একজন নারী কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
প্রথম পাতা
সকল আর্টিকেল
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩
রজঃনিবৃত্তিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা।
মেয়েদের রজঃনিবৃত্তি জীবনচক্রের একটি অপরিহার্য অবস্থা। মেয়েদের ওভারি পরিপূর্ণভাবে কাজ করে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সসীমার মধ্যেই। তখন মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র শুরু হয়। এ সময় মেয়েদের ওভারির মধ্যে ছোট ছোট ফলিকল থাকে। এদের মাঝে থাকে ওভাম। আর ডিম্বাণু ক্রমেই বড় হতে থাকে।
প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত
রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে-সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশে পুরুষদের যৌন দুবর্লতার সমস্যা একটু বেশী। আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে।
লাখ লাখ তরুণ ভুল ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার শিকার
আমি প্রায়শই লেখার মধ্যে দু’একটা উদাহরণ দেই। বিষয়টি সহজভাবে বুঝানোর জন্য অনেকেই নানাভাবে উদাহরণ দেন। ইতিপূর্বে আমি তরুণদের বিয়ে ভীতি নিয়ে লিখেছি। ভেবেছিলাম নারী-পুরুষের প্রাইভেট লাইফের নানা ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা নিয়ে লেখার পর তরুণ-যুবকদের নানা সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু আসলে বছরের পর বছর ধরে যে অপচিকিৎসায় দেশের বৃহত্তর তরুণ সমাজ নিজেদের ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনছে তা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
গত সপ্তাহের কথা। পুরাতন ঢাকা থেকে আসা এক তরুণ। বয়স কোনভাবেই ১৮/২০-এর বেশী হবে না। চেম্বারে এসে বললেন, ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান। এ ধরনের ইমোশন রোগীদের থাকে। প্রায়ই সব তরুণরাই এমন কথা বলেন। জীবন শেষ হয়ে গেছে, নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আগত তরুণটির সমস্যাটিও ভেবেছিলাম গতানুগতিক। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। তরুণের অভিযোগ। তার ধারণা ছিলো সে শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। অজ্ঞতা থেকেই ভুল ধারণা। এ জন্য সে নিকটস্থ একটি ফার্মেসী বা ওষুধের দোকানে যায়। ওষুধের দোকান থেকেই অনেক সময় চিকিৎসা-অপচিকিৎসা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হলো। তরুণকে যেসব ওষুধ দেয়া হয় তা সেবন করে তরুণের নিম্নাঙ্গ প্রায় অবস বা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
এমনকি প্রশ্রাব করার সময়ও কোন অনুভূতি পাচ্ছে না। এ ছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তরুণটির নিম্নাঙ্গ ফুলে গেছে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে একউিট ইমারজেন্সি। তরুণটিকে পরীক্ষা করে দেখাগেলো বর্ণনার চেয়েও বেশী উপসর্গ রয়েছে তার শরীরে। ওষুধের দোকান থেকে তাকে চার ধরনের ওষুধ দেয়া হয়েছে। একটি ভিটামিন, একটি মানসিক চিকিৎসার ওষুধ, একটি হাই এন্টিবায়োটিক এবং অপরটি নামহীন কালো গোল গোল বটিকা। তরুণটির ড্রাগ রিঅ্যাকশনের প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ঐ ওষুধের দোকানের ফার্মাসিষ্টকে কথা বলতে বলি।
যথারীতি তরুণটিকে উপদেশ অনুসরণ করে। ওষুধের দোকানের তথাকথিত ফার্মাসিষ্ট -এর ভাষ্যমতে কালো রংয়ের গোল বড়িটি যৌন সমস্যা লাঘবে ব্যবহৃত হয় - এটি ছিল একটি যৌন উত্তেজক ঔষধ। অনেক ডাক্তার এ বড়িটি সেবন করতে বলেন। তাই তরুণটিকে ওষুধের দোকানি নিজেই চিকিৎসা দিয়েছেন। দোকানি জানালেন কালো বড়িটির কৌটার লেভেলে লেখা আছে হংকং-কোরিয়া। অপচিকিৎসা রোধে বড়িটির নাম বলা হলো না। যাইহোক ওষুধের দোকানির সঙ্গে আর কথা না বাড়িয়ে তরুণটিকে তার শরীরের সর্বশেষ অবস্থা কি হয় তা জানাতে বলি।
যাহোক, মূল কথায়, ফিরে আসি। শুধু সুত্রাপুরের তরুণ নয়, দেশের হাজার হাজার তরুণ এ ধরনের ভুল চিকিৎসা, অপচিকিৎসয় প্রতারিত হচ্ছে, যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজেদের জীবন সংশয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।
বিভিন্নভাবে হারবাল কবিরাজি নাম দিয়ে নানান চিকিৎসায় যে তরুণদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে তাই নয়, বহু এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও তরুণদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে। অথচ পুরুষদের যৌন সমস্যা স্থায়ী ভাবে দূরীকরণে রয়েছে কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা তবে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩
নারীর পিরিয়ডের সমস্যা এবং প্রতিকার
কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
"শ্রী গোপাল তেল" সাধনা ঔষধালয় - পুরুষ অঙ্গের মালিশ কতটা কার্যকর ?
পুরুষ অঙ্গ সতেজ এবং শক্তিশালী করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় আর বহুল পরিচিত ম্যাসেজ অয়েল হলো সাধনা ঔষধালয় এর শ্রী গোপাল তেল । যদিও এর সাথে সংস্লিষ্ট চিকিত্সকরা আরো দুইটি তেল দিয়ে থাকেন। এখন কথা হলো এ গুলো কতটা কার্যকর? উপমহাদেশের একজন জনপ্রিয় চিকিত্সক হলেন ডাক্তার তারেক মাহমুদ। তার বইতে লিখেছেন শল্য চিকিত্সকরা মানুষের দেহের বিকৃত অঙ্গের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারেন কিন্ত শরীরকে সতেজ এবং এর সোন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনাদি কাল থেকে আমরা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে আসছি। কারণ এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
কিন্ত আমাদের বাজারে আপনি নকল প্রসাধনীর সংখ্যাই বেশি দেখতে পাবেন। আবার আমাদের যুব সমাজের দুর্বল মানসিক অবস্হার সুযোগ নিয়ে অনেককেই দেখা যায় যৌন অঙ্গের মালিশ এর নামে নকল আর কার্যকারিতাহীন নানা ম্যাসেজ অয়েল বিক্রি করে তাদেরকে প্রতারিত করছে। কিন্ত সাধনা ঔষধালয় এর চিকিত্সকরা পুরুষাঙ্গ সতেজতার জন্য অত্যন্ত সফলতার সাথেই তিনটি তেলের মিশ্রন ঘটিয়ে ম্যাসেজ করার পরামর্শ দিয়া থাকেন। সেগুলি হলো :
- শ্রী গোপাল তেল
- মহারাজ প্রসাধনী তেল
- মহাচন্দ্রনাদী তেল
ব্যবহার পদ্ধতি - কীভাবে ব্যবহার করবেন ?
তিনটিকে একটি বোতলে ঢেলে এক সাথে মিশিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে কয়েক ফোটা নিয়া অঙ্গের নিচ থেকে উপরের দিকে দিনে দুইবার হালকা করে মালিশ করুন ।
নির্দেশনা - মনে রাখা ভালো।
এই অয়েল গুলো লিঙ্গের সাইজ এর কোনো পরিবর্তন করবে না , লিঙ্গের বক্রতা দূর করবে না, পেনিসকে লম্বা বা মোটা করবে না, কিন্তু দীর্ঘকাল অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পেনিসের নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে পূনরায় সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলবে। বিবাহিত পুরুষরাও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এটার কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধনা ঔষধালয়ের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। পুরুটাই আইয়র্বেদিক। আমার জানামতে তারা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই তাদের রোগীদের এটা প্রেসক্রাইব করে আসছে। তবে যদি আপনার অন্য কোনো যৌন সমস্যা যেমন - যৌন দুর্বলতা, দ্রুত বীর্যপাত, পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ, স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা 'ধাতুদৌর্বল্য', হস্তমৈথুন অভ্যাস প্রভৃতি থেকে থাকে তাহলে আগে এর যথাযথ চিকিত্সা নিতে হবে। তা নাহলে যত ভালো ম্যাসেজ অয়েলই ব্যবহার করেন না কেন কোন ফলই হবে না।
সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩
লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাবের কারণ, প্রতিরোধ এবং হোমিও চিকিত্সা
লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।
স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ এর হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা
প্রতিটি পুরুষের জীবনে স্বপ্নদোষের ব্যাপারটি ঘটে থাকে। অন্তত একবার হলেও এটি ঘটবেই। স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৩
ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা
আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে বেশ কয়েক রকমের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা হয়, অল্প সময়ের সাধারণ ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে শুরু করে আরও দীর্ঘ সময়ের ঋতুস্রাবের সমস্যার জন্য গুরুতর অসুস্থতা। নীচের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততার তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন ঋতুস্রাব চক্রে অনিয়মিততার মাত্রা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩
লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি বাড়াতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা
অনেকেই আছেন এমন যারা বড় লিঙ্গকে গৌরবের বিষয় মনে করেন। কিন্ত একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে সহবাসের ক্ষেত্রে লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কোনো সমস্যাই সৃষ্টি করে না, লিঙ্গের যাবতীয় কার্যাবলী ঠিক থাকলে সাইজ বা আকৃতি কোনো গুরুত্বই বহন করে না। কিন্ত পরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা বসবাস করি বলে আমাদের ধারনাটাই এ রকম হয়ে গেছে যে লিঙ্গের সাইজ বড় হতে হবে।
তবে হাঁ দীর্ঘদিন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো বদ অভ্যাসের কারণে অনেকেরই লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কিছুটা ছোট হয়ে যেতে পারে। তার যথাযথ হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা বিদ্যমান। কিন্তু সেটা পুরুপরিই নির্ভর করে একজন হোমিওপ্যাথের চিকিত্সা জ্ঞান এবং দক্ষতার উপর। তাই হস্তমৈথুন অভ্যাস এবং এসংক্রান্ত যাবতীয় কুফল দূর করতে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়িই সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে আর আপনি আবার সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারছেন। তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ারও প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ হোমিওতে যেটা একবার ভালো হয় সেটা আর দ্বিতীয় বার দেখা দেয় না।
তবে মনে রাখবেন আপনার প্রাকৃতিক লিঙ্গ বড় করার কোন ঔষধ নেই
আপনি পেনিসের আকার বাড়ানোর জন্য অনলাইন সার্চ করে বা ফেইসবুকে হাজারো বিজ্ঞাপন পাবেন - পেনিস এন্লার্জার ক্রিম, মেসেজ অয়েল, বড়ি, কেপসূল ইত্যাদি...... ইত্যাদি....... ..............আরো যে কত কি ??
কিন্তু এগুলো আদৌ কি কোনো ফল দেয় ?? ভালো করে শুনে রাখুন। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কোনো মেডিকেল সাইন্সই পেনিস বড় করার জন্য কার্যকর কোনো মেডিসিন তৈরী করতে পারে নি। যদি সত্যিই পেনিস বড় করার জন্য কোনো মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট থাকত তাহলে আমাদের দেশের তথা সারা পৃথিবীর নামী-দামী ঔষধ কোম্পানিগুলি সেই মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট প্রস্তত করে বাজারজাত করত আর ডাক্তাররাও সেগুলি তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রাইব করত আর আপনিও সেটা আপনার বাড়ির পাশের ঔষধের ফার্মেসি থেকে কিনতে পারতেন। বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।
প্রতারক থেকে সাবধান হন !
এখন আসুন আসল বিষয়ে আসি। তাহলে ঐ হার্বাল, ভেষজ কবিরাজরা কেমন করে পেনিস বড় করার ঔষধ বানালো ?? শুনে রাখুন, তারাও সেটা বানাতে পারে নি। এটা সরাসরি প্রতারণা। কারণ তারা আপনার দুর্বল মানুষিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে আপনাকে প্রতারিত করেছে মাত্র। আর আপনিও খুব সহজেই গোপনে গোপনে তাদের ফাদে পা দিচ্ছেন এবং তাদের মালিশ, বড়ি, ঔষধ ইত্যাদি ইত্যাদি কিনে ব্যবহার করছেন।
ওদের ঔষধে এমন কিছু উপদান মিশানো থাকে যা অতি অল্প সময়ে পেনিসের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তুলে তখন আপনার কাছে মনে হবে আপনার পেনিস বড় হচ্ছে। অথচ আপনি আসল সত্যটা জানেনই না যে, স্বাভাবিক পেনিস কখনো বড় বা ছোট হয়ে যেতে পারে না। অর্থাৎ আপনার পেনিস আগে যেমনটি ছিল এখনো এমনি আছে। শুধু উত্তেজিত অবস্থায় আপনি ভালো করে লক্ষ্য করেছেন বলে আপনার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে।
কিছু দিন পর যখন আপনি তাদের ঔষধ সেবন করা বন্ধ করে দিবেন তখন আগের মতই মনে হবে। কিন্তু এই যে আপনি প্রতারিত হলেন এটা এখন কাউকেই বলতে পারছেন না। মনে হয় আর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। সতর্ক হন !! অযথা চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া রাস্তা ঘাট থেকে ঐসব আজে বাজে হারবাল, কবিরাজি, ভেষজ নামধারী উত্তেজক ঔষধ ব্যবহার করে করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। কারণ একসময় দারুন পস্তাতে হবে, তখন আর কিছুই করার থাকবে না। যারা যৌন উত্তেজক প্রোডাক্ট নিয়মিত সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি একসময় ঐগুলি সহ ঐ সংক্রান্ত আর কোনো ঔষধই শরীরে কাজ করে না।
কিছু দিন পর যখন আপনি তাদের ঔষধ সেবন করা বন্ধ করে দিবেন তখন আগের মতই মনে হবে। কিন্তু এই যে আপনি প্রতারিত হলেন এটা এখন কাউকেই বলতে পারছেন না। মনে হয় আর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। সতর্ক হন !! অযথা চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া রাস্তা ঘাট থেকে ঐসব আজে বাজে হারবাল, কবিরাজি, ভেষজ নামধারী উত্তেজক ঔষধ ব্যবহার করে করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। কারণ একসময় দারুন পস্তাতে হবে, তখন আর কিছুই করার থাকবে না। যারা যৌন উত্তেজক প্রোডাক্ট নিয়মিত সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি একসময় ঐগুলি সহ ঐ সংক্রান্ত আর কোনো ঔষধই শরীরে কাজ করে না।
লিঙ্গের আকার আকৃতি সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা আছে কি ?
উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। কিন্তু আপনার লিঙ্গ বা পেনিস যদি লম্বায় সর্বনিম্ন 4 (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দেয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কারণ একটা Successful Sexual Intercourse শুধু মাত্র পেনিসের আকারের উপর নির্ভর করে না, এর জন্য আপনাকে যৌন মিলনের নানা কলা কৌশল রপ্ত করা উচিত। মনে রাখবেন নারীদের যৌনাঙ্গে এক প্রকার খাজ কাটা থাকে যাতে ঘসা লাগলে তারা আনন্দ পায়। তার জন্য মাত্র ১০-১২ বছরের ছেলেদের লিঙ্গ দিয়েও তাদের আনন্দ দেয়া সম্ভব। বিরাট লম্বা পেনিসের কোনই প্রয়োজন নেই।
আপনি লিঙ্গ বড় করা সংক্রান্ত যত প্রকার বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন এই গুলির অধিকাংশেরই কোনো প্রকার বৈধতা নেই এক কোথায় ভুয়া চিকিত্সা বানিজ্য । লক্ষ্য করে দেখবেন তাদের বিজ্ঞাপন গুলোতে কোমলমতি তরুনদের আকৃষ্ঠ করার জন্য নানা প্রকার অশ্লীল ছবি জুড়ে দেয়। তাদের কোনো ঠিকানা দেয়া থাকে না আর থাকলেও সেটা নকল। তারা শুধু মাত্র ফোন নম্বর দিয়ে রাখে। এসব দেখেও যদি আপনার চোখ না খোলে আর লোভে পড়ে ফাদে পা বাড়ান তাহলে আপনার ক্ষতির জন্য আপনিই দায়ী। পুলিশের একজন উপ - পরিদর্শক যিনি আমাদের একজন শুভাকাঙ্খী (আমাদের পাশেই থাকেন