরি প্রভাব ফেলে। উচ্চ মাত্রার কোলষ্টরল স্তর fatty deposits in artery walls এ ফলপ্রসু। fatty deposit এর এই গঠন লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত করে।
সত্যি কথা হলো এলোপ্যাথিতে ডায়াবেটিসের কোন চিকিৎসাই নাই। এ্যালপ্যাথি ডাক্তাররা যা করেন অথবা বলা যায় তারা যা পারেন, তা হলো ডায়াবেটিসের তীব্রতা বা উৎপাত কমিয়ে রাখা, নিয়ন্ত্রণে রাখা। ডায়াবেটিস নির্মুল করা বা পুরোপুরি ভালো করার ক্ষমতা এলোপ্যাথিক ঔষধের নাই। তবে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করার ক্ষমতা এলোপ্যাথিক ঔষধের আছে।
আপনি যদি ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করেন, তবে এমন হাজারো গবেষণা রিপোর্ট এর সন্ধান পাবেন, যাতে নিরপেক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, টিকা/ ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণেই মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। যখন থেকে মানুষকে পাইকারী হারে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, তখন থেকেই পাইকারী হারে ডায়াবেটিস হওয়া শুরু হয়েছে। আগে জন্মের পর থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হতো আর এখন শিশুরা মায়ের পেটে থাকতেই তাদের গর্ভধারীনী মাকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তর শিশুদেরকেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে মায়ের পেট থেকেই শিশুরা বিষাক্ত দেহ-মন নিয়ে দুনিয়ায় আগমণ করছে। তাই ইদানীং শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
আপনি যদি ডায়াবেটিসের কারণে যৌন অক্ষমতা সমস্যার ভুক্তভুগী হন তাহলে স্বাস্থ্যকর ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং আপনার চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস জনিত যৌন অক্ষমতা থেকে নিস্তার পেতে পারেন। ডায়াবেটিস জনিত যৌন অক্ষমতায় হোমিওপ্যাথি হলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন সুন্দর একটি চিকিত্সা। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা নিন। আশা করি সুফল পাবেন।
সানস্ক্রিন, টুথপেস্ট ও সাবান পুরুষের বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী !!
এ বিষয়টি জানা সকলেরই দরকার তাই জাতীয় দৈনিক থেকে হুবহু জনসাধারণের সচেতনতার জন্য তুলে ধরা হলো। সুস্থ এবং পরিপাটি জীবনযাপনের জন্য টুথপেস্ট থেকে শুরু করে সানস্ক্রিন ও সাবানের কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এসব প্রসাধনসামগ্রী আপনাকে শুধুই কি পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি রাখে? নাকি ভেতরে ভেতরে ক্ষতি করছে? ভাবছেন টুথপেস্টের মতো প্রয়োজনীয় প্রসাধনসামগ্রীতে আবার ক্ষতির কী আছে? এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। বিশেষ করে পুরুষদের এমনটা ভাবাই যাবে না। টুথপেস্ট, সানস্ক্রিন ও সাবানের মতো প্রসাধনসামগ্রীগুলো অজান্তেই কিন্তু পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্য অনেকটা দায়ী। গালগল্প নয়, অনেক ঘেঁটেঘুঁটে এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪
কাঠবাদামেরও রয়েছে পুরুষের শুক্রানু বাড়ানের দারুন ক্ষমতা
আধুনিকতার ছোয়ায় আজ প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে আসলেও কমে যাচ্ছে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা। কমে যাচ্ছে শু্ক্রানুর মানও।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪
পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে কৃত্রিম শুক্রাণু - কি বলছেন বৈজ্ঞানিকরা
সম্প্রতি ফ্যাসেব জার্নালে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করা প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিকরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন৷ তারা একটি বিশেষ প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন যা পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করতে অবদান রাখবে বলে তারা দাবি করছেন। বৈজ্ঞানিকরা ঐ প্রোটিনের সাহায্যে এমন শুক্রাণু তৈরি করার দাবি করেছেন যার সাহায্যে বন্ধ্যাত্ব দূর করা সম্ভব৷
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪
রাস্তা বা ফুটপাতের যৌনশক্তি বাড়ানোর ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন
যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য যারা সহবাসের পূর্বে বা শখের বসের ইয়াবা বা ইন্ডিয়ান ট্যাবলেট সেবন করেন, তাদের জন্য একটি বাস্তব পরামর্শ হলো সেক্স বাড়ানো জন্য কোনো প্রকার যৌনশক্তি >> বর্ধক ট্যাবলেট খাবেন না।। কারণ এটা একসময় আপনার যৌন জীবনে কঠিন বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এই ঔষধগুলি পুরুষকে ধ্বজভংগ রোগের দিকে ঠেলে দেয়, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে মৃত্যুর দিকে পর্যন্ত ঠেলে দেয়। যৌন শক্তি বাড়ানো জন্য কোন ঔষধ সেবনের প্রয়োজন নেই। এটা আমরা বার বার বলে আসছি। কারণ ছোট কাল থেকে বেড়ে উঠে আপনি যখন যৌবনে পদার্পণ করলেন তখন আপনার যৌন শক্তি কিন্তু স্বাভাবিকই ছিল। এত বছর পর্যন্ত কেন আপানর যৌন শক্তি বর্ধক ঔষধের প্রয়োজন পড়ে নি ? আজ কেন পড়ল ? কারণ রাস্তা ঘাটে কিছু অসাধু হারবাল এবং কবিরাজি ঔষধ ব্যবসায়ী আপনার দুর্বল মানুষিকতার সুযোগ নিয়ে আপনাকে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। আর আপনিও সেগুলো খেয়ে আগে আপনার যেটুকু ছিল তাও হারাতে বসেছেন।
দেখা যায় হস্থমৈথন বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক যৌন অনাচারের কারণে আপনার দেহে নানা যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে বসে আছেন। অসাধু হারবাল এবং কবিরাজি ঔষধ ব্যবসায়ীরা আপনার এই সুযোগটিই নিয়ে থাকে। অথচ আপনি জানেনও না যে, এই গুলির ক্ষমতা একেবারেই সাময়িক; কারণ এইগুলিতে নানা প্রকার ভেজাল মাদক দ্রব্য পর্যন্ত মেশানো থাকে। আপনার যৌন সমস্যা সারানোর কোনো ক্ষমতাই এই গুলির নেই। তাই আপনাকে তা সারা জীবন খেয়ে যেতে হবে। কিন্তু কিছুদিন খেয়ে যাবার পরই টের পাবেন আপনার যৌন জীবন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূল করার ক্ষেত্রে এপর্যন্ত ৯৮% সাফল্য দেখিয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞান। সমস্যার তীব্রতা ভেদে মাত্র কয়েক মাসের হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় আপনার রোগটি তার মূল থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাবে আর আপনি ফিরে পাবেন আগেরই মত নব-যৌবন। তবে তার জন্য অবশ্যই ভালো এবং অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের কাছ থেকে চিকিত্সা নিতে হবে। আপনার ক্ষেত্রে ঔষধ সিলেকশনে ভুল হয়ে থাকলে সারা জীবন হোমিও ঔষধ খেয়ে গেলেও কোনো কাজ হবে না। এ বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। কারণ আমরা এমন অনেক রোগী পেয়েছি যারা ২-৩ বছর হোমিও ঔষধ খেয়েও কোনো ফলাফল পান নাই। অবশেষে আমাদের চিকিত্সাধীনে এসে আমাদের শোভাকাংক্ষীতে পরিনত হয়েছেন।
যাই হোক এত গেল ট্রিটমেন্ট এর বিষয়। গবেষনায় দেখা গেছে পুরুষের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গাভীর খাঁটি দুধ ও ডিমের ভূমিকা অসাধারন।
যৌন শক্তি বাড়ানোর কোন মন্ত্র আছে বলে বিজ্ঞান বিশ্বাস করে না। যারা আপনাকে মন্ত্র পড়ে সহবাসের পরামর্শ দেয় তারা নিছক আপনার সাথে প্রতারনা করছে মাত্র। তাই যে কোন চিকৎসা বা পরামর্শের জন্য রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট কিনে খেতে থাকলে আপনার যৌন জীবনে একসময় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে তখন এমন অবস্থাও অনেকের সৃষ্টি হয় যে অন্যান্য ঔষধে পর্যন্ত কাজ করে না। তাই সময় থাকতেই আমাদের সকলের সাবধান হওয়া উচিত। ভালো থাকবেন সবাই।
পুরুষত্বহীনতা নিয়ে অজানা কিছু প্রশ্নোত্তর - বাঁচতে হলে জানতে হবে
পুরুষত্বহীনতা Erectile Dysfunction (Impotence) খুব সহজেই ভালো করা যায় হোমিও ট্রিটমেন্ট দিয়ে। তবে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। দেখা যায় যে, খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে। আবার খুব বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবনের ফলেও পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়। সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্নঃ এটি কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পুরুষত্বহীনতার কারণ শারীরিক এবং মানসিক?
উত্তরঃ নতুন গবেষণা মতে একজন পুরুষ যদি হস্তমৈথুনের সময় তার লিঙ্গকে উত্তেজিত করতে পারে তবে বোঝা যাবে সে পুরুষত্বহীন নয়। তবে দেখা যায় যে, যৌনসঙ্গিনীর সাথে যৌনমিলনের সময় পুরুষ লিঙ্গে উত্তেজনা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে সমস্যা মানসিক হোক বা শারীরিক হোক প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার জন্য প্রধান শারীরিক কারণটি কি?
উত্তরঃ দুটি সমস্যা যৌথভাবে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা দুটি হলো ভাসকুলার সমস্যা এবং স্নায়বিক সমস্যা। এর সাথে হরমোনের সমস্যা যুক্ত হয়ে ব্যাপারটিকে আরো তীব্র করে তোলে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো পুরুষের লিঙ্গেও রক্তনালী রয়েছে। এগুলোকে লিঙ্গের আর্টারি বলে। এই রক্তনালীগুলো যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে। যাতে করে লিঙ্গ দৃঢ় হয়। কিন্তু ভাসকুলার কারণে এই রক্তের চাপ যদি তীব্র না হয় তবে লিঙ্গ সঠিকভাবে দৃঢ় হয় না। যাতে করে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়। কারণ যেটাই থাকুক খুব সহজেই হোমিও চিকিৎসায় তা ঠিক হয়ে যায়। তবে ঔষধ কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েক মাস খেয়ে যেতে হয়।
প্রশ্নঃ পুরুষের এক্ষেত্রে কী করার থাকে?
উত্তরঃ শারীরিক পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন প্রকার এলোপ্যাথিক চিকিৎসার মধ্যে লিঙ্গের ইমপ্ল্যান্ট, লিঙ্গের ইনজেকশন, ভ্যাকুয়াম ডিভাইস, হরমোন থেরাপি এবং সার্জারির সাহায্য নেয়া হয় যা জটিলতাপূর্ণ। আর সব চেয়ে ভালো হল অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া। কারণ এটাই বর্তমান বিশ্বে এক নম্বর স্থান দখল করে আছে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের উত্থান কী পর্যায়ে হলে তা স্বাভাবিক?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গ অনুত্তেজিত অবস্থায় ছোট এবং নরম থাকে। যৌনমিলনের আগে যৌন ক্রীড়ার সময় এটি উত্তেজিত এবং শক্ত হতে থাকে। লিঙ্গ যখন দৃঢ় হয় তখন এর পেশিতে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়। চূড়ান্তভাবে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে পুরুষ যৌনমিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এই সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং লিঙ্গ অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত হয়। এটি হচ্ছে লিঙ্গ উত্থানের স্বাভাবিক পর্যায়।
প্রশ্নঃ ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু অস্বস্তিকর?
উত্তরঃ পুরুষের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি একটি খালি বায়ুশূন্য ডিভাইস। ডিভাইসের ভেতরে লিঙ্গ ঢুকিয়ে চাপ দিতে হয়। এতে করে লিঙ্গের রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইস ব্যবহার বহু পুরুষের জন্য অস্বস্তিকর। আবার এটি দামের দিক থেকেও তুলনামূলকভাবে বেশি।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতারোধে লিঙ্গের ইনজেকশনগুলো কী কী?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গের রক্তনালীগুলোকে সচল করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান তিন ধরনের ইনজেকশন আবিষকার করতে পেরেছে। এই তিন প্রকার ইনজেকশনগুলো পাপাভেরিন, ফেনট্রালামিন এবং প্রোস্টেগল্যান্ডিন-ই। তবে এদের অসুবিধেও রয়েছে।
প্রশ্নঃ ইনজেকশনের অসুবিধাগুলো কি?
উত্তরঃ দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণভাবে পুরুষদের এ সমস্যায় ডাক্তাররা পূর্ব থেকে অবহিত হন না। যে কারণে ৭০-৮০% রোগী ইনজেকশন গ্রহণজনিত নানাবিধ শারীরিক উপসর্গে ভুগে থাকে। তাই এই দিকে পা বাড়াবেন না।
প্রশ্নঃ হরমোন থেরাপি কেমন?
উত্তরঃ পুরুষত্বহীনতা সমস্যায় হরমোন থেরাপি কিছু ক্ষত্রে কাজে আসে। হরমোন থেরাপির টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এতে করে শরীরে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি হলো পুরুষের যৌন হরমোন। এই হরমোনগুলোর প্রভাবে পুরুষের যৌনতা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। যদি কোনো কারণে হরমোন থেরাপি চলতে চলতে ব হয়ে যায় তবে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো হরমোন থেরাপি চালানো উচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির প্রভাবে পুরুষের যৌনকাতরতা বেড়ে যায়। সে ব্যাপারে ডাক্তারকে সতর্ক হতে হবে।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার কার্যকর চিকিৎসা কি?
সবচেয়ে কার্যকর, ফলদায়ক এবং সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত হলো হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা। পুরুষত্বহীনতা যে কারণেই হোক না কেন এটাকে মূল থেকে নির্মূল করতে হোমিওপ্যাথির বিকল্প আর কিছুই নেই। এটা আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেবল মাত্র হোমিও ঔষধই রোগীর মানুষিক এবং শারীরিক যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষণ করে প্রয়োগ করা যায় যা অন্য কোনো চিকিৎসাতে সম্ভব হয় না। মনোদৈহিক বিষয়ে এক চমত্কার সেতু বন্ধন স্থাপন করে থাকে হোমিওপ্যাথি যা রোগীর শরীর এবং মন দুইটাতেই যথার্থ পরিবর্তন সাধন করে।
প্রশ্নঃ এটি কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পুরুষত্বহীনতার কারণ শারীরিক এবং মানসিক?
উত্তরঃ নতুন গবেষণা মতে একজন পুরুষ যদি হস্তমৈথুনের সময় তার লিঙ্গকে উত্তেজিত করতে পারে তবে বোঝা যাবে সে পুরুষত্বহীন নয়। তবে দেখা যায় যে, যৌনসঙ্গিনীর সাথে যৌনমিলনের সময় পুরুষ লিঙ্গে উত্তেজনা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে সমস্যা মানসিক হোক বা শারীরিক হোক প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার জন্য প্রধান শারীরিক কারণটি কি?
উত্তরঃ দুটি সমস্যা যৌথভাবে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা দুটি হলো ভাসকুলার সমস্যা এবং স্নায়বিক সমস্যা। এর সাথে হরমোনের সমস্যা যুক্ত হয়ে ব্যাপারটিকে আরো তীব্র করে তোলে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো পুরুষের লিঙ্গেও রক্তনালী রয়েছে। এগুলোকে লিঙ্গের আর্টারি বলে। এই রক্তনালীগুলো যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করে। যাতে করে লিঙ্গ দৃঢ় হয়। কিন্তু ভাসকুলার কারণে এই রক্তের চাপ যদি তীব্র না হয় তবে লিঙ্গ সঠিকভাবে দৃঢ় হয় না। যাতে করে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়। কারণ যেটাই থাকুক খুব সহজেই হোমিও চিকিৎসায় তা ঠিক হয়ে যায়। তবে ঔষধ কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েক মাস খেয়ে যেতে হয়।
প্রশ্নঃ পুরুষের এক্ষেত্রে কী করার থাকে?
উত্তরঃ শারীরিক পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন প্রকার এলোপ্যাথিক চিকিৎসার মধ্যে লিঙ্গের ইমপ্ল্যান্ট, লিঙ্গের ইনজেকশন, ভ্যাকুয়াম ডিভাইস, হরমোন থেরাপি এবং সার্জারির সাহায্য নেয়া হয় যা জটিলতাপূর্ণ। আর সব চেয়ে ভালো হল অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া। কারণ এটাই বর্তমান বিশ্বে এক নম্বর স্থান দখল করে আছে।
প্রশ্নঃ লিঙ্গের উত্থান কী পর্যায়ে হলে তা স্বাভাবিক?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গ অনুত্তেজিত অবস্থায় ছোট এবং নরম থাকে। যৌনমিলনের আগে যৌন ক্রীড়ার সময় এটি উত্তেজিত এবং শক্ত হতে থাকে। লিঙ্গ যখন দৃঢ় হয় তখন এর পেশিতে এবং রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়। চূড়ান্তভাবে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে পুরুষ যৌনমিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এই সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ে এবং লিঙ্গ অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত হয়। এটি হচ্ছে লিঙ্গ উত্থানের স্বাভাবিক পর্যায়।
প্রশ্নঃ ডিভাইস ব্যবহার কতটুকু অস্বস্তিকর?
