যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনে নারীরা যে সমস্যাতে ভোগে

বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন, যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলো লিভ টুগেদার প্রথাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে আমাদের দেশে আজকাল এ প্রথার উদাহরণ দেখা দিলেও তা সামাজিকভাবে গৃহীতই বটে। আমাদের দেশের সমাজে তথাকথিত লিভ টুগেদার স্বীকৃত নয়। ফলে এ সম্পর্ক বিবাহ পূর্ব অবৈধ যৌন সম্পর্ক হিসেবেই গণ্য করা হয়।
পৃথিবীর সব ধর্মেই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রয়েছে কড়া নিষেধ। এমনকি এ কাজ যে করবে তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে কঠিন শাস্তি। এই বিধানের পেছনে নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। আর কারণটি হলো সামাজিক, ধর্মীয় ও মানসিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

আমাদের সমাজে এমন অনেক পুরুষ রয়েছেন যারা শুধুমাত্র নারীদেহ ভোগ করার উদ্দেশ্যেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং কাজ হাসিল হয়ে গেলে সম্পর্কের দায়ভার নিতে চান না। নারীরাও যে এমন করে না তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে এমন নারীর সংখ্যা কম। আশংকার ব্যাপার হচ্ছে আজকাল অনেক উঠতি বয়সী মেয়েই এই ধরণের শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয়, তা পোহাতে হয় নারীদেরকেই! মোদ্দাকথা হলো, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক নারীদের ঠেলে দিতে পারে ঝুঁকির মুখে, তাদের জীবনে ডেকে আনতে পারে নানাবিধ মারাত্মক সমস্যা। তাই সাবধান হোন এবং জেনে নিন অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে।

অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ :-
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাত্‍ করেই যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতমত কারণ। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই। এর ফলে পরিবার, সমাজ এবং নিজের কাছে অপরাধী হতে হয় নারীদের।

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত :-
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভধারণ করে ফেললে তখন গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে যেমন শারীরিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়ে।

জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি :-
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তানধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা,সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে

অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ঝুঁকি :-
বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শারীরিক বিষয়াবলির প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ফলে প্রেমের সম্পর্কে কোনো কিছু না ভেবেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায় বেশি। কিন্তু অপরিণত বয়সে শারীরিক সম্পর্কের পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। এর ফলে হতে পারে যৌনসংক্রমণ, ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সব রোগ। বিশেষ করে কমবয়সী মেয়েরা থাকে হুমকির মুখে। জরায়ুমুখ সংক্রমণ ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ।

মানসিক ভীতি :-
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক মানে প্রথমবারের মতো যৌন সম্পর্ক স্থাপন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই কাজটি প্রেমিক যুগলেরা করে থাকে লুকিয়ে, যা পরবর্তীতে একজন নারীর জন্য মানসিক ভীতি বা বিকারের কারণ হয়ে দাড়ায়। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমিকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিকাকে চাপ প্রয়োগ করে মিলিত হয়ে থাকে। পরে সম্পর্কটি ভেঙে গেলে এসব অনেক মেয়ের ওপর এমন মানসিক চাপ ফেলে, যা ক্রমশ বিকারে রূপ নেয়। যেমন শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বা ভীতি, বিবাহভীতি, পুরুষদের প্রতি ঘৃণা বা ভয় ইত্যাদি। এর ফলে যেমন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, তেমনি ভাঙন আসতে পারে বিয়ের সম্পর্কেও।

বিয়ের পর দাম্পত্যে সমস্যা :-
বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে দাম্পত্যজীবনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। নারীরা হয় স্বামীর অবিশ্বাসের পাত্র। এমনকি প্রেমিকের সাথে বিয়ে হলেও তিনি করতে পারেন নানা রকমের দোষারোপ, করতে পারেন চরিত্র নিয়ে সন্দেহ। ঝগড়ার সময় হয়তো কথায় কথায় বলে বসতে পারেন যে, তার সাথে যেহেতু বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ছিল এমনি হয়তো আরো অনেকের সাথেই ছিল। মোটকথা, দাম্পত্যের প্রতিটি পদে নারীকে শুনতে হতে পারে নানা রকমের কটু কথা।

দাম্পত্যে আকর্ষণ হারানো :-
অনেক ভালোবাসার সম্পর্ক পায় বিয়ের পরিণতি। যেহেতু স্বামীর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই শারীরিক সম্পর্ক থাকে, তাই অনেকেই দাম্পত্যজীবনে হারিয়ে ফেলতে পারেন আকর্ষণ। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কাছ থেকে নতুন কিছু পাবার থাকে না বলে বিয়ের সম্পর্কে বাজতে পারে ভাঙনের সুর। অনেকে বাগদান বা আংটি বদল সম্পন্ন করে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে ভেবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান। বাগদানের পর বিয়ে ভাঙার ঝুঁকি তো থাকেই, সাথে রয়ে যায় দাম্পত্য আকর্ষণহীন হয়ে যাবার শঙ্কাটাও।

সামাজিক লাঞ্ছনা :-
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে নারীরা হন নানা রকম লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার। সমাজ তাকে অপরাধীর দৃষ্টিতে দেখে। তার জীবন হয়ে ওঠে বিষময়। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ করলে এবং সেটার কথা জানাজানি হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। মেয়েটি সামাজিকভাবে হয়ে যায় একঘরে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই দূরে চলে যায়, তাকে পাপীর দৃষ্টিতে দেখে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বাকি জীবন কাটানো অসম্ভব হয়ে যায়, জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ।

আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকেই জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন, তাই আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন বিবাহ পূর্ব অবৈধ প্রেম ভালবাসায় লিপ্ত হয়ে আপনার সুন্দর আগামিটাকে নষ্ট করবেন নাকি কিছুদিন সংযত জীবন যাপন করে মধুময় দাম্পত্য জীবন উপভোগ করবেন ??

বিবাহ পূর্ব যৌন মিলনে নারীরা যে সমস্যাতে ভোগে ডাক্তার আবুল হাসান 5 of 5
বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন, যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারীরিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলো লিভ টুগেদার প্রথাটি ব্যাপকভাবে প্রচ...

সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।

ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।

১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশ
ফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।

পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা

  • শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
  • প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
  • পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
  • পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
  • রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
  • বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
  • বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
  • অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
  • উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
  • সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
  • স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম

স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা

  • নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
  • জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
  • নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
  • ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
  • থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
  • এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
  • পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
  • সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
  • ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
  • জরায়ু নিচের দিকে নামা
  • নারীদের অনিয়মিত মাসিক
  • ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার