সানস্ক্রিন, সাবান, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট ইত্যাদিতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ নারী পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। গবেষণায় এমন ফলাফলই দেখা গিয়েছে। কয়েক বছর আগের গবেষণায় গবেষকরা দেখতে পান আমাদের প্রতিদিনকার ব্যবহার করা গৃহস্থালি পণ্যে থাকা উপাদান সমূহ পুরুষের প্রজননতন্ত্রে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে করে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যত্ব। এবং সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে যাতে করে দেখা যাবে কীভাবে এইসব রাসায়নিক পদার্থ মানুষের প্রজননতন্ত্রে প্রভাব রাখছে।
গৃহস্থালি এসব পণ্যে থাকা কিছু কিছু রসায়ন প্রজননতন্ত্রের নিয়ন্তা সেক্স হরমোনকে ‘আক্রমণ’ করে। সেক্স হরমোনের সাথে মিশে গিয়ে সেখান থেকে এমন সংকেত প্রেরণ করে যেন শুক্রাণুগুলো দ্রুততা পরিহার করে ধীরে ধীরে চলে। এমনটাই বলছিলেন গবেষণার সাথে যুক্ত থাকা স্টিভ কনার। এটা একদমই অবৈধ অনুপ্রবেশ! নীতিবহির্ভূত ভাবে কাউকে আদেশ পালন করানো।
এই উপাদান আরও একটি কাজ করে। ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণু নিষিক্ত হবার সময় শুক্রাণু কর্তৃক একটি এনজাইম নিঃসৃত হয় যার ফলে সফল নিষেক সম্পন্ন হয়। এই দুষ্টু রাসায়নিক উপাদান শুক্রাণুকে বাধ্য করে ডিম্বাণুতে পৌঁছানোর আগেভাগেই সেই এনজাইমটি ছেড়ে দিতে। সঠিক সময়ে এনজাইম নিঃসৃত হয়না ফলে সফল নিষেকও সম্পন্ন হয় না। এটাও বন্ধ্যত্বের কারণ।
ইউরোপিয়ান এডভান্স স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর বিজ্ঞানীরা এমন ৯৬টি রাসায়নিক পদার্থের তালিকা করেছেন যেগুলো গৃহস্থালি পণ্যের সাথে থাকে। এমনকি প্লাস্টিকও আছে এই তালিকায়। যাদের কাজ কোনো না কোনো একভাবে শুক্রাণুর দৃঢ়টা ও সাতার কাটার ক্ষীপ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে।
সাধারণভাবে গণহারে ব্যবহার হয়না এমন অন্য কোনো রসায়ন হলে ব্যাপারটা খুব সহজেই সামলে ওঠা যেত। কিন্তু সমস্যাটা এমন সকল পদার্থকে নিয়ে হয়েছে যে সকল পদার্থকে ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন স্বাচ্ছন্দ্যের হয় না কিছুতেই। তাহলে? সভ্যতা কি থেমে থাকবে? না। বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে বিপদ আর সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে সমাধান দেয়া। এই সমস্যারও নিশ্চয় সমাধান বের করে আনবে বিজ্ঞান। দুদিন আগে অথবা পরে।
গৃহস্থালি এসব পণ্যে থাকা কিছু কিছু রসায়ন প্রজননতন্ত্রের নিয়ন্তা সেক্স হরমোনকে ‘আক্রমণ’ করে। সেক্স হরমোনের সাথে মিশে গিয়ে সেখান থেকে এমন সংকেত প্রেরণ করে যেন শুক্রাণুগুলো দ্রুততা পরিহার করে ধীরে ধীরে চলে। এমনটাই বলছিলেন গবেষণার সাথে যুক্ত থাকা স্টিভ কনার। এটা একদমই অবৈধ অনুপ্রবেশ! নীতিবহির্ভূত ভাবে কাউকে আদেশ পালন করানো।
এই উপাদান আরও একটি কাজ করে। ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণু নিষিক্ত হবার সময় শুক্রাণু কর্তৃক একটি এনজাইম নিঃসৃত হয় যার ফলে সফল নিষেক সম্পন্ন হয়। এই দুষ্টু রাসায়নিক উপাদান শুক্রাণুকে বাধ্য করে ডিম্বাণুতে পৌঁছানোর আগেভাগেই সেই এনজাইমটি ছেড়ে দিতে। সঠিক সময়ে এনজাইম নিঃসৃত হয়না ফলে সফল নিষেকও সম্পন্ন হয় না। এটাও বন্ধ্যত্বের কারণ।
ইউরোপিয়ান এডভান্স স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর বিজ্ঞানীরা এমন ৯৬টি রাসায়নিক পদার্থের তালিকা করেছেন যেগুলো গৃহস্থালি পণ্যের সাথে থাকে। এমনকি প্লাস্টিকও আছে এই তালিকায়। যাদের কাজ কোনো না কোনো একভাবে শুক্রাণুর দৃঢ়টা ও সাতার কাটার ক্ষীপ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে।
সাধারণভাবে গণহারে ব্যবহার হয়না এমন অন্য কোনো রসায়ন হলে ব্যাপারটা খুব সহজেই সামলে ওঠা যেত। কিন্তু সমস্যাটা এমন সকল পদার্থকে নিয়ে হয়েছে যে সকল পদার্থকে ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন স্বাচ্ছন্দ্যের হয় না কিছুতেই। তাহলে? সভ্যতা কি থেমে থাকবে? না। বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে বিপদ আর সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে সমাধান দেয়া। এই সমস্যারও নিশ্চয় সমাধান বের করে আনবে বিজ্ঞান। দুদিন আগে অথবা পরে।