সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাবের কারণ, প্রতিরোধ এবং হোমিও চিকিত্সা

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।
বিস্তারিত

স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ এর হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

প্রতিটি পুরুষের জীবনে স্বপ্নদোষের ব্যাপারটি ঘটে থাকে। অন্তত একবার হলেও এটি ঘটবেই। স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
বিস্তারিত

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৩

ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে বেশ কয়েক রকমের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততা হয়, অল্প সময়ের সাধারণ ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে শুরু করে আরও দীর্ঘ সময়ের ঋতুস্রাবের সমস্যার জন্য গুরুতর অসুস্থতা। নীচের ঋতুস্রাবের অনিয়মিততার তালিকাটি আপনাকে বিভিন্ন ঋতুস্রাব চক্রে অনিয়মিততার মাত্রা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
বিস্তারিত

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি বাড়াতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

অনেকেই আছেন এমন যারা বড় লিঙ্গকে গৌরবের বিষয় মনে করেন। কিন্ত একটা কথা জেনে রাখা ভালো যে সহবাসের ক্ষেত্রে লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কোনো সমস্যাই সৃষ্টি করে না, লিঙ্গের যাবতীয় কার্যাবলী ঠিক থাকলে সাইজ বা আকৃতি কোনো গুরুত্বই বহন করে না। কিন্ত পরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা বসবাস করি বলে আমাদের ধারনাটাই এ রকম হয়ে গেছে যে লিঙ্গের সাইজ বড় হতে হবে।

তবে হাঁ দীর্ঘদিন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো বদ অভ্যাসের কারণে অনেকেরই লিঙ্গের সাইজ বা আকৃতি কিছুটা ছোট হয়ে যেতে পারে। তার যথাযথ হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা বিদ্যমান। কিন্তু সেটা পুরুপরিই নির্ভর করে একজন হোমিওপ্যাথের চিকিত্সা জ্ঞান এবং দক্ষতার উপর। তাই হস্তমৈথুন অভ্যাস এবং এসংক্রান্ত যাবতীয় কুফল দূর করতে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়িই সব সমস্যা দূর হয়ে গেছে আর আপনি আবার সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতে পারছেন। তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ারও প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ হোমিওতে যেটা একবার ভালো হয় সেটা আর দ্বিতীয় বার দেখা দেয় না।
তবে মনে রাখবেন আপনার প্রাকৃতিক লিঙ্গ বড় করার কোন ঔষধ নেই 
আপনি পেনিসের আকার বাড়ানোর জন্য অনলাইন সার্চ করে বা ফেইসবুকে হাজারো বিজ্ঞাপন পাবেন - পেনিস এন্লার্জার ক্রিম, মেসেজ অয়েল, বড়ি, কেপসূল ইত্যাদি...... ইত্যাদি....... ..............আরো যে কত কি ??

কিন্তু এগুলো আদৌ কি কোনো ফল দেয় ?? ভালো করে শুনে রাখুন। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কোনো মেডিকেল সাইন্সই পেনিস বড় করার জন্য কার্যকর কোনো মেডিসিন তৈরী করতে পারে নি। যদি সত্যিই পেনিস বড় করার জন্য কোনো মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট থাকত তাহলে আমাদের দেশের তথা সারা পৃথিবীর নামী-দামী ঔষধ কোম্পানিগুলি সেই মেডিসিন বা ক্রিম বা অয়েটমেন্ট প্রস্তত করে বাজারজাত করত আর ডাক্তাররাও সেগুলি তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রাইব করত আর আপনিও সেটা আপনার বাড়ির পাশের ঔষধের ফার্মেসি থেকে কিনতে পারতেন। বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।

প্রতারক থেকে সাবধান হন !

এখন আসুন আসল বিষয়ে আসি। তাহলে ঐ হার্বাল, ভেষজ কবিরাজরা কেমন করে পেনিস বড় করার ঔষধ বানালো ?? শুনে রাখুন, তারাও সেটা বানাতে পারে নি। এটা সরাসরি প্রতারণা। কারণ তারা আপনার দুর্বল মানুষিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে আপনাকে প্রতারিত করেছে মাত্র। আর আপনিও খুব সহজেই গোপনে গোপনে তাদের ফাদে পা দিচ্ছেন এবং তাদের মালিশ, বড়ি, ঔষধ ইত্যাদি ইত্যাদি কিনে ব্যবহার করছেন। 

ওদের ঔষধে এমন কিছু উপদান মিশানো থাকে যা  অতি অল্প সময়ে পেনিসের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তুলে তখন আপনার কাছে মনে হবে আপনার পেনিস বড় হচ্ছে। অথচ আপনি আসল সত্যটা জানেনই না যে, স্বাভাবিক পেনিস কখনো বড় বা ছোট হয়ে যেতে পারে না। অর্থাৎ আপনার পেনিস আগে যেমনটি ছিল এখনো এমনি আছে। শুধু উত্তেজিত অবস্থায় আপনি ভালো করে লক্ষ্য করেছেন বলে আপনার কাছে এমনটা মনে হচ্ছে।

কিছু দিন পর যখন আপনি তাদের ঔষধ সেবন করা বন্ধ করে দিবেন তখন আগের মতই মনে হবে। কিন্তু এই যে আপনি প্রতারিত হলেন এটা এখন কাউকেই বলতে পারছেন না। মনে হয় আর বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। সতর্ক হন !! অযথা চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া রাস্তা ঘাট থেকে ঐসব আজে বাজে হারবাল, কবিরাজি, ভেষজ নামধারী উত্তেজক ঔষধ ব্যবহার করে করে আপনার যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবেন না। কারণ একসময় দারুন পস্তাতে হবে, তখন আর কিছুই করার থাকবে না। যারা যৌন উত্তেজক প্রোডাক্ট নিয়মিত সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি একসময় ঐগুলি সহ ঐ সংক্রান্ত আর কোনো ঔষধই শরীরে কাজ করে না।

লিঙ্গের আকার আকৃতি সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা আছে কি ?

উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। কিন্তু আপনার লিঙ্গ বা পেনিস যদি লম্বায় সর্বনিম্ন 4 (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দেয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কারণ একটা Successful Sexual Intercourse শুধু মাত্র পেনিসের আকারের উপর নির্ভর করে না, এর জন্য আপনাকে যৌন মিলনের নানা কলা কৌশল রপ্ত করা উচিত। মনে রাখবেন নারীদের যৌনাঙ্গে এক প্রকার খাজ কাটা থাকে যাতে ঘসা লাগলে তারা আনন্দ পায়। তার জন্য মাত্র ১০-১২ বছরের ছেলেদের লিঙ্গ দিয়েও তাদের আনন্দ দেয়া সম্ভব। বিরাট লম্বা পেনিসের কোনই প্রয়োজন নেই।

আপনি লিঙ্গ বড় করা সংক্রান্ত যত প্রকার বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন এই গুলির অধিকাংশেরই কোনো প্রকার বৈধতা নেই এক কোথায় ভুয়া চিকিত্সা বানিজ্য । লক্ষ্য করে দেখবেন তাদের বিজ্ঞাপন গুলোতে কোমলমতি তরুনদের আকৃষ্ঠ করার জন্য নানা প্রকার অশ্লীল ছবি জুড়ে দেয়। তাদের কোনো ঠিকানা দেয়া থাকে না আর থাকলেও সেটা নকল। তারা শুধু মাত্র ফোন নম্বর দিয়ে রাখে। এসব দেখেও যদি আপনার চোখ না খোলে আর লোভে পড়ে ফাদে পা বাড়ান তাহলে আপনার ক্ষতির জন্য আপনিই দায়ী। পুলিশের একজন উপ - পরিদর্শক যিনি আমাদের একজন শুভাকাঙ্খী (আমাদের পাশেই থাকেন এবং সুযোগ পেলেই গল্প গুজব করতে আসেন)। তিনি আমাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে খুলাখুলি আলোচনা করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়া যায় কিনা। আমরা তাকে বলেছিলাম যেখানে ঔষধ প্রশাসন নিরব, যেখানে টিভিতে রং ফর্সাকারী ভুয়া ক্রিমের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতারিত করা হচ্ছে আর প্রশাসন তো দুরে থাক কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে আপনারা কতটুকু আগাবেন, তার চেয়ে এ বিষয়ে জনগনকে সচেতন করে তুলাই উত্তম একদিন দেখবেন জনগনই তাদের বিচার করবে।

ভিডিওটি একবার দেখুন 

ঐসব লোকজন হারবাল, ভেষজের দোহাই দিয়ে গোপনে তরুণ-যুবকদের দুর্বল মানুষিকতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করে মাত্র। আর প্রতিদিন হাজার হাজার তরুণ-যুবক প্রকৃত সত্যটা না জানার কারণে তাদের ফাদে পা দিচ্ছে আর প্রতারিত হচ্ছে। আরেকটা কথা বলে রাখি, দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন অভ্যাসের কারণে স্নায়ুমন্ডলী যখন নিস্তেজ হয়ে যায় তখন তার সতেজতার জন্য আমাদের দেশের সুপরিচিত একটি আইয়র্বেদিক প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রডাক্ট রয়েছে যে গুলো দামেও অনেক সস্থা সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। কিন্তু মনে রাখবেন এটা আপনার লিঙ্গের আকার বাড়াবে না। দীর্ঘদিন হস্তমৈথুনের কুফল জনিত কারণে নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে আবার সতেজ করবে মাত্র। 
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০১৩

সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি - এর সুচিকিৎসা কোথায় পাবেন জেনে নিন।

সিফিলিস একটি জটিল যৌন সংক্রামক রোগ। নামটি এসেছে ফন্সাক্যাসটেরো নামক একজন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ ও কবি (১৪৮৩-১৫৫৩) এর লেখা একটি কবিতা থেকে। কবিতার নায়কের নাম ছিল সিফিলাস, সে একজন মেষ পালক ছিল। ঈশ্বর ও ধর্ম নিন্দা করার জন্য তাকে একটি নতুন রোগ দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়।

বলা হয়ে থাকে, আমেরিকা আবিষ্কারের পর (১৪৯২) কলম্বাসের নাবিকদের মাধ্যমে সিফিলিস রোগটি ইউরোপে আসে। সংক্রমিত নাবিকরা নেপলস অবরোধে অংশ নেয়ার সময় (১৪৯৫) ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মার্সিনারিদের সাথে একত্রে থাকে। সৈনিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সারা ইউরোপে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে­ ষোল শতকের মাঝামাঝি রোগটা জাপানে পৌঁছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিফিলিসের প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। বাংলাদেশে এ রোগের প্রভাব ব্যাপক, শহর এলাকায় রোগটা সচরাচর বেশি পরিলক্ষিত হয়। বন্দর নগরীতে এবং শিল্প এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ বেশি।
সিফিলিস একটি কষ্টদায়ক যৌন সংক্রামক ব্যাধি
ট্রেপোনেমা প্যালিডাম নামক জীবাণুর সংক্রমণে সিফিলিস রোগ ঘটে। জীবাণুটি ১৯০৫ সালে আবিষ্কার করেন প্রাণিবিজ্ঞানী এফ শাওডিন এবং চর্ম বিশেষজ্ঞ ই হফম্যান। শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আগে রোগটি ধরা পড়লে সহজে চিকিৎসা করা যায়।

সংক্রমণের উৎস :- আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ও শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষত, লালা, বীর্য, যোনি থেকে নিঃসৃত রস ও রক্ত।

যেভাবে রোগটি ছড়ায়

  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যৌন সঙ্গম করলে। 
  • আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে পায়ুপথে সঙ্গম কিংবা মুখ মৈথুন করলে অথবা চুম্বন বিনিময় করলে। 
  • রক্তসঞ্চালন কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে। 
  • গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে।
প্রাথমিক গোটা :-অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিফিলিস আক্রান্ত পুরুষের লিঙ্গমুণ্ডুতে কিংবা লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে গোটা ওঠে; নারীর ক্ষেত্রে গোটা ওঠে যোনির ঠোঁট কিংবা ক্লাইটরিসে। গোটাটি প্রথমে একটি ছোট লাল দানার মতো শুরু হয়, তার পর তা ভেজা ও ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। গোড়ার দিকে তা বোতামের মতো শক্ত অনুভূত হয়। এটা দেখতে খুব ছোট কিংবা আঙুলের নখের মতো হতে পারে। অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে চিকিৎসা অর্থহীন, কারণ জীবাণু শরীরের গভীরে প্রবেশ করে।

রোগের উপসর্গ সিফিলিসের প্রাথমিক স্তর :- শরীরে জীবাণু প্রবেশের সাধারণত ১০ থেকে ৪০ দিন পর সরাসরি সংক্রমিত স্খানে ব্যথাহীন গোটা ওঠে। যৌনাঙ্গ ছাড়া এই গোটা মলদ্বার, ঠোঁট কিংবা স্তনের বোঁটাতে হতে পারে। কাছাকাছি গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে। চার থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে গোটা চলে যায়। প্রথম স্তরে রোগ সারানো খুব সহজ হয়।

সিফিলিসের দ্বিতীয় স্তর :- সংক্রমণের ৬ সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর সব শরীরে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। মাথার চুল পড়ে। মাথা ব্যথা, সামান্য জ্বর এবং গ্রন্থিগুলো ফোলা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি তীব্রভাবে সংক্রমিত হয়, তার মুখের ত্বক যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে চুমুর মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে। প্রায় এক বছরের মধ্যে রোগের চিহ্নগুলো মিলিয়ে যায়।

সিফিলিসের শেষ স্তর :- স্খিরতার কাল থেকে ৩০ বছর পর (সুপ্ত স্তর) রোগটি শরীরের যেকোনো অংশকে আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুরুজ্জু আক্রান্ত হয়। অন্যান্য প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মুখে ঘা, ত্বক, হাড় ও লিগামেন্টের ক্ষয়। বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অন্ধ হয়ে যাওয়া, অঙ্গ অসাড়, উন্মাদনা এবং মৃত্যু। শারীরিক ক্ষতি পূরণ করা যায় না।

জন্মগত সিফিলিস :- গর্ভাবস্খায় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে গর্ভফুলের মাধ্যমে গর্ভস্খ শিশু সিফিলিসে আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের এক-তৃতীয়াংশেরই গর্ভপাত হয় কিংবা মৃত সন্তান প্রসব ঘটে। প্রাথমিক গর্ভাবস্খায় মায়ের চিকিৎসা করালে শিশু রক্ষা পায়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

সেরোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে সিফিলিসের জীবাণু ধরা পড়ে। সিফিলিসে আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ থেকে সেরোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো পজিটিভ হয়। মাঝে মধ্যে ভ্রান্তিমূলক পজিটিভ হতে পারে। ভিডিআরএল এবং আরপিআর পরীক্ষা অন্য সংক্রমণ কানেকটিভ ইস্যুর অসুখে পজিটিভ হয়। ফলাফল বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়। যদি সিফিলিস সন্দেহ করা হয় তাহলে লাইপয়ডাল এন্টিজেন এবং বিশেষ পরীক্ষাগুলো একত্রে করা হয়। সুপ্তস্তরে স্নায়ুজনিত অসুস্খতা পৃথক কিংবা নিশ্চিত করার জন্য সিএসএফ পরীক্ষা করা হয়।

