যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৪

যৌন মিলনে কনডম ফেঁটে বা খুলে গেলে কি করা উচিত ?

জন্ম নিয়ন্ত্রনের বহুল ব্যবহৃত  গুলোর মধ্যে একটি হল ভুল সহবাস বা যৌন মিলন কালে কনডম ব্যবহার করা। এটা অনেক সেফ বা নিরাপদ পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এর ব্যবহারে মাঝে মাঝে কিছু বিপত্তিও দেখা যায়। যেমন কনডম খুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি। যদিও এর সংখ্যা ততটা অধিক নয়। তবে শতকরা দুই থেকে ছয় ভাগ কনডম শাররীক মিলনের সময় ফেঁটে কিংবা খুলে পড়তে পারে। লেটিক্স কনডমের ছেয়ে পলিইউরিথেনই কনডম বেশি মাত্রায় ফাঁটার সম্ভাবনা থাকে।
কি কি কারনে কনডম ফেঁটে বা খুলে যেতে পারে:-
  1. কনডমটি মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রায় রাখা ছিল। 
  2. ভুল ভাবে কনডমটি লিঙ্গে লাগানো। 
  3. কনডমের ডেট এক্সপায়ায়ারড হয়ে যাবার ফলে এর কার্যকারীতা কমে যাওয়া। 
  4. কনডম এর প্যাকেট ছিদ্রযুক্ত ছিল।
যদি কনডম ফেঁটে / খুলে যায় তাহলে কি করবেন:-
  1. যৌন মিলনে বীর্যস্থলনের পুর্বে যদি কনডম ফেঁটে যায় তাহলে সাথে সাথে মিলন বন্ধ করুন – লিঙ্গ বের করে আনুন – এবং নতুন কনডম প্রতিস্থাপন করুন। 
  2. যদি বীর্য পড়ে যায় এবং তা যোনীমুখে দৃশ্যমান থাকে তাহলে সাবান এবং গরম পানির সাহয্যে জলদি ধুয়ে ফেলুন। তবে যৌনাঙ্গের গভীরে বীর্য পড়লে সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে তেমন একটা লাভ হয়না। কারন ধুয়ে শুক্রানু দুর করা যায় না। 
  3. এইডস সহ যেকোন প্রকার সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজের (এস টি ডি) উপস্থিতি পরীক্ষা করান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এস টি ডি এর প্রাথমিক লক্ষন হিসাবে ফুসকুড়ি, ফোলা গ্রন্থি, জ্বর, ফ্লু, ব্যাথা এবং লিঙ্গ কিংবা যোনী থেকে আঠালো তরল নির্গত হওয়া দেখা যেতে পারে। 
  4. যদি যার সাথে মিলনকালে কনডম ফেঁটেছে তিনি এইইচ আই ভি পজেটিভ থাকেন তাহলে ৬ সপ্তাহ, ৩ মাস এবং ৬ মাস পর পুনরায় পরীক্ষা করে দেখুন আপনার মাঝে সংক্রমন হয়েছে কিনা? 
  5. কনডম ফেঁটে যাওয়ার পর আর ধাক্কা দিবেন না। ফাঁটা কনডম সহ ধাক্কা দিলে সংক্রামক জীবাণু জরায়ুর গভীরতায় চলে যেতে পারে। একই কারনে যোনীর ঝিল্লি/পর্দায় জ্বালাপোড়া করতে পারে যা রোগ সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।