পশ্চিমা সংস্কৃতিতে আজ মিলনে বা অন্য সময় নর-নারী পরষ্পরের মুখমৈথুন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু বিষয়টা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে কতটা যৌক্তিক এটাও একটা প্রশ্ন দাড় করিয়ে দেয়। তাছাড়া এ সংক্রান্ত ধর্মীয় বিধি নিষেধই বা কি এটাও জানার বিষয়। বিশেষ করে ইসলামে এর কি বিধান রয়েছে তাও চিন্তা করা দরকার।
স্বামী/স্ত্রী সহবাসের ক্ষেত্রে ইসলামে দুই বিষয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর তা হলো:
- পায়ুপথে মিলন।
- মাসিক ঋজচক্রের সময় মিলন।
এ দুই বিষয় ছাড়া স্বামী-স্ত্রী নৈতিকতার সীমায় থেকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে মিলন/আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।প্রথমত ইসলামী বিধান অনুযায়ী মানবদেহে পায়ূতে লিঙ্গ প্রবেশ হারাম। নিজ স্ত্রীর সঙ্গেও পায়ূমৈথুন হারাম বা নিষিদ্ধ। ইসলামী বিধান অনুসারে, এ কাজ কবিরা গুনাহ বা সর্বোচ্চ পাপ।
এবার আসুন গোপনাঙ্গ চোষন প্রসঙ্গেঃ
গোপনাঙ্গ চোষন অধিকাংশ দেশেই বৈধ। ইসলাম ধর্মে শুধুমাত্র নারীদের মাসিকের সময় যৌনমিলনে নিষেধ আছে। কিন্তু কিছু কিছু ইসলামি চিন্তাবিদের মতে এটা মাকরূহ, কারণ গোপনাঙ্গ চোষন এর মাধ্যমে স্বামীর লিঙ্গ থেকে স্ত্রীর মুখে বা স্ত্রীর যোনি থেকে স্বামীর মুখে নাপাক তরল যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় । অন্যান্য ইসলামি চিন্তাবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন গোপনাঙ্গ চোষন নিষিদ্ধ বলা যায় এমন দলিল কোথাও পাওয়া যায়নি।
স্বামী অথবা স্ত্রীর গোপনাঙ্গ মানব দেহের অন্য অঙ্গের মতই বিবেচনা করা হয় (যেমন স্তন অথবা ঠোট)। অন্যদিকে মুখ হচ্ছে শরীরের সর্বাপেক্ষা পবিত্র অঙ্গ। তাই ইসলামিক চিন্তাবিদগন সতর্ক করে দিয়েছেন কোন ভাবেই মনি অথবা মজি (প্রাক-মিলন-তরল অথবা বীর্য) যেন মুখের ভিতর না যায়। এ তরল মুখে যাবার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই এই চোষন ক্রিয়াকে মাকরুহ্ বলেছেন অনেকে।
তাছাড়া বর্তমান বিশ্বে যে সব ব্যক্তিবর্গ ওরাল সেক্স এ আসক্ত ছিল এবং নিয়মিত এটা করত, তারা অধিকাংশই মুখের বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে এটা তাদের নিজেদের মুখেই স্বীকার করেছে। তাই স্বাস্থ্য গত দিক দিয়েও এর আমরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখতে পাই। এ বিষয়টা সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন:-
এবার আপনারা যার যার বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। ধন্যবাদ