মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার চিকিৎসা আছে - এই সত্যটি এই আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগেও অনেক শিক্ষিত তরুণরাও জানে না। এর প্রধান কারণ হলো তরুণরা যখন এই সমস্যায় আসক্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ এটি না করে একদিনও থাকতে পারে না তখন এর ট্ৰিটমেন্টের জন্য তারা এলোপ্যাথি ডাক্তারদের কাছে যায়। অথচ পুরু এলোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে স্ত্রীরোগ এবং পুরুষের যৌনরোগেরই কার্যকর কোন চিকিৎসা নাই। আর এই কারণে এই সকল সমস্যায় স্বয়ং এলোপ্যাথি ডাক্তারগণও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের কাছে সেই একই রোগ নিয়ে গেলে তারা কয়েকযুগ আগের মেডিক্যাল থিওরি (বর্তমানে অকার্যকর) শুনিয়ে রোগীদের বুঝিয়ে টাকাটা ঠিকই নিয়ে নেয়। কিন্তু সমস্যাটি নির্মূলের জন্য আদৌ কোন কার্যকর ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না।
এলোপ্যাথিতে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন আসক্তির চিকিৎসা
মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি নিয়ে যখন কোন তরুণ এলোপ্যাথি ডাক্তারদের কাছে যায় তখন তারা সরাসরি এর চিকিৎসা দেয় - আপনি বিয়ে করুন অথবা এক গাদা অকার্যকর নিয়ম কানুন ধরিয়ে দিয়ে বলে এই গুলি মেনে চলুন, অথচ হস্তমৈথুনের আসক্তির অবস্থায় এই সব নিয়ম কানুন প্রায় সবই অকার্যকর সেটা তারা নিজেরাই জানে। অনেক ডাক্তার এই যুগেও এটিকে সরাসরি মানুসিক রোগ বলেই চালিয়ে দেয়। অথচ শরীরে যেকোন রোগ হলে সেটা মন মানুষিকতার উপর প্রভাব ফেলবে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেমন ধরুন আপনার জ্বর আসল, জ্বর আসলে আপনার মন মানুষিকতাও ভালো থাকবে না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু জ্বর তো আর মানুষিক রোগ নয়।
এলোপ্যাথি ডাক্তাররা যখন দেখলো সারা বিশ্বে কোটি কোটি তরুণ শুধুমাত্র হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমেই মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে এখন তারা বলে বিয়ে করে ফেলুন। বাহ্ কি চমৎকার চিকিৎসা !! এখন এলোপ্যাথি ডাক্তারেরদের সেই সব ভুয়া কথাবার্তা জনগণ আর খায় না। কারণ মানুষ বাস্তব প্রমানকেই গুরুত্ব দিবে এটাই স্বাভাবিক।
হোমিওপ্যাথিতে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন আসক্তির চিকিৎসা
আপনি এই আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগেও দেখবেন - অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষিত নামধারী কিছু মূর্খ রয়েছে যারা ইন্টারনেট সার্চ করে এলোপ্যাথদের আদি যুগের কিছু থিওরী টেনে বলবে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার কোন ঔষধ নেই। এটা একটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আধুনিক হোমিওপ্যাথির ডাক্তার হাসান-ই প্রায় ২০ হাজারের বেশি তরুণদের প্রপার ট্রিটমেন্ট দিয়ে তাদের মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করেছেন। যদি ঔষধ না থাকতো তাহলে তিনি সেটা করলেন কি করে ?
একটা বিষয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না - আল্লাহ পাক যেমন রোগ দিয়েছে তার চিকিৎসাও দিয়ে রেখেছেন। হয়তো সেটা, এলোপ্যাথিতে না থাকলে হোমিওপ্যাথিতে আছে বা আয়ুর্বেদ বা অন্য কোন চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছে। কিন্তু আপনি একটি ছাড়া বাকিগুলি বিশ্বাসই করলেন না - এটা আপনার দোষ, আল্লাহ পাকের কোন দোষ নেই। আর শেষ বিচারের দিন আল্লাহকে কেউ এই কারণেই দোষ দিতে পারবে না।
এদেশে চিকিৎসার কিছু বাস্তবরূপ
আরেকটি বিষয় হলো - কিছু দিন আগে দেশের একজন নামকরা ডার্মাটোলোজিস্টকে বলতে শুনেছি যে - এই দেশের অনেক বড় বড় হাসপাতালে চাকরি করেন এমন অনেক বড় মাপের ডাক্তারদের ৬০% ই নাকি হাতুড়ে চিকিৎসক। অর্থাৎ নানা প্রভাব খাটিয়ে চাকরী নেয় এবং প্রমোশন নেয় কিন্তু রোগীকে যেখানে যে চিকিৎসা দেয়া দরকার সেখানে সেই প্রপার ট্রিটমেন্টটা তারা দিতে পারে না। তাই রোগীরা সুস্থ না হয়ে একবার এই ডাক্তার আরেকবার ঐ ডাক্তার এই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে একসময় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে একজন হোমিও চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন অথবা চিকিৎসা নিতে বিদেশ চলে যান । যাই হোক, এটা হলো এ দেশের বড় বড় এলোপ্যাথি ডাক্তারদের অবস্থা। তাহলে আরো যারা আছেন, যারা ফাঁস প্রশ্নপত্র দিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং ঔষধ কোম্পানির তৈরী করা লেকচার শীট মুখুস্ত করে করে ডাক্তারি পাশ করেন তাদের অবস্থা কোথায় একবার ভেবে দেখুন। দেশের বাহিরে কি রোগীরা চিকিৎসা নিতে এমনি এমনি যায় ??
হোমিওতে পাশ করা আর চিকিৎসা দেয়া এক জিনিস নয়
ও হ্যা, আপনার এটাও জানা দরকার, আমাদের দেশে যেখানে এলোপ্যাথির এই অবস্থা সেখানে হোমিওপ্যাথির কি অবস্থা হতে পারে একবার ভেবে দেখুন। মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করা বহু হোমিও ডাক্তার রয়েছে যারা চিকিৎসাই দিতে জানে না। কারণ হোমিওতে পাশ করা আর চিকিৎসা দেয়া এক জিনিস নয়। অথচ হোমিওপ্যাথিই একমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞান যেখানে সর্বাধিক রোগের পারফেক্ট ট্রিটমেন্ট রয়েছে। রোগ যদি ভালো না হয় সেটা ডাক্তারের দোষ, ডাক্তার পরিবর্তন করুন। তবে এটাও আপনার মনে রাখা উচিত অনেক অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারও যদি ১০০/২০০ টা ট্রিটমেন্ট দেয় তার ক্ষেত্রেও ২/১টি ট্রিটমেন্ট ফল করা অস্বাভাবিক কিছু নয় কারণ সে ফেরেস্তা নয় সেও মানুষ।
ভালো হোমিও ডাক্তার চিনবেন কিভাবে
যখন কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যাবেন তখন আপনি যদি দেখেন সে আপনাকে হারবালদের মতো পেটেন্ট ঔষধ বা ডিব্বা, হালুয়া ধরিয়ে দিচ্ছে তখন বুঝবেন সে হোমিও ডাক্তার নামের কলঙ্ক। সে আপনাকে কিছু দিনের জন্য উপশম করতে পারবে কিন্ত স্থায়ী ভাবে আরোগ্য করতে পারবে না। গুরু হ্যানিম্যান এই প্রকারের হোমিও ডাক্তারকে জারজ বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের অনেক হোমিও ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি হার্বালদের সাথে প্রতিযোগিতা দিতে গিয়ে হোমিও নাম দিয়ে সেই প্রকার ঔষধ বানিয়ে চলছে। আর যে সব ডিগ্রীধারী হোমিও ডাক্তাররা চিকিত্সা দিয়ে জানে না তারাই ঐসব ঔষধ দিয়ে তাদের ফার্মেসী ভরে রাখে। তাদের পরিহার করুন। এই সকল হোমিও ডাক্তাররা মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি কেন কোন রোগেরই প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে জানে না। আর এ ক্ষেত্রে লোকজন ডাক্তারকে দোষ না দিয়ে উল্টো হোমিওপ্যাথিকে দোষ দেয়।
মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের ক্ষতি
অনেক পুরুষ অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত কারনে তাদের লিঙ্গে দুর্বলতা অনুভব করেন। এটার প্রধান কারন অল্প বয়সে হস্তমৈথূন্য শুরু করা। যারা অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্য করেন তারা বিয়ের পর সংসার জীবনে নানান জটিলতায় ভুগে থাকেন। এমনকি অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্যের ফলে লিঙ্গের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় বলে লিঙ্গের আকার ছোট থেকে যেতে পারে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্যের ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল:
- শাররীক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা।
- যৌন ক্রিয়ায় সাথে জড়িত স্নায়তন্ত্র দুর্বল করে দেয় অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থতি সৃষ্টি করে
- শরীরের অন্য অঙ্গ যেমন হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে
- দৃষ্টি শক্তি দুর্বল করে দেয় এবং মাথা ব্যাথা সৃষ্টি করে
- হৃদকম্পনে দ্রুততা আসে এবং অনেকে নার্ভাস ফিল করতে পারেন
- ব্যক্তি কোনো কঠিন শারীরিক বা মানসিক কাজ এর অসমর্থ। তিনি সাধারণত নির্জনতায় থাকতে চেষ্টা করে এবং তার জ্ঞান বৈকল্য হয়।
- দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য।
- প্রায় প্রতি তিনজনের একজন পুরুষ যারা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য করেন তারা নারী সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনের সময় লিঙ্গথ্থান বা ইরিটিক্যাল ডিসফাংশান সমস্যায় ভোগেন।
তাই কারো এই সমস্যা থাকলে অতি দ্রুত রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। দেখবেন মন থেকে এই আসক্তি দূর হয়ে গেছে এবং মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সংক্রান্ত যাবতীয় কুফলও দূর হয়ে গেছে।