যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

হোমিও ডাক্তারের ঠিকানা - কখন, কোথায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিবেন

অনেকেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অর্থাৎ সেরা হোমিও ডাক্তার বা হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র ঢাকা বা দেশের অন্যান্য স্থানে খুঁজে বেড়ান। তবে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে  হবে আপনার রোগের ধরণ অনুযায়ী সুচিকিৎসা পেতে আপনাকে দেশের যেকোন স্থান থেকে প্রয়োজনবোধে ঢাকায়ও আসতে হবে।

অ্যালোপ্যাথির ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান রোগ, জটিলতা, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং নিরাময়ে ব্যর্থতার ফলে ক্রমশ সমগ্র বিশ্বেই হোমিওপ্যাথির মতো বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্হাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করছে৷ অ্যালোপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে লোকজন আজ খুবই বিরক্ত ৷ লন্ডন হাসপাতালের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ পিটার ফিসার বলেন যে, লন্ডনের বুকে হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা দুরন্ত গতিতে বাড়ছে ৷ হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোর জন্য ব্রিটিশ সরকার বছরে এখন চার মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ করে৷ জটিল এবং দুরারোগ্য রোগে ভুগতে থাকা রোগিদের জীবনে সত্যিকারের ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান৷
কারণ মানব দেহের অনেক জটিল এবং কঠিন রোগসমূহ নির্মূলের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যা অ্যালোপ্যাথিতে তেমন নেই, এর প্রধান কারণ হলো অ্যালোপ্যাথির ডাক্তারগণ শরীরবিদ্যায় পারদর্শী হলেও রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাদের হাতে পর্যাপ্ত মেডিসিন এবং কার্যকর ট্রিটমেন্ট নেই। আর তাই তো হোমিওপ্যাথির কল্যাণে বহু মানুষ নতুনভাবে নিজেদের জীবন শুরু করতে পেরেছে ৷ যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ফলাফল দেখানো সত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা হোমিওপ্যাথিকে উপযুক্ত সম্মান দিতে নারাজ ৷ কারণ, অ্যালোপ্যাথি লবি যথেষ্ট অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ তাদের আশঙ্কা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে থাকা অ্যালোপ্যাথিক রোগীরা যদি হোমিওপ্যাথির দিকে পা বাড়ায়, তাহলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তবে যে যাই ভাবুক না কেন হোমিওপ্যাথি শুধু মাত্র নির্মূল রোগ নির্মূলকারী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায় সমগ্র বিশ্বেই এটি এখন সমান জনপ্রিয়।

তবে হোমিও চিকিৎসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ দেখা যায় কিছু ক্ষেত্রে প্রপার ট্রিটমেন্ট দিতে না জানার কারণে রোগীরা ভাল ফল না পেয়ে হোমিওপ্যাথিকে দোষ দিয়ে থাকে। অথচ এখানে ডাক্তারের চিকিৎসা দানে ভুল থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দোষটা হোমিওপ্যাথির নয় বরং ডাক্তারের। তাই  প্রযোজন হলে এক ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না পেলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন।