রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন

সমগ্র বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কদর দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা যে ক্রনিক ডিজিস এবং দুরারোগ্য ব্যাধিগুলি পুরুপুরি সারাতে পারে না তার অধিকাংশগুলিই হোমিও চিকিৎসায় দূর করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদ, ইউনানীসহ আরো কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।  আপনার এও জানা দরকার পৃথিবীতে শুধু এলোপ্যাথিক ঔষধই একমাত্র চিকিৎসার জন্য ঔধষ নয়। রয়েছে আরো বহু অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অল্টারনেটিভ মেডিসিন। কিন্তু পুঁজিবাদী কোম্পানিগুলি একমাত্র এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রি করেই মোটা অংকের টাকা তাদের পকেটে ঢুকাতে পারে বলে অন্য সবগুলি থেকে মানুষকে তারা প্রচার প্রচারণা করে ফিরিয়ে রাখে। পৃথিবীতে আরো কি কি অল্টারনেটিভ মেডিসিন আছে তা একবার দেখে নিন এখান থেকে >>>। জানি এটা দেখার পর আপনার চিন্তা চেতনায় একটা নাড়া দিবে! তাহলে এতো মানুষ মরছে কেন দুরারোগ্য রোগে ? জি স্যার, এতে যারা আপনাকে শোষণ করে চলেছে তাদের যেমন দোষ আছে সাথে সাথে আপনারও দোষ রয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে যারা বেঁচে যাচ্ছেন তারা নিজের প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের কারণে যেকোনো সমস্যার জন্য এর সঠিক সমাধানের উপায়টি খুঁজে বের করতে পারেন।

পৃথিবীতে আল্লাহ রোগ দিয়েছেন এবং সাথে তার আরোগ্যের উপায়ও দিয়েছেন। আপনি জ্ঞান অর্জন করেননি, আপনার সমস্যার সমাধান নিয়ে পড়াশোনা করেননি, রোগে আক্রান্ত হলে বা সমস্যায় পড়লে সমস্যাটি সমাধান করার সঠিক উপায় কি সেটা খুঁজে বের করেন নি - এটা আপনার ব্যর্থতা। তাই শেষ বিচারে দিন কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে দোষ দিতে পারবে না। কেউ বলতে পারবে না যে - তুমি শধু আমায় সমস্যাই দিয়েছ কিন্তু এর সমাধানের উপায় দাও নি। আপনার রোগ হল আর আপনি শুধু এলোপ্যাথির পেছনে দৌড়াচ্ছেন। অথচ এই এলোপ্যাথি ৩০-৪০% এর বেশি ক্রনিক রোগের স্থায়ী এবং পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন কোন কার্যকর ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। আপনাকে অনেক ক্রনিক রোগের জন্যই সারা জীবন ঔষধ খাওয়াবে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আর ঔষধ কোম্পানি থেকে ডাক্তাররা কমিশন খেয়ে যাবে, মাঝে থেকে আপনার পটেকের টাকা মাসের পর মাস ধরে তাদের পকেটে যাবে - এটাই পুঁজিবাদীদের চালাকি। আর এই কারণেই এটি সর্বাধিক সীকৃত।

অথচ একটু খুঁজে দেখলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার রোগের স্থায়ী সমাধান রয়েছে অন্য একটি অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তবে এটাও সত্য যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি বেশ কার্যকর। এই যেমন সার্জারি বা অপারেশনের সময় এলোপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ এবং মরণাপন্ন যেকোন রোগীকে ইনস্ট্যান্ট সাপোর্ট দিতে এলোপ্যাথিক ঔষধ বেশি কার্যকর, যদিও এটি সব ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু ক্রনিক ডিজিস সারানোর ক্ষেত্রেও  এলোপ্যাথি খুব বেশি সাপোর্ট দিতে পারে না, এক্ষেত্রে সারা জীবন এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে যেতে হয়। কিন্তু সেই একই ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ৯০% সাপোর্ট দিবে আপনাকে, আর কয়েক মাসের চিকিৎসায় ভালো হয়ে যাবেন অর্থাৎ সারা জীবন ঔষধ খেয়ে যেতে হচ্ছে না আপনাকে। এর থেকে আর কি ভালো সুফল হতে পারে।

একটা বিষয় সকলেরই জানা উচিত সব চিকিৎসা শাস্ত্রেরই কদর রয়েছে কারণ একটি মাত্র চিকিৎসা শাস্ত্র দিয়ে সব রোগের নির্মূলকারী চিকিৎসা সম্ভব নয়। যদিও এলোপ্যাথিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলি তাদের এক চেটিয়া ব্যাবসা ধরে রাখার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির ক্রমাগত দুর্নাম করেই চলেছে। অথচ স্বয়ং এলোপ্যাথিই ৩০-৪০% এর বেশি রোগের কার্যকর এবং পুরুপুরি নির্মূলকারী ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। বাকি রোগগুলির জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি থেকে কমিশন খাবে সাথে সাথে আপনাকে সেই কোম্পানির ঔষধ সারা জীবনই খাওয়াবে আর আপনার পকেটের টাকা সারা জীবন ধরেই তাদের পকেটে ঢুকাবে, হ্যা এটাই এখন আইন, এটাই এখনকার বাস্তবতা। আর সাথে এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো ফ্রিতেই পাচ্ছেন। ভুলে যাবেন না সাধারণ প্যারাসিটাল ট্যাবলেটেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশ্বাস না হলে প্যারাসিটালের প্যাকেটের সাথে যে কাগজ দেয় সেটি একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখবেন। মাথা আপনার নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার এটিও জানা উচিত প্রতিটি এলোপ্যাথিক ঔষধই পরীক্ষা করা হয় প্রথমে ইতর শ্রেণীর প্রাণীর উপর এই যেমন - ইঁদুর, শূকর ইত্যাদি। এর মাধ্যমেই এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধ করা হয়। আর অন্যদিকে প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পরীক্ষা করা হয়েছে সরাসরি একজন একেবারে স্বাস্থবান সুস্থ মানুষের উপর প্রয়োগ করে। তাই তো হোমিওপ্যাথি এতো কার্যকর আর হোমিও ডাক্তারগণ ও পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা দিতে পারেন।
এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন
এবার আসুন অল্টারনেটিভ চিকিৎসা শাস্ত্রের দিকটা নিয়ে আরেকটু ভিতরে ঢুকি। অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হোমিওপ্যাথি দিয়েই ৯০% রোগের স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব। তাও আপনাকে ক্রনিক রোগের ক্ষত্রে হয়তো ৬-৮ মাসের মতো ঔষধ খাওয়া লাগতে পারে বা বড়জোর এর চেয়ে কয়েক মাস বেশি সময় লাগতে পারে। যেখানে এলোপ্যাথিতে সেই একই রোগের কোন চিকিৎসা পর্যন্ত নেই। এলোপ্যাথিক ডাক্তার যখন ঔষধ প্রযোগ করে কাজ করাতে পারেন না তখন সেটা সার্জারিতে ট্রান্সফার করেন এবং অপারেশন করে আপনার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বলে দিবে তিন মাসের বেশি বাঁচবেন না (যেমন মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার)। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা সেই জটিল রোগকেই সারিয়ে তুলছে স্থায়ীভাবে। এর প্রমান আপনার আশেপাশেই পাবেন ভুরি ভুরি। তাই এটি নিয়ে আর বিস্তারিত বললাম না।

আমার কথাগুলি শুনে অবাক হলেন অনেকেই - তাই না। আসুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্লেষণ করি। ধরুন, একজনের একটা কিডনি ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে গেছে। এলোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে গেলেন তারা আপনাকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাবে অর্থাৎ আপনারটা ফেলে দিয়ে আরেকটি লাগবে। এই অপারেশনের জন্য টাকার পরিমানটা কত হতে পারে আর কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। তো কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেন - স্যার, এখানেই শেষ হয়। সমস্যার মাত্র শুরু। আপনার বাড়িতে একজন অপরিচিত লোক আসলে আপনি যেমন তাকে সাথে সাথেই আপন করেন নিবেন না সেই রকম, যখন আরেকজনের কিডনি আপনার শরীরে বসানো হবে আপনার শরীরও তাকে আপন করে নিবে না। আপনার শরীরের সাথে তাকে খাপ খাওয়ানোর জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আপনাকে ক্রমাগত ঔষধ খাওয়াতে থাকবে। এবার টাকার অংকটা আরেকবার যোগবিয়োগ করে দেখুন।

এবার আসুন পৃথিবার সর্বশ্রেষ্ঠ অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিপ্যাথিতে এর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি। এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আপনার নিজের কিডনিটিই ফেলে দিলো। আর হোমিও ডাক্তাররা আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটিই ঠিক করে দিবে। এর জন্য হয়তো অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসক আপনাকে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি হলে ৮/১০ মাস ঔষধ খাওয়াবে। আর এই চিকিৎসাতেই আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটি নতুন করে আপনার সচল হয়ে উঠবে। এর জন্য আপনাকে বাড়িঘর, জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে অপারেশন করতে হচ্ছে না, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হচ্ছে না আর  আপনাকে সারা জীবন ঔষধও খেয়ে যেতে হচ্ছে না ।

আজকাল শিক্ষিত অনেক লোককেই দেখা যায় তাদের শিক্ষা দীক্ষা ফলাও করার জন্য কোন রোগের জন্য কোথায় যাবে হরহামেশাই পরামর্শ দিচ্ছেন মানুষকে। এই যেমন
  • আপনার স্কিন ডিজিস (কিছু সেক্সের রোগের ক্ষেত্রেও) - আরে ভাই ভাল একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার কিডনির সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন নেফ্রোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার হেপাটাইটিসের সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন হেপাটোলজিস্ট দেখান। 
  • আপনার পেটে সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট দেখান। 
  • ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
এবার আসুন আমার শিক্ষিত ভাই, নতুন করে আজকে কিছু বিষয় শিখে নিন। আরেকজনের উপকার না করতে পারলেও অন্তত নিজের জীবনটা ভালো রাখতে পারবেন। আপনি হয়তো জানেন না -
  • এলোপ্যাথিক নেফ্রোলজিস্ট এর হাতে কিডনি সমস্যা নির্মূলের জন্য পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। আর চিকিৎসাও অনেক ব্যয়বহুল। 
  • এলোপ্যাথিক ডার্মাটোলজিস্ট এর হাতে অনেক চর্ম রোগ সারানোর মতো পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। জেনে রাখা ভালো ৩০% এলার্জির কারণ কি এটাই এখন পর্যন্ত এলোপ্যাথি আবিষ্কার করতে পারেনি - ট্রিটমেন্ট দিবে তো দূরের কথা। এ জন্য দেখবেন এলার্জির ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ঔষধ খেলে আপনি কিছু দিন ভালো থাকবেন আর বাদ দিলে কিছু দিন পর আবার রোগের শুরু। অর্থাৎ কার্যকর চিকিৎসা নেই।
  • এলোপ্যাথিক হেপাটোলজিস্ট এর হাতে হেপাটাইটিসের সমস্যা নির্মূলের জন্য খুব বেশি মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। 
  • এলোপ্যাথিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এর হাতে পেটের সমস্যা নির্মূলের জন্য কার্যকর মেডিসিন নেই। সাধারণ একজন গ্যাসের রোগীকেই তারা সারা জীবন ভর ঔষধ খাওয়ায়। বাকিগুলির কথা নাইবা বললাম। 
  • মহিলাদের সমস্যাগুলিতে এলোপ্যাথিক তেমন ভালো কোন চিকিৎসা নেই বললেই চলে। 
  • পুরুষের যৌন সংক্রান্ত sexually transmitted diseases (STD) ছাড়া দ্রুত বীর্যপাত (Premature ejaculation (PE)), Erectile dysfunction (ED), লিঙ্গ উত্থান সমস্যা, যৌন অক্ষমতায় বলতে গেলে এলোপ্যাথিতে ভালো এবং স্থায়ী কোন চিকিৎসাই নেই। তাই তারা এটাকে মানুষিক সমস্যা বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু নিজের সমস্যা হলে গোপনে গোপনে ঠিকই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যায়। এটাই বাস্তবতা।
এই সব সেকশনের এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় বেশ পারদর্শি কিন্তু রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ঔষধ নেই। যার কারণে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ যেখানে রোগের কারণ খুঁজে খুঁজে হয়রান সেইখানে যেকোন অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তার আপনার চারিত্রিক, মানুষিক আর রোগের লক্ষণ দেখেই তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শধু মাত্র ঔষধ প্রয়োগ করেই আপনাকে সুস্থ করে তুলছে। কারণ হোমিওপ্যাথিতে প্রতিটি রোগের জন্য রয়েছে অজস্র ঔষধ। তবে এর জন্য দরকার হোমিও ডাক্তারের ব্যাপক পড়াশোনা আর বাস্তব অভিজ্ঞতা।

কিন্তু আমাদের দেশে কিছু হোমিও ডাক্তারের বোকামির জন্য অনেক সময় পুরু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসারই বদনাম হচ্ছে। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে কিছু দিন হলো এক মহিলা চিকিৎসক সাজানো গুছানো চেম্বার খুলে বসেছেন। তার ডিগ্রিগুলি দেখুন -

০১. ডিএইচএমএস (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স)। এটি আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। ডাক্তার হতে চাইলে এই খানে আপনাকে ৪ বছর সময় দিতেই হবে। একজন প্রফেশনাল হোমিও চিকিৎসকের ডিপ্লোমা বা স্নাতক যেকোন ডিগ্রি থাকলেই ডাক্তারি করতে পারবেন তাতে সমস্যা নেই। তাছাড়া একথা সত্য যে - এ দেশের বড় বড় হোমিও ডাক্তারের ৯৮% ই ডিএইচএমএস অর্থাৎ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী, যদিও পরে অনেকেই স্নাতক এবং অনেকে এমডিও করে নিয়েছেন।

০২. পিডিটি (১ বছর মেয়াদি হোমিও মেডিসিনের উপর একটা কোর্স), এটা বেশ ভালো একটি বিষয় যদিও এটি মেডিকেল কলেজে করানো হচ্ছে কিন্তু হোমিও বোর্ড স্বীকৃত নয়। তবে প্রোফেসনাল হোমিও চিকিৎসকদের মেডিসিনের উপর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটা করা ভালো।

০৩. এমডি (ইন্ডিয়া থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত - ঐ মহিলা ডাক্তারের সাইন বোর্ডে লেখা আছে)

আসুন এই ডিগ্রিটি নিয়ে আগে আলোচনা করি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়েও করানো হয় এবং এটিও কিছুটা দীর্ঘ মেয়াদি উচ্চতর একটি কোর্স। যেখানে নিয়মিত পড়াশোনাও করতে হবে আপনাকে। আর এটি করার নম্বর ওয়ান শর্ত হলো এর পূর্বে স্নাতক ডিগ্রি অর্থাৎ বিএইচএমএস ডিগ্রি লাগবে। লিংকটিতে ক্লিক করুন >>>
কিন্তু আমাদের এলাকার ঐ মহিলা ডাক্তারের ইন্ডিয়া থেকে এই ডিগ্রি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা তাও আবার তাকে সম্ভবতো ১ বারের বেশি সেখানে যেতে হয়নি। তিনি ভেতরে প্রিন্ট করে বিশাল এক সনদপত্র ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ তিনি স্নাতক অর্থাৎ বিএইচএমএস করেননি। তিনি পাবলিককে এতটাই বোকা ভেবেছিলেন যে - নিজেই ধরা খেয়ে গেলেন। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী লোক, নামের সাথে এমডি ডিগ্রি ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর সত্যতা প্রমান করার জন্য ইন্ডিয়ার শিয়ালদহের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্ট করা কাগজপত্র বাঁধাই করে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তিনি হয়তো নিজেও জানেন না হোমিওতে এমডি করতে হলে বিএইচএমএস বাধ্যতামূলক থাকতে হবে যেটি তার নেই। কারণ এক্ষেত্রে ডিপ্লোমার পর পিডিটি কোর্স করে এমডি করা কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ই এলাও করে না। 
বলে রাখা ভালো। এটি হল সামান্য হোমিওর বিষয়। বলতে শোনা যায় এমন কিছু  বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখান থেকে মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় ৩ ঘন্টায় পিএইচডি ডিগ্রিও নাকি কেনা যায়।

আগের বিষয়ে আবার আসি। ঐ মহিলা ডাক্তার নামের আগে প্রভাষকও ব্যাবহার করছেন। তিনি নরসিংদী হোমিও কলেজের প্রভাষক। তো সারা মাস পড়ে থাকেন ঢাকায় ওনার চেম্বারে। বুঝেন ঠেলা। কোথাকার প্রভাষক আর কিসের প্রভাষক !!!??

এই রকম কিছু ডাক্তার রয়েছে যারা ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। ডিগ্রির বাহার দেখে লোকজন তাদের কাছে যায় আর রোগ ভালো না হলে দোষ দেয় হোমিওপ্যাথিকে। হোমিওপ্যাথির বেলায় ডাক্তারের কোন দোষ নাই। কারণ ঐ যে ডিএইচএমএস, পিডিটি, এমডি, উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইন্ডিয়া থেকে, প্রভাষক.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি। তাই ডাক্তারের দোষ নাই, হোমিওপ্যাথিরই দোষ। অথচ আমার জানা মতে এ দেশের শুধু মাত্র ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স) বহু চিকিৎসক আছেন যারা ঐ বিষেয় স্নাতক আর এমডি করা ডাক্তারের থেকেও অনেক ভালো এবং উন্নত চিকিৎসা দিতে পারেন এবং দিয়ে থাকেন। কারণ যারা এই ডিএইচএমএস  কোর্সটি করেন তারা অনেকেই নিজের বাপ্ দাদা থেকেও ব্যাপক ডাক্তারি জ্ঞান লাভ করেন। কারণ হোমিওতে ডাক্তারি পাস্ করা সহজ কিন্তু ডাক্তারি করা ভীষণ কঠিন। আবার দেখা যায় - যারা এই শাস্ত্রে টানা ১০/১২ বছর নিষ্ঠার সাথে শ্রম এবং সময় দেন তারা অনেকেই ভালো ডাক্তার হয়ে উঠেন। জগতে কোন অর্জনই সহজে আসে না। সব কিছুতেই সময় এবং শ্রম দিতে হয়। এই যেমন চার পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়ার পর এক বছর ইন্টার্নি করতে হয়। তবে এই একবছরের প্রাকটিস আর ৮/১০ বছরের প্রাকটিস কি কখনো সমান হতে পারে ?

