যৌনাঙ্গ এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেক নারী-পুরুষ উভয়েই যৌনতৃপ্তি লাভের জন্য ব্যবহার করে। প্রত্যেক নর-নারীরই যৌন আকাঙ্খা রয়েছে। এই যৌন আকাঙ্খা একমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়েই নিবৃত করা সম্ভব।
যৌনাঙ্গের প্রকারভেদ:
নর-নারীর যৌনাঙ্গের তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে মানব যৌনাঙ্গকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
- পুরুষ যৌনাঙ্গ।
- নারী যৌনাঙ্গ।
পুরুষ যৌনাঙ্গ:
পুরুষ লিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ বলতে বোঝানো হয় প্রাণীর সেই লিঙ্গকে, যে নিজের শরীরে সন্তান ধারণ করে না কিন্তু স্ত্রী শরীরে যৌন সঙ্গমের দ্বারা শুক্রানু বা স্পার্ম প্রবেশ করিয়ে সন্তান উৎপাদন করে। পুরুষ যৌনাঙ্গের মধ্যে কয়েকটি অংশ দেহের বাইরে থাকে এবং কয়েকটি অংশ দেহের ভিতরে থাকে যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।
পুরুষদের দেহের নিচে একটি ঝুলন্ত থলি আছে, যা অন্ডকোষের থলি বা টেস্টিকলস নামে পরিচিত। এ থলির ভিতরে দুটো গোলাকার অন্ডকোষ থাকে। একটি ছেলে যখন বড় হয় তখন এ অন্ডকোষ থেকেই শুক্রাণু তৈরী হয়। এই শুক্রাণু যৌনমিলনের মাধ্যমে মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে ভ্রণ সৃষ্টি করে। শুক্রাণু তৈরীর পক্রিয়া সারাজীবন চলতে থাকে।
অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরী হবার পর শক্রবাহী নালী দিয়ে বের হয়ে এ শুক্রাণু বীর্যের সাথে মিলিত হয়। পুরুষদের দেহের তলপেটের নিচে দুটি বীর্যথলি আছে যা থেকে একরকম রস তৈরী হয়। এ রসই বীর্য বা সিমেন নামে পরিচিত। পুরুষদের যৌন উত্তেজনা হলে পুরুষাঙ্গ থেকে এ বীর্য বের হয়। বীর্য এবং মূত্র একই পথে বের হলেও একসাথে বের হয় না।
পুরুষাঙ্গ মূত্র ও যৌনমিলন উভয়কাজেই ব্যবহৃত হয়। এর আকার বা আকৃতি সকল পুরুষের একরকম হয় না। স্বাভাবিক অবস্থায় পুরুষাঙ্গ তুলতুলে নরম থাকলেও কোন কারণে এটি উত্তেজিত হলে শক্ত এবং বড় হয়ে লৌহদেন্ডর আকার ধারণ করে।
নারী যৌনাঙ্গ:
নারী লিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ বলতে বোঝানো হয় প্রাণীর সেই লিঙ্গকে, যে নিজের শরীরে সন্তান ধারণ করে। নারীরা যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে পুরুষদের শুক্রানু নিজ দেহে প্রবেশ করিয়ে সন্তান উৎপাদন করে। নারী যৌনাঙ্গের মধ্যে কয়েকটি অংশ দেহের বাইরে থাকে এবং কয়েকটি অংশ দেহের ভিতরে থাকে যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।
নারীদের তলপেটের ভিতরে দুপাশে দুটো ডিমের থলি আছে। এগুলোকে ডিম্বাশয় বা ওভারি বলে। নারীরা যখন বড় হয় তখন প্রত্যেক মাসে এই ডিমের থলিতে একটি করে ডিম পরিপক্ক হয়। দুই ওভারির মাঝখানে রয়েছে জরাযু বা বাচ্চাদানী। এ জরায়ুতেই মাসিকের রক্ত তৈরী হয় এবং এখানেই শিশু বড় হয়। জরায়ুর ওপরের দিকে দুপাশ খেকে দুটি নালী শুরু হয়ে ডিম্বাশয়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়েছে। এ নালী দটিকে ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্ববাহী নালী বলে। যখন ডিম্বথলিতে প্রতিমাসে ডিম পরিপক্ক হয় তখন তা এই নালী দিয়ে জরায়ুতে আসে।
জরায়ুর নিচে নারীদের বাচ্চা হবার রাস্তা বা যোনীপথ রয়েছে। এটি জরায়ুর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নিচের দিকে ছোট একটি ছিদ্র হয়ে বাইরে এসে শেষ হয়েছে। যোনীপথ দিয়ে মাসিকের রক্ত বের হয়, এ পথেই যৌনমিলন হয় এবং এ পথ দিয়েই একটি শিশু মায়ের পেট থেকে বের হয়ে আসে। যদিও আজকাল পেট কেটেই শিশু জন্মগ্রহণ করানো হয়।
যোনীপথ ছাড়াও আরো দুটি ছিদ্র রয়েছে। যোনীপথের সামনের ছিদ্রটি মূত্রনালী এবং পেছনের ছিদ্রটি মলনালী বা পায়ূপথ।
সকল আপডেট পেতে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পুরুষদের যৌন সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা
- শুক্রতারল্য এবং অকাল বা দ্রুত বীর্যপাত
- প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
- পায়খানার সময় কুন্থনে বীর্যপাত
- পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ এবং বিবাহভীতি
- রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
- বিবাহপূর্ব হস্তমৈথন ও এর কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যা
- বিবাহিত পুরুষদের যৌন শিথিলতা
- অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় হেতু ধ্বজভঙ্গ
- উত্তেজনা কালে লিঙ্গের শৈথিল্য
- সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না
- স্ত্রী সহবাসে পুরুপুরি অক্ষম
স্ত্রীরোগ সমূহের কার্যকর হোমিও চিকিৎসা
- নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সার
- জরায়ুর ইনফেকশন ও ক্যান্সার
- নারীদের জরায়ুর এবং ওভারিয়ান সিস্ট
- ফলিকুলার সিস্ট, করপাস লুটিয়াম সিস্ট
- থেকা লুটেন, ডারময়েড, চকলেট সিস্ট
- এন্ডোমেট্রোয়েড, হেমোরেজিক সিস্ট
- পলিসিস্টিক ওভারি, সিস্ট এডিনোমা
- সাদাস্রাব, প্রদর স্রাব, বন্ধ্যাত্ব
- ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক
- জরায়ু নিচের দিকে নামা
- নারীদের অনিয়মিত মাসিক
- ব্রেস্ট টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার