ধর্মীয় নির্দেশনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ধর্মীয় নির্দেশনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কি কি করণীয়

মুধময় দাম্পত্য জীবনকে অনাবিল সুখের করতে স্বামী স্ত্রী দু'জনেরই কিছু না কিছু কর্তব্য রয়েছে। কেউ যদি তা করতে ভুল করেন এবং সেই ভুলের উপর অবিচল থাকেন তাহলে সংসারে ভাঙ্গন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই আসুন একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কি কি করণীয় এবং কি কি বর্জনীয় তা দেখে নেই।

খারাপ ব্যবহার করা :- তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
উপেক্ষা করা :- তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

মিথ্যা বলা :- কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা :- কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এড়িয়ে চলা :- অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।

সন্দেহ ও গীবত করা :- কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :
"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" — [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]
খুব বেশি ব্যস্ততা :- অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

সালাত এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা :- যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।

আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।
বিস্তারিত

স্ত্রীরা যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীর নিকট প্রিয় পাত্রী হন

জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। ​তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। ​একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা,সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।
বিস্তারিত

স্বামীর যে গুণগুলোর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন

একটা মেয়ে যখন বিবাহ নামক আল্লাহ্‌র বিধান মানার মাধ্যমে তাঁর পরিচিত গণ্ডি ছেরে ভিন্ন একটা পরিবেশ ভিন্ন একটা পরিবার অপরিচিত সব মানুষদের মাঝে এসে বসবাস করা শুরু করে আর তখন এ অপরিচিত সবার মাঝ থেকে একজন মানুষ হয়ে উঠে তাঁর সবচেয়ে আপন তিনি হচ্ছেন তাঁর স্বামী ।
বিস্তারিত

সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের করণীয়সমূহ

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ভূমিকা থাকে। আর এটা সব সময় এক রকম থাকে না। কখনো কমে কখনো বাড়ে। সেটা আল্লাহর রহমতের পর নির্ভর করে তাদের উভয়ের চেষ্টার উপর। কিন্তু স্ত্রী এ ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইসলামের ক্ষেত্রে আরবী সাহিত্য জগতের সাহিত্য ও বাগ্মিতায় একজন প্রসিদ্ধ নারী উমামা বিনতে হারেস (আউফ ইবনে মুহাল্লাম আশ শায়বানীর স্ত্রী) তার মেয়েকে বিয়ের পর অতি গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় উপদেশ দিয়ে ছিলেন যা আরবদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সে উপদেশগুলোর অনুবাদ তুলে ধরা হল। সেই সাথে আধুনিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ দাঈ এবং আলেম স্বামীর ভালবাসা অর্জনের জন্য স্ত্রীর প্রতি বেশ কিছু মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন সেগুলোও উপস্থাপন করা হল। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যেন সব সময় কল্যাণের উপর অটুট রাখেন। আমীন।
সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের করণীয়সমূহ

এক আরব মা তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর উপদেশ দিচ্ছেন 

উমামা বিনতে হারেছ নিজ কন্যার বিবাহের সময় তাকে এমন কিছু নসীহত করেন যা শুধু মেয়ের জন্যই নয়; বরং পরবর্তী সমস্ত নারীর জন্য মাইল ফলক হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।

তিনি মেয়েকে লক্ষ্য করে বলেন, ওহে আমার কলিজার টুকরা মেয়ে! আজ তুমি নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বান্ধবী ও প্রতিবেশী থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে এমন এক অপরিচিত পরিবেশে এমন এক অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গমণ করছো যেখানেই রয়েছে তোমার আসল ঠিকানা সেই ব্যক্তিই তোমার প্রকৃত বন্ধু সাথী ও কল্যাণকামী। তুমি ওখানের আচার-আচরণ ও পরিবেশ সম্পর্কে মোটেও অবগত নও। তুমি যদি স্বামীর দাসী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পার, তবে দেখবে সেও তোমার দাসে পরিণত হয়েছে।

এই মূহুর্তে আমি তোমাকে কতিপয় নসীহত করছি। আল্লাহ চাহে তো এগুলো তোমার জীবনের সাফল্য ও সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য পাথেয় হবে।
  • স্বামীর প্রতি বিনীত থাকবে এবং অল্পতেই তার উপর সন্তুষ্ট হবে।
  • ভালভাবে তার কথা শুনবে ও মানবে।
  • তার চোখ ও নাকের পসন্দের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। তোমাকে যেন কখনো খারাপ দৃশ্যে সে না দেখে এবং তোমার নিকট থেকে কখনো যেন সর্বোত্তম সুগন্ধি ছাড়া অন্য কিছু না পায়।
  • তার খাওয়া দাওয়া ও নিদ্রার বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবে। কেননা ক্ষুধা ও অনিদ্রা মানুষকে বদমেজাজী ও ক্রোধাম্বিত করে তোলে।
  • তার ধন-সম্পদের রক্ষণা-বেক্ষণ করবে। হিসাবের সাথে পরিমাণমত তার সম্পদ খরচ করবে।
  • তার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীর দেখাশোনা করবে। উত্তমভাবে মনযোগসহকারে তার সন্তান-সন্তুানতিকে লালন-পালন করবে।
  • তার কোন গোপন বিষয় ফাঁস করবে না ও তার নাফরমানী করবে না। কেননা তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলে একদিন সে তোমাকে ধোঁকা দিবে। অবাধ্য হলে তার বুকে আগুন জ্বালাবে তাকে ক্রোধাম্বিত করবে।
  • তুমি কাঙ্খিত লক্ষ্যে কখনই পৌঁছতে পারবে না যে পর্যন্ত তার সন্তুষ্টিকে নিজের সন্তুষ্টির উপর সন্তান না দিবে, তার পছন্দ-অপছন্দকে নিজের পছন্দ-অপছন্দের উপর সন্তান না দিবে। (আ’লামুন্নেসা ১/৭৪, ত্বাবায়েউন্নেসা পৃঃ ২৮)

স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশ

শায়খ ইবনু জুবাইলান স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে কিছু নসীহত করেছেন। তা নিম্নরূপঃ
  • বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা।
  • স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস’ থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।
  • সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।
  • স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
  • সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা।
  • স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা।
  • স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।
  • সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা।
  • নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ করবে না।
  • সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
  • কখনো স্বামীর আভ্যন-রীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন, ((ولا تجسسوا)) “তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না। (সূরা হুজুরাত -১৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। (বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/৪৭৪৭।)
  • স্বামী কখনো রাগম্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবসন্তা করা।
  • স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা।
  • সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আমার স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাব। ওদেরকে তো এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। ওরা তো আমারও সন্তান। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি যে পরিমাণ তাদের জন্য সম্পদ খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
  • ১৫) স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা।
পরিশেষে দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে পরিবারগুলোকে যে সুখ-সম্ভারে ভরে দেন এবং সেখান থেকে সকল অশান্তি দূর করে দেন। আমীন। সূত্র: জান্নাতী রমনী বই থেকে(ফিরোজ আহম্মদ )
বিস্তারিত

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪

হিজড়া জন্ম হওয়ার কারন কি ?

বিষয়টা ভাল ভাবে সকলেরই উপলগ্ধি করা উচিত। আমরা অনেক সময় রাস্ত- ঘাঁটে বা  ট্রেনে দেখে থাকি এক শ্রেনীর মেয়েলি স্বভাবের মানুষ (হিজরা) ভিক্ষা করছে বা দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে চাদা তুলছে। তাদেরকে দেখে অনেকেই দারুন অস্বস্তি বোধ করেন। কিন্তু আপনারা কি কেউ জানেন তাদের জন্মের রহস্য কি ? আসুন বিষয়টা জেনে নেই। ..
বিস্তারিত

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

ইসলামে নিষিদ্ধ চারটি যৌন আচরণ / সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার

লেখাটি লিখবো কিনা এ নিয়ে দুমিনিট ভাবছি। কারণ জ্ঞানীরা বলে গেছেন, "ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।" ইদানীং নারী পুরুষের বিবাহিত সেক্সুয়াল লাইফ এ কিছু কিছু সমস্যা প্রকট আকারে সামনে চলে এসেছে। বিবাহিত জীবন গড়াচ্ছে ডিভোর্স পর্যন্ত। অস্বাভাবিক সেক্সুয়াল লাইফের বলি হিসেবে মহিলারা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা পি, আই, ডিতে ভুগছেন। মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ফেইলুরের পর সার্জারি করেও শেষ রক্ষা হয়না। ব্যথা ময় এক জীবন বয়ে বেড়ান।

পুরুষ নারী নির্বিশেষে যৌন বাহিত অসুখবিসুখ তো আছেই। আর মনের উপর যে ভয়াবহ চাপ পড়ে মেন্টাল ট্রমা তৈরি হয় সে প্রসঙ্গ নাই বা বললাম, মনের ব্যাপারটাতো চির উপেক্ষিত আমাদের সমাজে।
ইসলামে নিষিদ্ধ চারটি যৌন আচরণ / সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার
কথা হল, একজন কনজারভেটিভ আর নতুন প্র্যাকটিসিং মুসলিম সর্বোপরি একজন ডাক্তার হিসেবে সমস্যাগুলো দেখে, রবি গুরুর ব্রজেশ্বরের মত জঞ্জাল দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাব, নাকি সুকান্তের মত,"প্রাণ পণে সরাব জঞ্জাল"?!?

আসলে সময় এসেছে কিছু কিছু ব্যাপারে শালীনতার মধ্য থেকেই আলোচনা করার। কারণ আমরা অনেক কিছুই জানিনা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন, দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশুনা করে এইস, এস, সি পাশ দিলেও কেউ না পারে ইহকালে রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করতে, আর না হয় তার নৈতিক জ্ঞান,যা দিয়ে সে বাকি জীবন সঠিক ভাবে চলার দিক নির্দেশনা পাবে। মাছি মারা কেরানী ছাড়া আর কিছুই হতে পারিনা আমরা; পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় ও নৈতিক বিষয়টি কোন স্থান পায়না। তাই আমাদের জ্ঞানের অভাব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতার উপরেই বর্তায়।

তবুও একটি আশাবাদী কথা দিয়েই শুরু করি। আপনি কি জানেন? মুসলিমদের সেক্সুয়াল লাইফকে মেডিকেলে খুবই এপ্রিশিয়েট করা হয়। গাইনি মেডিকেল বই এ মুসলিম সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের প্রশংসা করে লেখা থাকে, “মুসলিম ছেলেদের সারকামসেশন (মুসলমানি) করা থাকে তাই তাদের স্ত্রীর অমুক অসুখ কম হয়। অথবা সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স এ মুসলিম রা অমুক নিয়মটি ফলো করে তাই তাদের অমুক অসুখটি কম হয়।“

“মুসলিমদের কি সেক্সের আলাদা নিয়ম আছে?!? "ঝট করে প্রশ্নটি মনে জাগে।
আমার পরম শ্রদ্ধেয় সার্জারির প্রফেসরের উক্তি মনে পড়ে গেলো । সদা হাস্যময়ী স্যার বলেছিলেন , "Breast feeding (নবজাতকের মায়ের দুধ পান করা ) & Sexual intercourse ( সেক্স করা) reflexly মানুষ শিখে যায় , এটা কাউকে শিখাতে হয় না । "

এখানেই কথা আছে কিন্তু। রিফলেক্সলি ঠিক জিনিসটি শিখার আগেই প্রযুক্তির অকল্যাণে বিধ্বংসী কিছু পারভার্সন ঢুকে গেছে স্বাভাবিক যৌন জীবনে ।

কিভাবে ? ইন্ডিয়ার কিছু চটি সাইট আছে ওগুলোর মূল ভিজিটর বাংলাদেশি । আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বাংলাদেশের ভিজিটরের অর্ধেকের ও কম । আর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গুলোর মূল ভিজিটর আসে অশালীন রগরগে সংবাদগুলো থেকে ।তারা দেশে এরকম সংবাদ না পেলে বিদেশ থেকে সংবাদ আমদানি করে । লক্ষ্যকরে থাকবেন এই রোজার মাসেও ভিজিটরের লোভে সানি লিওনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত হয়নি । মোবাইলে মোবাইলে অশালীন ভিডিও সহজে কিনতেও পাওয়া যায় যারা নেট ইউজ করেনা তাদের সুবিধার জন্য।

তাহলে বুঝাই যায় মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া শর্তেও পর্ণোগ্রাফী বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয় । আর পর্ণো পড়ার সময় বা দেখার সময় আমাদের কয়জনের মনে থাকে ,এগুলি কিন্তু গুনাহ । চোখের ব্যভিচার ।

এই সহজলভ্য পর্ণো আর চটিসাইট গুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবন কে অস্বাভাবিকতা দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়েছে। সংসার জীবনে নেমে এসেছে অশান্তি।
"ভালবেসে স্ত্রীর দিকে তাকালেও সোয়াব " এই সব হাদিস উঠে গিয়ে এসেছে , "LOVE করে আর লাভ নেই রে পাগলা।"

মানুষ সেক্সুয়াল লাইফ নিয়ে পুরোই বেদিশা । তারা শুধু ছুটছে। "কই আমিতো পর্ণো ছবির পুরুষ বা মহিলাটির মত আনন্দে আত্মহারা হলাম না ।হয়ত আমার ওয়াইফ বা হাসবেন্ড ঠিক পারছেনা । কোথায় ? কোথায় আছে সেই সোনার হরিণ। কোথায় সেই আনন্দের ফোয়ারা ? সবাই পায় , আমি পাই না কেন ? "

বিবাহ বহির্ভূত সেক্স , হোমোসেক্সুয়ালিটি , এনাল সেক্স মহামারির মত ছড়িয়ে গেছে । দুনিয়াতে এত মজা নিলে আখেরাত কিন্তু অন্ধকার । আজ আমরা জানবো ইসলামে সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার এ ৪ টি নিষিদ্ধ ক্ষেত্র ।
  • EXtramerital sex 
  • Sexual intercourse during menstruation and Puerperium 
  • Homosexuality 
  • Anal Sex 
Extramerital sex: বিবাহ বহির্ভূত সেক্স – এর কারণে সিফিলিস , গনোরিয়া , ক্ল্যামাইডিয়া , মোনিলিয়াসিস , ট্রাইকোমোনিয়াসিস , ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস , জেনিটাল হার্পিস , জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি সমস্যা আর তাদের কমপ্লিকেশন তো আছেই। সারভাইক্যাল ক্যন্সার ( জরায়ু মুখের ক্যান্সার ) যার মূল কারণ হিউমেন প্যাপিলোমা ভাইরাস তাও ট্রান্সমিট হয় । আর ঘাতক ব্যাধি এইডস তো আছেই ।
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন , “ তোমরা ব্যভিচারের নিকটেও যেওনা , কারণ এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ।‘ ( সূরা বনী ইসরাইল , ৩২)
যে মুহাররামাত মহিলার সাথে যিনা করবে তার হুকুম:

যে ব্যক্তি কোন মুহররামাত ( যাদেরকে বিবাহ করা হারাম ) যেমন – আপন , বোন , কন্যা ও বাবার স্ত্রী ইত্যাদি এর সাথে হারাম জানা স্বর্তেও যিনা করবে তাকে হত্যা করা ফরজ ।

বারা ইবনে আজেব (রা ) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , " আমার চাচাকে ঝান্ডা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বললাম:-- কোথায় চলেছেন ? তিনি বললেন- আমাকে রাসুল করিম ( সাঃ ) প্রেরণ করেছেন ঐ মানুষের নিকট যে তার বাবার স্ত্রীকে বিবাহ করেছে । তিনি ( সাঃ ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য । ( সহীহ হাদিস , তিরমিজি হাদিস নং ১৩৬২ , নাসাঈ হাদিস নং ৩৩৩২ ) ।

তাহলে ইনচেস্ট ( Incest ) ভর্তি পর্নো চটি সাইট গুলো আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য বাহী মূল্যবোধ সম্পন্ন সম্পর্ক গুলোকে কোথায় নিয়ে চলেছে ?

Homosexuality (সমকামিতা): লূত (আঃ ) এর সময়ের আগে পৃথিবীতে হোমোসেক্সুয়ালিটি ছিলনা । সমকামিতা চরিত্র আর স্বভাব বিধ্বংসী এক জঘন্যতম অপরাধ ইসলামের দৃষ্টিতে । লূত ( আঃ ) এর জাতি এ অপকর্ম করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন । তাদের উপর পাথর বৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন । এ ছাড়া শেষ বিচারের দিনেও তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, " এবং আমি লূতকে পাঠিয়েছি । যখন সে নিজ জাতিকে বলল- তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ , যা তোমাদের পূর্বে গোটা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরাতো কামবশতঃ পুরুষের নিকট গমন কর মহিলাদের ছেড়ে এবং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছো [ সূরা আরাফ ৮০-৮৪ ]

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন- " অবশেষে যখন আমার আদেশ পৌঁছল , আমি উক্ত জনপদকে উপুড় করে নীচ করে দিলাম এবং তার উপর স্তরে স্তরে কাঁকর পাথর বর্ষণ করলাম । যার প্রতিটি তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিল । এবং পাপিষ্ঠ দের কাছ থেকে বেশি দূরেও নয় । "( সুরা হূদ ৮২-৮৩)

আর রাসুল ( সাঃ ) বলেন , " তোমরা লূতের জাতির কর্ম অবস্থায় যাকে পাবে তার কর্তা এবং কর্ম উভয়কে হত্যা করবে । ( সহীহ হাদিস আবু দাউদ হাদিস নং ৪৪৬২ , তিরমিযী হাদিস নং ১৪৫৬)

হোমোসেক্সুয়ালিটি জন্মগত ভাবে আসে , হোমোদের এমন আজব কথা তাদের নিজেদের আবিষ্কার।

Anal sex: Anus ( মলদ্বার ) অনেক রকম মাইক্রোওর্গানিজম দিয়ে পূর্ণ । আনহাইজিনিক সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের কারণে ফিমেল পার্টনার ভয়াবহ রকমের পি, আই , ডি তে আক্রান্ত হয়ে যায় । এনাল ফিসার, পাইলস হবার ঝুঁকি বাড়ে । এনাল স্ফিংটার এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় ।

হাদিসে আছে , " যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে এনাল সেক্স ( নিতম্বে সহবাস ) করবে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না । " ( নাসাঈ আল ইশ্রাহ ২/ ৭৭- ৭৮/১; তিরমিযী ১/২১৮ )

হাদিসে আরো আছে , " যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করবে সে লা’নত প্রাপ্ত " ( আবু দাউদ ২১৬২ , আহমদ ২/ ৪৪৪, ৪৭৯ )

Sexual intercourse during menstruation and puerperium – ( পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আর সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০ ( ৪৫) দিনের মধ্যে সহবাস ): পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নরমাল ডিফেন্স মেকানিজম নষ্ট হয়ে যায় । মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । একই ঘটনা ঘটে সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ৪০-৪৫ দিন। আর এসময়ের সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রজনন অঙ্গ গুলোতে ভয়াবহ ইনফেকশন ঘটায় লোকাল অর্গানিজম ।
স্ত্রীর হায়ে্য ( পিরিয়ড ) চলাকালীন তার সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য হারাম । ( ফথুল কাদীর , ১/২০০ )
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ আর তারা তোমার নিকট হায়ে্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে। তাহলে বলে দাও এটা অশুচি বা কষ্ট । কাজেই তোমরা হায়েয চলাকালীন সময় সহবাস থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাস করবেনা, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায় । যখন তারা ভালোভাবে পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের নিকটে যাও যেভাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন । নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের ভালবাসেন । ( সুরা আল বাকারাহ ২২২ )
এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃ ) বলেন, ‘"যদি কোন ব্যক্তি হায়েযাহ নারীর সাথে বা তার নিতম্বে সহবাস ( এনাল সেক্স) করে , জ্যোতিষীর নিকট যায় আর জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে তাহলে সে মুহাম্মদ (সাঃ ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার প্রতি কুফরি করল। "

তাহলে এই হল চারটি বিধি নিষেধ ।

উপসংহার হিসেবে কয়েকটি কথা বলি । জাতি হিসেবে আমরা হীন মন্যতায় ভোগা জাতি । নিজের দেশ ভাল লাগেনা । গরীব । নিজের ভাষা ভাল লাগেনা । টিভি , এফ,এম রেডিওতে বাংরেজি ভাষায় কি যে কথা বলি আমরা নিজেদেরই বুঝতে কষ্ট । নিজের সংস্কৃতি ভাল লাগেনা । সেদিন দেখলাম এক টিভি চ্যানেল নাম ৭১ , ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টার শার্ট , কোর্ট পরে খবর পড়ছেন । এটা কি আমাদের নতুন সংযোজিত বাঙ্গালী সংস্কৃতি কিনা জানিনা । আমাদের নিজেদের ধর্ম ও ভাল লাগেনা । দু কলম পড়াশুনা করে অনেকেই নিজের ধর্মকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে নামাজ , রোজাকে শিকেয় তুলে রেখেছেন । আমাদের ধর্ম বাস করে ঈদের বিপণী বিতানে , পোশাক কেনার মধ্যেই আমাদের ঈদ । কোরবানির সময় বড় ধার্মিকতার পরিচয় দিয়ে লাখ টাকার গরু , উট কুরবানি দিই নাকি জবাই দেই । শ্বশুর বাড়ি থেকে কি পশু পাঠাল কুরবানি দেয়ার জন্য তার হিসেব করি ।

এই অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে নিজের পরিচয় নিয়ে গর্ব করার মানুষিকতা তৈরি হোক আমাদের । জন্মসূত্রে পাওয়া মুসলিম পরিচয় কে শানিত করে প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হয়ে উঠার তৌফিক আল্লাহ যেন আমাদের দেয় । ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হোক আমাদের পরিচয়।

অত্যন্ত ব্যথাতুর লাগছে এটা ভাবতেই যে পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে । এই পবিত্র সময়ে নিজের কাছে নিজেই অঙ্গীকার করি , ইসলামের আলোর নীচে আসার । দেখেন, চীনের মুসলিমদের এবার জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হয়েছে । রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে দেশে । গাজায় শত শত মুসলিম মারা যাচ্ছে । শিশুদের সারি সারি লাশ দেখে দুঃখে মন ভরে যায় । আফগানিস্তানে ও দেশীয় সন্ত্রাসীদের হাতে শত শত মুসলিম মারা গেছে ।

সে তুলনায় আমরা আল্লাহর করুণা ধারায় বাস করছি । আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো দরকার । সকল প্রশংসা আল্লাহর । আমরা যে যে অবস্থায় আছি না কেন ,আল্লাহ যেন আমাদের উপর তাঁর রহমত বর্ষণ করেন । আমাদের দুঃখ দূর করে দেন । শান্তি ও কল্যাণের মধ্যে আমাদের রাখেন । বালা মুসিবত , অসুখ বিসুখ দূর করে দেন । আমাদের ঈমানী জোর বৃদ্ধি করেন । বিপদে ধৈর্যধারণের তৌফিক দেন । সারা জাহানের সমস্ত মানুষের কষ্ট দূর করে দিন ।একজন জীবন্মৃত কে প্রাণচঞ্চলতা দান করুন । আমিন.........ডাঃ নার্গিস পারভীন
বিস্তারিত