আমরা আধুনিক হোমিওপ্যাথ

আমরা আধুনিক হোমিওপ্যাথ এবং কিডনি, গ্যাস্ট্রো লিভার, পুরুষদের যৌন সংক্রান্ত ও স্ত্রীরোগসমূহের হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সায় বিশেষ পারদর্শী। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, সফল এবং আধুনিক হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা গ্রহণ করুন, যা আপনার সকল জটিল শারীরিক সমস্যা সমূহকে মূল থেকে নির্মূল করে আপনাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলবে ইনশাল্লাহ।

বি. দ্র.:- অবশ্যই পূর্বেকার করা সকল Medical Test এর রিপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। প্রয়োজনে আসার আগে ফোন দিয়ে ( 01727-382671, 01627201457 ) বিস্তারিত জেনে নিবেন।

যোগাযোগ করুন

ডাক্তার আবুল হাসান
(ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
একিউট এবং ক্রনিক রোগের হোমিও চিকিত্সক
পপুলার হোমিও হল, ১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪
ফোন: ০১৭২৭-৩৮২৬৭১, ০১৬২৭২০১৪৫৭

স্ত্রীরোগ সমূহ

  • স্তন টিউমার
  • ডিম্বাশয়ে টিউমার
  • ডিম্বাশয়ের সকল প্রকার সিস্ট
  • জরায়ুতে টিউমার/জরায়ু নিচে নেমে আসা
  • যোনিতে প্রদাহ/অনিয়মিত মাসিক/বন্ধ্যাত্ব
  • লিউকোরিয়া/ অতিরিক্ত স্রাব

পুরুষের সমস্যা

  • যৌন দুর্বলতা/দ্রুত বীর্যপাত
  • স্পারম্যাটোরিয়া এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ
  • হস্তমৈথুন অভ্যাস ও এ সংক্রান্ত জটিলতা
  • পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ
  • সিফিলিস এবং গনোরিয়া
  • প্রসাবে সংক্রমন/জ্বালাপোড়া

কিডনি সমস্যা

  • কিডনি পাথর
  • কিডনি সিস্ট
  • কিডনি সংক্রমণ
  • কিডনি প্রদাহ/ইনফেকশন
  • কিডনি বিকলতা
  • প্রসাবে রক্ত, প্রসাব না হওয়া

লিভার সমস্যা

  • জন্ডিস
  • লিভার সিরোসিস
  • লিভার ক্যান্সার
  • যকৃত ফোড়া
  • HBsAg (+ve)

পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা

  • গ্যাস্ট্রিক আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য
  • নতুন এবং পুরাতন আমাশয়
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS)
  • ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD)
  • এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা

অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা

  • বাতজ্বর (মাত্র ৩/৪ মাসের চিকিত্সা)
  • লিউকেমিয়া এবং থ্যালাসেমিয়া
  • সাইনোসায়টিস
  • চর্মরোগ
  • মাইগ্রেন

সাম্প্রতিক প্রকাশিত

জেনে রাখা ভালো

অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রোগ, জটিলতা এবং নিরাময়ে ব্যর্থতার ফলে ক্রমশ হোমিওপ্যাথির মতো বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করছে ৷ আগে তো অ্যালোপ্যাথিকের বিখ্যাত ডাক্তারও হোমিওপ্যাথিকে সম্বল করে নানা সময় চিকিৎসার কাজ করেছেন ৷ অ্যালোপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লোকজন আজ খুবই বিরক্ত ৷ লন্ডন হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ পিটার ফিসার বলেন যে, লন্ডনের বুকে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা দুরন্ত গতিতে বাড়ছে ৷ হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোর জন্য ব্রিটিশ সরকার বছরে এখন চার মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ করে৷
জটিল এবং দুরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগিদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি ৷ এর কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ফলাফল দেখানো সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথিকে উপযুক্ত সম্মান দিতে নারাজ ৷ কারণ, অ্যালোপ্যাথি লবি যথেষ্ট অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ তাদের আশঙ্কা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে থাকা অ্যালোপ্যাথিক রোগীরা যদি হোমিওপ্যাথির দিকে পা বাড়ায়, তাহলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কি? যে কারনে অনেক পুরুষরা বাবা হতে পারতেছেন না । Men's Infertility causes in bangla.

বন্ধ্যাত্ব কি?

কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া স্বামী এবং স্ত্রী যদি এক থেকে দেড় বছর সন্তান লাভের আশায় এক সঙ্গে কম বাস করার পর ও সন্তান ধারনে ব্যার্থ হলে তাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়।

বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের

    প্রাইমারি - যাদের কখনো সন্তান হয়নি।
    সেকেন্ডারী - যাদের আগে গর্ভধারন হয়েছে কিন্ত আর গর্ভধারন হচ্ছে না।

বীর্য বিশ্লেষণ(Semen Analysis)

  • Appearance to seme - বীর্ঘ দেখতে কেমন - whitish to grey সাদাটে থেকে ধূসর রং এর হয়।
  • Semen volume বীর্যের পরিমানঃ বীর্যের পরিমান ২ মিলি বা তার বেশি হবে। যদি এই পরিমানের চেয়ে কম বা বেশি হয় তাহলে বীর্যের মধ্যে শুক্রানুর সংখ্যা বা পরিমান কম বেশি হতে পারে।
  • Semen shape (আকার) - বীর্যের মধ্যে থাকা একেকটি শুক্রানুর মধ্যে ৩টি অংশ থাকে -১। মাথা ২।শরীর ৩। লেজ ৩০% শুক্রানোর শারীরিক গঠনে এবনরমালিটি থাকলে আপনার স্ত্রীর ডিম্বানুর সাথে আপনার শুক্রানোর ফার্টিলাইজেশন বা নিষিক্ত হবেনা এবং সন্তান হবে না
  • sperm count - 20-200 মিলিয়ন শুক্রানু প্রতি মিলি লিটার বীর্যের মধ্যে থাকতে হবে।
  • Motile, Motility, movement - শুক্রানোর নড়া চড়া বা গতি 50% শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক নড়া চড়া থাকতে হবে।
  • pH - ল্যাব টেস্ট অনুযায়ী মানুষের বীর্য PH এর মান 7.2 - 7.8 পর্যন্ত স্বাভাবিক যদি 8 এর বেশি থাকে তা হলে তা ইনফেকশন নির্দেশ করে।
  • Viability (কার্যকারিতা): 75% অথবা তার বেশি কার্যকারী হতে হবে।


  • অস্বাভাবিক বীর্য বিশ্লেষণ রিপোর্ট

    • Aspermia: (অ্যাসপার্মিয়া) বীর্যই তৈরী হয়না।
    • Azoospermia: (অ্যাজুস্পার্মিয়া) বীর্য আছে কিন্তু এর মধ্যে শুক্রানু নাই।
    • Oligospermia: (অলিগোস্পার্মিয়া) শুক্রানুর সংখ্যা প্রতি মিলিতে 70 মিনিয়ন এর কম।
    • Asthenozoospermia: (অ্যাস্থেনোজুস্পার্মিয়া) 50% এর কম শুক্রানোর মধ্যে স্বাভাবিক মুভমেন্ট/নড়া চড়া আছে
    • Teratozoospermia: (টেরাটোজোস্পার্মিয়া) 70% এর বেশি শুক্রানুর শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক।
    • Necrozoospermia: (নেক্রোজুস্পার্মিয়া) শুক্রানো আছে তবে মৃত।
    • Oligoasthenozoospermia: (ওলিগোঅ্যাস্থেনুজুস্পামিয়া) স্বাভাবিক সংখ্যক শুক্রানুর স্বাভাবিক নড়া চড়া নাই এবং একই সাথে শুক্রানুর সংখ্যা ও কম।
    • Varicocele (ভ্যারিকোসেল) আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় 5-6% রোগীর পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
    • Epididymitis/epididymal cyst: (এপিডিডাইমাইটিস/এপিডিডাইমাল সিস্ট) শুক্রবাহী নালীতে ইনফেকশন বা সিস্ট হলেও পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।

    বিস্তারিত

    বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

    হস্তমৈথুনের ফলে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে। ছেড়ে দিলে সমস্যা সমাধান হবে?

    একজন ইমেইল করেছেন - আমার বয়স ১৮। আমি তিনবছর যাবৎ হস্তমৈথুন করে আসছি।এখন আমার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় হস্তমৈথুনে। এখন যদি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিই আমার সমস্যাগুলো সমাধান হবে কি?

    উত্তর : দীর্ঘদিন হস্তমৈথুনে করলে এর কিছু কুফল তৈরী হয় যার কিছু কিছু উপসর্গ আগেই প্রকাশ পায় তবে আরো ভালোভাবে বুঝা যায় বাস্তব স্ত্রী মিলনের সময়। তখন যদি সমস্যা হয় তাহলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যাবেন। কারণ হস্তমৈথুন এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কুফল দূর করার একমাত্র চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। এটিই এখন সমগ্র বিশ্বে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত, যৌন অক্ষমতা, পুরুষাঙ্গ উত্থানহীনতা ইত্যাদি দূরীকরণে এক নম্বর চিকিৎসার তালিকায় আছে।
    হস্তমৈথুনের ফলে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে। ছেড়ে দিলে সমস্যা সমাধান হবে?
    কারণ হোমিওপ্যাথির প্রতিটি ঔষধেই রয়েছে  রোগীর - শারীরিক, মানুষিক, চারিত্রিক, স্বভাবগত এবং যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেই রোগের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ। আর তাই তো হোমিওপ্যাথি এত কার্যকর এবং স্থায়ী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার লক্ষণ অর্থাৎ লক্ষণের ভিন্নতা থাকলেও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের এই রোগ স্থায়ী ভাবে সারাতে মোটেও বেগ পেতে হয় না।
    আরো জেনে নিন -




    তবে রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়। যদি কোন হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না দেয় তাহলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন। কারণ আপনার রোগ ভালো হচ্ছে না এর জন্য ঐ ডাক্তারের ঔষধ এবং ঔষধের পাওয়ার সিলেকশনে ভুল থাকতে পারে। এটা হোমিওপ্যাথির দোষ নয়। আর সব সময় অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়াই হলো অতি উত্তম।

    আবার আসি আপনার প্রসঙ্গে -  আপনি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিন তাতে আপনার মন মানুষিকতা পবিত্র থাকবে। আপাতত এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো, নিজের কাজে কর্মে মনোযোগ দিন। যদি সমস্যা মনে করেন তাহলে প্রয়োজনবোধে বিয়ের কয়েক মাস আগে চিকিৎসা নিতে পারেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে আমার ফোন নম্বর দেয়া আছে - ফোনে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন। ধন্যবাদ। 
    বিস্তারিত

    যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ট্যাবলেট খেলে কি সমস্যা হবে ?

    অনেকেই বলে থাকেন যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ট্যাবলেট খেলে কোন সমস্যা হবে কি না। জেনে রাখা ভালো যেটি তাৎক্ষণিক ফল দিচ্ছে অবশ্যই এর বিপদজনক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আপনি শুরুতেই উত্তেজনা বৃদ্ধির রেজাল্ট পেয়ে খুশি হয়ে গেলেন কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াটা কিছুটা সময় পর বুঝবেন। তখন আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
    যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির ট্যাবলেট খেলে কি সমস্যা হবে ?
    প্রথম দিকে হয়তো কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলি দেখা দিয়ে থাকে - মাথাব্যাথা, শরীর ব্যথা এবং যন্ত্রনা, তীব্র গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, যৌন শক্তির হ্রাস, যৌণ অক্ষমতা এটা দেখা দেয় পরবর্তীতে। কিছু কিছু ট্যাবলেট আপনার কিডনি এবং লিভারকেও নষ্ট করে দিবে। শুরুতে আপনি এই বিষয়গুলি বুঝবেন না কিন্তু সমস্যা ধরা পড়ার পর আর কিছুই করার থাকবে না। 
    আপনার যদি যৌন সংক্রান্ত কোন সমস্যা থেকে থাকে সেটা অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিয়ে ঠিক করে নিতে পারেন। এর জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ার আদৌ প্রয়োজন নেই। ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। ধন্যবাদ।
    বিস্তারিত

    আমি দীর্ঘ ৩ বছর যাবত স্বপ্নদোষ রোগে ভুগছি - এর থেকে মুক্তি চাই

    কিছু দিন আগে একজন বলছেন - আমি দীর্ঘ ৩ বছর যাবত স্বপ্নদোষ রোগে ভুগছি। এখন আমার বয়স ১৭ বছর। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারনে আমার এই সমস্যা। এটি বাদ দেয়ার পর থেকে আমার সপ্তাহে ২ বার করে স্বপ্নদোষ হচ্ছে। হোমিও ডাক্তার দেখিয়েছি, হারবাল, হামদর্দ, ভেষজ ঔষধ খেয়েছি। এমনকি BCS করা M.B.B.S ডাক্তারও দেখিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয় নাই। এটি কি ভালো হবে না ?

    উত্তর :- কেন ভালো হবে না। অন্যান্য রোগের মতো অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ (Nightfall or Wet Dreams) হওয়াও একটি রোগ। আর এরও চিকিৎসা আছে। এলোপ্যাথিতে এর কোন কার্য্যকর চিকিৎসা নেই - তারা আপনাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিবে, যা এই সমস্যার কোন যৌক্তিক সমাধান নয়। কিন্তু এই রোগের স্থায়ী চিকিৎসা রয়েছে হোমিওতে। এক্ষেত্রে আপনাকে অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।
    বলে রাখা ভাল - সপ্তাহে ২ বারের বেশি বা  মাসে গড়ে ৫/৬ বারের বেশি স্বপ্নদোষ ক্রমাগত ভাবে হতে থাকলে এটিকে অতিরিক্ত ধরা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এর থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্টকর। অনেকেই আপনাকে দোয়া কালাম, আর কিছু নিয়ম কানুন পালন করার পরামর্শ দিবে - মনে রাখবেন প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এই সমস্যা সহজেই ভালো হবার নয়।
    তবে আপনার আপাতত এটা নিয়ে চিন্তা না করারই ভালো। যেহেতু আপনার সপ্তাহে ২ বারের বেশি হচ্ছে না তাই এটিকে অতিরিক্ত বলা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন তাহলে শরীর স্বাস্থ সবই ঠিক থাকবে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ বার হলে মাসে গড়ে ৮/৯ বার হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অনেকেই কিছুটা দুর্বলতায় ভুগেন এবং অনেকে মেজাজের ভারসাম্যহীনতায় ভুগেন - যা তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আপনার যদি এমনটি হয় তাহলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। সমস্যা ঠিক হতে বাধ্য। 
    হোমিওপ্যাথির প্রতিটি ঔষধেই রয়েছে  রোগীর - শারীরিক, মানুষিক, চারিত্রিক, স্বভাবগত এবং যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেই রোগের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ। আর তাই তো হোমিওপ্যাথি এত কার্যকর এবং স্থায়ী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। বিভিন্ন রোগে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার লক্ষণ অর্থাৎ লক্ষণের ভিন্নতা থাকলেও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের রোগ স্থায়ী ভাবে সারাতে মোটেও বেগ পেতে হয় না। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে অযথাই অন্য দিকে ছুটাছুটি করে আপনার টাকা পয়সা এবং সময় নষ্ট না করে রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। 

    যদি কোন হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না দেয় তাহলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন। কারণ আপনার রোগ ভালো হচ্ছে না এর জন্য ঐ ডাক্তারের ঔষধ এবং ঔষধের পাওয়ার সিলেকশনে ভুল থাকতে পারে। এটা হোমিওপ্যাথির দোষ নয়। আর সব সময় অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়াই হলো অতি উত্তম। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে আমার ফোন নম্বর দেয়া আছে - ফোনে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন। ধন্যবাদ। 
    বিস্তারিত

    শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

    হোমিও ডাক্তারের ঠিকানা - কখন, কোথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিবেন

    অনেকেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অর্থাৎ সেরা হোমিও ডাক্তার বা হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র ঢাকা বা দেশের অন্যান্য স্থানে খুঁজে বেড়ান। তবে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে  হবে আপনার রোগের ধরণ অনুযায়ী সুচিকিৎসা পেতে আপনাকে দেশের যেকোন স্থান থেকে প্রয়োজনবোধে ঢাকায়ও আসতে হবে।

    অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রোগ, জটিলতা, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং নিরাময়ে ব্যর্থতার ফলে ক্রমশ সমগ্র বিশ্বেই হোমিওপ্যাথির মতো বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করছে৷ অ্যালোপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লোকজন আজ খুবই বিরক্ত ৷ লন্ডন হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ পিটার ফিসার বলেন যে, লন্ডনের বুকে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা দুরন্ত গতিতে বাড়ছে ৷ হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোর জন্য ব্রিটিশ সরকার বছরে এখন চার মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ করে৷ জটিল এবং দুরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগিদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান৷
    কারণ মানব দেহের অনেক জটিল এবং কঠিন রোগসমূহ নির্মূলের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যা অ্যালোপ্যাথিতে তেমন নেই, এর প্রধান কারণ হলো অ্যালোপ্যাথির ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় পারদর্শী হলেও রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত মেডিসিন এবং কার্যকর ট্রিটমেন্ট নেই। আর তাই তো হোমিওপ্যাথির কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ফলাফল দেখানো সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথিকে উপযুক্ত সম্মান দিতে নারাজ ৷ কারণ, অ্যালোপ্যাথি লবি যথেষ্ট অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ তাদের আশঙ্কা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে থাকা অ্যালোপ্যাথিক রোগীরা যদি হোমিওপ্যাথির দিকে পা বাড়ায়, তাহলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তবে যে যাই ভাবুক না কেন হোমিওপ্যাথি শুধু মাত্র নির্মূল রোগ নির্মূলকারী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায় সমগ্র বিশ্বেই এটি এখন সমান জনপ্রিয়।

    তবে হোমিও চিকিৎসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ দেখা যায় কিছু ক্ষেত্রে প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে না জানার কারণে রোগীরা ভাল ফল না পেয়ে হোমিওপ্যাথিকে দোষ দিয়ে থাকে। অথচ এখানে ডাক্তারের চিকিৎসা দানে ভুল থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দোষটা হোমিওপ্যাথির নয় বরং ডাক্তারের। তাই  প্রযোজন হলে এক ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না পেলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন। 
    বিস্তারিত

    বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮

    Acid Phos Q এসিড ফস মাদার - হোমিওপ্যাথিক ঔষধ (Phosphoricum acidum)

    Acid Phos Q, 30, 200 এসিড ফস মাদার, ৩০ বা ২০০ শক্তি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ যা লক্ষণ অনুসারে ডাক্তারগণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন শক্তি ব্যবহার করে থাকেন। এর পূর্ণ হোমিওপ্যাথিক নাম Phosphoricum acidum. এই ঔষধটি ক্ষেত্র বিশেষে এবং লক্ষণ অনুসারে শর্করাযুক্ত বহুমূত্র অর্থাৎ ডায়াবেটিস, উদরাময়, কাশি, স্নায়ু-দৌর্বল্য, টাইফয়েড জ্বর, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, ইন্দ্রিয় এবং স্মৃতিশক্তির লোপ, নাভার্স- ডিবিলিটি এবং মহিলাদের শ্বেত প্রদর, প্রমেহ স্রাব বশত দুর্বলতা ইত্যাদিসহ আরো কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

    তবে লক্ষণ দেখেই একটি ঔষধ খাওয়া শুরু করে দিবেন না। আপনার সমস্যা থাকলে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিবেন তা না হলে একসময় আপনার নিজেকেই পস্তাতে হবে। কারণ শুধুমাত্র ঔষধ সিলেকশনের ভুলের কারণে অনেক হোমিও ডাক্তারগন পর্যন্ত ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে ব্যর্থ হন। তখন রোগ ভালো না হওয়ার কারণে লোকজন ডাক্তারকে দোষ না দিয়ে সরাসরি হোমিওপ্যাথিকে দোষ দেয়।
    Acid Phos Q এসিড ফস মাদার - হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
    আপনাকে বুঝতে হবে লোকজন যখন ডাক্তারের কাছে যায় তখন একক কোন সমস্যা বা উপসর্গ নিয়ে যায় না। দেখা যায় একই সাথে নানান শারীরিক বা মানুষিক সমস্যা নিয়ে লোকজন হোমিও ডাক্তারের কাছে আসেন। তখন সবগুলি বিষয় পর্যালোচনা করে একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক প্রতিটি রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে ক্রমান্বয়ে তাকে সুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ ইন্টারনেট থেকে ভুল তথ্য অনুসরণ করে নিজ নির্বাচনে ঔষধ খাওয়া শুরু করে দেন। একসময় ঔষধের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কোন কিছুই বুঝতে না পেয়ে তারা চিকিৎসা শাস্ত্রকে দোষারোপ করা শুরু করেন। অথচ তারা এটি চিন্তা করেন না, যে কাজটি তিনি নিজে করেছেন সেটি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের করতেও অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই নিজ নির্বাচনে যেকোন প্রকার ঔষধ খাওয়া পরিহার করুন।
    বিস্তারিত

    মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

    এনাল ফিসার, পাইলস বা অর্শ্ব, ফিস্টুলা বা ভগন্দর নির্মূলের কার্যকর চিকিৎসা

    পায়ুপথের কষ্টদায়ক রোগগুলি হলো - এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা। মলদ্বারের এই রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান একটি  কারন। এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় র্সাজারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। আসুন এ সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

    এনাল ফিসার


    যে রোগে সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়, ফলে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। এই ঘা সহজে শুকাতে চায় না। কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে আবারও একই সমস্যা দেখা দেয়। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে।
    এনাল ফিসার, পাইলস বা অর্শ্ব, ফিস্টুলা বা ভগন্দর নির্মূলের কার্যকর চিকিৎসা
    মাঝে মাঝে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে, যা কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। তরুণ ও যুবকদের রোগটি বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।

    পাইলস বা অর্শ্ব


    পাইলস (Piles or Hemorrhoids) বা অর্শ বা গেজ হচ্ছে মলদ্বারের এক ধরনের রোগ, যেখানে রক্তনালীগুলো প্রশস্ত হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে।

    অর্শ্ব বা পাইলস (Piles or Hemorrhoids) হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় তা হলোঃ
    • মলত্যাগের (Evacuation) সময় ব্যথাহীন রক্তপাত (Painless bleeding)
    • পায়ুপথ চুলকানো (Itching) অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া (Burning) ব্যথা
    • পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা (Swelling) ও ব্যথা লাগা
    • পায়ুপথের মুখে ব্যথা ও চাকা অনুভব করা 

    ফিস্টুলা বা ভগন্দর


    ফিস্টুলা একটি নালী ঘাঁ যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়ে ও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের চামড়ায়। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফিস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলে মুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে। রোগটির পুনরাবৃত্তি ঘটতেও পারে এবং জটিলতর হতে পারে।
    রোগের কারণ এবং কি করে ঘটে:-
    • সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি ( Tenesmus ) দেয়া। শক্ত মল (Hard Stool) বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়।
    • ঘন ঘন মলত্যাগ (Frequent Evacuation ) বা ডায়রিয়া (Diarrhea) হলে ফিসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত (Shrinkage) বলে মনে হয়।
    • গর্ভাবস্থার শেষের (Last period of pregnancy ) দিকে অনেকে এনাল ফিসারের সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে মলদ্বারে চাপের কারণে এই ফিসার হয়।
    • পায়ুপথে যৌনমিলনে (Anal Intercourse) অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
    • মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী (Suppository) জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে ঘা হয়, তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।
    উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:- মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা (Pain), জ্বালাপোড়া(Burning) ও রক্তক্ষরণ (Bleeding)। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের পরেই শুধু হয় না, যে কোন সময় হতে পারে।

    প্রতিরোধ:- কোষ্ঠকাঠিন্য সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে বা কুথঁনি দিয়ে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।

    যা যা খাবেন?
    • যারা আঁশযুক্ত (Fiber) খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, আলুর ছোলা, কাঁচা ফলমূল, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম (Soft stool) করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।
    • ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ (Fiber) থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।
    • খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা ঢেঁকি ছাটা চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে।
    •  নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।
    • দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।
    যা যা খাবেন না?
    • প্যাস্তা (Pasta), ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে, যাতে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।
    • ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার (Fatty and High sugar) যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চকোলেট, চীজ, আইস্ক্রীম, মাখন, কোমল পানীয়, ফ্রাইড খাবার ইত্যাদি।
    ব্যায়াম:- যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন (Lye straight ), পা মাটিতে মেশানো থাকবে (Leg on ground), পায়ের পাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন (Slowly inspiration) ও ডান পা (Right leg) টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে (Expiration) পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একই ব্যায়াম করুন।

    মলদ্বারের যত্ন:-মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী (Rectal region) অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস (Under ware) পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড (Soft pad) ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিতে পারেন, অর্থাৎ আধ গামলা লবণ মিশ্রিত হাল্কা গরম পানিতে নিতম্ব (Waist) ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

    চিকিৎসা


    সার্জিক্যাল চিকিৎসা:- এলোপ্যাথিতে সার্জারী ব্যতিত এ রোগের জন্য মেডিসিনাল চিকিৎসা কমই আছে। সার্জারী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন কিছু নেই, বার বার আক্রান্ত হলে সার্জারী করবেন কোথায় ( ভালো থাকা যায়?)।

    হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:- এনাল ফিসার, ফিস্টুলা, পাইলসসহ মলদ্বারের সকল রোগই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক বা দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিও চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায়। হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র ভিত্তিতে লক্ষণ সমষ্টির উপর ঔষধ নির্বাচন করা হয়। এটি নিরাপদ, সহজ লভ্য এবং কম ব্যয় সাপেক্ষ্য। সঠিক চিকিৎসার জন্য আপনি অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রপার ট্রিটমেন্ট নিবেন।
    বিস্তারিত

    রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

    এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন

    সমগ্র বিশ্বে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কদর দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা যে ক্রনিক ডিজিস এবং দুরারোগ্য ব্যাধিগুলি পুরুপুরি সারাতে পারে না তার অধিকাংশগুলিই হোমিও চিকিৎসায় দূর করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদ, ইউনানীসহ আরো কয়েকটি চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।  আপনার এও জানা দরকার পৃথিবীতে শুধু এলোপ্যাথিক ঔষধই একমাত্র চিকিৎসার জন্য ঔধষ নয়। রয়েছে আরো বহু অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অল্টারনেটিভ মেডিসিন। কিন্তু পুঁজিবাদী কোম্পানিগুলি একমাত্র এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রি করেই মোটা অংকের টাকা তাদের পকেটে ঢুকাতে পারে বলে অন্য সবগুলি থেকে মানুষকে তারা প্রচার প্রচারণা করে ফিরিয়ে রাখে। পৃথিবীতে আরো কি কি অল্টারনেটিভ মেডিসিন আছে তা একবার দেখে নিন এখান থেকে >>>। জানি এটা দেখার পর আপনার চিন্তা চেতনায় একটা নাড়া দিবে! তাহলে এতো মানুষ মরছে কেন দুরারোগ্য রোগে ? জি স্যার, এতে যারা আপনাকে শোষণ করে চলেছে তাদের যেমন দোষ আছে সাথে সাথে আপনারও দোষ রয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে যারা বেঁচে যাচ্ছেন তারা নিজের প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের কারণে যেকোনো সমস্যার জন্য এর সঠিক সমাধানের উপায়টি খুঁজে বের করতে পারেন।

    পৃথিবীতে আল্লাহ রোগ দিয়েছেন এবং সাথে তার আরোগ্যের উপায়ও দিয়েছেন। আপনি জ্ঞান অর্জন করেননি, আপনার সমস্যার সমাধান নিয়ে পড়াশোনা করেননি, রোগে আক্রান্ত হলে বা সমস্যায় পড়লে সমস্যাটি সমাধান করার সঠিক উপায় কি সেটা খুঁজে বের করেন নি - এটা আপনার ব্যর্থতা। তাই শেষ বিচারে দিন কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে দোষ দিতে পারবে না। কেউ বলতে পারবে না যে - তুমি শধু আমায় সমস্যাই দিয়েছ কিন্তু এর সমাধানের উপায় দাও নি। আপনার রোগ হল আর আপনি শুধু এলোপ্যাথির পেছনে দৌড়াচ্ছেন। অথচ এই এলোপ্যাথি ৩০-৪০% এর বেশি ক্রনিক রোগের স্থায়ী এবং পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন কোন কার্যকর ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। আপনাকে অনেক ক্রনিক রোগের জন্যই সারা জীবন ঔষধ খাওয়াবে এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আর ঔষধ কোম্পানি থেকে ডাক্তাররা কমিশন খেয়ে যাবে, মাঝে থেকে আপনার পটেকের টাকা মাসের পর মাস ধরে তাদের পকেটে যাবে - এটাই পুঁজিবাদীদের চালাকি। আর এই কারণেই এটি সর্বাধিক সীকৃত।

    অথচ একটু খুঁজে দেখলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার রোগের স্থায়ী সমাধান রয়েছে অন্য একটি অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তবে এটাও সত্য যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি বেশ কার্যকর। এই যেমন সার্জারি বা অপারেশনের সময় এলোপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ এবং মরণাপন্ন যেকোন রোগীকে ইনস্ট্যান্ট সাপোর্ট দিতে এলোপ্যাথিক ঔষধ বেশি কার্যকর, যদিও এটি সব ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু ক্রনিক ডিজিস সারানোর ক্ষেত্রেও  এলোপ্যাথি খুব বেশি সাপোর্ট দিতে পারে না, এক্ষেত্রে সারা জীবন এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে যেতে হয়। কিন্তু সেই একই ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ৯০% সাপোর্ট দিবে আপনাকে, আর কয়েক মাসের চিকিৎসায় ভালো হয়ে যাবেন অর্থাৎ সারা জীবন ঔষধ খেয়ে যেতে হচ্ছে না আপনাকে। এর থেকে আর কি ভালো সুফল হতে পারে।

    একটা বিষয় সকলেরই জানা উচিত সব চিকিৎসা শাস্ত্রেরই কদর রয়েছে কারণ একটি মাত্র চিকিৎসা শাস্ত্র দিয়ে সব রোগের নির্মূলকারী চিকিৎসা সম্ভব নয়। যদিও এলোপ্যাথিক বহুজাতিক কোম্পানিগুলি তাদের এক চেটিয়া ব্যাবসা ধরে রাখার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির ক্রমাগত দুর্নাম করেই চলেছে। অথচ স্বয়ং এলোপ্যাথিই ৩০-৪০% এর বেশি রোগের কার্যকর এবং পুরুপুরি নির্মূলকারী ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। বাকি রোগগুলির জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি থেকে কমিশন খাবে সাথে সাথে আপনাকে সেই কোম্পানির ঔষধ সারা জীবনই খাওয়াবে আর আপনার পকেটের টাকা সারা জীবন ধরেই তাদের পকেটে ঢুকাবে, হ্যা এটাই এখন আইন, এটাই এখনকার বাস্তবতা। আর সাথে এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো ফ্রিতেই পাচ্ছেন। ভুলে যাবেন না সাধারণ প্যারাসিটাল ট্যাবলেটেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশ্বাস না হলে প্যারাসিটালের প্যাকেটের সাথে যে কাগজ দেয় সেটি একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখবেন। মাথা আপনার নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার এটিও জানা উচিত প্রতিটি এলোপ্যাথিক ঔষধই পরীক্ষা করা হয় প্রথমে ইতর শ্রেণীর প্রাণীর উপর এই যেমন - ইঁদুর, শূকর ইত্যাদি। এর মাধ্যমেই এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধ করা হয়। আর অন্যদিকে প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পরীক্ষা করা হয়েছে সরাসরি একজন একেবারে স্বাস্থবান সুস্থ মানুষের উপর প্রয়োগ করে। তাই তো হোমিওপ্যাথি এতো কার্যকর আর হোমিও ডাক্তারগণ ও পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা দিতে পারেন।
    এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী কখন কোন চিকিৎসা নিবেন
    এবার আসুন অল্টারনেটিভ চিকিৎসা শাস্ত্রের দিকটা নিয়ে আরেকটু ভিতরে ঢুকি। অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হোমিওপ্যাথি দিয়েই ৯০% রোগের স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব। তাও আপনাকে ক্রনিক রোগের ক্ষত্রে হয়তো ৬-৮ মাসের মতো ঔষধ খাওয়া লাগতে পারে বা বড়জোর এর চেয়ে কয়েক মাস বেশি সময় লাগতে পারে। যেখানে এলোপ্যাথিতে সেই একই রোগের কোন চিকিৎসা পর্যন্ত নেই। এলোপ্যাথিক ডাক্তার যখন ঔষধ প্রযোগ করে কাজ করাতে পারেন না তখন সেটা সার্জারিতে ট্রান্সফার করেন এবং অপারেশন করে আপনার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বলে দিবে তিন মাসের বেশি বাঁচবেন না (যেমন মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার)। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাররা সেই জটিল রোগকেই সারিয়ে তুলছে স্থায়ীভাবে। এর প্রমান আপনার আশেপাশেই পাবেন ভুরি ভুরি। তাই এটি নিয়ে আর বিস্তারিত বললাম না।

    আমার কথাগুলি শুনে অবাক হলেন অনেকেই - তাই না। আসুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্লেষণ করি। ধরুন, একজনের একটা কিডনি ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে গেছে। এলোপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে গেলেন তারা আপনাকে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাবে অর্থাৎ আপনারটা ফেলে দিয়ে আরেকটি লাগবে। এই অপারেশনের জন্য টাকার পরিমানটা কত হতে পারে আর কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে একবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। তো কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেন - স্যার, এখানেই শেষ হয়। সমস্যার মাত্র শুরু। আপনার বাড়িতে একজন অপরিচিত লোক আসলে আপনি যেমন তাকে সাথে সাথেই আপন করেন নিবেন না সেই রকম, যখন আরেকজনের কিডনি আপনার শরীরে বসানো হবে আপনার শরীরও তাকে আপন করে নিবে না। আপনার শরীরের সাথে তাকে খাপ খাওয়ানোর জন্য এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা আপনাকে ক্রমাগত ঔষধ খাওয়াতে থাকবে। এবার টাকার অংকটা আরেকবার যোগবিয়োগ করে দেখুন।

    এবার আসুন পৃথিবার সর্বশ্রেষ্ঠ অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিপ্যাথিতে এর চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি। এলোপ্যাথি ডাক্তাররা আপনার নিজের কিডনিটিই ফেলে দিলো। আর হোমিও ডাক্তাররা আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটিই ঠিক করে দিবে। এর জন্য হয়তো অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসক আপনাকে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি হলে ৮/১০ মাস ঔষধ খাওয়াবে। আর এই চিকিৎসাতেই আপনার সেই ড্যামেজ বা নষ্ট কিডনিটি নতুন করে আপনার সচল হয়ে উঠবে। এর জন্য আপনাকে বাড়িঘর, জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে অপারেশন করতে হচ্ছে না, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হচ্ছে না আর  আপনাকে সারা জীবন ঔষধও খেয়ে যেতে হচ্ছে না ।

    আজকাল শিক্ষিত অনেক লোককেই দেখা যায় তাদের শিক্ষা দীক্ষা ফলাও করার জন্য কোন রোগের জন্য কোথায় যাবে হরহামেশাই পরামর্শ দিচ্ছেন মানুষকে। এই যেমন
    • আপনার স্কিন ডিজিস (কিছু সেক্সের রোগের ক্ষেত্রেও) - আরে ভাই ভাল একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখান। 
    • আপনার কিডনির সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন নেফ্রোলজিস্ট দেখান। 
    • আপনার হেপাটাইটিসের সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন হেপাটোলজিস্ট দেখান। 
    • আপনার পেটে সমস্যা - আরে ভাই ভাল একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট দেখান। 
    • ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
    এবার আসুন আমার শিক্ষিত ভাই, নতুন করে আজকে কিছু বিষয় শিখে নিন। আরেকজনের উপকার না করতে পারলেও অন্তত নিজের জীবনটা ভালো রাখতে পারবেন। আপনি হয়তো জানেন না -
    • এলোপ্যাথিক নেফ্রোলজিস্ট এর হাতে কিডনি সমস্যা নির্মূলের জন্য পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। আর চিকিৎসাও অনেক ব্যয়বহুল। 
    • এলোপ্যাথিক ডার্মাটোলজিস্ট এর হাতে অনেক চর্ম রোগ সারানোর মতো পর্যাপ্ত মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। জেনে রাখা ভালো ৩০% এলার্জির কারণ কি এটাই এখন পর্যন্ত এলোপ্যাথি আবিষ্কার করতে পারেনি - ট্রিটমেন্ট দিবে তো দূরের কথা। এ জন্য দেখবেন এলার্জির ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি ঔষধ খেলে আপনি কিছু দিন ভালো থাকবেন আর বাদ দিলে কিছু দিন পর আবার রোগের শুরু। অর্থাৎ কার্যকর চিকিৎসা নেই।
    • এলোপ্যাথিক হেপাটোলজিস্ট এর হাতে হেপাটাইটিসের সমস্যা নির্মূলের জন্য খুব বেশি মেডিসিন নেই। কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল ভাল দিতে পারলেও ক্রনিক ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসা নেই। 
    • এলোপ্যাথিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট এর হাতে পেটের সমস্যা নির্মূলের জন্য কার্যকর মেডিসিন নেই। সাধারণ একজন গ্যাসের রোগীকেই তারা সারা জীবন ভর ঔষধ খাওয়ায়। বাকিগুলির কথা নাইবা বললাম। 
    • মহিলাদের সমস্যাগুলিতে এলোপ্যাথিক তেমন ভালো কোন চিকিৎসা নেই বললেই চলে। 
    • পুরুষের যৌন সংক্রান্ত sexually transmitted diseases (STD) ছাড়া দ্রুত বীর্যপাত (Premature ejaculation (PE)), Erectile dysfunction (ED), লিঙ্গ উত্থান সমস্যা, যৌন অক্ষমতায় বলতে গেলে এলোপ্যাথিতে ভালো এবং স্থায়ী কোন চিকিৎসাই নেই। তাই তারা এটাকে মানুষিক সমস্যা বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু নিজের সমস্যা হলে গোপনে গোপনে ঠিকই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যায়। এটাই বাস্তবতা।
    এই সব সেকশনের এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় বেশ পারদর্শি কিন্তু রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ঔষধ নেই। যার কারণে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ যেখানে রোগের কারণ খুঁজে খুঁজে হয়রান সেইখানে যেকোন অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তার আপনার চারিত্রিক, মানুষিক আর রোগের লক্ষণ দেখেই তার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শধু মাত্র ঔষধ প্রয়োগ করেই আপনাকে সুস্থ করে তুলছে। কারণ হোমিওপ্যাথিতে প্রতিটি রোগের জন্য রয়েছে অজস্র ঔষধ। তবে এর জন্য দরকার হোমিও ডাক্তারের ব্যাপক পড়াশোনা আর বাস্তব অভিজ্ঞতা।

    কিন্তু আমাদের দেশে কিছু হোমিও ডাক্তারের বোকামির জন্য অনেক সময় পুরু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসারই বদনাম হচ্ছে। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে কিছু দিন হলো এক মহিলা চিকিৎসক সাজানো গুছানো চেম্বার খুলে বসেছেন। তার ডিগ্রিগুলি দেখুন -

    ০১. ডিএইচএমএস (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স)। এটি আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। ডাক্তার হতে চাইলে এই খানে আপনাকে ৪ বছর সময় দিতেই হবে। একজন প্রফেশনাল হোমিও চিকিৎসকের ডিপ্লোমা বা স্নাতক যেকোন ডিগ্রি থাকলেই ডাক্তারি করতে পারবেন তাতে সমস্যা নেই। তাছাড়া একথা সত্য যে - এ দেশের বড় বড় হোমিও ডাক্তারের ৯৮% ই ডিএইচএমএস অর্থাৎ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী, যদিও পরে অনেকেই স্নাতক এবং অনেকে এমডিও করে নিয়েছেন।

    ০২. পিডিটি (১ বছর মেয়াদি হোমিও মেডিসিনের উপর একটা কোর্স), এটা বেশ ভালো একটি বিষয় যদিও এটি মেডিকেল কলেজে করানো হচ্ছে কিন্তু হোমিও বোর্ড স্বীকৃত নয়। তবে প্রোফেসনাল হোমিও চিকিৎসকদের মেডিসিনের উপর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এটা করা ভালো।

    ০৩. এমডি (ইন্ডিয়া থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত - ঐ মহিলা ডাক্তারের সাইন বোর্ডে লেখা আছে)

    আসুন এই ডিগ্রিটি নিয়ে আগে আলোচনা করি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়েও করানো হয় এবং এটিও কিছুটা দীর্ঘ মেয়াদি উচ্চতর একটি কোর্স। যেখানে নিয়মিত পড়াশোনাও করতে হবে আপনাকে। আর এটি করার নম্বর ওয়ান শর্ত হলো এর পূর্বে স্নাতক ডিগ্রি অর্থাৎ বিএইচএমএস ডিগ্রি লাগবে। লিংকটিতে ক্লিক করুন >>>
    কিন্তু আমাদের এলাকার ঐ মহিলা ডাক্তারের ইন্ডিয়া থেকে এই ডিগ্রি করতে খরচ পড়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা তাও আবার তাকে সম্ভবতো ১ বারের বেশি সেখানে যেতে হয়নি। তিনি ভেতরে প্রিন্ট করে বিশাল এক সনদপত্র ঝুলিয়ে রেখেছেন। অথচ তিনি স্নাতক অর্থাৎ বিএইচএমএস করেননি। তিনি পাবলিককে এতটাই বোকা ভেবেছিলেন যে - নিজেই ধরা খেয়ে গেলেন। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী লোক, নামের সাথে এমডি ডিগ্রি ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর সত্যতা প্রমান করার জন্য ইন্ডিয়ার শিয়ালদহের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্ট করা কাগজপত্র বাঁধাই করে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তিনি হয়তো নিজেও জানেন না হোমিওতে এমডি করতে হলে বিএইচএমএস বাধ্যতামূলক থাকতে হবে যেটি তার নেই। কারণ এক্ষেত্রে ডিপ্লোমার পর পিডিটি কোর্স করে এমডি করা কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ই এলাও করে না। 
    বলে রাখা ভালো। এটি হল সামান্য হোমিওর বিষয়। বলতে শোনা যায় এমন কিছু  বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখান থেকে মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় ৩ ঘন্টায় পিএইচডি ডিগ্রিও নাকি কেনা যায়।

    আগের বিষয়ে আবার আসি। ঐ মহিলা ডাক্তার নামের আগে প্রভাষকও ব্যাবহার করছেন। তিনি নরসিংদী হোমিও কলেজের প্রভাষক। তো সারা মাস পড়ে থাকেন ঢাকায় ওনার চেম্বারে। বুঝেন ঠেলা। কোথাকার প্রভাষক আর কিসের প্রভাষক !!!??

    এই রকম কিছু ডাক্তার রয়েছে যারা ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে পারে না। ডিগ্রির বাহার দেখে লোকজন তাদের কাছে যায় আর রোগ ভালো না হলে দোষ দেয় হোমিওপ্যাথিকে। হোমিওপ্যাথির বেলায় ডাক্তারের কোন দোষ নাই। কারণ ঐ যে ডিএইচএমএস, পিডিটি, এমডি, উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইন্ডিয়া থেকে, প্রভাষক.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি.... ইত্যাদি। তাই ডাক্তারের দোষ নাই, হোমিওপ্যাথিরই দোষ। অথচ আমার জানা মতে এ দেশের শুধু মাত্র ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী (অর্থাৎ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স) বহু চিকিৎসক আছেন যারা ঐ বিষেয় স্নাতক আর এমডি করা ডাক্তারের থেকেও অনেক ভালো এবং উন্নত চিকিৎসা দিতে পারেন এবং দিয়ে থাকেন। কারণ যারা এই ডিএইচএমএস  কোর্সটি করেন তারা অনেকেই নিজের বাপ্ দাদা থেকেও ব্যাপক ডাক্তারি জ্ঞান লাভ করেন। কারণ হোমিওতে ডাক্তারি পাস্ করা সহজ কিন্তু ডাক্তারি করা ভীষণ কঠিন। আবার দেখা যায় - যারা এই শাস্ত্রে টানা ১০/১২ বছর নিষ্ঠার সাথে শ্রম এবং সময় দেন তারা অনেকেই ভালো ডাক্তার হয়ে উঠেন। জগতে কোন অর্জনই সহজে আসে না। সব কিছুতেই সময় এবং শ্রম দিতে হয়। এই যেমন চার পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়ার পর এক বছর ইন্টার্নি করতে হয়। তবে এই একবছরের প্রাকটিস আর ৮/১০ বছরের প্রাকটিস কি কখনো সমান হতে পারে ?

    তাই ডিগ্রির বাহার আর প্রভাষক টাইটেল দেখেই হোমিও বা এলোপ্যাথ কোন ডাক্তারদের চেম্বারেই  দৌড়াবেন না। আগে খুঁজখবর নিয়ে দেখবেন তার চিকিৎসার সাকসেস রেট কেমন, ডিগ্রি তার যেমনই হোক না কেন ? কারণ হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রভাষকই কলেজে একপ্রকারে পড়াতে পারেন কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে ততটা ভালো নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়। এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নেয়ার আগে কিছুটা খুঁজখবর নিলেই আপনি বুঝে যাবেন কখন কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ যিনি সুচিকিৎসা দেন তার অবশ্যই একটা সুনাম থাকে।
    বিস্তারিত

    শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮

    হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download

    হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf, হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download,  ইন্টারনেট থেকে অনেকেই হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকাসহ অন্যান্য হোমিও চিকিৎসা বই pdf আকারে ডাউনলোড করতে চান। যারা এমনটি করতে চান তাদের ৮০% ই ঘরে বসে ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করতে চান। কিছু মানুষ আছে যারা বই দেখে বা ঔষধ কোম্পানির তৈরী করা ঔষধের বিবরণ দেখে দেখে ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজের বারোটা বাজাবে অথচ ডাক্তারের কাছে যাবে না। এই প্রকারের লোকজন খুব বেশি স্বাস্থ ঝুঁকিতে পড়ে।

    তাদের হয়তো জানা দরকার হোমিওপ্যাথি আর এলোপ্যাথি এক জিনিস নয়। আর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ পারসন টু পারসন ভেরি করে। তাই কখন, কোন অবস্থায়, কার জন্য কোন ঔষধটি এবং ঔষধের কোন শক্তিটি দরকার এবং প্রপারলি চিকিৎসাটি কিভাবে দিতে হবে সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক।
    হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই বাংলা মেটেরিয়া মেডিকা PDF Free Download
    কিন্তু আমাদের দেশে এমন অনেক পাবলিক আছে যারা বই দেখে হোমিও চিকিৎসা দেয়। কিছু কিছু লক্ষণ সাদৃশ্যের কারণে দু'একটি ক্ষেত্রে কিছু তরুণ রোগ ভালো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের প্রয়োগকৃত ঔষধ কাজই করছে না আর ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রেতো কথাই নেই। আর তখন সব দোষ হোমিওপ্যাথির। তখন তারা হোমিওপ্যাথির চৌদ্দগুষ্ঠিকে উদ্দার করতে দ্বিধাবোধ করেন না। অথচ নিজে একবারও চিন্তা করেন না যে তিনি যা করছেন সেটা একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের কাজ, যিনি বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে এবং সাধনা করে জ্ঞান লাভ করেছেন।

    এই কথাগুলি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা প্রয়োজন ছিল বলেই বললাম। এবার আসুন মূল বিষিয়ে।  এই আধুনিক যুগে অনেক হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টরাও ইন্টারনেট থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf আকারে সংগ্রহ করে থাকেন পড়াশোনা করার জন্য। এটা তাদের ক্ষেত্রে কাজে লাগে পুরুপুরিই। কিন্তু অধিকাংশ বই আপনি বিনা মূল্যে পাবেন না। কিছু কিছু বই হয়তো ফ্রি পেতে পারেন যা সময়ে সময়ে আপনার কাজে লাগতে পারে। তাই যারা স্টুডেন্ট তারা এই লিংক >>> থেকে কিছু ফ্রি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই  পিডিএফ (PDF) আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে পারেন। ধন্যবাদ। 
    বিস্তারিত

    বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮

    অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ১০০% কার্যকর চিকিৎসা

    অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের শতভাগ কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান স্বল্পতা এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজ কতৃক বিভিন্ন ভুলত্রুটির ফলে পরবর্তীতে যৌনস্বাস্থ্য জনিত নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা মূলত মেহ, প্রমেহ, ধাতুঝরা, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয় রোগ নামে পরিচিত । উক্ত রোগটি সরাসরি বা তৎক্ষণাৎ ভাবে শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় উক্ত রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি সহজে তেমন কিছু অনুভব ও করতে পারে না, কিন্তু উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা সম্পুর্ন নষ্ট করে দেয় ।

    এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং আমাদের দেশে পুরুষ সমাজের অনেকেই উক্ত রোগের ভুক্তভোগী । আর তাই, আজ আমরা আলোচনা করছি – পুরুষ মানবদেহে উক্ত রোগসমূহ সৃষ্টির কারন, লক্ষন এবং শতভাগ কার্যকরী সমাধানসমূহ সহ পুর্ন বিস্তারিত গাইডলাইন ।
    অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের ১০০% কার্যকর চিকিৎসা

    কারণসমূহ 

    আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে উক্ত সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারণই হল যৌবনকালের শুরুতে অধিক পরিমানে হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে যৌনতা বিষয়ক অধিক বেশী চিন্তা করা, অধিক বেশী পর্ণ দেখা, অতিরিক্ত বেশী যৌন মিলন করা সহ অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌনাচার উক্ত রোগসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টির অন্যতম কারন হিসাবে বিবেচিত । পাশাপাশি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ, অতিরিক্ত মানুষিক দুঃশ্চিন্তা, হজমের গন্ডগোল, শারীরিক পুষ্টির অভাব সহ অন্যান্য আরো নানবিধ কারনে উক্ত সমস্যাসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টি হতে পারে ।

    লক্ষণসমূহ

    • উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়।
    • রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শক্তিহীন ভাব প্রকাশ পেতে থাকে।
    • দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে।
    • দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত।
    • রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    • দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
    • দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
    • আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়।
    • পেনিস বা পুরুষাঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়
    • প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়
    • সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।
    • পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
    • স্মরণশক্তি কমে যায় এবং বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়।

    কার্যকর সমাধান বা চিকিৎসা

    পুরুষ মানবদেহের জন্য ক্ষয়জনিত সমস্যাসমূহ অত্যন্ত মারাত্মক হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই সকল সমস্যাসমূহের অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে, যা পরবর্তীতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দুর্বলতা সৃষ্টি সহ দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । আর এর থেকে মুক্তির জন্য সমগ্র পৃথির্বীতে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা হল হোমিওপ্যাথি। একমাত্র হামিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের যাবতীয় উপসর্গ দূর হয়ে রোগী নব যৌবন প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তবে এর জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। কারণ অনেক হোমিও ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণেও বহু রোগী আরোগ্য লাভ করে না। অথচ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে এর সবচেয়ে কার্যকর ঔষধ এবং রোগ নির্মূলকারী চিকিৎসা।
    বিস্তারিত