রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যৌন মিলনের সময়ে ব্যাক-পেইন বা পিঠ ব্যথায় করণীয়

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নারী পুরুষের মিলনের সময়ে পিঠ ব্যথা সম্পর্কিত একটি গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দাম্পত্য জীবনের মধুময় মিলনেও দেখা যায় নানা প্রকার জটিলতা। তারই একটি হলো পিঠ কিংবা কোমরে ব্যথা যাকে অনেকই ব্যাক-পেইন নামে চিনে থাকেন।
বিস্তারিত

মোটাসোটা ও চর্বিবহুল পুরুষরা যৌনতায় পারদর্শী হন

সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস প্রকাশ করেছে যৌনতা বিষয়ক একটি গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন। পুরুষদের বোধহয় তাদের বড় সাইজের ভুড়িটি নিয়ে আর লজ্জাবোধের কিছু নেই। কারণ নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষদের পেট বেশ বড় সাইজের হয় তারা নাকি যৌনকর্মে বেশ পারদর্শী হন। তুরস্কের ইউনিভার্সিটি অব কাসিরির এক দল গবেষক তাদের গবেষণায় এ তথ্য বের করে এনেছেন।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

"অতিরিক্ত ওজন' - স্বাভাবিক যৌন জীবনের পথে বাধা !

অতিরিক্ত ওজন পুরুষত্বহীনতার কারণ হতে পারে। ওবেসিটির সঙ্গেই আসা উচ্চ কোলেস্টরল, হাইপার টেনসন, ডায়াবেটিসের মত অসুখ শরীরের বিভিন্ন অংশের মতোই পুরুষাঙ্গেও রক্ত সঞ্চালন হ্রাস করে। ফলে সমস্যা দেখা দেয় ইরেকশনে। ওজন কমাতে সক্ষম হলেই অনেকাংশে এই সমস্যা কমে যায়।

সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত ওবেসিটি বা ওবেসিটি সংক্রান্ত বিষয় গুলি যৌন ক্ষমতা, যৌন ইচ্ছা মারাত্মক ভাবে কমিয়ে দেয়। ওবেসিটি নিজের সঙ্গেই ডেকে নিয়ে আসে ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, হাইপারটেনসানের মত ব্যাধি। এই অসুখ এবং অসুখ নিরাময়ের ওষুধ যৌন জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সারা বিশ্বে ১.৫ বিলিয়ন মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
অতিরিক্ত ওজন - স্বাভাবিক যৌন জীবনের পথে বাধা !
ওবেসিটি এবং ওবেসিটির ফলে শরীরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তার প্রতিষেধক ওষুধের ফলে দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা দেখা দেয়। ভীষণ ভাবে কমে যায় ওর্গাজাম।

ওবেসিটির ফলে শরীরে বিভিন্ন হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। কমিয়ে দেয় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা। এর ফলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয় "সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবুলিনস" (এসএইচবিজি)। এই এসএইচবিজি টেস্টোস্টেরনের সঙ্গে কেমিক্যাল বন্ধন গঠন করে। ফলে স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য দেহে যে পরিমাণ সেক্স হরমোন প্রয়োজন তা হ্রাস পায়। হরমোন সমস্যার জন্য অতিরিক্ত ওজনের অপ্লবয়সী ছেলেদের দেহে স্তন বৃদ্ধি হতে পারে। সমস্যা দেখা দেয় মেয়েদের ঋতু চক্রে।

অতিরিক্ত ওজন মহিলাদের ডিম্বাণু গঠন ও ফার্টিলাইজেশনে অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করে। ওবেসিটি গর্ভপাতের একটি বড় কারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে এর ফল আরও মারাত্মক। ওবেসিটির ফলে নিম্ন মানের শুক্রাণু তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ওজনের পুরুষরা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের থেকে ৩৫% কম শুক্রাণু উৎপাদন করেন। ওবেসিটির ফলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পায়। অতিরিক্ত ওজন পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট করে। ফলে স্বাভাবিক যৌনজীবন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বিস্তারিত

স্থূলতার ফলে বিশ্বজুড়ে কিশোরীরা দ্রুত ঋতুমতী হচ্ছে !

আজ বিশ্বজুড়ে স্থূলতা এখন কপালে ভাঁজ ফেলছে সাধারণ মানুষের। সারা পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে মোটা মানুষের সংখ্যা। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতায় বিশেষত কিশোর-কিশোরীদের অস্বাভাবিক হারে ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে।স্থূলতা নিজের সঙ্গে ডেকে আনছে হাজারও শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও। 
বিস্তারিত

শুক্রাণুকে দুরন্ত গতি দিতে নিয়মিত গাজর খেয়ে যান।

আপনি জানেন কি ? পুরুষের শুক্রাণুকে গতি দিতে গাজরেরও রয়েছে অসাধারণ ভুমিকা। গতিময় জীবনে আপনার শুক্রাণুই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুক্রাণুকে কি উসেইন বোল্টের গতি দিতে চান? তাহলে অবশ্যই বেশি করে গাজর খান। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সব্জী সুস্থ সবল শুক্রাণু তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ স্বাভাবিক ভাবে কত হয় ?

পুরুষের যৌন উত্তেজনার সময় সাধারণত পেনিস বা লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয়টাই বেড়ে যায়। কারণ তখন লিঙ্গে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীসমূহ প্রসারিত হয়ে স্পঞ্জি টিস্যুগুলিতে অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে ঐ টিস্যুগুলো যথাযথ ভাবে প্রসারিত হওয়ার কারণে পুরুষের লিঙ্গ দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বাড়তে থাকে। স্পঞ্জি টিস্যুসমূহ প্রসারিত হয়ে লিঙ্গের শীরাগুলিকে চেপে দেয় যাতে ঐ টিস্যুগুলি থেকে শীরার মাধ্যেম রক্ত কম পরিমানে অপসারিত হয়।

ফলস্বরূপ বেশি পরিমানে রক্ত লিঙ্গে প্রবেশ করে কিন্তু অল্প অপসারিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষন না একটি সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে, যাতে করে উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একটি নির্দিষ্ট মান পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে 4.7 থেকে 6.3 ইঞ্চি, অনেকের মতে গড় দৈর্ঘ্য 5.1 - 5.9 ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে ব্যাক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে এই মান 4 ইঞ্চি থেকে 7.5 ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে দীর্ঘতম লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৩.৫ ইঞ্চি। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর উত্তেজিত দৈর্ঘ্য কখনোই নির্ভর করেনা।
যৌন উত্তেজনার সময় পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ স্বাভাবিক ভাবে কত হয় ?
আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন- পুরুষভেদে ব্যাক্তির শরীরের বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপরেও তার উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করেনা। লিঙ্গের গড় পরিধি হয়ে থাকে প্রায় 4.8 ইঞ্চির মত। উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গের কোন একদিকে বেঁকে যাওয়াটাও একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রকৃতিগত ভাবেই অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গের গোড়ার দিকটা অগ্রভাগের তুলনায় কিছুটা চিকন হয়ে থাকে। এছাড়াও দেখা যায় যে, অনেকের ক্ষেত্রে উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গ উপরের দিকে, আবার অনেকের নিচের দিকে কিংবা ভূমির সমান্তরালে মুখ করেও অবস্থান করে। ইহাও একটা স্বাভাবিক বিষয়, তাই এর জন্য কখনোই মন খারাপ বা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আজকের এই তথ্যটা জানার পর থেকে আশা করি, আমাদের দেশের যেসব তরুণ-যুবকরা নিজেদের লিঙ্গের সাইজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বা ভয়ে আছেন অথবা লিঙ্গ বড় করার চিন্তায় সর্বদাই বিভোর থাকেন তারা আর এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

খাটো পুরুষরাই যৌনতায় বেশি পারদর্শী - জানেন কি ?

অনেকই নিজের দৈহিক উচ্চতা বাড়ানো নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু করে দেন। জানেন কি বাস্তবে অন্যদের তুলনায় কম উচ্চতার পুরুষরা যৌনতায় বেশি পারদর্শী বলে জানা গেছে এক গবেষণা থেকে। সম্প্রতি "ডিসকভার ম্যাগাজিন" এ বিষয়ে একটি গবেষণা লব্ধ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যা বেশ গুরুত্বের সাথেই আরো অনেক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় ২০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৫৩১ জন পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

পুরুষ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কী কী দ্বারা ঠিক হয় এবং লিঙ্গের সঠিক মাপ কিভাবে নেব?

অধিকাংশ পুরুষ বিশেষ করে তরুণ-যুবকরা কোনো না কোনো সময়ে লিঙ্গ নিয়ে নানা প্রকার চিন্তা করে থাকেন। অথচ লিঙ্গ ছাড়া আমাদের জীবনে আরো অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা দরকার এবং সেগুলোতে সময় দেয়ার উচিত । এবার আসুন প্রশ্নগুলির দিকে তাকাই।
বিস্তারিত

বীর্য পানে কি কোনো ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে ?

অনেকেই এরকম প্রশ্ন করেন যে মেয়েরা যদি ছেলেদের বীর্য পান করে তাহলে কি গর্ভবতী হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে? অথবা বীর্য পান করলে কোনো প্রকার ক্ষতি হয় কি ? আরো নানান প্রশ্ন। আসুন জেনে নেই এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যাদি যা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না।
বিস্তারিত

বাচ্চা বা সন্তান নিতে ইচ্ছুক নবদম্পতির কিছু করণীয় বিষয় !

একজন পুরুষ এবং মহিলা যখন নতুন সংসার শুরু করেন তখন তারা নানা স্বপ্ন দেখে থাকেন। তার মধ্যে একটা সন্তান যেন তাদের ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে দাড়ায়। তাই প্রত্যেক নবদম্পতিই এই স্বপ্নটি মনে মনে লালন করে চলেন। তাছাড়া এটা সবারই জানা যে, সন্তান ছাড়া একটি পরিবার সম্পূর্ন হয় না। একটি দম্পতি সংসার শুরু করার পরেই সন্তানের অভাববোধ করেন । এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু একটি সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে । একটি সুস্থ ও সবল বাচ্চার স্বপ্ন দেখে সব দম্পতিরাই। তাই স্বপ্নের সূচনা যেন ভালোভাবে হয়, তাহলে স্বপ্নটি পূরণ হবার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।

বলা হয়ে থাকে একটি সার্থক গর্ভধারণ,গর্ভধারণ করার আগেই বিভিন্ন প্লানের উপর নির্ভর করে। সব মহিলাই উপকৃত হতে পারেন যদি গর্ভধারণের আগের প্লান সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভধারণের আগে কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার।
বাচ্চা বা সন্তান নিতে ইচ্ছুক নবদম্পতির কিছু করণীয় বিষয় !
আর্থিক প্রস্তুতি :- যদিও বলা হয়ে থাকে অর্থই অনর্থের মূল।তারপরও অর্থ ছাড়া জীবন অচল। তাই আপনার পরিবারে কোন নতুন অতিথিকে আনতে চাইলে তার ভবিষ্যতটা যতটা পারেন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন। কেননা সন্তান পালন বর্তমান যুগে অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। তাই গর্ভধারণ করার ইচ্ছা থাকলে আগে অর্থনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখবেন। একটা প্লানও করে নিতে পারেন। একটা ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন গর্ভধারণের আগে।এতে আপনার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত সিকিউর থাকবে। এছাড়া একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত্‍ গর্ভধারণের চেষ্টাকালীন সময়ে। কেননা গর্ভাবস্থায়,বাচ্চা প্রসবকালীন ও বাচ্চা জন্মদানের পরবর্তী অবস্থায় অর্থের দরকার হয়।

মানসিক প্রস্তুতি :- আপনি ও আপনার স্বামী যখন গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন,তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিবেন, আপনারা এখন সন্তান চান কিনা? সন্তানের দেখভাল করার মত লোকজন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা? ক্যারিয়ারের গঠনের মাঝে সন্তান নিলে সামলাতে পারবেন কিনা? দু জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা? মানসিকভাবে বর্তমানে আপনি বিপর্যস্ত কিনা? এই প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন। যদি হ্যাঁবাচক উত্তর পান তবে বুঝতে হবে যে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদি না বাচক উত্তর পান তবে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আরও ভালোমতো ভেবে নিন।

শারীরিক প্রস্তুতি :- মেডিকেল চেকআপ :আপনি কি খুব শ্রীঘ্রই বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন?যদি বাচ্চা নিতে চান তবে গর্ভধারণের জন্য একটা বিশেষ সময়ের পরিকল্পনা করুন। এরপর মেডিকেল চেকআপ করুন।এতে করে আপনি জানতে পারবেন যে,বাচ্চা নেয়ার জন্য আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা? কেনোনা একটি স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্মদেওয়া একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মায়ের উপর নির্ভর করে। এজন্য প্রি কন্সেপসন, প্রি প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নেওয়া উচিত্‍। কেনোনা কিছু মেডিকেল কন্ডিশন ও জীবনযাত্রার মান গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে, এমনকি গর্ভধারণ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

কি কি চেকআপ করাবেন ?

যদি আপনি সন্তানধারণের চেষ্টা করেন এবং আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার চিকিত্‍সককে বলুন কবে নাগাদ তা বন্ধ করবেন? সাধারণত গর্ভধারণ করার চেষ্টা করার কিছু মাস আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করতে বলেন ডাক্তাররা। আপনার কিছু স্বাভাবিক মাসিক হওয়া দরকার গর্ভধারণের আগে।এতে করে গর্ভধারণ পরবর্তী বাচ্চা প্রসবের সময় নির্ধারণ করতে সুবিধা হয়।

স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন। আপনার কোন রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্বামীর কোন অসুখ থাকলেও তার চিকিত্‍সা করাতে হবে। এরপর ডাক্তার আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ওজন, রক্তচাপ ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা তা পরীক্ষা করবেন। কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে বাচ্চা জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়।তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।

এরপর ডাক্তারটা পরীক্ষা করবেন যে, আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা? মানে বন্ধ্যা কি না তা পরীক্ষা করেন।অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে। মহিলা ,পুরুষ উভয় ই এর জন্য দায়ী হতে পারে। এজন্য যথাযথ পরীক্ষা করে সমস্যা ধরা পড়লে, যার সমস্যা তার চিকিত্‍সা করাতে হবে।

প্যাপ টেস্ট করাতে হবে,জরায়ুমুখে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার জন্য। কেনোনা একটি সার্থক প্রসব সুস্থ জরায়ু ও গর্ভাশয়ের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস,উচ্চরক্তচাপ আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ এইসব অসুখ মারাত্মক সমস্যা করে গর্ভাকালীন ও পরবর্তী সময়ে।তাই গর্ভধারণের আগেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এছাড়া HIV ও herpes এই টেস্ট গুলো করা ভালো কেনোনা এগুলো থাকলে গর্ভধারণ করা ঝুকিপূর্ণ।

এছাড়াও আপনি যদি দ্বিতীয় বারের মত মা হতে যান এবং আপনার যদি আগের গর্ভকালীন অবস্থায় নিম্নোক্ত সমস্যা হয়ে থাকে,
  • বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া 
  • জন্মের সময় বাচ্চা মরে যাওয়া 
  • অকালে বাচ্চা হওয়া 
  • বাচ্চার শারিরীক গঠনে সমস্যা থাকা 
এইসব হয়ে থাকলে পরবর্তী বাচ্চা নেওয়ার সময় আপনাকে আরো সচেতন হতে হবে ও চিকিত্‍সকের পরামর্শমত গর্ভধারণ করতে হবে।

আপনার ও আপনার স্বামীর পরিবারে কোন জেনেটিক সমস্যার কারণে কারো অসুখ হলে, একজন জেনেটিক কাউন্সিলারের সাথে পরামর্শ অবশ্যই করবেন।

এজমা, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেসনের ও অন্যান্য কোন ওসুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময়ই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। কেননা এতে সন্তান বিকলাঙ্গ হবার চান্স থাকে।

রুবেলা, চিকেন পক্স এর টিকা আগেই নিয়ে রাখুন। এছাড়া ১৫ বছরের পর সব মেয়েরি টিটি টিকা নেওয়া উচিত্‍। যে কোন ভ্যাক্সিন নেয়ার কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করুন গর্ভধারণের চেষ্টা করার জন্য।

দাঁতের যত্ন নিন। দাঁতের সমস্যা হলে একজন ডেন্টিস্ট কে দেখান।কারণ এটা প্রমাণিত যে দাঁতের মাড়ীতে কোন অসুখ থাকলে কমওজনের ও অকালে জন্ম হয় শিশুর।

একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :- আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর রেগুলার মাসিক হয় তাহলে মাসিক হওয়ার ১০ তম দিন থেকে ১৮ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে আর যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তারা তাদের সবচেয় কম সময় যেই মাসিক হয় সেই সময়ের সাথে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশী সময়ে যে মাসিক হয় তার সাথে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন ডেট গণনা করতে পারে । যেমন কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয় তাহলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাত্‍ তার মাসিক হবার ৮তম দিন থেকে ২১ তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে তা সফল হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।

এছাড়াও আপনার ডাক্তারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন ,
  • কখন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বন্ধ করবেন ? 
  • ওভুলেশনের ডেট ক্যালকুলেট করে নিবেন । 
  • কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট । 
সাধারণত মাসিক না হওয়া, স্তন বড় হয়ে যাওয়া, সকালে বমি বমি ভাব হওয়া এগুলো দেখে বুঝা যায় । এরপর সিউর হওয়ার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে হবে। (তথ্যসুত্র :- সাজগোজ)
বিস্তারিত

যৌনসুখ বাড়াতে ভায়াগ্রার ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ

প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো, ভায়াগ্রা একটি ট্রেড নেম বা নির্দিষ্ট একটি ওষুধের রাসায়নিক নামকরণ। এর মূল উপাদান সিলডেনাফিল সাইট্রেট। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ব্যবহার করা হলেও তাতে আশাপ্রদ ফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু গবেষণা চলাকালীন দেখা যায়, পুরুষ রোগীদের লিঙ্গ উত্থানের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু যৌনসুখ বাড়াতে ভায়াগ্রা ব্যবহার করা হলেও এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মূলত অনিচ্ছুক মসৃণ কোষের শিথিলতার সময়সীমা বৃদ্ধি করে এবং পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচলের হার বাড়ানোই ভায়াগ্রার কাজ। তবে শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গই নয়, গোটা শ্রোণী এলাকাতেই রক্ত সরবরাহ বাড়ায় ভায়াগ্রা। এর ফলে পুরুষ্যত্বহীন রোগী যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তাদের পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয়। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক মহিলাও ভায়াগ্রা সেবন করেন। এতে তাদের কাইটরিসে রক্ত সঞ্চালন ঘটে এবং তারা বিপুল উত্তেজনা অনুভব করেন। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শতকরা ৮৮ ভাগ ক্ষেত্রে যৌনতায় অক্ষম পুরুষ ভায়াগ্রা ব্যবহার করে ফল পেয়েছেন। শুধু লিঙ্গ উত্থানের সমস্যাই নয়, এই অবস্থা ধরে রাখতেও ভায়াগ্রার ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
ভায়াগ্রার ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ :- ভায়াগ্রা ব্যবহারের আগে কয়েকটি ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি। চিকিত্‍সকদের মতে, হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে এই ওষুধ প্রয়োগ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই কারণে ভায়াগ্রা ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে রোগীর কোন হৃদযন্ত্র জনিত সমস্যা রয়েছে কিনা। সাধারণত, হার্ট ফেইলিয়র, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হার্টের মায়োকার্ডিয়ামে সংক্রমণ, অত্যধিক বা অত্যন্ত কম রক্তচাপের সমস্যা থাকলে চিকিত্‍সক এই ওষুধ ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। এ ছাড়া জিভের নীচে রাখার গ্লিসারিন টাইনাইট্রেটস ট্যাবলেট, স্প্রে, ডাইনাইট্রেটস ইত্যাদি ওষুধের সঙ্গেও ভায়াগ্রা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন চিকিত্‍সকরা। বাজারে প্রচলিত অর্গ্যানিক নাইট্রেটস যেমন নাইট্রোগ্লিসারিন, আইসোসরবাইটডাইনাইট্রেটস, নাইটোডুর, নাইটোপেস্ট এবং আইসোবিউটাল নাইট্রেট সমৃদ্ধ ওষুধ নিয়মিত ব্যবহার করলেও ভায়াগ্রা সেবন করা মানা।

ভায়াগ্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মতান্তর রয়েছে। তবে প্রচলিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মাথাব্যথা, মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ ধারণ করা এবং দৃষ্টি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বেশি মাত্রায় ভায়াগ্রা ব্যবহারে চোখের নানা সমস্যা দেখা দেওয়া বিরল নয়। শুধু তাই নয় অনেকে ভায়াগ্রা ব্যবহারের পর সাথে সাথে হার্ট এটাক করে মারাও গেছে। 

যৌন সমস্যার হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা :- যেকোন যৌন সমস্যার মূলে রয়েছে অবশ্যই একটি কারণ। এই কারণটি নির্ণয় করে যথাযথ চিকিত্সার মাধ্যমে যৌন সমস্যাটি চিরতরে নির্মূল করাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। আর পুরুষ এবং মহিলাদের যেকোনো যৌন সমস্যা চিরতরে নির্মূলের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সৃষ্টিলগ্ন থেকে নানা প্রকার যৌন রোগসমূহকে চিরতরে নির্মূলের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোনো চিকিত্সা বিজ্ঞানই তেমন কোনো সুবিধা করে উঠতে পারে নি। কারণ অন্যান্য চিকিত্সা পদ্ধতিতে ঔষধের রয়েছে মারাত্মক সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা হোমিওপ্যাথিতে নেই বললেই চলে। যৌন দুর্বলতায় ভায়াগ্রার মত ক্ষতিকর ঔষধ তো দুরের কথা অন্য যে কোনো প্রকার উত্তেজক ঔষধ খাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। আর যেকোন প্রকার যৌন সমস্যায় সর্বাধিক কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা গ্রহণ করে চিরদিনের জন্য ঐ সমস্যা থেকে মুক্ত হন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বাংলাদেশে পেশা বা ক্যারিয়ার হিসেবে হোমিওপ্যাথি

প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। তারই ধারাবাহিকতায় নব নব পেশার সম্মিলন ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আধুনিতাকে স্বাগত জানিয়ে থাকে। ফলে আধুনিকতা সমৃদ্ধ পেশার চাহিদা সবসময়ই বৃদ্ধির পথে। সারাবিশ্বে আধুনিকতার উন্নয়নের সাথে সাথে এমন অনেক পেশা রয়েছে যাদের চাহিদা বিন্দুমাত্র হরাস পায়নি। হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার তার মধ্যে অন্যতম। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জন করেই হতে হয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।
বিস্তারিত

শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষায় অভিভাবকদের করণীয়

আমাদের দেশে যৌন নির্যাতনের হার দিন দিন যে ভাবে বেড়ে চলছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। বাসা বাড়ি, পথ ঘাট এমনকি স্কুলের মতো স্থানেও শিশুরা পর্যন্ত বিকৃত রুচির মানুষজন দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে সবচাইতে দুঃখজনক ব্যাপার হলো নানা জরিপের ফলাফলে জানা যায় শিশুদের প্রতি যে যৌন নির্যাতন করা হয় তার নির্যাতক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের নিকটতম সদস্য হয়ে থাকেন।
বিস্তারিত