হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে তা ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। আপনি অনলাইন সার্চ করলে হস্তমৈথুন অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে ভুরি ভুরি উপদেশ বাণী পেয়ে যাবেন। বাস্তব ক্ষেত্রে যার সবগুলিই অকার্যকর। তারপরও তাদের উপদেশ বাণীর যেন কোনো শেষ নেই। আর তার একমাত্র কারণ অ্যালোপ্যাথিতে এর কার্যকর কোন ট্রিটমেন্ট নেই। একমাত্র হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় হস্তমৈথুনের অভ্যাস বা আসক্তি মন থেকে খুব সহজেই দূর করা যায়।
অনেকেই শীতপ্রধান দেশের বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের উপমহাদেশের অর্থাৎ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেলায় চালাতে চান। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাস্তবতা উপলগ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের ১০-১২ বছরের মধ্যেই যৌন পরিপক্কতা চলে আসার কারণে তারা অনেকেই তখন থেকেই হস্তমৈথুন করা শুরু করে এবং বিয়ের সময় অর্থাৎ বয়স ২০-২২ বছর হওয়ার পর দেখা যায় তারা নানা প্রকার যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছেন।
কিন্তু শীতপ্রধান দেশগুলির বিষয়টা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ উল্টো। ঐসব দেশে ছেলেদের যৌন পরিপক্কতা আসে অনেক দেরিতে, অনেকের ১৬-১৮ বছর হয়ে যায়। তাছাড়া তারা যে কারো সাথে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকার কারণে হস্তমৈথুন ততটা করে না। তাই তারা এর জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় না বললেই চলে। তাই আপনাদের অবশ্যই এ বিষয়টা বুঝতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে যে থিওরি তাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন তা আমাদের দেশের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা যদি আমাদের দেশের ছেলেদের মত হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে এটা করতে থাকত তাহলে তারাও এর কুফল গুলির সম্মুখীন হত।
পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো
- পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।
- আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।
- অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। )
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়।
হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়
হস্তমৈথুনের ফলে পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ – বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় । মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয় । আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয় Leakage of semen । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে কষ্ট হয়। সর্বশেষে পুরোপুরি যৌন ক্ষমতায় অক্ষম হয়ে যাবেন এক সময়। তাই এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে ট্রিটমেন্ট নিন। দেখবেন অল্প কিছু দিনের চিকিত্সায় মন থেকে হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর হয়ে আপনি চিরদিনের মত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার