রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৩

মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার - বাঁচতে হলে জানতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২ থেকে ২০ বছরের মেয়েদেরকে যুবতী বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে মেয়েরা শারীরিক এবং মানসিক পূর্ণতা লাভ করে থাকে। যুবতী মেয়েদের সাধারণ যৌন রোগ সমস্যাগুলো হলো-
  • ঋতু স্রাব সমস্যা
  • সাদা স্রাব 
  • তলপেট ও কোমরে ব্যথা 
ঋতু স্রাব সমস্যাকে নিম্নের কয়েক ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।
  • একবারে মাসিক না হওয়া 
  • অনিয়মিত মাসিক হওয়া 
  • অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া 
যেসব যুবতীর মাসিক নিয়মিত হয় বুঝতে হবে তাদের ডিমগুলো সময়মতো ফুটে থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক আরম্ভ হয় না। আবার অনেক যুবতীর মাঝে মাঝে অথবা কখনো কখনো একটু আধটু রক্তস্রাবের মতো হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর স্রাব হয়ে থাকে। এসব যুবতী ও তাদের মা, খালা এবং অন্যান্য মহিলা আত্মীয় অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন।
মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার

চিকিৎসকেরা মনে করেন এর প্রধান কারণ হলো

  • অসচেতনতা 
  • অজ্ঞতা 
মাসিকের স্থায়িত্বকাল এবং পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে কত তা জানা নেই বলেই এই চিন্তা আরো বেশি হয়। Physiology কারণ ছাড়া অন্যান্য কারণেও প্রচুর পরিমাণ রক্তস্রাব এবং দীর্ঘস্থায়ী স্রাব হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী স্রাবের আরো কারণ হলো এর জরায়ুর মুখে মাংস বেড়ে যাওয়া, যোনিপথে প্রদাহ, ডিম্বের থলিতে টিউমার। এ ছাড়া যদি রক্তের মধ্যে কোনো রোগ থাকে যেমন হেমোফাইলিয়া, পারপুরা তাতেও বেশি স্রাব হতে পারে।

শতকরা ৪০ থেকে ৫০ জনের কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল উপদেশের মাধ্যমেই আরোগ্য লাভ করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপশম করা সম্ভব। কারণ যাই হোক না কেন যুবতী মেয়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাসিকের সময় তলপেট ব্যথা: শতকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন যুবতী মাসিক আরম্ভ হওয়ার আগে অথবা মাসিক চলাকালে তলপেট, কোমরে অথবা উরুতে ব্যথা অনুভব করে থাকে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের মাসিক আরম্ভ হওয়ার দু-তিন দিন আগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে তারা সাধারণত অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডিহিসন, জরায়ুতে যক্ষ্মার জন্য হতে পারে। এই ধরনের যুবতীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। হরমোনের তারতম্যের কারণে তলপেট ভারী অনুভব করা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, খাদ্যে অরুচি হওয়া, মাথাব্যথা করা, খিটখিটে মেজাজ, শরীর ব্যথা, এমনকি হাত পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ এবং উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমেই যুবতীরা উপশম থাকতে পারে।

সাদা স্রাব

সাদা স্রাব যুবতীদের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ জন্য মেয়েদের কোনো প্রকার দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই সাদা স্রাব হতে পারে এবং তবে মাসিক আরম্ভ হওয়ার দুচার দিন আগে এর পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, যৌনাঙ্গে প্রদাহ, বেশি যৌন উত্তেজনা, হস্তমৈথুন, যৌন কার্যে অভ্যস্ত ইত্যাদির কারণে বেশি সাদা স্রাব হতে পারে। এমনকি জরায়ুর মুখে মাংসপিণ্ড অথবা ঘা হলে সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কেবল নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল লাভ করা যায়।

মেয়েদের (যুবতী) তলপেট ব্যথা

বেশি সংখ্যক যুবতী মেয়ে তলপেট ও কোমর ব্যথার কথা বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এটা মানসিক অনুভূতি। তবে প্রচণ্ড ও অস্বাভাবিক ব্যথা হলে অবশ্যই এর কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারণে মারাত্মক ব্যথা হতে পারে তা হলো
  • Appendicitis (অ্যাপেন্ডিসাইসাটিস) 
  • Ovarian Cyst (ডিমের ভেতর পানি জমে যাওয়া) 
  • হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া 
  • মাসিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া 
  • ডিম্বনালী অথবা ডিম্বথলির ভেতরে গর্ভ লাভ করা 
  • Cyst যদি হঠাৎ ফেটে যায় অথবা পেঁচিয়ে যায় 
  • জরায়ুর ভেতর টিউমার হওয়া 
  • যোনিপথে হারপিচ নামক এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। 
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছে দ্রুত পরামর্শ নিতে হবে। না হলে জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের দেশে যুবতী মেয়েদের সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশ। যেহেতু মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তন ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই বেশি হয়ে থাকে তাই তাদের ক্ষেত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রতি যথেষ্ট সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমার মতে যুবতী মেয়েদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে একটা পৃথক মন্ত্রণালয় অথবা দফতর তৈরির মাধ্যমে যুবতী মেয়েদেরকে সেবা প্রদান করা উচিত।
বিস্তারিত

মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ

মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধান কারণ মেয়েদের শারীরিক গঠন। মেয়েদের মূত্রনালী খুবই ছোট এবং মূত্রনালীর দ্বার, যোনিদ্বার ও মলদ্বার এত কাছাকাছি যে জীবাণু সহজেই ঢুকে যেতে পারে। প্রস্রাব সংক্রমণের জীবাণু ই-কলাই মলের সাথে নির্গত হয়ে মলদ্বার থেকে মূত্রদ্বারের আশপাশের কোষকলায় বসতি স্থাপন করে এবং সুযোগ বুঝে মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে প্রস্রাবে সংক্রমণ ঘটায়।
বিস্তারিত

মহিলাদের মাসিকের সমস্যা ও প্রতিকার

একজন নারী কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
বিস্তারিত

রজঃনিবৃত্তিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা।

মেয়েদের রজঃনিবৃত্তি জীবনচক্রের একটি অপরিহার্য অবস্থা। মেয়েদের ওভারি পরিপূর্ণভাবে কাজ করে মোটামুটি ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সসীমার মধ্যেই। তখন মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র শুরু হয়। এ সময় মেয়েদের ওভারির মধ্যে ছোট ছোট ফলিকল থাকে। এদের মাঝে থাকে ওভাম। আর ডিম্বাণু ক্রমেই বড় হতে থাকে।
বিস্তারিত

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা অকাল বীর্যপাত

রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে-সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশে পুরুষদের যৌন দুবর্লতার সমস্যা একটু বেশী। আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে।
বিস্তারিত

লাখ লাখ তরুণ ভুল ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার শিকার

আমি প্রায়শই লেখার মধ্যে দু’একটা উদাহরণ দেই। বিষয়টি সহজভাবে বুঝানোর জন্য অনেকেই নানাভাবে উদাহরণ দেন। ইতিপূর্বে আমি তরুণদের বিয়ে ভীতি নিয়ে লিখেছি। ভেবেছিলাম নারী-পুরুষের প্রাইভেট লাইফের নানা ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা নিয়ে লেখার পর তরুণ-যুবকদের নানা সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু আসলে বছরের পর বছর ধরে যে অপচিকিৎসায় দেশের বৃহত্তর তরুণ সমাজ নিজেদের ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনছে তা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

গত সপ্তাহের কথা। পুরাতন ঢাকা থেকে আসা এক তরুণ। বয়স কোনভাবেই ১৮/২০-এর বেশী হবে না। চেম্বারে এসে বললেন, ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান। এ ধরনের ইমোশন রোগীদের থাকে। প্রায়ই সব তরুণরাই এমন কথা বলেন। জীবন শেষ হয়ে গেছে, নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আগত তরুণটির সমস্যাটিও ভেবেছিলাম গতানুগতিক। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। তরুণের অভিযোগ। তার ধারণা ছিলো সে শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। অজ্ঞতা থেকেই ভুল ধারণা। এ জন্য সে নিকটস্থ একটি ফার্মেসী বা ওষুধের দোকানে যায়। ওষুধের দোকান থেকেই অনেক সময় চিকিৎসা-অপচিকিৎসা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হলো। তরুণকে যেসব ওষুধ দেয়া হয় তা সেবন করে তরুণের নিম্নাঙ্গ প্রায় অবস বা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। 
লাখ লাখ তরুণ ভুল ও অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার শিকার
এমনকি প্রশ্রাব করার সময়ও কোন অনুভূতি পাচ্ছে না। এ ছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তরুণটির নিম্নাঙ্গ ফুলে গেছে। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে একউিট ইমারজেন্সি। তরুণটিকে পরীক্ষা করে দেখাগেলো বর্ণনার চেয়েও বেশী উপসর্গ রয়েছে তার শরীরে। ওষুধের দোকান থেকে তাকে চার ধরনের ওষুধ দেয়া হয়েছে। একটি ভিটামিন, একটি মানসিক চিকিৎসার ওষুধ, একটি হাই এন্টিবায়োটিক এবং অপরটি নামহীন কালো গোল গোল বটিকা। তরুণটির ড্রাগ রিঅ্যাকশনের প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ঐ ওষুধের দোকানের ফার্মাসিষ্টকে কথা বলতে বলি। 

যথারীতি তরুণটিকে উপদেশ অনুসরণ করে। ওষুধের দোকানের তথাকথিত ফার্মাসিষ্ট -এর ভাষ্যমতে কালো রংয়ের গোল বড়িটি যৌন সমস্যা লাঘবে ব্যবহৃত হয় - এটি ছিল একটি যৌন উত্তেজক ঔষধ। অনেক ডাক্তার এ বড়িটি সেবন করতে বলেন। তাই তরুণটিকে ওষুধের দোকানি নিজেই চিকিৎসা দিয়েছেন। দোকানি জানালেন কালো বড়িটির কৌটার লেভেলে লেখা আছে হংকং-কোরিয়া। অপচিকিৎসা রোধে বড়িটির নাম বলা হলো না। যাইহোক ওষুধের দোকানির সঙ্গে আর কথা না বাড়িয়ে তরুণটিকে তার শরীরের সর্বশেষ অবস্থা কি হয় তা জানাতে বলি।

যাহোক, মূল কথায়, ফিরে আসি। শুধু সুত্রাপুরের তরুণ নয়, দেশের হাজার হাজার তরুণ এ ধরনের ভুল চিকিৎসা, অপচিকিৎসয় প্রতারিত হচ্ছে, যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিজেদের জীবন সংশয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

বিভিন্নভাবে হারবাল কবিরাজি নাম দিয়ে নানান চিকিৎসায় যে তরুণদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে তাই নয়, বহু এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারও তরুণদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে। অথচ পুরুষদের যৌন সমস্যা স্থায়ী ভাবে দূরীকরণে রয়েছে কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা তবে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩

নারীর পিরিয়ডের সমস্যা এবং প্রতিকার

কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়। সাধারণত এটা তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ মাসিকই আবার অনেক সময় দুই বা তিন অথবা চার মাস পরপর হয়।
বিস্তারিত

"শ্রী গোপাল তেল" সাধনা ঔষধালয় - পুরুষ অঙ্গের মালিশ কতটা কার্যকর ?

পুরুষ অঙ্গ সতেজ এবং শক্তিশালী করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় আর বহুল পরিচিত ম্যাসেজ অয়েল হলো সাধনা ঔষধালয় এর শ্রী গোপাল তেল । যদিও এর সাথে সংস্লিষ্ট চিকিত্সকরা আরো দুইটি তেল দিয়ে থাকেন। এখন কথা হলো এ গুলো কতটা কার্যকর? উপমহাদেশের একজন জনপ্রিয় চিকিত্সক হলেন ডাক্তার তারেক মাহমুদ। তার বইতে লিখেছেন শল্য চিকিত্সকরা মানুষের দেহের বিকৃত অঙ্গের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারেন কিন্ত শরীরকে সতেজ এবং এর সোন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনাদি কাল থেকে আমরা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে আসছি। কারণ এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
কিন্ত আমাদের বাজারে আপনি নকল প্রসাধনীর সংখ্যাই বেশি দেখতে পাবেন। আবার আমাদের যুব সমাজের দুর্বল মানসিক অবস্হার সুযোগ নিয়ে অনেককেই দেখা যায় যৌন অঙ্গের মালিশ এর নামে নকল আর কার্যকারিতাহীন নানা ম্যাসেজ অয়েল বিক্রি করে তাদেরকে প্রতারিত করছে। কিন্ত সাধনা ঔষধালয় এর চিকিত্সকরা পুরুষাঙ্গ সতেজতার জন্য অত্যন্ত সফলতার সাথেই তিনটি তেলের মিশ্রন ঘটিয়ে ম্যাসেজ করার পরামর্শ দিয়া থাকেন। সেগুলি হলো :
  • শ্রী গোপাল তেল
  • মহারাজ প্রসাধনী তেল
  • মহাচন্দ্রনাদী তেল

ব্যবহার পদ্ধতি -  কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

তিনটিকে একটি বোতলে ঢেলে এক সাথে মিশিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে কয়েক ফোটা নিয়া অঙ্গের নিচ থেকে উপরের দিকে দিনে দুইবার হালকা করে মালিশ করুন ।

নির্দেশনা - মনে রাখা ভালো। 

ই অয়েল গুলো লিঙ্গের সাইজ এর কোনো পরিবর্তন করবে না , লিঙ্গের বক্রতা দূর করবে না, পেনিসকে লম্বা বা মোটা করবে না, কিন্তু দীর্ঘকাল অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পেনিসের নিস্তেজ স্নায়ুমন্ডলীকে পূনরায় সতেজ এবং শক্তিশালী করে তুলবে। বিবাহিত পুরুষরাও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এটার কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধনা ঔষধালয়ের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। পুরুটাই আইয়র্বেদিক। আমার জানামতে তারা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই তাদের রোগীদের এটা প্রেসক্রাইব করে আসছে। তবে যদি আপনার অন্য কোনো যৌন সমস্যা  যেমন - যৌন দুর্বলতা, দ্রুত বীর্যপাত, পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ, স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা 'ধাতুদৌর্বল্য', হস্তমৈথুন অভ্যাস প্রভৃতি থেকে থাকে তাহলে আগে এর যথাযথ চিকিত্সা নিতে হবে। তা নাহলে যত ভালো ম্যাসেজ অয়েলই ব্যবহার করেন না কেন কোন ফলই হবে না।
বিস্তারিত

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাবের কারণ, প্রতিরোধ এবং হোমিও চিকিত্সা

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। ভারতের উত্তর প্রদেশের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।
বিস্তারিত

স্বপ্নদোষ এবং স্পারম্যাটোরিয়া বা ‘ধাতুদৌর্বল্য’ এর হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা

প্রতিটি পুরুষের জীবনে স্বপ্নদোষের ব্যাপারটি ঘটে থাকে। অন্তত একবার হলেও এটি ঘটবেই। স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে।
বিস্তারিত