তাই ডিগ্রির বাহার আর প্রভাষক টাইটেল দেখেই হোমিও বা এলোপ্যাথ কোন ডাক্তারদের চেম্বারেই  দৌড়াবেন না। আগে খুঁজখবর নিয়ে দেখবেন তার চিকিৎসার সাকসেস রেট কেমন, ডিগ্রি তার যেমনই হোক না কেন ? কারণ হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রভাষকই কলেজে একপ্রকারে পড়াতে পারেন কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে ততটা ভালো নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়। এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নেয়ার আগে কিছুটা খুঁজখবর নিলেই আপনি বুঝে যাবেন কখন কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ যিনি সুচিকিৎসা দেন তার অবশ্যই একটা সুনাম থাকে।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf, হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download,  ইন্টারনেট থেকে অনেকেই হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকাসহ অন্যান্য হোমিও চিকিৎসা বই pdf আকারে ডাউনলোড করতে চান। যারা এমনটি করতে চান তাদের ৮০% ই ঘরে বসে ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করতে চান। কিছু মানুষ আছে যারা বই দেখে বা ঔষধ কোম্পানির তৈরী করা ঔষধের বিবরণ দেখে দেখে ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজের বারোটা বাজাবে অথচ ডাক্তারের কাছে যাবে না। এই প্রকারের লোকজন খুব বেশি স্বাস্থ ঝুঁকিতে পড়ে।

তাদের হয়তো জানা দরকার হোমিওপ্যাথি আর এলোপ্যাথি এক জিনিস নয়। আর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পারসন টু পারসন ভেরি করে। তাই কখন, কোন অবস্থায়, কার জন্য কোন ঔষধটি এবং ঔষধের কোন শক্তিটি দরকার এবং প্রপারলি চিকিৎসাটি কিভাবে দিতে হবে সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download
কিন্তু আমাদের দেশে এমন অনেক পাবলিক আছে যারা বই দেখে হোমিও চিকিৎসা দেয়। কিছু কিছু লক্ষণ সাদৃশ্যের কারণে দু'একটি ক্ষেত্রে কিছু তরুণ রোগ ভালো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের প্রয়োগকৃত ঔষধ কাজই করছে না আর ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রেতো কথাই নেই। আর তখন সব দোষ হোমিওপ্যাথির। তখন তারা হোমিওপ্যাথির চৌদ্দগুষ্ঠিকে উদ্দার করতে দ্বিধাবোধ করেন না। অথচ নিজে একবারও চিন্তা করেন না যে তিনি যা করছেন সেটা একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের কাজ, যিনি বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে এবং সাধনা করে জ্ঞান লাভ করেছেন।

এই কথাগুলি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা প্রয়োজন ছিল বলেই বললাম। এবার আসুন মূল বিষিয়ে।  এই আধুনিক যুগে অনেক হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টরাও ইন্টারনেট থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf আকারে সংগ্রহ করে থাকেন পড়াশোনা করার জন্য। এটা তাদের ক্ষেত্রে কাজে লাগে পুরুপুরিই। কিন্তু অধিকাংশ বই আপনি বিনা মূল্যে পাবেন না। কিছু কিছু বই হয়তো ফ্রি পেতে পারেন যা সময়ে সময়ে আপনার কাজে লাগতে পারে। তাই যারা স্টুডেন্ট তারা এই লিংক >>> থেকে কিছু ফ্রি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই  পিডিএফ (PDF) আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে পারেন। ধন্যবাদ। 
বিস্তারিত

বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮

অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ১০০% কার্যকর চিকিৎসা

অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের শতভাগ কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান স্বল্পতা এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজ কতৃক বিভিন্ন ভুলত্রুটির ফলে পরবর্তীতে যৌনস্বাস্থ্য জনিত নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা মূলত মেহ, প্রমেহ, ধাতুঝরা, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয় রোগ নামে পরিচিত । উক্ত রোগটি সরাসরি বা তৎক্ষণাৎ ভাবে শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় উক্ত রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি সহজে তেমন কিছু অনুভব ও করতে পারে না, কিন্তু উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা সম্পুর্ন নষ্ট করে দেয় ।

এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং আমাদের দেশে পুরুষ সমাজের অনেকেই উক্ত রোগের ভুক্তভোগী । আর তাই, আজ আমরা আলোচনা করছি – পুরুষ মানবদেহে উক্ত রোগসমূহ সৃষ্টির কারন, লক্ষন এবং শতভাগ কার্যকরী সমাধানসমূহ সহ পুর্ন বিস্তারিত গাইডলাইন ।
অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ১০০% কার্যকর চিকিৎসা

কারণসমূহ 

আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে উক্ত সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারণই হল যৌবনকালের শুরুতে অধিক পরিমানে হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে যৌনতা বিষয়ক অধিক বেশী চিন্তা করা, অধিক বেশী পর্ণ দেখা, অতিরিক্ত বেশী যৌন মিলন করা সহ অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌনাচার উক্ত রোগসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টির অন্যতম কারন হিসাবে বিবেচিত । পাশাপাশি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ, অতিরিক্ত মানুষিক দুঃশ্চিন্তা, হজমের গন্ডগোল, শারীরিক পুষ্টির অভাব সহ অন্যান্য আরো নানবিধ কারনে উক্ত সমস্যাসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টি হতে পারে ।

লক্ষণসমূহ

  • উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়।
  • রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শক্তিহীন ভাব প্রকাশ পেতে থাকে।
  • দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে।
  • দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত।
  • রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
  • দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
  • আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়।
  • পেনিস বা পুরুষাঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়
  • প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়
  • সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।
  • পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
  • স্মরণশক্তি কমে যায় এবং বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়।

কার্যকর সমাধান বা চিকিৎসা

পুরুষ মানবদেহের জন্য ক্ষয়জনিত সমস্যাসমূহ অত্যন্ত মারাত্মক হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই সকল সমস্যাসমূহের অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে, যা পরবর্তীতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দুর্বলতা সৃষ্টি সহ দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । আর এর থেকে মুক্তির জন্য সমগ্র পৃথির্বীতে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা হল হোমিওপ্যাথি। একমাত্র হামিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের যাবতীয় উপসর্গ দূর হয়ে রোগী নব যৌবন প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তবে এর জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। কারণ অনেক হোমিও ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণেও বহু রোগী আরোগ্য লাভ করে না। অথচ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে এর সবচেয়ে কার্যকর ঔষধ এবং রোগ নির্মূলকারী চিকিৎসা।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮

মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার চিকিৎসা আছে - জানেন কি ?

মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার চিকিৎসা আছে - এই সত্যটি এই আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগেও অনেক শিক্ষিত তরুণরাও জানে না। এর প্রধান কারণ হলো তরুণরা যখন এই সমস্যায় আসক্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ এটি না করে একদিনও থাকতে পারে না তখন এর ট্ৰিটমেন্টের জন্য তারা এলোপ্যাথি ডাক্তারদের কাছে যায়। অথচ পুরু এলোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে স্ত্রীরোগ এবং পুরুষের যৌনরোগেরই কার্যকর কোন চিকিৎসা নাই। আর এই কারণে এই সকল সমস্যায় স্বয়ং এলোপ্যাথি ডাক্তারগণও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের কাছে সেই একই রোগ নিয়ে গেলে তারা কয়েকযুগ আগের মেডিক্যাল থিওরি (বর্তমানে অকার্যকর) শুনিয়ে রোগীদের বুঝিয়ে টাকাটা ঠিকই নিয়ে নেয়। কিন্তু সমস্যাটি নির্মূলের জন্য আদৌ কোন কার্যকর ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না।

এলোপ্যাথিতে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন আসক্তির চিকিৎসা 

মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি নিয়ে যখন কোন তরুণ এলোপ্যাথি ডাক্তারদের কাছে যায় তখন তারা সরাসরি এর চিকিৎসা দেয় - আপনি বিয়ে করুন অথবা এক গাদা অকার্যকর নিয়ম কানুন ধরিয়ে দিয়ে বলে এই গুলি মেনে চলুন, অথচ  হস্তমৈথুনের আসক্তির অবস্থায় এই সব নিয়ম কানুন প্রায় সবই অকার্যকর সেটা তারা নিজেরাই জানে। অনেক ডাক্তার এই যুগেও এটিকে সরাসরি মানুসিক রোগ বলেই চালিয়ে দেয়। অথচ শরীরে যেকোন রোগ হলে সেটা মন মানুষিকতার উপর প্রভাব ফেলবে সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেমন ধরুন আপনার জ্বর আসল, জ্বর আসলে আপনার মন মানুষিকতাও ভালো থাকবে না এটাই স্বাভাবিক কিন্তু জ্বর তো আর মানুষিক রোগ নয়।
 মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার চিকিৎসা আছে - জানেন কি ?
এলোপ্যাথি ডাক্তাররা যখন দেখলো সারা বিশ্বে কোটি কোটি তরুণ শুধুমাত্র হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমেই মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে এখন তারা বলে বিয়ে করে ফেলুন। বাহ্ কি চমৎকার চিকিৎসা !! এখন এলোপ্যাথি ডাক্তারেরদের সেই সব ভুয়া কথাবার্তা জনগণ আর খায় না। কারণ মানুষ বাস্তব প্রমানকেই গুরুত্ব দিবে এটাই স্বাভাবিক।

হোমিওপ্যাথিতে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন আসক্তির চিকিৎসা 

আপনি এই আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগেও দেখবেন - অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষিত নামধারী কিছু মূর্খ রয়েছে যারা ইন্টারনেট সার্চ করে এলোপ্যাথদের আদি যুগের কিছু থিওরী টেনে বলবে মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করার কোন ঔষধ নেই। এটা একটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আধুনিক হোমিওপ্যাথির ডাক্তার হাসান-ই প্রায় ২০ হাজারের বেশি  তরুণদের প্রপার ট্রিটমেন্ট দিয়ে তাদের মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি দূর করেছেন। যদি ঔষধ না থাকতো তাহলে তিনি সেটা করলেন কি করে ?
একটা বিষয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না - আল্লাহ পাক যেমন রোগ দিয়েছে তার চিকিৎসাও দিয়ে রেখেছেন। হয়তো সেটা, এলোপ্যাথিতে না থাকলে হোমিওপ্যাথিতে আছে বা আয়ুর্বেদ বা অন্য কোন চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছে। কিন্তু আপনি একটি ছাড়া বাকিগুলি বিশ্বাসই করলেন না - এটা আপনার দোষ, আল্লাহ পাকের কোন দোষ নেই। আর শেষ বিচারের দিন আল্লাহকে কেউ এই কারণেই দোষ দিতে পারবে না।

এদেশে চিকিৎসার কিছু বাস্তবরূপ 

আরেকটি বিষয় হলো - কিছু দিন আগে দেশের একজন নামকরা ডার্মাটোলোজিস্টকে বলতে শুনেছি যে - এই দেশের অনেক বড় বড় হাসপাতালে চাকরি করেন এমন অনেক বড় মাপের ডাক্তারদের ৬০% ই নাকি হাতুড়ে চিকিৎসক। অর্থাৎ নানা প্রভাব খাটিয়ে চাকরী নেয় এবং প্রমোশন নেয় কিন্তু রোগীকে যেখানে যে চিকিৎসা দেয়া দরকার সেখানে সেই প্রপার ট্রিটমেন্টটা তারা দিতে পারে না। তাই রোগীরা সুস্থ না হয়ে একবার এই ডাক্তার আরেকবার ঐ ডাক্তার এই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে একসময় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে একজন হোমিও চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন অথবা চিকিৎসা নিতে বিদেশ চলে যান । যাই হোক, এটা হলো এ দেশের বড় বড় এলোপ্যাথি ডাক্তারদের অবস্থা। তাহলে আরো যারা আছেন, যারা ফাঁস প্রশ্নপত্র দিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং ঔষধ কোম্পানির তৈরী করা লেকচার শীট মুখুস্ত করে করে ডাক্তারি পাশ করেন তাদের অবস্থা কোথায় একবার ভেবে দেখুন। দেশের বাহিরে কি রোগীরা চিকিৎসা নিতে এমনি এমনি যায় ??

হোমিওতে পাশ করা আর চিকিৎসা দেয়া এক জিনিস নয়

ও হ্যা, আপনার এটাও জানা দরকার, আমাদের দেশে যেখানে এলোপ্যাথির এই অবস্থা সেখানে হোমিওপ্যাথির কি অবস্থা হতে পারে একবার ভেবে দেখুন। মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করা বহু হোমিও ডাক্তার রয়েছে যারা চিকিৎসাই দিতে জানে না। কারণ হোমিওতে পাশ করা আর চিকিৎসা দেয়া এক জিনিস নয়। অথচ হোমিওপ্যাথিই একমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞান যেখানে সর্বাধিক রোগের পারফেক্ট ট্রিটমেন্ট রয়েছে। রোগ যদি ভালো না হয় সেটা ডাক্তারের দোষ, ডাক্তার পরিবর্তন করুন। তবে এটাও আপনার মনে রাখা উচিত অনেক অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারও যদি ১০০/২০০ টা ট্রিটমেন্ট দেয় তার ক্ষেত্রেও ২/১টি ট্রিটমেন্ট ফল করা অস্বাভাবিক কিছু নয় কারণ সে ফেরেস্তা নয় সেও মানুষ।

ভালো হোমিও ডাক্তার চিনবেন কিভাবে 

যখন কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যাবেন তখন আপনি যদি দেখেন সে আপনাকে হারবালদের মতো পেটেন্ট ঔষধ বা ডিব্বা, হালুয়া ধরিয়ে দিচ্ছে তখন বুঝবেন সে হোমিও ডাক্তার নামের কলঙ্ক। সে আপনাকে কিছু দিনের জন্য উপশম করতে পারবে কিন্ত স্থায়ী ভাবে আরোগ্য করতে পারবে না। গুরু হ্যানিম্যান এই প্রকারের হোমিও ডাক্তারকে জারজ বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশের অনেক হোমিও ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি হার্বালদের সাথে প্রতিযোগিতা দিতে গিয়ে হোমিও নাম দিয়ে সেই প্রকার ঔষধ বানিয়ে চলছে। আর যে সব ডিগ্রীধারী হোমিও ডাক্তাররা চিকিত্সা দিয়ে জানে না তারাই ঐসব ঔষধ দিয়ে তাদের ফার্মেসী ভরে রাখে। তাদের পরিহার করুন। এই সকল হোমিও ডাক্তাররা মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের আসক্তি কেন কোন রোগেরই প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে জানে না। আর এ ক্ষেত্রে লোকজন ডাক্তারকে দোষ না দিয়ে উল্টো হোমিওপ্যাথিকে দোষ দেয়।

 মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের ক্ষতি‬

অনেক পুরুষ অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত কারনে তাদের লিঙ্গে দুর্বলতা অনুভব করেন। এটার প্রধান কারন অল্প বয়সে হস্তমৈথূন্য শুরু করা। যারা অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্য করেন তারা বিয়ের পর সংসার জীবনে নানান জটিলতায় ভুগে থাকেন। এমনকি অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্যের ফলে লিঙ্গের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় বলে লিঙ্গের আকার ছোট থেকে যেতে পারে।

অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্যের ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল:
  • শাররীক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা। 
  • যৌন ক্রিয়ায় সাথে জড়িত স্নায়তন্ত্র দুর্বল করে দেয় অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থতি সৃষ্টি করে
  • শরীরের অন্য অঙ্গ যেমন হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে
  • দৃষ্টি শক্তি দুর্বল করে দেয় এবং মাথা ব্যাথা সৃষ্টি করে
  • হৃদকম্পনে দ্রুততা আসে এবং অনেকে নার্ভাস ফিল করতে পারেন
  • ব্যক্তি কোনো কঠিন শারীরিক বা মানসিক কাজ এর অসমর্থ।  তিনি সাধারণত নির্জনতায় থাকতে চেষ্টা করে এবং তার জ্ঞান বৈকল্য হয়। 
  • দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য।
  • প্রায় প্রতি তিনজনের একজন পুরুষ যারা অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য করেন তারা নারী সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনের সময় লিঙ্গথ্থান বা ইরিটিক্যাল ডিসফাংশান সমস্যায় ভোগেন। 
তাই কারো এই সমস্যা থাকলে অতি দ্রুত রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। দেখবেন মন থেকে এই আসক্তি দূর হয়ে গেছে এবং  মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন সংক্রান্ত যাবতীয় কুফলও দূর হয়ে গেছে। 
বিস্তারিত

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

যৌন মিলনের স্থায়ীত্ব বাড়াবো কি ভাবে?

একটি মানুষ যদি প্রতিদিন মিলন  করে তাহলে কি তার মিলনের স্থায়িত্ব বাড়ে? এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর সাথে নিয়মিত সহবাস করলে আস্তে আস্তে মিলনের সময়কাল বাড়বে। কিন্তু স্বামীর বয়স ৩০/৩৫ অতিক্রম করলে ধীরে ধীরে তার শরীরের সব কিছুরই কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তখন তাকে খাবার দাবারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি না দিলে ধীরে ধীরে যৌন দুর্বলতাও দেখা দিবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
যৌন মিলনের স্থায়ীত্ব বাড়াবো কি ভাবে?
আর থেকে পরিত্রাণে জন্য যাদের বয়স ৩৫ এর চেয়ে বেশি তারা প্রতি বছর কিছু দিন হোমিও ঔষধ বা বিশুদ্ধ আয়ুর্বেদিক ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে একটা বিষয়ে সাবধান থাকবেন - আজকাল বাংলাদেশে ইন্টারনেটে ১০০% প্রাকৃতিক, হারবাল ইত্যাদি লেভেল ব্যবহার করে মারাত্মক ক্ষতিকর ঔষধ বিক্রি করে চলেছে অনেকেই। এই সকল ঔষধ খেতে থাকলে এক সময় আপনি নিজেই যৌন ক্ষমতায় অক্ষম হয়ে যাবেন।

তবে আমি আপনাদের আরো একটি বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই আর সেটা হলো - প্রতিদিন ১টি করে ডিম খেয়ে যান দেখবেন অনেকটাই উপকার পাচ্ছেন।

বিস্তারিত

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

জীবনের প্রথম যৌন মিলন প্রসঙ্গে যা জানা জরুরী

যৌনতা জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে। তাই এই বিষয়ে লজ্জা পাবার কিছু নেই। বিশেষ করে জীবনের প্রথম যৌন মিলন প্রসঙ্গে। আমাদের সমাজে সাধারণত বিয়ের আগে যৌন মিলনকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না। আর যেহেতু যৌনতা বিষয়ে বিশেষ কথা বলতে আমরা অভ্যস্ত নই, তাই অনভিজ্ঞতার কারণে বেশিরভাগ নারী-পুরুষেরই প্রথম যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না।

জেনে রাখুন ৭টি বিষয়, যা জীবনের প্রথম যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কাজে আসবে আপনার।

১) যৌন মিলন খুবই স্বাভাবিক একটি শরীরবৃত্তীয় ব্যাপার, এটা নিয়ে ভয় বা সংকোচ করার কিছু নেই। প্রথম যৌন মিলনেই যে আপনার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স হবে, এমনটা ভাববেন না। এমনটা আশাও করবেন না। তবে হ্যাঁ, যত নার্ভাস হবেন, যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা তত খারাপ হবে। তাই প্রথম মিলনের আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত মানসিক প্রস্তুতি রাখুন।
২) প্রথম যৌন মিলনে খুব দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় অধিকাংশ পুরুষের। এটা নিয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। নিজে পুরুষত্বহীন বা দুর্বল ভাববেন না। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার চেষ্টা করুন। আগের চাইতে ভালো ফল পাবেন।

৩) প্রথম যৌন মিলনের সময় প্রত্যেক নারীই ব্যথা পাবেন, এই ব্যাপারটির জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। ব্যথা পাবেন, সামান্য রক্তপাত হবে। এই বিষয়টি নিয়ে একদম ঘাবড়ে যাবেন না। পরবর্তীতে একটু জ্বালাপোড়াও করতে পারে। তবে বিষয়টি সাময়িক। কয়েক ঘণ্টার মাঝেই ঠিক হয়ে যাবে। যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় বা জ্বালাপোড়া বেশি করে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

৪) পুরুষ সঙ্গী একটু বিশেষ খেয়াল রাখবেন, যদি নারী সঙ্গীরও এটা প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। জোর করে যোনিতে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না। কিংবা বল প্রয়োগ করবেন না। খুব আদরের সাথে চেষ্টা করুন। সঙ্গিনীকে পর্যাপ্ত উত্তেজিত করুন, পুরো বিষয়টি সহজ হয়ে আসবে দুজনের জন্যই।

৫) প্রথম যৌন মিলনে বেশিরভাগ নারীরই অরগাজম আসবে না, কেননা নারীদের অরগাজমের সাথে অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি জড়িয়ে আছে। তাই এটা নিয়ে হতাশ হবেন না।

৬) যৌন মিলনের ক্ষেত্রে প্রথম সতর্কতার নাম হচ্ছে গর্ভসঞ্চার রোধ করা। আর এই কাজে সবচাইতে সহায়ক হচ্ছে কনডম। পুরুষেরা অবশ্যই কনডম ব্যবহার করুন। প্রথম যৌন মিলনের ক্ষেত্রে এটাই বেশি উপযোগী। তবে কনডমের ব্যবহার প্রণালি খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

৭) প্রথম যৌন মিলনেই কেউ গর্ভধারণ করতে চান না। তবে গর্ভ নিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও অনভিজ্ঞতার কারণে ভুল হয়ে যেতে পারে। যেমন সঠিক সময়ে কনডম ব্যবহার করতে না পারা, কনডমে ফুটো হয়ে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এমন ঘটনা ঘটে গেলে সাহায্য নিতে হবে জরুরী গর্ভনিরোধক পিলের। আইপিল বা সমমানের যে কোন ওষুধ কাজে আসবে। খুব ভালো হয় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে।
বিস্তারিত

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

এনডিউরেক্স, ভায়াগ্রা, নিশাত, লিবিডেক্স, ফ্রোডেক্স - যৌন উত্তেজক ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশে যে সকল ঔষধ, যৌন উত্তেজক হিসেবে লোকজন ব্যবহার করে থাকে যেমন এনডিউরেক্স, ভায়াগ্রা, নিশাত, লিবিডেক্স, ফ্রোডেক্স ইত্যাদি সেগুলি যিনি ব্যবহার করেন তিনি কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা অনুভব করে থাকেন। অভিজ্ঞ ডাক্তাররা রোগীর অবস্থা বিবেচনাপূর্বক কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক কিছু দিনের জন্য এই ঔষধগুলি প্রেস্ক্রাইব করে থাকেন। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজ নির্বাচনে বা লোভে পড়ে এই ঔষধগুলি ক্রমাগত খেয়েই চলছে অনেকে। আপনি জানেন কি- এর সুদুর প্রসারী ফলাফল এতটাই মারাত্মক মারাত্মক যে, শুনলে আপনি হয়তো ব্যবহার করা তো দুরের কথা সেগুলির দিকে ফিরেও তাকাবেন না। কারণ, এইগুলি প্রথম দিকে আপনাকে মাত্র কিছু দিনের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করবে কিন্তু কয়েকমাস পরেই দেখবেন আপনি এই গুলিতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন অর্থাৎ এই ঔষধ না খেলে আপনার উত্তেজনা আসছে না আর আপনি যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হতে পারছেন না। 

যার কারণে আপনাকে অনবরত মাদক দ্রব্যের মতো প্রতিদিন এই ঔষধ গুলি খেয়ে যেতে হচ্ছে। আরো ভয়ঙ্কর বিষয় হলো - যখন এই ঔষধগুলি আপনি ক্রমাগত খেয়ে যাবেন একসময় আপনার যৌন শক্তি একেবারেই নিঃশেষ করে দিবে অর্থাৎ এই ঔষধগুলিও আপনার উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে না একসময় এটা আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে - যা আমরা শত শত রোগীর কাছ থেকে বাস্তব প্রমান স্বরূপ পেয়েছি। 
আপনি জানেন কি ? ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ক্রমাগত নিজে নিজে খাওয়ার কারণে এই ঔষধগুলি আমাদের যুবসমাজকে তিল তিল করে ধ্বংস করে চলেছে। যারা এইগুলি কিছু দিন কন্টিনিউ করেন তারা মারাত্মক কিডনি, লিভার এবং যৌন বিকলতায় আক্রান্ত হন যা তাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাই কখনো আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুল করেও যৌন উত্তেজক ঔষধের দিকে হাত বাড়াবেন না। 

আজকাল ফেইসবুকে পর্যন্ত কিছু প্রতারক নোংরা কিছু ছবি জুড়ে দিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুনদের এই গুলি খেতে উত্সাহিত করছে। মনে রাখবেন এই সকল বিজ্ঞাপনে পা দিবেন তো অকালেই আপনি যৌবন হারাবেন, সাথে জীবনটাও অকালে হারাতে পারেন। আসুন আপনার পরিচিত একটি উত্তেজক ঔষধ ভায়াগ্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি, যদিও এটি পুরুষের যৌন ক্ষমতায় কোনো প্রকার ভুমিকাই রাখে না, কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে মাত্র। কিন্তু এর রয়েছে ভয়াবাহ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

তবে একথা সত্য যে, এই ভেজালের যুগেও আমাদের দেশে এখনও কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান কিছু ঔষধ তৈরী করে থাকে যেগুলি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই বেশ ভাল ফলাফল দিয়ে থাকে। কারণ সেগুলিতে কোন প্রকার ক্যামিকেল বা ক্ষতিকর পদার্থ মেশানো হয় না। তবে সেগুলিও কেউ দীর্ঘ দিন খাবেন না কারণ দীর্ঘ দিন খেতে থাকলে আপনি সেগুলিতে আসক্ত হয়ে পড়বেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই প্রকারের ঔষধ খাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। 

বিশেষ সতর্কতা :- অনেকেই রাস্তার পাশে দোকান থেকে অথবা ফুটপাথ থেকে নানা প্রকার হার্বাল, কবিরাজি এবং ভেষজ নামধারী ভেজাল ঔষধ খেয়ে থাকেন যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য। কেউ বা বিজ্ঞাপনের ছটায় বিভ্রান্ত হয়ে, কেউ বা শখের বসে আবার কেউ বা লোভে পড়ে অধিক যৌনান্দ পেতে নিয়মিত এসব ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। আজকাল ইন্টারনেট পর্যন্ত অশ্লীল ছবিসহ এইসকল ঔষধের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে (সতর্ক থাকবেন)। মনে রাখবেন, বেশ কিছু সময় যদি আপনি এইসকল উত্তেজক ঔষধগুলি চালিয়ে যান এক সময় আপনি যৌন ক্ষমতায় পুরুপরি অক্ষম হয়ে যাবেন। তখন ঐ অবস্থায় অন্য আর কোনো ঔষধই কাজ করতে চায় না। এটা আমার কথা হয়। দেশের বড় বড় যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কথা। যারা দীর্ঘদিন যৌন রোগের চিকিত্সা দিয়ে আসছেন এবং এ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন।

মনে রাখবেন :- প্রতিটি পুরুষ তাদের যৌন শক্তি পেয়ে থাকে দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকে। তাই নিয়মিত দুধ, ডিম, মধু এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যায়, কখনো যৌন দুর্বলতায় ভুগবেন না। তার জন্য কোনো ঔষধ খাওয়ার দরকার নেই। আর যদি কোনো প্রকার যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন অল্প কয়েক দিনের চিকিত্সাতেই আপনার সকল যৌন সমস্যাবলী চিরতরে নির্মূল হয়ে গেছে তার জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন। এটাই আমাদের কামনা। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

রবিবার, ২১ মে, ২০১৭

Homeo Sex Solution APK নামের কোন Android Apps ইনস্টল করবেন না

Homeo Sex Solution নাম দিয়ে অনেকেই Android Apps তৈরী করে আপনাদেরকে Download লিংক দিচ্ছে। এই সকল Android Apps আপনার ডিভাইসে ইনস্টল করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন, এইগুলি আপনার জন্য হয়তো বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ আমরা এই নামে এখন পর্যন্ত কোন Android Apps তৈরি করিনি। 
আপনারা আমাদের ব্লগে অর্থাৎ http://homeosexsolution.blogspot.com এই সাইটে সরাসরি সব আপডেট পাবেন। ভবিষ্যতে যখন আমরা এই সাইটের Apps তৈরি করবো তখন সেটার ডাউনলোড লিংক আমাদের ব্লগেই পাবেন। আমাদের ব্লগ ছাড়া অন্য কোথাও থেকে Homeo Sex Solution নামের কোনো Apps ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। কারণ সেটার মাধ্যমে অনেকেই অসৎ উপায়ে আপনার ডাটা তা তথ্য চুরি করবে আপনার অজান্তেই।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৭

খালাতো-মামাতো ভাই-বোনদের বিয়ে ঠিক নয়! কারণ জানলে আপনিও এমন বিয়েতে রাজি হবেন না…

নিকটাত্মীয় অর্থ্যাৎ চাচাতো, মামাতো, খালাতো ও ফুফাতো ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে বিজ্ঞানসম্মত নয়। এ বিয়ের পরিণামে যে সন্তান হয়, তার মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। ‘দ্য ল্যানসেট; সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতার হার সাধারণ শিশুদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এসব অস্বাভাবিকতার মধ্যে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল গজানোর মতো সমস্যা থেকে শুরু করে হূৎপিণ্ডে ছিদ্র বা মস্তিষ্কের গঠন-প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
খালাতো-মামাতো ভাই-বোনদের বিয়ে ঠিক নয়!
অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় এ ধরনের অস্বাভাবিকতার হার খুবই কম। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এয়ামন শেরিডান। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী সাড়ে ১৩ হাজার শিশুকে ওই গবেষণার আওতায় আনা হয়।

ব্র্যাডফোর্ড শহরে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বড় একটি অংশ বসবাস করে। সেখানে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৭ শতাংশই রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের প্রচলন রয়েছে। সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ এ রকম সংস্কৃতি ধারণ করে। রয়টার্স ও এএফপি।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

‘অনলাইন পর্নোগ্রাফি যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে’

ব্রিটেনের একজন শীর্ষস্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাসের কারণে তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের যৌন স্বাস্থ্য ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালের এই চিকিৎসক এঞ্জেলা গ্রেগরি বলেছেন, ইদানীং আঠারো থেকে পঁচিশ বছর বয়সী তরুণ রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বিস্তারিত