সিফিলিসের সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা:- ভিডিআরএল (ভেনেরাল ডিজিজ রিসার্স ল্যাবরেটরি) পরীক্ষা। -আরপিআর (র‌্যাপিড প্লাজমা রিয়াজিন) -টিপিএইচএ (ট্রেপোনেমা প্যালিডাম হেমাগ্লুটিনেশন অ্যাসেই)। -এফটিএ-এবিএস (ফ্লুরোসেন্ট ট্রেপোনেমাল এন্টিবডি এবসর্বড) -ট্রেপোনেমাল এনজাইম-লিংকড) ইম্যুনোসরবেন্ট (ELISA)।

চিকিৎসা :- অবশ্যই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক সময়ে চিকিত্সা না নিলে পরে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। হোমিওপ্যাথিক নিয়মে এর যথাযথ চিকিত্সা বিদ্যমান যা অতি দ্রুত আরোগ্য করতে সক্ষম।  আপনি যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানালে, আমরা আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির সফল টিপস - স্ত্রী সহবাসের আগে ও পরে

প্রতিদিন একইভাবে যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন মিলনেও অনেক সময় যৌন উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কয়েকটি টিপসের আলোচনা করা হবে যাতে করে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে আপনি কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হন।

নারী উপরে :- এই অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনিতে ৪৫ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে প্রবেশ করাবে নারী এবং নারী পুরুষের অনুত্থিত লিঙ্গকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে সুদৃঢ় করে তুলবে। সে তার স্তন, ভগাঙ্কুর এবং পশ্চাৎপ্রদেশের ব্যবহারে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলবে। এতে করেও যদি পুরুষাঙ্গ উত্থিত না হয় তবে একইভাবে পুনর্বার দেখা যেতে পারে।
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির সফল টিপস - স্ত্রী সহবাসের আগে ও পরে
পুরো শরীর :- জিহ্বা এবং হাতের আঙ্গুল যৌন উত্তেজনা বাড়াতে পারে। নারীর যোনিমুখের পাতলা আবরণ এবং ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর যদি পুরুষ তার জিহ্বা দিয়ে নাড়াচাড়া করে তবে নারীর অনুভূতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এছাড়াও ভালভাবে নখ ছেঁটে পুরুষ তার হাতের আঙ্গুল নারীর যোনিতে প্রবেশ করিয়েও তাকে তীব্র যৌনকাতর করে ফেলতে পারে। এতে করে নারীর উত্তেজনা পুরো শরীরে প্রবেশ করে এবং উত্তেজনার রেশ বাড়তে থাকে।

জি-স্পট সেক্স :- এতে করে নারী দু হাঁটু গেড়ে বসবে। পুরুষ তার লিঙ্গ প্রবেশ করাবে। নারীর সবচেয়ে যৌন অঞ্চল মানে হলো ভগাঙ্কুর। পুরুষের লিঙ্গ একবার এতে ছোঁয়ালেই নারীর যৌনানুভূতি প্রবল হয়। এতে করে পুরুষেরও যৌন অনুভতি দীর্ঘ হবার কথা। নারী পুরুষকে এই ভাবেও উত্তেজিত করতে পারে। যৌন বিজ্ঞানীরা একে জি-স্পট সেক্স বলে। কেননা এতে করে নারী ইংরেজী জি অক্ষরের মতো আসন নিয়ে বসে।

পৌনপুনিকতা :- পুরুষ তার উত্তেজনা বাড়াতে নারীর যোনিমুখে তার লিঙ্গকে প্রবেশ করানোর পূর্বে নারীর নিচের দিককার অর্থাৎ ভগাঙ্কুর, যোনি ইত্যাদিতে হাতের স্পর্শ বা মুখের স্পর্শ ঘটাতে পারে। এতে করে পুরুষের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে।

