পলাশবাড়ীতে হারবাল চিকিৎসার নামে তাদের এ বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। হারবালের দেওয়া এসব ভেজাল ওষুধে রোগমুক্তির বদলে উল্টো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। জানা যায়, বিভিন্ন জটিল রোগের নাম করে ইউনানি, হারবাল, কবিরাজি, তদবির, দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা পলাশবাড়ীতে চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা। এসব কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে রোগ নিরাময় দূরের কথা উল্টো রোগীরা নানারকম শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। যেখানে-সেখানে খোলা হয়েছে কথিত চিকিৎসা কেন্দ্র।
প্রথম পাতা
সকল আর্টিকেল
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৩
ধুমছে চলছে ইউনানি, হারবাল কবিরাজি-দাওয়াখানার প্রতারণা
বিভিন্ন জটিল রোগের নাম করে ইউনানি, হারবাল, কবিরাজি, তদবির, দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা স্টাইলে চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা। এসব কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে রোগ নিরাময় দূরের কথা উল্টো রোগীরা নানারকম শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই এসব প্রতারকের একচ্ছত্র বাণিজ্যিক দাপট। যেখানে-সেখানে খোলা হয়েছে কথিত চিকিৎসা কেন্দ্র। এগুলোর নেই কোনো স্বীকৃতি, নেই কোনো লাইসেন্স। অথচ এসব কেন্দ্রেই যৌনরোগ, পাইলস, অ্যাজমা, গ্যাস্টিক ও ক্যান্সারসহ জটিল, কঠিন বহুবিধ রোগ নিরাময়ের শতভাগ গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে অহরহ।
ইউনানী-হারবাল ও কবিরাজি দাওয়াখানা পুরোটাই প্রতারণা, হতাশাগ্রস্ত ও সহজ সরল মানুষ প্রতারিত
কক্সবাজার সহ জেলা প্রত্যন্তজনপদে ইউনানী, হারবাল ও কবিরাজি দাওয়াখানায় কথিত চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা । এসব দাওয়াখানায় চিকিৎসা নিয়ে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো হাজার মানুষ শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। পুরো জেলায় এধরনের হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে কয়েক‘শ ব্যক্তি ও অর্ধশত প্রতিষ্ঠান। অনেকে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসা কাজ চালাচ্ছেন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা চিকিৎসালয়ের সংখ্যা কত? ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া কতগুলো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ?
যশোরে কবিরাজি - হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারনার ফাঁদ
যশোরে হারবাল আর নানা প্রকার কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে অনিয়ম ও প্রতারনা। সরকারি নিয়মনীতি লংঘন করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হারবাল প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অশ্লীল ভাষায় পত্রপত্রিকা, ডিশ চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও যেখানে সেখানে লিফলেট ছড়িয়ে ব্যবসা জোরদার করছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে পরিবার ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা সমস্যায় কি ঔষধের প্রয়োজন আছে? সাধারণ যৌন দুর্বলতার ঘরোয়া সমাধান
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা সমস্যায় কি ঔষধের প্রয়োজন আছে? প্রায় ৭-৮ মাস আগে চট্টগ্রাম থেকে এক পেসেন্ট আমার ইংরেজি মাধ্যমের ব্লগ থেকে ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে আমাকে তার সমস্যার কথা জানায়। তারপর তাকে আমি আমার ফোন নম্বর দিলে তিনি ফোন করেন। বয়স ৪৩ বছর। ২টা ব্যবসা সামলাতে হয় ভদ্রলোককে। ৩ জন ছেলে মেয়ের বাবা। সব দিক মিলে বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই বেচারার।
আপনিই বলুন এই যে আমাদের শরীরের শক্তির ক্ষয় হচ্ছে প্রতিদিন তার পরিপুর্ণতার জন্য আমরা সেই পরিমান পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করছি কি? স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীর অবসন্ন হয়ে আসার কথা। যৌন শক্তি তো আপনার শরীরেরই একটা অংশ। সেটাতে তো বিঘ্ন ঘটা নিতান্ত স্বাভাবিক। তার জন্য আমাদের কি করা উচিত ?
যাই হোক তারপর আমি ভদ্রলোককে কিছু পরামর্শ দিলাম। যা সবার জন্যে কাজে আসবে। নিচে আমি সেগুলো উপস্থাপন করলাম। সাধারণ যৌন দুর্বলতায় কি করবেন -
আপনিই বলুন এই যে আমাদের শরীরের শক্তির ক্ষয় হচ্ছে প্রতিদিন তার পরিপুর্ণতার জন্য আমরা সেই পরিমান পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করছি কি? স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীর অবসন্ন হয়ে আসার কথা। যৌন শক্তি তো আপনার শরীরেরই একটা অংশ। সেটাতে তো বিঘ্ন ঘটা নিতান্ত স্বাভাবিক। তার জন্য আমাদের কি করা উচিত ?
যাই হোক তারপর আমি ভদ্রলোককে কিছু পরামর্শ দিলাম। যা সবার জন্যে কাজে আসবে। নিচে আমি সেগুলো উপস্থাপন করলাম। সাধারণ যৌন দুর্বলতায় কি করবেন -
- সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন সকালে এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
- সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম খান।
- নিয়মিত দুধ (বিশেষ করে ছাগলের দুধ) খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
- রাতে অবশ্যই ৬-৭ ঘন্টা ঘুমান।
জেনে নিন -
আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন পেটে যেন গ্যাস না হয়। পেট যাতে পরিস্কার থাকে অর্থাৎ আপনার নিয়মিত পায়খানায় যেন কোন সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখবেন। তারজন্য প্রতিদিন সকাল বেলায় এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ইসব গুলের ভুসি মিশিয়ে পান করুন, এটি সমগ্র পৃথিবীতে সুপরিচিত। যেকোন পরামর্শের জন্য ২৪ ঘন্টাই আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।
দুর্দান্ত হস্তমৈথুন অভ্যাস দূরীকরণে হোমিওপ্যাথি
হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। শুধু তাই না অভ্যাসটিই এক সময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। যারা নিদারুন হস্তমৈথুন অভ্যাসে আসক্ত হয়ে পড়েছেন এবং ত্যাগ করার জন্য অপ্প্রান চেষ্টা করা সত্তেও ছাড়তে পারছেন না তাদের জন্য আমার আজকের লেখা।
পেনিস বা পুরুষাঙ্গের গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা সমস্যা
এ পর্যন্ত যত ফোন কল পেয়েছি তার মধ্যে প্রায় হাজার খানেক হবে যেখানে পেশেন্টরা একটা অভিযোগই আমায় করেছেন যে তাদের পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এবং এটা নিয়া তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। তাই আজ ভেবেছি এই বিষয়টা নিয়া লিখব এবং প্রকৃত সত্যটা অবিবাহিত তরুণ সমাজের কাছে তুলে ধরব যেন তার ভবিষ্যতে এটা নিয়া বিভ্রান্ত না হয়। আপনার মনে এপর্যন্ত যত প্রকার বদ্ধমূল ধারণা তৈরী হয়েছে সবগুলিকেই মন থেকে মুছে ফেলুন এবং নিচের বিষয় গুলি মনোযোগ দিয়া স্মরণ রাখার চেষ্টা করুন।
পুরুষাঙ্গ বিষয়ক তথ্যাদি
- উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি।
- তবে আপনার পেনিস যদি লম্বার সর্বনিম্ন 4 (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না। অনেকে আবার এও বলে থাকেন স্ত্রীকে অরগাজম দিতে মাত্র ৩ ইঞ্চি লম্বা পেনিস হলেই যথেষ্ট।
- বড় পেনিস মানেই বেশি মজা, কথাটা ঠিক নয় । আপনার ডিউরেশন কত সেটাই আসল । স্বাভাবিক টাইম ৭-১০ মিনিট।
- পেনিস কখনই একেবারে সোজা হয়না । একটু বাকা থাকেই ।
- পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এটা কোন সমস্যা নয় । অপপ্রচারের ফলে সবারই এটা একটা ভুল ধারনা হয়ে গেছে ।
- কোন যাদুকরী তেল বা মালিশ পেনিস তেমন বড় করতে সক্ষম নয় । এগুলা ভুয়া । তবে সতেজ রাখার বা করার জন্য মালিশ বা ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারেন আমরা যেমন শরীরের ত্বক সতেজ রাখার জন্য সরিষার তেল বা অনান্য প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি।
- বেশি বড় পেনিস হলে মেয়েরা মজা পাওয়ার বদলে ব্যাথা পায় । এমনকি সেটা যৌন আতঙ্কেও রুপ নিতে পারে।
- ক্ষুদ্র পেনিস বলতে ২.৭৬ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পেনিস বুঝায় । সেক্ষেত্রে ডাক্তার দেখাতে হবে।
- গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা পেনিস যৌনমিলনে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনা ।
- পেনিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একমাত্র স্ত্রী ছাড়া আর কোথাও ব্যবহার করবেন না।
- স্ত্রী ছাড়াই পেনিস দাঁড়াইয়া যায় এমন কোনো কাজ যেমন: বেগানা নারীর দিকে তাকানো, অশ্লীল সাহিত্য পড়া, কম্পিউটার বা মোবাইলে খারাপ কিছু দেখা থেকে বিরত থাকুন।
- ৪০ দিনের মধ্য পুরুষাঙ্গের গোড়ার চুল কাটুন।
- আপনার যৌন স্বাস্থ্য এর দিকে নজর দিন। এটাও আপনার শরীরেরই অংশ।
- যৌন সমস্যার ব্যাপারে ভুল করেও কখনো অবহেলা করবেন না। যে কোনো যৌন সমস্যায় কোনো প্রকার সংকোচ না করে তাত্ক্ষণিক ভাবে আপনার হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন। কারণ অল্প দিনের হোমিও চিকিত্সাতেই আপনার সকল প্রকার যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূল হয়ে যাবে। তার জন্য ক্ষতিকর হার্বালের মত বার বার আপনাকে ঔষধ খেয়ে যেতে হবে না।
- সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন এবং সুখী আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন। ধন্যবাদ।
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩
নারীর মধ্য বয়সের সমস্যা - মেনোপজ
আপন গতিতে জীবন বয়ে চলে। জীবনের নিজস্ব ধারায় মানুষ শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে যৌবন এবং যৌবন থেকে মধ্যবয়স এবং মধ্যবয়স থেকে বাধর্ক্যের দিগন্ত রেখা ছুয়ে যেতে হয়। জীবনের এই প্রতিটি প্রান্তে এসে দেহে মনে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়।
তবে এ সব পরিবর্তন নারী এবং পুরুষের একই ধরণের হয় না। বিশেষ করে মধ্য বয়স অতিত্রুম করার পর একজন নারী বিশেষ কিছু শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে পড়েন। যাকে মেনোপজ, রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া বলে।
মধ্য বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার সময় নারী দেহে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এসব পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। এ সব পরিবর্তন সাধারণ ভাবে ৪৫এর পর নারীরা অনুভব করতে থাকেন। সাধারণত গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তা ৪০ বছরে আবার কারো ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সে তা ঘটতে পারে। ধুমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বিশেষ কোন রোগের কারণে জরায়ু কেটে ফেলা হলে নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে অপারেশনের সময় যদি ওভারি ফেলে দেয়া না হয় তবে মেনোপজের উপসর্গগুলো দেখা দেবে না। এ ছাড়া কোনো বিশেষ কারণে যদি কোনো নারীর জরায়ু এবং ওভারি দুটোই ফেলে দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে রোগিনীর বয়স যাই হোক না কেন, মেনোপজের উপসর্গ প্রকাশ পেতে থাকবে। আর এমনটি হওয়ার কারণ হলো নারী দেহে ইষ্ট্রোজেন ও প্রজেষ্টেরন হরমোন তৈরীর কাজটি করে ওভারিই।
কাজেই ওভারি যদি না থাকে এ হরমোনও তৈরি হবে না এবং পরিণামে মেনোপজ দেখা দেবে। মেনোপজের ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা: মাহেনাজ আফরোজ বলেন, বয়সের কারণে মেনোপজ হয় বলে এটাকে প্রতিহত করা কারো পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
তাই মধ্য বয়স অতিক্রম করার সময় পরবর্তী অনিবার্য পরিবর্তনের জন্য একজন নারীর দেহ ও মনকে প্রস্তুত রাখা উচিত। সাধারণভাবে শিক্ষিত নারীরা এ ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। আর মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও এই পরিবর্তনকে সহজে মেনে নেয়া যাবে। মেনোপজের আগে ভাগে নারীদের মনেও কিছু পরিবর্তন ঘটে। এর মধ্যে খানিকটা ভুলো মনো হয়ে পড়া এবং আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠাই হলো উল্লেখযোগ্য।
মেনোপজ প্রতিহত করার কথা অনেকেই বলে থাকেন। প্রথমেই এ ব্যাপারে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে বয়সজনিত এই বিষয়টা প্রতিহত করা একেবারেই সম্ভব না। এরপরও অনেকে নানা ধরণের ওষুধের দিকে ঝুকে থাকেন।
এ প্রসংগে ডা. মাহেনাজ আফরোজ জানালেন, এ পরিবর্তন আসবেই। এটাকে প্রতিহত বা এই পরিবর্তনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে পরিবর্তন যেনো দেরিতে আসে সে জিনিসটা করা যেতে পারে। কিন্তু এ পরিবর্তন বিলম্ব করার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় বা যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয় কোনো সু চিকিৎসকই তা সমর্থন করবেন না। তবে পরিবর্তন আসার আগে যদি কোনো উপসর্গের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় তবে সে ক্ষেত্রে রোগী ভেদে চিকিৎসা করা যেতে পারে। মেনোপজের আগে ভাগে যে সব লক্ষণ দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই একবার আভাস দেয়া হয়েছে।
এবার এ সব উপসর্গ নিয়ে বিস্তারিত বললেন ডা.মাহেনাজ আফরোজ। তিনি জানালেন, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা, হট ফ্ল্যাশ বা নাকে বা মুখে হঠাৎ গরম ভাপ লাগা মনে হওয়া, এমন সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে মেনোপজের প্রথম বা প্রধান লক্ষণও বলা যেতে পারে। এটি দিনে দুই-তিনবার বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে, বা এ কারণে একজন নারী ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ভাবে ঘেমে উঠতে পারেন। এ ছাড়া দেহের পরিবর্তনের এ সময়ে বিষন্নতা, অকারণে উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, রুক্ষ ও খিটখিটে মেজাজ, অমনোযোগিতা, মাথা ধরা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। খাবারে প্রচন্ড অরুচি, অনেক সময় বদহজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
মেনোপজের প্রথম বছর গুলোতে যে সব সংকট দেখা দিতে পারে তার একটি হলো হট ফ্লাশ বা গা গরম হয়ে ওঠা। শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ মুখ এবং গলায় প্রচন্ড গরম অনুভূত হতে পারে এবং ঘাম দেখা দিতে পারে । কখনো কখনো হাত গলা বুক ও পিঠে লাল দাগ দেখা দিতে পারে। প্রচন্ড গরমের পর পরই শীতে শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে পারে। এ সমস্যা কখনো কখনো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। হট ফ্লাশের এ অবস্থাকে নাইট সোয়েট বলা হয়।
সাধারণভাবে হট ফ্লাশ ৩০ সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মেনোপজের সময়ে খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন না করলেও নারীদের ওজন বাড়তে দেখা যায়৷ মেনোপজে হয়েছে বা মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এমন সকল মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়৷ আর এই ওজন বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব মহিলাই চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এমন কেন হয় তা আমাদের মধ্যে বেশীর ভাগ মহিলারই জানা নেই৷
আসলে মেনোপজের সময় থেকে নারীদের মধ্যে হঠাৎ মনোভাবের পরিবর্তন ঘটতে থাকে তার ফলে নিয়মিত ব্যায়াম চর্চার ইচ্ছা কমতে থাকে৷ আর ব্যায়ামে অনীহার কারণে মেনোপজের সময়ে মহিলাদের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠে। বেশীর ভাগ মহিলাই মেনোপজের সময়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে কারণ তাদের ব্যায়াম করার ইচ্ছা হ্রাস পায় অন্যদিকে সে অনুযায়ী তাদের খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন ঘটে না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, অর্থাৎ ওজন বাড়তে থাকে। মেনোপজের আগে নারী নিজ উদ্যোগ নিয়ে কাজে আগ্রহী হতেন বা যে পরিমাণ কাজ তারা করতেন এ সময়ে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ কাজ করেন ৷ বরং বলা যায় তাদের একরকম আলসেমীতে পেয়ে বসে।
কাজের পরিমাণ কমানোর ফলে তাদের কায়িক পরিশ্রম কমে যায় এবং খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ না কমানোর ফলে তাদের ওজন ক্রমশঃ বাড়তে থাকে৷ এছাড়াও মেনোপজ কালীন সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং হরমোনের এই ঘাটতি তাদের মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে উঠে। আর এর কারণ হলো এই হরমোন নারীদের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ মেনোপজের পর পরই নারীর সকল দৈহিক সমস্যা প্রকাশ পায় না। তবে এ সময় স্বামীর সাথে থাকতে গেলে বেদনা অনুভূত হতে পারে।
এ ছাড়া বয়স কিছু বাড়ার সাথে সাথে তার মধ্যে দৈহিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ইষ্ট্রোজেন হ্রাস পাওয়ার ফলে নারীর ঘন ঘন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। মূত্রনালীর ইনফেকশনের ফলে বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, ব্যায়াম, হাচি, কাশি, দৌড়ানো অথবা জোরে হাসির সময় ফোটা ফোটা প্রস্রাব গড়িয়ে পড়ার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এ সময় নারী আবেগ প্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। কিংবা ভুলো মনা হয়ে পড়তে পারেন সে কথা আগেই বলা হয়েছে। জয়েন্ট বা দেহের সন্ধি ও মাংশপেশি শক্ত হয়ে উঠতে পারে এবং সেগুলোতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। নারী দেহের মাংসপেশী হ্রাস পেয়ে সেখানে মেদ জমতে পারে। এছাড়াও মেনোপজের পর কোন পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই দুটি খুব সাধারণ কিন্তু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, তার একটি হলো অষ্টিওপোরোসিস (Osteoporosis) পুরোনো হাড় ক্ষয় হয়ে নতুন হাড় তৈরী হওয়া মানব-মানবীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ভুমিকা রয়েছে ইষ্ট্রোজেন নামক হরমোনের।
কাজেই দেহে ইষ্ট্রোজেন এর অভাবে ধীরে ধীরে হাড়গুলো দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় এই অবস্থার নাম হলো অষ্টিওপোরোসিস। এ ছাড়া ইষ্ট্রোজেন ঘাটতি অথবা বয়স বেড়ে যাবার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপসহ শরীরের কোলেষ্টেরল এর পরিমাণ পরীক্ষা করা দরকার। মেনোপজ কোনো রোগ নয় দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাই একে মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ সময় শরীরের প্রতি আগের চেয়ে একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত কম চর্বি যুক্ত, বেশি প্রোটিন ও আশযুক্ত খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে ফলমুল, শাকসবজি, শষ্য ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে ও শরীরের স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
তবে এ সব পরিবর্তন নারী এবং পুরুষের একই ধরণের হয় না। বিশেষ করে মধ্য বয়স অতিত্রুম করার পর একজন নারী বিশেষ কিছু শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে পড়েন। যাকে মেনোপজ, রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া বলে।
মধ্য বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার সময় নারী দেহে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এসব পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। এ সব পরিবর্তন সাধারণ ভাবে ৪৫এর পর নারীরা অনুভব করতে থাকেন। সাধারণত গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তা ৪০ বছরে আবার কারো ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সে তা ঘটতে পারে। ধুমপায়ী নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে বিশেষ কোন রোগের কারণে জরায়ু কেটে ফেলা হলে নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে অপারেশনের সময় যদি ওভারি ফেলে দেয়া না হয় তবে মেনোপজের উপসর্গগুলো দেখা দেবে না। এ ছাড়া কোনো বিশেষ কারণে যদি কোনো নারীর জরায়ু এবং ওভারি দুটোই ফেলে দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে রোগিনীর বয়স যাই হোক না কেন, মেনোপজের উপসর্গ প্রকাশ পেতে থাকবে। আর এমনটি হওয়ার কারণ হলো নারী দেহে ইষ্ট্রোজেন ও প্রজেষ্টেরন হরমোন তৈরীর কাজটি করে ওভারিই।
কাজেই ওভারি যদি না থাকে এ হরমোনও তৈরি হবে না এবং পরিণামে মেনোপজ দেখা দেবে। মেনোপজের ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা: মাহেনাজ আফরোজ বলেন, বয়সের কারণে মেনোপজ হয় বলে এটাকে প্রতিহত করা কারো পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
তাই মধ্য বয়স অতিক্রম করার সময় পরবর্তী অনিবার্য পরিবর্তনের জন্য একজন নারীর দেহ ও মনকে প্রস্তুত রাখা উচিত। সাধারণভাবে শিক্ষিত নারীরা এ ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন। আর মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলেও এই পরিবর্তনকে সহজে মেনে নেয়া যাবে। মেনোপজের আগে ভাগে নারীদের মনেও কিছু পরিবর্তন ঘটে। এর মধ্যে খানিকটা ভুলো মনো হয়ে পড়া এবং আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠাই হলো উল্লেখযোগ্য।
মেনোপজ প্রতিহত করার কথা অনেকেই বলে থাকেন। প্রথমেই এ ব্যাপারে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে বয়সজনিত এই বিষয়টা প্রতিহত করা একেবারেই সম্ভব না। এরপরও অনেকে নানা ধরণের ওষুধের দিকে ঝুকে থাকেন।
এ প্রসংগে ডা. মাহেনাজ আফরোজ জানালেন, এ পরিবর্তন আসবেই। এটাকে প্রতিহত বা এই পরিবর্তনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে পরিবর্তন যেনো দেরিতে আসে সে জিনিসটা করা যেতে পারে। কিন্তু এ পরিবর্তন বিলম্ব করার জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করা হয় বা যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয় কোনো সু চিকিৎসকই তা সমর্থন করবেন না। তবে পরিবর্তন আসার আগে যদি কোনো উপসর্গের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় তবে সে ক্ষেত্রে রোগী ভেদে চিকিৎসা করা যেতে পারে। মেনোপজের আগে ভাগে যে সব লক্ষণ দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই একবার আভাস দেয়া হয়েছে।
এবার এ সব উপসর্গ নিয়ে বিস্তারিত বললেন ডা.মাহেনাজ আফরোজ। তিনি জানালেন, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা, হট ফ্ল্যাশ বা নাকে বা মুখে হঠাৎ গরম ভাপ লাগা মনে হওয়া, এমন সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে মেনোপজের প্রথম বা প্রধান লক্ষণও বলা যেতে পারে। এটি দিনে দুই-তিনবার বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে, বা এ কারণে একজন নারী ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ভাবে ঘেমে উঠতে পারেন। এ ছাড়া দেহের পরিবর্তনের এ সময়ে বিষন্নতা, অকারণে উত্তেজনা, নার্ভাসনেস, রুক্ষ ও খিটখিটে মেজাজ, অমনোযোগিতা, মাথা ধরা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। খাবারে প্রচন্ড অরুচি, অনেক সময় বদহজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
মেনোপজের প্রথম বছর গুলোতে যে সব সংকট দেখা দিতে পারে তার একটি হলো হট ফ্লাশ বা গা গরম হয়ে ওঠা। শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ মুখ এবং গলায় প্রচন্ড গরম অনুভূত হতে পারে এবং ঘাম দেখা দিতে পারে । কখনো কখনো হাত গলা বুক ও পিঠে লাল দাগ দেখা দিতে পারে। প্রচন্ড গরমের পর পরই শীতে শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে পারে। এ সমস্যা কখনো কখনো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। হট ফ্লাশের এ অবস্থাকে নাইট সোয়েট বলা হয়।
সাধারণভাবে হট ফ্লাশ ৩০ সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মেনোপজের সময়ে খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন না করলেও নারীদের ওজন বাড়তে দেখা যায়৷ মেনোপজে হয়েছে বা মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এমন সকল মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়৷ আর এই ওজন বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব মহিলাই চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এমন কেন হয় তা আমাদের মধ্যে বেশীর ভাগ মহিলারই জানা নেই৷
আসলে মেনোপজের সময় থেকে নারীদের মধ্যে হঠাৎ মনোভাবের পরিবর্তন ঘটতে থাকে তার ফলে নিয়মিত ব্যায়াম চর্চার ইচ্ছা কমতে থাকে৷ আর ব্যায়ামে অনীহার কারণে মেনোপজের সময়ে মহিলাদের ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠে। বেশীর ভাগ মহিলাই মেনোপজের সময়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে কারণ তাদের ব্যায়াম করার ইচ্ছা হ্রাস পায় অন্যদিকে সে অনুযায়ী তাদের খাদ্য তালিকাতে কোন পরিবর্তন ঘটে না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়, অর্থাৎ ওজন বাড়তে থাকে। মেনোপজের আগে নারী নিজ উদ্যোগ নিয়ে কাজে আগ্রহী হতেন বা যে পরিমাণ কাজ তারা করতেন এ সময়ে তার প্রায় অর্ধেক পরিমাণ কাজ করেন ৷ বরং বলা যায় তাদের একরকম আলসেমীতে পেয়ে বসে।
কাজের পরিমাণ কমানোর ফলে তাদের কায়িক পরিশ্রম কমে যায় এবং খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ না কমানোর ফলে তাদের ওজন ক্রমশঃ বাড়তে থাকে৷ এছাড়াও মেনোপজ কালীন সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং হরমোনের এই ঘাটতি তাদের মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে উঠে। আর এর কারণ হলো এই হরমোন নারীদের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ মেনোপজের পর পরই নারীর সকল দৈহিক সমস্যা প্রকাশ পায় না। তবে এ সময় স্বামীর সাথে থাকতে গেলে বেদনা অনুভূত হতে পারে।
এ ছাড়া বয়স কিছু বাড়ার সাথে সাথে তার মধ্যে দৈহিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ইষ্ট্রোজেন হ্রাস পাওয়ার ফলে নারীর ঘন ঘন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। মূত্রনালীর ইনফেকশনের ফলে বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, ব্যায়াম, হাচি, কাশি, দৌড়ানো অথবা জোরে হাসির সময় ফোটা ফোটা প্রস্রাব গড়িয়ে পড়ার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এ সময় নারী আবেগ প্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। কিংবা ভুলো মনা হয়ে পড়তে পারেন সে কথা আগেই বলা হয়েছে। জয়েন্ট বা দেহের সন্ধি ও মাংশপেশি শক্ত হয়ে উঠতে পারে এবং সেগুলোতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। নারী দেহের মাংসপেশী হ্রাস পেয়ে সেখানে মেদ জমতে পারে। এছাড়াও মেনোপজের পর কোন পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই দুটি খুব সাধারণ কিন্তু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, তার একটি হলো অষ্টিওপোরোসিস (Osteoporosis) পুরোনো হাড় ক্ষয় হয়ে নতুন হাড় তৈরী হওয়া মানব-মানবীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় ভুমিকা রয়েছে ইষ্ট্রোজেন নামক হরমোনের।
কাজেই দেহে ইষ্ট্রোজেন এর অভাবে ধীরে ধীরে হাড়গুলো দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় এই অবস্থার নাম হলো অষ্টিওপোরোসিস। এ ছাড়া ইষ্ট্রোজেন ঘাটতি অথবা বয়স বেড়ে যাবার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপসহ শরীরের কোলেষ্টেরল এর পরিমাণ পরীক্ষা করা দরকার। মেনোপজ কোনো রোগ নয় দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাই একে মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ সময় শরীরের প্রতি আগের চেয়ে একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত কম চর্বি যুক্ত, বেশি প্রোটিন ও আশযুক্ত খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে ফলমুল, শাকসবজি, শষ্য ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে হবে ও শরীরের স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার - বাঁচতে হলে জানতে হবে।
- ঋতু স্রাব সমস্যা
- সাদা স্রাব
- তলপেট ও কোমরে ব্যথা
- একবারে মাসিক না হওয়া
- অনিয়মিত মাসিক হওয়া
- অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া
চিকিৎসকেরা মনে করেন এর প্রধান কারণ হলো
- অসচেতনতা
- অজ্ঞতা
দীর্ঘস্থায়ী স্রাবের আরো কারণ হলো এর জরায়ুর মুখে মাংস বেড়ে যাওয়া, যোনিপথে প্রদাহ, ডিম্বের থলিতে টিউমার। এ ছাড়া যদি রক্তের মধ্যে কোনো রোগ থাকে যেমন হেমোফাইলিয়া, পারপুরা তাতেও বেশি স্রাব হতে পারে।
শতকরা ৪০ থেকে ৫০ জনের কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল উপদেশের মাধ্যমেই আরোগ্য লাভ করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপশম করা সম্ভব। কারণ যাই হোক না কেন যুবতী মেয়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাসিকের সময় তলপেট ব্যথা: শতকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন যুবতী মাসিক আরম্ভ হওয়ার আগে অথবা মাসিক চলাকালে তলপেট, কোমরে অথবা উরুতে ব্যথা অনুভব করে থাকে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের মাসিক আরম্ভ হওয়ার দু-তিন দিন আগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে তারা সাধারণত অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডিহিসন, জরায়ুতে যক্ষ্মার জন্য হতে পারে। এই ধরনের যুবতীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। হরমোনের তারতম্যের কারণে তলপেট ভারী অনুভব করা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, খাদ্যে অরুচি হওয়া, মাথাব্যথা করা, খিটখিটে মেজাজ, শরীর ব্যথা, এমনকি হাত পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ এবং উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমেই যুবতীরা উপশম থাকতে পারে।
সাদা স্রাব
সাদা স্রাব যুবতীদের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ জন্য মেয়েদের কোনো প্রকার দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই সাদা স্রাব হতে পারে এবং তবে মাসিক আরম্ভ হওয়ার দুচার দিন আগে এর পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, যৌনাঙ্গে প্রদাহ, বেশি যৌন উত্তেজনা, হস্তমৈথুন, যৌন কার্যে অভ্যস্ত ইত্যাদির কারণে বেশি সাদা স্রাব হতে পারে। এমনকি জরায়ুর মুখে মাংসপিণ্ড অথবা ঘা হলে সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কেবল নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল লাভ করা যায়।
মেয়েদের (যুবতী) তলপেট ব্যথা
বেশি সংখ্যক যুবতী মেয়ে তলপেট ও কোমর ব্যথার কথা বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এটা মানসিক অনুভূতি। তবে প্রচণ্ড ও অস্বাভাবিক ব্যথা হলে অবশ্যই এর কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারণে মারাত্মক ব্যথা হতে পারে তা হলো
- Appendicitis (অ্যাপেন্ডিসাইসাটিস)
- Ovarian Cyst (ডিমের ভেতর পানি জমে যাওয়া)
- হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
- মাসিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
- ডিম্বনালী অথবা ডিম্বথলির ভেতরে গর্ভ লাভ করা
- Cyst যদি হঠাৎ ফেটে যায় অথবা পেঁচিয়ে যায়
- জরায়ুর ভেতর টিউমার হওয়া
- যোনিপথে হারপিচ নামক এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া।
মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ
মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধান কারণ মেয়েদের শারীরিক গঠন। মেয়েদের মূত্রনালী খুবই ছোট এবং মূত্রনালীর দ্বার, যোনিদ্বার ও মলদ্বার এত কাছাকাছি যে জীবাণু সহজেই ঢুকে যেতে পারে। প্রস্রাব সংক্রমণের জীবাণু ই-কলাই মলের সাথে নির্গত হয়ে মলদ্বার থেকে মূত্রদ্বারের আশপাশের কোষকলায় বসতি স্থাপন করে এবং সুযোগ বুঝে মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে প্রস্রাবে সংক্রমণ ঘটায়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সাম্প্রতিক আর্টিকেল
বিভাগ নির্বাচন করুন
জনপ্রিয় আর্টিকেল
-
আপনি কোমল পানীয় বা অ্যালকোহলের ফ্যান? খুব ভালোবাসেন কোক-পেপসি কিংবা নানান রকম এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতে? তাহলে জেনে রাখুন, এইসব অতিরিক্ত মি...
-
আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাচ্ছি তা কি আমাদের যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে? সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিশেষ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বিশ...
-
এ পর্যন্ত যত ফোন কল পেয়েছি তার মধ্যে প্রায় হাজার খানেক হবে যেখানে পেশেন্টরা একটা অভিযোগই আমায় করেছেন যে তাদের পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মো...
-
বর্তমান সময়ে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে কনডম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও কনডম বেশ কার্যকরী। কনডম পুরোপুরি ...
-
চুমুতে ভালবাসা বাড়ে, ভালবাসা ছড়ায় জানাছিল, কিন্তু চুমুর মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার আদানপ্রদান হয় তা কি জানা আছে? নতুন এক গবেষণা বলছে মাত্র ১০...
-
কোন দেশের পরুষদের যৌন সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এর সঠিক কোন উত্তর আমার জানা নেই। তবে কোন দেশের পুরুষরা যৌনতা নিয়ে বেশি চিন্তিত তার একটা পরিসং...
-
কিশোর বয়স থেকে যখন ছেলে মেয়েরা প্রথম যৌবনে প্রদার্পন করে তখন যৌনতা সংক্রান্ত নানা চিন্তা ভাবনা মনে ঘোরপাক খাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়...
-
পুরুষত্বহীনতা অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে আমাদের দেশে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী প...
-
সমগ্র বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কদর দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা যে ক্রনিক ডিজিস এবং দুরারোগ্য ব্যাধিগু...
-
জন্ম নিয়ন্ত্রনের বহুল ব্যবহৃত গুলোর মধ্যে একটি হল ভুল সহবাস বা যৌন মিলন কালে কনডম ব্যবহার করা। এটা অনেক সেফ বা নিরাপদ পদ্ধতিও বলা হয়ে থাক...