যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে............. !!

নীল ছবিতে বুঁদ দেশ, পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে........!! ভয় পাবেন না, এটা  আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ নয়। পর্নোগ্রাফি রাজধানী হওয়ার পথে ভারত ।এমনটিই জানিয়েছে "জি নিউজ ইন্ডিয়া"। আমাদের নিজেদের পাওয়া তথ্যাদি থেকে একবার আপনাদের জানিয়েছিলাম বর্তমান বিশ্বে বিবাহ পূর্ব যৌন সমস্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ভারতীয়রা। এমনি আরেকটি খবর ছেপেছে স্বয়ং ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম "জি নিউজ ইন্ডিয়া" । তথ্য সুত্র লিংক নিচে পাবেন। আগে বিস্তারিত..........
পর্নোগ্রাফি বা নীলছবি দেখার প্রবণতা বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে। মোবাইল, ট্যাবের যুগে পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য আর নির্জনতা খুঁজতে হয় না। তালুবন্দি মুঠোফোনে চাইলেই হাজির রগরগে ভিডিও। হাতের আড়ালেই তৈরি হয়ে যায় নিষিদ্ধ নির্জনতা। মন সেঁধিয়ে যায় আদিম রিপুর অমোঘ আকর্ষণে। পর্নোগ্রাফি দেখার অদম্য বাসনায় গা ভাসিয়েছে ভারতীয়রা । 

২০১২ সালের সাতই ফেব্রুয়ারি। সাড়া ফেলে দিল একটা ঘটনা। কর্নাটক বিধানসভার মধ্যেই তিন মন্ত্রী মগ্ন মোবাইলে নীলছবি দেখায়। খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইহই রব।

আসল কথা হল এটাই বাস্তব। ইন্টারনেটের অবাধ বিচরণের সৌজন্যে পর্নোগ্রাফি এখন হাতের মোয়া। তথ্য বলছে, গুগলে শুধু PORN শব্দটি টাইপ করলে ৮৬ কোটি রেজাল্ট শো করে। ইন্টারনেটের অফুরান ভাণ্ডারে শুধু পর্নোগ্রাফিই রয়েছে কম করে ২০ কোটি

বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতও এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে কীভাবে? সমীক্ষা বলছে,  পুরো ভারতই এখন পর্নোগ্রাফিতে বুঁদ।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের বিভিন্ন পরিংখ্যান-

নীল ছবির ৯০ লক্ষ দর্শক রয়েছে শুধু মোবাইলেই। যা পুরো ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৩০ শতাংশ।  এদেশের বড় সংখ্যক নাগরিক ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির নিয়মিত কাস্টমার। ভারতে সবচেয়ে ভিসিটেড একশোটি সাইটের ৩টি হল পর্ন ওয়েবসাইট। 

আর এর ফলস্বরূপ পর্নোগ্রাফি দেখায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। গুগলের ওই সমীক্ষায় পাকিস্তান রয়েছে এক নম্বরে। স্মার্টফোন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আর হাই স্পিড ডাটা সার্ভিস পর্ন ভিডিও আদানপ্রদানের বিষয়টিকে সহজ করেছে। ফলে অনায়াসে স্কুল ছাত্র থেকে সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার, সবার কাছে রগরগে ভিডিও পৌছে যাচ্ছে অনায়াসে। গুগলের সমীক্ষা বলছে,

২০১০ থেকে ২০১২। দুবছরে শুধু ভারতেই পর্ন এই শব্দটির সার্চ ভলিউম ইনডেক্স বেড়েছে দ্বিগুণ।  ভারতে প্রতি পাঁচজন মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন থ্রিজি ফোনে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট চান। সারা বিশ্বে যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি পর্ন ভিডিও দেখা হয়, তার মধ্যে সাতটি শহর ভারতের। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।

শিশুমনে কতটা প্রভাব ফেলে নীল ছবি? দিল্লির নামী স্কুলের এক হাজার জন পড়ুয়াকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ৪৭ শতাংশ ছেলে ও ২৯ শতাংশ মেয়ে পড়ুয়া নিয়মিত পর্নোগ্রাফি নিয়ে চর্চা করে।

পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। ২০০৮ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি কনজিউমারদের ৩০ শতাংশই মহিলা। ২০১৫ সালে এসে সেই সংখ্যাটা যে অনেক বেশিতে পৌছেছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতেও বাড়ছে নীলছবির মহিলা ভিউয়ারের সংখ্যা। (তথ্যসূত্র - জি নিউজ ইন্ডিয়া)