যৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন। ডাঃ আবুল হাসান, পপুলার হোমিও হল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। ফোন করুন:- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৩

পলাশবাড়ীতে হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা

পলাশবাড়ীতে হারবাল চিকিৎসার নামে তাদের এ বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। হারবালের দেওয়া এসব ভেজাল ওষুধে রোগমুক্তির বদলে উল্টো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। জানা যায়, বিভিন্ন জটিল রোগের নাম করে ইউনানি, হারবাল, কবিরাজি, তদবির, দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা পলাশবাড়ীতে চিকিৎসার নামে চলছে চরম প্রতারণা। এসব কথিত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে রোগ নিরাময় দূরের কথা উল্টো রোগীরা নানারকম শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। যেখানে-সেখানে খোলা হয়েছে কথিত চিকিৎসা কেন্দ্র।
এগুলোর কোনো স্বীকৃতি নেই, লাইসেন্স নেই অথচ এসব কেন্দ্রেই যৌনরোগ, পাইলস, অ্যাজমা, গ্যাস্টিক ও ক্যান্সারসহ জটিল, কঠিন বহুবিধ রোগ নিরাময়ের শতভাগ গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে।স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করে রীতিমতো প্রকাশ্যেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইউনানি ও হারবাল চিকিৎসালয় নামের প্রতিষ্ঠান। তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, কেবল অপারেটরদের চ্যানেলে অশালীন ভাষায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন ও লিফলেট পড়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সচেতন মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। 

মডার্ন হারবাল, রোমান হারবাল, ভারত হারবাল, ইবনেসিনা হারবাল, চৌমোহনী হারবাল, ইউনানি চিকিৎসা, আধ্যাত্মিক দাওয়াখানা ইত্যাদি নানা নামে শত শত প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠেছে। এসব ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানে যৌন, চর্ম রোগের পাশাপাশি হাঁপানি, বাতব্যথা, ডায়াবেটিস, লিভার সমস্যা, নারী-পুরুষের বিভিন্ন কঠিন ও গোপন রোগসহ বিভিন্ন রোগের অব্যর্থ চিকিৎসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। 

রোগের নয়, রোগীর অবস্থা বুঝে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দেন তারা। তবে রোগ নিরাময়ের গ্যারান্টি প্যাকেজের আওতায় চিকিৎসা পেতে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। তবে ফুটপাথের অবস্থা আরও ভয়াবহ। স্বল্প আয়ের মানুষেরা মজমায় বিভিন্ন ছবি ও বানানো গল্প শুনে অনায়াসে পটে যায়। পরে লোক বুঝে মজমার কবিরাজ নামধারী প্রতারকেরা এসব অসহায় মানুষের কাছ থেকে অনেকটা পকেট কাটার মত কাজ করে থাকে। তাদের কাছে যা থাকে তাতো দিতে হবে। 

পরে কাক্সিক্ষত সেবা না পেলে আর ওই মজমার মালিক বা কবিরাজের কাছে অভিযোগ করা হয় না। গোপন রোগের কথা বলা হয় না কাউকেই। এ সুযোগ কাজে লাগায় ভেষজ কবিরাজ নামধারী প্রতারকরা। গোবিন্দগঞ্জে হেমিওপতি ডাঃ এস বসু বলেন হারবাল নামে কোন চিকিৎসা নেই, সব ভন্ডামী।(তথ্যসূত্র: দৈনিক জনতা)