মহিলাদের যৌন আকাঙ্খা কম থাকাকে যৌন দুর্বলতা বা "ফিমেল সেক্সুয়াল এ্যরুসাল ডিজওর্ডার" বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই, বেশিরভাগ মহিলাদের এ সমস্যাটা খুবই ক্ষনস্থায়ী। অনেক মহিলারা আপনা থেকেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু যারা পারেন না তাদের ভালো কোনো হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। যৌন অনীহা মহিলাদের ক্ষেত্রে সচরাচর এবং পুরুষের ক্ষেত্রে একটি বিরল ঘটনা।
মহিলাদের যৌন অনীহার কারন:- মহিলাদের যৌন অনীহা শাররীক কিংবা মনস্তাস্তিক উভয় কিংবা যেকোন একটি কারনে হতে পারে।শাররীক যে সব কারন থাকতে পারে-
আপনি যদি অনুমান করতে না পারেন যৌনকর্মে আপনার অনীহার কারন কি – তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে নি:সংকোচে সবকিছু খুলে বলুন। প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে আশা করি সেরে উঠবেন।
মহিলাদের যৌন অনীহার কারন:- মহিলাদের যৌন অনীহা শাররীক কিংবা মনস্তাস্তিক উভয় কিংবা যেকোন একটি কারনে হতে পারে।শাররীক যে সব কারন থাকতে পারে-
- রক্ত স্বল্পতা, যা নারীদের মাসিক ঋজচক্রকালীন রক্তে আয়রনের হার হ্রাস পাওয়া থেকে প্রকট হয়।
- মদ্যপানে আসক্তি
- মাদাকাসক্তি
- সন্তান প্রসব। সন্তান প্রসবের পরবর্তী কিছু সময়কাল নারীর যৌন আকঙ্খা সম্পুর্ন হারিয়ে যায়। এটি শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে প্রায় সরাসরি জড়িত। বেশির ভাগ নারী সন্তান জন্মদেবার পর মানসিক ভাবে অনেকটা বিক্ষিপ্ত থাকেন তাই তারা শাররীক মিলন নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ পাননা।
- কিছু ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া।
- Hyperprolactinaemia – পিটুহিটারী গ্রন্থির অতিরিক্ত ক্রিয়াশীলতায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
- ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ দেখা যায়।
- অবসাদ কিংবা বিষন্নতা।
- দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া; যখন নারী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে তখন এ্যডরিনাল (মুত্র) গ্রন্থি ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোন সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোনই নারী শরীরে যৌন আকাঙ্খা উৎপন্ন করে।
- উদ্বিগ্নতা।
- স্বামীর সাথে প্রচন্ড মানসিক বিবাধ থাকা।
- শিশুসুলভ মনোভাবের পুর্নজন্ম।
- পুর্বের ধর্ষণ কিংবা যন্ত্রনাদায়ক শাররীক সম্পর্কের শিকার হওয়া।
আপনি যদি অনুমান করতে না পারেন যৌনকর্মে আপনার অনীহার কারন কি – তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে নি:সংকোচে সবকিছু খুলে বলুন। প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে আশা করি সেরে উঠবেন।