উত্তরঃ পুরুষের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি একটি খালি বায়ুশূন্য ডিভাইস। ডিভাইসের ভেতরে লিঙ্গ ঢুকিয়ে চাপ দিতে হয়। এতে করে লিঙ্গের রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইস ব্যবহার বহু পুরুষের জন্য অস্বস্তিকর। আবার এটি দামের দিক থেকেও তুলনামূলকভাবে বেশি।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতারোধে লিঙ্গের ইনজেকশনগুলো কী কী?
উত্তরঃ পুরুষের লিঙ্গের রক্তনালীগুলোকে সচল করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান তিন ধরনের ইনজেকশন আবিষকার করতে পেরেছে। এই তিন প্রকার ইনজেকশনগুলো পাপাভেরিন, ফেনট্রালামিন এবং প্রোস্টেগল্যান্ডিন-ই। তবে এদের অসুবিধেও রয়েছে।
প্রশ্নঃ ইনজেকশনের অসুবিধাগুলো কি?
উত্তরঃ দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণভাবে পুরুষদের এ সমস্যায় ডাক্তাররা পূর্ব থেকে অবহিত হন না। যে কারণে ৭০-৮০% রোগী ইনজেকশন গ্রহণজনিত নানাবিধ শারীরিক উপসর্গে ভুগে থাকে। তাই এই দিকে পা বাড়াবেন না।
প্রশ্নঃ হরমোন থেরাপি কেমন?
উত্তরঃ পুরুষত্বহীনতা সমস্যায় হরমোন থেরাপি কিছু ক্ষত্রে কাজে আসে। হরমোন থেরাপির টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এতে করে শরীরে প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি হলো পুরুষের যৌন হরমোন। এই হরমোনগুলোর প্রভাবে পুরুষের যৌনতা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। যদি কোনো কারণে হরমোন থেরাপি চলতে চলতে ব হয়ে যায় তবে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য ডাক্তারের পরামর্শ মতো হরমোন থেরাপি চালানো উচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির প্রভাবে পুরুষের যৌনকাতরতা বেড়ে যায়। সে ব্যাপারে ডাক্তারকে সতর্ক হতে হবে।
প্রশ্নঃ পুরুষত্বহীনতার কার্যকর চিকিৎসা কি?
সবচেয়ে কার্যকর, ফলদায়ক এবং সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত হলো হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা। পুরুষত্বহীনতা যে কারণেই হোক না কেন এটাকে মূল থেকে নির্মূল করতে হোমিওপ্যাথির বিকল্প আর কিছুই নেই। এটা আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেবল মাত্র হোমিও ঔষধই রোগীর মানুষিক এবং শারীরিক যাবতীয় বিষয় নিরীক্ষণ করে প্রয়োগ করা যায় যা অন্য কোনো চিকিৎসাতে সম্ভব হয় না। মনোদৈহিক বিষয়ে এক চমত্কার সেতু বন্ধন স্থাপন করে থাকে হোমিওপ্যাথি যা রোগীর শরীর এবং মন দুইটাতেই যথার্থ পরিবর্তন সাধন করে।
নারী পুরুষের যৌন রোগের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ
যৌন রোগ আক্রন্ত পুরুষ অথবা নারী যৌন মিলনের সময় তার যৌন সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলিকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়। অনেক স্থানে বহু সংখ্যক যুবক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষ যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও এ বিষয়টা সহজে কারো কাছে বলতে চান না এমনকি চিকিত্সকের কাছে পর্যন্ত অনেক বিষয় গোপন করেন। এটা করা আদৌ উচিত নয়।
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪
যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা-লক্ষণ, কারণ ও কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা
পুরুষত্বহীনতা অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে আমাদের দেশে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং তার সাথে বাড়ছে ডিভোর্সেরও পরিমান।
যৌবন কি রেলিফের মাল যে চাইলেই পাওয়া যায় !!
স্বাস্থ্যময় সুস্থ এবং আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করতে কে না চায়। কিন্তু যৌবন কি রেলিফের মাল যে চাইলেই হাতে পেয়ে যাবেন। না, অবশ্যই না। তা পেতে হলে বা ধরে রাখতে হলে আপনার দৈনিক রুটিনে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। শুধু তাই নয় সেগুলো নিয়মিত মেনেও চলতে হবে আপনাকে। তাহলেই আপনি আনন্দময় সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করতে পারবেন আশা করা যায়, যদি এর মধ্যে অন্য কোনো রোগ-ব্যাধি আপনার শরীরে বাসা না বাধে।
প্রাকৃতিক উপায়ে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা এবং বীর্য ঘনত্ব বাড়ানোর কার্যকর পদ্ধতি
প্রাকৃতিক উপায়ে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা এবং বীর্য ঘনত্ব বাড়ানোর কার্যকর পদ্ধতি - যদি কোন পুরুষ মনে করেন যে তার বীর্যে শুক্রানু প্রয়োজনীয় পরিমানে সর্বোচ্চ নয়, তাহলে তিনি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি একবছরের বেশি সময় ধরে এ চেষ্টা না করে থাকেন তাহলে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মত কোন কিছু নেই। আর যদি আপনি এক বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে সন্তান নেবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন, তাহলেই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে আসছেন।
কিছু মানুষ মনে করে খৎনা না করা লিঙ্গ পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতাকে ক্ষতিসাধন করতে পারে। খৎনা এবং শুক্রানুর সংখ্যার সাথে কোন পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। খৎনা হলো শুধুমাত্র লিঙ্গের অগ্রভাগ থেকে কিছুটা চামড়া কেটে ফেলা মাত্র। খৎনা নিয়ে জাতি এবং ধর্মবেধে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু লিঙ্গের অগ্রভাগে চামড়া থাকা এবং না থাকার সাথে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যায় কোন পার্থক্য হয়না।
অন্য একটি ভুল ধারনা হলো, যৌন পুরুষোচিত তেজ এর ভিত্তিতে একজন পুরুষ বলতে পারে তার বীর্য কতটা উর্বর। উন্নত যৌনক্ষমতা থাকা হয়তো আনন্দের, কিন্তু তা পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা এবং বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা পরিমানের সাথে কোন প্রকার সম্পর্কযুক্ত নয়। শুক্রানুর সংখ্যার সাথে অনেকগুলো কারন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু ভাল যৌনমিলন ক্ষমতা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:- পর্যপ্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উর্বরতা (fertility) উন্নয়ন করা যায়। শাকসব্জি এবং ফলমুল খাদ্য তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে যা উর্বরতায় (fertility) ভুমিকা রাখে। গবেষনায় দেখা গেছে শাকাসব্জি ও ফলমুলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট উর্বরতা (fertility) এর জন্য অনেক বেশি উপকারী। পাশাপাশি সঠিক শাররীক ওজনও একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। অতিরিক্ত মেদযুক্ত পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা এবং শুক্রানুর গুনগত মান উভয়ই খারাপ হয়ে থাকে।
ধুমপান হতে বিরত থাকুন:- এখনাকার সময় সবাই যানে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান শুধুমাত্র মোটের উপর স্বস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ন নয়, এটি আপনার সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারে। এক স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ ধুমপান করেন তাদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমান যারা ধুমপান করেননা তাদের তুলনায় ১৭% কম।
মদ কিংবা অন্য মাদক পরিহার করুন:- অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা মাদকের ব্যবহার উর্বরতা নষ্ট করতে পারে। যেসকল পুরুষ দিনে ৪ গ্লাসের বেশি মদ্যপান করে থাকেন তাদের শুধুমাত্র সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নয় – মোটের উপর যৌনক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। পাশাপাশি অধিক মাদক গ্রহন পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যহত করে যা স্থায়ী যৌন অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।
নিয়মিত যৌনমিলন করুন:- আপনি হয়তো মনে করছেন যৌনমিলন করা সন্তান প্রত্যশি যুগলের জন্য ভাল জিনিস, কিন্তু অনেক যগলের ভুল ধারনা আছে যে মাত্রতিরিক্ত শাররীক মিলন করলে বীর্যে শুক্রানুর পরিমান কমে যায়। তথ্যটি একসময় সত্য ছিল – কিন্তু বর্তমানে সুঠাম স্বাস্থ্যবান (মোটা নয়) পুরুষের ক্ষেত্রে এটি ভুল ধারনা বলে প্রমানিত হয়েছে। একসময় ডাক্তার এমন পরামর্শ দিতেন যে, যেসকল পুরুষের শুক্রানু সংখ্যা কম তারা কিছুদিন শাররীক মিলনে বিরতি দিয়ে শুক্রানু জমা করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যদিও অনিয়মিত যৌনমিলন হয়তো সংখ্যায় কোনক্রমে উন্নত হয়, একই সাথে শুক্রানুর গুনগত মানে এর নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। যখন একজন পুরুষ নিয়মিত যৌনমিলন করে তখন প্রতিবার বীর্যস্থলনের সময় সে তার ক্রুটিপুর্ন শুক্রানুর একটা অংশ নিষ্কৃত করে।
এভাবে ত্রুটিপূর্ণ শুক্রানু নির্গত করে সে স্বাস্থ্যবান শুক্রানু উৎপাদনের জন্য যায়গা খালি করে। সকালবেলা যৌনমিলন করলেও লাভবান হবার সম্ভাবনা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে সকালবেলা প্রাকৃতিক ভাবেই বীর্যে শুক্রানু সংখ্যা সর্বোচ্চ পরিমানে থাকে। তবে যদি রোগ বা অন্য কারণে এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলতে ভুলবেন না।
বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা নিয়ে পুরুষের কিছু ভুল ধারনা
শুক্রানু সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় বলার আগে চলুন এ বিষয়ে কিছু ভুল ধারনা সম্পর্কে যানা যাক। কিছু মানুষ মনে করেন তার বীর্যের পরিমান এবং রঙের দিকে তাকিয়ে নিঃস্বরিত বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব! বীর্যের পরিমান দিয়ে কোন পুরুষের বন্ধত্ব কিংবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নির্ধারন করা যায়না। বীর্যের বেশিরভাগ অংশ বীর্য-তরল, তাই খালি চোখে আমরা যা দেখি তা দিয়ে দৃশ্যমান বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিরূপন করা করা অসম্ভব। বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা জানতে তা মাইক্রোস্কপে পরীক্ষা করা অবশ্যক।কিছু মানুষ মনে করে খৎনা না করা লিঙ্গ পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতাকে ক্ষতিসাধন করতে পারে। খৎনা এবং শুক্রানুর সংখ্যার সাথে কোন পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। খৎনা হলো শুধুমাত্র লিঙ্গের অগ্রভাগ থেকে কিছুটা চামড়া কেটে ফেলা মাত্র। খৎনা নিয়ে জাতি এবং ধর্মবেধে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু লিঙ্গের অগ্রভাগে চামড়া থাকা এবং না থাকার সাথে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যায় কোন পার্থক্য হয়না।
অন্য একটি ভুল ধারনা হলো, যৌন পুরুষোচিত তেজ এর ভিত্তিতে একজন পুরুষ বলতে পারে তার বীর্য কতটা উর্বর। উন্নত যৌনক্ষমতা থাকা হয়তো আনন্দের, কিন্তু তা পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা এবং বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা পরিমানের সাথে কোন প্রকার সম্পর্কযুক্ত নয়। শুক্রানুর সংখ্যার সাথে অনেকগুলো কারন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু ভাল যৌনমিলন ক্ষমতা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।
বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়
অল্প কিছু বিষয় পুরুষের বীর্যে শুক্রানু সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে। নিন্মে তার কিছু বর্ননা করা হলোস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:- পর্যপ্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উর্বরতা (fertility) উন্নয়ন করা যায়। শাকসব্জি এবং ফলমুল খাদ্য তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে যা উর্বরতায় (fertility) ভুমিকা রাখে। গবেষনায় দেখা গেছে শাকাসব্জি ও ফলমুলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট উর্বরতা (fertility) এর জন্য অনেক বেশি উপকারী। পাশাপাশি সঠিক শাররীক ওজনও একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। অতিরিক্ত মেদযুক্ত পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা এবং শুক্রানুর গুনগত মান উভয়ই খারাপ হয়ে থাকে।
ধুমপান হতে বিরত থাকুন:- এখনাকার সময় সবাই যানে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান শুধুমাত্র মোটের উপর স্বস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ন নয়, এটি আপনার সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারে। এক স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ ধুমপান করেন তাদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমান যারা ধুমপান করেননা তাদের তুলনায় ১৭% কম।
মদ কিংবা অন্য মাদক পরিহার করুন:- অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা মাদকের ব্যবহার উর্বরতা নষ্ট করতে পারে। যেসকল পুরুষ দিনে ৪ গ্লাসের বেশি মদ্যপান করে থাকেন তাদের শুধুমাত্র সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নয় – মোটের উপর যৌনক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। পাশাপাশি অধিক মাদক গ্রহন পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যহত করে যা স্থায়ী যৌন অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।
নিয়মিত যৌনমিলন করুন:- আপনি হয়তো মনে করছেন যৌনমিলন করা সন্তান প্রত্যশি যুগলের জন্য ভাল জিনিস, কিন্তু অনেক যগলের ভুল ধারনা আছে যে মাত্রতিরিক্ত শাররীক মিলন করলে বীর্যে শুক্রানুর পরিমান কমে যায়। তথ্যটি একসময় সত্য ছিল – কিন্তু বর্তমানে সুঠাম স্বাস্থ্যবান (মোটা নয়) পুরুষের ক্ষেত্রে এটি ভুল ধারনা বলে প্রমানিত হয়েছে। একসময় ডাক্তার এমন পরামর্শ দিতেন যে, যেসকল পুরুষের শুক্রানু সংখ্যা কম তারা কিছুদিন শাররীক মিলনে বিরতি দিয়ে শুক্রানু জমা করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যদিও অনিয়মিত যৌনমিলন হয়তো সংখ্যায় কোনক্রমে উন্নত হয়, একই সাথে শুক্রানুর গুনগত মানে এর নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। যখন একজন পুরুষ নিয়মিত যৌনমিলন করে তখন প্রতিবার বীর্যস্থলনের সময় সে তার ক্রুটিপুর্ন শুক্রানুর একটা অংশ নিষ্কৃত করে।
এভাবে ত্রুটিপূর্ণ শুক্রানু নির্গত করে সে স্বাস্থ্যবান শুক্রানু উৎপাদনের জন্য যায়গা খালি করে। সকালবেলা যৌনমিলন করলেও লাভবান হবার সম্ভাবনা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে সকালবেলা প্রাকৃতিক ভাবেই বীর্যে শুক্রানু সংখ্যা সর্বোচ্চ পরিমানে থাকে। তবে যদি রোগ বা অন্য কারণে এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলতে ভুলবেন না।
যৌন আসক্তি এবং এর হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা
যৌন আসক্তি হল একপ্রকার অনিয়ন্ত্রিত যৌন কর্মকান্ড যা না করে থাকাটা বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়। একজন যৌন আসক্ত ব্যক্তি প্রায়শঃ যৌনকর্মে লিপ্ত হবার জন্য জোর প্রয়োগ করে থাকে। যৌন আক্রোশের ফলশ্রুতিতে আসক্ত ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে এমনকি সামাজিক জীবনেও সমস্যার সৃষ্টি করেন। এরা অনেক সময় যৌনতাকে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কাজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সাম্প্রতিক আর্টিকেল
বিভাগ নির্বাচন করুন
জনপ্রিয় আর্টিকেল
-
একজন ইমেইল করেছেন - আমার বয়স ১৮। আমি তিনবছর যাবৎ হস্তমৈথুন করে আসছি।এখন আমার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় হস্তমৈথুনে। এখন যদি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিই ...
-
আপনি জানেন কি ? পুরুষের শুক্রাণুকে গতি দিতে গাজরেরও রয়েছে অসাধারণ ভুমিকা। গতিময় জীবনে আপনার শুক্রাণুই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুক্রাণুকে কি উ...
-
যশোরে হারবাল আর নানা প্রকার কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে অনিয়ম ও প্রতারনা। সরকারি নিয়মনীতি লংঘন করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হারবাল প্রতিষ্ঠান।...
-
অনেকেই বলে থাকেন যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ট্যাবলেট খেলে কোন সমস্যা হবে কি না। জেনে রাখা ভালো যেটি তাৎক্ষণিক ফল দিচ্ছে অবশ্যই এর বিপদজনক ক্ষতিকর...
-
সারা দেশে যে হারবাল চিকিৎসার নামে রমরমা ব্যবসা চালানো হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোন ভিত্তি। চিকিৎসক হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন ত...
-
প্রাকৃতিক উপায়ে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা এবং বীর্য ঘনত্ব বাড়ানোর কার্যকর পদ্ধতি - যদি কোন পুরুষ মনে করেন যে তার বীর্যে শুক্রানু প্রয়োজনীয়...
-
আপনি কোমল পানীয় বা অ্যালকোহলের ফ্যান? খুব ভালোবাসেন কোক-পেপসি কিংবা নানান রকম এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতে? তাহলে জেনে রাখুন, এইসব অতিরিক্ত মি...
-
আমাদের শরীরে সর্বদায় স্বাভাবিক নিয়মে নতুন নতুন কোষ সৃষ্টি হয় প্রয়োজন মোতাবেক স্তন ও এর বাহিরে নয়। যদি কোন কারনে অপ্রোজনীয় ভাবে ব্রেস্টে নত...
-
বন্ধ্যাত্ব কি? কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া স্বামী এবং স্ত্রী যদি এক থেকে দেড় বছর সন্তান লাভের আশায় এক সঙ্গে কম বাস করার ...
-
অনেকই নিজের দৈহিক উচ্চতা বাড়ানো নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু করে দেন। জানেন কি বাস্তবে অন্যদের তুলনায় কম উচ্চতার পুরুষরা যৌনতায় বেশি পারদর্শী বলে ...