এবং সুযোগ পেলেই গল্প গুজব করতে আসেন)। তিনি আমাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে খুলাখুলি আলোচনা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়া যায় কিনা। আমরা তাকে বলেছিলাম যেখানে ঔষধ প্রশাসন নিরব, যেখানে টিভিতে রং ফর্সাকারী ভুয়া ক্রিমের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতারিত করা হচ্ছে আর প্রশাসন তো দুরে থাক কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে আপনারা কতটুকু আগাবেন, তার চেয়ে এ বিষয়ে জনগনকে সচেতন করে তুলাই উত্তম একদিন দেখবেন জনগনই তাদের বিচার করবে।
ভিডিওটি একবার দেখুন
ঐসব লোকজন হারবাল, ভেষজের দোহাই দিয়ে গোপনে তরুণ-যুবকদের দুর্বল মানুষিকতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করে মাত্র। আর প্রতিদিন হাজার হাজার তরুণ-যুবক প্রকৃত সত্যটা না জানার কারণে তাদের ফাদে পা দিচ্ছে আর প্রতারিত হচ্ছে। আরেকটা কথা বলে রাখি, দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন অভ্যাসের কারণে স্নায়ুমন্ডলী যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন তার সতেজতার জন্য আমাদের দেশের সুপরিচিত একটি আইয়র্বেদিক প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রডাক্ট রয়েছে যে গুলো দামেও অনেক সস্থা সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। কিন্তু মনে রাখবেন এটা আপনার লিঙ্গের আকার বাড়াবে না। দীর্ঘদিন হস্তমৈথুনের কুফল জনিত কারণে নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে আবার সতেজ করবে মাত্র।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
সাম্প্রতিক আর্টিকেল
বিভাগ নির্বাচন করুন
জনপ্রিয় আর্টিকেল
-
আপনি কোমল পানীয় বা অ্যালকোহলের ফ্যান? খুব ভালোবাসেন কোক-পেপসি কিংবা নানান রকম এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করতে? তাহলে জেনে রাখুন, এইসব অতিরিক্ত মি...
-
আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাচ্ছি তা কি আমাদের যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে? সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিশেষ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বিশ...
-
এ পর্যন্ত যত ফোন কল পেয়েছি তার মধ্যে প্রায় হাজার খানেক হবে যেখানে পেশেন্টরা একটা অভিযোগই আমায় করেছেন যে তাদের পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মো...
-
বর্তমান সময়ে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে কনডম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও কনডম বেশ কার্যকরী। কনডম পুরোপুরি ...
-
চুমুতে ভালবাসা বাড়ে, ভালবাসা ছড়ায় জানাছিল, কিন্তু চুমুর মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার আদানপ্রদান হয় তা কি জানা আছে? নতুন এক গবেষণা বলছে মাত্র ১০...
-
কোন দেশের পরুষদের যৌন সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এর সঠিক কোন উত্তর আমার জানা নেই। তবে কোন দেশের পুরুষরা যৌনতা নিয়ে বেশি চিন্তিত তার একটা পরিসং...
-
কিশোর বয়স থেকে যখন ছেলে মেয়েরা প্রথম যৌবনে প্রদার্পন করে তখন যৌনতা সংক্রান্ত নানা চিন্তা ভাবনা মনে ঘোরপাক খাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়...
-
পুরুষত্বহীনতা অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা যৌন দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে আমাদের দেশে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী প...
-
সমগ্র বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কদর দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা যে ক্রনিক ডিজিস এবং দুরারোগ্য ব্যাধিগু...
-
জন্ম নিয়ন্ত্রনের বহুল ব্যবহৃত গুলোর মধ্যে একটি হল ভুল সহবাস বা যৌন মিলন কালে কনডম ব্যবহার করা। এটা অনেক সেফ বা নিরাপদ পদ্ধতিও বলা হয়ে থাক...