অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের শতভাগ কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান স্বল্পতা এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজ কতৃক বিভিন্ন ভুলত্রুটির ফলে পরবর্তীতে যৌনস্বাস্থ্য জনিত নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা মূলত মেহ, প্রমেহ, ধাতুঝরা, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয় রোগ নামে পরিচিত । উক্ত রোগটি সরাসরি বা তৎক্ষণাৎ ভাবে শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় উক্ত রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি সহজে তেমন কিছু অনুভব ও করতে পারে না, কিন্তু উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা সম্পুর্ন নষ্ট করে দেয় ।
এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং আমাদের দেশে পুরুষ সমাজের অনেকেই উক্ত রোগের ভুক্তভোগী । আর তাই, আজ আমরা আলোচনা করছি – পুরুষ মানবদেহে উক্ত রোগসমূহ সৃষ্টির কারন, লক্ষন এবং শতভাগ কার্যকরী সমাধানসমূহ সহ পুর্ন বিস্তারিত গাইডলাইন ।
এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং আমাদের দেশে পুরুষ সমাজের অনেকেই উক্ত রোগের ভুক্তভোগী । আর তাই, আজ আমরা আলোচনা করছি – পুরুষ মানবদেহে উক্ত রোগসমূহ সৃষ্টির কারন, লক্ষন এবং শতভাগ কার্যকরী সমাধানসমূহ সহ পুর্ন বিস্তারিত গাইডলাইন ।
কারণসমূহ
আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে উক্ত সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারণই হল যৌবনকালের শুরুতে অধিক পরিমানে হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে যৌনতা বিষয়ক অধিক বেশী চিন্তা করা, অধিক বেশী পর্ণ দেখা, অতিরিক্ত বেশী যৌন মিলন করা সহ অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌনাচার উক্ত রোগসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টির অন্যতম কারন হিসাবে বিবেচিত । পাশাপাশি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ, অতিরিক্ত মানুষিক দুঃশ্চিন্তা, হজমের গন্ডগোল, শারীরিক পুষ্টির অভাব সহ অন্যান্য আরো নানবিধ কারনে উক্ত সমস্যাসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টি হতে পারে ।লক্ষণসমূহ
- উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়।
- রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শক্তিহীন ভাব প্রকাশ পেতে থাকে।
- দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে।
- দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত।
- রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
- দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
- আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়।
- পেনিস বা পুরুষাঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়
- প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়
- সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।
- পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
- স্মরণশক্তি কমে যায় এবং বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়।