মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫

যে লক্ষণে বুঝবেন - জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলটি আপনার দেহের উপযোগী নয়

জন্মনিয়ন্ত্রণে নারীদের বহুলপ্রচলিত একটি পদ্ধতি পিল। তবে সব ধরনের পিল সবার দেহের জন্যে উপযোগী হয়ে ওঠে না। এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসা, জরায়ুত ফিব্রোয়াস টিস্যুতে টিউমার, পিরিয়ড চলাকালীন অতি রক্তপাত ইত্যাদি কারণে অনেক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল আপনাকে গর্ভধারণ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। বর্তমানে যে পিলটি খাচ্ছেন তা যদি আপনার দেহের জন্যে উপযোগী না হয়ে থাকে, তবে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। জেনে নিন এমনই ৭টি লক্ষণ।
বিস্তারিত

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!

দাম্পত্য মানেই হরেক রকমের নিয়ম। এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না কিংবা এটা-ওটা অবশ্যই করতে হবে- যুগে যুগে কালে কালে দাম্পত্য বিষয়ে এমন অসংখ্য নিয়মের কথা আমরা শুনে এসেছি এবং বলাই বাহুল্য যে পালনও করে যাচ্ছি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি কেউ জানি? যেমন ধরুন, ঝগড়া করে নাকি আলাদা ঘুমানো ভালো নয়। কী হবে, যদি মাঝে মাঝে ঝগড়া করে আলাদাই ঘুমিয়ে যান? কিংবা কী হবে যদি সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু কথা গোপনই রাখেন? জেনে নিন দাম্পত্যের এমন ১০টি নিয়মের কথা যেগুলো মাঝে মাঝে ভঙ্গ করা আসলে সম্পর্কের জন্যই ভালো। এতে সম্পর্কে থ্রিল আর রোমান্স, দুটোই বজায় থাকে অনেকদিন।
বিবাহিত জীবনের যে নিয়মগুলো মেনে না চলাই ভালো!
নিয়ম ১:- কখনোই রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না কথাটির অর্থ হলো দাম্পত্যে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকবেন না। তবে সত্য বলতে কি, মাঝে মাঝে একটুখানি রাগের প্রকাশ ভালো। তাতে সঙ্গী বোঝেন যে কোন ব্যাপারগুলো আপনার খারাপ লাগে। রাগ করে ঘুমিয়ে যাওয়াটাও খারাপ নয়। এতে বরং রাগ প্রশমিত হয়, দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করার সুযোগ পান এবং সকালে সব ঠিক হয়ে যায়।

নিয়ম ২:- সন্তানকে সর্বদাই প্রথমে রাখুন সন্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। কিন্তু সবার আগে নিজেদের দাম্পত্যকেই রাখুন। আপনাদের সম্পর্ক ভালো থাকলে তবেই সন্তান সুখে থাকবে। 

নিয়ম ৩:- যৌন মিলনই সম্পর্ক রক্ষার প্রথম অস্ত্র সম্পর্ক মানে কেবলই যৌন মিলন নয় কিংবা ইচ্ছা না হলেও সঙ্গীকে খুশি করার জন্য যৌন মিলন >>> করতে হবে এমন কোন আইন নেই। সম্পর্কটিকে এমন করে তুলুন যেন মনের মিলনতাই আসল হয় এবং যৌন আকর্ষণ ধরে রাখার জন্য যা যা করতে হয় করুন। 

নিয়ম-৪:- পরস্পরের শখগুলোকে আপন করে করতে হবে এটা মোটেও কোন কাজের নিয়ম নয়। হ্যাঁ, দুজনের শখে মিল থাকা ভালো। কিন্তু সবকিছুই যদি একিই রকম হয় তাহলে খুব দ্রুত বৈচিত্র্য হারাবে জীবন। 

নিয়ম-৫:- রাগ করে কখনো পরস্পরকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না না, খুব বেশী দূরত্বে কখনো যাবেন না। তবে মাঝে মাঝে একটু টক-মিষ্টি রাগারাগি কিন্তু বেশ ভালো জিনিস। দূরে গেলে তবেই না কাছে আসার আনন্দ পাওয়া যায়? 

নিয়ম-৬:- ঝগড়া করা চলবে না মোটেও ঝগড়ার অর্থ এই নয় যে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ বা আপনারা কেউ কাউকে ভালোবাসেন না। বরং মাঝে মাঝে ঝগড়া মন পরিষ্কার করতে ও ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে। 

নিয়ম-৭:- সর্বদা সৎ থাকতে হবে না, সর্বদা সব কথাই যে জীবনসঙ্গীকে বলে দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। কিছু কথা না বলাই ভালো, বিশেষ করে এমন কিছু যেটা জানলে তিনি মনে কষ্ট পেতে পারেন। 

নিয়ম-৮:- দাম্পত্য খুবই সিরিয়াস একটি বিষয় দাম্পত্য সারাজীবনের একটি বিষয়। হ্যাঁ, এটি অবশ্যই সিরিয়াস। কিন্তু তাই বলে সারাক্ষণ গুরুগম্ভীর আচরণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। দাম্পত্যে যত হাসি-আনন্দ থাকবে, সম্পর্ক হবে ততই সুখের। 

নিয়ম-৯:- পরস্পরকে ছাড়া আনন্দ করবেন না একবার ভাবুন তো, রোজ রোজ একই খাবার খেতে বা একই পোশাক পড়তে আপনার ভালো লাগবে? তাহলে রোজ রোজ একই মানুষের সাথে সময় কাটাতেই বা ভালো লাগবে কেন? সঙ্গীকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন, কিন্তু তাঁকে সুযোগ দিন আপনাকে ছাড়াও নিজের আপনজনদের সাথে আনন্দ করার। এবং নিজেই একই কাজ করুন। 

নিয়ম-১০:- কখনো আলাদা বিছানায় ঘুমাবেন না আলাদা বিছানায় ঘুমালেই যে দাম্পত্য শেষ, বিষয়টি এমন নয়। শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে অনেক বিষয়েই দম্পতিরা আলাদা ঘুমাতে পারেন। ভালোবাসা থাকলে আসলে সব ঠিক।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৫

বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি

বলা হয়, বিয়ের বিষয়টি স্বর্গীয় এবং সেখানেই এর ফয়সালা ঘটে। এ কারণে বিয়ে নিয়ে মানুষের এত জল্পনা-কল্পনা, আনন্দ আর উত্তেজনা। কিন্তু গোটা বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই এত আয়োজন কি সব নিরর্থক? বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু ভুল কারণের ওপর ভিত্তি করে মানুষ বিয়ে করেন। বিয়ের পর এসব কারণের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। তখনই দাম্পত্য জীবন মানুষকে নিরাশ করে। আর তাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এখানে জেনে নিন, বিয়ে সম্পর্কে ১০টি ধারণার কথা যা আসলে ভুল চিন্তার সামিল।

১. আপনি হয়তো একাকী মানুষ যিনি পেশাজীবন নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় কাটান। অনেকে মনে করেন, এই একঘেয়েমি অবস্থার অবসান ঘটবে যখন একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পাওয়া যাবে। মূলত এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে বিয়ে করা হয়। বিয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এটি নয়। 
বিয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা জরুরি
২. কারো সঙ্গে ডেটিং দেওয়া মানেই তাকে বিয়ে করা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাকে যদি ভালো নাই বাসেন, শুধু সময় কাটাতে ডেটিং দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে বিয়ে করাটা বড় ধরনের ভুল। তাকে জীবনের আদর্শ সঙ্গী-সঙ্গিনী মনে না করা পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয়। 

৩. অনেকেই মনে করেন, বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে বিয়ে করে ফেলা উচিত। এটা বিয়ের একমাত্র কারণ হতে পারে না। অন্যান্য বিষয় যখন আসে, তখন সব পাল্টে যায়। 

৪. দৈহিক সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে বিয়ের ইচ্ছা অন্যতম ভুলের একটি। বিয়েটা কোনো মোহ নয়। শুধু মোহাচ্ছন্ন হয়ে বিয়ে করলে পরবর্তীতে মোহ কেটে যাওয়ার পর সংসারে বিতৃষ্ণা চলে আসতে পারে। 

৫. একটা সময় পর্যন্ত মানুষ একাকী থাকতে পারে। এরপর একা থাকাটা অসহনীয় হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, যাকে পাওয়া যাবে তাকেই বিয়ে করে ফেলতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে শিগগিরই অস্থিরতা ভর করবে। 

৬. অনেকেই অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে বিয়েকে উপায় হিসাবে গ্রহণ করেন। ধনী পুরুষ বা সম্পদশালীর মেয়েকে বিয়ে করতে চান অনেকে। এখানে অর্থটাই মুখ্য থাকে। বিয়ে, আত্মিক বন্ধন, সংসার এগুলো হয়ে পড়ে মূল্যহীন। তাই এই কারণটি বিয়ের শর্ত হতে পারেন না। 

৭. সম্পর্কে জড়ানোর পর একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করেন। দুজনের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। কিন্তু একটা সময় আসতে পারে যখন মনে হবে যে, দুজন আসলে দুজনের জন্যে নন। তখন সরে আসাটাই বুদ্ধিমানে লক্ষণ। কিন্তু অনেকেই মানসিক টানাপড়েনে ভোগেন। ভাবেন, যেহেতু প্রেম করেছি, কাজেই মন না চাইলেও বিয়ে করতেই হবে। এতে করে ওই বিয়েটা স্বপ্নহীন হয়ে পড়ে। 

৮. সব বন্ধুই বিয়ে করে ফেলছেন। কাজেই ইচ্ছা না করলেও আপনার করতে হচ্ছে। এ ধরনের চাপ পরিবার ও বন্ধুমহল থেকে আসে। সব বিবাহিত বন্ধুদের মাঝে ব্যাচেলর হয়ে থাকা কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। কিন্তু তাদের সঙ্গে খাপা খাওয়ানোর জন্যে বিয়ে করা অর্থহীন। 

৯. বিয়ে না করতে চাইলেও বাবা-মায়ের চাপে বিয়ে করার কোনো অর্থ থাকে না। অভিভাবক চাইছেন বলেই বিয়ে করেছেন। সংসারধর্ম পালনের স্বপ্ন আপনি দেখেননি। সে ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবন কখনো টেকে না। 

১০. আরেকটি বিষয় মনে কাজ করে। তা হলো, একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী থাকলে সে আপনার দেখভাল করতে পারবে। নিজের যত্নআত্তির জন্যে যদি বিয়ে করেন, তবে আপনি স্বামী বা স্ত্রীকে স্রেফ সেবক-সেবিকার স্থানে রেখেছেন। বিয়ের বন্ধন এই উদ্দেশ্য সৃষ্টি হয়নি।
বিস্তারিত