আধুনিক হট স্পট :- যৌন বিজ্ঞান দেখেছে, নারীর পুরো শরীরই যৌন উত্তেজক। বিশেষ করে পেটের এবং তলপেটের নিচের দিকে ভগাঙ্কুরের মাঝামাঝি স্থানে নারী উত্তেজনা মারাত্মকভাবে লুকিয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন নারীদের বিভিন্ন রকম হতে পারে। পুরুষদের তাদের নারীদের সাথে যৌন মিলনে যাবার সময় এটি বেছে নিতে হবে। এতে করে পুরুষদের উত্তেজনা চূড়ান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।

মুখোমুখি :- নারীকে শুয়ে পুরুষ কিংবা পুরুষকে শুইয়ে নারী পরস্পর পরস্পরের দিকে যৌনতার দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে নারী-পুরুষ উভয়ের উত্তেজনা বেড়ে যায়।

পুরুষের অন্ডকোষ :- অনেক পুরুষ এই ব্যাপারটিতে অজ্ঞ। তাদের অন্ডকোষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌনতা লুকানো থাকে। নারী যখন পুরুষের অন্ডকোষে হাত দেয় কিংবা তাতে মৃদু চাপ সৃষ্টি করে, তখনও পুরুষ বিশেষ এক ধরনের আনন্দ পেতে পারে। পুরুষের অন্ডকোষ যৌনতা সৃষ্টি করতে পারে। নারীর মৃদু হাত বোলানোতেও এই উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়।

ত্বকের উত্তেজনা :- বহু পুরুষের যৌনাঞ্চলের ত্বকেই বিশেষ ধরনের উত্তেজনা থাকে। নারীর স্পর্শে সেটা বেড়ে যায়। যেমন-পুরুষের লিঙ্গের ত্বকে নারীর চুমু দেয়া কিংবা চুষে ফেলাতে পুরুষ যৌন উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এটি পুরুষের চরম উত্তেজনার প্রথম স্তর। নারী তাকে চূড়ান্ত উত্তেজনার জন্য তার লিঙ্গমুন্ডকে বার বার চুষতে পারে, এতে করে পুরুষের অবস্থা অধিক কাতর হয়ে উঠবে। তবে নারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তার দাঁত পুরুষের লিঙ্গে ক্ষতের সৃষ্টি না করে। কেন না চরম অবস্থায় উভয়েই বোধজ্ঞান কিছুটা হারিয়ে ফেলতে পারে।

বিশেষ সতর্কতা

অনেকেই রাস্তার পাশে দোকান থেকে অথবা ফুটপাথ থেকে নানা প্রকার হার্বাল, কবিরাজি এবং ভেষজ নামধারী ভেজাল ঔষধ খেয়ে থাকেন যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য। কেউ বা বিজ্ঞাপনের ছটায় বিভ্রান্ত হয়ে, কেউ বা শখের বসে আবার কেউ বা লোভে পড়ে অধিক যৌনান্দ পেতে নিয়মিত এসব ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। আজকাল ইন্টারনেট পর্যন্ত অশ্লীল ছবিসহ এইসকল ঔষধের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে (সতর্ক থাকবেন)। মনে রাখবেন, বেশ কিছু সময় যদি আপনি এইসকল উত্তেজক ঔষধগুলি চালিয়ে যান এক সময় আপনি যৌন ক্ষমতায় পুরুপরি অক্ষম হয়ে যাবেন। তখন ঐ অবস্থায় অন্য আর কোনো ঔষধই কাজ করতে চায় না। এটা আমার কথা হয়। দেশের বড় বড় যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কথা। যারা দীর্ঘদিন যৌন রোগের চিকিত্সা দিয়ে আসছেন এবং এ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন।

প্রতিটি পুরুষ তাদের যৌন শক্তি পেয়ে থাকে দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম, মধু এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যায়, কখনো যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না। তার জন্য কোনো ঔষধ খাওয়ার দরকার নেই। আর যদি কোনো প্রকার যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে তাত্ক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন অল্প কয়েক দিনের চিকিত্সাতেই আপনার সকল যৌন সমস্যাবলী চিরতরে নির্মূল হয়ে গেছে তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন। এটাই আমাদের কামনা। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত