যৌন জীবন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
যৌন জীবন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৫

বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি

বলা হয়, বিয়ের বিষয়টি স্বর্গীয় এবং সেখানেই এর ফয়সালা ঘটে। এ কারণে বিয়ে নিয়ে মানুষের এত জল্পনা-কল্পনা, আনন্দ আর উত্তেজনা। কিন্তু গোটা বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই এত আয়োজন কি সব নিরর্থক? বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ভুল কারণের ওপর ভিত্তি করে মানুষ বিয়ে করেন। বিয়ের পর এসব কারণের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই দাম্পত্য জীবন মানুষকে নিরাশ করে। আর তাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে জেনে নিন, বিয়ে সম্পর্কে ১০টি ধারণার কথা যা আসলে ভুল চিন্তার সামিল।

১. আপনি হয়তো একাকী মানুষ যিনি পেশাজীবন নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটান। অনেকে মনে করেন, এই একঘেয়েমি অবস্থার অবসান ঘটবে যখন একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পাওয়া যাবে। মূলত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বিয়ে করা হয়। বিয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এটি নয়। 
বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি
২. কারো সঙ্গে ডেটিং দেওয়া মানেই তাকে বিয়ে করা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাকে যদি ভালো নাই বাসেন, শুধু সময় কাটাতে ডেটিং দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বিয়ে করাটা বড় ধরনের ভুল। তাকে জীবনের আদর্শ সঙ্গী-সঙ্গিনী মনে না করা পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়। 

৩. অনেকেই মনে করেন, বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে বিয়ে করে ফেলা উচিত। এটা বিয়ের একমাত্র কারণ হতে পারে না। অন্যান্য বিষয় যখন আসে, তখন সব পাল্টে যায়। 

৪. দৈহিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে বিয়ের ইচ্ছা অন্যতম ভুলের একটি। বিয়েটা কোনো মোহ নয়। শুধু মোহাচ্ছন্ন হয়ে বিয়ে করলে পরবর্তীতে মোহ কেটে যাওয়ার পর সংসারে বিতৃষ্ণা চলে আসতে পারে। 

৫. একটা সময় পর্যন্ত মানুষ একাকী থাকতে পারে। এরপর একা থাকাটা অসহনীয় হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, যাকে পাওয়া যাবে তাকেই বিয়ে করে ফেলতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে শিগগিরই অস্থিরতা ভর করবে। 

৬. অনেকেই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে বিয়েকে উপায় হিসাবে গ্রহণ করেন। ধনী পুরুষ বা সম্পদশালীর মেয়েকে বিয়ে করতে চান অনেকে। এখানে অর্থটাই মুখ্য থাকে। বিয়ে, আত্মিক বন্ধন, সংসার এগুলো হয়ে পড়ে মূল্যহীন। তাই এই কারণটি বিয়ের শর্ত হতে পারেন না। 

৭. সম্পর্কে জড়ানোর পর একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেন। দুজনের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু একটা সময় আসতে পারে যখন মনে হবে যে, দুজন আসলে দুজনের জন্যে নন। তখন সরে আসাটাই বুদ্ধিমানে লক্ষণ। কিন্তু অনেকেই মানসিক টানাপড়েনে ভোগেন। ভাবেন, যেহেতু প্রেম করেছি, কাজেই মন না চাইলেও বিয়ে করতেই হবে। এতে করে ওই বিয়েটা স্বপ্নহীন হয়ে পড়ে। 

৮. সব বন্ধুই বিয়ে করে ফেলছেন। কাজেই ইচ্ছা না করলেও আপনার করতে হচ্ছে। এ ধরনের চাপ পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে আসে। সব বিবাহিত বন্ধুদের মাঝে ব্যাচেলর হয়ে থাকা কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে খাপা খাওয়ানোর জন্যে বিয়ে করা অর্থহীন। 

৯. বিয়ে না করতে চাইলেও বাবা-মায়ের চাপে বিয়ে করার কোনো অর্থ থাকে না। অভিভাবক চাইছেন বলেই বিয়ে করেছেন। সংসারধর্ম পালনের স্বপ্ন আপনি দেখেননি। সে ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবন কখনো টেকে না। 

১০. আরেকটি বিষয় মনে কাজ করে। তা হলো, একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলে সে আপনার দেখভাল করতে পারবে। নিজের যত্নআত্তির জন্যে যদি বিয়ে করেন, তবে আপনি স্বামী বা স্ত্রীকে স্রেফ সেবক-সেবিকার স্থানে রেখেছেন। বিয়ের বন্ধন এই উদ্দেশ্য সৃষ্টি হয়নি।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আপনি পুরুষ? জেনে নিন, বীর্যহীনতার কারণগুলি

জীবনযাপনের একটি অন্যতম অঙ্গ হলেও, সমাজের একটা বড় অংশের কাছেই যৌনতা মানই গোপন বিষয়। কানে কানে বলতে হয়। বন্ধুমহলে ঠাট্টার বিষয়। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারী যৌন সমস্যায় ভুগলে চিকিত্‍সকের কাছে যেতেও লজ্জা পেয়ে থাকেন। অথচ হোমিওতে পুরুষদের যৌন যৌন সমস্যাগুলির সর্বাধিক কার্যকর ট্রিটমেন্ট রয়েছে। কিছুদিনের প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলেই  এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মূল থেকে নির্মূল হয়ে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যৌনতায় সক্ষমতা অর্জন করে থাকে এবং এর জন্য বার বার ঔষধ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না।

দেখা যায় পুরুষরা অনেকেই মনে করেন, যৌন অসুস্থতা মানেই লজ্জার বিষয়। পৌরুষ নিয়ে প্রশ্ন!। বিশেষ করে আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও অনেকের বদ্ধমূল ধারণা, সন্তান না হওয়া শুধুমাত্র মহিলাদেরই সমস্যা। কিন্তু জানেন কি, দেশের শহরগুলিতে বহু দম্পতির পুরুষ সঙ্গী বীর্যহীনতায় ভোগেন। সমীক্ষা বলছে, উপমহাদেশের ভারতের শহরে প্রতি ৫টি দম্পতির মধ্যে একটি দম্পতির পুরুষ সঙ্গী বীর্যহীনতার শিকার। যার জেরে সন্তান লাভ হয় না। 
আপনি পুরুষ? জেনে নিন, বীর্যহীনতার কারণগুলি
বিশ্বের তাবড় চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এই কারণগুলির জন্যই পুরুষ বীর্যহীনতার শিকার হয়ে থাকেন। কারণগুলি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। এবং এই ধরনের কোনও শারীরিক সমস্যা হলেই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। 

মাম্পস :- বয়ঃসন্ধির পরে যদি মাম্পস হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বয়ঃসন্ধির সময় বা পরে মাম্পস, পুরুষের অণ্ডকোষে শুক্রাণু উত্‍পাদনকারী কোষগুলি নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে কোনও পুরুষ আজীবন বীর্যহীনতার শিকার হতে পারেন। 

ভ্যারাইকোসেল :- চিকিত্‍সা বিজ্ঞনীরা জানাচ্ছেন, ভ্যারাইকোসেল হল শুক্রনালীর শিরাঘটিত একপ্রকার টিউমার। এই ধরনের টিউমার হলে, যে শিরার মাধ্যমে অণ্ডকোষে রক্ত সঞ্চালিত হয়, সেই শিরা ফুলে যায়। ফলে অণ্ডকোষে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এবং শুক্রাণু তৈরিও হওয়া কমে যায়। দেখা গিয়েছে, ভ্যারাইকোসেলের সম্পূর্ণ চিকিত্‍সার পরেও মাত্র এক চতুর্থাংশ ব্যক্তির শুক্রাণু তৈরি সন্তোষজনক ভাবে বেড়েছে। 

আনডিসেন্ডেড টেস্টিকল্‌স :- অর্থাত্‍ অণ্ডকোষ অণ্ডথলিতে না গিয়ে, অ্যাবডমেনেই থেকে যাওয়া। পুত্র সন্তানের জন্মের আগে মাতৃগর্ভেই তৈরি হয়ে যায় অণ্ডকোষ। এরপর ঠিক জন্মের কয়েক দিন আগে দু'টি অণ্ডকোষ অ্যাবডমেন থেকে অণ্ডকোষ থলিতে নেমে আসে। মাতৃগর্ভে যখন এই প্রক্রিয়াটি ঠিকমতো হয় না, তখনই আনডিসেন্ডেড টেস্টিকল্স-এর সমস্যা তৈরি হয়। চিকিত্‍সার পরিভাষায় যাকে বলে ক্রিপটরচিডিজম। এর জেরে একজন পুরুষকে সারা জীবন বীর্যহীনতায় ভুগতে হতে পারে। 

টেস্টিকিউলার ক্যান্সার :- অণ্ডকোষে ব্যথা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিত্‍সকের দ্বারস্থ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ অনেক সময় অণ্ডকোষে টিউমার হলে এক ধরনের ব্যথা হয়। এই ব্যথাকে অগ্রাহ্য করলে বিপদ। ওই টিউমার থেকে ক্যান্সার হতে পারে। ঠিক সময়ে ধরা না-পড়লে ক্যান্সার ছড়িয়ে যায় দেহের অন্যান্য অংশেও। ফলে মৃত্যুও হতে পারে। 

ডায়াবেটিস :- ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও শুক্রাণু তৈরি কমে যেতে পারে। চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই শুক্রাণু তৈরি কমতে শুরু করে। এক সময় তৈরি হওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। 

অস্ত্রোপচার বা কোনও ক্ষত :- কোনও দুর্ঘটনায় অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত লাগলে বা কোনও ক্ষত হলে শুক্রাণু তৈরিতে প্রভাব পড়ে। খেলতে গিয়ে অণ্ডকোষে আঘাত পেলে বা কোনও দুর্ঘটনায় আহত হলে অণ্ডকোষগুলিতে রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে। এমনকি হারনিয়া অস্ত্রোপচারের ফলেও বীর্যহীনতা হতে পারে। 

শারীরির ভারসাম্যহীনতা :-
সঙ্গমের সময় অনেক পুরুষের যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত ধাতুতে শুক্রাণু থাকে না। অনেক সময় মূত্রনালীতে সংক্রমণ হলে এই ধরনের সমস্যা হয়। এর ফলে শুক্রাণুর সঙ্গে অন্যান্য তরলের মিশ্রণ না হওয়ায় বীর্য তৈরি হয় না। 

তপ্ত আবহাওয়া বা পরিবেশ :- শুক্রাণু তৈরিতে তাপমাত্রা একটা বড় ভূমিকা নেয়। দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি দিনের পর দিন খুব গরমের মধ্যে কাজ করেন (কারখানা, বয়লার রুম ইত্যাদি), তাঁদের শুক্রাণু তৈরি কমে যায়। 

প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও ধূমপাম, মদ্যপান :- বর্তমান সময়ে দেখা গিয়েছে, বীর্যহীনতার অন্যতম কারণ প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, ধূমপান ও মদ্যপান। তবে চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, মানসিক রোগ, যেমন অবসাদ, উদ্বেগ কমানোর আধুনিক চিকিত্‍সায় এই ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
বিস্তারিত

বুধবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

নারী পুরুষের যৌনতা নিয়ে কিছু সার কথা - যা না জানলেই নয়

রতিসুখের চরম বিন্দুতে পৌঁছনোর বিষয়ে এযাবত হয়তো কয়েক কোটি প্রবন্ধ পড়ে ফেলেছেন নিশ্চয়? জেনে রাখুন, ওই সমস্ত আসলে আদ্যপান্ত জঞ্জাল। এ ব্যাপারে আসল কথাটা বলে বিজ্ঞান। আসুন কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক যৌনচর্চা হয়ে যাক।
নারী পুরুষের যৌনতা নিয়ে কিছু সার কথা - যা না জানলেই নয়
  • গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোজা পরে সঙ্গম করলে চরম সুখ প্রাপ্তি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পায়ে মোজা পরা থাকলে যৌন সুখ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে উত্‍কট রহের মোজা পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
  • হাসিখুশি পুরুষের প্রতি আদৌ কোনও যৌন আকর্ষণ বোধ করে না নারী। বরং গোমড়া মুখের সঙ্গীর প্রতি দৈহিক মিলনের তীব্র কামনা অনুভব করেন মহিলারা। অন্যদিকে, নারীর হাসিমুখ দেখে পুরুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং কাতুকুতু দিলেও কোনও মতে পুরুষের হাসি চেপে রাখাই বিধেয়।
  • রৌদ্রস্নানে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই মনে তীব্র যৌন কামনা জাগে। মিলনের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে অতএব রোদ পোহানো অভ্যেস করতে পারেন।
  • পূর্বরাগ পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পুরুষের নাক। নাকের সামনের নরম অংশের স্পর্শে নারীর যৌন চেতনা জেগে ওঠে। তীব্র কামোন্মাদনা তৈরি হয়।
  • ঘর্মাক্ত পুরুষ দেখলে অধিকাংশ মহিলারপ্রবল যৌন ইচ্ছা তৈরি হয় বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। আসলে পুরুষের ঘামের সঙ্গে অ্যান্ড্রোস্ট্যাডিএনোন ক্ষরণের ফলে জাগ্রত হয় নারীর যৌন চেতনা।
  • একটি ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে পেশিবহুল পুরুষ মাত্রই নারীকে চরম যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত পুরুষের শরীরের মধ্যপ্রদেশ স্ফীত, তাঁরাই দীর্ঘ সম্ভোগ করতে পারেন। আসলে শরীরে চর্বি থাকার মানে হল স্ত্রী হরমোন এস্ট্র্যাডিওল-এর আধিক্য। এই হরমোনের সাহায্যে চরম রতিসুখের স্তরে পৌঁছতে সাধারণের তুলনায় অন্তত ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে ভুঁড়ি সমৃদ্ধ পুরুষের। তাই সিক্স প্যাক্স-এর মোহ ত্যাগ করে মহিলারা স্থূল শয্যাসঙ্গী বাছলেই অধিক যৌন তৃপ্তি লাভ করবেন।
  • যত্ন করে দাড়ি কামানো মুখের চেয়ে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িই নারীকে বেশি আকর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। এলোমেলো চুল আর অগোছাল দাড়ির পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে তৃপ্ত হন বেশির ভাগ মহিলা।
  • অন্তরঙ্গতা বাড়াতে চুমুর বিকল্প নেই, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে যুগল ঘন ঘন চুম্বনে অভ্যস্ত, দেখা গিয়েছে দীর্ঘায়িত যৌন মিলনের আনন্দ তাঁরাই উপভোগ করেন।
  • মশলাদার খাবার পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে। পছন্দের পুরুষের থেকে সম্পূর্ণ দৈহিক সুখ লাভ করতে হলে তাঁকে মশলা মিশ্রিত সুস্বাদু পদ পরিবেশন করুন।
  • বেশির ভাগ পুরুষই মেয়েরা লাল রঙের পোশাক পরলে তীব্র যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। তাই কামনার সঙ্গীকে যৌন সচেতন করে তুলতে রাঙা সাজে সেজে উঠুন।
  • মাথা ধরার অব্যর্থ দাওয়াই হল রতিসুখ, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যৌন তৃপ্তি অনেক সময় আংশিক অথবা পুরোপুরি মাইগ্রেন সারাতে সক্ষম।
  • বিজ্ঞানীদের মতে, বয়স্কা মহিলারা অল্পবয়েসীদের চেয়ে তুলনায় দ্রুত যৌন সুখের চরম সীমায় পৌঁছান। এই কারণে বয়সে বড় নারীর সঙ্গে পুরুষের সঙ্গম বেশি তৃপ্তিদায়ক বলে মনে করেন তাঁরা।
  • জানেন কি, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বহু মানুষ রতিক্রিয়াশীল থাকতে পারেন? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাওয়া অথবা হেঁটে-চলে বেড়ানোর অভ্যাসের মতো কেউ কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় দিব্যি যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারেন। এই অসুখের নাম 'সেক্সমনিয়া'। মজার কথা, ঘুম ভাঙলে ঘটনাটি একেবারেই ভুলে যান তাঁরা।
তবে যতই টিপস নিন না কেন, কার্যক্ষেত্রে সঠিক দাওয়াইটি মনে করে প্রয়োগ করতে পারলেই অভীষ্ট সিদ্ধি হবে। মনে রাখবেন, যৌন সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে আগে তার ট্রিটমেন্ট করাই বিধেয়। 
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫

মাসিক হবার পর, সেক্স করলে কি প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

মেয়েদের মাসিকের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকাই ভালো। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে জানা যায় মাসিক হওয়ার ৭ দিন আগে ও পরের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে এবং এর মাঝামাঝি সময়গুলোতে গর্ভ ধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
বিস্তারিত

যৌন মিলনের সময় অরগাজম হচ্ছে - বুঝার উপায় কি ?

যৌন মিলনের শেষ পর্যায় হচ্ছে অরগাজম বা চরম তৃপ্তি। নারীদের জন্য অরগাজম একেবারেই অন্য রকম একটা অনুভব। আপনার পরিচিত অন্য কোন অনুভবের সাথে এটার মিল খুঁজে পাবেন না। হ্যাঁ, এ কথা সত্যি যে আমাদের দেশে বিপুল সংখ্যক নারীর অরগাজমের সাথে পরিচয় নেই। এমনকি তাঁরা জানেন পর্যন্ত না অরগাজমের ব্যাপারে। কেননা পুরুষের চাইতে নারীর অরগাজমটা একটু ভিন্ন। পুরুষের অরগাজম যত সহজে আসে, নারীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। নারীর অরগাজমে সময় ও যৌন মিলনের সঠিক পজিশন প্রয়োজন।

পুরুষ যেমন বীর্যপাতের কয়েক মুহূর্ত আগে টের পান, নারীর ক্ষেত্রেও তাই। যৌন মিলনের সময় অরগাজম হবার কয়েক মুহূর্ত আগেই বুঝতে পারবেন যে চরম মুহূর্ত উপস্থিত হতে যাচ্ছে। আপনার হার্ট বিট বেড়ে যেতে শুরু করবে, মুখে রক্ত জমবে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাবে, কেউ কেউ ঘামতেও শুরু করবেন।
যৌন মিলনের সময় অরগাজম হচ্ছে - বুঝার উপায় কি ?
তবে সবচাইতে নিশ্চিত ব্যাপারটি হচ্ছে নিজের যোনিতে এমন একটা উত্তেজনাময় অনুভব তৈরি হবে যেটা আগে কখনো অনুভব করেননি। এক রকমের অসহ্য আনন্দ। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই অনুভবের পর ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করবেন আর যোনির পিচ্ছিল ভাব কমে গিয়ে যোনি শুকিয়ে আসবে। পিপাসা বোধ করতে পারেন, ক্লান্তিতে ঘুম আসবে, হুট করেই যৌন মিলনের আগ্রহ হারিয়ে যাবে, শরীর কাঁপতে পারে আবেশে, যোনির ভেতরে কম্পন অনুভূত হতে পারে।
বিস্তারিত

শনিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৫

যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অতৃপ্ত ও অসুখী হয়ে থাকে !

দেখা গেছে নারীরা পুরুষের তুলনায় যৌন জীবনে কিছুটা বেশি অসুখী হয়ে থাকে। এর বাস্তব কারণও রয়েছে অনেক। দেখা যায় নিজের ভালোবাসার পুরুষটির সাথেও যৌন জীবন নিয়ে খুশি নন প্রচুর নারী। মুখে প্রকাশ না করলেও মনের মাঝে একটা চাপা ক্ষোভ নিয়ে জীবন যাপন করেন টানা, মুখ ফুটে অনেকেই বলতে পারেন না যৌন জীবনে নিজের অতৃপ্তির কথা। কিন্তু এটা কেন? কেন প্রচুর নারী রয়ে যান যৌন জীবনে অসুখী ও অতৃপ্ত?

ভুল ধারণা ও অজ্ঞতা নারীদের যৌন জীবনে অসুখী রয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষার অভাব। যৌনতা যে কেবল সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম নয়, নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি আনন্দের ব্যাপার- এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আজও অজ্ঞ প্রচুর নারী। কী করতে হবে বা কীভাবে করলে আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে যৌন মিলন, সেটা জানা নেই বলে তাঁরা রয়ে যান অসুখী ও অতৃপ্ত।
যেসব কারণে নারীরা যৌনজীবনে অধিক অতৃপ্ত ও অসুখী হয়ে থাকে !
নিজেকে বুঝতে না পারা আসলে কী চাইছেন, তার শরীর কোন জিনিসে কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, কোন অঙ্গগুলো যৌনতার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বা নিজের শরীরের চাহিদাগুলো কী কী ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতা বা বুঝতে না পারাও যৌন জীবনে অসুখী হবার একটি বড় কারণ। যেমন ধরুন, প্রচুর নারীই জানেন না যে ক্লাইটোরিস কী বা যৌন জীবনে এর প্রভাব কী।

কী চান সেটা বলতে না পারা নিজেকে বুঝতে পারেন, নিজের চাহিদাও জানেন, কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারছেন না নিজের ভালো লাগা না লাগার কথা। নারীদের যৌন জীবনে অতৃপ্ত থাকার অন্তরালে এটা একটি বিশাল কারণ। এমনকি তিনি যে যৌন জীবনে সুখী নন, এটাও পুরুষ সঙ্গীকে মুখ ফুটে বলতে পারেন না অনেক নারী।

লজ্জা ও সংকোচ অনেক নারীই মনে করেন যে মেয়েদের যৌনতার কথা বলতে নেই, কিংবা মেয়েদের যৌনতার বিষয়টি নিয়ে কথা বল বা যৌন চাহিদা প্রদর্শন করার বিষয়টি খুবই লজ্জার। তাই মনের ইচ্ছা মনেই চেপে রাখেন তাঁরা।

পুরুষ সঙ্গীর স্বার্থপরতা বেশিরভাগ পুরুষই নিজের সঙ্গীনির যৌন চাহিদা পূরণের ব্যাপারে মনযোগী নন। বরং নিজের চাহিদা মিটে গেলেই তাঁরা স্বার্থপরের মত আচরণ করতে শুরু করেন। এটাও নারীদের অতৃপ্ত থাকার একটি বড় কারণ।

অরগাজম সম্পর্কে ভুল ধারণা অরগাজম বা চূড়ান্ত সুখ যে কেবল পুরুষের জন্য নয়। নারীরাও যে অরগাজম লাভ করতে পারেন এবং সেটা পুরুষদের মতই প্রত্যেক মিলনে, এই ব্যাপারটি জানেন না প্রচুর নারী। কীভাবে অরগাজম লাভ সম্ভব, কোন পজিশনে মিলিত হলে অরগাজম সহজে আসে ইত্যাদি বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে নারীরা রয়ে যান অসুখী।

যৌনতা ঘিরে ভয় অনেক নারীর মাঝেই যৌনতা বিষয়ে নানান রকমের ভীতি কাজ করে। ফলে এই বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা কখনো সহজ মনোভাব পোষণ করতে পারেন না, চিরকাল বিষয়টি নিয়ে আড়ষ্টতা রয়ে যায়।

শারীরিক-মানসিক সমস্যা নিয়ে সংকোচ যৌনতায় আগ্রহ নেই বা যৌনতা ঘিরে কোন শারীরিক সমস্যা বোধ করছেন ? এমন অবস্থায় অভিজ্ঞ কোনো হোমিও ডাক্তারের কাছে যান না অধিকাংশ নারী। ফলে সামান্য একটু চিকিৎসার অভাবেই তাঁদের যৌন জীবন রয়ে যায় বিভীষিকাময়। অথচ প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিলে নারী ও পুরুষের যৌন সংক্রান্ত সমস্যাসমূহ অল্প সময়ের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।
বিস্তারিত